২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 237

রূপগঞ্জে রপ্তানীমুখী কারখানায় দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত-১২

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসীস্থ সিটি গ্রুপ রপ্তানীমুখী কারখানায় সিকিউরিটি গার্ডের দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। ওভারটাইমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত সিকউিরিটি গার্ডদের মধ্যে শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো সংষর্ষের ঘটনা ঘটেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কারখানা সিকিউরিটি গার্ড কমান্ডার মকবুল, মান্নান, ফারুক, হানিফ, নাজিম জানায়, রূপসীস্থ এলাকার সিটি গ্রুপ কারখানার নিরাপত্তার পহরি দায়িত্বে রয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ শতাধীক সিকিউরিটি গার্ড। কারখানায় সিকিউরিটি গার্ডদের প্রধান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মাজিদুর রহমান। মাজিদুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

তারা আরো জানান, প্রধান মাজিদুর রহমান তার নিজ এলাকা রাজশাহী থেকে নিজস্ব প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জনকে নগদ নারায়নে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকুরি দিয়েছেন। মাজিদুর রহমানের নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডদের ওভারটাইমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিলেও অন্যদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আসছে।
এ বিষয় নিয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত সিকিউরিটি গার্ড রানা ও রাকিবুল সিকিউরিটি প্রধান মাজিদুর রহমানের কাছে ওভারটাইমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দাবি করেন। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে মাজিদুর রহমানসহ তার নিয়োজিত লোকজন রানা ও রাকিবুলকে পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে সিকিউরিটি প্রধানের নিয়োজিত লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কাজ ছেড়ে ছুটাছুটি করতে শুরু করেন শ্রমিক, কর্মচারীরা। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ।

উভয় পক্ষের সিকিউরিটি গার্ড প্রধান মাজিদুর রহমান, কমান্ডার আল-আমিন, সাহিন মিয়া, মেহেদী হাসান, সবুজ মিয়া, রানা, রাকিবুলসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় ও রাজধানীর বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সংর্ঘষ নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে কারখানার ডিজিএম জাকির হোসেন ও ফ্যক্টরীর দায়ীত্বরত সাত্তার মাহাজন সুবিধা বঞ্চিতদের সুযোগ-সুবিধা দিবেন বলে আশ্বাস দেন। পরে উত্তেজিত সিকিউরিটি গার্ড সবাই কাজে যোগ দেন।

রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

ফতুল্লায় সোর্স রনি দাসের বিরুদ্ধে ২ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজীর মামলা

ফতুল্লায় আবারও সোর্স রনি কুমার দাসের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলা । গতকাল শনিবার ফতুল্লা মডেল থানায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী শামীম বাদী হয়ে রনিসহ ৫ জনকে আসামী করে ২ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজীর মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অন্য আসামীরা হলো জুট সন্ত্রাসী আব্দুল, মো: আলী, সাইফুল ওরফে বরিশাইল্যা সাইফুল, সুমন । মামলা নং- ৯১(৮)১৬। এর আগে ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ শীষ মহল এলাকায় হিন্দুদের ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ও মোবাইল চুরির এবং নাশকতার মামলা রয়েছে । এ মামলা সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লা মাসদাইর শেরে বাংলাসড়কের মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. শামীম মিয়া। সে গার্মেন্টস ব্যবসা করে আসছে। এই ব্যবসায়ীকে নিয়ে মাসদাইর পাকারপুল এলাকার আ. জব্বারের ছেলে জুট সন্ত্রাসী মো.আব্দুলের সাথে বিরোধ চলে আসছে। গত ২৪ আগস্ট রাত সোয়া ৯টায় শামীম ব্যবসায়ীক কাজে ধর্মগঞ্জ শীষ মহল এলাকায় তার বন্ধু পলাশের বাসায় যায়। পলাশের সাথে কথা বার্তা শেষ করে শামীম তার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।এমন সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ঔৎ পেতে থাকা মাসদাইর পাকাপুল এলাকার আ.জব্বারের ছেলে আব্দুল, মো.আলী, সোর্স রনি কুমার দাস, সাইফুল ওরফে বরিশাইল্যা সাইফুল, সুমন গংরা শীষ মহল মাঠে শামীম পৌছানো মাত্রই সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিট করে। এরপর রনি অব্দুল গংরা শামীমকে মারপিট করে আটক রেখে বাসা থেকে ফোন করে নগদ ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে । তাদের ২লক্ষ টাকা চাঁদা দিলে শামীম কে ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেয়। যদি টাকা না দেয় তাহলে শামীম মেরে ফেলার হুমকী দেয়। এরপর শামীমের পরিবার তাকে খুজেঁ না পেয়ে শামীমে পরিবারের লোকজন ফতুল্লা মডেল থানায় এসে অভিযোগ করে পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে যায়।পুলিশের টের পেয়ে রনি ও আব্দুল গংরা শামীমকে শীষ মহল মাঠে ফেলে পালিয়ে যায়।এঘটনা যাচাই করে তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ জুট সন্ত্রাসী আব্দুল ,পুলিশের সোর্স কথিত সাংবাদিক রনিকুমার দাস সহ ৫জনকে আসামী করে শামীম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেছেন। সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লা মডেল থানার সাবেক এস আই হারুন আর রশিদের সোর্স ছিলেন ফতুল্লার পঞ্চবটি হরিহর পাড়া এলাকার রনি কুমার দাস। সেই থেকে পুলিশের সাথে সখ্যতা রেখে সাধারন মানুষকে ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ফাও না দেওয়ায় পুলিশ দিয়ে তাদের ধরিয়ে দিত। চলতি বছরের ২৬ ও ২৭ ফেব্রæয়ারী ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ শীষ মহল এলাকায় রাতে নিতাইচন্দ্রের ঘরে এবং সত্যচন্দ্র দাসের নারিকেলের শলার গোডাউনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ২ মার্চ রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় অমর চন্দ্র দাস বাদী হয়ে সোর্স রনি কুমার দাসকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলানং ৬(৩)১৬। প্রায় ৩ মাস পূর্বে ড্যান্ডিবার্তার সম্পাদক হাবিবুর রহমান বাদলের মোবাইল চুরির দায়ে অভিযোগ দায়ের হয়। পরে তার বাবা ও মার অনুরোধে অভিযোগটি প্রত্যাহার করেন। এছাড়া জামাত শিবিরের নাশকতার মামালা ও রয়েছে সোর্স রনির বিরুদ্ধে। ওই দুটি মামলা জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আরো বেপোয়ারা হয়ে যায় সোর্স রনি। এরপর গত ২৪ আগষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী শামীমের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজীর অভিযোগে গতকাল এ মামলাটি দায়ের হয়।

না:গঞ্জে ‘হিট স্ট্রং ২৭’ অভিযানে নিহত ২ জঙ্গির পরিচয় মিলেছে

নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার একটি ৩ তলা ভবনে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এর `অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭` অভিযানে নিহত হওয়া অপর দুই জঙ্গি সদস্যের পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে একজন হলেন মানিক (৩৫) আরেকজন ইকবাল (২৫)। এদের মধ্যে মানিক পাইকপাড়ার ওই বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের এক সদস্য প্রাথমিকভাবে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা শনিবারের অভিযানে অংশ নেন। অভিযানের পর তিনি জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মানিকের পরিচয় বিস্তারিত জানা যায়নি। গত ঈদের আগে মানিক দুই কক্ষের ওই বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল। তার মাধ্যমেই ওই বাড়িতে ওঠে গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তামিম চৌধুরী।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, কল্যানপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া রিগ্যানকে নিহত মানিক ও ইকবালের ছবি দেখানো হয়েছে। রিগ্যান তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। তিনি আরও জানান, কল্যানপুরের অভিযানের সময় ইকবাল একে-২২ রাইফেল নিয়ে পালিয়েছিল। শনিবারের অভিযানে ওই রাইফেলটি পাওয়া গেছে। এদিকে নিহত জঙ্গিদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে এ্যাম্বুলেন্স আনা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেন জানান, লাশের সুরতহাল প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য কোথায় নেয়া হবে তা চুড়ান্ত হয়নি। তবে নিহত অপর দুই জঙ্গির পরিচয় সনাক্তের ব্যাপারে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

উল্লেখ্য, পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকায় শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের সদস্যরা। অভিযানে গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তামিম চৌধুরীসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়। শনিবার (২৭ আগষ্ট) সকাল ৯টা ২৫ মিনিট থেকে ১০ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত চলমান ‘হিট স্ট্রং’-২৭’ এর অভিযানে এই জঙ্গিরা নিহত হয়।

“অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭` এ নিহতরা ‘নিউ জেএমবি’র সদস্য”- আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল ইসলাম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় `অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭` অভিযানে নিহতরা ‘নিউ জেএমবি’র সদস্য। প্রায় একমাস পূর্বে ঔষধ ব্যবসায়ী পরিচয়ে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়েছিল জঙ্গিরা। অভিযান চালানো যৌথ বাহিনীকে বলেছিলাম জঙ্গিদের সারেন্ডার করার আহবান জানাতে। কিন্তু জঙ্গিরা সে আহবান না শুনে যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায়। তখন সকাল ৯:২৫ থেকে ১০:২৫ পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে।

শনিবার (২৭ আগষ্ট) সকাল পৌনে ১১ টায় নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় ‘অপারেশন হিট স্টর্ম-২৭’ পরিচালনার পর আইজিপি শহিদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গণমাধ্যমকে এতথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, নিহত এক জঙ্গির চেহারার সাথে সরকারের পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ জঙ্গি তামিমের চেহারার মিল পাওয়া গেছে। বাকী দুইজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে একটা একে-৪৭, তিনটা পিস্তল ও পাঁচটি লাইট গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় জড়িত ‘নিউ জেএমবি’র সদস্য এরা। প্রায় একমাস আগে তারা ঔষধের ব্যবসায়ী পরিচয়ে পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার নুরুদ্দিন দেওয়ানের তিনতলা ভবনের তৃতীয় তলা ভাড়া নেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আজকের এই অভিযান `অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭` পরিচালিত হয়।

নাঃগঞ্জে জঙ্গি আস্তানায় ‘কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অভিযানে নিহত-৩

কল্যাণপুরের ‘জাহাজ বিল্ডিংয়ে’র পর নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার বড় কবরস্থান এলাকার একটি তিনতলা ভবনে জঙ্গি আস্তানার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

`অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭` নামের ঘন্টাব্যাপী এই অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

এ অভিযানে গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তবে অভিযানে নিহত হওয়া অন্যদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে শহরের পাইকপাড়া এলাকার নুরুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে এ জঙ্গি আস্তনার সন্ধান পেয়ে ভবনটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভবনে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এ সময় জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে ব্যপক গোলা-গুলি চালায় আভিযানিক দল।

এর আগে ভবন থেকে সাধারণ মানুষদের সরিয়ে আনেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

এর আগে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সকাল ৯টার দিকে তারা অভিযান শুরু করলে জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা করে। পরবর্তীতে পুলিশও পাল্টা গুলি ছূঁড়তে শুরু করে।

পরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সদর থানার পুলিশ, জেলার গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব-১১ ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বিপুল সংখ্যক সদস্য এই অভিযানে অংশ নেয়।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, একজন জেএমবি সদস্য গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এই আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সন্ধান পাওয়ার পর সেখানে অভিযান শুরু চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

এদিকে গুলশান হামলার মূল হোতা তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে গত ০২ আগস্ট ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক।

সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের গরুর হাট দখল করলো সন্ত্রাসীরা

সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের ইজারা নেয়া ৮নং ওয়ার্ডে ঢাকেশ্বরী ইব্রাহীম টেষ্টাইল মিলিস্ বালুর মাঠের হাটটি দখল করে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় মাঠের মধ্যে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গছে। শুক্রবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাঁটের চতুর্দিকে বাঁশ ও অন্যান্য সরজামাধী স্থাপন করে। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সন্ত্রাসী ইফতেখার আলম খোকন ও কাজী আমির বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা বাধা দিলে সন্ত্রাসী কাজী আমির মুক্তিযোদ্ধারের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এর আগে গত ৪দিন ধরে সন্ত্রাসীরা গোদনাইল ঢাকেশ্বরী ইব্রাহীম টেক্সটাইল মিলস্ বালুর মাঠের হাটটি দখল নিতে ২নং ঢাকেশ্বরী বাসষ্ট্যান্ড, বাজার ও হাটের আশপাশে চিহৃত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী , দূর্ধর্ষ ক্যাডার, দেড় শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী এ মহড়া দেয়। এ ব্যাপারে জাতীর বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনাসহ যাতে সুষ্ঠভাবে স্বাভাবিক পরিবেশে হাট পরিচালনা করতে পারে এর ব্যবস্থা করা আহবান জানিয়েছে।
জানা গেছে, ঈদুল আয্হা উপলক্ষে ৮নং ওয়াডের্র ঢাকেশ্বরী ইব্রাহীম টেষ্টাইল মিলস্ বালুর মাঠের কোরবানীর হাটের ইজারা পার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখি সমবায় সমিতি লিঃ। এ হাটটি দখল নিতেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী আমির বাহিনী ও ফতুল্লা নয়ামাটির অস্ত্রধারী ক্যাডার, মাদক ব্যবসায়ী মোফাজ্জাল হোসেন চুন্নু বাহিনী হাট এলাকায় মহড়া দেয়। এর পেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সাথে কথা বললে সন্ত্রাসী খোকন, কাজী আমির ৫০% শেয়ার দাবি করেন এবং হাট তাদের নামে হস্তান্তর করতে বলেন। অন্যথায় তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে হাটের সকল ক্ষমতা। এটা মুক্তিযোদ্ধারা মানতে না পারায় সন্ত্রাসী খোকন ও কাজী আমির শুক্রবার সকাল থেকেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে হাটটি দখল নিয়ে বাঁশ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মান করেছে। এনিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সন্ত্রাসীদের উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কোন মুহুর্তে ৭১ বীর সন্তানদের সাথে সন্ত্রাসীরেদর রক্তক্ষই সংঘর্ষ হতে পারে।
এ ব্যাপারে ইফতেখার আলম খোকন জানান, এ মাঠে পালাগান করা হবে। তাই পেন্ডেল করা হয়েছে। আমরা কোন হাট দখল করিনাই। আমাদের নামে মিথ্যা অপবাধ দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারের সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান ভুইঁয়া (জুলহাস) জানান, খোনক ও হাজী আমিরসহ আরো অনেক হাটের শেয়ার থাকতে চাইছে। আমি বলেছি থাকবে। তারা ৫০% শেয়ারসহ সকল কিছু নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। দিতে রাজি না হওয়ার তারা হাটে বাশ দিয়ে স্থাপনা নির্মান করছে। পাশাপাশী গত মঙ্গলবার থেকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসসহ আশপাশের কয়েকশ ছেলেপেলে নিয়ে ঘুরাঘুরি করেছে । তাই সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে থেকে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আহবান করছি সুস্থ্য সুন্দরভাবে যাতে মুক্তিযোদ্ধারা হাট পরিচালনাসহ হাট করতে পারে তা ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।

আপনি ভারতের প্রতি এত দুর্বল কেন?-এমাজউদ্দীন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, আপনি ভারতের প্রতি এত দুর্বল কেন? দিয়েছি তো বহু, আর কত দিতে হবে?

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং সুন্দরবন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এমাজউদ্দীন এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এমাজউদ্দীন বলেন, ভারতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতার কোনো সীমা নেই। ভারতের সবকিছু তার কাছে পবিত্র মনে হয়। এই মানসিকতা আপনি পরিত্যাগ করুন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে সহায়তা করায় আপনাদের জনগণের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এর একটা মূল্য আছে। এটা আমরা বহুদিন ধরেই শোধ করছি। আমার মনে হয়, জাতি হিসেবে আমাদের ৭৫-৮০ শতাংশ মানুষ ভারতবিরোধী। ভারতবিরোধী এই কারণে যে বর্তমান সরকারের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক। অথচ সম্পর্ক থাকা উচিত ছিল বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তো সেটাই বলে।

ভারতের উদ্দেশে এমাজউদ্দীন বলেন, এখনো সময় আছে, বাংলাদেশের জনস্বার্থে সংশোধন হোন। আমাদের আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে সচেতন হোন।

ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানিকে (এনটিপিসি) ‘মায়ে তাড়ানো বাপে খেদানো কোম্পানি’ বলে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, এই কোম্পানির স্থান বাংলাদেশে হবে না। দুর্নীতিপরায়ণ, দূষণপ্রিয় কোম্পানির কাছে আমরা আত্মবিক্রয় করার চেষ্টা করছি। এটা সম্পূর্ণ ভুল।

এমাজউদ্দীন আহমদ নির্মাণাধীন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সুন্দরবন ধ্বংসকারী প্রকল্প আখ্যা দিয়ে তা বাতিল এবং সৌরবিদ্যুতের দিকে নজর দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক এহসানুল হক জসিম। তিনি বলেন, ছোট জাহাজে করে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে নদীপথে রামপালে কয়লা পাঠানো হবে। এতে বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পুড়বে। প্রতিদিন জাহাজে করে আসবে ১৩ হাজার টনের বেশি কয়লা। এই পরিমাণ কয়লা সুন্দরবনের ক্ষতি করবেই।

সংগঠনের উপদেষ্টা আকবর হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান।

অসাধু পুলিশ আর কথিত সাংবাদিকদের মদদে নারায়ণগঞ্জে মাদকে সয়লাব

একের পর এক অভিযানেও থেমে নেই নারায়ণগঞ্জে মাদক ব্যবসা। জেলায় র‌্যাব, পুলিশসহ মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের অব্যাহত অভিযান সত্ত্বেও মাদকের আগ্রাসী থাবা বন্ধ হচ্ছে না। সরকারি কঠোর পদক্ষেপের মধ্যেও মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে, সচল রয়েছে তাদের সরবরাহব্যবস্থাও। মাদক আমদানি, সরবরাহ ও বিপণনব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখতে একের পর এক কৌশল পাল্টাচ্ছে তারা। এসব নিত্যনতুন কৌশলে পাচার হওয়া মাদক ধরতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। জেলায় বিশাল পরিমান মাদক যানবাহন ও ট্রেনে অবাধে আনা-নেওয়া চললেও খুবই সীমিত পরিমাণ মাদক আটক করতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নারায়ণগঞ্জের সর্বত্রই মাদক ব্যবসায়ী আর নেশাখোরদের চলছে দাপুটে তৎপরতা। গত বছরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রেকর্ড পত্রে সবচেয়ে বেশি অঘটন ঘটেছে মাদকের সমস্যাকে কেন্দ্র করে। ব্যবসায়ীরা কয়েক দফা গ্রেফতার ও হাজতবাস করলেও তাদের মাদক ব্যবসা বন্ধ করা যায়নি। জানাগেছে, কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা, কথিত সাংবাদিক ও সোর্স এর কারনেই এ জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না। ঐসকল অসাধু পুলিশ কর্মকর্ত নারায়ণগঞ্জ থেকে একাধিবার বদলি হলেও তারা পুনরায় আবারও নারায়ণগঞ্জে এসে পড়েছে। এদিকে গত বছর বিশেষ গোয়েন্দা শাখার তথ্যে মাদক ব্যবসার সাথে জরিত নারায়ণগঞ্জের ২২জন পুলিশ কর্মকর্তা না উঠে এসেছিল। শুধু পুলিশ নয়, ক্ষমতাশীন দলের একাধিক নেতারও নাম ছিল সেই তথ্যে। এছাড়াও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্যে কথিত সাংবাদিকের নাম সম্প্রতি উঠে এসেছে। তারা সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক ব্যবসা করছে। তারা দামি মটর সাইকেলে চড়ে মাদক ব্যবসা করছে আর প্রকৃত সাংবাদিকরা পায়ে হেটে সংবাদ সংগ্রহ করে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরছেন। প্রায় ছয় মাস পূর্বে র‌্যাব-১১, সিপিসি-১ এর কম্পানী কমান্ডার শাহ্ শিবলী সাদিক টানবাজার এলাকা থেকে মাদকসহ সাংবাদিক পরিচয়দানকারী দুইজনকে গ্রেফতার করে। এরপর প্রায় ছয় ভূয়া সাংবাদিকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে,  গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চাষাড়ার রাইফেস্ ক্লাবে সাংসদ শামীম ওসমানের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলার বিভিন্ন সমস্যার মাঝে মাদকের আগ্রাসটাকেই প্রাধান্য দিয়েছে বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, নারায়নগঞ্জে মাদকে সয়লাব্। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তারা আরো বলেন, থানা-পুলিশের সাথে সখ্যতা রেখে এই মাদক ব্যবসা পরিচালনা করেন মাদক ব্যবসায়ী। নিজ এলাকার কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে মেম্বারদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয় না বলে জানান মাননীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের কাছে। তাদের এই বক্ত্যব্যের পরিপেক্ষিতে শামীম ওসমান বলেছেন, দ্রুত প্রদক্ষেপ নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসকে প্রতি অনুরোধ করেন। আসক্ত হচ্ছে যুব সমাজ: মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ইয়াবার ভয়াবহতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে সরকারের দায়িত্বশীল সব মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। তরুণ-যুবক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ সুযোগে জেলা জুড়ে গড়ে উঠেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অপ্রতিরোধ্য নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন সূত্রমতে, প্রতিদিন শুধু নারায়ণগঞ্জে লক্ষাধিক পিস ইয়াবা বিক্রি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাঝেমধ্যেই ধরা পড়ছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা, প্রচুর ইয়াবাও উদ্ধার হচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর পরও মরণঘাতী এ মাদকটির দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, থাই ভাষায় ইয়াবা মানে ক্রেজি মেডিসিন বা পাগলা ঔষুধ। ইয়াবা এক ধরনের মাদক যা হেরোইনের চেয়ে ভয়াবহ এবং হেরোইনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইয়াবার মূল উপাদান মেথ্যাম ফিটামিন ও সঙ্গে থাকে উত্তেজক পদার্থ ক্যাফিন। ২৫ থেকে ৩৫ মিলিগ্রাম মেথ্যাম ফিটামিনের সঙ্গে ৪৫ থেকে ৬৫ মিলিগ্রাম ক্যাফিন মিশিয়ে তৈরি এ ট্যাবলেটের রং সাধারণত সবুজ বা লালচে কমলা হয়ে থাকে। নথিতে বলা হয়, ইয়াবা ট্যাবলেটের স্বাদ যে কাউকে আকৃষ্ট করতে পারে এবং সেবনের পর ধরা পড়ার সম্ভাবনাও থাকে না। ইয়াবা ব্র্যান্ডের এসওয়াই, এনওয়াই ও ডব্লিউওয়াই নামের তিনটি ট্যাবলেট বাজারে পাওয়া যায়। এবিষয় র‌্যাব-১১, সিপিসি-১ এর কম্পানী কমান্ডার শাহ্ শিবলী বলেন, মাদক নির্মূলে আমাদের অভিযান চলছে। এইর মধ্যে অনেক ভূয়া সাংবাদিক যারা মাদক ব্যবসা করে আসছিল তাদেরকে আমরা গ্রেফতার করেছি। মাদক ব্যবসায় জরিত একাধিক সাংবাদিদের আমরা পর্যবেক্ষন করছি। তথ্য পেলেই তাদের গ্রেফতার করা হবে। এজন্য আমরা প্রকৃত সাংবাদিদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

গিয়াসের ‘ঐক্যের চিঠি’তে সাড়া দেয়নি বিএনপি,র ১০ নেতা

মুখে অনেকে ঐক্যের কথা বললেও এবার সেই ‘ঐক্যে’র ডাক দিয়ে একটেবিলে বসার আমন্ত্রন জানিয়ে ইতিমধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিযুক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার ১০ নেতাকে চিঠি প্রেরণ করা হলেও এখনো পর্যন্ত সেই নেতাদের কাছ থেকে কোন ধরনের সাড়া পায়নি ‘ঐক্যের চিঠি প্রেরক’ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ। তবে এখনো আশাহত হননি গিয়াস, বরং প্রতীক্ষায় আছেন একটু দেরীতে হলেও চিঠি প্রাপ্ত ১০ জন নেতা দলের স্বার্থে শীঘ্রই তার ঐক্যের আহবানে সাড়া দিবেন। কেননা, দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন যে এবার সত্যিই নারায়ণগঞ্জে দলকে সুসংগঠিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন, তার একটি অনন্য দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছেন তিনি। গত ২২ আগষ্ট দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শহীদ জিয়ার মাজারে নবগঠিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার ১০ জন নেতা- খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হন আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান খসরু, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আড়াইহাজারের নজরুল ইসলাম, কার্যকরী সদস্য নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি শাহ আলম, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ অধ্যাপক রেজাউল করিম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা রূপগঞ্জের দীপু ভূইয়া ও আড়াইহাজারের এ এফ ইকবাল পৃথক ভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শো-ডাউন করেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অপর সদস্য নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন এক ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ জেলা হতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া ১১ জন নেতার নাম লিখে ঢাকায় যোগদান করেন। যা দলের মধ্যে ঐক্য সুষ্টির একটি অনন্য উদাহরন বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দরা। তবে দলীয় সূত্রে জানাগেছে, গিয়াসউদ্দিন দলে ঐক্য ফেরাতে জেলার শীর্ষস্থানীয় ১০ নেতাকে চিঠি দিলেও সেই সকল নেতারা এখন জেলা ও মহানগর কমিটিতে নিজেদেরসহ সমর্থকদের নিযুক্ত করতে লবিংয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। তাই তারা মুখে ঐক্যের বুলি আওরালেও এখন পদ বাগাতে ব্যাস্ত আছেন বলেই মূলত ঐক্যের আহবানে সাড়া দিচ্ছেন না। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিযুক্ত জেলার ১১ নেতা যদি এক টেবিলে বসতে পারেন তাহলে নানা ভাগে বিভক্ত জেলা বিএনপি আবারো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দরা। এব্যাপারে ‘ঐক্যের চিঠি প্রেরক’ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ টাইমস নারায়ণগঞ্জকে জানান, কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিযুক্ত জেলার অপর ১০ জন নেতাকে দলীয় ঐক্যের স্বার্থে একটেবিলে বসার আমন্ত্রন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত কারো কাছ থেকে সাড়া মিলেনি। তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, যদি আমরা ১১ জন নেতা একটেবিলে বসে একসাথে প্রয়োজনে নিজেদের টাকা খরচ করেই এক কাপ করে চা পান করি, তাহলে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি আবারো ঐক্যবদ্ধ হবে। আর দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও চাঙ্গাভাব ফিরে আসবে। আমি আশাবাদী চিঠি প্রাপ্ত নেতারা শীঘ্রই আমার আমন্ত্রনে একসাথে বসে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষে ঐক্যবদ্ধ হবেন।

নাসিক নির্বাচনে চমক আসছে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে মেয়র আইভী সংশয়, শামীম ওসমানের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মেয়র ও আনোয়ার হোসেনের মেয়র হওয়ার স্বপ্নে বিভোর নিয়ে নারায়ণগঞ্জ রাজনীতিতে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। তবে এ নিয়ে বিএনপি এখনো প্রকাশ্যে তেমন কথা না বললেও নিরবে প্রার্থীতা চূড়ান্ত করাসহ নির্বাচনে কী ভাবে জয় ছিনিয়ে আনতে তার কৌশল আঁটছে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কাকে সমর্থন দিবে এবং ভোটারদেও কাছে কার বেশী গ্রহনযোিগ্যতা রয়েছে তার খোঁজ নিতে শুরু করেছে। এ জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উপর অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পরেছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা নারায়ণগঞ্জের ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে। তবে নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন খোদ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বিগত দিনেও তিনি নিজেই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছিলেন। এদিকে নারায়নগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভা থেকে নারায়নগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে আসন্ন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছে। এর পর থেকে নড়েচড়ে বসে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও নগরবাসী। তৎপর হয়ে ওঠে বর্তমান মেয়র আইভীও তার ঘনিষ্ঠজনেরা। তবে জামাত এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেনি। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে এবার বড় ধরনের চামক থাকতে পারে। এছাড়া এবারের নির্বাচনে নানা নাটকীয়তা অপেক্ষা করছে বলে মনে করছেন তারা। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে আলোচনামুখোর হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর। এবারের নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমান অংশ নিবেন না। কিন্তু, তিনি এবার নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করাবেন। ইতোমধ্যে শামীম ওসমানের পছন্দের প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন দিয়েছে। শামীম ওসমানের পাশাপাশি মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন দিয়েছে। এছাড়া আসন্ন নির্বাচনে আনোয়ার হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় মেয়র করারও একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন সাংসদ শামীম ওসমান। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে হৈচৈ পরে যায়। এদিকে, সাংসদ শামীম ওসমান ও কর্মীদের সমর্থন পেয়ে নারায়নগঞ্জ আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা আনোয়ার হোসেন মেয়র হওয়ার স্বপ্নে বিভোর রয়েছে। তার দাবি, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও নাসিকবাসী চাইলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়ে মেয়র হবে। বিএনপির একাধিক নেতা তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানান। তবে মেয়র আইভী এ নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করেনি। তবে তিনি কিছিদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে গিয়ে আসন্ন নাসিক নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে তারও নির্বাচনী তৎপরতা থেমে নেই। তার ঘনিষ্ঠজনদের সাথে নিয়েও তিনি নির্বাচনী মাঠে নেমে পরেছেন। তবে অনেকটা নিরবতা পালন করছেন মেয়র আইভী ঘোর সমর্থক হিসেবে পরিচিত বাম নেতারা। অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অনেকটা কাছিম গতিতে চলতে শুরু করেছে। বিত দিনের ন্যায় এখন আর বিএনপি নেতাদের সরব হতে দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচনী মাঠে নেই বিএনপি। তবে প্রকাশ্যে তাদেও তৎপরতা না থাকলেও নিরবে তৎপর রয়েছে বিএনপি। এছাড়া নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হতে বিএনপির একাধিক নেতা লবিং-গ্রæপিং চালিয়ে যাচ্ছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে। তবে বিএনপির হাই কমান্ডের দৃষ্টি সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালামের দিকে। এনিয়ে বিএনপিতে আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে, শেষ পর্যন্ত এড. কালামকেই বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হবে। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের চমক অপেক্ষা করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে।