সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাসা থেকে মুক্তা আক্তার (২৫) নামে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী কাউছার আহম্মেদ (৩০) পলাতক রয়েছে। পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্বামী তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
শুক্রবার বেলা ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ ধনকুন্ডা এলাকার বাসা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মুক্তা আক্তার কুমিল্লা জাহাপুর এলাকার জয়নাল আবেদীনের মেয়ে। সে প্রোগ্রেস অ্যাপারেলস নামে পোশাক কারখানার শ্রমিক।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন শাহ পারভেজ জানান, এক মাস আগে স্বামী স্ত্রী দুইজনে বাসা ভাড়া নিয়ে এখানে বসবাস শুরু করে। ধারণা করা যাচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বাী কাউছার আহম্মেদ তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সিদ্ধিরগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ ৫টি আসনে নৌকা-২, ধানের শীষ-২ ও লাঙ্গল-১
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। নারায়ণগঞ্জে ভোট হবে ৫টি আসনে। বর্তমান অবস্থায় ভোট হলে এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নৌকা মার্কার প্রার্থীদের ২টি আসন পাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। আর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের আগাম পূর্বাভাস ২টি আসন এবং জাতীয় পার্টির লাঙল ১টি আসন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের নিজস্ব এক জরিপে এ চিত্র উঠে আসে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে গত কয়েকদিনে মূলত তারা দৈবচয়ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মতামত নিয়ে এই জরিপ করেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা-উপজেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলের নারী-পুরুষ ভোটার,নতুন ভোটার এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত নেয়া হয়। এই জরিপে‘আন্তর্জাতিক মানদন্ড’ পুরোপুরি ফলো করা হয়নি;তবে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মতামত নেয়ার সময় তাদের রাজনৈতিক পরিচিতি-বিশ্বাস,ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আর্থিক মানদন্ডে বাছবিচার করা হয়নি। নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসনের ভোটারের মতামতেই এই চিত্র উঠে আসে।
নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে একেএম শামীম ওসমান এগিয়ে রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনটিতে এগিয়ে আছেন ধানের শীষের প্রার্থী মোঃ আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমান এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে কাজী মনিরুজ্জামান (ধানের শীষ) ও গোলাম দস্তগীর গাজী (নৌকা) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেলেও কাজী মনিরুজ্জামান (ধানের শীষ) এগিয়ে আছে জরিপে উঠে আসে।
এই মতামত জরিপ করা হয়েছে মূলত:আসনভিত্তিক।
নৌকা উন্নয়নের প্রতীক, শামীম ওসমান উন্নয়নের রূপকার-শওকত চেয়ারম্যান।
নিউজ প্রতিদিন ডটনেটঃ নৌকা হচ্ছে উন্নয়নের প্রতীক আর সাংসদ শামীম ওসমান হচ্ছেন উন্নয়নের রূপকার। নিউজ প্রতিদিন ডটনেটের সাথে একান্ত আলাপকালে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলী এসব কথা বলেন।
শওকত চেয়ারম্যানের মতে, সাংসদ শামীম ওসমান যেমন একজন দক্ষ সংগঠন তেমনি একজন উন্নয়নের অগ্রনায়ক। প্রবীন এই নেতার মতে, শামীম ওসমানকে আবারো নির্বাচিত করা হলে ফতুল্লা-সিদ্দিরগঞ্জ তথা নারায়ণগঞ্জের অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন হবে।
শওকত চেয়ারম্যান বলেন, সাংসদ শামীম ওসমান দলীয় কর্মীদের জন্য পাহাড় সমতুল্য। কর্মীরা যে কোন কাজ নিয়ে গেলেই তিনি তা অনায়াসে করে থাকেন। শামীম ওসমান এ জন্যই নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে একজন জননন্দিত নেতা হিসেবে পরিচিত।
প্রবীন এই নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে এখনো শামীম ওসমানের সমতুল্য কোন নেতার জন্ম হয়নি। যিনি দেশে এবং বিদেশে থেকে দল ও দলের নেতাকর্মীকে সংগঠিত করতে পারেন এবং সমান ভাবে জনপ্রিয়তার ধরে রাখতে পারেন। যার প্রমান বিগত দিনগুলোতে তিনি দিয়েছেন। বিশেষ করে ৪ দলীয় জোট সরকার ও পরবর্তী ১/১১ সরকারের সময়ে বিদেশে থেকেও তিনি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে সংগঠিত রেখেছিলেন। প্রবাসে মোবাইলে বক্তব্য দিয়ে নেতাকর্মীদের নেতাকর্মীদের সংগঠিক করার মতো একমাত্র সক্ষমতা সাংসদ শামীম ওসমানেরই রয়েছে বলে মনে করেন প্রবীন এই নেতা।
শওকতের দাবি,প্রবাসে ৫ বছর থেকে দেশে ফিরে নারায়ণগঞ্জের সর্বকালের সর্ববৃহত সমাবেশ করে শামীম ওসমান দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি দেশে না থাকলেও তার জনপ্রিয়তা একবিন্দুও কমেনি। প্রবাসে থাকালীন সময়ে তার মোবাইলের বক্তব্য শোনতে লাখো নেতাকর্মী ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেছে। তার বক্তব্য শুনে দলের অনেক নেতাকর্মী আবেগাপ্লুত হয়েছে।
শওকত চেয়ারম্যান মনে করেন, বিগত ৯৬-২০০১ সালের ন্যায় দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে এমপি হয়ে তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন,যা সারা বাংলাদেশের রেকর্ড সংখক উন্নয়ন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে সাংসদ শামীম ওসমানের হাত ধরেই নারায়ণগঞ্জ আধুনিক নারায়ণগঞ্জে রূপ নেওয়ার পাশাপাশি বক্তাবলী উপশহরে পরিনত হবে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আবারো শামীম ওসমানকে বিজয়ী করতে ৩০ ডিসেম্বর সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানান ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো.শওকত আলী।
নৌকা – ১২৬ ধানের শীষ – ১২৯
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। ভোট হবে ২৯৯ আসনে। বর্তমান অবস্থায় ভোট হলে এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নৌকা মার্কার প্রার্থীদের ১২৬ আসন পাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। আর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের আগাম পূর্বাভাস ১২৯ আসন। জাতীয় পার্টির লাঙল ৯টি এবং জেপি সাইকেল প্রতীক ১টি আসন পেতে পারে এমন পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। অন্য ৩৫টি আসনের কয়েকটিতে ত্রিমুখী এবং অধিকাংশ আসনে হবে নৌকা-ধানের শীষের দ্বিমুখী লড়াই। দৈনিক ইনকিলাবের ব্যুরো, আঞ্চলিক অফিস, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের নিজস্ব এক জরিপে এ চিত্র উঠে আসে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে গত কয়েকদিনে মূলত তারা দৈবচয়ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মতামত নিয়ে এই জরিপ করেন। রাজধানী ঢাকা, বিভাগীয় শহর, জেলা-উপজেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলের নারী-পুরুষ ভোটার, নতুন ভোটার এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত নেয়া হয়। এই জরিপে ‘আন্তর্জাতিক মানদন্ড’ পুরোপুরি ফলো করা হয়নি; তবে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মতামত নেয়ার সময় তাদের রাজনৈতিক পরিচিতি-বিশ্বাস, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আর্থিক মানদন্ডে বাছবিচার করা হয়নি। ৬৪ জেলার ভোটারের মতামতেই এই চিত্র উঠে আসে।
এই মতামত জরিপ করা হয়েছে মূলত: আসনভিত্তিক। রংপুর বিভাগের ৩৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ভোট হবে ৩২টিতে। এর মধ্যে ৭টি আসনে মহাজোটের নৌকা, ১০টিতে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ, ৪টিতে লাঙল প্রতীকের প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। ধানের শীষ প্রার্থী ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর মৃত্যুর কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনের নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। অন্য ১১টি আসনে কোথাও দ্বিমুখী, কোথাও ত্রিমুখী লড়াই হবে। রাজশাহী বিভাগের আসন সংখ্যা ৩৯টি। বর্তমান অবস্থায় ভোট হলে নির্বাচনে নৌকা ৮টি, ধানের শীষ ২৪টি, লাঙল ১টি আসনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অন্য ৪টি আসনে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। খুলনা বিভাগে আসন সংখ্যা ৩৬টি। এই বিভাগে নৌকা ১৭টি এবং ধানের শীষ ১৯টিতে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বরিশাল বিভাগে আসন সংখ্যা ২১। নৌকার প্রার্থী ৮টি, ধানের শীষ ১০টি ও জাপা (সাইকেল) ১টি আসনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকী ২ আসনে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ময়মনসিংহ বিভাগে সংসদীয় আসন সংখ্যা ২৪। নৌকার প্রার্থী ১৩টি, ধানের শীষ প্রার্থী ৮টি ও লাঙল প্রার্থী ১টিতে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মতামতে এমন চিত্রে উঠে এসেছে। ঢাকা বিভাগে আসন সংখ্যা ৭০। বর্তমান পরিস্থিতি ভোট হলে মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা ৪০ আসন ও ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের ২৪টি আসন পাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। এই বিভাগে মহাজোটের শরিক লাঙল প্রতীকের ৩ আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি আসনে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সিলেট বিভাগে আসন সংখ্যা ১৯। নৌকা প্রার্থী ৪টি, ধানের শীষ ১২টি বিজয়ী হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। বাকী ৩টি আসনে নৌকা আর ধানের শীষ প্রার্থীদের মধ্যে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। পার্বত্য তিন জেলাসহ চট্টগ্রাম বিভাগে আসন সংখ্যা ৫৮। এর মধ্যে নৌকা ২৯ এবং ধানের শীষ ২২ আসনে বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বাকী আসনগুলোয় হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
রংপুর বিভাগ; আসন ৩২:
পঞ্চগড়ের দুটি আসনের একটিতে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেন। অন্যটিতে হতে পারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। পঞ্চগড়-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার মোঃ নওশাদ জমির বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পঞ্চগড়-২ আসনে ফরহাদ হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও এড. নূরুল ইসলাম সুজন (নৌকা) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি আসনেই বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন। ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এগিয়ে রয়েছেন। তিনি বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে ৫০ ভাগ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আব্দুল হাকিম বিজয়ী হবেন। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে মহাজোটের একাধিক প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় ধানের শীষের প্রার্থী জাহিদুর রহমান জাহিদ বিজয়ী হবেন।
দিনাজপুরে ৬টি আসনের মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগ, দুটিতে বিএনপির প্রার্থী এগিয়ে আছেন। একটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।
দিনাজপুর-১ জামায়াতের মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ (ধানের শীষ) ও মনোরঞ্জনশীল গোপাল (নৌকা) এর জয়ের সম্ভাবনা সমান সমান রয়েছে। দিনাজপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌকা) বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, দিনাজপুর-৩ আসনেও নৌকার প্রার্থী ইকবালুর রহীম এগিয়ে আছেন। দিনাজপুর-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আখতারুজ্জামান মিয়া বিজয়ী হতে পারেন। দিনাজপুর-৫ আসনেও ধানের শীষের প্রার্থী এজেডএম রেজওয়ানুল হক চৌধুরী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দিনাজপুর-৬ আসনে বিজয়ী হতে পারেন নৌকার প্রার্থী শিবলী সাদিক।
নীলফামারীর ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে জাতীয় পার্টি, একটি করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দখলে আসতে পারে। নীলফামারী-১ আসনে এগিয়ে রয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম, নীলফামারী-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রানা মোঃ সোহেল লাঙল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নীলফামারী-৪ আসনে লাঙলের প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান বিজয়ী হতে পারেন।
লালমনিরহাটে তিনটি আসনের দুটিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে বিএনপি বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। লালমনিরহাট-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী মোতাহার হোসেন (নৌকা), লালমনিরহাট-২ আসনে মহাজোট প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদ (নৌকা) এবং লালমনিরহাট-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আসাদুল হাবিব দুলু বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
রংপুরের ৬টি আসনের ২টিতে জাতীয় পার্টি, ২টিতে বিএনপি, ১টিতে আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে। অন্যটিতে হতে পারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
রংপুর-১ আসনে মহাজোট ও লাঙলের প্রার্থী মশিউর রহমান রাঙা, রংপুর-২ আসনে বিএনপি ও ধানের শীষের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার, রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ লাঙল প্রতীকে, রংপুর-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক ভরসা বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে
রংপুর-৫ আসনে জামায়াতের গোলাম রব্বানী (ধানের শীষ), ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর (লাঙ্গল) ও এইচ এন আশিকুর রহমান (নৌকা) হাড্ডহাড্ডি লড়াই হবে। রংপুর-৬ আসনে শিরীন শারমিন চৌধুরী নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হতে পারেন।
কুড়িগ্রামের ৪টি আসনেই প্রধান দুই জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও মহাজোটের প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। কুড়িগ্রাম-১ আসনে সাইফুর রহমান রানা (ধানের শীষ) – আসলাম হোসেন সওদাগর (নৌকা), কুড়িগ্রাম-২ আসনে গণফোরামের আমসাআ আমিন (ধানের শীষ) – জাতীয় পার্টির পনির উদ্দিন আহমেদ (নৌকা), কুড়িগ্রাম-৩ আসনে তাসভীর উল ইসলাম (ধানের শীষ) – এম এ মতিন (নৌকা) এবং কুড়িগ্রাম-৪ মো. আজিজুর রহমান (ধানের শীষ) – জাকির হোসেন (নৌকা)। এদের যে কেউ বিজয়ী হতে পারেন।
গাইবান্ধার ৪টি আসনের ১টিতে বিএনপি এগিয়ে থাকলেও ৩টিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গাইবান্ধা-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াতের মাজেদুর রহমান সরকার বিজয়ী হতে পারেন। গাইবান্ধা-২ আসনে আব্দুর রশিদ সরকার (ধানের শীষ) – মাহবুব আরা গিনি (নৌকা), গাইবান্ধা-৪ আসনে ফারুক কবির আহমেদ (ধানের শীষ) – মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (নৌকা) এবং গাইবান্ধা-৫ আসনে ফারুক আলম সরকার (ধানের শীষ) – এড. ফজলে রাব্বী মিয়া (নৌকা) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া গাইবান্ধা-৩ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে প্রার্থী ড. টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী মৃত্যুবরণ করায় এই আসনের নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
রাজশাহী বিভাগ; আসন ৩৯:
জয়পুরহাটের ২টি আসনেই বিএনপি এগিয়ে আছে। জয়পুরহাট-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ফয়সাল আলীম ও জয়পুরহাট-২ আসনে আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বগুড়ার ৭টি আসনের মধ্যে ৬টিতেই ধানের শীষের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে বগুড়া-১ আসনে কাজী রফিকুল ইসলাম, বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বগুড়া-৩ আসনে মাছুদা মোমিন, বগুড়া-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৫ আসনে- জিএম সিরাজ এবং বগুড়া-৬ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিজয়ী হতে পারেন। বগুড়া-৭ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মোরশেদ মিল্টনের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় এই আসনে জাতীয় পার্টির এড. আলতাফ আলী বিজয়ী হতে পারেন।
চাপাইনবাবগঞ্জের ৩টি আসনের ২টিতে বিএনপি এগিয়ে আছে, অপরটিতে হতে পারে ত্রিমুখী লড়াই। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ধানের শীষের প্রার্থী শাহজাহান মিয়া, চাপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বিজয়ী হতে পারেন যদি জামায়াত সক্রিয় হয়। আর চাপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে মোঃ হারুনুর রশীদ (ধানের শীষ), আব্দুল ওদুদ (নৌকা) ও জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরুল ইসলাম বুলবুলের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে। যদিও এই আসনটিতে জামায়াতের প্রভাব বেশি রয়েছে।
নওগাঁয়ের ৬টি আসনের মধ্যে ১টি ছাড়া বাকি ৫টিতেই বিএনপি তথা ধানের শীষের প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর মধ্যে কেবল নওগাঁ-১ আসনটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত হওয়ায় নৌকার প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নওগাঁ-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মো. সামসুজ্জোহা খান, নওগাঁ-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনি, নওগাঁ-৪ আসনে ধানের শীষের আবু হায়াত মোহাম্মদ সামসুল আলম প্রামাণিক, নওগাঁ-৫ আসনেও ধানের শীষের প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম ধলু ও নওগাঁ-৬ আসনে আলমগীর কবির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
রাজশাহীর ৬টি আসনের ৩টিতে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ১টিতে বিজয়ী হতে পারেন। অপর দুটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। রাজশাহী-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-২ আসনে ধানের শীষের মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী-৩ আসনে জামায়াত সক্রিয় হলে ধানের শীষের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মিলন বিজয়ী হতে পারেন। রাজশাহী-৪ আসনে আবু হেনা (ধানের শীষ) ও এনামুল হক (নৌকা) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে।
রাজশাহী-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নাদিম মোস্তফার প্রার্থিতা আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে। নজরুল ইসলাম গত সোমবার প্রার্থিতা পেয়েছেন। আসনটি বিএনপির প্রভাব থাকলেও প্রার্থিতা নিয়ে এই নাটকিয়তার কারণে সংশয় রয়েছে। এখানে নৌকার প্রার্থী মনসুর রহমান। রাজশাহী-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী শাহরিয়ার আলম বিজয়ী হতে পারেন।
নাটোরের ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে বিএনপি এগিয়ে। একটিতে তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতা হতে পারে। নাটোর-১ আসনটি বিএনপির প্রভাবাধীন হলেও শেষ মূহুর্তে প্রার্থিতা পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের স্ত্রী কামরুন্নাহার শিরীন। তাই এই আসনটিতে ধানের শীষের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বেশ বেগ পেতে হবে। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল। নাটোর-২ আসনে বিজয়ী হতে পারেন নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী জুনাইদ আহমেদ পলক বিজয়ী হতে পারেন। অন্যদিকে নাটোর-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আবদুল আজিজ বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনের মধ্যে ৩টিতে বিএনপি, ২টিতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে পারে। ১টিতে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিজয়ী হতে পারেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও নৌকার প্রার্থী মোঃ নাসিম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী রুমানা মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ধানের শীষের আব্দুল মান্নান তালুকদার বিজয়ী হতে পারেন। তবে সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতের মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও আওয়ামী লীগের তানভীর ঈমামের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মোঃ আমিরুল ইসলাম খান ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী হাসিবুর রহমান স্বপন বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
পাবনার ৫টি আসনের মধ্যে ৩টিতে বিএনপি এবং ২টিতে আওয়ামী লীগ এগিয়ে আছে। পাবনা-১ আসনে জামায়াত সক্রিয় হলে ঐক্যফ্রন্ট ও ধানের শীষের প্রার্থী গণফোরামের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, পাবনা-২ আসনে বিএনপি ও ধানের শীষের প্রার্থী একেএম সেলিম রেজা হাবিব, পাবনা-৩ আসনে ধানের শীষের কেএম আনোয়ারুল ইসলাম বিজয়ী হতে পারেন। অন্যদিকে পাবনা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শামসুর রহমান শরিফ ডিলু ও পাবনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক প্রিন্স বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খুলনা বিভাগ; আসন : ৩৬
মেহেরপুরের দুটি আসনেই বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হতে পারেন। এর মধ্যে মেহেরপুর-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মাসুদ অরুণ ও মেহেরপুর-২ আসনে জাভেদ মাসুদ মিল্টন।
কুষ্টিয়ার ৪টি আসনের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগ ও দুটিতে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হতে পারেন। এর মধ্যে- কুষ্টিয়া-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সরওয়ার জাহান বাদশা ও কুষ্টিয়া-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মাহবুব উল আলম হানিফ বিজয়ী হতে পারেন। অন্য দুটি আসনের মধ্যে কুষ্টিয়া-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ধানের শীষের প্রার্থী মোহাম্মদ আহসান হাবিব লিঙ্কন এবং কুষ্টিয়া-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমি বিজয়ী হতে পারেন।
চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনের মধ্যে দুটিতেই বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী শরিফুজ্জামান শরিফ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ধানের শীষের মাহমুদ হাসান খান বাবু বিজয়ী হতে পারেন।
ঝিনাইদহের ৪টি আসনের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগের বিজয়ের সম্ভাবনা থাকলেও বাকি দুটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে- ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী বিজয়ী হতে পারেন। অন্য দুটি আসনের মধ্যে ঝিনাইদহ-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতের অধ্যাপক মতিয়ার রহমান খান-নৌকার প্রার্থী শফিকুল আজম খান এবং ঝিনাইদহ-৪ আসনে ধানের শীষের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ-নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুল আজিম আনারের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
যশোরের ৬টি আসনের মধ্যে ৪টিতে বিএনপি, ২টিতে আওয়ামী লীগ বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে যশোর-১ আসনে আওয়ামী লীগ ও নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন এগিয়ে আছেন এবং যশোর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন বিজয়ী হতে পারেন। এছাড়া যশোর-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর-৪ আসনে ধানের শীষের ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, যশোর-৫ আসনে ধানের শীষের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস এবং যশোর-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী আবুল হাসান আজাদ বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মাগুরার দুটি আসনের মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে মাগুরা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সাইফুজ্জামান শেখর এবং মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নিতাই রায় চৌধুরী বিজয়ী হতে পারেন।
নড়াইলের দুটি আসনের দুটিতেই আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে পারেন। এর মধ্যে নড়াইল-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বিএম কবিরুল হক মুক্তি ও নড়াইল-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজা বিজয়ী হতে পারেন।
বাগেরহাটের ৪টি আসনের সবকটিতেই আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে- বাগেরহাট-১ আসনে নৌকার প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনে শেখ তন্ময়, বাগেরহাট-৩ আসনে হাবিবুন নাহার ও বাগেরহাট-৪ আসনে ডা. মোজাম্মেল হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হতে পারেন।
খুলনার ৬টি আসনের মধ্যে ৪টিতে আওয়ামী লীগ ও ২টিতে বিএনপি বিজয়ী হতে পারে। এর মধ্যে- খুলনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-৩ আসনে মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও খুলনা-৬ আসনে আক্তারুজ্জামান বাবু নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হতে পারেন। অন্যদিকে খুলনা-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও খুলনা-৪ আসনে ধানের শীষের আজিজুল বারী হেলাল বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাতক্ষীরার ৪টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই ধানের শীষের প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা-১ আসনে হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাতক্ষীরা-২ আসনে জামায়াতের মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ আসনে ডা. শহিদুল ইসলাম এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বরিশাল বিভাগ; আসন: ২১
বরগুনার দুটি আসনেই মহাজোটের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে বরগুনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেব নাথ শম্ভু ও বরগুনা-২ আসনে শওকত হাচানুর রহমান রিমন নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হতে পারেন।
পটুয়াখালীর ৪টি আসনের মধ্যে ৩টিতে মহাজোট প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। একটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী-১ নৌকার প্রার্থী শাহজাহান মিয়া, পটুয়াখালী-৩ আসনে এস এম শাহজাদা (নৌকা) ও পটুয়াখালী-৪ আসনে মহিব্বুর রহমান মহিব নৌকা প্রতীক নিয়ে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে পটুয়াখালী-২ আসনে সালমা আলম (ধানের শীষ) ও আ স ম ফিরোজ (নৌকা) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।
ভোলার ৪টি আসনের সবকটিতেই বিএনপির প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। এর মধ্যে ভোলা-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর, ভোলা-২ আসনে হাফিজ ইব্রাহিম, ভোলা-৩ আসনে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং ভোলা-৪ আসনে নাজিম উদ্দিন আলম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হতে পারেন।
বরিশালের ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে এগিয়ে আছে ধানের শীষের প্রার্থীরা। আর অন্য একটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর মধ্যে বরিশাল-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ আসনে সরদার সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু, বরিশাল-৩ আসনে অ্যাড. জয়নুল আবেদীন, বরিশাল-৫ আসনে মজিবর রহমান সরওয়ার, বরিশাল-৬ আসনে আবুল হোসেন খান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে বরিশাল-৪ আসনে নাগরিক ঐক্যের জেএম নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর (ধানের শীষ) ও পঙ্গজ দেব নাথ (নৌকা) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।
ঝালকাঠির দুটি আসনের মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগ ও অন্যটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। এর মধ্যে ঝালকাঠি-১ আসনে মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর (ধানের শীষ) ও বজলুল হক হারুন (নৌকা) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আর ঝালকাঠি-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আমির হোসেন আমু বিজয়ী হতে পারেন।
পিরোজপুরের তিনটি আসনেই মহাজোট তথা নৌকার প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে- পিরোজপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টি- জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (বাইসাইকেল) এবং পিরোজপুর-৩ আসনে মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজির বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগ; আসন: ২৪
জামালপুরের ৫টি আসনের মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেন। অন্য একটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
এর মধ্যে- জামালপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, জামালপুর-৩ আসনে মির্জা আজম, জামালপুর-৪ আসনে ডা. মুরাদ উজ জামান নৌকা প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। জামালপুর-২ আসনটিতে এগিয়ে আছেন ধানের শীষের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবু। আর জামালপুর-৫ আসনে অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন (ধানের শীষ) ও ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন (নৌকা) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
শেরপুরের ৩টি আসনের মধ্যে ২টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে বিএনপি বিজয়ী হতে পারে। এর মধ্যে শেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক, শেরপুর-২ আসনে মতিয়া চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হতে পারেন। শেরপুর-৩ আসনটিতে বিজয়ী হতে পারেন ধানের শীষের প্রার্থী মাহমুদুল হক রুবেল।
ময়মনসিংহের ১১টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট ৬টিতে, বিএনপি ৪টি এবং একটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। এর মধ্যে- ময়মনসিংহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী জুয়েল আরেং, ময়মনসিংহ-৩ আসনে নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৫ আসনে কেএম খালিদ, ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফকরুল ইমাম, ময়মনসিংহ-১০ আসনে ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল, ময়মনসিংহ-১১ আসনে কাজিমউদ্দিন আহমেদ নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হতে পারেন। অন্যদিকে ময়মনসিংহ-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী শাহ শহীদ সারোয়ার, ময়মনসিংহ-৬ আসনে শামসুদ্দিন আহমদ, ময়মনসিংহ-৭ আসনে মাহাবুবুর রহমান লিটন, ময়মনসিংহ-৯ আসনে খুররম খান চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে এগিয়ে রয়েছেন। আর ময়মনসিংহ-৪ আসনে আবু ওয়াহাব আকন্দ (ধানের শীষ) ও রওশন এরশাদ (নৌকা) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
নেত্রকোণার ৫টি আসনের মধ্যে ২টিতে আওয়ামী লীগ-২টিতে বিএনপি বিজয়ী হতে পারে। আর একটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
নেত্রকোণা-১ আসনে কোন্দল মেটাতে পারলে ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিজয়ী হতে পারেন। এছাড়া নেত্রকোণা-৪ আসনে তাহমিনা জামান ধানের শীষ প্রতীকে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে নেত্রকোণা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আশরাফ আলী খান খসরু এবং নেত্রকোণা-৫ আসনে ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর নেত্রকোণা-৩ আসনে রফিকুল ইসলাম হেলালী (ধানের শীষ) ও অসিম কুমার উকিল (নৌকা) এর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতা হতে পারে।
ঢাকা বিভাগ: ৭০
কিশোরগঞ্জের ৬টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪টি, বিএনপি ১টি এবং জাতীয় পার্টি ১টিতে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নূর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে রেজওয়ান আহম্মাদ তৌফিক), কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে আফজাল হোসেন বিজয়ী হতে পারেন। অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মো. শরীফুল আলম এগিয়ে রয়েছেন।
টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের মধ্যে বিএনপি ৫টিতে এবং আওয়ামী লীগ ৩টি আসনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। টাঙ্গাইল-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-৪ আসনে হাসান ইমাম খান, টাঙ্গাইল-৭ আসনে একাব্বর হোসেন বিজয়ী হতে পারেন। অন্যদিকে টাঙ্গাইল-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল-৩ আসনে মোঃ লুৎফুর রহমান খান আজাদ, টাঙ্গাইল-৫ আসনে মাহমুদুল হাসান, টাঙ্গাইল-৬ আসনে গৌতম চক্রবর্তী, ও টাঙ্গাইল-৮ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কুড়ি সিদ্দিকী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ৯টিতে আওয়ামী লীগ, ৯টিতে বিএনপি বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকী ২টিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
ঢাকা-৬ আসনে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-৭ আসনে নৌকার প্রার্থী হাজী সেলিম, ঢাকা-১০ আসনে শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১১ আসনে একেএম রহমতউল্লাহ, ঢাকা-১২ আসনে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ঢাকা-১৫ আসনে কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ আসনে ইলিয়াছ উদ্দিন মোল্লাহ, ঢাকা-১৮ আসনে সাহারা খাতুন, ঢাকা-২০ আসনে বেনজির আহমদ নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিনে ঢাকা-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইরফান ইবনে আমান, ঢাকা-৩ আসনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ আসনে সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-৫ আসনে নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৯ আসনে আফরোজা আব্বাস, ঢাকা-১৩ আসনে আব্দুস সালাম, ঢাকা-১৭ আসনে বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ ও ঢাকা-১৯ আসনে ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বিজয়ী হতে পারেন।
ঢাকা-১ আসনে সালমান এফ রহমান (নৌকা), জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম (স্বতন্ত্র) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। একই রকম সম্ভাবনা রয়েছে ঢাকা-১৪ আসনে সৈয়দ আবু বক্কর সিদ্দিক সাজু (ধানের শীষ) ও আসলামুল হক (নৌকা) এর মধ্যে।
মানিকগঞ্জের ৩টি আসনের মধ্যে ২টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানিকগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জাহিদ মালেক এগিয়ে আছেন। মানিকগঞ্জ-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মাইনুল ইসলাম খান এগিয়ে আছেন।
মুন্সিগঞ্জের ৩টি আসনের মধ্যে বিএনপি ২টিতে এবং ১টিতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে পারে। এর মধ্যে- মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ও মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল হাই এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বিজয়ী হতে পারেন। গাজীপুরের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে বিএনপি এগিয়ে রয়েছে। এর মধ্যে- গাজীপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনে জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ আসনে ইকবাল হোসেন সবুজ ও গাজীপুর-৫ আসনে মেহের আফরোজ চুমকি এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে গাজীপুর-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী শাহ রিয়াজুল হান্নান এগিয়ে রয়েছেন।
নরসিংদীর ৫টি আসনের মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগ এবং ২টিতে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নরসিংদী-১ আসনে নৌকার প্রার্থী মোঃ নজরুল ইসলাম হিরু, নরসিংদী-২ আসনে আনোয়ারুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৫ আসনে রাজিউদ্দিন রাজু এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে নরসিংদী-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মঞ্জুর-ই-ইলাহী ও নরসিংদী-৪ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল এগিয়ে রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ২টিতে নৌকা, ১টি করে ধানের শীষ ও লাঙল বিজয়ী হতে পারে। আর অন্যটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে একেএম শামীম ওসমান এগিয়ে রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনটিতে এগিয়ে আছেন ধানের শীষের প্রার্তী মোঃ আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমান এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে কাজী মনিরুজ্জামান (ধানের শীষ) ও গোলাম দস্তগীর গাজী (নৌকা) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
রাজবাড়ীর ২টি আসনের দুটিতেই আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে- রাজবাড়ী-১ আসনে নৌকার প্রার্থী কাজী কেরামত আলী ও রাজবাড়ী-২ আসনে জিল্লুল হাকিম এগিয়ে রয়েছেন।
ফরিদপুরের ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে আওয়ামী লীগ ও ২টিতে বিএনপি এগিয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে- ফরিদপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী মঞ্জুর হোসেন ও ফরিদপুর-৪ আসনে কাজী জাফর উল্যাহ এগিয়ে রয়েছেন। অন্য আসনগুলোর মধ্যে ফরিদপুর-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী শামা ওবায়েদ রিংকু ও ফরিদপুর-৩ আসনে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এগিয়ে রয়েছেন।
গোপালগঞ্জের ৩টি আসনের সবকটিতেই আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে পারেন। এর মধ্যে- গোপালগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-২ আসনে শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনা বিজয়ী হতে পারেন।
মাদারীপুরের ৩টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। এর মধ্যে- মাদারীপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী নূর ই আলম চৌধুরী, মাদারিপুর-২ আসনে শাজাহান খান ও মাদারিপুর-৩ আসনে আবদুস সোবহান গোলাপ বিজয়ী হতে পারেন।
শরিয়তপুরের ৩টি আসনের সবকটিতেই আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে- শরিয়তপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ইকবাল হোসেন অপু, শরিয়তপুর-২ আসনে এনামুল হক শামীম ও শরিয়তপুর-৩ আসনে নাহিম রাজ্জাক এগিয়ে রয়েছেন।
সিলেট বিভাগ: ১৯
সুনামগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৩টিতে বিএনপি এবং ২টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। এর মধ্যে- সুনামগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নজির হোসেন, সুনামগঞ্জ-২ আসনে নাছির উদ্দিন চৌধুরী এবং সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ফজলুল হক আসপিয়া ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন। আর অন্য দুই আসনের মধ্যে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী এম এ মান্নান এবং সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মুহিবুর রহমান মানিক নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ের সম্ভবনা রয়েছেন।
সিলেটে ৬টি আসনের সবকটিতেই বিএনপি প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। তাদের বিজয়ের সম্ভাবনা থাকলেও নৌকার প্রার্থীরা ৩টি আসনে বিজয় ছিনিয়ে আনতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। এর মধ্যে সিলেট-১, ৪ ও ৬ এই তিনটিতে যেকোন মূল্যে বিজয়ী হতে চায় আওয়ামী লীগ। তবে মর্যাদার্পূণ সিলেট-১ আসনে এখন পর্যন্ত ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার আবদুল মোক্তাদির চৌধুরী এগিয়ে আছেন। সিলেট-২ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মোকাব্বির খান বিজয়ী হতে পারেন। তিনি এই আসনে উদীয়মান সূর্য নিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। বিএনপির প্রার্থী তাহসিনা রুশদী লুনার মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাকেই সমর্থন দিয়েছে।
সিলেট-৩ আসনে ৫০ ভাগ স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলে ধানের শীষের প্রার্থী শফিউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর নিরঙ্কুশ বিজয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সিলেট-৪ আসনে ৫০ ভাগ স্বাভাবিক ভোট হলেও ধানের শীষের প্রার্থী দিলদার হোসেন সেলিমের বিজয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। সিলেট-৫ আসনে জামায়াত আন্তরিক হলে ধানের শীষের প্রার্থী মাওলানা উবাইদুল্লাহ ফারুক বিজয়ী হতে পারেন। সিলেট-৬ আসনে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে ধানের শীষের প্রার্থী ফয়সাল আহমদ চৌধুরীর বিজয় অসম্ভব নয়।
মৌলভীবাজারের ৪টি আসনের ২টিতে বিএনপি এগিয়ে থাকলেও বাকী ২টিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। মৌলভীবাজার-১ আসনে নাসিরউদ্দিন মিঠু (ধানের শীষ) ও শাহাবুদ্দিন আহমেদ (নৌকা) এবং মৌলভীবাজার- ৪ আসনে মুজিবুর রহমান চৌধুরী (ধানের শীষ) ও আব্দুস শহীদ (নৌকা) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। অন্যদিকে মৌলভীবাজার-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও মৌলভীবাজার-৩ আসনে ধানের শীষের নাসের রহমান বিজয়ী হতে পারেন।
হবিগঞ্জের ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপর ১টিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। হবিগঞ্জ-১ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রেজা কিবরিয়া (ধানের শীষ) ও শাহ নেওয়াজ মিল্লাত গাজী (নৌকা) এর মধ্যে সমানে সমানে লড়াই হবে। হবিগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মজিদ খান এবং হবিগঞ্জ-৪ আসনে মাহাবুব আলী নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হতে পারেন। অন্যদিকে হবিগঞ্জ-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জি কে গউছ বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
চট্টগ্রাম বিভাগ: ৫৮
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩টিতে, বিএনপি ১টিতে এগিয়ে রয়েছে। অন্য দুইটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আনিসুল হক ও ব্রাহ্মণ। (সূত্র:ইনকিলাব)
সিদ্দিরগঞ্জে শামীম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ করে না:গঞ্জ জেলা(বোট)এর নেতৃবৃন্দ
নারায়ণগঞ্জ-৪আসনের সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানের পক্ষে নৌকা মার্কার নির্বাচনী গণসংযোগ করে নারায়ণগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ অনলাইন আওয়ামীলীগ টীম(BOAT)।
২৬ ডিসেম্বর(বুধবার)দুপুর ১২টায় গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ অনলাইন আওয়ামী টীম(BOAT) নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল,সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান,যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সুমন,রোমান্স ইমন,সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববি,শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ইমরান,দফতর সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান টিটু,সদস্য আক্তার হোসেন ও নোমান আহম্মেদ প্রমূখ।গণসংযোগ শেষে জননেতা এ কে এম শামীম ওসমানের সাথে দুপুর দেড়টায় তার জামতলা বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করে বাংলাদেশ অনলাইন আওয়ামী টীম(BOAT) নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দ।
বক্তাবলীতে শওকত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নৌকার বিশাল শোডাউন
বক্তাবলীতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলী।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বক্তাবলীতে শামীম ওসমানের নৌকার পক্ষে প্রায় ২০ হাজার লোকের উপস্থিতিতে বিশাল মিছিল বের করে রেকর্ড করেন।এত লোকের মিছিল বক্তাবলীবাসী আগে কখনো দেখেনি বলে মনে করেন অনেকে।
বুধবার(২৬ ডিসেম্বর)বিকাল সাড়ে ৩ টায় কানাইনগর স্কুল মাঠ থেকে মিছিল বের হয়ে রাধানগর,প্রসন্ননগর,বিসমিল্লাহ মার্কেট,রামনগর,লক্ষীনগর,রাজাপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বক্তাবলী বাজারে এসে শেষ হয়।
নৌকার পক্ষে মিছিল শুরুর পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন,আজ আপনাদের বিশাল উপস্থিতি দেখে আমি আপ্লুত। এতে প্রমান হয় আপনারা শামীম ওসমানকে ভীষন ভালো বাসেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে শামীম ওসমান কে আপনাদের ভালবাসার উপহার হিসেবে এমপি নির্বাচিত করবেন।
বিশাল নৌকা মিছিল বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর নেতৃত্বে কানাইনগর স্কুল মাঠ থেকে বের হয়।এর আগে বক্তাবলী ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ড হতে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষ কানাইনগর স্কুল মাঠে এসে উপস্থিত হয়।
বিশাল নৌকার পক্ষে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল হোসেন প্রধান,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজউদ্দিন ভূইয়া কন্ট্রাক্টর,সাধারন সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া,জেলা তাতী লীগের সাধারন সম্পাদক ভিপি আলমগীর হোসেন,শফিক মাহমুদ পিন্টু,প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মাষ্টার,আতাউর রহমান প্রধান।
বক্তাবলী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি শাহজালাল কয়েল,ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো.নাজির হোসেন,আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব আবুল হোসেন, নাসিরউদ্দিন মাদবর,খোরশেদ মাস্টার, হাজ্বী আব্দুর রহিম,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মনির হোসেন,আকিলউদ্দিন,আমজাদ হোসেন বাধঁন,জলিল গাজী,আব্দুল মতিন,রাসেল চৌধুরী,ওমর ফারুক,মহিলা মেম্বার হাজেরা বেগম,মরিয়ম বেগম,কুলসুম বেগম,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সদরউদ্দিন সদু,সাধারন সম্পাদক আব্দুল আলিমসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তাবলী ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার, ভোটার রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার।
নারায়ণগঞ্জে যুবলীগের কার্যালয়ে গুলি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সোনারগাঁ উপজেলায় যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় যুবলীগ কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের মহাজোট প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থকরা একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থকদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থক কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমরের ভাই বাবু ওমরের নেতৃত্বে রাশেদ, শহীদ, শাহ আলম মেম্বার, মাহবুব, আমজাদ, কালাম, নুরে আলম ভূঁইয়াসহ ৫০-৬০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা ও হকস্টিক নিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থক কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের কার্যালয়ে হামলা চালায়।
এ সয়ম বাবু ওমর পাঁচটি গুলি ছোড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে যুবলীগের কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল ও গ্লাস ভাঙচুর করে। হামলায় যুবলীগ নেতা এনামুল, আশরাফুল, রবি, জনি, মাহবুব, আরিফুল, খোকন ও মাসুমসহ ১৪ জন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হামলার খবর সংগ্রহ করতে প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আব্দুল আলীম ঘটনাস্থলে গেলে যুবলীগ কার্যালয়ে হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে আহত করে। আহত সাংবাদিক স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, আমার জনপ্রিয়তা সোনারগাঁয়ে সকল প্রার্থী থেকে এগিয়ে। আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই মানুষের ঢল নামে। এ জন্য মহাজোটের প্রার্থীর লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে এবং যুবলীগের অফিস ভাঙচুর করে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর সেলিম মিয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
‘আইএসআই’ আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কিছু একটা ঘটানোর চেষ্টা করবে–শামীম ওসমান
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই গোপন বৈঠক করছে দাবি করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কিছু একটা ঘটানোর চেষ্টা করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত রাজনীতিবিদ শামীম ওসমান এ দাবি করেন।
শামীম ওসমান বলেন,তারেক জিয়ার পরিকল্পনা ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর মাধ্যমে নির্বাচনে ভয়ংকর নাশকাতা ঘটাতে নারায়ণগঞ্জকে টার্গেট করা হয়েছে।
নাশকতার এসব ঘটনা ঘটাতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ধানের শীষে প্রতীক তুলে দেওয়া হয়েছে জমিয়েত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মনির হোসেন কাসেমীর হাতে। তাই তার ওপর কোন ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচন বানচালের কোন ষড়যন্ত্র যাতে না হয় এবং সে লক্ষ্যে কাসেমীকে নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে লিখিত ভাবে আহবান জানিয়েছেন শামীম ওসমান।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে কারা প্রবেশ করছে সে বিষয়ে নজর রাখার আহবান জানান।
শামীম ওসমান বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য তারেক জিয়া পাকিস্তানের আইএসআই এর সহায়তায় নিয়ে দেশে ভয়ংকর কিছু ঘটাতে চাইছে। এজন দেশের বিভিন্ন জেলার মত নারায়ণগঞ্জকেও টার্গেট করা হয়েছে। আর টার্গেট পরিপূর্ণ করতে বেছে নেয়া হয়েছে ধানের শীষের প্রার্থী মনির হোসাইন কাসেমীকে।
তিনি এসব তথ্য দিয়ে বলেন, “আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকটি স্থানে ও বাসায় পাকিস্তানি নাগরিক নিয়ে গোপন বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে নির্বাচনে বড় ধরণের নাশকতা ঘটানো হবে। এ জন্য দেশী বিদেশী কিছু অপশক্তি জেলায় ইতিমধ্যে প্রবেশ করেছে। আর এজন্য ধানের শীষের প্রার্থী কাসেমী বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ কম করছেন। কিন্তু কাসেমী বিভিন্ন স্থানে রাস্তার মধ্যে দামী দামী গাড়ীর মধ্যে অচেনা অজানা লোকদের সঙ্গে মিটিং করছে। ওই সব গাড়ীর নেম প্লেট পর্যন্ত নেই।
শামীম ওসমান বলেন, আরো অবাক হচ্ছি। নারায়ণগঞ্জে কারো ওপর আমাদের পক্ষ থেকে কোন ধরণের বাধা দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু কাসেমী নাটক সাজিয়ে অভিযোগ করছে তার ওপর হামলা হচ্ছে। তাকে বাধা দেয়া হচ্ছে। তার এসব কর্মকা-ে প্রতীয়মান হচ্ছে ও আমার কাছে প্রাপ্ত তথ্যে মিল পাচ্ছি যে তারা একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। এসব মিথ্যা অভিযোগ ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রাথমিক কর্মকা-মাত্র।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে ১৬ জুন বোমা হামলাটি আমার ওপরই হয়েছিল। তাই কোন ঘটনার আশংকটা আমি আগে টের পাই। তারা যে কোন মানুষের ওপর হামলা করতে পারে। হতে পারে তারা সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ বা সাধারণ মানুষ। লক্ষ্য একটাই জেলাকে টার্গেট করে কোন নাশকতা ঘটিয়ে সারাদেশকে অস্থিতিশীল করা। আর এটা তারেক জিয়াকে দিয়েই সম্ভব। কেননা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পুরো পরিকল্পনা ছিল এই নরঘাতকের। ইতমধ্যে বিচার কার্যক্রমে দন্ডিত হয়ে নাটের গুরু হিসাবে সে চিহ্নিত হয়েছে।
শেষতক তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, যেহেতু প্রার্থী কাসেমীকে নির্ভর করে ভয়াবহ হামলার আশংকা করছি সেহেতু কাশেমীকে নির্বাচনী সব কর্মকা-ে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়াসহ জেলায় দেশী ও বিদেশী অপশক্তির প্রতি প্রশাসনের কড়া নজরদারির দৃষ্টি আকর্ষন করছি। যাতে কাসেমীর মাধ্যমে কোন নাটক রচিত হতে না পারে।
তিনি সাংবাদিকদের অবগত করে জানান, এ তথ্য ও অভিযোগুলোর লিখিত একটি চিঠি জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে শামীম ওসমানের ক্যাম্পে আগুন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ক্যাম্পের চেয়ার টেবিল ও পোস্টার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ফতুল্লার পাগলার পূর্ব রসুলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতরাত ২টার দিকে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের পূর্ব রসুলপুরে ১৫/২০ জনের একটি দল ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে করতে সামনের দিকে যায়। এর কিছুক্ষণ পর শামীম ওসমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেখা যায়। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো ক্যাম্প পুড়ে যায়। এছাড়া আগুনের লেলিহান শিখায় রাস্তায় সাঁটানো নৌকার পোস্টারও পুড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ক্যাম্প পুড়ে ছাই হয়ে যায় যায়।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, গভীর রাতে ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে শামীম ওসমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়ে পুরো ক্যাম্প জ্বালিয়ে দেয়। স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতসহ বহিরাগত লোকজন পরিকল্পিতভাবে সেখানে আগুন দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুতুবপুরে বিএনপির অর্ধশত নেতা আওয়ামী লীগে যোগদান
শেখ মোঃ সেলিমঃ কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলতাফ মাহমুদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। মঙ্গলবার বিকেলে ফতুল্লা শাহজাহান রোলিং মিল এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেলের হাতে ফুলের নৌকা উপহার দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।