৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 231

পরিবারতন্ত্রে ভরসা রেখেই উত্তরাধিকার খুঁজবেন শেখ হাসিনা ?

পরিবারতন্ত্রে ভরসা রাখবেন কি শেখ হাসিনা ? সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তাঁর অবস্থান পাকা। তবে আওয়ামি লিগের ভবিষ্যৎ মুখ কে ? এই প্রশ্ন নিয়েই শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের ২০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন।

শনিবার রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়াত মুজিবুর রহমানের কন্যা হিসেবে তাঁর নামটি আন্তর্জাতিক মহলে আলোচিত। বিশেষ করে ইসলামিক দুনিয়ার ক্ষমতাবান নেত্রী হিসেবেও তিনি পরিচিত।

দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করে, এই মুহূর্তে হাসিনার বিকল্প বাংলাদেশে নেই। তাই তাকেই হাল ধরে রাখতে হবে। দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। সেই নৌকার হাল ধরতে হাসিনার উপরেই আস্থা রেখেছে দল। এরই মাঝে প্রশ্ন দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদে তিনি পরিবারের কোনো সদস্যের নাম মঞ্জুর করবেন কিনা।

এই পদের দাবিদার মুজিব পরিবারের সদস্যরাই। এমনই মনে করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব। বিশেষ আলোচ্য হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথা। উঠছে হাসিনা কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নাম। জয় সরাসরি রাজনীতিতে জড়ালেও পুতুল কতটা যোগ্য তা নিয়েও চলছে আলোচনা। কলকাতা টুয়েন্টিফোর থেকে নেয়া।

তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ- শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আত্মত্যাগই আওয়ামী লীগকে ধরে রেখেছে। তারাই দলের প্রাণ। ‘ আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত কাউন্সিলর, ডেলিগেট, দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত অতিথিদের অভিবাদন জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহতদের স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ যখন স্বনির্ভরতা অর্জনের দিকে যাচ্ছিল তখনই সেই ভয়াবহ হামলা হয়। ওই দিন আমার পরিবারের ১৮ সদস্য নিহত হয়েছে। এভাবে বেঁচে থাকা যে কী কষ্টের তা যাদের স্বজন হারিয়েছে শুধু তারাই বুঝতে পারে।

মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদ ও জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করেন তিনি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠানকালীন সময় তৃণমূলের সকল নেতার অবদানকে স্মরণ করেন তিনি।

আ.লীগের সম্মেলনে মোস্তাফিজ-তাসকিন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।

শনিবার সকাল ১০টার একটু পরেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

সম্মেলন উপলক্ষে কানায় কানায় পরিপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণে মুখরিত।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন নেতা-কর্মীরা। দলের নেতা-কর্মীরা দেশের বাইরে থেকেও সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন। এসেছেন বিদেশি অতিথিরাও।

সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের সব রাস্তায় সকাল আটটা থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে ছয় হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন হবে দ্বিতীয় দিন রবিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। ওই অধিবেশনে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচন করা হবে। এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’।

উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশের সাবেক কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিকেরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

কূটকৌশলী গিয়াসের প্রতি ফুঁসে উঠেছে নেতাকর্মীরা

আসনের সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের প্রতি ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি নেতাকর্মীরা। পল্টিবাজ খ্যাত গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার আশায় ত্যাগী ও যোগ্যতা সম্পন্ন লোক থাকা সত্তেও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আন্দোলন সংগ্রাম, দলীয় কাজ করতে গিয়ে মামলা হামলার শিকার,পরিক্ষিত ত্যাগী নেতা সিদ্ধিরগঞ্জের আবদুল হাই রাজু ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সমর্থন না জানিয়ে পল্টি গিয়াস উদ্দিন এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে সমর্থন দেওয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীদের ইচ্ছা আকাঙ্খাকে কবর দিয়ে কূটকৌশল করে গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হলেও সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীরা তাকে মেনে নিবেনা বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। কারণ,সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা হয়েও যে গিয়াস উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতি অবিচার করতে পারে সেই সিদ্ধিরগঞ্জের নেতাকর্মীরা তার হুকুম মেনে বিএনপির রাজনীতি করবে না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানায়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হওয়ার পর সাবেক এমপি এডভোকেট আবুল কালাম ও গিয়াস উদ্দিন দলীয় কোন্দলের অবসান ঘটিয়ে দলকে পূর্ণগঠন করতে মাঠে নামে। তারা উল্লেখযোগ্য সারা না পেয়েই জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নেয়। দলকে লেজে গোবরে অবস্থা করলেও মাঠে সক্রিয় থেকে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচী পালন করে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অস্থিত ঠিকিয়ে রেখেছে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। সেই তৈমুর আলমের রাজপথের সহকর্মীদের বাদ দিয়ে কালাম ও গিয়াস গোপনে গোপনে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার ফন্দি শুরু করে। আবুল কালাম মহানগর ও গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার নীল নকশা তৈরি করে। তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য গ্রহন করে ঐক্যের নাটক। তাদের নাটকে নেতাকর্মীরা মুগ্ধ না হওয়ায় ভিন্ন পন্থা বেচে নেয়। আগে তারা মহানগর কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়। এডভোকেট আবুল কালাম সভাপতি ও সাখাওয়াত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি জমা দেয় কেন্দ্রে। এ বিষয়টি প্রকাশ পেলে প্রতিবাদী হয়ে উঠে ত্যাগী ও সক্রিয় নেতারা। তাদের অপত্তির কারণে ঝুলে পড়ে মহানগর কমিটর অনুমোদন। মহানগরের প্রাণ কেন্দ্র সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদ রাখার দাবি উঠে। সে লক্ষেই সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আবদুল হাই রাজু ও থানা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হতে লবিং শুরু করে। রাজু ও মামুনের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় সিদ্ধিরগঞ্জেরই বাসিন্দা সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন। তিনি রাজু ও মামুনকে সমর্থন না দিয়ে এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে সমর্থন দেন। এর কারণ হিসেবে দলীয় সূত্রটি জানায়, গিয়াস উদ্দিন জেলা বিএনপির সভাপতি হতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হলে আঞ্চলিক বিবেচনায় তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি নাও পেতে পারেন। এ ধারনাতেই গিয়াস উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জের কাউকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সমর্থন করেননি। তার এই কূটকৌশল বুঝতে পেরে নেতাকর্মীরা তার প্রতি ফুঁসে উঠেছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগরের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। আন্দোলন সংগ্রামের ক্ষেত্রেও সিদ্ধিরগঞ্জ উল্লেখযোগ্য। অথচ ওই সিদ্ধিরগঞ্জে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ দিতে জেলার কয়েকজন সুবিধাবাদী নেতা বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের সাথে সুর মিলিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা পল্টি গিয়াস উদ্দিন।

একুল-ওকুল দু’কুলই হারাতে পারে তৈমূর

মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের বিষয়টি সম্ভবত আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকার। যেই কারনে ‘এক নেতার এক পদ’ হিসেবে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হয়েও সম্প্রতি পদত্যাগ করেন। তবে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা বলছেন, বড় পদ পেলেও তৈমূর নিজের প্রভাব বিস্তার টিকিয়ে রাখতে নারায়ণগঞ্জ ছাড়বেন না। সেই কারণে সম্মেলন ছাড়া কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেয়া কমিটি মেনে না নেয়ার হুঁশিয়ারীও দেন। ইতিমধ্যেই নিজেকে সভাপতি হিসেবে রেখে মহানগর বিএনপির ১৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তালিকা করে দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতে সরাসরি পৌঁছে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম। যা এখন শুধুমাত্র আছে অনুমোদনের অপেক্ষায়। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি খালেদা জিয়া এড. আবুল কালামকে সভাপতি করে মহানগর বিএনপির কমিটি অনুমোদন দিয়ে দেন তাহলে এড. তৈমূর আলম খন্দকারের গলায় দঁড়ি দেয়ার মতই হবে। কেননা, দলীয় চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার মত পদ পেয়েও যিনি জেলার মায়া ভুলতে পারেননি, তিনি যদি এখন মহানগর বিএনপির সভাপতি হতে না পারেন তাহলে জেলার নতুন কমিটির সভাপতির পদ থেকেও ছিটকে পড়তে পারেন। যেমনটাই এখন বেশ জোরেসোরে শোনা যাচ্ছে বিএনপির তৃণমূলের মাঝে। এমনটাই চাউর হচ্ছে যে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদের। যিনি কিনা নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে উক্ত জেলা হতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া অপর ১০ সদস্যকে নিয়ে একটেবিলে বসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই এখন খালেদা জিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে যদি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ আর মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালামকে নির্বাচিত করে কমিটির অনুমোদন দেন তাহলে এটা তৈমূর আলমের গলায় দঁড়ি দেয়ার মতই হবে বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা। আর জেলার মোহ ত্যাগ করে তখন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ নিয়েই এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে তুষ্ট থাকতে হবে। তিনি সম্প্রতি উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দিলেও এব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর গুলশানে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার হাতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ১৭১ সদস্যের কমিটি জমা দেন এড. আবুল কালাম। যেই কমিটির তালিকায় সভাপতি হিসাবে রয়েছেন তিনি নিজেই। আর সাধারন সম্পাদক হিসাবে আছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে রয়েছেন নগর বিএনপির বর্তমান সাধারন সম্পাদক এটিএম কামাল। এছাড়া সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তৈমূর আলম, গিয়াস উদ্দিন এবং শাহ-আলম পন্থী নেতাদেরও নাম রয়েছে।

‘নতুন চকম কি থাকবে সেটা শুধু নেত্রী আর আমি জানি’

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কারা আসবে সেটা আমি আর নেত্রী (শেখ হাসিনা) ছাড়া কেউ জানে না। নতুন চকম কি থাকবে সেটা শুধু আমরাই জানি।

আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে নেতৃত্বে কী ধরনের চমক থাকছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ জানে না নতুন চমক কী থাকছে। রাজনীতি হলো ধারাবাহিকতা। আর নতুন চমকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে সম্মেলন হবে।

সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে বিভিন্ন নামে যে স্লোগান শোনা যাচ্ছে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব স্লোগান কাজে আসবে না। আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্পর্কে তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলছে। কালকের মধ্যে শেষ হবে।

`আ. লীগের সম্মেলনে নিরাপত্তায় ১০ হাজার পুলিশ’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের নিরাপত্তায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মোট দশ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তার নির্দেশনা দেবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।

পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা জোরদারে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের মঞ্চ পরিদর্শনে যান আইজিপি। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সম্মেলনকে ঘিরে রাজধানীজুড়ে ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সম্মেলনস্থল ও এর আশেপাশে শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। প্রতিটি গেটে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতনরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করবেন।’

২২ ও ২৩ অক্টোবর দলটির ২০তম জাতীয় সম্মেলন। এ দুইদিন সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশের এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সঙ্গে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমন্বিতভাবে পুরো ঢাকা মহানগরীর নিরাপত্তায় কাজ করবেন।

উদ্যানের ভেতরে দলীয় কোন্দলের মতো কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশ কী ব্যবস্থা নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। আমার বিশ্বাস এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটবে না। তবে এমন কিছু হলে দলটির নিজস্ব ডিসিপ্লিনারি কমিটি ব্যবস্থা নেবে।’

কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক?

কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক? সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, নাকি নতুন কেউ? জাতীয় সম্মেলনের মাত্র দু’দিন বাকি। এ নিয়ে এখনও রয়েছে অপার রহস্য। দলের নেতাকর্মীরা নানা হিসাব-নিকাশ করছেন। কোনো স্পষ্ট চিত্র তাদের সামনে ভেসে উঠছে না। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামই এই মুহূর্তে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন। তবে শেষ হাসি কে হাসবেন, তা এখনও বোঝা দুষ্কর।

আজ বুধবার এক জাতীয় দৈনিকের খবরে বলা হয়, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে আরেক দফায় সাধারণ সম্পাদক করা নিয়ে দলের ভেতরে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি রয়েছে। দলীয় কর্মকাণ্ডে তার কম আগ্রহে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি হয়েছে, তা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও জানেন। তবে নানা হিসাব-নিকাশ করে অনেকে বলছেন, সৈয়দ আশরাফই মন্দের ভালো। সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে রয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনকে ঘিরে তিনি আরও সক্রিয় হয়েছেন। তাকে নিয়েও নেতাকর্মীদের আগ্রহ রয়েছে। গত সম্মেলনেও এই দুই নেতা দলের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় ছিলেন।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানককে নিয়েও অনেকের আগ্রহ রয়েছে। বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের মঞ্চ নির্মাণ থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে ব্যাপক সাজসজ্জার কাজ গুছিয়ে আনার বেলায় তার সাংগঠনিক দক্ষতা ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। এ ছাড়া কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাকও সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদকের তালিকায় রয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি দলের গঠনতন্ত্র উপপরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।

কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের আগ্রহ দেখালেও নেতাকর্মীরা তার বিকল্প হিসেবে কাউকে কল্পনাও করতে পারছেন না। তিনি টানা অষ্টম দফায়ও দলের সভাপতি হচ্ছেন_ মোটামুটি নিশ্চিত বলা যায়।

মূলত এ কারণেই এখন পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক পদই এবারকার জাতীয় সম্মেলনের প্রধানতম আকর্ষণ হয়ে আছে। আগে টুকটাক আলোচনা হলেও সম্মেলনের দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এ নিয়ে নীতিনির্ধারক নেতারা নিজেদের মধ্যেও কোনো কথা বলছেন না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলের নীতিনির্ধারক নেতারা বলেছেন, সাধারণ সম্পাদক পদে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। নেতারা অবশ্য দলের সভাপতির মনোভাব জানার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

এখন পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আলোচনার পুরোভাগে থাকলেও শেষতক তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে রাখা হবে কি হবে না_ এ নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে এই মুহূর্তে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী করার পর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা সক্রিয় হয়েছেন।

অবশ্য পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় দলীয় কার্যক্রমের কোথাও তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। জঙ্গিবাদবিরোধী আন্দোলনের মুহূর্তে মহাজোটের শরিক জাসদকে জড়িয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সরকারের জন্য কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন।

শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি রাজনীতি সচেতন নাগরিকদের মধ্যেও সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক কে হন_ তা নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে আগামী দিনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়টি প্রধান ভাবনায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিকভাবে বিচক্ষণ, দূরদর্শী, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারদর্শী, গ্রহণযোগ্য, অভিজ্ঞ ও আস্থাভাজন কাউকে সাধারণ সম্পাদক করবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিশ্বাস। একই সঙ্গে দক্ষ, মেধাবী ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে সেরা এক ঝাঁক তরুণ নতুন কমিটিতে আসবেন বলে সবার প্রত্যাশা।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, ৭৩ সদস্যের বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাঠামো এবার ৮১-তে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এর মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংখ্যা হবে ১৯। সভাপতিমণ্ডলীর বর্তমান ১২ সদস্যের মধ্যে রদবদলের সম্ভাবনা খুব কম। তবে সতীশ চন্দ্র রায়সহ কয়েকজন ছিটকে পড়লে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে নেতারা আভাস দিয়েছেন। বর্তমান কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক না হলে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হতে পারেন ড. আবদুর রাজ্জাক। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানকেও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

এ ছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের চার পদ, সাংগঠনিক সম্পাদকের আট পদসহ সম্পাদকমণ্ডলী এবং কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যপদে অনেক নতুন মুখ আসবে বলে নেতারা মনে করছেন। এর ফলে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির অনেকেই পদ হারাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ নেতাদের বাদ দেওয়া হবে।

বৃদ্ধাশ্রমে ৫ অভিনয় শিল্পী

এটিএম শামসুজ্জামান, আবুল হায়াত, সৈয়দ হাসান ইমাম, শর্মিলী আহমেদ ও আমিরুল আসলাম। এই পাঁচ অভিনয় শিল্পী আছেন বৃদ্ধাশ্রমে। একদিকে বয়সের ভারে জর্জরিত।

অন্যদিকে সন্তানদের অবহেলা। তাদের জীবন নাভিশ্ব্বাসে উঠেছে। শেষ বয়সে ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে। তাদের এমনই অবস্থা দেখা যাবে এস এ হক অলিক পরিচালিত ‘এক পৃথিবী প্রেম’ ছবিতে। শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। বৃদ্ধাশ্রমে তাদের দেখাশোনা করেন ছবির নায়িকা আইরিন। তার সঙ্গে প্রেম হয় আসিফের।

নির্মাতা বলেন, প্রেম ও বৃদ্ধাশ্রমকে ঘিরে ছবির গল্প গড়ে উঠেছে। বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক গল্পে প্রাধান্য পেয়েছে। অন্যরকম গল্পের কারণে ছবিটি অবশ্যই দর্শকের ভালো লাগবে। ছবির গানগুলোও চমৎকার। বাংলাদেশ প্রতিদিন

ফতুল্লায় সন্ত্রাসী হামলায় জনতালীগ নেতার মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত ফতুল্লা থানা আওয়ামী জনতা লীগের সভাপতি মনির হোসেন মারা গেছেন।

বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় ফতুল্লার পাগলার রসুলপুরস্থ ওয়াসা এলাকায় সন্ত্রাসীরা মনির ও তার স্ত্রীসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে।আহতরা হলেন- শেখ স্বাধীন মনির হোসেন, তার স্ত্রী মেঘলা এবং মেঘলার বড় বোন রেখা। এদের মধ্যে মনিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

মনির হোসেনের ভাগিনা আশরাফ জানান, মনির হোসেন রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করেন। লোহার দরজা, জানালা তৈরির ওয়ার্কসপ ও একটি মাছের খামার রয়েছে তার। ময়না তদন্তের পর লাশ বাড়িতে নিয়ে যওয়া হবে। আহত অপর দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা যায়, ফতুল্লা থানা আওয়ামী জনতা লীগের সভাপতি মনির হোসেন তার স্ত্রী মেঘলা এবং মেঘলার বড় বোন রেখাকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে পাগলা ওয়াসা এলাকায় রাত সাড়ে ১০টায় প্রতিপক্ষ মীর হোসেন মীরু বাহিনীর লোকজন তাদের পথরোধ করে।

এ সময় সন্ত্রাসীরা প্রথমে মনির হোসেনকে এলোপাতাড়ি কোপায়। তখন তার স্ত্রী মেঘলা এবং মেঘলার বড় বোন রেখা চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা তাদেরও কোপায়। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসীরা জানান, ডিশ লাইনের দখল নিয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা মীর হোসেন ওরফে মীরু বাহিনীর সঙ্গে মনির হোসেনের দ্বন্দ্ব ছিল। এ ঘটনায় দুপক্ষে মারামারিও হয়েছে এর আগে।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ জালাল জানান, এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।