১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 252

ফতুল্লার বক্তাবলীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ফতুল্লা প্রতিনিদি: শুক্রবার ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাই নগর এলাকা থেকে ফারজানা আক্তার ইলা নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ফারজানা আক্তার ইলা বন্দর ফরাজীকান্দা এলাকার মো. আব্দুল আলী মিয়ার মেয়ে।

জানাযায়, বছর খানেক আগে বক্রাবলীর কানাই নগর এলাকার রফিকুল ইসলাম রফিকের ছেলে নাজমুলের সাথে সামাজিক ভাবে ফারজানার বিবাহ হয়। ফারজানার স্বামী নাজমুল বর্তমানে একটি প্রাইভেট কম্পানীর গাড়ী চালক হিসেবে চাকুরী করে আসছেন। বর্তমানে তারা কানাই নগর এলাকায় মো. আশরাফ উদ্দিনের ভাড়া বাড়ীতে বসবাস রত ছিলেন।

এদিকে বিবাহের পর থেকে যৌতুকের টাকা আদায়ের জন্যে সার্বক্ষনিক ফারজানাকে তার শশুর বাড়ীর লোকেরা বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন। কিন্তু বাবা আব্দুল আলী মিয়া কুলির কাজ করায় তাদের দাবীকৃত যৌতুকের অর্থ পরিশোধ করা হয়ে উঠেনি ফারজানার। হয়তো এর খেসারতেই ফারজানাকে জীবন বলী দিতে হয়েছে। এমনটাই গুঞ্জন ছড়াচ্ছে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গুলশানে রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের হামলা, বনানী থানার ওসি নিহত ॥ আনসার আল ইসলামের দায় স্বীকার

রাজধানীর গুলশান ৭৯ নম্বর রোডে ‘হলি আর্টিসান বেকারি’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

সন্ত্রাসীদের গুলিতে বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দীন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের এডিসি মারুফ হাসান জানান।

এতে ১০ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রেস্টুরেন্টটির পাশে নরডিক হসপিটাল ও নরডিক ক্লাব নামে দুটি ভবন রয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা চলছে। সন্ত্রাসীরা বোমা বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে। রেস্টুরেন্টটির ভেতরে বিদেশি নাগরিকসহ বেশ কয়েকজনকে সন্ত্রাসীরা জিম্মি করেছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (০১ জুলাই) রাত ৮টা থেকে গুলি বিনিময়ের ঘটনা শুরু হয়। এতে পুলিশের এডিসি আহাদুল ইসলামসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক জানা গেছে।

ঘটনাস্থলে র‌্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়েছেন।

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে যান চলাচল।

পুলিশ জানায়, সন্ত্রাসীরা সেখানে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রেস্টুরেন্টটিতে প্রবেশ করতে চাইলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলি চালায়। এতে রাত ৮টা থেকে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের দফায় দফায় গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটছে।

তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ রেস্টুরেন্টটিতে প্রবেশ করতে পারেনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভেতরে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

গুলশান থানা উপ পরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম জানান, যেখান থেকে গুলি চালানো হয়েছে ওই রেস্টুরেন্টটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। ভেতর থেকে গুলি চালানো হচ্ছে।

বক্তাবলি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার রাসেলের বিরুদ্ধে ভিজিএফ কার্ড বিতরনে অনিয়ম-পার্ট-১

বক্তাবলি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার রাসেল চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভিজিএফ কার্ড বিতরনে  অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকৃত দুস্তদের পরিবর্তে বিগত নির্বাচনে যারা তার পক্ষে নির্বাচন করেছে তারাই নিজেদের মধ্যে ভিজিএফ কার্ড ভাগ ভাটোয়ারা করে নিয়েছে। রামনগর গ্রামের অনেক দুস্ত অসহায় লোকজন কে ব্যাগ নিয়ে শুন্য হাতে ফিরে আসতে দেখা গেছে।তাদের একজন রামনগর গ্রামের মৃত ছোয়াব আলীর পুত্র লিয়াকত আলী জানায়,আমি ভিজিএফ কার্ড না পেয়ে রাসেল মেম্বারের একান্ত কর্মী বিএনপি নেতা মিছির আলীর কাছে গেলে সে আমাকে কার্ড না দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে চাল আনতে যেতে বলে, পরিষদে গিয়ে চাউল নেওয়ার পর আমার কাছে কার্ড চায়, না দিতে পারায় চাল রেখে দেয় তাই শুন্য হাতে ফিরে আসি,একই গ্রামের মৃত মনুর উদ্দিনের বউ জানায়,নির্বাচনে তালা মার্কায় সদর উদ্দিনকে ভোট দেওয়ার কারনে আমাকে স্লিপ দেয় নাই,তাই আমি পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান থেকে শ্লিপ নিয়ে মাল আনছি। এ গ্রামের খালেদা জানায় প্রতিবারই একলাই এক স্লিপের মাল পাই এ বছর দুজন কে ভাগ করে দিয়েছে। রামনগর গ্রামের অনেক দুস্থ,অসহায় ব্যক্তিরা জানায়,আমরা রাসেল মেম্বার কে ভোট না দেওয়ায় আমাদের ভিজিএফ কার্ড দেয়নি।তারা অভিযোগ করে বলেন, রাসেল মেম্বার তার কর্মী বিএনপি নেতা মিছির,ইসমাইল,আলী হোসেন,আবুল,আক্তার,নুর হোসেন আওয়ামীলীগ কর্মী নজরুলের মাধ্যমে ভিজিএফ কার্ড বিতরনের কারনে প্রকৃত দুস্থদের না দিয়ে নিজেদের আত্নীয় স্বজনদের মাঝে ভাগ করে দিয়েছে।গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থী রাসেল ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সদর উদ্দিন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।নির্বাচনে যে সমস্ত আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থক সদর উদ্দিনের পক্ষে কাজ করেছে তাদের কে ভিজিএফ কার্ড দেয়নি।

নারায়ণগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে বাবা আটক

সিদ্ধিরগঞ্জে নিজ মেয়ে (১৩)কে ধর্ষনের অভিযোগে সাজেদ আলী (৪২) নামে এক লম্পট বাবাকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। পরে সাজেদ আলীর স্ত্রী ও মেয়েটির মা খাদিজা নাহারের অভিযোগে পুলিশ সাজেদ আলীকে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রসুলবাগ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সাজেদ আলী পেশায় পিকআপ চালক। সে কক্সবাজার জেলার রামু থানার পানিছড়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে সাজেদকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর  ওই মেয়ে ও তার মা বিষয়টি অস্বীকার করেন।
খাদিজা নাহার ঘটনাস্থলে গনমাধ্যমের কর্মী ও পুলিশ সদস্যদের জানান, এর আগেও একবার সাজেদ আলী মেয়েকে ধর্ষন করেছিলো। লোক লজ্জা ও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখেন তিনি । বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েকে বাসায় একা পেয়ে সাজেদ আলী ফের ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এ সময়ে মেয়ের আর্তচিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এসআই শাহাদাৎ হোসেন জানান, সাজেদ আলীর স্ত্রী ও মেয়েটির মা খাদিজা নাহারের ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে সাজেদকে ঘটনাস্থল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে খাদিজা বেগম বিষয়টি অস্বীকার করছেন। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এ ঘটনাটি তদন্তনাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নতুন পোশাকে ছিন্নমূল শিশুদের ঈদ আনন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক


নতুন পোশাকে ছিন্নমূল শিশুদের ঈদ আনন্দ

বয়স ৭ কি ৮। মাথার চুল উশকোখুশকো। গলায় কালো সুতোয় একটি তাবিজ ঝুলানো। তামাটে গায়ের রঙ্গে মাটি মাখা কালো হাফ পেন্ট। নগ্নপায়ে চোখ কচলাতে কচলাতে এসে বলে স্যার আমার মা মইরা গ্যাছে, বাপে আরেকটা বিয়া কইরা চইলা গ্যাছে। আমারে কয়ডা টেহা দেন ভাত খামু। পাঁচ টাকা দিয়ে, আবার টাকার লোভ দেখাতেই নতুন গল্প বলতে শুরু করে তারেক। এভাবে শিখিয়ে দেয়া গল্প মানুষের কাছে বলে করুণা চায় হাজারো কোমলমতি তারেক।

এমন গল্প লাখো পথশিশুর। যারা পথেই থাকে। তাদের কোনো ঠিকানা নেই। অভিভাবকহীন এসব পথশিশুর নেই কোনো ভবিষ্যতও। যার কারণে কেউ তাদের নিয়ে রাজনীতি করে আবার কেই ব্যবহার করে অন্যায় কাজে। অথচ কেউ ভাবে না এরা আমাদের সমাজেরই বাসিন্দা। এরাও কারো না কারো সন্তান। এদের যাপিত জীবনের দায়িত্বও বর্তায় আমাদের উপর।

এমন শতাধিক পথশিশুকে একত্রে করে আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে তাদের মুখে হাসি ফোটানের দায়িত্ব নিয়েছে একদল দুরন্ত কিশোর। স্বপ্ন ছোয়ার নেশায় এগিয়ে যাওয়া এসব কিশোর গত কয়েক বছর ধরে নিজেদের খাবারের টাকা থেকে কিছু অর্থ বাঁচিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা চালায় আশপাশের ছিন্নমূল শিশুদের মুখে হাসি ফোটাবার। সঙ্গে এলাকার কিছু ভাই সহযোগিতা করে ছোট মানুষের ছোট এই উদ্যোগকে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় কারওয়ানবাজার সংলগ্ন পান্থকুঞ্জ পার্কে পথশিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয় নতুন পোশাক।


সংগঠনের সভাপতি মেরাজ মাহফুজ বলেন, দেশে এতো পথশিশুর মধ্য থেকে শতাধিক শিশুকে নতুন পোশাক দেয়া উল্লেখযোগ্য কিছু না, তবু চেষ্টা করি কিছু শিশুর মুখে হাসি ফোটানোর। উদ্যোগী হলে সব পথশিশুর মুখেই হাসি ফোটানো সম্ভব।

সংগঠনের পরামর্শক গণমাধ্যমকর্মী মাইদুর রহমান রুবেল বলেন, এই সমাজে বিত্তবানের অভাব নেই। তারা একটু দৃষ্টি দিলেই ছিন্নমূল শিশুদের চাহিদা পূরণ হয়ে ভেসে যায়। কিন্তু কে ভাবে কার কথা। অন্ধ সমাজপতিদের নিজেদের অফুরন্ত চাহিদা পূরণ করে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কথা ভাবা তাদের সময়ে পড়ে না। এক দল কিশোর তরুণের এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার যোগ্য। সামর্থবানরা যে কাজ করতে পারে না তা সফল করা এসব তরুণদের দুঃসাহস বলা চলে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালিকণা বিন্দু বিন্দু জল/গড়ে তোলে মাহদেশ সাগর অতল। কবিতার মতোই এই কিশোরদের ইচ্ছাও একদিন বড় হবে।

ইউনিসেফ ও বিআইডিএস গবেষণা অনুযায়ী, ২০০৫ সালে দেশে পথশিশু ছিল ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৮ জন। চলতি বছর শেষে দেশে এর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১২ লাখ। ২০২৪ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬ লাখের বেশি। পিতা-মাতা, আত্মীয় পরিজনহারা শিশুরা জীবন-সংগ্রামে নামে বাধ্য হয়েই।


এরাতো আমাদেরই সন্তান, আমাদেরই স্বজন। রাষ্ট্রের উপর সব সপে না দিয়ে দিনকানা সমাজপতিদের বিবেককেও জাগ্রত করতে হবে এসব শিশুর সুরক্ষায়। না হয় আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত, কথাতেই থেকে যাবে। যেমন কাজির গরু কেতাবেই থাকে গোয়ালে নয়।

অনুষ্ঠান সফল করতে সহায়তা করে বন্ধুযোগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী হাসান মাহমুদ, সিকান্দার রেমান। আরো ছিলেন রাইয়ান, অর্ক, মিতু, রিয়া, অথই, শাকিল, অর্নব, উজ্জল, নুসরাত, আয়েশা, আহসান প্রমুখ।

মানব রুপি পশু ==========সাঈদ দেলোয়ার

মানব রুপি পশু তরা
বাঁচতে দিলিনা আমায়,
দেহের প্রতি লালসাে তোদের
বিরোপ করিস জামায়।

সন্ধ্যা লগ্নে পেয়ে একা
জানোয়ারের মত দিলি ঝাফ,
কত আকুতি মিনতি করিলাম
তোদের ধারে করলিনা আমায় মাফ।

আমার দেহের প্রতিটি অঙ্গ
হিংস্র হয়ে করলি তরা ভোগ,
তোদের হাতের নখের ধারা
ছিন্ন ভিন্ন করলি আমার বুক।

আমার গায়ের জামা খানা
ছিড়ে ছিড়ে ফেললি দূর,
সমস্ত অঙ্গ করলি খালী
ফেলে দিলি করে দেহ নিথুর।

কাক ডাকা ভোর বেলা
দেখবি তরা আমায়,
আমি যে নারী লজ্জা হীনতায়
পড়ে আছি জংলার নামায়।

মানব রুপি পশু তরা
বলে যাই সমাজের ধারে,
অসহায় নারী ধর্ষণ শেষে খুন
নরোপশু করতে না পরে।

সরকার জঙ্গিবাদের নেটওয়ার্ক উচ্ছেদে অনাগ্রহী : রিজভী

আব্দুর রহিম  ‘সরকার জঙ্গিবাদের নেটওয়ার্ক উচ্ছেদে অনাগ্রহী বলেই জঙ্গিরা নির্বিঘ্নে তাদের অপতৎপরতা চালু রেখেছে। জঙ্গিদের অপতৎপরতার বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই প্রমাণিত হয় জঙ্গিরা সরকারেরই সৃষ্টি। সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত করার জন্যই নিজেরা জঙ্গি সৃষ্টি করে দেশব্যাপী খুনোখুনি করাচ্ছে।’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘সারা দেশে বছরব্যাপী যেসব চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তার কোনোটিতেই সুনির্দিষ্টভাবে কোনো হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি সরকার। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই এখন পর্যন্ত রহস্যঘেরা। এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বক্তব্য দেশে-বিদেশে কারো কাছেই বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আপনি যে কর্মকাণ্ডই করুন না কেন, মানুষ সেটি বিশ্বাস করে না। দেশের যেকোনো হত্যাকাণ্ডে আপনার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যে বিজ্ঞপ্তি দেয়, সেটিও মানুষ বিশ্বাস করে না। কারণ, জনগণ মনে করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী বিবৃতি দেয়।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার জঙ্গিবাদ দমনের নামে জনগণের ওপর ‘বেপরোয়া ক্র্যাকডাউন চালানোর’ পরও উগ্রবাদীদের তৎপরতা কোনো অংশেই কমেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকা- সম্পর্কে সরকার প্রধান ও সরকারি লোকজনদের বক্তব্য এবং তাদের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে জনমনে এখন একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে- এসব হত্যাকাণ্ড সরকারের অগোচরে হচ্ছে না। কারণ, সরকার তার অবৈধ অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন। কখন কী ঘটে যায়- এই আশঙ্কায় সরকার সব সময় দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে চায়। নৈরাজ্য এবং অস্থিতিশীলতা সরকারের টিকে থাকার গ্যারান্টি।’

বৌদ্ধবিহারের প্রধানকে হত্যার হুমকির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন রিজভী। অবিলম্বে বৌদ্ধবিহারের প্রধানকে যথাযথ নিরাপত্তা প্রদানের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স: সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ: ইয়াবা পাচারকারীসহ অন্যান্য মাদক অপরাধীরা গ্রেপ্তার এড়াতে কৌশল পরিবর্তন করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তবে সরকার এর বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন)  জাতীয় সংসদে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এসব অপরাধীদের কৌশল ধরা পড়লে পরবর্তীতে তারা নতুন কৌশল ব্যবহার করছে এবং মাদক চোরাচালানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

‘বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এ অধিদপ্তরের অফিস স্থাপন করা হয়েছে, সাংগঠনিক কাঠামো সংশোধন করে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে নতুন নিয়োগ-বিধি প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান’, বলেন তিনি।

পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জলদস্যুতা রোধে কোস্ট গার্ড অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘জলদস্যুতা রোধে কোস্ট গার্ডের অপারেশন আরও অর্থবহ করতে গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। এ জন্য কোস্ট গার্ডের জন্য পৃথক ও স্বতন্ত্র গোয়েন্দা অধিদপ্তর চালুর প্রস্তাবনা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।

বিশ্বের ৫৭টি দেশে দুতাবাস রয়েছে: সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ: জাতিসংঘভুক্ত সকল সদস্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেছেন, শুধু মাত্র ইসরাইল ছাড়া বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৫৭টি দূতাবাস রয়েছে। এছাড়া ১৫টি কনস্যুলেট, কনস্যুলেট জেনারেল ও উপ ও সহকারী হাইকমিশন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০জুন) দুপুরে সংসদের বাজেট অধিবেশনে বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের আসাম রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটিতে একটি সহকারী হাইকমিশন খুব শিগগিরই খোলা হবে। এছাড়া দুতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো ৯৭টি দেশের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে থাকে। অর্থাৎ পৃথিবীর ১৫৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করে এবং সব দেশের সঙ্গে সর্ম্পক রক্ষার্থে কূটনৈতিক কর্মকর্তা প্রেরণ করা হয়েছে।’

আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরো বলেন, ‘এই ১৫৪টি দেশ ব্যতিত অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কূটনৈতিক কর্মকর্তা প্রেরণ করা হয়নি।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে বলকান রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমঝোতাস্মারক চুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলো কাজ করে চলেছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই অঞ্চলের প্রত্যেকটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ ও সম্প্রসারণে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।’

ফতুল্লা ছাত্রদল নিয়ে তৈমুরের রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার গত শনিবার ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত এক ইফতার দোয়া মাহফিলে অশ নিয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে বিভাজন তৈরী করে দিয়েছে। বিশেষ কওে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের রাজনীতিতে। ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেও অভিযোগ, তৈমুর ছাত্রদলের যে সব নেতাদের ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছিলেন, তারা ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল না। এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সক্রিয় নেতা আগেই নিষেধ করেছিল। কিন্তু তৈমুর আলম খন্দকার ওনসব নেতা নিদের্শ অমান্য করে শনিবারের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। এ নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিএনপির রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পরেছে বলে ফতুল্লা থানা বিএনপির বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে।

জানা গেছে, শনিবার ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের ব্যানারে বিসিক এলাকায় ইফতার দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন ছাত্রদল নেতা রাসেল মাহামুদ। উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, জুয়েল রানা, ফতুল্লা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব রহমান, জেলা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব আলী আজগর, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দীন প্রধান, সোনারগাঁও থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু প্রমুখ।

এ অনুষ্ঠানের পিছনে ছিলেন ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তৈমূর আলম খন্দকার নিজেই। ফতুল্লায় অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়নি থানা বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের। ছাত্রদলের ব্যানারে ওই অনুষ্ঠান হলেও সেখানে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কিংবা যুগ্ম আহ্বায়কদের দাওয়াত না করা হলেও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব রহমানকে করা হয়েছে প্রধান বক্তা ও মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনুকে করা হয়েছে বিশেষ বক্তা। যাতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের চরম চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করা হয়েছে। তবে এ আয়োজনের পিছনের কারণ হিসেবে জানা গেছে বর্তমানে তৈমূর আলমকে আগের মত মুহাম্মদ শাহআলম তোয়াজ করেন না। তৈমূরের হাতে হাতও মিলান না শাহআলম। মুহাম্মদ শাহআলম কেন্দ্রীয় বিএনপির একজন ডোনার হিসেবে এ জেলায় পরিচিত। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকার শাহআলমকে শোকজ করলেও কোন জবান দেননি শাহআলম। তৈমূরকে আমলেই নিচ্ছেন না শাহআলম। যে কারণে তৈমূর আলম অনেকটা ক্ষুব্দই শাহআলমের প্রতি। যে কারষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দিয়েই শাহআলমকে সাইজ করলেন তৈমূর। এক সময় মুহাম্মদ শাহআলম তৈমুরকে খুবই তোয়াজ করতেন। কিন্তু তৈমুরকে পাস কাটানোর কারণে এবার তৈমূরও শাহআলমকে পাস কাটিয়েই ওই অনুষ্ঠানে গিযে হাজির হয়েছেন। সাথে যাদেরকে দাওয়াত করা হয়েছে তাদেরকেও নিয়ে গেছেন সেখানে তৈমূর। তবে শাহআলমের ভীত নাড়াতে গিয়ে ছাত্রদলের মধ্যেও শুরু হয়েছে নানা কানাঘুষা। ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করেছেন তৈমূর আলম খন্দকার। একই সঙ্গে ছাত্রদলের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টিতে উস্কানি দিয়েছেন তিনি। আর ওই অনুষ্ঠানে হোচট খেয়েছেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন ও মশিউর রহমান রনি। একজন আনাড়ি ধাচের ছাত্রদলের কর্মীর কাছে এ দুজন যুগ্ম আহ্বায়ক অনেকটাই মানসিক লাঞ্চিত হয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, ওই অনুষ্ঠানের আগের দিন শুক্রবার বিকেলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান রনির সমর্থক অর্ধশত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ওই অনুষ্ঠানে তৈমুুর আলমকে উপস্থিত না হতে অনুরোধ করেন। ওই সময় তৈমূর আলম খন্দকার ছাত্রদলের ওই সব নেতাকর্মীদের ধমক দেন।