বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ এবং ব্যান্ডউইথ বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের আরেকটি মাইলফলক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তা অটুট রয়েছে এবং তা আরও সুদূর প্রসারী হচ্ছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের সময় ঢাকা থেকে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। দিল্লি থেকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ত্রিপুরা থেকে প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার অংশ নেন।
ভিডিও কনফারেন্সে বাংলা ভাষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান এবং ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ভারতবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সবাইকে অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন ভারত সরকার এবং ভারতীয় জনগণ যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন, সে কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। সেই থেকে আমাদের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা অটুট রয়েছে। বর্তমানে আরও সুদূর প্রসারী কার্যক্রম করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ এবং ব্যান্ডউইথ বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলফলক সৃষ্টি করলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ আমদানি আমাদের জ্বালানি চাহিদা পূরণ করবে। বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ পাওয়ার ফলে ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং সেখানকার জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও যথেষ্ট অবদান রাখবে। আমাদের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে। তিনি বলেন, ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানির মধ্য দিয়ে আমাদের আরেকটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পূরণ হলো। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে আমি যখন ত্রিপুরা সফরে যাই, সে সময় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এটা বাস্তবায়ন করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে জ্বালানি খাত নিয়ে আমাদের দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যেটা এই অঞ্চলে প্রথম এবং আমরা ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাব বলে আশা করছি। ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র রামপালে নির্মাণ করা হচ্ছে। যা আমি মনে করি, দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে। অবশ্য আমাদের মধ্যে আমাদের ভার্চুয়াল সংযোগ, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, চিন্তা-চেতনার সংযোগসহ সব ধরনের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। ব্যান্ডউইথ ভাগাভাগি, উপকূলীয় এলাকায় জাহাজ চলাচল, পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল সরবরাহের মতো নতুন যোগাযোগ আমাদের সামগ্রিক ক্ষেত্রে সংযোগ হওয়ার ক্ষেত্রে একটা নতুন মাত্রা দিয়েছে। আঞ্চলিক আন্তসংযোগ—আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনাকে আরও সম্প্রসারিত করবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই এই অঞ্চলে দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে। এই দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ আমরা একা করতে পারি না। আমাদের যৌথ উদ্যোগ দরকার। এ ক্ষেত্রে তা আমরা অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে করতে সক্ষম হয়েছি। বরং এখন মনে করি, দুই দেশের মানুষ যারা এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে আছে—তাদের জীবনমান যৌথভাবে উন্নত করতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, আমরা চাই, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সেই সঙ্গে দুই দেশেরই উন্নয়ন। এই অঞ্চলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমি নিশ্চিত, আমাদের জনগণের বৃহৎ কল্যাণ সাধনের জন্য ভবিষ্যতে এ ধরনের আনন্দঘন আরও মুহূর্তের দেখা পাব।
ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দুদেশের সম্পর্কে আরেকটি মাইলফলক॥প্রধানমন্ত্রী
জাপানে বিামান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত-৪
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে বিমানবন্দরে শনিবার একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৪ আরোহীর সবাই প্রাণ হারিয়েছে।
বিমানটি কোবে খেতে উড্ডয়ণের পর ওসাকার ইয়াও বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। খবর এএফপির।
ওসাকার দমকল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার পর আগুন ধরে যাওয়ায় বিমানের চার আরোহী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ভূমিতে কেউ হতাহত হয়নি।
জাপানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল এনএইচকের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, ছোট এম২০সি বিমানটি কোবে বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা দিয়ে ওসাকার ইয়াও বিমানবন্দরে নামতে চেষ্টা করছিল।
লাহোরে খ্রিস্টানদের সমাবেশে বোমা হামলা॥নিহত অন্তত ৭০
পাকিস্তানের লাহোরে খ্রিস্টানদের ইস্টার সানডে উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে বোমা হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও আন্তত তিন শতাধিক মানুষ।
রোববার বিকালে পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের দক্ষিণ পশ্চিমে গুলশান-ই-ইকবাল পার্কে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহতের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের একাংশ জামাত-উল-আহরার ওই বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে।
লাহোরের খ্রিস্টান বাসিন্দাদেরকে ইচ্ছে করেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে -এই জঙ্গি সংগঠনটি।
এক বিবৃতিতে জামাত-উল-আহরারের মুখপাত্র এহসানুল্লাহ এহসান বলেন, ‘খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়। আমরা প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের কাছে এই বার্তা দিতে চেয়েছি যে, আমরা লাহোরে প্রবেশ করেছি। তিনি যা খুশি চান তা-ই করতে পারেন, কিন্তু তিনি আমাদের আটকাতে পারবেন না। আমাদের বোমা হামলাকারীরা এমন হামলা চালিয়ে যাবেন।’
ইকবাল টাউনের পুলিশ সুপার ড. মোহাম্মদ ইকবাল জানান,বিস্ফোরণস্থলটি লাহোরের একটি অন্যতম আবাসিক এলাকা। ইস্টার সানডে উপলক্ষে পার্কে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল। এ সময় সেখানে অনেক শিশু ও নারী উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি (অপারেশন) ক্যাপ্টেন (অব.) মুহাম্মদ উসমান আত্মঘাতী বোমা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হামলাকারীর বিচ্ছিন্ন মাথা খুঁজে পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে বল বেয়ারিংও উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পার্কের ভেতর রক্ত আর রক্ত। চারদিকে মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছড়িয়ে আছে। যেদিকেই দেখা যাচ্ছে আহত ও নিহত মানুষ পড়ে আছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমরা আহতদের রিকশা ও ট্যাক্সিতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনীও যোগ দিয়েছে।
পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সালমান রফিক জানিয়েছেন, হাসপাতালে বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
স্থানীয় সবগুলো হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসাইন ও প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এছাড়া নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন নওয়াজ শরিফ।
এ ঘটনায় পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকার এ ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে।
এদিকে, পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ওই হামলায় নিন্দা জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে পাকিস্তানের জনগণ এবং সরকারের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা পাকিস্তান এবং ওই অঞ্চলে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে সন্ত্রাসের শেকড় উপড়ে ফেলতে কাজ করে যাব।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছেন। মোদি যে কোনও প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
অস্ত্রের মুখে ৫৫ আরোহীসহ মিশরের বিমান ছিনতাই
মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া থেকে কায়রো যাওয়ার পথে ৫৫ জন আরোহীসহ একটি বিমান অস্ত্রের মুখে ছিনতাই করা হয়েছে।
সাইপ্রাস ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, বিমানটিতে ৫৫ জন আরোহী রয়েছে। প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল বিমানটিতে ৮০ জন আরোহী রয়েছে।
ছিনতাই হওয়া বিমানটি সাইপ্রাসের লারনাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছেন ইজিপ্ট এয়ারের একজন নারী মুখপাত্র।
সৌদি সংবাদ মাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, বিমানের আরোহীদের মধ্যে ৪৮ জন যাত্রী ও ৭ জন ক্রু রয়েছেন। আরোহীদের মধ্যে ১০ জন মার্কিন ও ৮ জন ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছেন।
অদালত অবমাননার দায়ে দুই মন্ত্রী’র অর্থদন্ড
দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আপিল বিভাগ। জরিমানার এই অর্থ অনাদায়ে তাদেরকে ৭ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের ক্ষমার আবেদন খারিজ করে আদালত অবমাননার দায়ে তাদের অভিযুক্ত করা হয়। এর দায়ে দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
জরিমানার অর্থ আই হসপিটাল ও লিভার ফাউন্ডেশনকে প্রদান করার জন্য বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই দুই প্রতিষ্ঠানে জরিমানার অর্থ প্রদান করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আদালতকে তা অবহিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জরিমানার অর্থ অনাদায়ে দুই মন্ত্রীকে ৭ দিন করে কারাদণ্ডের আদেশও দেন আদালত।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সমালোচনা করে গত ৫ মার্চ রাজধানীতে এক সেমিনারে বক্তব্য দেন সরকারের দুই মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে ১৫ মার্চ সকাল ৯টায় সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত। তবে খাদ্যমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০ মার্চ নির্ধারণ করা হয়।
ওই দিন সকালে আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দাখিল করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান দুই মন্ত্রী। কিন্তু কামরুল ইসলামের জবাব দাখিলের ওপর আদালত সন্তুষ্ট না হওয়ায় ২৭ মার্চ দুই মন্ত্রীকে আবারও সশরীরে হাজির হতে বলা হয়।
রোববার শুনানি শেষে দুই মন্ত্রীর ক্ষমার আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে তাদের আদালত অবমাননায় অভিযুক্ত করে অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
শুনানিতে আ ক ম মোজাম্মেল হকের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক আর কামরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আবদুল বাসেত মজুমদার।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার
রূপগঞ্জে কাপড় ব্যবসায়ীকে হত্যা
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া এলাকায় রবিবার রাত ১২ টায় এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
নিহতের ভাই আবদুল মান্নান নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন’কে জানান,উপজেলার চনপাড়া এলাকায় রবিবার রাত আনুমানিক ১২ মোস্তফা,আরব আলি,বজলু ও সাহাবউদ্দিনসহ আরো কয়েকজন তার ভাইকে ডেকে নিয়ে যায়।পরে রাত ২ টার দিকে দিকে খবর পান সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ফেলে গেছে।পরে রাত ৩ টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা।সকাল সাড়ে ৬ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সৃত ঘোষনা করেন।
সোনারগাঁয়ে মাটি কাটাকে কেন্দ্র মারামারি॥আটক ৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেরাবো বাজার এলাকায় গতকাল সোমবার ১০ টার দিকে জোর পূর্বক সোহেব মিয়া, জুয়েল মিয়াসহ ৮/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী বেকু দিয়ে মাটি কেটে নেওয়ার সময় বাধা দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা জমির মালিক সফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করেছে সস্ত্রাসীরা। ঘটনায় সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বেকুসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেরাবো গ্রামে মনির হোসেন ছেলে আতিকুর রহমানের ফসলি জমি থেকে বেকু দিয়ে জোর পূর্বক মাটি কেটে নিচ্ছে একই এলাকার ভুমিদস্যু সোহেব ও তার সহযোগিরা। এতে আতিকুর রহমানের ছোট ভাই সফিকুল ইসলাম বাঁধা দিলে সোহেব মিয়া, জুয়েল মিয়া, তুহিন মিয়া ও রাব্বি মিয়াসহ ৮/১০জন সন্ত্রাসী বাহিনী লোহার রড ও লাঠিশোটা দিয়ে পিটিয়ে সফিকুল ইসলামকে মারাতœক আহত করে। আহত জমির মালিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। মাটি কাটার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহেব মিয়া, জুয়েল মিয়া, তুহিন মিয়া ও রাব্বি ও মাটি কাটার ব্যবহৃত বেকুটি আটক করে পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জে অস্ত্রসহ গ্রেফতার-৪
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে ১টি বিদেশী নাইন এমএম পিস্তল ও ৩ রাউন্ড তাজা গুলিসহ থানা আ’লীগ নেতার দুই ছেলেসহ ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ওমর ফারুক সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিজমিজি মৌচাক এলাকাস্থ ধৃত সাইফুল ইসলাম রুপমের ষ্টীল কাটিং মিলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
ধৃতরা হলো- মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্ধা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাজী সালাউদ্দিনের দুই ছেলে সাইফুল ইসলাম রুপম (২৮) ও মাহবুবুর রহমান আরমান (২৫) এবং তার বাড়ীর ভাড়াটিয়া বরিশাল জেলার গলাচিপা থানার বিলগোছা গ্রামের হানিফ গাজীর ছেলে মনির হোসেন (১৯) ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার মারাক্কা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার মাহবুবের বাড়ীর ভাড়াটিয়া কবির হোসেন (২৪)।
এব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদেরকে সাইফুল ইসলাম রুপমের মালিকানাধীন মৌচাক এলাকার ষ্টীল কাটিং মিল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ফতুল্লায় খেলার মাঠ রক্ষায় স্থানীয়দের মানবন্ধন
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় বুধবার দুপুরে স্থানীয় জনতার রোশানলে পরে গনপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা।স্থানীয় লোকজনের সাথে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মিরা।উক্ত এলাকার খেলার মাঠ রক্ষার দাবীতে বুধবার বিকেলে মানবন্ধন কর্মসূচি করে এলাকাবাসী।সেই মানবন্ধনে যে কোন মূল্যে খেলার মাঠটি রক্ষার ঘোষনা দেয়া হয়।এই মাঠটিতে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৬৭২ টি ফ্লাট নির্মানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য মানবন্ধন থেকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।এদিকে বুধবার দুপুরে দুই দফায় গনপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের ফিরে যেতে হয় স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে।বর্তমানে উক্ত এলাকায় থমথমেভাব বিরাজ করছে।
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী’র ছবি ভাংচুরের ঘটনায় বন্দর থানা যুবকামান্ডে’র তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ নারায়ণগঞ্জ বন্দর দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকায় তাঁতিলীগের অফিসে হামলা ও বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর’র ছবি ভাংচুরের ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ও পূনর্বাসন সোসাইটি বন্দর থানা যুবকমান্ডে’র পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় গনমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,বন্দর থানা যুবকমান্ডের সভাপতি মো: আলমগির হোসেন ও সাধারন সম্পাদক মো: জহিরউদ্দিন বলেন,বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না অথচ বাংলাদেশে মানচিত্রে থেকে কার এতো বড় দু:সাহস যে তাঁর ছবি ভাংচুর করে এবং আসামীদের গ্রেফতারে অবহেলা করছে এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাই।