২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 229

ইতিহাসের পাতায় মিরাজ

রেকর্ডটার কথা হয়তো অনেকেরই মনে নেই। ১২৯ বছর ধরে অক্ষত রেকর্ডের কথা কারই বা মনে থাকবে? সেই ১৮৮৭ সালে জীবনের প্রথম দুই টেস্টে ১৮টি উইকেট শিকার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জন জেমস ফেরিস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ উইকেট নিয়ে সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাঁহাতি পেসার ফেরিসেরও অভিষেক হয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সিডনিতে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন চার উইকেট। ফেরিস আর ছয় উইকেট নেওয়া চার্লি টার্নারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ৪৫ রানে।

তবু ওই ম্যাচে জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া! দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরিস পাঁচ উইকেট শিকার করেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। মাত্র ১১১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে গিয়েছিল ৯৭ রানে।

পরের টেস্টের ভেন্যুও ছিল ঐতিহাসিক সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। ফেরিসের দুর্ভাগ্য, প্রথম ইনিংসে পাঁচ আর দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নিলেও আবারও পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেতে হয়েছিল তাঁকে। ম্যাচটা ইংল্যান্ড জিতে নিয়েছিল ৭১ রানে।

মিরাজ আর বাংলাদেশেরও সৌভাগ্য, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তেমন ‘দুর্ঘটনা’ হয়নি। চট্টগ্রামে ভালো খেলেও মাত্র ২২ রানে হার মানতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে মিরপুরে মিরাজ আর সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে পর্যুদস্ত হয়েছে ইংল্যান্ড।

ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি নয়, সরাসরি টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন জমিতে নেমে পড়েই সবার মন জয় করে নিয়েছেন মিরাজ। প্রথম টেস্টে সাত উইকেটের পর মিরপুরে তার শিকার ১২টি। আজ চা-বিরতির পর প্রথম বলেই বেন ডাকেটকে বোল্ড করা মিরাজের মাধ্যমেই ইংল্যান্ডের সর্বনাশের সূচনা। বিনা উইকেটে ১০০ রানের স্বস্তিকর অবস্থান থেকে অতিথিরা যে ১৬৪ রানেই শেষ, তাতে এই তরুণ অলরাউন্ডারের বিরাট ভূমিকা।

দুই টেস্টের চার ইনিংসে ১৫.৬৩ গড়ে ১৯ উইকেট—এক কথায় অসাধারণ বোলিং। মাত্র ১৯ বছর বয়সী এক তরুণের কাছেই আসলে ব্রিটিশ সিংহরা কুপোকাত। বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস আজ তাই ‘মিরাজ’, ‘মিরাজ’ চিৎকারে প্রকম্পিত।

ইতিহাস গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশ

ইতিহাস গড়ে টেস্টে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে তিন দিনেই ফলাফল নিজেদের করে নিয়েছে মুশফিক বাহিনী।

মিরাজ ও সাকিবের যুগলবন্দীতে ১০ উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশদের ১০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এই জয়ের ফলে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ এ ড্র হলো।

রবিবার ২৭৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী ইংল্যান্ড ১৬৪ রানে অলআউট হয়। মিরাজ ৬টি এবং সাকিব ৪টি উইকেট লাভ করেন।

বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৬ রানে অলআউট হলে ইংলিশদের টার্গেট দাঁড়ায় ২৭৩ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু তরে সফরকারীরা। ওপেনিং জুটিতে ১০০ রান তুলে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন অ্যালিস্টার কুক ও বেন ডাকেট।

তবে চা বিরতির পরেই মিরাজের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। বেন ডাকেটকে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে বোল্ড করেন মিরাজ। পরের ওভারেই জো রুটকে ফিরিয়ে দেন সাকিব। রুট ১ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন।

এরপর দ্রুতই গ্যারি ব্যালেন্স, মঈন আলী, কুক ও জনি বেইস্টোকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন মিরাজ। তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট তুলে নিলেন মিরাজ। মিরাজের পর ক্যালমা দেখান সাকিব। এক ওভারেই স্টোকস, আদিল রশিদকে ফিরিয়ে দিয়ে হাটট্রিকের সম্ভবনা জাগিয়ে তোলেন তিনি। তবে সাফর আনসারি পরের বলটি ঠেকিয়ে দিয়ে সাকিবকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করেন। কিন্তু এক বল পরেই আউট হন আনসারি। শেষ উইকেটটি তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে অলআউট করেন মিরাজ।

এর আগে ৩ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। বাকি ১৪৪ রান তুলতেই সবকটি উইকেট হারায় টাইগাররা। দলের পক্ষে ইমরুল কায়েস ৭৮, সাকিব ৪৭ এবং শুভাগত ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

ইংলিশদের হয়ে আদিল রশিদ ৪টি, স্টোকস ৩টি, জাফর আনসারি ২টি এবং মঈন আলী ১টি উইকেট লাভ করেন।

স্কোর:
বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ২২০/১০; তামিম ১০৪, মুমিনুল ৬৬; দ্বিতীয় ইনিংস ২৯৬/১০; ইমরুল ৭৮, রিয়াদ ৪৭, সাকিব ৪১, তামিম ৪০

ইংল্যান্ড: প্রথম ইনিংস ২৪৪/১০; রুট ৫৬, ওকস ৪৬, রশিদ ৪৪, মিরাজ ৬ উইকেট; ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস ১৬৪/১০; ডাকেট ৫৬, কুক ৫৯; মিরাজ ৬ উইকেট, সাকিব ৪ উইকেট।

মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগদান করেন মোহাম্মাদ বাবুল

মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের ডাকা জনসভায় প্রায় হাজারও নেতা-কর্মী নিয়ে যোগদান করেছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মাদ বাবুল।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ইসদাইর পৌর ওসমানী স্টেডিয়াম সংলগ্ন শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে এই স্মরণকালের সর্ববৃহত জনসভায় যোগদান করেন।

জনসভায় মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান।

মিছিল পূর্ব এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মাদ বাবুল বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ বাসীর দূর্ভোগ লাঘব, মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন করে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার উদ্দেশ্যে এই জনসভার ডাক দিয়েছেন। তার ডাকা সেই সমাবেশ সফল করতে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কয়েক হাজার নেতা কর্মী নিয়ে আমি সভাস্থলে যোগদান করছি।

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সময়ে দেশে জঙ্গি তৎপরতার সৃষ্টি হয়েছে। আর আমি বিশ্বাস করি যে, এই সমাবেশের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে। সেই সাথে মাদক সহ সকল ধরনের অসামাজীক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।’

মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগদান করেন শাহজাহান ও শহিদুল্লাহ

আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের ডাকা জনসভায় প্রায় হাজারও নেতা-কর্মী নিয়ে যোগদান করেছেন সিদ্দিরগঞ্জ   যুবলীগ নেতা শাহজাহান ও শহিদুল্লাহ।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ইসদাইর পৌর ওসমানী স্টেডিয়াম সংলগ্ন শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে এই স্মরণকালের সর্ববৃহত জনসভায় যোগদান করেন।

মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।

মিছিল পূর্ব এক সাক্ষাৎকারে তারা বলেন , জননেতা আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন করার উদ্দেশ্যে এই জনসভার ডাক দিয়েছেন। তার ডাকা সেই সমাবেশ সফল করতে সিদ্দিরগঞ্জ ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কয়েক হাজার নেতা কর্মী নিয়ে আমরা সভাস্থলে যোগদান করেছি।

সমাবেশে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের শোডাউন

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সমাবেশে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের নেতাকর্মীদের শোডাউন দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে অক্টো অফিসের সমাবেশে যোগদান করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। মহানগর মুক্তিযোদ্ধ প্রজন্মলীগের সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন, সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন ও ডা: কামরুল হাসান সরকারের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল শেখ, মো: জুয়েল হোসেন, আলামিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, কাইয়ূম মন্ডল, শাওন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাহিদ খান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদ দয়াল মাসুদ, দেলোয়ার হোসেন বাবুল,শেখ সেলিম মাদবর, আ: আজিজ, মানিক, জিসান, ইসমাঈল, সুকান্ত বড়–য়া রঞ্জু,সাঈদ, রাজিব, মনির প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জের জনগন আমার মালিক- শামীম ওসমান

শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের জনগন আমার মালিক।আমি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা না। জেলা কমিটিরও কেউ না। আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী। আপনাদের ভাই।  আমি আপনাদের ভাই হিসেবেই থাকতে চাই। শনিবার বিকেলে নগরীর ওসমানী আউটার ষ্টেডিয়ামে আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন। সমাবেশের ব্যানারে লেখা ছিলো ‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত করে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে বিশাল জনসভা’। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ এ সমাবেশ আয়োজন করে। এমপি শামীম ওসমান কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হতে যাচ্ছেন বলে গত কয়েকদিন ধরে এমপি শামীম ওসমানের সমর্থক স্থানীয় নেতারা ও তার সমর্থক স্থানীয় পত্রিকাগুলি ধারনা দিচ্ছিলো। কিন্তু শামীম ওসমান সাংগঠনিক সম্পাদক হতে পারেননি। এমনকি কেন্দ্রীয় কমিটির কোথাও তার ঠাই হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জে যখন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছিলো তখন সমাবেশে তিনি একথা বলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামীলীগ কর্মী জানান, এমপি শামীম ওসমান আশায় ছিলেন তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাই পাচ্ছেন। জনসভাটি আয়োজন করা হয় এমপি শামীম ওসমানের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাই পাওয়ায় তাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন কোন সুখবর না আসায় জনসভায় ‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত করে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে বিশাল জনসভা’ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে আাবারো জঙ্গি হামলার আশংকা প্রকাশ করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় পঞ্চায়েত কমিটি গঠন করে জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে তাদের ধ্বংস করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, সে বাচ্চা মানুষ। আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনার মন জয় করতে হলে অবশ্যই আইভীকে ক্ষমা চাইতে হবে। বড় ভাই হিসেবে আমি তাকে ক্ষমা চাইতে বলেছি। সে যদি ক্ষমা না চায় তাহলে আমার কিছু করার নাই। আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় তাহলে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগরে সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদাল, মহানগর আওয়ামীলীগরে সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সহ-সভাপতি রোকনউদ্দীন আহম্মদে, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগরে সভাপতি মজবিুর রহমান, বন্দর থানা আওয়ামীলীগরে সভাপতি এমএ রশিদ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগরে সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী,নারায়ণগগঞ্জ মহানগর প্রজন্মলেিগর সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন, সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদ মুস্তাহিদ খান, সোহেল মাহমুদ, ডা: কামরুল হাসান সরকার, শেখ সেলিম মাদবর প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ এডভোকেট হোসনে আরা বাবলি, রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী। দুপুর থেকে শহর, বন্দর, সোনারগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও ফতুল্লাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা মহাসমাবেশে যোগ দেয়। এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে ফেষ্টুন ব্যানার, প্লে-কার্ড নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেয়। সমাবেশের সুবিধার্থে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে যানচলাচল বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। বিকেল চারটা থেকে পাচটা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড দিয়ে যান চলাচলও। ফলে নগরীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। সন্ধা সাড়ে সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ যানজট অব্যহত ছিলো। যানজটের কারনে নগরবাসিকে প্রচন্ড দূর্ভোগে পড়তে হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বাস থেকে নেমে পায়ে হেটে বাড়ি ফিরেন।এছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জের দোকানপাট বন্ধ করে জনসভায় আসতে বাধ্য করা হয় বলে ভুক্তভোগী অনেকেই অভিযোগ করেন। জনসভার কারনে প্রধান সড়কগুলোতে যানজটের কারনে নগরীর প্রতিটি পাড়া মহল্লায়ও যানজট সৃষ্টি হয়।এছাড়া গতকাল নগরীর ফুটপাথগুলোও ছিলো হকারমুক্ত। হকারদের জনসভায় আসতে কঠোর নির্দেশ ছিলো বলে হকাররা জানায়। শামীম ওসমান বলেন, ৯৬ সালের আগে কোন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে একটি কথাও লেখা হয় নাই। কেউ কোন দিন খারাপ বলে নাই। সেদিন আমরা লংমার্চ ঠেকিয়ে দিয়েছিলাম-এটা সত্য। আমার কাছে খবর ছিল, অবশ্যই সর্ব্বোচ্চ পর্যায় থেকে খবর ছিল। যারা সাংবাদিক ভাই, সচেতন মানুষ আছেন তাদেরকে আহবান করবো, যান সেই দিনকার গোয়েন্দা সংস্থার ফাইল দেখেন। ডিজিএফআই, এনএসআই, সিটি এসবির ফাইল দেখেন। সেই ফাইলে লেখা আছে, খালেদা জিয়া ৯৮ সালে লং মার্চে যাচ্ছিলেন। সেই লং মার্চে জামায়াতও ছিল। সেই গাড়ির বহরে তিনটি বাসে মাটি কাটা লেবার ছিল। ফেনীর কোন এক জায়গায় সেই বাসগুলোকে উদ্দেশ্যে করে বোমা হামলা করে তাদেরকে হত্যা করা হতো। সেদিন চট্টগ্রামের দায়িত্ব ছিল সাকা চৌধুরী ও ঢাকার দায়িত্বে ছিল সাদেক হোসেন খোকা। তারা তখন বলতো খালেদা জিয়ার বহরে হামলা হয়েছে। শত শত কোটি টাকার বাজেট ছিল। যখন-এই খবর আমার কাছে আসলো-এই কাজটা করতে গেলে আমি তাদের চক্ষুশূল হবো। আমি তখন চিন্তা করলাম আমার রিস্কের কারণে যদি ৬০/৭০ জন লোকের প্রাণ বেঁচে যায় এবং বাংলাদেশের মানুষ যদি সংঘাত থেকে বেঁচে যায়। তাহলে আমার দায়িত্ব এই কাজটা করার। আমরা কিন্তু লং মার্চ আটকে রাখিনি, বিলম্বিত করেছিলাম। যেই সময় সরকারের কাছে খবর ছিল, সেই সময় লং মার্চের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব ছিল না। আমার দায়িত্ব ছিল গাড়িগুলো আটকে দেয়ার। যখন নির্দেশ এলো তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার জীবনের উপর কোন হুমকি নাই। তখন গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তখন বিরোধী দলীয় নেত্রী আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিলেন। তিনি দেখে নিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা হয়েছে। শামীম ওসমান আরো বলেন, আজ সারা বাংলাদেশে যখন জঙ্গীবাদের কথা বলছে। আমি আগে যখন জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতাম, তখন অনেকেই বলতে শামীম ওসমান এই তত্ত¡ পায় কই। তখন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের দলীয় নেত্রী সাহারা খাতুনও বলেছিলেন, দেশে জঙ্গীবাদ নাই। তখন আমি বলেছিলাম, জঙ্গীবাদ আছে। আজকে বিএনপির শাসুজ্জামান দুদু গত পরশু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কাশ্মিরের জনগণের পক্ষে। আমি এই বক্তব্যের গভীরে যেতে চাই। এই কাশ্মির কন্ট্রোল করতে চায়, লস্কর এ তৈয়্যবা, জয়শ-এ-মোহাম্মদ এর মতো আর্ন্তজাতিক জঙ্গী সংগঠনগুলো। বিএনপির নেতা দুদুর কথায় তা স্পষ্ট হয় তারা এসব আন্তজার্তিক জঙ্গী সংগঠন লস্কর এ তৈয়্যবা, জয়শ-এ-মোহাম্মদ’র সমর্থন চায়। তারা জানে জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই আজকে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। #

বক্তাবলীতে ১০টাকা কেজি চাউল বিক্রি কার্যক্রম শুভ উদ্ভোধন করেন হাজী এম.শওকত আলী।

সরকার প্রদত্ত হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিতরনের কার্যক্রম সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউপিতে শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে ১০টায় বক্তাবলী বাজারে এ কার্যক্রম শুভ উদ্ভোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান হাজী এম.শওকত আলী।

এ সময় আরো উপস্থিত বক্তাবলী ইউপি মেম্বার আতাউর রহমান প্রধান,হাজী মো.ওমর ফারুক,মো.রাসেল চৌধুরী,আকিলউদ্দিনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ইউপির ৯টি ওয়ার্ডের মো.রমজান বেপারী,রাকায়েত বেপারী ও মন্নাফ ৩জন ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরের চাউল বক্তাবলীতে বিক্রি করা হবে।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী এম.শওকত আলী ডিলারদের উদ্দেশ্যে বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সামনে এগুচ্ছেন। তার এ মহৎ উদ্দেশ্যেকে সফল করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি ডিলারদেরকে বলেন,কোনভাবেই যেন ১০টাকা কেজি দরের চাউল হতদরিদ্র বাদে অন্যকোন স্থানে বিক্রি না হয়। যদি কোন ডিলারদের বিরুদ্ধে এরুপ কোন অভিযোগ উঠে তাহলে তাদের ডিলারশিপ বাদ করা সহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১০টাকা কেজি দরের চাউল বিক্রির প্রথম দিনেই ইউপিতে ১৫০০ জন হতদরিদ্র চাউল সংগ্রহ করেন।

ওবায়দুল কা‌দেরের বক্তব্যে জাতি হতাশ : রিজভী আহমেদ

সঙ্কট সমাধা‌নে সংলাপ বা আ‌লোচনা নাকচ ক‌রে দি‌য়ে আওয়ামী লী‌গের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কা‌দেরের বক্তব্য জা‌তি‌কে হতাশ ক‌রে‌ছে ব‌লে মন্তব্য করে‌ছেন বিএন‌পির সি‌নিয়র যুগ্ম মহাস‌চিব অ্যাড‌ভো‌কেট রুহুল ক‌বির রিজভী।

শুক্রবার বেলা সোয়া এগারটার দি‌কে রাজধানীর নয়াপল্ট‌নে বিএন‌পির কেন্দ্রীয় কাযাল‌য়ে এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে তি‌নি এ কথা ব‌লেন।

রুহুল ক‌বির রিজভী ব‌লেন, আমরা আ‌গে থে‌কে জা‌নি ক্ষমতাসীনরা কেন আ‌লোচনায় বস‌তে চান না। শেখ হা‌সিনার অধী‌নে নির্বাচ‌নে গে‌লে কী হ‌বে তার উপ‌দেষ্টা এইচ টি ইমাম ব‌লে‌ছেন, নির্বাচ‌নের প্রস্তু‌তি গু‌ছি‌য়ে রে‌খে‌ছিলাম। অর্থাৎ ভোট যাই হোক ফলাফল শাসক দ‌লের প‌ক্ষে। শাসক দল ফের এ রকম এক‌টি নির্বাচন কর‌তে চায়। তাই তারা আ‌লোচনায় বস‌তে চান না।

তি‌নি ব‌লেন, শাসক দ‌লের অঙ্গ সংগঠ‌নের নেতাকর্মী‌দের দ্বারা নারী নির্যাতন রে‌ড়েই চল‌ছে। এ‌দের উপদ্র‌বে ছে‌লে‌মে‌য়েরা স্কু‌লে যে‌তে পা‌রে না। রাজধানীসহ সারা দে‌শে দিন‌দিন ক্ষমতাসীন‌দের নির্যাত‌নের ভয়াবহতা বাড়‌ছে। বিচা‌রের হাত অপরাধী‌দের দি‌কে প্রসা‌রিত হ‌চ্ছে না। কারণ তারা শাসক দ‌লের কর্মী। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হ‌য়েও কিভা‌বে নি‌শ্চুপ থা‌কেন তা জনগ‌ণের ম‌নে প্রশ্ন।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে আরো উপ‌স্থিত ছি‌লেন,‌ বিএন‌পির যুগ্ম-মহাস‌চিব খায়রুল ক‌বির খোকন, আন্তর্জা‌তিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড‌ভো‌কেট মাসুদ আহ‌মেদ তালুকদার, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আ‌জিজুল বারী হেলাল, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু,‌ বেলাল আহ‌মেদ প্রমুখ।

ইশ্বরের নির্দেশ! আর গালি দেবেন না ফিলিপিনের প্রেসিডেন্ট

ফিলিপিনের প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতার্তে সম্প্রতি বার বার সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন খুবই বাজে ভাষায় বিভিন্ন দেশের নেতাদের গালিগালাজ করে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট দুতার্তে এখন দাবি করছেন, এরকম গালিগালাজ বন্ধ করার জন্য তিনি ঐশীবাণী শুনেছেন। নইলে তাকে বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে তাকে।

আমি একটি কন্ঠ শুনতে পেলাম আমি যেন গালি দেয়া বন্ধ করি। নইলে মধ্য আকাশ থেকে আমার বিমান বিধ্বস্ত হবে। কাজেই আমি প্রতিজ্ঞা করছি আর বাজে কথা বলবো না।

জাপানে এক সফর থেকে নিজের শহর ডাভাও-তে ফিরে প্রেসিডেন্ট দুতার্তে তার এই সংকল্পের কথা জানান।

প্রেসিডেন্ট দুতার্তে যে ভাষায় বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের নেতাদের গালাগালি করেন, তার কারণে অবশ্য স্বদেশের মানুষের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বাড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামাকে তিনি “কুকুরের বাচ্চা” বলে গালি দেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে “ভন্ড” বলে বর্ণনা করেন। এমনকী তিনি জাতিসংঘ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা দেন।

হিটলারের সঙ্গে নিজের তুলনায় খুশি হয়ে তিনি দরকার হলে তিরিশ লক্ষ মাদকাসক্তকে হত্যা করতে রাজি বলে জানান।

প্রেসিডেন্ট দুতার্তে নিজ দেশে মাদক ব্যবসা এবং মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ চালাচ্ছেন, সেটার সমালোচনার জবাবে এসব কথা বলেন।

তবে এখন থেকে নিজের বক্তৃতায় আর কোন বাজে শব্দ, কথা আর ব্যবহার করবেন না বলে অঙ্গীকার করছেন তিনি।

তবে এই অঙ্গীকার তিনি মেনে চলবেন কীনা, তাকে তিনি শর্তসাপেক্ষ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ঈশ্বরকে কথা দেয়া মানে, ফিলিপিনের জনগণকে কথা দেয়া। তবে এই কথা তিনি রাখবেন কীনা, সেটা নির্ভর করবে সময়ের ওপর।

ফিলিপিনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতো প্রেসিডেন্ট দুতার্তেও রোমান ক্যাথলিক ধর্মের অনুসারী। কিন্তু রোমান ক্যাথলিকদের ধর্মগুরু পোপকেও তিনি “পতিতার বাচ্চা” বলে গালি দেন।

প্রেসিডেন্ট দুতার্তে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশের দীর্ঘদিনের মৈত্রীর সম্পর্ক ছেদ করতে চান বলে জানান। তিনি বলেন, মার্কিন সেনারা আগামী দুবছরের মধ্যে ফিলিপিন ছেড়ে যাচ্ছে, সেটাই তিনি দেখতে চান। -বিবিসি

বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যার বিচার প্রক্রিয়া আবারো প্রশ্নবিদ্ধ

বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যায় দায় মুক্তি বা বিচার এড়ানোর অভিযোগ তুলেছে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্তর্জাতিক সংগঠন সিপিজে৷ তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশে অন্তত সাত জন সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় দায়মুক্তির কথা বলেছে তারা।

তবে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিজম বা সিপিজে যে সাত জনের নাম বলেছে তাদের মধ্যে মাত্র দুই জন পেশাদার সাংবাদিক, বাকি পাঁচ জন ব্লগার বা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট৷ সিপিজের প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক হত্যার বিচার এড়ানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এ বছর ১১তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এর আগের বছর বাংলাদেশ ছিল ১২তম স্থানে৷ তার মানে হলো. সিপিজে’র বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থার অবনতি ঘটেছে৷

সিপিজে’র তালিকার শীর্ষে আছে সোমালিয়া৷ দেশটি দ্বিতীয়বারের মতো শীর্ষে অবস্থান করছে৷ সোমালিয়ার পরে আছে যথাক্রমে ইরাক, লিবিয়া, ফিলিপাইন্স, দক্ষিন সুদান, মেক্সিকো, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ব্রাজিল, রাশিয়া, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া ও ভারত৷

সাংবাদিক হত্যার মামলাগুলোর সন্দেহভাজনদের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসসহ অপরাপর জঙ্গি সংগঠন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি ৪০ শতাংশ ঘটনায় জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়৷ সেখানে বলা হয়, ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সাংবাদিক হত্যার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এবারের তালিকাটি করা হয়েছে৷ এই সময়কালে অন্তত পাঁচটির বেশি অমীমাংসিত সাংবাদিক হত্যা মামলা রয়েছে এমন দেশের সংখ্যা ১৩টি৷ গত বছর এই তালিকায় এমন দেশের সংখ্যা ছিল ১৪৷ তালিকার ক্ষেত্রে যেসব মামলায় কারো কোনো শাস্তি হয়নি, সেসব মামলাকে অমীমাংসিত হিসেবে ধরা হচ্ছে৷ আর যেসব মামলায় অপরাধীদের মধ্যে সবাইকে আইনের আওতায় আনা যায়নি, সেগুলোকে আংশিক অব্যাহতি হিসেবে ধরা হলেও তালিকাভূক্ত করা হয়নি৷

সিপিজে বাংলাদেশের যে ৭ জনের হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বিচার না হওয়ার কথা বলছে, তাদের ২ জন সরাসরি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত ছিলেন৷ সেই দুজন হলেন, ২০১৪ সালের ২১ মে  নিহত সদরুল আলম নিপুল এবং ২০১২ সালের ১৫ জুন নিহত জামাল উদ্দীন৷ আর বাকি পাঁচ জন, অর্থাৎ উল্লেখিত ব্লগার-অ্যাক্টিভিস্টরা হলেন, ২০১৫ সালে নিহত ফয়সাল আরেফীন দীপন, নিলয় নীল, অনন্ত বিজয় দাশ, ওয়াশিকুর রহমান বাবু এবং অভিজিত রায়৷ ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার বিচার হওযায় ওই মামলাটি এই তালিকায় নেয়নি সিপিজে৷ সিপিজে বলছে, বাংলাদেশে হত্যাকারীদের নিশানায় ছিলেন সেক্যুলার ব্লগার এবং মাদক চোরাচালান সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা সাংবাদিক৷

বাংলাদেশে ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২২ জন সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে৷ আর ২০০৬ সাল থেকে পরের ১০ বছরে হত্যার শিকার হয়েছিলেন ৬ জন৷ এই হিসেবে অবশ্য ব্লগাররা নেই৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার অধ্যাপক ড. সফিউল আলম ভুইয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, বাংলাদেশে শুধু সাংবাদিক হত্যা নয়, যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতেই অনেক সময় লাগে৷ এটা প্রচলিত আইনের ত্রুটি৷ উদ্দেশ্যমূলকভাকে সাংবাদিক হত্যার বিচার বিলম্বিত করা হয় তা আমার মনে হয় না৷ তবে তিনি মনে করেন, হত্যাকাণ্ডের বিচার ত্বরান্বিত করতে আইন সংশোধন করা যেতে পারে৷

অন্যদিকে সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান মনে করেন, এসব জরিপ নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ আছে৷ ব্লগাররা মুক্তমনা৷ তাদের সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভূক্ত করে এই জরিপ গ্রহনযোগ্য হবেনা বলেই মনে হয়৷

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যার নানা ধরণ আছে৷ এর ভিতরে পেশার কারণে কতটি হত্যাকান্ড ঘটেছে, তা অনুসন্ধান করা প্রয়োজন৷ তবে সাংবাদিক হত্যায় যারা জড়িত, তারা শক্তিশালী এবং তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে৷ এ কারণে তারা অনেক সময় পার পেয়ে যায়৷ আবেদ খান আরো বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত ব্রিটিশ আইন আসামিদের পক্ষে, বাদির পক্ষে নয়৷ বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে এটিও একটি বড় বাধা৷-ডয়চে ভেলে।