৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 110

বক্তাবলীতে শওকত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নৌকার বিশাল শোডাউন

বক্তাবলীতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলী।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বক্তাবলীতে শামীম ওসমানের নৌকার পক্ষে প্রায় ২০ হাজার লোকের উপস্থিতিতে বিশাল মিছিল বের করে রেকর্ড করেন।এত লোকের মিছিল বক্তাবলীবাসী আগে কখনো দেখেনি বলে মনে করেন অনেকে।

বুধবার(২৬ ডিসেম্বর)বিকাল সাড়ে ৩ টায় কানাইনগর স্কুল মাঠ থেকে মিছিল বের হয়ে রাধানগর,প্রসন্ননগর,বিসমিল্লাহ মার্কেট,রামনগর,লক্ষীনগর,রাজাপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বক্তাবলী বাজারে এসে শেষ হয়।

নৌকার পক্ষে মিছিল শুরুর পূর্বে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন,আজ আপনাদের বিশাল উপস্থিতি দেখে আমি আপ্লুত। এতে প্রমান হয় আপনারা শামীম ওসমানকে ভীষন ভালো বাসেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে শামীম ওসমান কে আপনাদের ভালবাসার উপহার হিসেবে এমপি নির্বাচিত করবেন।

বিশাল নৌকা মিছিল বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর নেতৃত্বে কানাইনগর স্কুল মাঠ থেকে বের হয়।এর আগে বক্তাবলী ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ড হতে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষ কানাইনগর স্কুল মাঠে এসে উপস্থিত হয়।
বিশাল নৌকার পক্ষে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল হোসেন প্রধান,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজউদ্দিন ভূইয়া কন্ট্রাক্টর,সাধারন সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া,জেলা তাতী লীগের সাধারন সম্পাদক ভিপি আলমগীর হোসেন,শফিক মাহমুদ পিন্টু,প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মাষ্টার,আতাউর রহমান প্রধান।
বক্তাবলী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি শাহজালাল কয়েল,ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো.নাজির হোসেন,আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব আবুল হোসেন, নাসিরউদ্দিন মাদবর,খোরশেদ মাস্টার, হাজ্বী আব্দুর রহিম,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মনির হোসেন,আকিলউদ্দিন,আমজাদ হোসেন বাধঁন,জলিল গাজী,আব্দুল মতিন,রাসেল চৌধুরী,ওমর ফারুক,মহিলা মেম্বার হাজেরা বেগম,মরিয়ম বেগম,কুলসুম বেগম,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সদরউদ্দিন সদু,সাধারন সম্পাদক আব্দুল আলিমসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তাবলী ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার, ভোটার রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার।

নারায়ণগঞ্জে যুবলীগের কার্যালয়ে গুলি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সোনারগাঁ উপজেলায় যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা ও গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় যুবলীগ কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের মহাজোট প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থকরা একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থকদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থক কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমরের ভাই বাবু ওমরের নেতৃত্বে রাশেদ, শহীদ, শাহ আলম মেম্বার, মাহবুব, আমজাদ, কালাম, নুরে আলম ভূঁইয়াসহ ৫০-৬০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা ও হকস্টিক নিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সারের সমর্থক কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানের কার্যালয়ে হামলা চালায়।

এ সয়ম বাবু ওমর পাঁচটি গুলি ছোড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে যুবলীগের কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল ও গ্লাস ভাঙচুর করে। হামলায় যুবলীগ নেতা এনামুল, আশরাফুল, রবি, জনি, মাহবুব, আরিফুল, খোকন ও মাসুমসহ ১৪ জন আহত হয়। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হামলার খবর সংগ্রহ করতে প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আব্দুল আলীম ঘটনাস্থলে গেলে যুবলীগ কার্যালয়ে হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে আহত করে। আহত সাংবাদিক স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, আমার জনপ্রিয়তা সোনারগাঁয়ে সকল প্রার্থী থেকে এগিয়ে। আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই মানুষের ঢল নামে। এ জন্য মহাজোটের প্রার্থীর লোকজন আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে এবং যুবলীগের অফিস ভাঙচুর করে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর সেলিম মিয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

‘আইএসআই’ আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কিছু একটা ঘটানোর চেষ্টা করবে–শামীম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই গোপন বৈঠক করছে দাবি করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কিছু একটা ঘটানোর চেষ্টা করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত রাজনীতিবিদ শামীম ওসমান এ দাবি করেন।

শামীম ওসমান বলেন,তারেক জিয়ার পরিকল্পনা ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর মাধ্যমে নির্বাচনে ভয়ংকর নাশকাতা ঘটাতে নারায়ণগঞ্জকে টার্গেট করা হয়েছে।

নাশকতার এসব ঘটনা ঘটাতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ধানের শীষে প্রতীক তুলে দেওয়া হয়েছে জমিয়েত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মনির হোসেন কাসেমীর হাতে। তাই তার ওপর কোন ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচন বানচালের কোন ষড়যন্ত্র যাতে না হয় এবং সে লক্ষ্যে কাসেমীকে নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে লিখিত ভাবে আহবান জানিয়েছেন শামীম ওসমান।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জে কারা প্রবেশ করছে সে বিষয়ে নজর রাখার আহবান জানান।
শামীম ওসমান বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য তারেক জিয়া পাকিস্তানের আইএসআই এর সহায়তায় নিয়ে দেশে ভয়ংকর কিছু ঘটাতে চাইছে। এজন দেশের বিভিন্ন জেলার মত নারায়ণগঞ্জকেও টার্গেট করা হয়েছে। আর টার্গেট পরিপূর্ণ করতে বেছে নেয়া হয়েছে ধানের শীষের প্রার্থী মনির হোসাইন কাসেমীকে।

তিনি এসব তথ্য দিয়ে বলেন, “আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকটি স্থানে ও বাসায় পাকিস্তানি নাগরিক নিয়ে গোপন বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে নির্বাচনে বড় ধরণের নাশকতা ঘটানো হবে। এ জন্য দেশী বিদেশী কিছু অপশক্তি জেলায় ইতিমধ্যে প্রবেশ করেছে। আর এজন্য ধানের শীষের প্রার্থী কাসেমী বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ কম করছেন। কিন্তু কাসেমী বিভিন্ন স্থানে রাস্তার মধ্যে দামী দামী গাড়ীর মধ্যে অচেনা অজানা লোকদের সঙ্গে মিটিং করছে। ওই সব গাড়ীর নেম প্লেট পর্যন্ত নেই।
শামীম ওসমান বলেন, আরো অবাক হচ্ছি। নারায়ণগঞ্জে কারো ওপর আমাদের পক্ষ থেকে কোন ধরণের বাধা দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু কাসেমী নাটক সাজিয়ে অভিযোগ করছে তার ওপর হামলা হচ্ছে। তাকে বাধা দেয়া হচ্ছে। তার এসব কর্মকা-ে প্রতীয়মান হচ্ছে ও আমার কাছে প্রাপ্ত তথ্যে মিল পাচ্ছি যে তারা একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। এসব মিথ্যা অভিযোগ ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রাথমিক কর্মকা-মাত্র।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে ১৬ জুন বোমা হামলাটি আমার ওপরই হয়েছিল। তাই কোন ঘটনার আশংকটা আমি আগে টের পাই। তারা যে কোন মানুষের ওপর হামলা করতে পারে। হতে পারে তারা সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ বা সাধারণ মানুষ। লক্ষ্য একটাই জেলাকে টার্গেট করে কোন নাশকতা ঘটিয়ে সারাদেশকে অস্থিতিশীল করা। আর এটা তারেক জিয়াকে দিয়েই সম্ভব। কেননা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পুরো পরিকল্পনা ছিল এই নরঘাতকের। ইতমধ্যে বিচার কার্যক্রমে দন্ডিত হয়ে নাটের গুরু হিসাবে সে চিহ্নিত হয়েছে।
শেষতক তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, যেহেতু প্রার্থী কাসেমীকে নির্ভর করে ভয়াবহ হামলার আশংকা করছি সেহেতু কাশেমীকে নির্বাচনী সব কর্মকা-ে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়াসহ জেলায় দেশী ও বিদেশী অপশক্তির প্রতি প্রশাসনের কড়া নজরদারির দৃষ্টি আকর্ষন করছি। যাতে কাসেমীর মাধ্যমে কোন নাটক রচিত হতে না পারে।
তিনি সাংবাদিকদের অবগত করে জানান, এ তথ্য ও অভিযোগুলোর লিখিত একটি চিঠি জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়েছে।

ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে শামীম ওসমানের ক্যাম্পে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ক্যাম্পের চেয়ার টেবিল ও পোস্টার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ফতুল্লার পাগলার পূর্ব রসুলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতরাত ২টার দিকে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের পূর্ব রসুলপুরে ১৫/২০ জনের একটি দল ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে করতে সামনের দিকে যায়। এর কিছুক্ষণ পর শামীম ওসমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেখা যায়। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো ক্যাম্প পুড়ে যায়। এছাড়া আগুনের লেলিহান শিখায় রাস্তায় সাঁটানো নৌকার পোস্টারও পুড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ক্যাম্প পুড়ে ছাই হয়ে যায় যায়।

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, গভীর রাতে ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে শামীম ওসমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়ে পুরো ক্যাম্প জ্বালিয়ে দেয়। স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতসহ বহিরাগত লোকজন পরিকল্পিতভাবে সেখানে আগুন দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কুতুবপুরে বিএনপির অর্ধশত নেতা আওয়ামী লীগে যোগদান

শেখ মোঃ সেলিমঃ কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলতাফ মাহমুদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। মঙ্গলবার বিকেলে ফতুল্লা শাহজাহান রোলিং মিল এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেলের হাতে ফুলের নৌকা উপহার দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুমন আকবরসহ গ্রেফতার-৩

ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকবর আলী সুমনসহ দলটির ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে এবং আগেরদিন সোমবার রাতে বক্তাবলী ও মুসলিমনগর থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

ধৃত অন্যরা হলেন-বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আলাউদ্দিন বারী ও বায়েজীদ।

তাদের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস শাফীউল আলম।

তিনি জানান,তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। সে মামলায় দুইজনকে আদালতে প্রেরণ করেছি।

বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকবর আলী সুমন ও বায়েজীদকে আদালতে প্রেরণ করলেও জাদুর কাঠিতে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আলাউদ্দিন বারী মুক্তি পান।

শামীম ওসমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় (নারায়ণগঞ্জ-৪) আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ক্যাম্পের চেয়ার টেবিল ও পোস্টার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ার আগেই স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।  মঙ্গলবার ভোরে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের মধ্য রসুলপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে।

কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, ভোরে দুর্বৃত্তরা কেরোসিন ঢেলে আমাদের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা অন্তত ৪০/৫০ ফুট পর্যন্ত উপরে উঠে।

এতে ক্যাম্পের ভিতরে থাকা চেয়ার টেবিলসহ বিপুল পরিমানে পোস্টার পুড়ে ছাই হয়েগেছে।  খবর পেয়ে আশাপাশের লোকজন ঘুম থেকে উঠে এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এরপর ক্যাম্পের চারপাশে আমরা কেরোসিনের গগ্ধ পেয়েছি।  এতে ধারনা করছি দুর্বৃত্তরা কেরোসিন দিয়ে আগুন দিয়েছে।  থানায় খবর দিয়েছি।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মো. মঞ্জুর কাদের পিপিএম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।  তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নৌকার ভোট চাওয়ায় সেন্টুকে বিএনপি থেকে বহিস্কার

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চাওয়ায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুল আলম ওরফে সেন্টু চেয়ারম্যানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে বিএনপির সহ–দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মনিরুল আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মনিরুল আলম সেন্টুর দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার পঞ্চবটীতে নির্বাচনী সভায় শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চান ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুল আলম।

জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গত শনিবার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চবটীতে নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুল আলম শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চান। এই ঘটনার পর বিএনপির নেতা–কর্মীরা তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। এ নিয়ে গতকাল প্রথম আলোর ৭ নম্বর পাতায় ‘নৌকায় ভোট চাইলেন বিএনপি নেতা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনে ২০ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৪৫ ভোটার, ৭৪৫ টি কেন্দ্র, ঝুকিপূর্ণ ৪১৮ টি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনে ৭৪৫ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৪১৮ টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা নির্বাচন কমিশন ও আইনসৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

যে কারনে ভোট কেন্দ্রগুলোর সুষ্ঠু পরিববেশ ও শান্তি বজায় রাখতে ঝুকিপূর্ন কেন্দ্রগুলোকে ঝুকিপূর্ন ছক বা গুরুত্বপূর্ন ছক বলে অভিহিত করা হয়েছে। আর বাকীগুলো সাধারণ কেন্দ্র বা ছক হিসেবে ধরা হয়েছে।

ঝুকিপূর্ন কেন্দ্র বা গুরুত্বপূর্ন ছকগুলোতে অধিকতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশ, আনসার ও গ্রামপুলিশের তালিকা অনুযায়ী এসব কেন্দ্রে অস্ত্রসহ থাকবে দুইজন পুলিশ, একজন আনসার ও একজন অঙ্গিভূত আনসার।এছাড়া ৪ জন করে মহিলা ও ৬ জন পুরুষ আনসার সদস্য থাকবে। আরো থাকবে গ্রাম পুলিশ একজন।

অন্যদিকে সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ একজন পুলিশ, একজন আনসার, একজন অঙ্গিভূত আনসার থাকবে। এছাড়া৪ জন করে মহিলা ও ৬ জন পুরুষ আনসার সদস্য থাকবে।

এর বাইরে পুলিশ সদস্য ছাড়াও ভ্রাম্যমান আদালতের ১৫ জন শ্যজিষ্ট্রেটসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

নির্বাচন কমিশনের সুত্রমতে,নারায়ণগঞ্জ-১(রুপগঞ্জ) আসনে ১২৭ টি কেন্দ্রের মধে ৫১ টি,২ (আড়াইহাজার) আসনে ১১৩ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০ টি,৩ আসন (সোনারগাঁও) আসনে ১১৮ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫২ টি,৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ২১৬ টির মধ্যে ১৬৭ টি এবং ৫ (সদর-বন্দর) আসনে ১৭১ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৮ টি ঝুকিপূর্ণ।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৪৫ জন।

আওয়ামীলীগের ২২ ‘যুদ্ধাপরাধীর’ তালিকা দিল বিএনপি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের ২৩ জন যুদ্ধাপরাধী বা তাদের পরিবার কোনো না কোনভাবে ৭১’ সালে পাকিস্তান সরকার ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এসব নেতা ঘৃণিত ভূমিকা পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বনে গিয়েছেন।

রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী, আপনিই তো জামালপুরের নুরু রাজাকারের গাড়িতে প্রথম পতাকা দিয়েছেন। এখনও আপনার দলে স্বাধীনতাবিরোধীদের ভিড়। জনগণকে প্রতারিত করে প্রধানমন্ত্রী আবারও মুক্তিযুদ্ধকে বিক্রি করে চলেছেন।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, এমন অভিযোগে এক ডজন ব্যক্তির বিচার করেছে ক্ষমতাসীন সরকার।

‘আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের কথিত স্বপক্ষ শক্তি দাবি করে এ বিচার করলেও তাদের দলে থাকা রাজাকারদের ব্যাপারে একেবারে নীরব।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কুখ্যাত রাজাকার, আল বদর, আল শামস, গণহত্যকারী, গণধর্ষণকারী, অগ্নিসংযোগকারীসহ অসংখ্য ব্যক্তি স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী লিপ্ত ছিলেন।

‘এই ব্যক্তিরাসহ তাদের সন্তান-সন্তুতি এখন আওয়ামী লীগের বড় নেতা বা তাদের টিকিটে নির্বাচন করছেন। কিন্তু এখন তারা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের এসব ‘যুদ্বাপরাধীর’ নাম ও তাদের পরিবারের কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরেন রিজভী। 

আওয়ামী লীগের যেসব নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন-

১.অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ২.লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান ৩.ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন,৪.অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ৫.সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ৬.কাজী জাফর উল্লাহ ৭.মুসা বিন শমসের ৮. মির্জা গোলাম কাশেম ৯.এইচ এন আশিকুর রহমান,১০. মহিউদ্দিন খান আলমগীর ১১.মাওলানা নুরুল ইসলাম,১২.মজিবর রহামান হাওলাদার ১৩.আবদুল বারেক হাওলাদার ১৪.আজিজুল হক ১৫.মালেক দাড়িয়া ১৬. মোহন মিয়া ১৭.মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া ১৮.রেজাউল হাওলাদার ১৯.বাহাদুর হাজরা ২০.আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার ২০.আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার ২১.হাসেম সরদার ও ২২.আবদুল কাইয়ুম মুন্সি।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী ২৩ জনের কথা উল্লেখ করলেও তালিকায় ২২ জনের নাম দেয়া হয়েছে। 
(যুগান্তর)