৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 142

ফতুল্লার কাশীপুরে তাঁতীলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

ফতল্লায় কাশীপুরে ইউনিয়ন তাঁতীলীগের কর্মী সভা বুধবার (১১ জুলাই) বিকালে দেওয়ানবাড়ি এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফতুল্লা থানা তাঁতীলীগের সহসভাপতি কমান্ডার মোস্তফা কামাল কামালের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি আতিক হাওলাদারের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলহাজ্ব আলমগীর হোসেন।

সভায় তিনি বলেন, শামীম ওসমানের বিকল্প শামীম ওসমনাই। কারণ তিনি কর্মীদের মনের কথা বুঝেন। শুধু তাই নয়, উন্নয়নেও শামীম ওসমানের তুলনা নেই। তিনি আরও বলেন, জননেতা শামীম ওসমানের উন্নয়নমূলক কাজগুলো আপনারা ঘরে ঘরে পৌছে দিবেন।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন-জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাশফীকুর রহমান শিশির, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজির হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেববক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতার হোসেন, ফতুল্লা থানা তাঁতীলীগের সভাপতি মোঃ মিলন মোল্লা, সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান, ফতুল্লা থানা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলন মাদবর, বিপ্লব, মোঃ জসিম, মুসলিম, সাগর, শাহনেওয়াজ আক্তার লায়লা, কাশীপুর ইউনিয়ন তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাকিব।
আকতার হোসেনের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মনির হোসেন, নুরুল হক, মুসা, অপু সওদাগর, সারোয়ার প্রমুখ।

ফতুল্লার বক্তাবলীর শীর্ষ ৩ মাদক ব্যবসায়ী

ডেস্ক নিউজঃ মাদকের কড়াল গ্রাসে আক্রান্ত ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলি। দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কিশোর, যুবক সহ সর্বপেশার মানুষ। মাদক বিক্রেতাদের নির্মূল করার কথা যে আইন শৃংখলা বাহিনী তাদেরই কিছু অপদার্থ পুলিশ মাদক বিক্রেতাদের সোর্স বানিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করাসহ ব্যাপক হারে মাদক বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বক্তাবলী মাদক নির্মূল কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতার আত্মীয় স্বজনরা মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে মাদক বিক্রি করতে সহযোগিতা করছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বক্তাবলীতে মাদক বিক্রেতারা এতই সুসংগঠিত যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভোটের কথা বিবেচনা করে মাদক নির্মূলে কঠোর ভুমিকা নেয়া হতে বিরত থাকেন। কেননা মাদক বিক্রেতারা প্রভাবশালী ও প্রতিজনের বংশে রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভোট। এ জন্য তারা মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ব্যবস্থা নেয়া হতে নীরব ভুমিকা পালন করে থাকে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে পুরো বক্তাবলী ৫০ জন মাদক সম্রাট ও প্রায় শতাধিক সহযোগীর নিয়ন্ত্রনে ইয়াবা, গাজা, ফেন্সিডিল কেনা বেচা চলে প্রতিদিন। মাদক বিক্রেতাদের উৎপাতে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ হলেও পুলিশের সহযোগিতায় মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে কতিপয় মাদক বিক্রেতারা।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ৫০ মাদক বিক্রেতার গডফাদার হচ্ছে রামনগর গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর পুত্র রহিম বাদশা। যিনি কয়েক মাস আগে পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছিল মাদক বিক্রি করবেনা। পুলিশের হাত থেকে হয়রানি যেন না হয় সেজন্য সরকারী দলের একজন অঙ্গ সংগঠনের নেতা দিয়ে নাটক সাজিয়ে ছিল। রহিম বাদশা ডিলার বক্তাবলীর মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত। আর এই মাদক সম্রাটের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত মধ্যনগরের মৃত সেকান্দারের পুত্র হালিম ও রামনগরের মৃত মিন্নত আলীর পুত্র হবুল।

এর পরই রয়েছে একই এলাকার শরীয়ত উল্লাহ পুত্র জাকির হোসেন,মৃত লাল চানের পুত্র মোঃ হোসেন, মেন্দা জাকিরের পুত্র ওসমান, সাহাবুদ্দিনের পুত্র বাদশা,আব্দুুল আওয়ালের পুত্র জসিম উদ্দিন, আছমতের পুত্র কানা আজিজ, কছিমুদ্দিন কইচ্ছা,লক্ষীনগর গ্রামের মৃত জমশের আলীর পুত্র আছান মিয়া, একই গ্রামের মৃত আব্দু‍ুল মতিন, মৃত ফজল সরদারের পুত্র তৌহিদুল, বাচ্চুর পুত্র রবিউল ও রাসেল, নুরা মিয়া ফকিরের পুত্র মরা মুক্তার,কলিমউল্লাহ’র পুত্র রুবেল, হযরত আলীর পুত্র আলমগীর, আতাউল্লাহর পুত্র ইব্রাহীম, জমশেরের পুত্র মানিক, মুসলিম মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেন,কানাইনগর গ্রামের হাবিজউদ্দিনের পুত্র শরীফ, একই এলাকার সোনা মিয়ার পুত্র দাদন ওরফে ডিলার দাদন, গংঙ্গানগর গ্রামের রহম আলীর পুত্র হানিফা, একই গ্রামের লালু কসাইয়ের পুত্র স্বপন, শাহজাহানের পুত্র মনির হোসেন,রাজাপুর গ্রামের মালেকের পুত্র অলি, একই এলাকার আহম্মেদের পুত্র মতিন, শাহজাহানের পুত্র ছালাউদ্দিন ছালু,হজিবলের পুত্র শফিক, চর প্রসন্ননগর গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র রতন, প্রসন্ননগর গ্রামের জয়নাল ফকিরের পুত্র হোসেন ( রহিম বাদশার সহযোগী),মিজান,গোপালনগর গ্রামের মৃত ইলিয়াছের পুত্র মাউচ্ছা জাকির,একই এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী সেলিনা,মৃত চান মিয়ার পুত্র আব্বাস, মধ্যনগর গ্রামের মৃত করিম মালের পুত্র শহীদ,মৃত মজিবরের পুত্র রফিকুল, চর বয়রাগাদী গ্রামে মৃত মোহর আলীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন, মৃত দুখাই মিয়ার পুত্র শহীদ, মধ্যনগর গ্রামের মানিক কসাইয়ের পুত্র আমান ও জামান, মৃত: সেকান্দরের পুত্র হালিম, চর প্রসন্ননগরের মনসুর আলীর পুত্র সফিক, কানাই নগর পশ্চিম এলাকার জামাল, চর বয়রাগাদী এলাকার মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে মনজুর, প্রসন্ন নগর গ্রামের আমিন উদ্দিনের পুত্র আব্দুল ও ছমিরনগর গ্রামের বাদশা উল্লেখ যোগ্য। এদের মধ্যে মতিন ও রাসেল ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই তাজুল ইসলামের সোর্স হিসেবে কাজ করে। তাজুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে রাসেল ও মতিন ইয়াবার ডিলার হলেও তাজুলের শেল্টার পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নিরীহ লোকদের হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা ধরাকে সরাজ্ঞান করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী শওকত আলী বলেন, আমি মাদকের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা আইন শৃংখলার মাসিক সভায় বহুবার বলেছি। কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা তা বোধগম্য নয়। আমি নিজে মাদকের বিরুদ্ধে এলাকার যুব সমাজকে রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। এক সময় বক্তাবলী মেধাশূন্য হয়ে পড়বে মাদকের কারনে। ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই তাজুল ইসলাম বলেন, আমি খারাপ লোকের সাথে মিশিনা। ওরা কাউকে হয়রানি করেছে এমন প্রমান থানায় দিতে পারলে ব্যবস্থা নিব। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)শাহ মঞ্জুল কাদের (পিপিএম)বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে। আমরা রুটিন মাফিক বক্তাবলীতে অভিযান চালাবো। দেশ উন্নত হচ্ছে যুব সমাজ মাদক সেবন করে ঝিমুবে তা হতে পারেনা।

নিখোঁজ স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষের ৫ টুকরো লাশ উদ্ধার

শহর প্রতিনিধি:নিখোঁজের ২১ দিন পর শহরের আমলাপাড়া এলাকার বন্ধুর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে কালিরবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল (৯ জুলাই) রাত ১১টার দিকে আমলাপাড়ার ১৫ কে সি নাগ রোডের রাশেদুল ইসলাম ওরফে ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে অভিযান চালায় পুলিশ। তারা সেপটিক ট্যাংক খুলে ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে ৩টি বস্তায় প্রবীর ঘোষের ৫ টুকরো খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে। তবে খন্ডিত লাশ উদ্ধার হলেও উদ্ধার হয়নি দুই পায়ের হাটুর নিন্মাংশ।

এ বাড়ির ২য় তলায় প্রবীর চন্দ্র ঘোষের বন্ধু পিন্টু দেবনাথ ভাড়া থাকতেন। পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রবীর চন্দ্র ঘোষের বন্ধু পিন্টু দেবনাথ ও বাপন ভৌমিককে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে, গত ১৮ জুন রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর বালুর মাঠের বাসা থেকে কালিরবাজার এসে নিখোঁজ হন স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ। নিখোঁজের ঘটনায় ১৯ জুন প্রবীরে বাবা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর প্রবীর ঘোষকে উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ।

প্রবীর ঘোষের সন্ধানকালে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলটি কুমিল্লার সীমান্ত এলাকায় ব্যবহার হওয়ার সন্ধান পায় পুলিশ। তারা মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে গিয়ে এর বাহক বাপন ভৌমিককে গ্রেফতার করে । বাপন ভৌমিক পুলিশকে জানায় পিন্টু তাকে এ মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করতে দিয়েছে। পুলিশ বাপনকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে। এরপরপরই গ্রেফতার করা হয় প্রবীরের বন্ধু পিন্টু দেবনাথকে।

জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টু দেবনাথ ও বাপন ভৌমিক জানায়, প্রবীর ঘোষের লাশ আমলাপাড়ার ১৫ কে সি নাগ রোডের রাশেদুল ইসলাম ওরফে ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে রয়েছে। এ তথ্য পাওয়ার পরপরই পুলিশ বাড়িটিকে ঘিরে রাখে। এবং ডোম নিয়ে এসে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তল্লাশী অভিযান চালায়। ৩টি বস্তায় খন্ডিত লাশ পাওয়া যায়। অনেক দিন হয়ে যাওয়ায় লাশটির খন্ডগুলোর বিকৃত হয়ে গেছে।

জানা গেছে, কিছু দিন আগে ভারতের কলকাতায় প্রবীর ঘোষের বন্ধু পিন্টু দেবনাথের ওপেন হার্ট সার্জারী হয়। এই প্রবীর ঘোষই ভারতে পিন্টুর চিকিৎসার জন্য সকল সহযোগিতা করে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, কেন এবং কি কারণে এ হত্যাকান্ড এ ব্যাপারে এখনো পুরোপুরি মুখ খোলে নি পিন্টু দেবনাথ এবং বাপন ভ্রৌমিক।

পুলিশ বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে, প্রবীর ঘোষের এক ভাই দীর্ঘদিন থেকে বিদেশে অবস্থান করছে। ঐ ভাইয়ের দেয়া টাকা নিয়েই প্রবীর ও পিন্টু স্বর্ণ ও সুদের ব্যবসা করছিলেন। এই টাকার একটি বিশাল অংশ পিন্টুর কাছে গচ্ছিত ছিলো। প্রবীর এ টাকার জন্য কিছুদিন ধরে পিন্টুকে চাপ দিয়ে আসছিলো।

পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই প্রবীর ঘোষকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কারণ এখনো সুস্পষ্ট নয়। গ্রেফতারকৃত পিন্টু দেবনাথ এবং বাপন ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা শুধুমাত্র লাশটি কোথায় আছে তা বলেছে।

কিভাবে হত্যা করা হয়েছে, কারা কারা জড়িত, কেনোই বা হত্যা করা হয়েছে এ ব্যাপারে তারা পুরোপুরি মুখ খোলেনি। যেহুতু লাশ উদ্ধার হয়েছে পুরো ঘটনাটি এখন পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এদিকে প্রবীর ঘোষের মৃত্যুর খবরে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারন ঘটে আমলাপাড়ার ১৫ কেসি নাগ রোড এলাকায়। লাশ উদ্ধারের খবরে একে একে আসতে থাকেন প্রবীর ঘোষের পরিবারের লোকজন, আত্মীয় স্বজন ও ব্যবসায়ী বন্ধুরা। বিলাপের সঙ্গে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তার এক আত্মীয়া। তবে লাশ উদ্ধারের স্থানে তার স্ত্রী, সন্তান এবং বাব মা কাউকে দেখা যায়নি।

প্রিয় ভাই হারিয়ে শোকে মূহ্যমান ইটালি প্রবাসী ছোট ভাই সৌমিক ঘোষ যুগের চিন্তা ২৪ কে বলেন, আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। ওরা মানুষ না। মানুষের আড়ালে নরপিচাশ। হত্যাকারীদের যেন বাংলাদেশের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয় এটাই এখন আমাদের চাওয়া।

এই ঘটনার পেছনে অন্যকারো হাত আছে দাবি করে কালীবাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী মার্কেটের সভাপতি সঙ্কর ঘোষ বলেন, ওরা দুজন মিলে হত্যা করেনি। এই হত্যার পেছনে অন্য কারো হাত আছে। আমরা চাই, হত্যার রহস্য উন্মোচন করে হত্যাকারী এবং হত্যার পরিকল্পনাকারী সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেয়া হোক।

নিখোঁজের পর থেকে উদ্ধারের দাবিতে হওয়া আন্দোলনে পিন্টু ও বাপন ভৌমিক সক্রীয় ছিলো জানিয়ে প্রবীর ঘোষের মামা বলেন, ওদের বারবার বলেছি ‘তোরা কিছু জানলে আমাগো বইলা দে, ওরা বলে নাই। ওরা আন্দোলন করছে। সবার লগে লগেই ঘুরছে। কেডায় জানে এমন বন্ধু নরপিচাশ হইয়া ধরা দিবো!

প্রবীর ঘোষের নিখোঁজের পর থেকেই তাকে উদ্ধারের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া স্বর্ণ শিল্পী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুকুল মজুমদার বলেন, আমরা চাই প্রবীর ঘোষের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় ‘ভুয়া ট্রাফিক সার্জেন্ট’ গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থেকে টাকা উত্তোলন করার সময় মো. রনি (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (০৯ জুলাই) দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। সে সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরী বাড়ি এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু ভুয়া কেইস স্লিপসহ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

রনিকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থান পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম।

তিনি জানান, আটককৃত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন স্থানে নিজেকে পুলিশের সার্জেন্ট পরিচয় দিয়ে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিলো। এদিন তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের কাছে কয়েকটি যানবাহনের নাম্বার নোট করে মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টাকালে তাঁকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, “আটক রনির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগি আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। রনির কাছ থেকে ভুয়া কেইস স্লিপসহ ৩ হাজার ৮‘শ ৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সে এ কাজ দীর্ঘদিন ধরেই করছিল।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপির অনশন পালন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনশন পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। তবে পুলিশি বাধা তেমন একটা না থাকলেও পূর্ব নির্ধারিত বিকেল ৪ টা পর্যন্ত না করে দুপুর ১২ টায় অনশনের সমাপ্তি করা হয়।

অপরদিকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে অনশনটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রুপ নেয়। শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ প্রেসব্লাবের পেছনে প্যারাডাইজ ভবনের সামনে টানা এক ঘন্টা কর্মসূচি পালন করে দলটি।

এদিন নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও ছিল অন্যন্য কর্মসূচির তুলনায় অনেক বেশি। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগানে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনশন পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। তবে পুলিশি বাধা তেমন একটা না থাকলেও পূর্ব নির্ধারিত বিকেল ৪ টা পর্যন্ত না করে দুপুর ১২ টা বাজতেই অনশনের সমাপ্তি টানা হয়।

অপরদিকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে অনশনটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রুপ নেয়। শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ প্রেসব্লাবের পেছনে প্যারাডাইজ ভবনের সামনে টানা এক ঘন্টা কর্মসূচি পালন করে দলটি। এদিন নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও ছিল অন্যন্য কর্মসূচির তুলনায় অনেক বেশি। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে পুরো এলাকা।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজি মনির, সহ-সভাপতি অ্যাড.আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, আব্দুল হাই রাজু, মনিরুল ইসলাম রবি, ব্যরিস্টার পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, সহ-সাংগঠনিব সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, জেলা যুবদল নেতা আশরাফুল হক রিপন, শহিদুর রহমান স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক মন্টু মিয়া, ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওমর আলী, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী নুরুন্নাহার, রহিমা শরিফ মায়া ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজীব প্রমূখ।

বক্তারা সকলেই বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেন।

বক্তাবলির আকবরনগরে পুলিশি অভিযান টেটাসহ গ্রেফতার-১২

বক্তাবলির আকবরনগর থেকে বিপুল পরিমাণের টেঁটা ও চাপাতিসহ রহিম হাজি গ্রুপের ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (০৮ জুলাই) রাত ১১টা থেকে সোমবার (০৯ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত আকবর নগর গ্রামে টানা অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে টেঁটা,চাপাতি ও কুড়াল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আনোয়ার হোসেন, মাসুদ রানা, হান্নান মিয়া, সাইদুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, নুরুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম, সাজ্জাদ, মাসুদ, সামুসুল হক, হেলাল হোসেন ও আসলাম।

অভিযান ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, আকবরনগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামেদ আলী হাজি ও রহিম হাজি গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছে। এর জেরে প্রায় সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে এলাকা ছেড়ে অনেকেই অন্যত্র বসবাস করছেন এদের কর্মকাণ্ডে।

অপর একটি সূত্র জানায়, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হামলা পাল্টা হামলাসহ বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও একাধিকবার ঘটেছে। এসব ঘটনায় উভয় গ্রুপই পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলা দায়ের করেছে।

এদিকে স্থানীদের সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে, ফতুল্লার মধ্যে অত্যন্ত ভয়াবহ একটি অঞ্চল আকবর নগর। ফতুল্লা থানার শেষান্তে এবং কেরানীগঞ্জের সীমানা সংলগ্ন এই অঞ্চলে মূলত রাজত্ব করে কেরানীগঞ্জের মানুষ। এরমধ্যে কাশে নেতা নামে একজনের হুকুমই এখানে শেষ হুকুম বলে বিবেচ্য হয়ে থাকে।

সূত্রটি আরও জানায়, কাশেম নেতা এই অঞ্চলে ঘাটি করেন সামেদ আলী হাজির কাঁধে ভর করে। দীর্ঘদিন তাঁরা দু’জন এই অঞ্চলে রামরাজত্ব কায়েম করে। কিন্তু বছর কয়েক আগে তাঁদের সম্পর্কে ফাঁটল দেখা দিলে রহিম হাজিকে কাছে টেনে নেয় কাশেম নেতা। এতে করে কাশেম রহিমের শক্তি একত্রিত করে সামেদ আলীর প্রভাব খর্ব করতে থাকে তাঁরা। এ নিয়েই প্রয় সময় সংঘাত সংঘর্ষ।

এছাড়াও সামেদ আলী হাজি ও রহিম হাজি তাঁরা একে অপরকে ফাঁসাতে হেন কোনো অপকর্ম নেই যা করে না। এমনকি নিজেরাই নিজেদের লোক দিয়ে ধর্ষণ করিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার ঘটনাও ঘটেছে।

মঞ্জুর কাদের বলেন, “সামেদ আলী হাজি এ ঘটনায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা উভয় গ্রুপকেই সতর্ক করে দিয়েছি।”

অবশেষে মানবতার জয় হল-চিকিৎসায় ভালো আছেন পথশিশুর মা।

আবুল কালাম আজাদ: একজন অসুস্থ মা ফুটপাতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। পাশে তার দুই অবুঝ সন্তান। মাতৃসেবায় ব্যস্ত এ দুই ছোট্ট শিশু। মাথায় পানি ঢেলে মায়ের জ্বর প্রশমন করার চেষ্টা করছে বড় ছেলেটি। পাশে কারা যেন রুটি, কলা রেখে গেছে।পানি রাখার জন্য কোনো পাত্রও নেই তাদের। কুড়িয়ে পাওয়া মিনারেল ওয়াটারের বোতলেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছে শিশুটি। ছোট ছেলেটি আর কিছু করার ক্ষমতা নেই দেখে বিদ্যুতের একটি খুঁটিতে মাথা ঠেকিয়ে রেখে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে।রাজধানীর ধানমন্ডির সোবাহান বাগ মসজিদ সংলগ্ন ফুটপাথে ধারণ করা এমনই একটি ভিডিও গত শনিবার (০৭ জুলাই) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পোষ্ট করেছিলেন সাভার ভলেন্টিয়ার নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পারভেজ হাসান। ভিডিওটির সঙ্গে বিস্তর লিখে শেয়ার দেওয়ার পরপরই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। যা একপর্যায়ে সংবাদ মাধ্যমেও চলে আসে।এ নিয়ে রোববার নিউজ প্রতিদিন ডট নেটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ফুটপাত বাসীদের জীবনের এমন করুন চিত্র দেখে সেখানে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করে নানা মন্তব্য করছিলেন। আবার মা-ছেলেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইচ্ছে প্রকাশ করছিলেন অনেকেই।এমন সময় রোববার রাতে জানা গেল সেদিন শুধু ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করেই থেমে থাকেনি পারভেজ। তিনি তাঁর ৫ বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় এই মা’কে ভর্তি করেছেন হাসপাতালে।বিষয়টি নিশ্চিত করে অন্য এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পারভেজ লিখেন, ‘কালকে যে অসহায় বাচ্চা আর মহিলার ভিডিওটি যাদের ইমোশনাল করেছে? তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আসলে আমি আপনাদের ইমোশনাল করতে চাইনি। আমি জাস্ট আমাদের সমাজের প্রতিদিনের একটি করুণ দৃশ্য তুলে ধরতে চেয়েছি! প্রতিদিন বা মাঝে মাঝেই এইসব ফেস করতে হয়। তাই চেয়েছি আপনারা যাতে নিজ নিজ জায়গা থেকে তাদের জন্য একটু এগিয়ে আসেন! যাতে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ না থাকে। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সবার উপরে মানুষ সত্য! ভিডিও টা আপ দিয়ে আমি ভাবিনি আপনারা এতো সাড়া দিবেন। তার জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ! আল্লাহ আপনাদের এই মানবিক অন্তরকে আরো উজ্জ্বল করুক!’দুই শিশুর মা ভালো আছেন জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘আপনারা যারা খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, এই অসহায় মহিলা কেমন আছে? বা সেই বাচ্চাগুলোর কি খবর? তাদের সবাইকে আনন্দের সাথে বলছি, তারা এখন সুস্থ আছে। আজ সেই অসহায় মহিলাকে আমি আর ৫ জন ভাইয়া মিলে হসপিটালে ভর্তি করিয়েছি। তখন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ডাক্তার বলেছে, তিনি আল্লাহর রহমতে ঠিক আছেন। কারণ আগের রাতে তাকে মেডিসিন দেওয়া হয়েছিলো! চিকিৎসা শেষ করে মহিলার ছোট দুটো বাচ্চার জন্য নতুন জামা পেন্ট সাথে মহিলার জন্য নতুন সাড়ি কিনে দেওয়া হয়েছে! তাদের সাময়িক খাবার দেওয়া হয়েছে। এর ভেতর যাদের কথা বলতে চাই! ইয়ামিন ভাইয়া এবং সাথে আরো ৩ জন ভাইয়া ছিলো যারা যথেষ্ট সাহায্য করেছে, ডাক্তার তার ফি নেয়নি!’পারভেজ আরও লিখেন, ‘এই অসহায় পরিবারের কথা বলে কেউ যদি কোন মানবিক আবেদন করে? তাহলে তার সেই আবেদনে সাড়া দিবেন না। মনে করেন এই পরিবারটির একটা ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে! সো কেউ প্রতারিত হবেন না। আবারো ধন্যবাদ দিচ্ছি যারা আজ আমার পাশে ছিল। মানবতার জয় হোক।

থাইল্যান্ডে গুহায় আটকে পড়া কিশোর ফুটবলারদের উদ্ধার চলছে

ডেস্ক নিউজঃ থাইল্যান্ডে যে গুহার মধ্যে আটকে পড়া কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধার অভিযান চলছে সেই গুহামুখ ঘিরে গত এক সপ্তাহ ধরে গণমাধ্যম এবং উদ্ধার কর্মীদের বিরাট জটলা তৈরি ছিল। কিন্তু রোববার সকালে সাংবাদিকদের সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। তখনই জল্পনা শুরু হয় যে, শীঘ্রই উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।

এরপর উদ্ধার অভিযান দলের প্রধান নারোংসাক ওসেতানাকর্ন ঘোষণা করেন যে, কিশোরদের উদ্ধারের জন্য ১৮ জন ডুবুরিকে ভেতরে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ জনকে বাইরে আনা হয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে। গুহার যে জায়গায় এই ছেলেরা আটকে পড়েছে সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে আবার গুহামুখ পর্যন্ত ফিরে আসতে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডুবুরিরও প্রায় ১১ ঘন্টা সময় লাগছে।

এর মধ্যে কিছুটা পথ হাঁটতে হয়, কিছুটা পথ পানির ভেতর দিয়ে হেঁটে আগাতে হয়। অনেক চড়াই-উৎরাই আছে। অনেক জায়গা পানিতে ডুবে আছে। সেখানে ডুব সাঁতার ছাড়া উপায় নেই। আর এই পুরো যাত্রাটাই ঘুটঘুটে অন্ধকারে। প্রত্যেক ছেলেকে পুরো মুখ ঢাকা অক্সিজেন মাস্ক পড়তে হচ্ছে। প্রতিজনের সামনে এবং পেছনে দুজন ডুবুরি থাকছে গাইড হিসেবে। এরা তাদের এয়ার সিলিন্ডারও বহন করছে।

সবচেয়ে কঠিন অংশটা মাঝামাঝি জায়গায়। এটিকে একটা টি-জাংশন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এই জায়গাটা এতটাই সরু যে সেখানে ডুবুরিদের তাদের এয়ার ট্যাংক খুলে ফেলতে হচ্ছে। এরপর ক্ষণিকের যাত্রাবিরতির জন্য গুহার মধ্যে একটা ক্যাম্প মতো করা হয়েছে। সেখান থেকে বাকীটা পথ পায়ে হেঁটে তাদের গুহামুখে আসতে হচ্ছে। বেরিয়ে আসার পর তাদের সরাসরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।

আল্লাহভীরু নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে চরমোনাই পীরের আহবান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, আল্লাহভীরু নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে না পারলে জনগণের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে না। আল্লাহর ভয় না থাকায় মানুষ কত যে হিংস্র হতে পারে তা না দেখলে বুঝা খুব কঠিন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। পীর সাহেব বলেন, অভিশপ্ত নারী নেতৃত্ব ও তাগুতি শাসনের পিছনে না থেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ব্রত হতে হবে।

রবিবার বিকাল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন।

নগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। আরও উপস্থিত ছিলেন পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী আলহাজ¦ আবুল কালাম মুন্সী, ইসলামী যুব আন্দোলন না.গঞ্জ মহানগরের সভাপতি গিয়াসুদ্দিন মুহাম্মাদ খালিদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন না.গঞ্জ জেলার সভাপতি মুহা. ইমমাদুল হক, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন না.গঞ্জ মহানগরের সভাপতি আলহাজ শেখ হাসান আলী প্রমুখ।

পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যেসকল শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়াটা ঠিক হয়নি। তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং তাদের দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানান।

মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে এত অনিয়ম না হলে ভোটের ফলাফল অন্যরকম হতো। আসন্ন তিন সিটিতে অবাধ ভোট হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভোট সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা ৩শ’ আসনের প্রার্থী প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছি।

একজন জাহাঙ্গীর ডালিমের গল্প – রাকিবুল রকি

মানিক বন্দোপাধ্যায় নিজের লেখার কারণ সম্পর্কে বলেছিলেন জীবন সম্পর্কে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করার জন্য তিনি লেখেন, যা বাংলা সাহিত্যে বলা হয়নি। প্রত্যেক লেখককেরই নিজস্ব কিছু কারণ থাকে লেখালেখির; কেউ লেখেন দায়বদ্ধতা থেকে কেউ পেশাগত কারণে কেউবা শখের বসে। এসময়ে তরুণ লেখক মোঃ জাহাঙ্গীর ডালিমের লেখালেখির শুরু শখ থেকে ইতোমধ্যে তা পেশায় পরিণত না হলেও নেশায় পরিণত হয়েছে প্রচন্ডভাবে। লিখছেন নিয়মিত। তার লেখা স্থানীয় পত্রিকা, জাতীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। জাহাঙ্গীর ডালিম ১৯৮০ সালে ২২ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। মা-সুফিয়া খাতুন বাবা মোঃ মাইজুদ্দিন আহম্মেদ। বাবা ডেইলিষ্টারে লেখালেখি করতেন। সেখানে থেকেই তিনি অনুপ্রাণিত হন লেখালেখির দিকে। জাহাঙ্গীর ডালিম দু’হাত ভরে কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, ফিচার লিখছেন। এগুলোর মধ্যে তার প্রতিভা একটু বেশি। জাহাঙ্গীর ডালিমের গল্পের বিষয় বহুমুখী, অন্যায়ভাবে যায় মানুষ। নানা দৃষ্টিভঙ্গী থেকে তিনি তুলে ধরেছেন মানুষের বিচিত্রমুখিতা। তাই সমাজ, সংসার রাজনীতি, প্রেম প্রকৃতি এই সবই তার গল্পের উপজীব্য। তিনি নষ্ট হয়ে যাওয়া মেধাবী ছেলের উত্থান যেমন রচনা করেন তেমনি দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করুণ কাহিনী পরম মমতায় বিধৃত করেন। তার গল্পে না জানা ধর্ষিতা বোনের কথা যেমন আসে তেমনি উঠে আসে সর্বাঙ্গে লেগে থাকা মায়ের স্মৃতির কথা। আর শুক্কুর আলীর আয়না গল্পে যুদ্ধাহত শুক্কুর আলীর প্রতীকের মাধ্যমে উঠে এসেছে সকল নিপীড়িত, লাঞ্চিত মানবেতর জীবন যাপনকারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান অবস্থা। গল্পে এক পঙ্গু ভিক্ষুক মুক্তিযোদ্ধা দোকানে গিয়ে একটা আয়নায় চান নিজের অবয়ব দেখার জন্য। কারণ কিছুক্ষণ আগে রাস্তা পাড় হতে গিয়ে এক বিলাস বহুল গাড়ির বনেটের উপর পড়ে গেলে গাড়ির চাক্যচিক্য নষ্ট হওয়ায় গাড়ির মালিক তাকে কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দেয়। সাথে সাথে তলপেটে একটি লাথি বসিয়ে দেয়। তাতে শুক্কুর আলী বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকলেও কেউ তাকে তুলতেও আসে না। তাই শুক্কুর আলী দোকানে এসেছেন তিনি মানুষ না সত্যিই কুত্তার বাচ্চা তা আয়নায় দেখতে কিন্তু আয়নায় মানুষের অবয়ব ফুটে উঠলেও শুক্কুর আলী বুঝে যান আসলে দেখতে মানুষের মতো হলেও তিনি তো কুত্তার বাচ্চার মতোই বেঁচে আছেন। এভাবে জাহাঙ্গীর ডালিম নিপুন হাতে সমাজের অবক্ষয় বৈষম্য তুলে ধরেন, যারা জীবনকে বাজী রেখে দেশ স্বাধীন করেছিল তাদেরই একজন শুক্কুর আলীকে স্বাধীন দেশে অত্যন্ত আক্ষেপের সাথে বলতে শুনি ‘ইস একাত্তরে গুলিটা যদি পায়ে না বিঁধে বুকে এসে বিঁধত।

‘বটের পাতায় কাফন’ গল্পে প্রকৃতির সাথে মানুষের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে কথা তুলে ধরেছেন তিনি। বৃদ্ধ হাসমত আলী যার বউ মারা গেছে অনেক আগে দু ছেলে এক ছেলে হারিয়ে গেছে। মারা গেছে অন্য ছেলে। যার কেউ নেই চেয়ে কোনদিন খাবার জোটে কোনদিন বা উপবাসে কাটে। সেই অথর্ব প্রদান যখন প্রাচীন বট গাছের তলায় এসে হাজির হয় পরিতৃপ্তিতে ভরে উঠে তার মন।

সারাদিন সে বটের তায় কাটিয়ে দেয়। সেখান দিয়ে কেউ যাবার সময় শুনতে না চাইলেও হাসমত আলী সাগ্রহে শোনায় বটের জীবন কথা। হাসমত আলীর দাদার দাদার দাদা যখন বালক তখন এই বট ছিল কবি চারা। এ বটন যেন আজ তার পরিবরেই কেউ। তাই রাস্তা বড় করার জন্য যখন এই প্রাচীন বট গাছ কাটার কথা উঠে প্রথম বিশ্বাস করতে পারল না বৃদ্ধ হাসমত। মানুষ কি এত বিশ্বাস ঘাতক হতে পারে কখনও হতে পারে এত অকৃতজ্ঞ? কিন্তু একদিন এসে যখন দেখে বটগাছ নেই পড়ে আছে ঝরাপাতা, ডালপালা, বৃদ্ধ বুক ফাটা আর্তনাদ করে উঠে, গ্রামে যারা বৃদ্ধের বউ মারা যেতে দেখেছে, সন্তান মারা যেতে দেখেছে তখনও এভাবে তাকে কেউ কাঁদতে দেখেনি। গাছের শোকে সেখানেই সে প্রাণ ত্যাগ করে। বটের পাতায় তার সারা শরীর কাফনে মতন ঢেকে যায়। লোকে বলাবলি করতে থাকে ‘বটগাছ পাগল বুড়োটা গাছটার সঙ্গে সঙ্গে মরে গেল। জাহাঙ্গীর ডালিম এভাবে গাছের সাথে মানুষের যেসব নিবিড় সম্পর্ক গাছ নির্মূল হলে যে প্রাণীকুল সত্যিই বিপন্ন হয়ে পড়বে সেই কঠিন সত্যই তুলে ধরেছেন। জাহাঙ্গীর ডালিমের ভাষা চিত্রময়, তিনি ছোট বাক্যের চিত্র ফুটিয়ে তোলেন। তার গদ্য কাব্য ধর্মী। ‘মায়ের কাছে পত্র’ গল্পে মৃত মাকে উদ্দেশ্য করে যখন লেখেন- ‘ঠিক যখন মধ্য দুপুরে প্রচন্ড রোদে পথিকের মাথা ফেটে যেতে চাইবে কাকগুলো তৃষ্ণায় ছটফট করতে থাকবে। এলাকার কুকুরগুলো ডেকে ডেকে ক্লান্ত হয়ে যাবে, দুষ্ট ছেলেরা চুপটি করে ঘুমিয়ে পড়বে যখন আর সেই আইসক্রিম অলাটা আইসক্রিম আইসক্রিম বলে চেঁচাবে তখন আমি তোমার কাছে এক টাকা চাইব, তুমি দেবেতো মা আমায় ? তখন তা গল্পের বক্তব্যকে যেমন জোরালো করে তেমনি পাঠকের মনে কাব্যিক ব্যঞ্জনাও ছড়িয়ে দেয়। জাহাঙ্গীর ডালিমের গল্প সংলাপ ধর্মীয় নয় বক্তব্যধর্মী। বর্ণনার মাধ্যমে তা গল্পে পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। এভাবেই তার গল্প পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে। তারপরেও বলব গল্প, উপন্যাস বা নাটকে সংলাপ অপরিহার্য। তাই এদিকে তার খেয়াল রাখা দরকার। দরকার তার ক্ষুদ্রায়তনের গল্পগুলোর পরিসর আরেকটু বাড়ানো। জাহাঙ্গীর ডালিম তরুণ তার সামনে পড়ে আছে বিশাল পথ। তাই তার উচিত এখনি নিজেকে নির্দিষ্ট কর্মে আবদ্ধ না করে নিরীক্ষা প্রবণ হওয়া তাতে তার সাথে সাথে পাঠকেরারও উপকৃত হবে। জাহাঙ্গীর ডালিমের অন্য যেসব গল্প তার পরিচিতির পরিধি বাড়িয়ে দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো- পাপমুক্তি, মানুষ এবং মানুষের কাহিনী, রাত প্রহরের øিগ্ধতা, বিবর্জিত রাত্রি যাপন, সুখ শুধুই সখ, মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে প্রভৃতি। তার উপরিউক্ত গল্পগুলো বাংলাসাহিত্যের সেরা গল্পের সমপর্যায়ের না হলেও তাকে সুদূরের অভিযাত্রি হিসেবে সহজেই চিনিয়ে দেয়। এই গল্পগুলো সেই বৈশিষ্ট্য বহন করে। এবারের বই মেলায় তার একটি কবিতার বই “বৃষ্টি ভেজা কবিতা” বইটি মেলাতে এবং দেশ বিদেশে বেশ সাড়া পড়ে। যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সভাপতি জাহাঙ্গীর ডালিমের ২২ জুলাই জন্মদিন। এই জন্মদিনে স্বজনদের পক্ষ থেকে তার প্রতি রইল আন্তরিক ফুলেল শুভেচ্ছা।