৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 145

রূপগঞ্জে দালাল চক্রের খপ্পরে ১১৫ জন হজ্ব যাত্রী

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রূপগঞ্জে আল মুজদালিফা এভিয়েশন নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সির নামে একটি দালাল চক্র ১১৫ জন হজ্ব যাত্রীর কাছ থেকে ১ কোটি ১৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আতœসাত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে ওই সকল হজ্ব যাত্রীর হজ্বে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর থেকেই দালালচক্রটি ‘গা’ ঢাকা দিয়েছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হজ্ব যাত্রীরা।

ট্রাভেল এজেন্সির মালিক বাহাউদ্দিন জানান, রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় তার আল মুজদালিফা এভিয়েশন নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয় রয়েছে। ওই কার্যালয়ে এ বছর ১১৫ জন হজ্ব যাত্রী হজ্বে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার ট্রাভেল এজেন্সীতে নিবন্ধন করেন। পরবর্তীতে হজ্বে যাওয়ার বিমান ভাড়াসহ যাবতীয় খরচসহ তাদের প্রত্যেকের আরো ৯৯ হাজার টাকা করে দেওয়া কথা ছিলো। কিন্তু ওই টাকা সরাসরি আল মুজদালিফা এভিয়েশন ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয়ে পরিশোধ না করে হজ¦ যাত্রীরা দালালদের হাতে টাকা তুলে দেয়। ওই টাকা দালালরা আর আল মুজদালিফা এভিয়েশন ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয়ে জমা বা পরিশোধ করেনি। টাকা আত্বসাতকারী দালালরা হলো, আড়াইহাজার উপজেলার আব্দুল হক, নরসিংদী মাদবদী এলাকার দালাল মীর মোহাম্মদ কাজী আব্দুল হক, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি এলাকার ইকবাল হোসেন, ব্রা²নবাড়িয়ার এলাকার ফরিদ উদ্দিন। বিষয়টি ট্রাভেল এজেন্সীর পক্ষ থেকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে জানানো হয়েছে।

হজ¦ যাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, হাজ্বীদের প্রত্যেকের কাছ ৯৯ হাজার করে নিয়ে ট্রাভেল এজেন্সীতে জমা না দিয়ে তারা আত্মসাত করে পালিয়ে গেছে দালালচক্র । দালাল চক্র সদস্য’দের বের করে টাকা আদায় করে এজেন্সিতে জমা দেয়ানো হলে হজে¦ যাওয়া নিশ্চিত হবে। তা নাহলে হজে¦ যাওয়া অনিশ্চিত হবে। এ জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তারা।

জেলায় আবারো শ্রেষ্ঠ হলেন ফতুল্লা মডেল থানার এসআই এনামুল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাসিক কল্যাণ সভায় ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজী এনামুল হক নারায়নগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার সকালে ঢাকা ডিআইজি রেঞ্জ অফিসে ফতুল্লা মডেল থানা এসআই কাজী এনামুল হকের হাতে হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি আবদুল্লাহ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু কালাম সিদ্দিক, অতিরিক্তি ডিআইজি আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজী এনামুল হক ছাড়াও ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল নির্বাচিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএমও ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

আবারো ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি মঞ্জুর কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএম আবারো ঢাকা বিভাগের জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার সকালে ঢাকা ডিআইজি রেঞ্জ অফিসে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএম হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি আবদুল্লাহ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু কালাম সিদ্দিক, অতিরিক্তি ডিআইজি আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএম ছাড়াও ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল শরফুদ্দিন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ এছাড়া জেলা শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী এনামূল হক নির্বাচিত হয়েছে।

ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ এএসপি নির্বাচিত হলেন শরফুদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টারঃ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল শরফুদ্দিন আহমেদ ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন।

গত মাসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাট, অস্ত্র উদ্ধার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল হিসেবে ঢাকা রেঞ্জে শরফুদ্দিনকে শ্রেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল নির্বাচিত করা হয়।

রবিবার সকালে ঢাকা ডিআইজি রেঞ্জ অফিসে শরফুদ্দিনের হাতে সেরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের স্মারকপত্র তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি আবদুল্লাহ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু কালাম সিদ্দিক ও অতিরিক্তি ডিআইজি আসাদুজ্জামানসহ প্রমুখ।

রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া ঢাকা বিভাবে শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্দ মঞ্জুর কাদের পিপিএম ও জেলার শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নির্বাচিত হয়েছে। কাজী এনামূল হক নির্বাচিত হয়েছে।

কোটা সংস্কারে ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ : ঘটতে পারে ছাত্র অভ্যুত্থান

ঘরে ঘরে চাকরি আর ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়ানোর মত চকমপ্রদ ওয়াদা দিয়ে অবৈধ কেয়ারটেকার সরকারের বদান্নতায় ক্ষমতায় এসে আরো একটি টার্ম বিনে ভোটেই সরকার গঠন করে টানা দশ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করছে শেখ হাসিনা সরকার ।

দৃশ্যমান কয়েকটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে দফায় দফায় প্রকল্প মেয়াদ আর বাজেট বাড়িয়ে সারা দেশের সড়ক ব্যবস্থা গত দশ বছর ধরে অচল রেখেও নির্দিধায় পার করছে সময়গুলো । গৃহপালিত বিরোধীদল আর মেরুদন্ড ভাংগা বিএনপি জামায়াত তাদের চলার পথে কোন বাধাই হতে পারেনি ।

চলমান নয় বছরের মাথায় আজ ঘরে ঘরে বেকার, বৈশম্য, নিপিরণ, ক্ষুধা, দারিদ্র, আর বেকারত্বের অভিশাপে পুড়ছে সমাজের বড় অংশটি ।

যে বৈশম্যের বিরুদ্বে আন্দোলন করে পাকিস্তানীদের হাত থেকে বাংলাদেশ নামক ভুখন্ডের জন্ম হয়েছিল , স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরে সেই লাল সবুজের দেশে ৩০ লক্ষ শহীদের দেশে, আড়াই লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া সে বাংলায় ৫৬% কোটা দিয়ে চাকরী ক্ষেত্রে দেশের মেধাবীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে গত ৪৫ বছর ধরে ।

কোটা নিয়ে এই ক্ষোভ জন্ম নিচ্ছিল বহু বছর থেকেই । ২০১৮ তে এসে সেই আন্দোলন রুপ নেয় অনেকটা ছাত্রবিপ্লবে । ঘটে যায় লোহ মানবী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্বরণকালের সবচেয়ে বড় আন্দোলন । সব ধরনের রক্তচুক্ষকে উপেক্ষা করে ছাত্ররা নেমে পড়ে রাস্তায় । বাংলাদেশের সব বড় আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটার নামে মেধার বৈশম্যের বিরুদ্ব্যে এ আন্দোলন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে সব সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ জেলা উপজেলার সকল কলেজে ।

আন্দোলনের ভয়াবহতা প্রথমে উপলদ্বি করতে না পারলেও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগ এবং পুলিশের হামলার পর পর ই তা ভয়ংকর রুপ ধারণ করে । প্রথম বারের মত কোন ছাত্র আন্দোলনে বিপুল সংখক ছাত্রী অংশ নেয় । যে ছাত্রদের বলা হয় এ প্রজন্ম শুধু ফেসবুকে বিপ্লব করে এ প্রজন্মের ছাত্রদের মধ্যে ৬৯ এর অভ্যুত্থান, ৭১ এর রক্ত ঝড়া কিংবা ৯০ এর শ্বৈরাচার বিরুধী আন্দোলনের মত সংগ্রাম করা সম্ভব না । এপ্রজন্মের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রদের যে খানে দীর্ঘদীন ধরে ট্যাগ দেয়া হচ্ছিল তারা অনেকটা “বয়লার মুরগীর মত” । সেই বেসরকারী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও নেমে পড়ে রাস্তায় । প্রকাশ্যে পুলিশ অফিসারের গুম করে ফেলার হুমকিতে পরোয়া না করে সেখানে হুংকার ছুড়ে ।

এতে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে মুহুর্তে মুহুর্তে । সকাল সন্ধ্যা কিংবা গভীর রাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠে অধিকার বঞ্চিত ছাত্রদের ন্যায় সংগত আন্দোলনের প্লাটফর্ম । এরই মধ্যে খবর আসে হলে হলে ছাত্র এবং ছাত্রীদের নিপীরণ করছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ । মধ্য রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলে এক ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেয়ার খবর ভাইরাল হলে অগ্নিগর্ভে রুপ নেয় । পরের দিন ঢাকা সহ সারা দেশ অচল হয়ে যায় । সে রাতের পরেই প্রধানমন্ত্রী সংসদের দাঁড়িয়ে জাতীর উদ্দ্যেশ্য ভাষণে অনেকটা রাগ আর ক্ষোভে বলেন “কোন কোটাই থাকবেনা”

এ ভাষণের পরে ছাত্রসমাজ প্রধানমন্ত্রীকে ”মাদার অফ এডুকেশনে” ভুষিত করেন । ছাত্ররা ফিরে যায় ক্যাম্পাসে, পড়ার টেবিলে । কিছু দিনের মধ্যে কোটা বিষয়ে প্রজ্ঞাপন হবে বলেও জানানো হয় ।

কিন্তু আজ কাল করে কালক্ষেপণ করা হচ্ছিল এটা নিয়ে । শুধু মাত্র রমজানটা পার করতে চাচ্ছিল সরকার । তারা জানে কোন ভাবে ছাত্রদের এই ইউনিটি আর স্পিরিটটা নষ্টা করে দিতে পারলেই ঈদের পরে ঝোপ বুঝে কোপ মারা যাবে ।

হয়েছেও তাই, শকতারা ৯৯ জন ছাত্রদের প্রাণের দাবীর সাথে অনেকটা তামাশা করা হল । ছোট বড় কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের ব্যানার বা সহযোগীতা ছাড়াই যে বিশাল ইউনিটির নেতৃত্ব দিয়েছিল যে ছেলে গুলো তাদের উপর নেমে আসলো নানা হুমকি ।

সর্বশেষ গত ৩০ এ জুন তাদের একটি সংবাদ সম্মেলনে যে ভাবে ছাত্রলীগ হামলা করে পন্ড করে দিল তা স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারিনি দেশের ৯৯% ছাত্ররা ।

এ ঘটানায় ক্ষোভে ফুঁসছে সকল ছাত্ররা । ক্রমেই দানা বেধে উঠছে তা । যে কোন সময় এ ক্ষোভ গনবিস্ফোরণ রুপ নিতে পারে ।

আর ৯৯ % এ ছাত্রদের যৌক্তিক দাবীকে দমানোর জন্য সরকার দলীয় সুবিধাভোগী যে নেতৃত্ব আজ এ হামলা করেছে তাদের কে দেখলে ইতিহাস হয়তো গলার মধ্য আঙ্গুল দিয়ে তাদের উপর বমি করে দিতে পারে একদিন । সে বমি দেশের বড় ছাত্রসংগঠন গুলোর নেতৃত্ব দেয়া অন্যান্ন ছাত্রসংগঠনের (ছাত্র দল, ছাত্রশিবির, ছাত্র মৈত্রি কিংবা ইশা ছাত্র আন্দোলনের) নেতাদের উপরও পড়তে পারে ।

যে ভাবে নুরুল হক নুরু, রাশেদ কিংবা মাহমুদরা ছাত্রদের ত্রাতা হয়ে আবির্ভুত হয়েছিল সে ভাবেই আসবে যুগে যুগে ওরা যদি নরপিচাশের হাতে হারিয়েও যায় তবে মনে রাখবেন ( এখনকার ছাত্রনেতারা) ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবেনা । প্রকৃতি শুন্যস্থান রাখেনা পুরন করে দেয়, ওদের শুন্যস্থানও পুরন হয়ে যাবে কিন্তু আপনারা অপরাধী হয়েই বাচবেন ।

সুতরং ৯৯% ছাত্রদের প্রাণের দাবীতে একসাথে নামুন । এ বিপ্লবে শামিল হোন । সরকারের কাছেও অনুরোধ আপনারা শুভবুদ্ধির পরিচয় দিন । না হলে পরিণতি হবে এরশাদের মত । ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা হয়ে বাঁচতে হবে আজীবন । প্রধানমন্ত্রী আপনার ওয়াদা রক্ষা করেন । ছা্ত্ররা ফুঁসেছে । সুফিয়া কামাল হলে সে রাতে রগ কেটে যেমন আপনার পছন্দের ছাত্ররা পার পায়নি কারো হাত থেকে যে কোন সময় সে ঘটনা আবার ঘটতে পারে।

শফিকুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : শুক্রবার বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ ডি.আই.টি চত্বরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আলহাজ¦ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জিহাদীর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশ ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জেলা ও মহানগরের সেক্রেটারি যথাক্রমে মাও. শাহআলম কাঁচপুরী ও মুহা. সুলতান মাহমুদ। আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি গিয়াসুদ্দিন মুহাম্মাদ খালিদ ও জেলার সভাপতি মাও. মুহা. শফিকুল ইসলাম, ইশা ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুহা. ইমদাদুল হক প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ২০ জুন রাত ১২টায় তার নিজ বাড়ি থেকে মিথ্যা মামলা দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের প্রার্থীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শিবিরের সেক্রেটারি বলে গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং গত সংসদ নির্বাচনেও তিনি হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন-এর পক্ষে নির্বাচন করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার মধ্যে তিনি ছিলেন একজন সৎ, নম্র-ভদ্র ও নরম মনের মানুষ। গরীবের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। এমতাবস্থায় অবিলম্বে আমাদের প্রার্থীর মুক্তির দাবি করছি। অন্যথায় ইসলামী আন্দোলনসহ এর সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তখন উদ্ভুত পরিস্থিতির সকল দায়দায়িত্ব প্রশাসনকেই বহন করতে হবে। ইসলামী আন্দোলন শান্তিপ্রিয় আন্দোলনে বিশ্বাসী। তারা কোন বিশৃংখলা বা রাষ্ট্রবিরোধী কোন কার্যকলাপে জড়িত নয়। ইসলাম ও মানবতার জন্য ধারাবাহিকভাবে আমাদের আন্দোলন ও কর্মসূচি চলছে। এমতাবস্থায় আমাদের পিছু টেনে ধরতে একদল স্বার্থান্বেসী মহল হিংসাত্মকভাবে এহেন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন দলের নেতৃবৃন্দ।

শ্রমিক অসন্তোষের শান্তিপূর্ন সমাধান চায় পলাশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা চলমান শ্রমিক অসন্তোষ নিরসেন বিকেএমইকে আবারো এগিয়ে আসার আহবান জানালেন শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহমেদ পলাশ। পাশাপাশি পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায় এবং সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য শ্রমিক নেতা আবুল খায়ের ও আব্দুল কাদেরকে প্রধান ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ জুন) বিকেলে ৭৪ শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়। আগামী সোমবারের মধ্যে এই কমিটি ডিসি, এসপি, শিল্প পুলিশ ও কারখানা পরিদর্শকের সাথে আলোচনা করে তাঁদের রিপোর্ট পেশ করবে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, শাহাদাৎ হোসেন সেন্ট, সুলতান, মো. রফিক, গোলাপ, আবু সুফিয়ান ও নূরে আলম।

এসময় কাউছার আহমেদ পলাশ বলেন, “আমরা কোনো রকম জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুরে বিশ্বাসী না। আলোচনার মাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান চাই। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে আমরা আছি। আলোচনার মাধ্য এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। অন্যাথায় বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো আমরা।

বন্দরে ওয়াসার পানির দাবিতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

বন্দর সংবাদদাতা:নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ওয়াসার পানির দাবিতে এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। শুক্রবার উপজেলার দাসেরগাঁও, চৌরাপাড়া, উত্তর লক্ষখোলা, দক্ষিন লক্ষনখোলাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে ঢাকা-মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করে।

বেলা এগারোটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। এসময় রাস্তার দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে দ্রুত পাম্প মেরামত ও পানি সরবরাহের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসি সড়ক অবরোধ তুলে নেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত এক মাস ধরে উত্তর লক্ষনখোলা এলাকার ওয়াসার পানির পাম্প বিকল হয়ে পড়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না। এর কারনে পানির অভাবে সিটি কর্পোরেশনের দুইটি ওয়ার্ডের প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

পানির অভাবে গোসল, থালাবাসন ধোয়া মোছাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। মসজিদের মুসুল্লিরা পর্যন্ত পানির অভাবে ইবাদত বন্দেগি করতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাবাসাী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াসার পানি সরবরাহ করা হয় উত্তর লক্ষণখোলা ওয়াসার পাম্প হাউজ থেকে। প্রায় এক মাস ধরে পানির পাম্পটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু ওয়াসা কৃর্তপক্ষ গত তিন দিন আগে মেরামত কাজ শুরু করে।

সম্পর্ণ মেরামত কাজ শেষ করতে আরো প্রায় ১৫-থেকে ২০ দিন সময় লাগবে বলে ওয়াসার একটি সূত্র জানিয়েছে। ওবে মেরামত কাজের এই সময়ে ওয়াসার পক্ষ থেকে বিকল্প পানি সরবরাহ করার কথা থাকলেও যা পরিমানে সরবরাহ হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

গত ছয় মাস আগেও এই এলাকায় ওয়াসার পাম্প বিকল হয়ে পড়লে এলাকাবাসী প্রায় তিন মাস পানির সংকটে পড়ে চরম দূর্ভোগের শিকার হন। পানির দাবীতে এলাকাবাসী টানা দুই মাস বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে।

এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ওয়াসার সাথে কথা বলে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। পরে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পাম্পগুলো মেরামত করে সচল করলে পানি সংকট সমস্যার সমাধান হয়।

বাংলাদেশি সমর্থকদের সম্মান জানাতে ‘ বাংলাদেশের সাথে প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা’!

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এর প্রিয় দল আর্জেন্টিনা। ষাটোর্ধ বৃদ্ধ থেকে কচি ছেলে মেয়ে আর্জেন্টিনা বলতে অন্ধ। বাংলাদেশিদের এমন অন্ধ প্রেম বৃথা যায়নি। নজর পড়েছে খোদ আর্জেন্টিনা বাসীদেরও। তাদের টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে তাদের মেসিদের টুইটার সব জায়গায় শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশি দের জয়জয়কার।গতকালকে আর্জেন্টিনার একটি স্থানীয় টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত হয় বাংলাদেশীদের আর্জেন্টিনার ফুটবল উন্মাদনা নিয়ে প্রতিবেদন। মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এই খবর আর্জেন্টিনার আনাচে কানাচে! এমনকি মেসি, মাসচে, ম্যারাডোনা, বিশ্বকাপের মতো টপিককে হারিয়ে “বাংলাদেশ” ছিলো আর্জেন্টিনার টুইটারের শীর্ষ ট্রেন্ডিং টপিক!আর্জেন্টিনার প্রতি বাংলাদেশীদের ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ আর্জেন্টাইনরা। তারা চিন্তা করলো বাংলাদেশের এই ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়ার! তৈরি করলো একটি পিটিশ্যান!আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের প্রতি পিটিশ্যানের বিষয়ঃ “বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আর্জেন্টিনা এবং বাংলাদেশের একটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ আয়োজন করা যেখানে মেসিসহ প্রধান সব খেলোয়াড়রা খেলবে!”একজন বাংলাদেশী হিসেবে এর চেয়ে গর্বের আর কি হতে পারে!

শামীম ওসমানের কাছে আওয়ামী লীগ ‘নিরাপদ’

নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির বেশ কিছু রহস্য ভেদ করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে তাদের তৈরি একটি প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের পদধারী অনেক নেতার চেয়ে শামীম ওসমানের কাছে আওয়ামী লীগ বেশি নিরাপদ। বিএনপির জনপ্রতিনিধিরা শামীম ওসমানের দ্বারস্থ হলেও বর্তমান সময়ে হাইব্রিড আর ত্যাগী নেতাকর্মীদের ইস্যুতে শামীম ওসমান আপোষহীন।

সম্প্রতি ওই সংস্থাটি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১৯জন নেতার একটি প্রোফাইল তৈরি করেছে। ওই প্রোফাইলে উঠে এসেছে বর্তমান আওয়ামী লীগের এমপি, মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সাবেক এমপিদের কর্মকাণ্ডসহ নানা চিত্র। ওই প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘নারায়ণগঞ্জ নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিভাজন, গ্রুপিং, উপগ্রুপ থাকলেও দলের প্রতি অনেক নেতার যেমন টান আছে তেমনি আবার কেউ কেউ তলে তলে দলকে ব্যবহার করে নানা ধরনের ফায়দা নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ভবিষ্যৎ রাজনীতির ক্ষেত্রে বিএনপি ও জামায়াতের যে কোন ধরনের অপকর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজ রহিত করতে হলে একনিষ্ঠ নেতাকর্মীকেই নেতৃত্ব প্রদান করা প্রয়োজন। প্রাসাদ কেন্দ্রীক রাজনীতি ছাড়া মাঠ পর্যায়েও ঝুঁকি নিয়ে রাজনীতি করতে পারে এমন নেতাদের সামনে এগিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তবে দলের স্বার্থে আবার আওয়ামী লীগ করা নেতাদেরও বিভিন্ন পদে পদায়িত করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের রাজনীতি অন্য নেতার চেয়ে শামীম ওসমানের কাছে নিরাপদ।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরোধ নিয়ে ১৯ লাইনের মন্তব্যে বলা হয়েছে, ‘নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে শামীম ওসমানের বিরোধ রাজনৈতিক না বরং ব্যক্তিগত। তবে এটা রাজনীতির জন্য শুভকর না। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে শামীম ওসমান আওয়ামী লীগ প্রশ্নে আপোষহীন। দলের জন্য তাঁর ত্যাগ রয়েছে।’

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানান, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়া দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। কিন্তু সেখান থেকে বার্তা এসেছে শামীম ওসমানের অনুকূলে কমিটি দিতে।