৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 247

অনলাইনে শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করলে যাবজ্জীবন

আবুল কালাম আজাদ: বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে অনলাইনে অবমাননা করলে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে যাবজ্জীবনের বিধান রেখে নতুন একটি খসড়া আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।

সমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ খসড়া আইনের অনুমোদন দেয়া হয়।

নতুন এ খসড়া আইনটির নাম হচ্ছে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৬’।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, এ খসড়া আইনটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এরপর সেখান থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর সেটি আবারও মন্ত্রীসভায় ফিরে আসবে।

মন্ত্রীসভায় এই আইনের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর সেটিকে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সংসদীয় কমিটির যাচাই বাছাইয়ের পর সেটি সংসদে তোলা হবে।

সুতরাং এই আইনে আরও সংযোজন ও বিয়োজনের সুযোগ থেকে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এই আইনের ১৫ নং ধারায় ৫ এর উপ-ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে জাতির পিতার বিরুদ্ধে যেকোন প্রকার প্রপাগান্ডা, প্রচারণা বা তাহাতে মদদ প্রদান করে; তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, সত্ত্বা বা বিদেশী নাগরিক ডিজিটাল সন্ত্রাসী কার্যসংঘটনের অপরাধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হবে।

এই একই ধারায় আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদালত কর্তৃক মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিষয়াবলীর বিরুদ্ধে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কোন প্রপাগান্ডা বা প্রচারণা করে তাহলে সেটিও অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।

এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন তিন বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

এ ধরনের অপরাধকে ‘ডিজিটাল বা সাইবার সন্ত্রাসী কাজ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

এই আইনটির উদ্যোক্তা বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা বলছেন বাংলাদেশে অনলাইনে অপরাধ তৎপরতা বেড়ে যাবার কারণে এ ধরনের আইনের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশে এরই মধ্যে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ নামে আলাদা আরেকটি আইন রয়েছে। এই আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে তীব্র বিতর্ক রয়েছে। এই ৫৭ ধারাকে অনেকে ‘নিপীড়নমূলক আইন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এই বিতর্কের প্রেক্ষাপটে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া মন্ত্রীসভায় অনুমোদন করা হলো।সূত্র : বিবিসি

উন্নয়নের নামে দেশে সীমাহীন লুটপাট : নজরুল

উন্নয়নের নামে দেশে সীমাহীন লুটপাট চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

নজরুলসোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত ‘দলটির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্য’শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে যে খরচ দেখানো হচ্ছে তা উন্নত দেশের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন মিলে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন শব্দকেই এখন ভয় পায় জনগণ। জনগণের অধিকার আদায়ে বিএনপি আন্দোলন করে যাবে উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের এমন কোন থানা,জেলখানা নেই যেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাঘরে রাথা হয়নি।এমনকি আন্দোলনে পঙ্গুত্ব হয়ে এমন কোন হাসপাতাল নেই যেখানে দলের নেতাকর্মীরা চিকিৎসা নেননি।‘সম্ভবত’অপমৃত্যুর স্বীকার হয়ে বাংলাদেশের সব গোরস্থানেই বিএনপির নেতাকর্মীদের কবর আছে।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, অবৈধ’নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ রুপে ধ্বংস করে ফেলেছে। জনগণ এখন আর নির্বাচনের কথা শুনতেই চায় না। কারন এখন নির্বাচন মানেই হল আগের রাতেই ভোটের বাক্স ভর্তি করা,জনগণ যাকে ভোট দিবে অন্য জনকে বিজয়ী ঘোষনা করা।

শাষকগোষ্ঠী স্বাধীনতার সুবর্ণ ফসল গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন,‘সকল মানুষের জীবনমান এখন অনিশ্চিত। কেউ নিশ্চিত নন কখন কি হবে?

তিনি আরো বলেন,‘মাদকাসক্ত অর্থনীতিকে মানুষ বানাতে বিএনপির ৩ বছর সময় লেগে ছিল।আ্ওয়ামী শাসন আমলে আ্ওয়ামী লীগ সরকার দূর্ণীতিতে দেশকে চ্যাম্পিয়ান বানিয়েছিল।

নজরুল ইসলাম বলেন,‘স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে উঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে এই অবৈধ সরকারের কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করা দলটির দায়িত্ব রয়েছে।

এ সময় তিনি বিএনপির সিনিয়র-যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী সহ-গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেন।

আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির হোসেনের সভঅপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন-সংগঠনের সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার,মোস্তাফিজুর রহমান,সাইফুল ইসলাম,এনডিপির যুগ্ম-মহাসচিব শামসুল আলম প্রমুখ।

জিয়াউর রহমানের মাজারে নতুন কমিটি নিয়ে খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

সোমবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন নবগঠিত স্থায়ী কমিটি, উপদেষ্টা কাউন্সিল ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন এবং মরহুম নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। নতুন এই কমিটি দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শ্রদ্ধা নিবেদনের এই অনুষ্ঠানে ব্যাপক শো ডাউন দিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। দুপুরের পর থেকে মহানগরের বিভিন্ন থানা থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী শ্লোগান নিয়ে জিয়ার মাজারে ভিড় করেন। বিকাল ৪টার আগেই মাজার প্রাঙ্গন কানায় কানায় ভড়ে যায়। সোয়া ৫টার দিকে খালেদা জিয়া এসে পৌঁছলে নেতা-কর্মীরা শ্লোগানে ফেটে পড়েন। কর্মীদের ভিড় ডিঙিয়ে চেয়ারপারসনকে মাজারে নিয়ে যেতে নিরাপত্তা কর্মীদের বেগ পেতে হয়। মাজার প্রাঙ্গনের দেয়ালে বিশাল আকারের জাতীয় পতাকা ও বিএনপির পতাকা টানানো হয়।

শ্রদ্ধা অর্পণ শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, নতুন কমিটি শপথ নিয়েছে যে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ২১ আগস্টের ঘটনাবলীর সঙ্গে বিএনপি জড়িত বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যারা একসময়ে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করেছে, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছে, তারা আজকে সম্পূর্ণভাবে একনায়কতন্ত্র এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে চলেছে। তারা এখানে কোনো হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার করেনি। এ কারণে আজ হত্যাকান্ড বেড়ে গেছে। ক্রসফায়ার ও গান ব্যাটেলের কথা বলে কোনো বিচার ছাড়াই মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। ঠিক একইভাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আমাদের দলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে জড়িত করা হয়েছে।

মির্জা আলমগীর বলেন, ২১ আগস্টের হত্যাকান্ডের মামলায় তিনটি চার্জশীটের তারেক রহমানকে তার নাম দেয়া হয়নি। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানের নাম যুক্ত করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। আমরা চাই, এই মামলায় সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হউক।

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়ে দলের অবস্থান জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিদ্যুৎ আমাদের দরকার। তবে সেটা অবশ্যই আমার সুন্দরবনে বাদ দিয়ে করতে হবে, সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে।

পুষ্পার্ঘ অর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, আসম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, রুহুল আলম চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, জেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লুৎফুর রহমান খান আজাদ, আমানউল্লাহ আমান, আ ন হ আখতার হোসেইন, জয়নুল আবদিন ফারুক, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, অধ্যাপিকা তাজমেরী ইসলাম, কাজী আসাদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, নাজমুল হক নান্নু, আফরোজা খান রীতা, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, শরিফুল আলম, শামা ওবায়েদ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, আমিনুল হক, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. মোর্শেদ হাসান খান, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

প্রশ্ন করলেই আপনারা ক্ষেপে যান-গোলাম মোর্তোজা

প্রশ্ন করলেই তো আপনারা রেগে যান, ক্ষেপে যান। প্রশ্ন করি একটা ব্যাখ্যা করেন আরেকটা।

দেড় বছর পর অভিজিত হত্যাকান্ডের সন্দেহভাজনদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করলেন।

আপনারা মনে করছেন ‘দেড় বছর’ পরও হত্যাকারীরা সেই চেহারাতেই আছে?

সন্দেহভাজনদের নাম ঠিকানা জানতে পারেন নি, প্রত্যাশা করেছেন জনগণ জানাবেন। প্রত্যাশাটা ভালো। তো এর জন্যে দের বছর সময় নিলেন কেন? এর আগে না বলেছিলেন, হত্যাকারীরা আপনাদের নজরদারিতে আছে। এও বলেছিলেন হত্যাকারীরা বিদেশে পালিয়ে গেছে।

সন্দেহভাজন হত্যাকারীরা ‘নজরদারি ‘তে থাকার পরও ধরলেন না, ধরতে পারলেন না? বিদেশে পালিয়ে গেল? ‘নজরদারি ‘- ব্যাপারটা আসলে কী?

গুলশানের হলি আর্টিজান ট্রাজিডির আসামীদের চিনেছেন -জেনেছন, গ্রেপ্তার সময়ের ব্যাপার বলেছেন। হাসনাত করিম ছাড়া কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তাহমিদের বিষয়টি চরম রহস্যজনক।

কী জানালেন, কী বুঝলেন? ‘সময়ের ব্যাপার ‘ মানে কী, সাগর -রুনীর মত সময়ের ব্যাপার?

এসপি বাবুল আক্তার বলছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে তিনি পদত্যাগ পত্রে সাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এখন তিনি আবার চাকরি করতে চাইছেন।

আইজিপ বলছেন, বাবুল আক্তার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।

সত্য বলার অপরাধে ধমক দেয়ার আগে,দয়া করে আপনারা একটু ভেবে দেখবেন, আপনাদের সম্পর্কে পাবলিক পারসেপশন কী তৈরি হচ্ছে?

এইচএসসির ফল প্রকাশ,৭৪.৭০ শতাংশ পাস

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এ বছর সারাদেশে ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ হাজার ২৭৬ জন। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪২ হাজার ৮৯৪ জন।

সেই হিসাবে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাসের হার বেড়েছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ পয়েন্ট। আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ১৫ হাজার ৩৮২ জন বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। বেলা ১টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের ঘোষণা দেবেন।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৯১২ জন।

দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ৮৯৯ জন।

রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ছয় হাজার ৭৩ জন।

সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৩৩০ জন।

চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ২৫৩ জন।

বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ১৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮৭ জন।

কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ছয় হাজার ৫৮৬ জন।

আর মাদ্রাসা বোর্ডে ৮৮ দশমিক ১৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ৪১৪ জন।

দুপুর দুইটা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) গিয়ে ফল জানতে পারবে। এছাড়া মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

গত ৩ এপ্রিল শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ৯১ হাজার ৫৯১, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এক লাখ দুই হাজার ১৩২ ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) চার হাজার ৭৯৬ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

মুঠোফোনে ফল জানার প্রক্রিয়া
আটটি সাধারণ বোর্ডের ক্ষেত্রে মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর, স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

মাদ্রাসা বোর্ডের আলিমের ক্ষেত্রে Alim লিখে স্পেস দিয়ে Mad স্পেস দিয়ে রোল নম্বর, স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

এছাড়া এইচএসসি ভোকেশনালের ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। সবক্ষেত্রে ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের।

রিজভী ন্যায়বিচার বঞ্চিত : খালেদা জিয়া

অসুস্থ রিজভীকে জামিনযোগ্য মামলায় জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে রিজভীর মুক্তি দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, রিজভী একজন আইনজীবী ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই আদালতে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। তার জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রতিফলিত হয়নি বলে আমি মনে করি।’

বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না মন্তব্য করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে মানবতাবোধও হারিয়ে ফেলেছে। বিচার বিভাগও আজ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না।

তিনি বলেন, মামলার এজাহারে রুহুল কবির রিজভীর নাম না থাকলেও সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় পুলিশ তার নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

প্রসঙ্গত, সকালে নাশকতার পাঁচ মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।পরে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রিজভীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

নাশকতার ৫ মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন। এর আগে, সকালে সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে ওই ৫ মামলায় রিজভী জামিনের আবেদন করেন বলে জানান তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

তিনি বলেন, নাশকতার পাঁচ মামলায় বিএনপির সিনিয়ার যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আত্মসমর্পণ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন।

এর মধ্যে পল্লবী থানার দুটি, রমনা, মতিঝিল ও মহানগর দায়রা জজ একটি করে মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন বিএনপির এ নেতা।

আলীরটেকে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার ২

পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০টি দেশীয় অস্ত্র এবং বিপুল মাদদ্রব্যসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) দিবাগত রাতে সদর মডেল থানাধীন আলীরটেক ইউনিয়নে র‌্যাব-১১ সিপিসি-১ এর কোম্পানী অধিনায়ক শাহ মো: শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় আলীরটেক ইউনিয়নের উত্তরপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বসত ঘর থেকে মোঃ নজরুল ইসলামের পুত্র চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ স্বপন হোসেন (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার হেফাজতে থাকা প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যমানের ৪৮৫ পিস ইয়াবা, চুরি, ছিনতাই, মাস্তানী কাজে ব্যবহৃত ১টি রাম দা, ৭ টি চাকু, ১ টি চাইনিজ কুড়াল, ১ চাপাতি এবং মাদক বিক্রির নগদ ২,৫৪২ টাকা এবং ৪টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে, একই ইউনিয়নে রাত আড়াইটায় আরেকটি অভিযান চালিয়ে একই এলাকা থেকে ৪ কেজি গাঁজাসহ অপর মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মন্নাফ হোসেন ওরফে আব্দুল মান্নানের পুত্র মোঃ আকতার হোসেন (৩৫) কে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এব্যাপারে র‌্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর কোম্পানী অধিানায়ক এএসপি শাহ্ শিবলী সাদিক জানান, সদর মডেল থানাধীন আলীরটেক উত্তর পাড়ায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই, মাস্তানি করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে ঐ এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চলমান থাকলেও মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায়। কিন্তু র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখায় এই ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের এলাকা নদী-নালা, খাল-বিল ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধা জনক অবস্থানে না থাকায় এ সকল মাদক ব্যবসা হর হামেশাই করে আসতেছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরেছে

চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরেছে নারায়ণগঞ্জ শহর। হকারদের নিয়ন্ত্রণে ফুটপাত, ড্রেন পরিস্কারের নামে পঁচা দূর্গন্ধযুক্ত ময়লায় রেখে ফুটপত দখল, নরীতে রিকশার সংখ্যা বৃদ্ধি। যেখানে সেখানে সেখানে যানবাহন পার্কিং , দিনের বেশীর ভাগ সময় নগরীতে ভয়াবহ যানজট, নগরীরের অলিগলিকে ডাস্টবিনে পরিনিত করা, সামন্য বৃষ্টিতে জলঅবদ্ধতা সৃষ্টিসহ নানা ধরনের নাগরীক সমস্যায় ভুগছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা। এসব সমস্যার দেখে মনে হচ্ছে না নারায়ণগঞ্জে কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কিংবা কোন অভিভাবক রয়েছে। আইনশ্খৃলা বাহিনীর তৎপরতা কম থাকায় শহরের যানজট যেমন রুটিনে পরিনত হয়েছে। একই ভাবে অনিয়মগুলোও নিয়মে পরিনত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় নগরীতে নানামুখি সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এমন অভিযোগ নগরবাসীর। নারায়ণগঞ্জ নগরী নানামুখী সমস্যার কারনে চলাচল কিংবা বসবাসে অযোগ্য হয়ে পরেছে। গত ক’দিন ধরে নগরীর ফুটপাতগুলোতে হকারদের পাশাপাশি ড্রেনের পঁচা ময়লার কারণে এখন আর পায়ে হেটে চলাচল করা যাচ্ছে না। শহরের চাষাঢ়া থেকে শুরু করে কালির বাজার মোড় পর্যন্ত এ অবস্থা থাকলে নাসিক কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই। ফাটপাতে এসব ময়লা দেখে মনে হয়না নাসিকের কোন পরিচ্ছন্ন কর্মী আছে। ফুটপাতগুলোতে ময়লার স্তুপের পাশাপাশি নগরীর অলিগলিতে ময়লার স্তুপ দেখা গেছে। এসব ময়লা সময় মতো অপসারন হচ্ছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তাদের মতে, সঠিক সময়ে ময়লা অপসারন না হওয়ায় এসব ময়লার পঁচা গন্ধে বসবাস করা মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে। অন্যদিকে, সড়কের ফুটপাত দিয়ে এখন আর পায়ে হেঁটে চলাচল করা যাচ্ছে না। দিনের বেশীর ভাগ সময়ই নগরীর বিভিন্ন সড়কে যানজট থাকে। যানজটে প্রায় অচল হয়ে পরেছে নগরী। যানজটে নাকাল হয়ে পরেছে গোটা শহর। চাষাঢ়া মোড় থেকে ২ নং রেল গেইট আসতে সময় লাগে প্রায় আধ ঘন্টা কিংবা তারও বেশী সময়। রাস্তায় ট্রাফিক থাকলেও কমছে না যানজট। শহরের যানজট নিরসের লক্ষ্যে শহরের ফুটপাত গুলো হকার মুক্ত করা হলেও এর সুবিধা পাচ্ছে নগরবাসী কিংবা পথচারীরা। ফুটপাতে হকার না থাকলে এখন বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পাকির্ং করে রাখা হচ্ছে। ফলে রাস্তায় গুলো অনেকটা অগের মতোই দখলে থাকছে। অনেক স্থানে ফুটপাতেও যানবাহন পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। নগরীকে যানজট মুক্ত করতে হলে রাস্তার পাশে যানবাহন পার্কিং বন্ধ করা প্রয়োজন। অন্যথায় শত চেষ্টা করেও যানজট নিরসন সম্ভব নয় বলে মনে করছেন নগরবাসী। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সিটি করপোরেশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে তারা। শহরের বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, শহরের সবগুলো ফুটপাত হকারদের দখলে। পাথচারীদেও নিবিঘেœ চলাচলে ফুটপাতগুলোকে হকার মুক্ত রাখতে পারছে না নাসিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে, সামান্য বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জ শহরে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। পুরো নগরীজুড়ে হাঁটু পানি জমে যায়। এসব সমস্যাগুলোর কারণে নগরীর বাসিন্দারা সস্যায় ভুগলেও এ নিয়ে কোন জনপ্রতিনিধির মাথা ব্যথা নেই। নাসিকের মেয়র, কাউন্সিলররা নিজেদের মতো করে কাজ করছে। নগরবাসীর সমস্যার কথা কেউ বিবেচনা করছে না বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা, বন্দরে শোক দিবস পালন করলেন সেলিম ওসমান

যথাযোগ্য র্মযাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পলান করেছে বন্দর উপজেলা প্রশাসন ও বন্দর থানা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বন্দর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে শোক র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। শোক র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদের র্নিবাহী কর্মকর্তা মৌসুমি হাবিব, বন্দর উপজেলা পরিষদের ভূমি বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম, বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবুল কালাম, বন্দর উপজেলা পরিষদের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ, ক,ম নূরুল আমিনসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শোক র‌্যালী শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা সভাকক্ষে জাতির জনকের স্মৃতি চারন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধ আলহাজ্ব সেলিম ওসমান নাসিকের বেশ কিছু ওয়ার্ডে ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অসহায়দের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন করে। খাবার বিতরণকালে তার সাথে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, জেলা জাতীয়পার্টির আহবায়ক আবু জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আবেদ হোসেনসহ আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়াও নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধানের উদ্যোগে বন্দর একরামপুর এলাকায় বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করেছে। এ উপলক্ষে কাউন্সিলর দুলাল প্রধান সকাল থেকে পবিত্র কোরআন খানি খতম ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এমপি সেলিম ওসমান এসে অসহায়দের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন। এ সময় কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের সাথে ছিলেন, ২৩নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের লোকজন।বন্দর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুর রহমান কমলের উদ্যোগে শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এলাকায় খিচুরি বিতরণ করেন এসময় সাথে ছিলেন মুক্তার হোসেন, সহিদুল ইসলাম, মুস্তাক হোসেন, শামীম, সুমন, আমান, জাকির, রাসেল, শিপলু, আক্তার, শরিফ, সুমন ভূইয়া, আয়নাল, আনোয়ার, সাহিন, মনির হোসেন মনু, সুরুজ, হাসান ও কালাম। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আরজু রহমান ভূইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফরাজিকান্দা এলাকায় খিচুরি বিতরণ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ মোবারক হোসেন, বন্দর থানা  কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিরুজ্জামান, সাধারন সম্পাদক একেএম ইব্রাহিম কাশেম, মোঃ জাকির হোসেন, আব্দুল হাই, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা সাহাদাৎ হোসেন, যুবলীগ নেতা সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ হাসান তপু। একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ঘারমোড়া ও চরঘারমোড়া আওয়ামী পরিবারের উদ্যোগে ঘারমোড়া ঈদগাহ ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করেছে। শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনকালে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা মাকসুদ,  কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোক্তার উদ্দিন মুক্ত, যুবলীগ নেতা শামীম সরদার, শ্রমিকলীগ নেতা ডাঃ ওমর ফারুক, ছাত্রলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মিনহাজ উদ্দিন, ইকবাল হোসেন, মোঃ কবির হোসেন, মোঃ দায়েন, আমজাদ প্রমুখ। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করেছে। জাতির জনকের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনকালে দুস্তদের মাঝে রান্না করা খাবার পরিবেশন কালে উপস্থিত বন্দর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শ্রী ভোলা নাথ দাস, আওয়ামীলীগ নেতা আশাদুল্লাহ, মোঃ আলতাফ হোসেন, আবুল হোসেন মাষ্টার, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, তাসলিম, আক্তার হোসেন প্রমুখ। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেনের উদ্যোগে আদমপুর এলাকায় শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করেছে। রান্না করা খাবার বিতরণকালে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা ওবায়দুল্লাহ, লাভলু প্রধান, তাজুল ইসলাম, কৃষকলীগ নেতা মোঃ খোকন, মফিজুল ইসলাম, এবাদুল্লাহ, খাজা মহিউদ্দিন, আনোয়ার, টুটুল, আবু বক্কর ও মোঃ সেলিম প্রমুখ। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয়পাাটর সভাপতি মোঃ বাচ্চু মিয়ার উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে অসহায়দের মাঝে রান্না  করা খাবার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবসংহতির সভাপতি মোঃ সফি ঢালী, জাপা নেতা আব্দুস সালাম, আলাউদ্দিন দেওয়ানজী, যুবলীগ নেতা শাহাদাৎ হোসেন। এছাড়াও বন্দরে ঐতিহ্যবাহি শিক্ষাপিঠ হাজী ইব্রাহিম আলম চাঁন স্কুল এন্ড কলেজ র্গভনিং বডির উদ্যোগে জাতির জনকের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়াও রচনা প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরণ করা হয়েছে। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল এন্ড কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব মঞ্জুর হাসান মঞ্জু, স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আহাম্মদ হালিম মজহারের সভাপতিত্বে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী আক্কাস মীর, বীরমুক্তিযোদ্ধা জাব্বার সরদার, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল, প্রবীন শিক্ষক ও সমাজ সেবক শামছুল হক মাষ্টার, স্কুল শাখার অভিভাবক প্রতিনিধি মোঃ খালিদ, আফজাল হোসেন, মোঃ আশ্রাফ, কলেজ শাখার অভিভাবক প্রতিনিধি মোঃ ফিরোজ ও রবিউল আউয়াল রবি। মিলাদ ও দোয়া এবং পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সঞ্চলনার দায়িত্বে ছিলেন প্রফেসার সাইফুল ইসলাম বাদল। ঘারমোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে চিত্রাঅংকন প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরন করা হয়েছে। পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক মেম্বার বুলবুল আহাম্মেদ, মোঃ বশির মিয়া, হাজী রফিকুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা বেগমসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ। এ দিকে ১নং ফরাজিকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চিত্রাঅংকন ও কবিতা আবৃতি অনুষ্ঠানের পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপা নেতা সফি ঢালী, আব্দুস সালাম, আলাউদ্দিন দেওয়ানজী, অভিভাবক প্রতিনিধি হাসিনা রহমান শিমু ও তাসলিমা নাসরিন, স্কুলের সহকারি শিক্ষক মোঃ আব্বাস, রাজু আহাম্মেদ, মোঃ ওলিউল্ল্যাহ ওলি প্রমুখ।