৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 144

গোলাম কবীর এর কবিতা

স্ত্রী মানে
– গোলাম কবীর

স্ত্রী মানে চাষাবাদের নিজ উর্বর জমি,
স্ত্রী মানে এলোমেলো জীবনে শৃঙ্খলা।
স্ত্রী মানে ক্লান্ত হাটুরের নিশ্চিন্ত ঘরে ফেরা,
স্ত্রী মানে সন্তানের পরম আশ্রয়।
স্ত্রী মানে নিজে কতটা অকর্মা তা
বারবার শোনা,
স্ত্রী মানে তুমুল ঝগড়াবৃষ্টি শেষে
ফকফকা রোদ।
স্ত্রী মানে কারফিউ রাতে চুপচাপ
বসে থাকা,
স্ত্রী মানে জীবন তরকারির লবন।
স্ত্রী মানে নিজের আয়না,
স্ত্রী মানে খেলতে নেমেই
প্রথম উইকেট পড়ে যাওয়া।
স্ত্রী মানে জীবন নৌকার হাল
ঠিকমত ধরে থাকা,
স্ত্রী মানে বৃদ্ধবয়সে দুজন দুজনার
অথবা তার স্মৃতির কৌটা খুলে
নিভৃতে অশ্রু ফেলা।
স্ত্রী মানে সকাল বেলায় এককাপ
গরম চা,
স্ত্রী মানে আমার প্রতি তোমার উদাসীনতা।
স্ত্রী মানে অনর্থক অভিমান শেষে
এক প্লেটে এক হাতে ভাত খাওয়া।
স্ত্রী মানে সারাদিন ঘ্যান ঘ্যান,
তবু ভাল লাগে ক্যান?

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় পরিদর্শন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকার মাতুয়াইলের মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও নারায়ণগঞ্জে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রি জাহিদ মালেক। মুলত ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের টানাপোড়েনের জন্যই প্রতিমন্ত্রির এই আকষ্কিক পরিদর্শন। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যলয়টি অবস্থিত সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায়। বর্তমানে দুটি প্রতিষ্ঠানই ওই যায়গার দাবী করাতে এই টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা: জাহাঙ্গীর আলম প্রধান জানান, ১৯৭৬ সালে জাইকার অর্থায়নে এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধিনে জেডপিজি (জিরো পপুলেশন গ্রোথ) নামক একটি প্রজেক্ট চালু হয় এখানে। যার জন্য স্থানীয়রা জায়গা দান করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরকে। সেই প্রজেক্ট ১৯৮২ সাল পর্যন্ত চালু থাকে। পরবর্তীতে এখানে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যলয় গড়ে তোলা হয়। এবং সাধারণ মানুষদের পরিবার পরিকল্পনার যাবতীয় সেবা প্রদান করা হয়। পরে মাতুয়াইলে মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের কাজ শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। সেই সময় তারা শর্ত সাপেক্ষে আমাদের এখানে যায়গা নিয়ে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে যখন তাদের ওই ইন্সটিটিউট চালু হয় তখনও তারা এখানেই থেকে যায়। বর্তমানে এই যায়গাটি তাদের বলে দাবী করছে। মুলত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে মাতুয়াইলের ওই ইন্সটিটিউটটি। আর আমাদের এই পরিবার পরিকল্পনা কার্যলয়টি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধিনে। আর এ দুটো দপ্তরই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের অধিনে। আর সেজন্যই মাননীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আজকে (৫ জুলাই) আমাদের এই কার্যালয়টি পরিদর্শন করেন।

এই সময় প্রতিমন্ত্রি কার্যালয়টি সম্পূর্ণ ঘুরে দেখেন। পরে পরিবার পরিকল্পনা অফিসে বসে স্থানীয়দের নানা অভিযোগ ও দাবি শোনেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আশেপাশে কোন হাসপাতাল না থাকায় এই দুটি প্রতিষ্ঠানেই সাধারণ মানুষ আসে। কিন্তু এখানে সেবা নিতে আসলে প্রায়ই ডাক্তার পাওয়া যায়না। যার ফলে সেবা নিতে এসে রোগীরা ভুক্তভোগী হয়ে ফিরে যান। মাঝে মধ্যে ডাক্তার পাওয়া গেলেও ঔষধ পাওয়া যায়না। এসব নানা সমস্যা বিদ্যমান থাকায় বিপাকে রয়েছেন আশেপাশের সাধারন মানুষ। এসব সমস্যা পরিত্রাণের জন্য প্রতিমন্ত্রির কাছে স্থানীয়রা এখানে একটি আধুনিক ও মডেল হাসপাতালের দাবি জানান। যেখানে তারা পুর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে উপকৃত হবে। স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালিক মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সাংবাদিক রনজিৎ মোদকের জন্মদিন পালন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি কবি,শিক্ষক ও সাংবাদিক রনজিৎ মোদকের ৬৩তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ফতুল্লা রিপোর্টার্স  ক্লাবে মিষ্টিমুখের মাধ্যমে তার জন্মদিন পালন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম, ফতুল্লা থানা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য বদউজ্জামান, রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য এম এ সুমন ও জুয়েল চৌধুরী প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক রনজিৎ মোদক একটি প্রতিষ্ঠানের নাম। সাংবাদিকতা জগতের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃত। তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি শিক্ষকতা করেছে দীর্ঘদিন। আর এই শিক্ষকতার মাধ্যমে শিক্ষার আলোর ছড়িয়েছেন সর্বত্র।

বক্তাবলিতে এডিসি আসার খবরে পালিয়ে গেলেন প্রধান শিক্ষক আমজাদ মাস্টার।

শিক্ষক মানুষ গড়ে/ সে কী আবার দুর্নীতি করে?’-আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ প্রশ্নের উত্তর-ই শুধু দেননি স্থানীয়দের বিস্মিত করেছেন কানাইনগর ছোবহানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন। ৯ বছরের মেয়াদকালে তাঁর দুর্নীতির খতিয়ান যেন রূপকথার গল্পকেও হার মানায়।দুর্নীতির অভিযোগে (৪ জুলাই) বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় এডিসি শিক্ষার স্কুল পরিদর্শনে আসার খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন তার কক্ষ তালা দিয়ে পালিয়ে যান।এ সময় এডিসি শিক্ষা রেজাউল বারী এলাকাবাসী ও ছাত্রছাত্রীর অভিযোগের পেক্ষিতে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেনী কক্ষ ঘুরে দেখেন এবং আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পান। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।এ সময় ইংরেজী শিক্ষক কাদির খান সহ ১২ টার সময় বিদ্যালয় আসার কারনে ৬জন শিক্ষককে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম,২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক আলীম, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ এলকার গন্যমান্য ব্যাক্তি ও বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী।

স্কুলটির সাবেক শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে দুর্নীতির এ মহাকাণ্ড! অনিয়ম দূর্নীতি শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি তাঁর মেয়দকালে ২ কোটি ৩৪ লক্ষ ৬০ হাজার ১শত ৬৭ টাকা দূর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।

এ কারণে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্নখাতে তাঁর দুর্নীতির খতিয়ান জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি তুলেছেন-বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এ দাবিতে এলাকায় বেশ কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ’৯৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারীদের দেয়া তথ্যমতে, আমজাদ হোসেন স্কুলের পূন:ভর্তি বাবদ ৩২ লক্ষ ৭৬ হাজার, বিলম্ব অনুপস্থিত বাবদ ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, খেলাধুুলা খাতে ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, নির্মাণ খাতে ৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, গ্রায়াচুটি বাবদ ১২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৮ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা, মিলাদ বাবদ ৮ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা, দূস্থ: তহবিলের ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, পাঠাগারের ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, গবেষণার ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, সাংস্কৃতিক খাতে ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, স্কাউটের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, উন্নয়নের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, কম্পিউটারের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার, মসজিদ ফান্ডের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, অগ্রগতি পত্র বাবদ ৫লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা, মনোগ্রাম বাবদ ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা, এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরন বাবাদ অতিরিক্ত ২৮ লক্ষ ৩ হাজার ১ শত ৬৭ টাকা, কৃষি ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, উপবৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীদের সরকারি অনুদানের ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ করেন। এর প্রমাণ হিসেবে স্কুলের রশিদ ও ব্যাংক এ্যাকাউন্ট সহ নানা তথ্য-উপাত্ত্ব তুলে ধরা হয়।

এই বিষয়ে সামাজিক সংগঠন-আলোকিত বক্তাবলীর সাধারণ সম্পাদক আঃ আজিজ বলেন, প্রধান শিক্ষক সহ কয়েকজন শিক্ষকের লাগামহীন অনিয়ম দূর্নীতির কারণে বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস হয়েছে। বিষয়টির বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
সাবেক ছাত্রনেতা মাশফিকুর রহমান শিশির বলেন

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যথাযথ তদন্ত করে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানন।

‘এটা পুরুষদের খেলা, অভিনয় করার জায়গা নয়’

মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচ শেষে আবারও আলোচনায় নেইমারের পড়ে যাওয়া।রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরু থেকেই নেইমারের ঘন ঘন পড়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।২ জুলাই, সোমবার মেক্সিকোর বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ শেষে আবারও আলোচনায় ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ফুটবলার।নিজে এক গোল করার পাশাপাশি আরেক গোলে সহায়তা করে ব্রাজিলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই পালন করেছেন নেইমার। ম্যাচ শেষে যেখানে তাকে প্রশংসার বন্যায় ভাসানোর কথা সেখানে নেইমারকে নিয়ে চলছে নিন্দার ঝড়। আর এই নিন্দা হচ্ছে, নেইমারের ‘অভিনয়’ তথা ফাউলের শিকার হলে অযথাই বারবার পড়ে যাওয়ার কারণে।নেইমারের বারবার পড়ে যাওয়ার এমন ঘটনায় রীতিমত বিরক্ত মেক্সিকোর কোচ হুয়ান কার্লোস ওসারিও। তার মতে, নেইমারের অভিনয়ের জন্যই বারবার খেলা থেকে ছিটকে গেছে মেক্সিকো।ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমে ওসারিও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে একজন খেলোয়াড়ের পেছনে এত সময় নষ্ট করাটা ফুটবলের জন্যই অপমানজনক। রেফারির বারবার থেমে যাওয়ার কারণে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আমাদের নিজস্বতা হারিয়েছি। শুধু তাই নয়, আমাদের খেলোয়াড়রা গতি হারিয়েছে।’মেক্সিকো কোচ ওসারিও মনে করেন, ফুটবল পুরুষের খেলা। সেখানে তার এমন অভিনয় মানায় না। এ নিয়ে তার ভাষ্য, ‘নেইমারের একটা ফাউলের পেছনেই চার মিনিট সময় নষ্ট করা হলো। এটা ভালো কোনো উদাহরণ হয়। যেসব মানুষ, শিশুরা খেলাটি দেখেছে বিষয়টি তাদের জন্যও ‍লজ্জার। এটা পুরুষের খেলা, অভিনয় করার জায়গা নয়।’

সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহবধুর আত্মহত্যা

Exif_JPEG_420

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিদ্ধিরগঞ্জে স্বামী সাথে অভিমান করে রাশেদা আক্তার আয়েশা (২০) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। রবিবার (১ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে গোদনাইল দক্ষিণ এনায়েত নগর এলাকার এমদাদ হোসেনের বাড়ীতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরাণ করেছে।

আত্মহনণকারী রাশেদা আক্তার আয়েশা জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার মালঞ্চ গ্রামের শাহআলম শেখের মেয়ে এবং তার স্বামী মাসুদুর রহমান (২৭) ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার নৈকাঠি গ্রামের ফোরকানের ছেলে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: রাসেল আহমেদ জানায়, গত ৫ মাস আগে তাদের বিয়ে হয় এবং এ বাড়ীতে বসবাস শুরু করে। রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শারমিনের স্বামী মাসুদুর কাজ থেকে বাসায় ফিরে গোসল করে তার স্ত্রীর কাছে খাবার চায়। তখন শারমিন খাবার রেডি করে খেতে দিলে মাসুদুর বাহিরে ফুটবল খেলা দেখে এসে পরে খাবার খাবে বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে খেলা দেখে মাসুদুর বাসায় এসে দেখে ঘরের দরজা লাগানো। তখন সে দরজায় ধাক্কা ধাক্কি করলেও না খুলায় ঘরের পিছনে ঘিয়ে জানালা ভেঙ্গে ভিতরে তাকিয়ে দেখে তার স্ত্রী গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছে। তখন সে থানা পুলিশে ফোন দিলে রাতেই তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সোমবার (২ জুলাই) সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারনেই সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

টিপু বাহিনীর ভয়ে শঙ্কিত আহত দেলুর পরিবার

স্টাফ রিপোর্টারঃ মামলাবাজ বরিশাইল্যা টিপুর বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে টিপু বাহিনীর হামলার শিকার আহত দেলুর পরিবার। মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকীর পর থানায় সাধারন ডায়েরী করেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। এদিকে, মামলাকে ভিন্ন দিকে প্রভাহিত করতে ইতোমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বদলের অভিযোগ উঠেছে টিপুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলার আসামী হয়েও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বদল করে নিজের পছন্দ অনুযায়ী নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার। এ নিয়ে আহত দেলুর পরিবার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে অনেকটা শঙ্কিত।

সন্ত্রাসী হামলা আহত দেলুর স্ত্রী এবং মামলার বাদী আমেনা খাতুন জানান, সরকারী রাস্তা দখলে রেখে টিপু তার ডাইংয়ের মালামাল রাখার জায়গা তৈরী করায় আমার স্বামী এর প্রতিবাদ জানালে মামলাবাজী টিপু তাকে দেখে নেয়ার হুমকী দেয়। এবং হুমকীর একদিন পরই প্রকাশ্য দিবালোকে বরিশাইল্যা টিপু, তার ছোট ভাই সাপ্পু, ভাগ্নে মাদক ব্যবসায়ী রায়হান, রাজিবসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার স্বামীর উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন আমার স্বামী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসাধীন ছিলো। এই মামলা নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা তুষার কান্তিকে মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল করে মামলার মোটিভ ভিন্ন দিকে ধাবিত করার চেষ্টা করে। আমেনা বেগমের অভিযোগ, মামলার আসামী টিপুর এবং তার ছোট ভাই সাপ্পু, ভাগ্নে মাদক ব্যবসায়ী রায়হান, রাজিব, বরিশাইল্যা মিজান,, ইসলাম ওরুফে ইসলা মামলা তুলে নিতে কয়ক দফা বাড়ীতে এসে এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে হুমকী দিয়েছে। এখনো তাদের এই হুমকী অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

মামলার বিবরনীতে জানাযায়, গত ৮ জানুয়ারী বিকেলে জয়নগর ও দিপ্তি ডাইংয়ের মধ্যে অবস্থিত সরকারী রাস্তাটি দীর্ঘ ২ বছর ধরে বন্ধ করে দিয়ে মানুষ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করেন দিপ্তি ডাইংয়ের মালিক রফিকুল ইসলাম টিপু। এ নিয়ে এলাকাবাসী একাধিক বার প্রতিবাদ জানালেও টিপু প্রতিবাদকারীদের নানা ভাবে ভয়ভিতি দেখিয়ে আসছিলো। গত ৮ জানুয়ারী এলাকারা দেলোয়ার হোসেন রাস্তা বন্ধ রাখার প্রতিবাদ জানালে নব্য গডফাদার টিপু তার ভাই সাপ্পু, ভাগ্নে রায়হান,রাজিবসহ বেশ কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী দেলোয়ারের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় দেলোয়ারের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা দেলোয়ার গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। টিপুর বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা, চেকজালিয়াতি, সন্ত্রাসী লালনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ঝাড়– মিছিলও করেছিলো। উল্লেখ্য, বরিশাইল্যা টিপু সাবেক এমপি কবরীর সময়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানের ফ্যাক্টরীতে হামলা চালিয়েছিলো বলেও অবিযোগ রয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জে গার্মেন্টসকর্মী ধর্ষিত

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জে গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক আমির হোসেন আশিক (২০) কে গ্রেফতার করেছে। রবিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় নাসিক ৭ নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় সোমবার (২ জুলাই) দুপুরে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষক আমির হোসেন আশিক কদমতলী নয়াপাড়া এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল আজিজ জানায়, গ্রেফতারকৃত আশিক এবং ধর্ষিতা ও নারী স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরী করতো। সেই সুবাধে তাদের উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের জের ধরে প্রায় সময় তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতো। তারই প্রেক্ষিতে রবিবার গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পর ওই নারী তার নিজ বাসায় চলে যায়। পরে আশিক সন্ধ্যা ৭টায় ওই নারীর বাসায় গিয়ে বেড়াতে যাবার কথা বলে তাকে আশিকের বাসায় নিয়ে আসে। এসময় আশিক তার সাথে গল্প করার একপর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। তখন মেয়েটির আর্তচিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক আশিক পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতা থানায় এসে অভিযোগ করলে রাতেই ধর্ষক আশিককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৩। তিনি আরো জানায়, সোমবার দুপুরে ওই ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে এবং ধর্ষককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে শিশু হত্যায় দুইজনের ফাঁসির আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জে খুন হওয়া ঝালকাঠির নলছিটির শিশু আশিকুর রহমান রিফাত (১১) হত্যাকান্ডের ঘটনায় দুই জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার (২ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত (বিশেষ ট্রাইবুনাল ২) এর বিচারক মোহাম্মদ রবিউল আউয়াল রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন মহিউদ্দিন হাসানাত ও সাইফুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় আদালতে সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পলাতক রয়েছেন মহিউদ্দিন হাসনাত। আদালতের অতিরিক্ত পিপি ফজলুল রহমান ফাঁসির আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে এ রায় দিয়েছেন।

নিহতের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন জানান, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে এরা হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও ফাঁসির এই রায়ে আমি ও আমার পরিবার সন্তুষ্ট। রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাই। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নবী হোসেন জানান, এই মামলায় রায় যথার্থ হয়েছে। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি করছি আমরা। ২০১২ সালের ১০ আগস্ট আপন বোনের স্বামী (দুলাভাই) ও তার ভাড়াটে দুই খুনি গলাকেটে হত্যা করে শিশু রিফাতকে।

নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নলছিটির ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন তার একমাত্র ছেলে আসিকুর রহমান রিফাতকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর-২ নম্বরের মনিপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। তাদের সঙ্গে মেয়ে ও মেয়ের জামাতাও থাকতেন। তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় জামাতা মহিউদ্দিন হাসানাতের। এতে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় জামাতা হাসানাত।

এরই জের ধরে ২০১২ সালের ১০ আগস্ট বাসার পাশের গলিতে বিকাল ৩টার দিকে খেলার সময় রিফাতকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে ওঠায় হাসানাত। দুলাভাই হাসানাত এবং ৩০ হাজার টাকায় ভাড়া করা দুই খুনি সাইফুল ইসলাম ও মিঠু শিশু রিফাতকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার নাভানা ভূঁইয়া সিটিতে নিয়ে যায়। নির্জন ওই স্থানে রাতে রিফাতের হাত-পা বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে তারা। রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ রিফাতের জবাই করা লাশ উদ্ধার করে।

বক্তাবলির কানাইনগরের এই বৃদ্ধটি হারিয়ে গেছে।

ফতুল্লার বক্তাবলি এলাকার কানাইনগর গ্রামের মো:ফজলুল হক(৭১)নামের এই বৃদ্ধ লোকটি (৩০ জুন) শনিবার আছরের নামাজ পড়ার উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার কোন খোজ পাওয়া যাচ্ছে না। যদি কোন সুহৃয়ভাব ব্যক্তি তার কোন সন্ধান পেয়ে থাকেন তবে নিন্মোক্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হল:01984723318।