৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 167

খালেদার জিয়ার রায়ের প্রতিবাদে কেন হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দেয়নি বিএনপি?

দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজার রায়ের প্রতিবাদে দলটির নেতাকর্মীরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন।

দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রথম দিনে শুক্রবার বিএনপির এসব বিক্ষোভ থেকে বড় রকমের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর দলটি কী ধরনের কর্মসূচি নিতে পারে, তা নিয়ে নানান আলোচনা রয়েছে।

তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁরা এ মুহূর্তে হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি না দিয়ে রাজনৈতিকভাবে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি নিয়ে এগুতে চান। একইসাথে তাঁরা তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য আইনগত লড়াইও চালাবেন বলে তিনি জানান।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, তাঁরা আসলে নির্বাচন সামনে রেখে তাদের দলের নেত্রীর পক্ষে মানুষের সহানুভূতি এবং জনসমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচির দিকে না গিয়ে তাদের নেতা কর্মীদের মাঠে সক্রিয় রাখতে চাইছে।

বিএনপি নেতা আলমগীর বলেছেন, “নেত্রী আমাদেরকে নির্দেশ দিয়ে গেছেন, আমরা সেই ধরনের হরতাল অবরোধের মতো কোন কর্মসূচিতে যাব না। আমরা নিয়মতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের যে প্রতিবাদ চলছে,সেভাবে আমরা সোচ্চার হবো, যেমন আমরা দু’দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছি।”

২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের আগে এবং পরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের আন্দোলন যে সহিংস রূপ নিয়েছিল, এবার বিএনপি সে ধরণের আন্দোলনের দায় নিতে চায় না।

এছাড়া বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। সেই নির্বাচনের আগে বড় ধরনের কোন আন্দোলনে গিয়ে সেটাকে নির্বাচন পর্যন্ত লম্বা সময় টেনে নেয়া সম্ভব নাও হতে পারে বলে দলটির নেতাদের অনেকে মনে করেন। একইসাথে খালেদা জিয়ার মামলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির সারাদেশের নেতা কর্মীরা সক্রিয় হয়েছে, সেটাকেও দলটি কাজে লাগাতে চাইছে।

এসব বিবেচনা করে বিএনপি এখন মিছিল বা জমায়েত করার মতো কর্মসূচি নিয়েই এগুতে চাইছে। অন্যদিকে বিএনপি নেত্রীর পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে রবি-সোমবারের মধ্যে তাঁর আইনজীবীরা আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, আপিল করা হলে অল্প সময়ের মধ্যেই খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পেতে পারেন। তবে দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা, এনিয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।

অবশ্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করেন, তাদের নেত্রী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আমরা আইনজীবীদের সাথে যতদূর আলোচনা করেছি, এই সাজার মাধ্যমে শেষপর্যন্ত আমাদের নেত্রীকে নির্বাচনের বাইরে রাখা যাবে না। এটা তারা করতে পারবে না। এটা সম্ভব হবে না।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জেনারেল এরশাদের আমলে কয়েক বার বন্দী হয়েছিলেন। বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিনি এক বছরের বেশি সময় জেলে ছিলেন।

কিন্তু এবারই প্রথম তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে গেছেন। সেটা বিএনপির রাজনীতি কী প্রভাব ফেলবে, সেই প্রশ্নও উঠছে।

কিন্তু বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করেন, তাঁরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। আমরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো না। বরং আমরা মনে করি যে, আমরা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবো। কারণ বেগম জিয়াকে আজকে যে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে, এটি জনগণ মেনে নেয়নি এবং মেনে নেবে না। বিবিসি

খালেদা জিয়ার ডিভিশন আবেদন গ্রহণ করেনি কারাকর্তৃপক্ষ

কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডিভিশন ও সুচিকিত্সা প্রাপ্তির আবেদন গ্রহণ করেনি কারা-কর্তৃপক্ষ। শনিবার দুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন স্বাক্ষরিত এ আবেদন নিয়ে যান চার আইনজীবী।
পুরান কেন্দ্রীয় কারাগার গেটে আইনজীবীরা এ আবেদন নিয়ে আসলে সেটি জমা নেয়া হয়নি। এসব আইনজীবীরা হলেন— ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান, মাহমুদ হাসান, এস এম জুলফিকার আলী ও তাহেরুল ইসলাম তুহিন।
জেলগেটে মাহমুদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রের সিনিয়র সিটিজেন। তার ডিভিশন প্রাপ্তির আবেদন আমরা কারাকর্তৃপক্ষের কাছে এনেছিলাম। এর আগে গতকাল ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন আইজি প্রিজনস এর সাথে কথা বলেছিলেন। তিনি আবেদনটি কারাকর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছাতে বলেছিলেন। কিন্তু এখানে কোনো কারাকর্তৃপক্ষকে আমরা পাইনি। কারাগারে যেতে দেয়া হয়নি।
জেলগেটে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের সহকারী কমিশনার বজলুর রহমান জানান, তারা কারাকর্তৃপক্ষ নয়। এ কারণে এই আবেদন কারা অধিদফতরে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সেক্রেটারি মামুনসহ আটক-২

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আটক করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সোনারগাঁও শেখ ফজলুল হক উইমেনস কলেজের সামনে থেকে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সোনারগাঁও থানা পুলিশের পরিদর্শক ( অপারেশন) আব্দুল জব্বার জানান, মামুন মাহমুদকে সোনারগাঁও শেখ ফজলুল হক ইউমেনস কলেজের সামনে থেকে নাশকতার প্রস্তুতির সময় আটক করা হয়েছে।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদকেও আটক করেছে পুলিশ। ভোরে রূপগঞ্জের ভোলাব ইউনিয়নের একটি বিল থেকে তাকে আটক করা হয়।

ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. সেলিম মিয়া জানান, শাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি নাশকতার মামলা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, কালীগঞ্জ থেকে লোক এনে রূপগঞ্জের জিন্দাপার্ক এলাকায় মিছিল করেছে শাহেদ, যে মিছিলের ছবি ফেসবুকে দেয়ার পর তাকে শনাক্ত করে আটক করা হয়।

নারায়ণগঞ্জে যুবদলের বিক্ষোভ,আটক-৪

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমায়ের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্র মূলক সাজা ঘোষনার প্রতিবাদে মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা।বিকাল ৩ টায় আলাউদ্দিন খান ষ্টেডিয়াম থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।মিছিল না.গঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সামনে এলে পুলিশ দুই দিক থেকে অর্তকিত হামলা করে লাঠি চার্জ করে ৪ জন যুবদল কর্মী গ্রেফতার করে এবং এসময় মহানগর বিএনপি নেতা নুরুল হক চৌধুরী দিপু, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আক্তার হোসেন খোকন শাহ,মহানগর যুবদল নেতা ইউনুস খান বিপ্লব, আল-আমিন খান,জুলহাস ও রাসেল মনির আহত হয়।

প্রতিবাদ মিছিল শুরুর পূর্বে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত পথ সভায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, আইন ও আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে বলতে চাই আইন সবার জন্য সমান হবে সংবিধানে এমন নিশ্চয়তা দেয়ার পরেও দেখা যায় আইন সবার জন্য এক নয়।খালেদা জিয়াই তার জলন্ত প্রমান।ফকরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারের সময় বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুদক সম পরিমান মামলা দায়ের করেছিলো। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরে শেখ হাসিনা ও তার দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা গুলো কর্পূরের মত উড়ে গেলেও বেগম খালেদা জিয়া,তারেক রহমান সহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েছে।তারই ধারাবাহিকতায়ই ৮ ফ্রেরুয়ারীর রায় ঘোষিত হয়েছে।তিনি বলেন খালেদা জিয়ার জেল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলংক তিলক।আওয়ামী লীগ পুনরায় বিনা ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশনেত্রীকে জেল আমাদের উপড় নিপীড়ন করছে।

তিনি সরকারের নিপীড়ন পাক হানাদারের কথা মনে করিয়ে দেয় বলে নেতাকর্মীদের অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে রাজপথে পর্যন্ত অহিংস ও শান্তিপূর্ন গণ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।তিনি সরকারী দলের ফাদে পা না দিতে সর্তক থাকার অনুরোধ জানান। খোরশেদ আরো বলেন,সরকারকে মনে রাখতে হবে এই সরকারই শেষ সরকার নয়।

তিনি নারায়ণগঞ্জ,সিদ্ধিরগঞ্জ,রুপগঞ্জ,ফতুল্লা,সোনারগায়ে ভৌতিক মামলায় নেতাকর্মীদের আসামী করা ও হয়রানীর তীব্র নিন্দা জানান।অবিলম্বে নজরুল ইসলাম আজাদ, এড.সাখাওয়াত খান,মাসুকুল ইসলাম রাজীব,মহানগর যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন,কাউন্সিলার ইস্্রাফিল, কাউন্সিলার কামরুজ্জান বাবুল.এড.আনোয়ার প্রধান,বাবুল প্রধান,ডাঃশাহীন.মোহাম্মদ হোসেন কাজল,মেয়র বাদশাহ সহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবী করেন।
মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা নুরুল হক চৌধুরী দিপু, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আক্তার হোসেন খোকন শাহ,মহানগর যুবদল নেতা ইউনুস খান বিপ্লব, আল-আমিন খান,মাহাবুব হাসান জুলহাস,আল-মামুন,আকতার অপু,ডা,মুসা,মন্জু মিয়া আফতাব, রাসেল মনির সহ শতাধিক নেতাকর্মী।

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি’র বিক্ষোভ

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্টের দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়ের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। জুম্মার নামাজ শেষে সিদ্ধিরগঞ্জে জেলা বিএনপির  অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি এতে নেতৃত্ব দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ব্যারিষ্টার পারভেজ আহম্মেদ, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আশরাফুল হক রিপন, সোনারগাঁ পৌর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ন কবির রফিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মাজহারুল হক ময়ুর, বিএনপি নেতা রিয়াজুল ইসলাম, আহাদ, গোলজার হোসেন, শহীদউল্লাহ, জাহাঙ্গীর আক্তার, রাসেল, ছাত্রদল নেতা ইমন , রাব্বী প্রমূখ ।
বিক্ষোভ পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া আপোষহীন নেত্রী। তিনি তিন বার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তার স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম মহান স্বাধীনতার ঘোষক। মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বেগম খালেদা জিয়ার অসামান্য অবদান রয়েছে। সেই নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও জাল-জালিয়াতি করে সৃজন করা মামলায় বর্তমান অবৈধ দখলদার সরকার সাজা দিয়ে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে পাঠানোর গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে নেমেছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলার রায় এদেশের ষোল কোটি মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। সরকারী বাহিনীর সীমাহীন নিপীড়ণ সত্বেও এদেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো। বেগম জিয়ার মুক্তির সাথে বাংলাদেশের অপহৃত গণতন্ত্র উদ্ধারের সম্পর্ক জড়িত বলে নেতারা বলেন।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করায় সাঈদ দেলোয়ারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির চেয়ারপার্সন সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক সাঈদ দেলোয়ার। সংগঠনটির বক্তাবলী শাখার সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক সাঈদ দেলোয়ার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বর্তমান এই সরকার অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেনা, বাংলার জনগণ তা প্রতিহত করবেই। জনসমর্থন হীন অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। এক নায়েকতন্ত্র কায়েম করার জন্য একের পর এক আওয়ামী পুলিশ দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির উপর স্টিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে যা একটি গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়।দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কে কারারুদ্ধ করে দেশের জনগণ কে থামিয়ে রাখা যাবেনা।অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে যে সমস্ত নেতাকর্মী কে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সকলের নিঃশর্তে মুক্তি দাবি করছি।

বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা’ সাজা প্রদান করে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেবে বাংলার জনগণ। দেশে এখন বিএনপি অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় শক্তিশালী, গতিশীল ও সুশৃংখল। এজন্য বিনাভোটে নির্বাচিত জনসমর্থনহীন বর্তমান সরকার এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করা হয়েছে।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল বক্তাবলী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাজা থেকে অব্যাহতি ও মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

বই মেলায় বাপ্পি সাহার দুই বই

ডেস্ক নিউজঃ এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে কবি বাপ্পি সাহা’র দু’টি বই। এরমধ্যে একটি বাপ্পি সাহা’র শত কবিতা। বইটি প্রকাশ করেছে পরিবার পাবলিকেশন্স। অন্যটি তার সম্পাদিত কাব্যসংকলন- কবিয়াল। কবিয়ালে লিখেছেন একশ’ ছয় জন কবি। এটি পাওয়া যাবে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের স্টলে (স্টল নং-১৬) এবং পরিবার পাবলিকেশন্স স্টলনং-১৫৯ এ।

বই দুটোর পাঠকপ্রিয়তা প্রত্যাশা করে করেন কবিয়াল সম্পাদক। বাপ্পি সাহা বলেন, সাহিত্যানুরাগীদের বই দু’টো ভাল লাগবে। আশা করি সকলে সংগ্রহ করে অতৃপ্ত হবেন না।

নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেয়া এ কবি আরো জানান, নারায়ণগঞ্জে যে কবিতার চাষ হয় তা একমলাটে বন্ধি করার চেষ্টা করা হয়েছে। কবিয়াল-এ রয়েছে দেশবরেণ্য কবিদেরও কবিতা।

ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান এর গ্রেফতারে মশিউর রহমান রনি ও শাহ জাহানের তীব্র নিন্দা

বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় অবৈধ রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টন তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ-মিছিল করতে গিয়ে মিছিল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি- রাজিব আহসান গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান রনি ও ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ শাহ জাহান আলী। এক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি- রাজিব আহসানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমান সরকারের অপকর্ম ঢাকার জন্যই পুলিশের দ্বারা গ্রেফতার করিয়ে ও তল্লাশী চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে।
তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ভীত। তাই তারা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে ঢুকিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। তবে পুলিশ নেতাকর্মীদের যতই গ্রেফতার করুক না কেন জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিকরা ভীত নয়। তারা যে কোন উপায়ে দলীয় সকল কর্মসূচি সফল করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে।

নারায়ণগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে নারায়নগঞ্জ রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এসময় রূপগঞ্জ আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায়-দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সঙ্গে পুলিশেরও সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে গন্ধর্বপুর এলাকার মনু মিয়ার ছেলে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সুমন মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজে মারা গেছে। ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কাঞ্চন এলাকা ও আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫শ’ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে খবর রয়েছে। বর্তমানে গোটা উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকাল ঘটে এ ঘটনা।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামীলীগের উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের দেওয়া তথ্যমতে, খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে বিএনপি নেতাদের প্রতিহত করতে সকাল থেকেই রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা কাঞ্চন সেতু এলাকায় জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে দফায়-দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এগিয়ে আসলে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সঙ্গে পুলিশেরও সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে সুমন মিয়া নামে এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, উভয়পক্ষের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্ণীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে কাঞ্চন সেতু এলাকার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে স্থানীয় এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীর প্রতিক) সমর্থিত নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। অপর দিকে, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ¦ রফিকুল ইসলাম রফিক সমর্থিত নেতাকর্মীরা প্রায় একশ’ গজ দূরে অবস্থান নেয়। সকাল ১০টা থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদন্ড দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। রায় ঘোষণার সাথে সাথেই নারায়ণগঞ্জ আদালত অঙ্গনে উপস্থিত ফোরাম নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন। জেলা আইনজীবী সমিতির গেট থেকে মিছিলটি বের হয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামন দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পুনরায় আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষে আইনজীবী সমিতির সামনে ফোরাম নেতাকর্মীরা এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট আল আমীন সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সহ-সভাপতি এডভোকেট সামসুজ্জামান খোকা। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির,এডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, এডভোকেট আশরাফুল আলম সিরাজী রাসেল, এডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, এডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, এডভোকেট রাসেদুল আলম মানিক, এডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, এডভোকেট মাসুদা বেগম সম্পা, এডভোকেট মোজাম্মেল হক শিপলু, এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তি, এডভোকেট সুমন মিয়া, এডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, এডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত, এডভোকেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট লিজা, এডভোকেট আলী হোসেন, এডভোকেট আমেনা বেগম শিল্পী এডভোকেট সায়েম রানা প্রমুখ আইনজীবী ফোরাম নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের ষড়যন্ত্রের নীল নকশার অংশ হিসেবে আদালত প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যান্যদেরকে সাজা প্রদান করেছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক রায় মানি না। বক্তারা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা থেকে খালেদা জিয়াসহ অন্যান্যদের নিঃশর্ত অব্যাহতি দাবি করেন। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।