নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি কি ঝুলে গেল?

106

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি কি ঝুলে গেল? এমন প্রশ্ন দলটি মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ: হাইসহ দলের একাধিক সূত্র থেকে জানানো হয়েছে পূর্নঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়েছে এবং আগামী ২/৩দিনের মধ্যে তা ঘোষণা দেয়া হবে। কিন্তু এই ২/৩দিন কবে শেষ হবে তার কোন নিশ্টয়তা পাচ্ছে না কর্মীরা। যে কারণে জেলঅ আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির কথা বারবার স্মরণ করতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। নাজমা রহমান সভাপতি আর শামীম ওসমান সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর নতুন করে কমিটি গঠনের ব্যাপারে যে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিটি দীর্ঘ ১যুগ পার করেছে। কিন্তু নতুন করে জেলা কমিটি গঠন করতে পারেনি আহবায়ক কমিটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বর্তমান তিন সদস্যের কমিটি বেলায় একই ঘটনার পূনারাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে এমন ধারনা আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। আরদিকে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে পারছে না। সাংসদরা নিজ নিজ এলাকার উন্নয়ন কাজে ব্যস্ত থাকলেও জেলা ও মহানগর কমিটির নেতারা দল সাংগঠনিক ভাবে আরো বেশী শক্তিশালী করতে তেমন কোন ভূমিকা পালন করছে না এমন অভিযোগ খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পরারও। অনেক নেতা ক্ষমতার দাপটে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। ভাগ্য পরিবর্তনের দৌড়ে লিপ্ত রয়েছে কথিত কয়েক ডজন নেতা। তবে যারা দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা তারা সব সময়ই পর্দার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। তাদের খোঁজ নিচ্ছে না কেউ। আর এ নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের তৃনমূলে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের পূর্ন্গা কমিটি কবে ঘোষণা হবে এ নিয়ে দলের ভেতরে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। জেলা আওয়ামী লীগে পদ প্রত্যাশি নেতা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যেও জেলা কমিটির বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছে। দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী মনে করছেন জেলা কমিটি পূর্নাঙ্গ রূপ লাভ করলে মাঠ পর্যায়ের কমিটিগুলেঅও নতুন করে পূর্নগঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের উপর নির্ভর করছে দলটি আগামীদিনের ভবিষ্যত। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে যদি দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে না পারে তা হলে আগামীতে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদেও এর জন্য মাশুল গুনতে হবে। আর যারা পদ পদবী ব্যবহার করে দলের জন্য নয়, নিজের ভাগ্য বদলে লিপ্ত রয়েছে তারা ঠিকই তাদের অবস্থানে ভাল থাকবে এমন অভিযোগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। কর্মীদের মতে, টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। কিন্তু এ কাজে সাধারন কর্মী কিংবা পদহীন নেতারা অংশ নিতে পারছে না। পকেট ভারী হচ্ছে নেতাদের। আর কর্মীদের চলছে দূর্দিন। এ নিয়ে জেলার শীর্ষ নেতাদের প্রতি কর্মীদের ক্ষোভ বাড়ছে। এসব কাজে স্বজন প্রীতিরও অভিযোগ রয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা যেমন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে, একই ভাবে শীর্ষ নেতাদের স্বজনদেরও পকেট ভারী হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ। এছাড়া দলের কিছু নেতা জনপ্রতিনিধি হতে নানা ভাবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যে কারণে দলকে সাংগঠনিক ভাবে এগিয়ে নিতে কেউ উদ্যোগী হচ্ছে না। তবে আওয়ামী লীগকে আরো বেশী শক্তিশালীকরতে জেলা কমিটিকে পূর্নাঙ্গ রূপ দেয়ার পাশাপাশি মাঠ পর্যায় থেকে পূর্নগঠন প্রয়োজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধামহল।