ফতুল্লার কুতুবপুরে পুলিশের এ কেমন তান্ডব?

73

ফতুল্লা থানা এলাকায় প্রবেশ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কদমতলী পুলিশের বিরুদ্ধে তান্ডব চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে কদমতলী থানার অফিসার-ইন-চার্জ আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে এই তান্ডব চালানো হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের ছবি ভাংচুর কেরে এবং সিসি ক্যামেরা ও লও্যাপটপ নিয়ে যায়। কদমতলী থানা পুলিশের এমন তান্ডবের পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক এবং চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ,ফতুল্লার পার্শ্ববর্তী কদমতলী থানা পুলিশ প্রায় সময়ই নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করে বেআইনি ভাবে ফতুল্লা থানার সিমানায় প্রবেশ করে এমন ঘটনা প্রায় সময়ই মানুষকে হয়রানী করে থাকে। কদমতলী থানা পুলিশের এমন বেআইনি কর্মকান্ড বন্ধে সাংসদ শামীম ওসমানসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

কুতুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল খালেক জানান, মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে কদমতলী থানার অফিসার-ইন-চার্জ আব্দুল জলিল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফতুল্লা থানা এলাকার মুন্সিবাগে নির্জনা ট্রেডার্স নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালান। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি তালাবদ্ধ থাকায় তালা ভেঙ্গে তারা ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে থাকা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের ছবিসহ বেশকিছু রাজনৈতিক ছবি ও সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করেন। এছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল মালেকের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে চলে যাবার সময় ভাংচুর করা ছবি ও সিসি ক্যামেরা সাথে করে নিয়ে যান। তবে এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল মালেক সেখানে ছিলেন না।

আবদুল খালেক আরো বলেন, ঘটনার সময় আমি পাশেই দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু ভয়ে কিছুই বলতে পারিনি। কারন অভিযান চলাকালে কদমতলী থানার ওসি ছিলেন অত্যন্ত মারমুখি ভঙ্গিমায়।

তিনি আরও জানান, এর আগে ওই একই ওসির নেতৃত্বে আরও দু’বার অবৈধভাবে আমাদের থানা এলাকা প্রবেশ করে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন বা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কদমতলী থানার ওসি আব্দুল জলিল আমাদের থানা এলাকায় ঢুকে বার বার আমার ছোট ভাই আব্দুল মালেককে হয়রানী করার চেষ্টা করছে।

এ ব্যপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শাহ্ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদেরের বলেন, এ ধরনের কোন সংবাদ আমার জানা নেই। এছাড়া অন্য থানা এলাকায় অভিযান চালাতে হলে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করতে হয়। কদমতলী থানা পুলিশ আমাকে অবহিত করেনি।