১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 192

আই এস ইহুদীদের আবিস্কার -ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

আই এস হচ্ছে ইহুদীদের আবিস্কার, যারা অটমন সাম্রাজ্য তুরস্কের খেলাফতকে সম্মিলিতভাবে একত্রিত হয়ে ১৯২৪ সালে নষ্ট করেছিল এবং তাদের তৈরি করা বংশধর নাস্তিক ফেরাউনের উত্তরসূরি কামাল পাশাকে ১৯২৪ সালে তুরস্কের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছে । কিন্তু মনে রাখবেন হিরার জ্যোতি, হিরক্ষনদের জ্যোতি ছাই দিয়ে ঢাকা যায় না । ১৯২৪ সালে খেলাফতের বিপক্ষে কামাল পাশা তুরস্কের ক্ষমতা নিল । ক্ষমতা নিয়ে এসে ঘোষণা দিলঃ তুরস্কের ভূখণ্ডের কোন এক ইঞ্চি জায়গাতে ইসলাম নামে কোনকিছুর অস্তিত্ব থাকবে না । মসজিদ গুলোকে নাইট ক্লাব বানিয়েছে । মসজিদের মিনারকে ভেঙ্গে চুরমার করেছে । আজানকে বন্ধ করেছে । দাড়ি রাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে । মাথার টুপি কেরে নিয়েছে । মুসলমানের হেজাবকে খুলে দিয়েছে । চরম Secularism (ধর্মনিরপেক্ষতাকে) সে প্রতিষ্ঠা করলো । কিন্তু তুরস্কের মুসলমানের হৃদয় থেকে কুরআন ও সুন্নাহর ভালোবাসার ইসলামের ঐতিহ্যকে তাঁরা মুছে দিতে পারে নাই । ৮০ বছর পর আজ চরম ইসলামপন্থী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান তুরস্কের ক্ষমতায় বসে আছে । তাঁর পূর্বসূরি সোলেমান ডেভিডেল, নাজমুদ্দীন আরবাকান তাঁরা খুব কষ্ট করে গেছেন । তারা সকলেই বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ)-এর অনুসারী । যিনি তুরস্কের আধ্যাত্মিক নেতা । মুজাদ্দেদীয়া তরীকার পীর ছিলেন । তাঁর সেই মুজাদ্দেদীয়া তরীকার পীর বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ) চরম ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তুরস্কের মধ্যে দাওয়াতের কাজ চালালেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষাধিক ছাত্র তাঁর মুরিদ হয়ে গেল । সে সরকার তাঁকে ২৭ বার কারাগারের ভিতরে নিয়েছে । আর আমাদের দেশের পীররা চরম সুবিধাবাদী । যখন যে সরকার তারা সেই সরকারের অনুগত্য হয়ে যায় । এছাড়া পীরালীটাকে এখন তারা পুরোহিত তন্ত্রে পরিণত করেছে । ইসলামের পক্ষে দ্বীনের পক্ষে সত্যের পক্ষে এদের কোন বক্তব্য নাই । কিন্তু সত্যিককারের যারা পীর মাশায়েখ সাড়াজীবন তারা আল্লাহর দ্বীনের পক্ষে, শিরক কুফর এবং বাতিলের বিপক্ষে খেলাফতের পক্ষে, হুকুমতে ইলাহির পক্ষে কাজ করে গেছেন । কেউ প্রকাশ্যে, কেউ অপ্রকাশ্যে, কেউ প্রত্যক্ষভাবে, কেউ পরোক্ষভাবে । তাঁদেরই একজন বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ) । তাঁরই অনুসারী নাজমুদ্দীন আরবাকান, সোলেমান ডেভিডেল । আর তাঁদেরই অনুসারী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান । সেখানে এখন মসজিদে আজান হয় । মহিলারা স্কার্ফ পরিধান করে সংসদে ঢুকতেছে । পুরুষরা দাড়ি রাখতেছে । ইসলামের পক্ষে সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভূমিকাতে চলে আসতেছে তুরস্ক । তাহলে ১৯২৪ সালে সমস্ত কাফের মুশরেক একত্রিত হয়ে, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে তারা তুরস্কের খেলাফতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল । সেই ইসলামের মৌলিক একটি বিষয় খেলাফতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ইহুদীরা আইএসকে মাঠে নামিয়েছে ।

আইএস ২টি কথা বলতেছেঃ একটি হল জিহাদ, আরেকটি হল খেলাফত । এখন যারা ইসলাম বুঝেনা জানেনা, তাদের মধ্যে জিহাদের ব্যাপারে একটি ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে । খেলাফতের ব্যাপারেও ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে । দেখা যাচ্ছে- আইএস যে এলাকা দখল করছে, মহিলাদেরকে ধর্ষণ করছে । এবং বিচার ছাড়া যাকে তাকে কল্লা কেটে দিচ্ছে । এখন ইহুদীরা সুযোগ পাচ্ছে । দুনিয়াবাসীকে বুঝাতে- খেলাফত মানেই হল মহিলাদেরকে ধর্ষণ করা । খেলাফত মানেই হল যাকে তাকে পাও কল্লা ফেলে দেওয়া । সে কাজটি তারা পুরোপুরি সফল না হলেও কিছুটা তো সফলতা লাভ করছে । বড়ই দুঃখজনক হলোঃ বাংলাদেশে এই আইএস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যখন কথা শুরু হলো । এদেশে যারা আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ তাদের দায়িত্ব ছিল, সন্ত্রাসের পূর্ণমাত্রায় বিরোধিতা করে, খেলাফত এবং জিহাদের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা ।

আইন মানার ক্ষেত্রে আল্লাহর আইন মানতে হবে । আল্লাহর আইন ইবাদতের অংশ । আর সে আইনকে বাস্তবায়িত করার একমাত্র মূলমন্ত্র হল খেলাফত । তাহলে বুঝা যাচ্ছে, আমরা যারা ভূপৃষ্ঠের হুকুমত থেকে বঞ্চিত তারা ঈমানকেও ঠিক করি নাই, আমলকেও ঠিক করি নাই । ঈমান এবং আমল যদি ঠিক হতো, ভূপৃষ্ঠের হুকুমত আল্লাহ আমাদের দান করতো ।খেলাফতের মূল উদ্দেশ্য চারটা । নূর নবীজী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীস থেকে এই মাসালা আস্তেমবাত করেছেন, উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক, আমাদের পূর্বসূরি শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দীসে দেহলবী (রহঃ) হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা কিতাবের ১৪৯ পৃষ্ঠায় তিনি তুলে ধরেছেনঃ খেলাফতের মূল ৪টা বিষয় বাস্তবায়ন করা ।

১. (মজলুম) জুলুমের শিকার মানুষকে জুলুম থেকে বাঁচানো ।
২. আল্লাহর প্রদত্ত আইনকে বাস্তবায়ন করা, আল্লাহর প্রদত্ত শাস্তিকে বাস্তবায়ন করা ।
৩. বিচার ব্যবস্থা কুরআন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠা করা ।
৪. জিহাদ পরিচালনা করা।

২টা জিনিসের বিরুদ্ধে কাফের মুশরেকদের সবচেয়ে বেশী প্রচার- একটি হল জিহাদ, আরেকটি হল খেলাফত । আইএস-এর সাথে ইসলাম ও মুসলমানের কোন সম্পর্ক নাই । আইএস এর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায় কখনোই ইসলাম ও মুসলমান নিবে না । আইএস ইহুদী মোসাদের আবিষ্কার । আর তাদেরকে অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা । আইএস-এর বিরোধিতা করতে যেয়ে কোন অবস্থায়ই জিহাদের বিরোধিতা করার সুযোগ নাই । কারণ জিহাদকে যে অস্বীকার করবে, জিহাদের বিরোধিতা করবে সে মুসলমান নয় । জিহাদ ইসলামের মূল একটি বিষয় । জিহাদ ইসলামের মূল একটি বিষয় । সোনারগাঁও-এ যুদ্ধ হয়েছিল ঈসাখাঁর সাথে । বাদশা আকবরের একটা হিন্দু ছেলে ছিল । বাদশা নিজেও মুসলমান ছিল না । বাদশা নিজেও হিন্দু ছিল । মানসিংহ ঈসাখাঁর সাথে যুদ্ধ চলাকালীন মানসিংহের অস্ত্র ভেঙ্গে গেছে । ঈসাখাঁ যুদ্ধ বন্ধ করে দিল । মানসিংহ বললো আপনি ইচ্ছা করলে তো আমাকে হত্যা করতে পারতেন যুদ্ধ বন্ধ করলেন কেন ? ঈসাখাঁ বললো নিরস্ত্রকে আঘাত করা ইসলাম শিক্ষা দেয় না । তুমি অস্ত্র নিয়ে আসো তারপর যুদ্ধ করবো । কাফের মুশরেকরা যদি তাদের গণ্ডি পার হয়ে ইসলাম ও মুসলমানের উপর আঘাত করতে আসে তখন মুসলমানকে অস্ত্র ধারণ করতেই হবে । সেটা ডিফেন্সিভও হতে পারে অফেন্সিভও হতে পারে ।

আইএস যা করছে তার জন্য শুধু তারা দায়ী নয়, পরিস্থিতিও দায়ী । আইএস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হামলা করেছে ইউরোপ আমেরিকাতে তারা হামলা করেছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র World Agents Terrorism (সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ) এই নামে ১৯৯১ সালে প্রথম ইরাকে হামলা করেছে । আজকে ২০১৬ , ২৬ বছর পার হয়েছ । ২৬ বছরে সমৃদ্ধ ইরাকে আমেরিকা তার নেতৃত্বাধীন ন্যাটোযোদ্ধা নিয়ে মোট ৩২ লক্ষ্য মুসলমানকে হত্যা করেছে । এই ২৬ বছরে একটি স্বাধীন সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে মিথ্যা আজুহাতে হামলা করে ৩২ লক্ষ্য মুসলমানকে শহীদ করা হয়েছে । আর এই ২৬ বছরে ইরাকে ঘরবাড়ী বাবা মা ছাড়া হয়েছে ১ কোটি ২০ লক্ষ্য । এমন একটি দেশ ছিল যেখানে তেলের পয়সা বিক্রি হলে প্রত্যেক নাগরিকের একাউন্টে পয়সা চলে যেত । বাড়ীতে বসে বসে তারা তেলের পয়সায় চলতো । সেই দেশে ঐ আমলে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল অবৈতনিক । মাস্টার পর্যন্ত পড়াশুনা করতে কোন টাকা লাগতো না, ফ্রি ছিল । টিটমেন্ট ফ্রি । দেশের খনিজ সম্পদ বিক্রি হতো প্রত্যেকের একাউন্টে টাকা যমতে থাকতো । বছর শেষে দেখা যেত কয়েক লক্ষ্য রিয়েল জমা আছে । এরকম একটা দেশকে ধ্বংস করা হলো । ৩২ লক্ষ্য মুসলমান শহীদ হয়েছে । ১ কোটি ২০ লক্ষ্য মানুষ নিঃস্ব হয়েছে । সেই ২৬ বছর আগে যেই বাচ্চাটার বয়স ছিল ৪ । যে তার নিজের চোখে দেখেছে তার নিজের দেশকে অগ্নিগর্ভে পরিণত হতে । যে নিজের চোখে দেখেছে তার নিজের মাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খৃস্টানরা ধর্ষণ করেছে । পিতাকে হত্যা করেছে । আজ সে যুবকের বয়স ৩০ । সে যদি তার দেশের স্বাধীনতার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে, ৩২ লক্ষ মানুষের রক্তের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে, মা বোনের ধর্ষণেত প্রতিশোধ নিতে গিয়ে, আমেরিকা ফ্রান্সে হামলা করে কয়েকশ খ্রিষ্টান মেরে ফেলে, সমাজ চোখে এটা অপরাধ হলেও আমি সেটাকে অপরাধ বলতে পারি না । অতএব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায় শুধু আইএসকে দিলে হবে না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় সমাজকে দায় দিতে হবে ।

সুতরাং ইসলামী খেলাফতকে বিতর্কিত করার জন্য ইহুদিরা মুসলমানদের লেবাসে আই এসকে মাঠে নামিয়েছে। তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে এবং তাদের বিপক্ষে সকলকে সতর্ক করতে হবে।

এসকে সিনহাকে অপসারনের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ সাধারণ আইনজীবীদের মানববন্ধন

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা কে জোরপূর্বক অপসারণ করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পাঁচদিন ব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাধারণ আইনজীবীরা ।

রবিবার ( ৮ অক্টোবর ) দুপুরে আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সাধারণ আইনজীবীরা ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি এড. সরকার হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক এড. খোরশেদ মোল্লা, বারের সাবেক সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. জাকির হোসেন, এড. আনোয়ার প্রধান, এড. রফিক আহম্মেদ, এড. মিয়া মোঃ বাশার, এড. মশিউর রহমান শাহীন, এড. নবী হোসেন, এড. বেনজির আহম্মেদ, এড. আবুল কালাম জাকির, এড. আনিছুর রহমান মোল্লা, এড. জিল্লুর রহমান লিটন সহ অনেকেই​ ।

পানি ও গ্যাস বিহীন জেনারেল হাসপাতালের ( ভিক্টোরিয়ার) ডরমেটরি

নারায়ণগঞ্জ ২শ শয্যা ( ভিক্টোরিয়া) জেনারেল হাসপাতালের ডরমেটরিতে দীর্ঘ এক মাস যাবত পানি ও গ্যাস না থাকায় অবস্থানরত নার্সদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান বলেছেন, ডরমেটরির সংস্কার কাজ চলছে বলে সবাইকে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়েছে।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডরমেটরির ভিতরে ৩ জন নার্সের পরিবার বসবাস করে। মাসিক সাড়ে চার হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে সিনিয়র স্টাফ
নাস মাকসুদা বেগম একটি কক্ষে থাকেন। একই ভাড়া দিয়ে ৩ রুমে থাকেন নার্সিং সুপার ভাইজার আয়শা খানম, মাসে ২২০০ টাকায় ২ রুম নিয়ে থাকেন রহিমা ভূইয়া নামে অপর নার্স। এখানে বর্তমানে চরমবৈষম্য দেখা গেছে।
সিনিয়র স্টাফ নার্স মাকসুদা বেগম বলেন, একমাস যাবত গ্যাস ও পানি না থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছ। রুম বরাদ্ধেও চরম স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়েছে। সব জায়গায় জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি ডরমেটরির সংস্কার কাজ করা কালীন অন্য নার্সদের রুম দেয়া হলেও আমাকে দেয়া হয়নি। ডরমেটরির ভিতর হতে পাশের মেথরদের পানি সংযোগ দেয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামানের
কাছে জানতে চাইলে তিনি নিউজএটুজেডকে বলেন, ডরমেটরী সংস্কার কাজ চলছে। গ্যাসের লাইনের ভিতর পানি ডুকেছে। তিতাসের কাজ তারা ঠিক করে দিলে সম্ভব বলে দায়সারা মন্তব্য করেন। সমাজকল্যান অফিসারকে
বলেছি এবং বিষয়টি সিভিল সার্জন স্যার ও জানেন।একমাস যাবত ডরমেটরিতে গ্যাস ও পানি না থাকলেও কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতায় তীব্র অসন্তোষ রয়েছে নার্সদের।

 

ফাতেমা মনি’র হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলীর উত্তর গোপালনগরে শ্বশুর বাড়িতে নিহত ফাতেমা আক্তার মনিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে নিহত মনির পরিবার।
রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯ ঘটিকায় বক্তাবলী পুলিশ ফাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে এ দাবী জানানো হয়।
নিহত মনির মামা মোঃ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, মনির নানা হাজী সাহাবুদ্দিন, দাদা মোঃ আলী, জমির শিকদার, সমাজসেবক নুর হোসেন, জাহাঙ্গীর ফকির, মনির বাবা মোঃ হোসেন আলী, মনির ভাই মামলার বাদী তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।উপস্থিত ছিলেন মনির মামা মোঃ আলী,উত্তরগোপালনগরের সমন, আমির, বদু, শাহজাহান, মিন্টু, শাকিল সহ এলাকাবাসী।মামলার বাদী মনি’র ভাই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মনির হত্যাকারী স্বামী আশিক চাঁন রাত ১১ টায় ফোনে বলে মনি বিকাল ৪ টা হতে দরজা বন্ধ করে রেখেছে। এ খবর পেয়ে গিয়ে দেখি মনির স্বামী আশিক চান, শ্বশুর আওলাদ হোসেন,শ্বাশুড়ী ফেরদৌসী বেগম কেউ বাড়ীতে নাই। আমার বোন মনিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।মনির বাবা হোসেন আলী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। মনির শ্বশুর আওলাদ হোসেন অনেক টাকার মালিক। টাকা দিয়ে ময়নাতদন্ত রির্পোট ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে সেজন্য এসপি, ডিসি ও সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপ
কামনা করেন।মানববন্ধন কর্মসূচী হতে অবিলম্বে পলাতক খুনী আশিক চান, শ্বশুর আওলাদ হোসেন, শাশুড়ী ফেরদৌসীকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামালউদ্দিনের প্রতি আহবান জানানো হয়।
অকালে নিহত মনির মৃত্যুতে পুরো বক্তাবলী জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উল্লেখ্য ৬ অক্টোবর ফাতেমা আক্তার মনির লাশ শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।

পাগলা কোষ্ট গার্ডের অভিযানে মেঘনা নদী থেকে কোটি টাকার কারেন্ট জাল ও মা ইলিশ জব্দ

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমাণ্য করে মা ইলিশ শিকারের সময় ফতুল্লার পাগলা কোস্ট গার্ড সদস্যরা মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৮০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ২৪০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করেছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত আড়াইটায় মেঘনা নদীর মোহনায় অভিযান চালায় কোস্ট গার্ড সদস্যরা। এ ওই কারেন্ট জাল ও ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। অবৈধ কারেন্ট জালের আনুমানিক মূল্য ৯৯ লাখ ২০ হাজার টাকা।

তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে জেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি কোষ্ট গার্ডেও সদস্যরা। শনিবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে পাগলা কোস্ট গার্ড স্টেশনের লেফটেন্যান্ট এম এনায়েত উল্লাহ এ তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, জব্দকৃত অবৈধ কারেন্ট জাল ও ইলিশগুলো জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ মেছবাহুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হলে তিনি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করে জব্দকৃত মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানা ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন।

ফতুল্লার বক্তাবলীতে নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু

ফতুল্লার বক্তাবলীতে স্বামীর পরকীয়া প্রেম ও শশুর বাড়ির লোকদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিয়ের ৫ মাসের মাথায় ফাতেমা আক্তার মনি (১৮) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতনের পর মনিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। আর ফাতেমা আক্তার মনি মারা যাওয়ার পর হতে শশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। যার কারনে মনির মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপু রে ফতুল্লার উত্তর গোপালনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।

নিহত ফাতেমা আক্তার মনি উত্তর গোপালনগর এলাকার আশিক হোসেন চাঁনের স্ত্রী ও বক্তাবলীর মধ্যনগর এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে।

নিহতের বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম জানান, তার ছোট বোন ফাতেমা আক্তার মনিকে চলতি বছরের ৫ মে বক্তাবলীর উত্তর গোপালনগর এলাকার আওলাদ হোসেনের ছেলে আশিক হোসেন চাঁনের সাথে ইশলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর হতে জানতে পারে ছোট বোনের স্বামী একজন নেশাগ্রস্ত ও পরকীয়া প্রেমে জড়িত। যার কারনে প্রায় সময় মনিকে তার স্বামী শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এমনকি মনির স্বামী আশিক প্রায় সময় নতুন বউ রেখে বাহিরে রাত্রি যাপন করে। এতে করে মনি বিষয় গুলো শশুর বাড়ির লোকজনকে জানালে তারা আরো ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। যার কারনে শুক্রবার সকালে মনি তার শশুর বাড়ির ২য় তলায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আর সেই সংবাদটি মনির স্বামী ফোন করে তাকে জানায়। পরে মনির শশুর বাড়িতে গিয়ে স্বামী,শশুর শাশুরীসহ কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এতে করে তারা ধারনা করছে মনিকে হত্যা করে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন নিউজ প্রতিদিন ডট নেট কে জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমা আক্তার মনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের পরিবারের হত্যার অভিযোগ করলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযোগ আমলে নেয়া যাচ্ছে  না। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।

ইমাম হুসাইন (রা) একমাত্র খেলাফত প্রতিষ্ঠা জন্য শহীদ হয়েছিলেন-ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরীফের মাসিক যিকির মাহফিলে দরবার শরীফের সালেক, ভক্ত, মুরিদদের উপস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনায় আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরিফের বর্তমান গদ্দিনাশীন পীর,আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরী হুজুর বলেন- মুহাররম মাস চলছে এ মাসটি আসলে ইমানদার মুসলমানদের হৃদয়ে কারবালার প্রান্তরে শহীদ হওয়া ইমাম হুসাইন (রা) এবং তাঁর সঙ্গীদের প্রতি অগাধ ভক্তি শ্রদ্ধার মাধ্যমে তাদেরকে স্বরণ করা হয়ে থাকে। অপর পক্ষে পাপিষ্ঠ ইয়াজিদ এবং তার সৈন্যদের প্রতি ধিক্কার এবং লানত। আমাদের অনেকেরই সঠিক কারবালার ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ, আবার অনেকে সঠিক ইতিহাস জানা না থাকায় অন্ধকারে তীর মেরে থাকেন।কুফাবাসী ইমাম হুসাইন (রা) এর নিকট ১৫০ টির অধিক চিঠি প্রেরণ করে পাপিষ্ঠ ইয়াজিদের রাজনন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে অসহায়দেকে অত্যাচারের কথা বলা হয়।আর কারণের তিনি কারবালার প্রান্তরে গিয়েছিলেন খেলাফত প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আর সেখানে পৌঁছে ইয়াজিদের দলের প্রধান সেনাপতি দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।বার বার ইয়াজিদের রাজতন্ত্রের প্রতি বাইয়াত আনয়ণ করার জন্য ইমাম হুসাইন (রা) কে জোর তাগিদ করা হয়। তখন ইমাম হুসাইন (রা) হুংকার দিয়ে বলেছিলেন জীবন চলে গেলেও আমার নানার আদর্শ থেকে আমাকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি ঘঠাতে পারবেনা। আর এই কারণের তাঁকে শহীদ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় পাপিষ্ঠ ইয়াজিদের নিকট যখন ইমাম হুসাইন(রা) এর মাথা মোবারক নেওয়া হয়েছিল তখন ইয়াজিদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সে ইমাম হুসাইন(রা) খন্ডিত মাথায় খোঁচা দিয়ে বলেছিল বদরে মুহাম্মাদ (সা) আমার পুর্ব পুরুষদের হত্যা করেছিল আজ আমি তাঁর নাতি ইমাম হুসাইনকে হত্যা করে তার প্রতিশোধ নিলাম। এছাড়াও সে অসংখ্য আহলে বায়াতকে হত্যা করেছিল। এবং ইসলামী খেলাফত ধ্বংস করে রাজতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে। পৃথিবীর বড় বড় মুফাসসির,মুহাদ্দেস,ফকিহগণের ইয়াজিদ সম্পর্কে ধারণা হল তাকে মুমিন, মুসলমান বলার কোন সুযোগ নেই। অনেকে বলেছেন ইয়াজিদ মদকে হালাল বলতো আর বিশেষ করে সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রেসালাতকেই বিশ্বাস করতো না। কুরআন,হাদীস অনুযায়ী সুস্পষ্ট ফতোয়া যারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রেসালাতকে বিশ্বাস করেনা তারা কুখ্যাত কাফের। পীর সাহেব জৈনপুরী হুজুর আরো বলেন-মুহাররম মাস আসলেই কিছু টেলি মৌলভী এবং ইয়াজিদ প্রেমীকদের দেখা মিলে। যাদের একটাই কাজ শুধু ইয়াজিদকে শ্রেষ্ঠ মুমিন বলা আর ইমাম হুসাইন (রা)দোষারুপ করা। এমনকি ঐ ভন্ডরা ইয়াজিদকে রাদিয়াল্লাহু আনহু বলে থাকে(নাউযুবিল্লাহ)। লেবাননে ইয়াজিদের নামে মাদ্রাসা তৈরী করেছে সুতরাং আমাদেরকে এই ইয়াজিদের দালালদের থেকে সাবধান থাকতে হবে, কারণ আহলে বায়াতদেরকে যারা গালাগালি করে তারা অবৈধ সন্তান ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা। পরিশেষে মিলাদ কিয়াম এবং মোনাজাতের মাধ্যমে মাসিক যিকির মাহফিলের সমাপ্তি ঘটে।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে রহিম সম্পাদক-লিটন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের একাধিক বারের নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম আসন্ন নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনে অংশ নিতে বুধবার দুপুরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। অপরদিকে, বর্তমান কমিটির দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন এবারের নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তার প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ অক্টোর ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার প্রদীপ চন্দ্র রায়, অপর দুই নির্বাচন কমিশনার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক নাফিজ আশরাফ ও সাধারন সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ।

না’গঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নে রুমী সভাপতি ও রাজু সম্পাদক নির্বাচিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ জেলার প্রথম সরকারী রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনইউজে) রেজি নং-বি-৪৪৬০ এর দ্বী বার্ষিক সাধারণ সভা ও নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় রাইফেল ক্লাব মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনইউজে) রেজিঃ নং-বি-৪৪৬০ এর সাধারণ সভা শেষে এডহক কমিটির মাধ্যমে আগামী ২ বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি পদে এস এম ইকবাল রুমী (দৈনিক খবর) ও সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ (ডিবিসি নিউজ চ্যানেল ও দৈনিক যুগান্তর) নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন সিনিয়র সহ সভাপতি কমল খান (দৈনিক নারায়ণগঞ্জের আলো), সহ সভাপতি আরিফুজ্জামান (দৈনিক ভোরের কথা), আল আমিন তুষার (দৈনিক যুগান্তর, সোনারগাঁ) যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসাইন (লাইভ নারায়ণগঞ্জ), মনির হোসেন সুমন (দৈনিক দেশের আলো), সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বিলিপ কুমার মন্ডল (নিউজ টুয়েন্টিফোর চ্যানেল ও দৈনিক কালের কন্ঠ), সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান (বাংলাদেশ প্রতিদিন, আড়াইহাজার), অর্থ সম্পাদক রোমান চৌধুরী সুমন (বাংলাদেশ প্রতিদিন), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ হাই মিলন (দৈনিক যুগান্তর, রুপগঞ্জ), দপ্তর সম্পাদক হাজী নাসিরউদ্দিন (দৈনিক মানবকন্ঠ), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সামন হোসেন (দৈনিক মানবজমিন), সমাজকল্যান সম্পাদক হোসেন চিশতি শিপলু (দৈনিক যুগান্তর, সিদ্ধিরগঞ্জ) নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন, রনজিৎ মোদক, এস এম বাবুল, আলমগীর আজিজ ইমন, শাকিল আহমেদ ডিয়েল।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ, দৈনিক রুদ্রবার্তার সম্পাদক শাহ আলম তালুকদার, বন্দর প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি কবির হোসেন, কায়সার আহমেদ, মিজানুর রহমান, রাসেল আহমেদ, জি এম সহিদ, কামরুল হাসান, এমরান হোসেন, আরিফ হোসেন, জুয়েল চৌধুরী, এস এম রুবেল মাহমুদ, ইমদাদুল হক দুলাল, আনিসুর রহমান, আল আমিন ভ’ইয়া, মঞ্জুরুল কবির বাবু, ফজলে রাব্বি সোহেল, আবুল বাশার, মনির হোসেন, শেখ সুমন আহমেদ, হিরালাল বাদশা, হাবিবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন সজীব, এস এম শাহাদাত, ফরহাদ হোসাইন, কামাল হোসন মিন্টু, মিলন বিশ্বাস হৃদয় প্রমুখ।

সাধারণ সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দৈনিক ইত্তেফাকের আড়াইহাজার প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ। সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন যথাক্রমে রাজু আহমেদ ও মনির হোসেন সুমন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সভাপতি এস এম ইকবাল রুমী। সভায় নতুন কমিটি গঠনের জন্য ৮ সদস্য বিশিষ্ঠ এডহক কমিটি করে দায়িত্ব দেয়া হয়। এডহক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আগামী ২ বছরের জন্য ১৯ সদস্য বিশিষ্ঠ কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন করেন। সাধারণ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে উক্ত কমিটি অনুমোদন করা হয়।
কমিটি ঘোষনার পর নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সভাপতি এসএম ইকবাল রুমী বলেন, আজকে আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ যে আপনারা পুনরায় আমাকে সভাপতি পদে মনোনীত করেছেন। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো এই সংগঠনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। আগামী ১ মাসের মধ্যে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় করবো। যাতে পরবর্তি সভাগুলো সেই কার্যালয়ে করতে পারি। নভেম্বরে জাঁকজমকপূর্ণ অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো। নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি। নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনইউজে) রেজি নং-বি-৪৪৬০ জেলার প্রথম সরকারী রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত ইউনিয়ন। প্রথম পর্যায়ে যে গতি নিয়ে সংগঠনটির অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিলো পরবর্তিতে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি। আজকে দীর্ঘদিন পর আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আপনারা সাংবাদিকরা এসে উপস্থিত হয়েছেন সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সকলের সাথে আলোচনা করে ভবিষ্যতে সাংবাদিক ইউনিয়নকে আরও গতিশীল করার পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ বলেন, আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ আবারও আমাকে সাধারণ সম্পাদিকের দায়িত্ব দিয়েছেন। এ দায়িত্ব পালনে আমি সকলের সহযোগীতা চাই। আজকে এখানে কার্যালয়ের দাবি করা হয়েছে। আমরা ১ বছরের মধ্যে নিজস্ব কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ। দেড় মাসের মধ্যে অভিষেক অনুষ্ঠান করবো। বছরে ১ বার ফ্যামিলি ডে করবো। আজকে আপনারা স্বঃতস্ফুর্তভাবে উপস্থিত হয়েছেন। আগামী সভাগুলোতেও এভাবে উপস্থিত হলে আমরা দ্বীগুন উৎসাহ নিয়ে কাজ করতে পারবো। আপনাদের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতি নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
সভায় অন্যান্য বক্তারাও সংগঠনকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য প্রদান করেন। সভাশেষে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুলের মালা দিয়ে বরন করে নেন সদস্যরা। এরপর দুপুরের খাবারের আমন্ত্রণ জানিয়ে সভা সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে আব্বাসী মঞ্জিলে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুর দরবার শরীফ এবং পাঠানটুলী যুব সমাজের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ পাঠানটুলীতে আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুর দরবার শরীফে রবিবার সকালে খাতমে কোরআন,বাদ যোহর মিলাদ শরীফ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন, তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতের আমির আল্লামা মুফতি ড. সাইয়্যেদ মুহামাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী হুজুর। মুহাম্মদ রোকন ভুইয়া ও ফয়সালের তত্ত্বাবয়াধানে পাঠানটুলী যুব উন্নয়ন কমিটির সংশ্লিষ্টতায় মোনাজাতের পর তাবারক বিতরণ করা হয়।