৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 193

দাউদের অর্থেই চলত বিতর্কিত ইসলামিক প্রচারক জাকির নায়কের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

বিতর্কিত ইসলামিক প্রচারক জাকির নায়েককে টাকা দিতেন মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম। একজন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে দেওয়া হত সেই টাকা।
আর সেই মধ্যস্থতাকারীর নাম সুলতান আহমেদ। দাউদের ভাই কাসকর জেরায় পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন।

এর আগেও জানা গিয়েছিল, ‘বিতর্কিত’ ইসলামী বক্তা জাকির নায়েকের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন বা আইআরএফ-তে অর্থ সাহায্য করতো পাকিস্তানে আশ্রয় পাওয়া ও মুম্বাই বিস্ফোরণের প্রধান আসামী দাউদ ইব্রাহিম। একথা জানিয়েছিল জাকির নায়েকের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার আমির গজদার।

বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে আগেই তারিখ আমির গজদারকে গ্রেফতার করে ভারতের ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাদের সন্দেহ, জাকির নায়েক ও তার এনজিওর হয়ে ২০০ কোটি রুপি লেনদেন করেছে এই আমির।

মুম্বাই পুলিশের হাতে সম্প্রতি ধরা পড়েছে দাউদের ভাই কাসকর। তিনি জানান, দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে চারবার কথা হয়েছে তার। ‘বার্নার ফোন’ ব্যবহার করে দাউদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। যার ফলে দাউদের নম্বর গোপন রাখা সম্ভব হয়েছে।

কাসকরকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বার্নার ফোন ও সিম বক্স ব্যবহার করে কাসকর ফোন করেছেন বলে জানা গেছে। কোনও বিশেষ কারণে ফোন নম্বর গোপন করে দাউদকে ফোন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাসকর। এছাড়া সিম বক্স পরিচয় গোপন করে ফোন করার ব্যবস্থা করে।

নাসিক প্যানেল মেয়র হলেন বিভা, মতি ও মিনু

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্যানেল মেয়র নির্বাচনে প্যানেল মেয়র-১ হিসেবে সংরক্ষিত ৬ আসনের (১৬, ১৭, ১৮ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর  আফসানা আফরোজ বিভা, প্যানেল মেয়র-২ হিসেবে ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি এবং প্যানেল মেয়র-৩ হিসেবে সংরক্ষিত ৪ আসনের (১০, ১১, ১২ নং ওয়ার্ড) মিনোয়ারা বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার দুপুরে নগর ভবনে নাসিকের ৫ম মাসিক সভায় মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৩৬ কাউন্সিলর ভোট দেন।
প্যানেল মেয়র-১ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা  বিজয়ী প্রার্থী নাসিক সংরক্ষিত ৬ আসনের (১৬, ১৭, ১৮ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর  আফসানা আফরোজ বিভা পেয়েছেন ১৬ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুল করিম বাবু পেয়েছেন ১৩ ভোট এবং ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ পেয়েছেন ৬ ভোট ।
প্যানেল মেয়র-২ হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি।
প্যানেল মেয়র-৩ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা বিজয়ী প্রার্থী নাসিক সংরক্ষিত সংরক্ষিত ৪ আসনের (১০, ১১, ১২ নং ওয়ার্ড) মিনোয়ারা বেগম পেয়েছেন ১৫ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী হিসেবে ছিলেন, সংরক্ষিত ৫ আসনের (১৩, ১৪, ১৫ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি পেয়েছেন ১৪ ভোট এবং সংরক্ষিত ৩ আসনের (৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা ৮ ভোট পেয়েছেন।
ফলাফল ঘোষণা শেষে নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী জানান, নির্বাচন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট । যারা নির্বাচিত হয়েছেন সকলেই আমার সহকর্মী । যে যার যোগ্যতা অনুযায়ী নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে মেয়র বলেন, এ নির্বাচনে আমার কাছের প্রার্থী জয়ী হওয়াতে আমি আনন্দিত। আমি জনগনের প্রার্থী, ভবিষৎ এ জনগণের সাথে সমন্বয় এবং সকল আন্তরিকতা রেখে কাজ করবো। এবং আশা করবো আমার কাজে সকল কাউন্সিলরা আন্তরিকতার সাথে সহযোগীতা করবেন।
বিজয়ী প্যানেল মেয়র-১ আফসানা আফরোজ বিভা বলেন, আমাকে আমার সম্মানিত কাউন্সিলর সহকর্মীরা নির্বাচিত করায় আমি তাদেও প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এবং খুশি। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করবো।
প্যানেল মেয়র-২ হিসেবে নির্বাচিত মতিউর রহমান মতি বলেন, আমাকে আমার সহকর্মীরা সম্মান দেখানোয় আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছি। এজন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
সংরক্ষিত প্যানেল মেয়র-৩ হিসেবে নির্বাচিত মিনোয়ারা বেগম বলেন, আমাকে নির্বাচিত করায় আমি অত্যন্ত খুশি। আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
উল্লেখ্য,  গত বছরের ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। অন্যদিকে ২৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের মধ্যে ১৩টিতে জয় পেয়েছিলো আওয়ামী লীগ ও ১২টিতে জয় পেয়েছে বিএনপি। জাতীয় পার্টি ও বাসদ পেয়েছিলো একটি করে ওয়ার্ড।
আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ১ নং ওয়ার্ডের  মো. ওমর ফারুক, ৩ নং ওয়ার্ড: শাহ্জালাল বাদল, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী হাসান আলা, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুল করিম বাবু, ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসাইন, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল আহাম্মদ সাগর, ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মদ দুলাল।
আওয়ামীলীগ মনোনিত নির্বাচিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদা  মোজাফফর, ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, সংরক্ষিত ১০, ১১, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিনোয়ারা বেগম, ১৩, ১৪, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি, ১৯, ২০, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিউলী নওশাদ, ২২, ২৩, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাওন অঙ্কন।
অপর দিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইকবাল  হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্ট, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ ভূইঁয়া, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, ২৬ নং ওয়ার্ড:  মো. সামছুজ্জোহা, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল। এবং সংরক্ষিত আসন ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা, ১৬, ১৭, ১৮ নং ওয়ার্ড আফসানা আফরোজ বিভা, ২৫, ২৬, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হোসনে আরা।
বাসদ থেকে নির্বাচিত প্রার্থী ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিৎ বরণ বিশ্বাস এবং জাতীয় পার্টির মনোনিত  প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্যানেল মেয়র নির্বাচনটি অন্যান্য নির্বাচন থেকে ব্যতিক্রমীভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ নির্বাচনে মেয়র, ২৭ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৯ সর্বমোট ৩৭ ভোটের মাধ্যমেই প্যানেল মেয়র-১, ২ এবং ৩ নির্বাচিত করা হয়। তবে এ নির্বাচনের প্রকাশ্যে কাউকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি বা হয় না। অনেকটা ঘরোয়া ভাবেই সকলের পরামর্শক্রমে বা কেউ আপত্তি করলে  সভার মাঝেই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবার নাসিকের পঞ্চম মাসিক সভায় প্যানেল মেয়র নির্বাচন নির্বাচিত করা হলো।  প্যানেল মেয়র- ১ মেয়রের অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করবেন।

মৃত্যুর আগে পানি চেয়েও পানি পায়নি কিশোর সাগর

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ডৌহাখলা ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুরের গাউছিয়া মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের পাম্প চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে মৎস্য কেন্দ্রের কাশবন থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সাগর মিয়া (১৬) ময়মনসিংহের রেলওয়ে বস্তির নাটঘরলেন সিহাব উদ্দিনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার ভোরে গাউছিয়া মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের কাশবনে পানির মোটর (পাম্প) চুরির চেষ্টাকালে সাগরকে আটক করে হ্যাচারির মালিক আক্কাস আলী। এরপর আক্কাস আলী ও তার লোকজন ওই কিশোরকে গাছ ও রড-সিমেন্টের তৈরি খুঁটিতে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্যাতনের সময় ছেলেটি কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মৃত্যুর আগে পানি খেতে চাইলেও তাকে পানি দেয়া হয়নি। এরপর ছেলেটিকে চরশ্রীরামপুরের হামেদ আলীর ছেলে আহাম্মদ আলীর অটোগাড়িতে করে ময়মনসিংহের দিকে নিয়ে যায়।

সাহেবকাচারী নামক এলাকায় যেতেই তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে গাউছিয়া মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের কাশবন থেকে পুলিশ সাগরের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনার পর পরই আক্কাস আলী ও তার আত্মীয়স্বজন পালিয়ে যায়। গাউছিয়া মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের অফিসেও তালা ঝুলছে।

জানতে চাইলে আক্কাস আলীর স্ত্রী শিউলী আক্তার বলেন, অামাদের মৎস্য খামারে এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা আমি জানি না।

এদিকে, আক্কাস আলীর মুঠোফোনে কয়েকবার সংযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। আক্কাস চরশ্রীরামপুরের মৃত শহর আলীর ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরীপুর থানা পুলিশেল ওসি দেলোয়ার আহম্মদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

ফতুল্লায় মাদক সম্রাট গাজী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত রোববার রাতে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আব্দুস শাফীউল আলম ও এএসআই আব্দুল গফফার তালুকদার সঙ্গীয় ফোর্স সহ মাদক উদ্ধার অভিযান চালিয়ে পোষ্ট অফিসের আলামিনের বসিতে অভিযান চালিয়ে মাদক সম্রাট মোঃ গাজীকে (৩৮) গ্রেফতার করে। গাজী মৃত খোরশদ মিয়ার ছেলে। এসময় গাজীর কাছে ১০৫ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করে।  তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এগিয়ে মাদক সম্রাট গাজী দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার বিশাল বাহিনী নিয়ে ,াদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। গাজীর মাদব ব্যবসার সাথে আরিফ, রাকিব, সজিবসহ প্রায় ১৫ জনের একটি বাহিনী রয়েছে। এরা দিন এবং রাতে ভাগ হয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এলাকার অপর একটি সূত্রে জানাগেছে, মাদক ব্যবসার গাজী পুলিশের কথিত সোর্স শামীম, কবির ও পান্নাসেহ স্থানীয় একটি শেল্টারে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। ইতোপূর্বে  বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হলে এসব সোর্স দের কারনে পার পেয়ে যায়।  মাদক সম্রাট গাজী গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার স্বস্তি নেমে এসেছে। দাবি উঠেছে এলাকার অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ী ও শেল্টারদাতাদের গ্রেফতারের।

বদলী হয়েও না‘গঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসআই মিজান-এএসআই কামরুল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বদলী হয়ে যাবার পরও নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশের শ্রেষ্ঠ এসআই ও এএসআইয়ের সম্মাননা পেলেন ফতুল্লা মডেল থানার সদ্য বদলীকৃত চৌকষ কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান ও এএসআই কামরুল হাসান। ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যান সভায় পুলিশ সুপার মঈনুল হকের কাছ থেকে দুই কর্মকর্তার সম্মাননা ক্রেষ্ট গ্রহন করেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামালউদ্দিন।
ওসি কামালউদ্দিন জানান, সদ্য বদলী হওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান ও এএসআই কামরুল হাসান এখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ব্যাপক দক্ষতার সাথে মাদক ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে ভূমিকা পালন করেছেন। আর এ কারনেই নিয়মিতভাবেই জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই ও এ্এসআইয়ের সম্মাননা পেয়েছেন তারা। কিন্তু সরকারী রুটিনমাফিক বদলী রীতির কারনেই নিয়মমাফিক তাদের বদলী হতে হয়েছে।
উল্লেখ্য,কর্ম-দক্ষতার কারণে এর আগেও একাধিকবার এস.আই মিজানুর রহমান এবং টানা বারো মাস এ,এস,আই কামরুল হাসান জেলার শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী এবং মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার নির্বাচিত হয়েছিলেন। কার্য জীবনের সফলতার ফলে আইজি পদকের মত পদকেও ভুষিত হয়েছিলেন ফতুল্লা মডেল থানার এ.এস.আই কামরুল হাসান। এছাড়াও ঢাকা রেঞ্জের মধ্যে তিন তিনবার শ্রেষ্ঠ এ.এস.আই নির্বাচিত হওয়ার মত গৌরবও রয়েছে কামরুল ইসলামের সফলতার ঝুড়িতে।
সম্প্রতি এসআই মিজানুর রহমান শরিয়তপুর জেলায় এবং এএসআই কামরুল হাসান মানিকগঞ্জ জেলায় বদলী হন।

আলোচনা আর কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে “কবিয়াল” এর অভিষেক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ “কবিয়াল” সাহিত্য,-সংস্কৃতি ও সামাজিক পর্ষদ এর অভিষেক হয়েছে।শুক্রবার কবি বাপ্পি সাহার সভাপতিত্বে বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল ভি আই পি কনফারেন্স হলে সৃষ্টি, সুন্দর ও কল্যাণে ‘কবিয়াল সাহিত্য – সংস্কৃতি ও সামাজিক পর্ষদ’র এর অভিষেক, নবগঠিত কমিটি ঘোষণা ও সাহিত্য আড্ডার মধ্যে দিয়ে এই আয়োজন শেষ হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সুরকার এস এ শামীম, কবি ইয়াদী মাহমুদ্, কবি ও সংগঠক দীপক ভৌমিক,কবি বাতেন বাহার,কবি সোহাগ সিদ্দিকি,কবি ও সম্পাদক নাহীদা অাশরাফী,কবি ও সংগঠক তৌহিদুল ইসলাম কনক, নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেস ক্লাব এর সভাপতি সাইফুল্লাহ্ মাহমুদ টিটু, ছড়াকার ও গল্পকার জাহাঙ্গীর ডালিম,দৈনিক বিজয় পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ সেন্টু,দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন,কবি তাহমিনা শিল্পী,কবি মাহবুবা ফারুক,কবি শ্যমলী খান,কবি আশেকে খোদা, ফারুক আহম্মেদ, সমতটের কাগজ এর সম্পাদক দামাল জামাল।

প্রথমে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পর্ব শুরু করা হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কবি মাসুদ রানা লাল একে একে ফুল দিয়ে সম্মানিত অতিথিকে ফুল ও উওরিও দিয়ে বরন করা হয়, যারা কবিতা পাঠ করছেন তারা হলেন, লুৎফর রহমান মিয়া ভাই,মানব কল্যান পরিষদের সভাপতি এম এ মান্নান ভূইয়া, মিথুন খান, শফিকুল ইসলাম আরজু, শহিদুল্লাহ শিশির, মো:আলাল, জান্নাতুল ফেরদৌস, সোলেয়মান ইমরান, নিরব রায়হান,ইকবাল হোসের রোমেছ,হোসেন ফরহাদ,পরশ সাইফুল্লাহ,কবিয়াল নিয়ে গান পরিবেশন করেন হাবিবুর রহমান হাবিব। যারা যারা উপস্থিত ছিলেন কবি ও গল্পকার মোহম্মদ আল-মনির, দৈনিক সংবাদ চর্চার সস্পাদক মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, সাহিদ দেলোয়ার,বদরুল আলম,মোঃ মিজানুর রহমান,মাসুদ রানা,রমজান মাহমুদ,হুসাইন আদনান,মনজুর আহম্মেদ,মনিরা আক্তার,সুকুমার চন্দ্র মন্ডল,হামিদ কাফি,রুহুল আমিন,অপু ভূইয়া,খাইরুল ইসলাম,আল মামুন,মোঃবরকত উল্লাহ,সাংবাদিক জাহাগীর হোসেন,সালাউদ্দিন আমির,মোঃ আনোয়ারুল হক,সাংবাদিক আল আমীন তালুকদার,শারার যুয়ারের অর্পন,আলতাফ হোসেন রায়হান,মোঃ রাসেল মৃধা,এমডি সোহেল,আলিফ মাহমুদ,সোবহান মাসুদ,নিরব রায়হান,মোঃ সাইফুল ইসলাম, নাজমুন নাহার নাসরিন,সুমন সরকার,সোলায়মান ইমরান সহ প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন কবি সাদ্দাম মোহাম্মদ।

এক নজরে “কবিয়াল”সাহিত্য-সংস্কৃতিও সামাজিক পর্ষদ এর কমিটি-

সভাপতি : বাপ্পি সাহা সিনিয়র সহ সভাপতি : সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু সহ সভাপতি : শফিকুল ইসলাম আরজু ” : আব্দুর রহিম ” : শহীদুল্লাহ শিশির ” : আবুল কালাম আজাদ ” : গিয়াস উদ্দিন খন্দকার ” : মাহমুদুল হাসান ” : সালাম মিয়া ( প্রবাসী) সাধারণ সম্পাদক : মাসুদ রানা লাল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : সাদ্দাম মোহাম্মদ সহ সাধারণ সম্পাদক : মুন্নি রুনা সাংগঠনিক সম্পাদক : মঞ্জুরুল ইসলাম সহ সাংগঠনিক সম্পাদক: রুহুল আমিন অর্থ সম্পাদক : মিজানুর রহমান দপ্তর সম্পাদক : এম আর সেলিম প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক :সোলায়মান ইমরান সহ প্রচার ও প্রকাশনা : জান্নাতুল ফেরদৌস তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক : মাসুদ রানা সাংস্কৃতিক সম্পাদক : ইকবাল হোসেন রোমেছ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক : এনামূল হক প্রিন্স সাহিত্য সম্পাদক : অপু ভূইয়া নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক : সানজিদা আফরিন গবেষণা সম্পাদক : স্বপন রেজা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক : মৃত্যুঞ্জয় দও সদস্য : ফরিদ আহম্মেদ বাঁধন ফরিদা ইয়াসমিন সুমনা শেখ হাবিবুর রহমান সুমন সরকার তাসলিমা আক্তার পারভিন জাকির আহম্মেদ রিয়া খান আক্তারুজ্জামান লুবনা আক্তার রবিউল ইসলাম রাসেল মৃধা উপদেষ্টা মন্ডলীতে আছেন ইয়াদী মাহমুদ্ দীপক ভৌমিক বাতেন বাহার এস এ শামীম সুভাষ সাহা রনজিৎ মোদক জাহাঙ্গীর ডালিম মহম্মদ আলমনির ভিপি আলমগীর মানিক চক্রবর্তী মোঃ আলাল। অনুষ্ঠানে কবি মোঃ আলালের লেখা ‘বায়ান্ন থেকে একাত্তর’ কাব্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

গিয়াসউদ্দিনের মন্তব্য ‘পাগলের শামিল’

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কমিটির অপর সদস্য সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের মন্তব্যকে ‘পাগলের শামিল’ মন্তব্য করেছেন বিএনপির বিভিন্ন সহযোগি সংগঠনের নেতারা। ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও সেক্রেটারী শাহ আলম মুকুল প্রেরিত বিবৃতিতে এসব উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া বিবৃতি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ও এস এম সায়েম, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জুয়েল আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ প্রমুখ।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘যে ইস্যুতে গিয়াসউদ্দিন কথা বলেছেন সেটাইতো অর্বাচীন। কারণ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে সরাসরি কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলেনি। কিন্তু ‘চিলে কান নিয়ে গেছে’ ভেবে গিয়াসউদ্দিন এখন একটি ভ্রান্ত খবরবে পুজি করে নজরুল ইসলাম আজাদের সমালোচনা করছেন। যুবদল নেতারা বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল নেতারা এখন নজরুল ইসলাম আজাদকে তাদের অভিভাবক মনে করে যা গিয়াসউদ্দিনের জন্য খুবই হতাশাজনক খবর। রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিতে হয় মননশীল ও প্রজ্ঞা দিয়ে। আজাদ সে কাজটিই করে যাচ্ছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের রাজনীতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সু সংঘঠিত করছেন। আর সে কারণেই একটি মহল তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন। আজাদ রাজনীতিতে শিশু না বরং নবীণ হিসেবে স্ব যোগ্যতায় নিজের অবস্থান সুসংহত করেছেন। স্ব উপার্যিত টাকায় তিনি নির্যাতিত তথা মামলা হামলার শিকার নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কারাগারে থাকাদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। সরকার দলের একের পর এক হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন। তিনি সোনারগাঁও কেন কোথায় কোন ধরনের ‘বাণিজ্যকরণ’ এর সঙ্গে জড়িত এমন কোন উদহারণ প্রমাণও কেউ দিতে পারবে না।

মিয়ানমারের অং সান সুচি’র বিচার শুরু

ডেস্ক নিউজঃ মিয়ানমারের ক্ষমতাশীল দলের নেত্রী অং সান সুচি ও দেশটির সেনাপ্রধানসহ অন্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে একটি আন্তর্জাতিক গণআদালতে বিচার শুরু হয়েছে।

সোমবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পার্মানেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি) নামে ওই আদালতে শুনানি শুরু হয়।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে, সোমবার বিচার শুরু হয়। আগামী শুক্রবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

এই ট্রাইব্যুনালে রোহিঙ্গা ও কাচিন সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের বর্ণনা দিয়েছেন।

কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল অংশ নেয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ মাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্ট্যাডিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটন জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী, পুলিশ, অন্যান্য বৌদ্ধ মিলিশিয়া এবং দেশটির বর্তমান বেসামরিক সরকার অভিযুক্ত। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকও ওই শুনানিতে অংশ নেন।

মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমারে মুসলিম নিপীড়ন বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হবে। বিকালে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সমাপনী বক্তব্য শেষে বিবাদী পক্ষ বক্তব্য রাখবেন। বৃহস্পতিবার দিনভর বিচারকমণ্ডলীর সদস্যরা তাদের বক্তব্য পেশ করবেন। আট সদস্যের বিচারক প্যানেলে রয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্তে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও আইনজীবীরা।

রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা মিয়ানমারের সর্বস্তরে বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার।

ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ বক্ষব্যাধি মেডিসিনে উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহন করায় নিউ পপুলার মেডিকেল সার্ভিসের অভিনন্দন

বক্ষব্যাধি মেডিসিন বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতর ডিগ্রী (এম ডি-বক্ষব্যাধি মেডিসিন ) গ্রহন করায় ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদকে প্রানঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান নিউ পপুলার মেডিকেল সার্ভিসের পরিচালক ও সকল সদস্যবৃন্দ।

ফতুল্লায় ছাত্রলীগের ত্রান বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাংসদ শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমানের পক্ষ থেকে বন্যার্ত ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে “ত্রান সামগ্রী বিতরন  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপ্রতি রাফেল প্রধান, তোলারাম কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের জি এস আসাদ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা শুভ রায়, আহম্মেদ কাউছার, ফতুল্লাহ থানা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান জুয়েল, বাছেদ প্রধান, উমর ফারুখ ফয়সাল, ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা কর্মী  ও এলাকার পঞ্চায়েতের সভাপ্রতি হাজী আহসান উল্লাহ, সেক্রেটারি মুসলিম উদ্দিন মুসা প্রমুখ।