২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 227

হারাম টাকায় ট্যাক্স না দেয়ার আহবান সেলিম ওসমানের

ঘুষ ও হারাম টাকা থেকে সরকারি ট্যাক্স না দেয়ার জন্যে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমান।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের কমিউনিটি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ কর-অঞ্চলের আয়োজনে আয়কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।

তিনি বলেন, ‘ঘুষের টাকা ও হারাম টাকায় সরকারী ট্যাক্স দেওয়া যাবে না। সঠিক পথে আয় করে দেশের উন্নয়নের জন্য সেই আয়ের একটি অংশ দিতে হবে। দেশের উন্নতি করতে হলে নৈতিক দ্বায়িত্ব পালন করে আয়-কর দিতে হবে। যিনি নৈতিক দ্বায়িত্ব অবহেলা করবেন তিনি এই দেশের সন্তান হতে পারেন না।’

মেলার আয়োজকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে ২৫হাজার মানুষ ট্যাক্স দেয় ৭০হাজার মানুষ দেয় না, তাদের ভিতরে ভয়। কারণ একবার দিলে মনে হয় আর বের হওয়া যাবে না। বার বার দিতে হবে। এখানে মেলা হচ্ছে পন্য বিক্রির জন্য নয়, মানুষকে বুঝানোর জন্য। একদিন মেলা করে সরকারকে দেখালেন, পত্র-পত্রিকায় ছবি আনলেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ বুঝলো না কর কি? কেন দেয়। তাহলে তারা এই কর দেওয়া থেকে পিছিয়ে থাকবে। তাই সকল ব্যবসায়ীদের সাথে বসতে হবে, সাধারণ মানুষকে বুঝাতে হবে। এই অনুষ্ঠানে ক্লাবের কমিউনিটি সেন্টারে না হয়ে গ্রীন লনে হতে পারতো, অথবা স্টেডিয়ামে। দরকার হলে ব্যবসায়ীরা স্পন্সার করতো, সহযোগিতা করতো। কিন্তু কর অফিসের কর্মকর্তারা কোন যোগাযোগিতাই করেন নাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ থেকে কত কর ওঠে, সেই কর নারায়ণগঞ্জের কোন উন্নয়ন খ্যাতে যায় কোন কিছুই উলেখ্য করে নাই। একটি মানুষ দেখলে উৎসাহ হবে। ব্যবসায়ীদের চাপ দিলে ব্যবসায়ীরা কঠোর হবে। আপন হবার চেষ্ঠা করেন তাতে সাফল্য লাভ করতে পারবেন। টানবাজার, নয়ামাটির ব্যবসায়ীদের যেভাবে চাপ দেওয়া হয় খাতা পত্র বের করে হিসাব দেখা হয়। আমি বললে, আপনার ট্যাক্স অফিসের লোকজন রাস্তায় নামতে পারবে না।’

আলোচনা সভা শেষে ফিতা কেটে, বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে মেলা উদ্বোধন করেছেন নারায়নগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বিকেএমইএ’র সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান।

কর অঞ্চল-নারায়ণগঞ্জ’র কর কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. রাব্বী মিয়া।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৫ সহধর্মীনি নাসরিন ওসমান, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি (অর্থ) জিএম ফারুক, এফবিসিসিআই’র পরিচালক প্রবির কুমার সাহা, ব্যবসায়ী তারাপদ আর্চায্য সহ আরো অনেকে।

দূর্নীতির সাথে আপোষ করবো না: জেলা প্রশাসক

সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক মো. রাব্বী মিয়া বলেছেন, ‘দূর্নীতির সাথে কোন আপোষ করবো না। নারায়ণগঞ্জে কোন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি দূর্নীতি বা বিশৃঙ্খলা করে, তাহলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকারি কোন কর্মচারী যদি বেতন কম বলে দূনীতি করে, তাহলে সেটা মিরজাফরী হবে। তাই সকলকে সাবধান করছি, কেউ দূর্নীতি ও বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত হবেন না।’

কর আদায়কারী সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘কর আদায়ের কর্মকর্তাদের সকল পর্যায়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে বুঝাতে হবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চাইতে সরকারী কর্মকর্তাদের বিশাল দ্বায়িত্ব। দেশের মানুষের কল্যানে তাদের কাজ করতে হয়। আর বর্তমানে সরকার সকল সরকারী কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করেছেন।’

আলোচনা সভা শেষে ফিতা কেটে, বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে মেলা উদ্বোধন করেছেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নারায়নগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বিকেএমইএ’র সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান।

কর অঞ্চল-নারায়ণগঞ্জ’র কর কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৫ সহধর্মীনি নাসরিন ওসমান, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি (অর্থ) জিএম ফারুক, এফবিসিসিআই’র পরিচালক প্রবির কুমার সাহা, ব্যবসায়ী তারাপদ আর্চায্য সহ আরো অনেকে।

ফতুল্লা ছাত্রলীগে আসছে নতুন নেতৃত্ব

অবশেষে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগে নতুন নেতৃত্ব আসছে। দীর্ঘদিনের কমিটি বাতিল করে দিয়ে নতুন করে ছাত্রলীগ সাজানোর উদ্যোগ গ্রহন করেছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ ও জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা। এবারের কমিটিতে ছাত্র, সক্রিয় নেতাকর্মীদেও স্থান দেয়া হবে। এছাড়া যারা দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের হয়ে নানা কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করে ছাত্রলীগের রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখতে যারা অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে তাদের নিয়েই হচ্ছে এবারের ছাত্রলীগের কমিটি। অনুসন্ধ্যানে জানাগেছে, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসছে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান জুয়েল। তিনি দীর্ঘদিন ধওে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত রয়েছে। এছাড়া বিগত দিনে বিশ দলীয় জোট সরকারের সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিল। এছাড়া ছাত্রলীগের কমিটিতে অছাত্র-বিবাহিত ও বিতর্কীতদের ঠাঁই হবে না বলে ছাত্রলীগের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানাগেছে। উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি গঠনের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো নতুন করে পূর্নগঠনের কাজ শুরু হয়। তারই ধারাবাকিতায় দীর্ঘদিন পর ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের কমিটি ঠন হতে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানাগেছে, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ নতুন করে গঠন করা হবে। যে কোন সময় সক্রিয় নেতাদের সমন্বয়ে এই কমিটি ঘোষণা দেয়া হবে। এতোদিন যারা ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিল সে সমস্ত নেতাকর্মীদের নিয়েই নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে আগ্রহী বিতর্কীত, বিবাহিত ও অয়াত্রদের ঠাঁই হবে না বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে। ছাত্রলীগের একাধিক সূত্রে জানাগেছে, ফতুল্লা থানা যুবলীগের বর্তমান সভাপতি আবু মো. শরীফুল হক ও সাধারন সম্পাদক যুবলীগ ও স্বেচ্ছা সেবক লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে যাচ্ছে। যে কারণে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যেই যে কোন সময় ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হবে। এবারের কমিটিতে সম্ভব্য সভাপতি হিসেবে মেহেদী হাসান জুয়েলের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া রাফেল প্রধান, অক্টে অফিস এলাকার ফয়সাল, কোতালের বাগের বাছেন প্রধান, ভূইঁঘরে প্রান্ত, পোষ্ট অফিস রোডের সৈয়দ মো. শাওন, ফতুল্লার মীর শুভ, হৃদয়, এনায়েত নগরের রোমান, মাসদাইরের শান্ত, কুতুবপুরের শুভ, কাশিপুরের হৃদয়কে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ন পদে রাখা হচ্ছে বলে ছাত্রলীগের একাধিক সূত্রে জানাগেছে। এসব নেতারা দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এদের মধ্যে মেহেদী হাসান জুয়েল,  মীর শুভ ও সৈয়দ মো. শাওন দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নানা কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। বিগত বিশ দলীয় জোটের সরকার বিরোধী আন্দোলনেও তারা মাঠে ছিল।

নারায়ণগঞ্জে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী মাস্টার দেলু নিহত

নারায়ণগঞ্জে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আলোচিত সন্ত্রাসী ও ডাকাত সরদার দেলোয়ার হোসেন দেলু ওরফে মাস্টার দেলু (৩৯) নিহত হয়েছে।

শনিবার দিনগত রাত ২টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এসও রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও ককটেল উদ্ধার করেছে র‌্যাব।নিহত দেলু শহরের নগর খানপুর এলাকার এলাকার মতিন ওরফে জমির বেপারীর ছেলে।

জানা যায়, গত ১ অক্টোবর শহরের খানপুর সরদারপাড়া ও ২৩  অক্টোর ফতুল্লার তল্লা এলাকায় দুই দফা ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটলেও দেলুর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সবশেষ গত এক মাসে দেলু ডিবির ওপর দুই দফা গুলি করে পালিয়ে যায়।

নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব-১১ এর সিপিসি-১ এর কমান্ডার এএসপি শিবলী সাদিক জানান, দেলোয়ার হোসেন দেলুকে আটকের পর পাঠানটুলী এলাকা নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে র‌্যাবের উপর গুলি ছুড়ে ও হামলা করে তার বাহিনীর লোকজন। র‌্যাবও পাল্টা গুলি করলে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দেলু গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও ককটেল উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ডাকাত দেলুর বিরুদ্ধে ডাকাতি, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। এ ঘটনার বিস্তারিত পরে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার নামজুল হাসান বিপুল জানান, গুলিতেই দেলুর মৃত্যু হয়েছে। বিস্তারিত ময়না তদন্তের পর বলা যাবে।

ইতিহাসের পাতায় মিরাজ

রেকর্ডটার কথা হয়তো অনেকেরই মনে নেই। ১২৯ বছর ধরে অক্ষত রেকর্ডের কথা কারই বা মনে থাকবে? সেই ১৮৮৭ সালে জীবনের প্রথম দুই টেস্টে ১৮টি উইকেট শিকার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জন জেমস ফেরিস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ উইকেট নিয়ে সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাঁহাতি পেসার ফেরিসেরও অভিষেক হয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সিডনিতে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন চার উইকেট। ফেরিস আর ছয় উইকেট নেওয়া চার্লি টার্নারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ৪৫ রানে।

তবু ওই ম্যাচে জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া! দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরিস পাঁচ উইকেট শিকার করেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। মাত্র ১১১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে গিয়েছিল ৯৭ রানে।

পরের টেস্টের ভেন্যুও ছিল ঐতিহাসিক সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। ফেরিসের দুর্ভাগ্য, প্রথম ইনিংসে পাঁচ আর দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নিলেও আবারও পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেতে হয়েছিল তাঁকে। ম্যাচটা ইংল্যান্ড জিতে নিয়েছিল ৭১ রানে।

মিরাজ আর বাংলাদেশেরও সৌভাগ্য, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তেমন ‘দুর্ঘটনা’ হয়নি। চট্টগ্রামে ভালো খেলেও মাত্র ২২ রানে হার মানতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে মিরপুরে মিরাজ আর সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে পর্যুদস্ত হয়েছে ইংল্যান্ড।

ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি নয়, সরাসরি টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন জমিতে নেমে পড়েই সবার মন জয় করে নিয়েছেন মিরাজ। প্রথম টেস্টে সাত উইকেটের পর মিরপুরে তার শিকার ১২টি। আজ চা-বিরতির পর প্রথম বলেই বেন ডাকেটকে বোল্ড করা মিরাজের মাধ্যমেই ইংল্যান্ডের সর্বনাশের সূচনা। বিনা উইকেটে ১০০ রানের স্বস্তিকর অবস্থান থেকে অতিথিরা যে ১৬৪ রানেই শেষ, তাতে এই তরুণ অলরাউন্ডারের বিরাট ভূমিকা।

দুই টেস্টের চার ইনিংসে ১৫.৬৩ গড়ে ১৯ উইকেট—এক কথায় অসাধারণ বোলিং। মাত্র ১৯ বছর বয়সী এক তরুণের কাছেই আসলে ব্রিটিশ সিংহরা কুপোকাত। বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস আজ তাই ‘মিরাজ’, ‘মিরাজ’ চিৎকারে প্রকম্পিত।

ইতিহাস গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশ

ইতিহাস গড়ে টেস্টে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে তিন দিনেই ফলাফল নিজেদের করে নিয়েছে মুশফিক বাহিনী।

মিরাজ ও সাকিবের যুগলবন্দীতে ১০ উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশদের ১০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এই জয়ের ফলে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ এ ড্র হলো।

রবিবার ২৭৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী ইংল্যান্ড ১৬৪ রানে অলআউট হয়। মিরাজ ৬টি এবং সাকিব ৪টি উইকেট লাভ করেন।

বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৬ রানে অলআউট হলে ইংলিশদের টার্গেট দাঁড়ায় ২৭৩ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু তরে সফরকারীরা। ওপেনিং জুটিতে ১০০ রান তুলে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন অ্যালিস্টার কুক ও বেন ডাকেট।

তবে চা বিরতির পরেই মিরাজের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। বেন ডাকেটকে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে বোল্ড করেন মিরাজ। পরের ওভারেই জো রুটকে ফিরিয়ে দেন সাকিব। রুট ১ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন।

এরপর দ্রুতই গ্যারি ব্যালেন্স, মঈন আলী, কুক ও জনি বেইস্টোকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন মিরাজ। তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট তুলে নিলেন মিরাজ। মিরাজের পর ক্যালমা দেখান সাকিব। এক ওভারেই স্টোকস, আদিল রশিদকে ফিরিয়ে দিয়ে হাটট্রিকের সম্ভবনা জাগিয়ে তোলেন তিনি। তবে সাফর আনসারি পরের বলটি ঠেকিয়ে দিয়ে সাকিবকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করেন। কিন্তু এক বল পরেই আউট হন আনসারি। শেষ উইকেটটি তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে অলআউট করেন মিরাজ।

এর আগে ৩ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। বাকি ১৪৪ রান তুলতেই সবকটি উইকেট হারায় টাইগাররা। দলের পক্ষে ইমরুল কায়েস ৭৮, সাকিব ৪৭ এবং শুভাগত ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

ইংলিশদের হয়ে আদিল রশিদ ৪টি, স্টোকস ৩টি, জাফর আনসারি ২টি এবং মঈন আলী ১টি উইকেট লাভ করেন।

স্কোর:
বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ২২০/১০; তামিম ১০৪, মুমিনুল ৬৬; দ্বিতীয় ইনিংস ২৯৬/১০; ইমরুল ৭৮, রিয়াদ ৪৭, সাকিব ৪১, তামিম ৪০

ইংল্যান্ড: প্রথম ইনিংস ২৪৪/১০; রুট ৫৬, ওকস ৪৬, রশিদ ৪৪, মিরাজ ৬ উইকেট; ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস ১৬৪/১০; ডাকেট ৫৬, কুক ৫৯; মিরাজ ৬ উইকেট, সাকিব ৪ উইকেট।

মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগদান করেন মোহাম্মাদ বাবুল

মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের ডাকা জনসভায় প্রায় হাজারও নেতা-কর্মী নিয়ে যোগদান করেছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মাদ বাবুল।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ইসদাইর পৌর ওসমানী স্টেডিয়াম সংলগ্ন শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে এই স্মরণকালের সর্ববৃহত জনসভায় যোগদান করেন।

জনসভায় মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান।

মিছিল পূর্ব এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মাদ বাবুল বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ বাসীর দূর্ভোগ লাঘব, মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন করে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার উদ্দেশ্যে এই জনসভার ডাক দিয়েছেন। তার ডাকা সেই সমাবেশ সফল করতে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কয়েক হাজার নেতা কর্মী নিয়ে আমি সভাস্থলে যোগদান করছি।

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান সময়ে দেশে জঙ্গি তৎপরতার সৃষ্টি হয়েছে। আর আমি বিশ্বাস করি যে, এই সমাবেশের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে। সেই সাথে মাদক সহ সকল ধরনের অসামাজীক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।’

মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগদান করেন শাহজাহান ও শহিদুল্লাহ

আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের ডাকা জনসভায় প্রায় হাজারও নেতা-কর্মী নিয়ে যোগদান করেছেন সিদ্দিরগঞ্জ   যুবলীগ নেতা শাহজাহান ও শহিদুল্লাহ।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ইসদাইর পৌর ওসমানী স্টেডিয়াম সংলগ্ন শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে এই স্মরণকালের সর্ববৃহত জনসভায় যোগদান করেন।

মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।

মিছিল পূর্ব এক সাক্ষাৎকারে তারা বলেন , জননেতা আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন করার উদ্দেশ্যে এই জনসভার ডাক দিয়েছেন। তার ডাকা সেই সমাবেশ সফল করতে সিদ্দিরগঞ্জ ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কয়েক হাজার নেতা কর্মী নিয়ে আমরা সভাস্থলে যোগদান করেছি।

সমাবেশে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের শোডাউন

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সমাবেশে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের নেতাকর্মীদের শোডাউন দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে অক্টো অফিসের সমাবেশে যোগদান করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। মহানগর মুক্তিযোদ্ধ প্রজন্মলীগের সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন, সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন ও ডা: কামরুল হাসান সরকারের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল শেখ, মো: জুয়েল হোসেন, আলামিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, কাইয়ূম মন্ডল, শাওন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাহিদ খান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদ দয়াল মাসুদ, দেলোয়ার হোসেন বাবুল,শেখ সেলিম মাদবর, আ: আজিজ, মানিক, জিসান, ইসমাঈল, সুকান্ত বড়–য়া রঞ্জু,সাঈদ, রাজিব, মনির প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জের জনগন আমার মালিক- শামীম ওসমান

শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের জনগন আমার মালিক।আমি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা না। জেলা কমিটিরও কেউ না। আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী। আপনাদের ভাই।  আমি আপনাদের ভাই হিসেবেই থাকতে চাই। শনিবার বিকেলে নগরীর ওসমানী আউটার ষ্টেডিয়ামে আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন। সমাবেশের ব্যানারে লেখা ছিলো ‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত করে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে বিশাল জনসভা’। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ এ সমাবেশ আয়োজন করে। এমপি শামীম ওসমান কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হতে যাচ্ছেন বলে গত কয়েকদিন ধরে এমপি শামীম ওসমানের সমর্থক স্থানীয় নেতারা ও তার সমর্থক স্থানীয় পত্রিকাগুলি ধারনা দিচ্ছিলো। কিন্তু শামীম ওসমান সাংগঠনিক সম্পাদক হতে পারেননি। এমনকি কেন্দ্রীয় কমিটির কোথাও তার ঠাই হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জে যখন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছিলো তখন সমাবেশে তিনি একথা বলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামীলীগ কর্মী জানান, এমপি শামীম ওসমান আশায় ছিলেন তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাই পাচ্ছেন। জনসভাটি আয়োজন করা হয় এমপি শামীম ওসমানের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাই পাওয়ায় তাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন কোন সুখবর না আসায় জনসভায় ‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত করে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে বিশাল জনসভা’ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে আাবারো জঙ্গি হামলার আশংকা প্রকাশ করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় পঞ্চায়েত কমিটি গঠন করে জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে তাদের ধ্বংস করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, সে বাচ্চা মানুষ। আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনার মন জয় করতে হলে অবশ্যই আইভীকে ক্ষমা চাইতে হবে। বড় ভাই হিসেবে আমি তাকে ক্ষমা চাইতে বলেছি। সে যদি ক্ষমা না চায় তাহলে আমার কিছু করার নাই। আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় তাহলে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগরে সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদাল, মহানগর আওয়ামীলীগরে সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সহ-সভাপতি রোকনউদ্দীন আহম্মদে, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগরে সভাপতি মজবিুর রহমান, বন্দর থানা আওয়ামীলীগরে সভাপতি এমএ রশিদ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগরে সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী,নারায়ণগগঞ্জ মহানগর প্রজন্মলেিগর সভাপতি মাসুম আহমেদ সুমন, সাধারন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদ মুস্তাহিদ খান, সোহেল মাহমুদ, ডা: কামরুল হাসান সরকার, শেখ সেলিম মাদবর প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ এডভোকেট হোসনে আরা বাবলি, রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী। দুপুর থেকে শহর, বন্দর, সোনারগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও ফতুল্লাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা মহাসমাবেশে যোগ দেয়। এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে ফেষ্টুন ব্যানার, প্লে-কার্ড নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেয়। সমাবেশের সুবিধার্থে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে যানচলাচল বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। বিকেল চারটা থেকে পাচটা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড দিয়ে যান চলাচলও। ফলে নগরীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। সন্ধা সাড়ে সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ যানজট অব্যহত ছিলো। যানজটের কারনে নগরবাসিকে প্রচন্ড দূর্ভোগে পড়তে হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বাস থেকে নেমে পায়ে হেটে বাড়ি ফিরেন।এছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জের দোকানপাট বন্ধ করে জনসভায় আসতে বাধ্য করা হয় বলে ভুক্তভোগী অনেকেই অভিযোগ করেন। জনসভার কারনে প্রধান সড়কগুলোতে যানজটের কারনে নগরীর প্রতিটি পাড়া মহল্লায়ও যানজট সৃষ্টি হয়।এছাড়া গতকাল নগরীর ফুটপাথগুলোও ছিলো হকারমুক্ত। হকারদের জনসভায় আসতে কঠোর নির্দেশ ছিলো বলে হকাররা জানায়। শামীম ওসমান বলেন, ৯৬ সালের আগে কোন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে একটি কথাও লেখা হয় নাই। কেউ কোন দিন খারাপ বলে নাই। সেদিন আমরা লংমার্চ ঠেকিয়ে দিয়েছিলাম-এটা সত্য। আমার কাছে খবর ছিল, অবশ্যই সর্ব্বোচ্চ পর্যায় থেকে খবর ছিল। যারা সাংবাদিক ভাই, সচেতন মানুষ আছেন তাদেরকে আহবান করবো, যান সেই দিনকার গোয়েন্দা সংস্থার ফাইল দেখেন। ডিজিএফআই, এনএসআই, সিটি এসবির ফাইল দেখেন। সেই ফাইলে লেখা আছে, খালেদা জিয়া ৯৮ সালে লং মার্চে যাচ্ছিলেন। সেই লং মার্চে জামায়াতও ছিল। সেই গাড়ির বহরে তিনটি বাসে মাটি কাটা লেবার ছিল। ফেনীর কোন এক জায়গায় সেই বাসগুলোকে উদ্দেশ্যে করে বোমা হামলা করে তাদেরকে হত্যা করা হতো। সেদিন চট্টগ্রামের দায়িত্ব ছিল সাকা চৌধুরী ও ঢাকার দায়িত্বে ছিল সাদেক হোসেন খোকা। তারা তখন বলতো খালেদা জিয়ার বহরে হামলা হয়েছে। শত শত কোটি টাকার বাজেট ছিল। যখন-এই খবর আমার কাছে আসলো-এই কাজটা করতে গেলে আমি তাদের চক্ষুশূল হবো। আমি তখন চিন্তা করলাম আমার রিস্কের কারণে যদি ৬০/৭০ জন লোকের প্রাণ বেঁচে যায় এবং বাংলাদেশের মানুষ যদি সংঘাত থেকে বেঁচে যায়। তাহলে আমার দায়িত্ব এই কাজটা করার। আমরা কিন্তু লং মার্চ আটকে রাখিনি, বিলম্বিত করেছিলাম। যেই সময় সরকারের কাছে খবর ছিল, সেই সময় লং মার্চের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব ছিল না। আমার দায়িত্ব ছিল গাড়িগুলো আটকে দেয়ার। যখন নির্দেশ এলো তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার জীবনের উপর কোন হুমকি নাই। তখন গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তখন বিরোধী দলীয় নেত্রী আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিলেন। তিনি দেখে নিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা হয়েছে। শামীম ওসমান আরো বলেন, আজ সারা বাংলাদেশে যখন জঙ্গীবাদের কথা বলছে। আমি আগে যখন জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতাম, তখন অনেকেই বলতে শামীম ওসমান এই তত্ত¡ পায় কই। তখন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের দলীয় নেত্রী সাহারা খাতুনও বলেছিলেন, দেশে জঙ্গীবাদ নাই। তখন আমি বলেছিলাম, জঙ্গীবাদ আছে। আজকে বিএনপির শাসুজ্জামান দুদু গত পরশু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কাশ্মিরের জনগণের পক্ষে। আমি এই বক্তব্যের গভীরে যেতে চাই। এই কাশ্মির কন্ট্রোল করতে চায়, লস্কর এ তৈয়্যবা, জয়শ-এ-মোহাম্মদ এর মতো আর্ন্তজাতিক জঙ্গী সংগঠনগুলো। বিএনপির নেতা দুদুর কথায় তা স্পষ্ট হয় তারা এসব আন্তজার্তিক জঙ্গী সংগঠন লস্কর এ তৈয়্যবা, জয়শ-এ-মোহাম্মদ’র সমর্থন চায়। তারা জানে জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই আজকে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। #