২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 233

জাদূঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হলো জিয়ার স্বাধীনতা পদক

স্বাধীনতার মহান ঘোষক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে দেওয়া স্বাধীনতা পদক জাতীয় জাদুঘর থেকে সরিয়ে নিয়েছে ক্ষমতাসীন সরকার। ২০০৩ সালে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে যৌথভাবে শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

সম্প্রতি সরকারের জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে দেওয়া রাষ্ট্রের বেসামরিক সর্বোচ্চ সম্মান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তের আলোকে জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত শহীদ জিয়ার পদকটি বুধবার সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি সচিব আকতারী মমতাজ।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই পদক বাতিল করার। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা ওই পদকটি আমাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন। মিউজিয়াম থেকে পদকটি নিতে আমাদের চিঠি দিয়েছিলেন।

তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বুধবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে গিয়ে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদকটি নিয়ে এসেছেন। মুক্তিযুদ্ধে রনাঙ্গনের বীর সেনাপতি এবং স্বাধীনতা পুরস্কারের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে দেওয়া রাষ্ট্রীয় এই সম্মান বাতিলের সিদ্ধান্তে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ ও ঘৃনার সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে দলটি।

না’গঞ্জ থেকে আটক দম্পতি পাকিস্তান যাচ্ছিল জঙ্গি ট্রেনিং নিতে

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক হওয়া নব্য জেএমবির সদস্য দুই দম্পতি জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে পাকিস্তান যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) র‌্যাব-২ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান এ তথ্য জানান।

মাহমুদ খান জানান, জেএমবির বেশ কয়েকজন সদস্য জিহাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের বিপরীতে একটি রেস্টুরেন্ট অভিযান চালায়। সেখান থেকে মারজিয়া আক্তর সুমি (১৯), মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে সুলতান মাহমুদ ওরফে মাহমুদ (১৮), মো. আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিনুলকে (৩৪) আটক করে।

তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাত ৩টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে নাহিদা সুলতানা (৩০) নামে অপর এক নারীকেও আটক করে। তাদের কাছ থেকে জিহাদি বই, লিফলেট, সিডি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমি জানিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে সে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হয়। এরপর জেএমবির থ্রিমা ও টেলিগ্রাম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়। এই গ্রুপের কাজ হলো বাছাইকৃত সদস্যদের বাংলাদেশের ভেতরে একটি করে অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া এবং অভিযান সফল হলে বিদেশে নিরাপদ স্থানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।

এই গ্রুপ থেকেই আফিফ, কাইফ, জাইশান ও মফিজ নামে আরও অনেকের সঙ্গে সুমির কথা হয়। এভাবে সে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এরপর ২০ আগস্ট বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে। পরে সংগঠনের সিদ্ধান্তে মাহমুদের সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং তারা দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিল।

আটক মাহমুদ জানিয়েছে, সে জেএমবির সক্রিয় সদস্য। সে হিযরতের সদস্য সংগ্রহ করতো। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর নজরদারি এড়াতে তারা দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল জানিয়েছে, সে ও নাহিদা জেএমবির সক্রিয় সদস্য। সে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে অপারেশনাল কর্মকাণ্ডের লোক সংগ্রহ এবং তাদের প্রভাবিত করতো। দুই সন্তানের বাবা আমিনুল সংগঠনের সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে নাহিদাকে বিয়ে করে এবং দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিল।

নাহিদা জানিয়েছে, সে ফেসবুকের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে দাওয়াতুল ইসলাম অ্যাপস ব্যবহার করতে শুরু করে। আদর্শিক কারণে ও জঙ্গি মতাদর্শে বিশ্বাসী দলে যুক্ত হওয়ায় সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে সে ২২ মে আমিনুলকে বিয়ে করে।

আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানিয়েছে, দেশে চার-পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কয়েকটি সক্রিয় গ্রুপ রয়েছে। তারা হত্যাসহ আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করছে।

নারায়ণগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হচ্ছে নিম্ন মানের সেমাই

নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক হারে তৈরী হচ্ছে নিম্নমাণের লাচ্ছা সেমাই। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে স্থায়ী-অস্থায়ী সেমাই কারখানাগুলোতে এসব সেমাই তৈরী হচ্ছে। গোপনে নোংরা পরিবেশে এসব লাচ্ছা-সেমাই তৈরী করছে বেকারী ব্যবসায়ীরা। আর এগুলোই যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন নামি-দামি দোকানগুলোতে। বিএসটিআই’র অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী সেমাই কারখানাগুলো থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঈদুল আযহাকে ঘিরে প্রতিবারের মতো এবারও নারায়ণগঞ্জের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা নেমেছে ভেজাল ও নিম্নমাণের লাচ্ছা-সেমাই তৈরীর কাজে। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আগাছার মত গড়ে উঠেছে ৪০টির বেশি ‘মৌসুমি’ কারখানা। আরো অন্তত ১০টি স্থায়ী কারাখানায় ভেজাল ও নিন্মমাণের লাচ্ছা-সেমাই তৈরী হচ্ছে ।

উদ্ধবগঞ্জ, সাহাপুর, মেঘনা শিল্পাঞ্চল, মোগরাপাড়া চৌরাস্থা, কাচঁপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন কারখানার ভেতরে গোপনে গড়ে উঠেছে ৪০টিরও বেশি অস্থায়ী সেমাই কারখানা।

জানা যায়, দৈল্যেরবাগ এলাকায় ঢাকা বেকারী, উদ্ধবগঞ্জ সাহাপুর এলাকায় নুর বেকারী, হাবিবপুর এলাকায় মুন্নী বেকারী, কাচঁপুর সোনাপুরে এবি ফুড প্রোডাক্ট, বেহাকৈর এলাকায় শাহিন ফুড প্রোডাক্ট, আরজুফা সহ ৪০টি বেকারীতে ঈদ উপলক্ষে ৮-১০দিন ধরে লাচ্ছা-সেমাই উৎপাদন হচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বাজারজাত ও শুরু করেছে। যারা উৎপাদনে গেছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশ কারাখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রতিদিন শতশত খাচি খোলা লাচ্ছা-সেমাই তৈরী হচ্ছে।

সরেজমিন কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, স্থায়ী কারাখানাগুলোতেও নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরী করে চলেছেন শ্রমিকরা। আর অস্থায়ী কারখানাগুলো গড়ে উঠেছে স্টিল, পাস্টিক, লোহাসহ বিভিন্ন কারাখানার ভিতরে ছোট জায়গায় অথবা অলিগলির ভিতরে। কেউ জায়গা ভাড়া নিয়ে অথবা কারখানা মালিকরা নিজেরাই এসব অস্থায়ী সেমাই কারখানা গড়ে তুলেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কারখানা মালিক জানান, প্রতি বছর ঈদুল আযহায় সোনারগাঁয়ে যে পরিমাণ লাচ্ছা-সেমাইয়ের প্রয়োজন হয়, তা স্থায়ী কারখানাগুলো সরবরাহ করতে পারে না। আবার স্থায়ী কারখানাগুলোর তৈরী লাচ্ছা-সেমাই নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। এর ফলে ঈদকে ঘিরে এবারও বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী কারখানা গড়ে উঠেছে বা উঠছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব কারখানার মালিকরা প্রশাসনের চোখের আড়ালে সেমাই তৈরী করে যাচ্ছেন কেউ কেউ দিনের বেলা আবার কেউ রাতের আঁধারেও তৈরী করছেন খোলা বা প্যাকেটজাত লাচ্ছা-সেমাই। বিএসআটিইয়ের কোনো অনুমোদন ছাড়াই গোপনে এসব অবৈধভাবে নোংরা ও অসাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমাণের সেমাই তৈরীর দৃশ্য ও দেখা গেছে। আবার তৈরীকৃত অধিকাংশ লাচ্ছা-সেমাইয়ে মেশানো হচ্ছে নিম্নমাণের উপাদান ও ক্ষতিকারক রং।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি অস্থায়ী কারখানার মালিক বলেন, ‘অস্থায়ী কারাখানার মালিকরা বছরের এই সময়টায় শুধু লাচ্ছা-সেমাই তৈরী করেন। কেউ কেউ নিজের বাড়িতেই। আবার কেউ অন্যের জায়গা মাস দুয়েকের জন্য ভাড়া নিয়ে তৈরী করেন লাচ্ছা-সেমাই।

বনফুল, রুচিতাসহ আরো কয়েকটি স্থায়ী কারখানার কয়েকজন শ্রমিক নিশ্চিত করেছেন, এই সময়ে চাহিদা প্রচুর থাকার কারণে সঠিক মান ও পরিমানের সেমাই তারাও তৈরী করতে পারছেন না। সেই সঙ্গে অসাধু মৌসুমী ব্যাবসায়ীরাও কারখানা গড়ে তুলে ভেজাল ও নিম্নমাণের লাচ্ছা-সেমাই উৎপাদন করছেন। সবমিলিয়ে এসব কারখানাগুলোতে গড়ে প্রতিদিন তিন হাজার খাঁচি সেমাই তৈরি হচ্ছে।’

সূত্র জানায়, এসব কারখানায় উৎপাদিত সেমাই রাতের আঁধারেই চলে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন বাজারের খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে। শুধু তাই নয়, উপজেলার গন্ডি পেড়িয়ে তা বাজারজাত করা হচ্ছে শহরের নামি দামি দোকনগুলোতেও।

এসব প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম জাকারিয়া বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন তারা। অস্বাস্থ্যকর বা অনুমোদনহীন কারাখানায় সেমাই তৈরী হলে সেখানেও অভিযান চালানো হবে।

পশুর হাট নিয়ে ফাতেমা-পলাশ মুখোমুখি-উত্তেজনা চরমে

সদর উপজেলার আলীগঞ্জ পশুর হাট নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাইফউল্লা বাদল ও শ্রমিক নেতা কাউসার আহম্মেদের মধ্যে সমঝোতা হলেও ফাতেমা মনির এখনও রয়েছে তার অবস্থানে অনড়।

অনেকের মতে হাট ইজারা নিয়ে পলাশ গ্রুপ ও ফাতেমা মনির গ্রুপের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। কেন না, সাইফউল্লা বাদল পলাশের সঙ্গে সমঝোতায় এলেও পলাশকে এক চুলও ছাড়া না দেয়ার অবস্থানেই রয়েছে ফাতেমা।

এর আগে রোববার নির্ধারিত সময়ের পর পশুর হাটের টেন্ডার জমা দিতে উপজেলায় আসে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির। এসময় পলাশ গ্রুপের সাথে ফাতেমা মনির গ্রুপের বাকবিতণ্ডা হয়।

এ নিয়ে দু` গ্রুপের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

এ ঘটনার পর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার চৌধুরী টেন্ডার বাক্স সীলগালা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। পরে সোমবার সকালে সকলের উপস্থিতি টেন্ডার বাক্স খোলা হলেও টেন্ডার নিষ্পত্তি না হওয়ায় রিটেন্ডারের ঘোষণা দেয়া হয়।

এদিকে আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) আলীগঞ্জ হাটের শিডিউল বিক্রি হচ্ছে। এ শিডিউল আগামীকাল (৭ সেপ্টেম্বর) জমা নেয়া হবে।

অপরদিকে জানা গেছে, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লা বাদলের সাথে হাট ইজারা নিয়ে সমঝোতায় এসেছে পলাশ। ফলে বাদল টেন্ডার নিয়ে কোন রকম বাধ সাধবেন না।

তবে ফাতেমা মনির এখনও তার অবস্থানে অনড় থাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে পলাশ গ্রুপের মাঝে। ধারণা করা হচ্ছে এ নিয়ে দু` গ্রুপের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

প্রসঙ্গত, বেশ ক`বছর যাবৎ আলীগঞ্জ পশুর হাট ইজারা নিয়ে আসছিলেন কাউসার আহম্মেদ পলাশ। বিভিন্ন উন্নয়নে হাট থেকে প্রাপ্ত অর্থ কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিলে এ নিয়ে কেউ আর দ্বিমত পোষণ না করে তার পক্ষেই মত দেন।

তবে, অনেকেই অভিযোগ করেন উন্নয়ন কাজে হাট থেকে প্রাপ্ত অর্থ কাজে লাগানোর কথা থাকলেও পলাশ সে অর্থ একাই আত্মসাৎ করেছেন।

এরমধ্যে গত বছর হাটের টাকা আলীগঞ্জ স্টেডিয়ামের গ্যালারী করার কথা থাকলেও পলাশ তা করেন নি বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। যার ফলে এবার নিজ এলাকার লোকেরাও পলাশের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

সৌদি আরব বিশ্বের মধ্যে নিরাপদ দেশ

অ্যামেরিকার ইউএন ইউনিভার্সিটির পরিবেশ ও মানব নিরাপত্তা ইন্সটিটিউট এর এক গবেষণায় সৌদি আরব কে বিশ্বের প্রধান তিনটি সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

যেখানে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে ভানুয়াতু , টোংগা , ফিলিপাইন, বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মার্কিন এক পত্রিকার গবেষণার সাথে তারা এক হয়ে বলেন, ভুমিকম্পন প্রবনতা, দাবানল ও এছাড়াও ভয়ঙ্কারি সুনামি এর মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর হাত থেকে এই অঞ্চল পুরোপুরি মুক্ত থাকায় সৌদি আরব সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে এই অবস্থান অর্জন করতে পেরেছে।

সম্প্রতি প্রায় ১৭১ টি দেশের উপর গবেষণা করে এই ফলাফল প্রকাশ করে ওই ইন্সটিটিউট টি।

গবেষণার ম্যানেজার পেতেরম্যুক বলেন, বিশ্বের ১১৬টি দেশের মধ্যে ৫টি দেশ বসবাসের জন্য বেশি বিপদজনক। তার মধ্যে বাংলাদেশের নামও উল্ল্যেখ করা হয়েছে।

ধানমন্ডিতে ‌পুলিশের গুলিতে নিহত ১

রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় গণপিটুনির পর পালাতে গেলে পুলিশের গুলিতে সাগর নামে সন্দেহভাজন এক ছিনতাইকারী নিহত হয়েছেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরেক ছিনতাইকারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছিনতাইকারী চক্রের আরও এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- হজরত ও বাশার। পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে হজরত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাশারকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে।

শাহবাগ থানার ওসি আবুবকর সিদ্দিক জানান, মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে পল্টন মোড়ে একটি প্রাইভেটকারে করে ৩-৪ জন ছিনতাইকারী রিকশাআরোহী এক ইডেন ছাত্রীর ব্যাগ ছিনতাই করে। এ ঘটনার পর আরও ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। ছিনতাইকারীদের গাড়িটি ধানমণ্ডি ৩ নম্বর সড়কের মাথায় গিয়ে আটক করা সম্ভব হয়।

কিন্তু সেখানে উপস্থিত স্থানীয় জনতা গাড়িটি ঘিরে ফেলে ছিনতাইকারীদের গণপিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে সেখান থেকে সুযোগ পেয়ে ছিনতাইকারীরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ছিনতাইকারীর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ছিনতাইকারীদের গাড়ি থেকে চারটি মোবাইল ফোন, কয়েকটি ব্যাগ, ধারালো ছুরি ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

গুলশান থেকে অস্ত্রসহ ৩ মুখোশধারী আটক

রাজধানীর গুলশান ১ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় অবস্থিত উদয় টাওয়ার নামে একটি ভবন থেকে অস্ত্রসহ ৩ মুখোশধারীকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এর আগে এলজি ইলেকট্রনিক্স পণ‌্যের শো রুমে কয়েকজন তরুণ জোর করে ঢুকে পড়েছে- এমন খবর পাওয়ার পর সকাল থেকে ভবনটি ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।

গুলশানের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম সকালে বলেন, ওই যুবকরা ছিনতাইকারী বা চোর বলে তাঁদের সন্দেহ। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পরে কয়েকজন যুবককে সেখান থেকে আটক করা হয়েছে।

গুলশান থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আটকরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।

লাইফ সাপোর্টে আ স ম হান্নান শাহ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ডিওএইচএসের বাসায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

হান্নান শাহর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা অনন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে স্যার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন।

অপরদিকে, হান্নান শাহ ব্যাক্তিগত সহকারী সিরাজুল ইসলাম জানান, সকাল ৬ টার দিকে বুকে ব্যাথা অনুভব হলে আমরা তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে ভর্তি করি।

সিরাজুল ইসলামের কাছে হান্নান শাহ’র বর্তমান অবস্থার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আমরা তার বর্তমান অবস্থার কথা বলতে পারছি না। ডাক্তার অবস্থা জানানোর পর জানাবো।

র‌্যাবের অভিযাণে গুলিভর্তি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী জাবেদসহ-৩ গ্রেপ্তার

গুলিভর্তি বেদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী জাবেদ উদ্দিন সুজনকে তার দুই সহযোগিসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১’র একটি দল।গ্রেফতার

র‌্যাব-১১’র সিপিসি-৩’র লক্ষীপুর ক্যাম্পের মেজর এ এম আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন কাদিরপুর গ্রাম সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৪ টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১১ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় গুলিভর্তি ম্যাগাজিনসহ ০১ টি বিদেশি পিস্তল, ০১ টি দেশীয় ধারালো ছোরা এবং ০২ টি ধারালো চাপাতি উদ্ধারসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী জাবেদ ও তার দুই সহযোগি ইমাম উদ্দিন ইমাম ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাবেদ কাদিরপুর গ্রামের মজিবুল হকের ছেলে ও একই গ্রামের নোনা মিয়ার ছেলে ইমাম এবং মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে রাসেল।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনের একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঈদ পূর্ব বেতন-বোনাসের দাবীতে শ্রমিক সমাবেশ

ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমকিদের পূর্ণাঙ্গ বেতন, বোনাস ও ওভারটাইম পরিশোধ এবং প্রস্তাবিত ইপিজেড শ্রম আইনের শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারাসমূহ বাতিলের দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

শ্রমিক-সমাবেশসোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল চাষাড়া শহীদ মিনারে এই শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে জেলা শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি সেলিম মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নইবুল হাসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আব্দুল ওয়াহীদ, সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, শ্রম উপমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সকল মালিকরা যেন আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের বোনস ও ওভারটাইমসহ পূর্নাঙ্গ বেতন পরিশোধ করেন। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি যে, বহুসংখ্যক মালিক এতে অনিহা প্রকাশ করেছে। এতোমধ্যেই নারায়ণগঞ্জ সহ কয়েকটি জেলায় অবৈধ ভাবে মালিকরা তাদের ফ্যাক্টরী বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি যে, অনতি বিলম্বে আপনারা আপনাদের প্রতিষ্ঠান চালু করুন অথবা শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিন এবং আগামী ৭ সেপ্টম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের ঈদ বোনাসসহ সকল পারিশ্রমিক প্রদান করুন। অন্যথায় আমরা মেহনতি শ্রমিকদের সাথে নিয়ে আপনাদের বাড়ী ঘেরাও করতে বাদ্ধ হবো।

প্রস্তাবিত ইপিজেড শ্রম আইনের বিষয়ে বক্তারা বলেন, দেশে শ্রম আইন রয়েছে। এরপরও নতুন করে ইপিজেড আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কয়েকটি ধারা রয়েছে, যা সম্পূর্ণ শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী। এই আইনে শ্রমিকদের পক্ষে মালিকদের সাথে কথা বলে তাদের অধিকার আদায়ের জন্যে কোন মাধ্যম রাখা হয়নি। তবে কথা হচ্ছে, একদেশে দুটি আইন কেন?

কিছু শ্রমিক সংগঠনের বিষয়ে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ‘ট্রেড ইউনিয়ন’সহ কিছু নামধারী শ্রমিক সংগঠন রয়েছে, যারা শ্রমিকদের হক নষ্ট করে বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ’র দালালি করে। আমরা ঐসকল দালালদের হুশিয়ার করে দিচ্ছি, আপনারা দালালি বন্ধ করুন। অন্যথায় বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ এর উপযুক্ত জবাব দেবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক নেতা শফিকুল ইসলাম, মো. রফিক, দেলোয়ার হোসেন, সরদার খোরশেদ, শহীদুল ইসলাম প্রমূখ।

সভা শেষে শ্রমিকদের নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল আনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শহরের ২নং রেল গেইট এলাকা প্রদক্ষিন করে পূনরায় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।