১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 248

ফতুল্লা বাসীকে সাইফুল্লাহ বাদলের ঈদ শুভেচ্ছা

একমাস সিয়াম সাধনার পর সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥

সমগ্র মুসলিম জাতিকে মিলন মেহেদীর ঈদ শুভেচ্ছা

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

দেশ ও দেশের বাইরের সকল মুসলমানকে ঈদ মোবারক-এম শওকত আলী

একমাস সিয়াম সাধনার পর সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥

ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়-অয়ন ওসমান

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

বাংলার মেহনতী মানুষকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা: পলাশ

একমাস সিয়াম সাধনার পর সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানসহ মেহনতী মানুুষকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

ঈদের ইতিহাস

ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। দুটি ঈদই পালন হয় ত্যাগ তিতিক্ষার মাঝ দিয়ে খুশির বন্যা বইয়ে দিয়ে। একটি সিয়াম সাধনা অপরটি সম্পদের ত্যাগের মাধ্যমে। তবে এ ঈদের সূচনা কীভাবে হলো জেনে নেওয়া চাই।

হাদিসে এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনাতে আগমন করলেন, তখন মদিনায় দুটো দিবস ছিল; যে দিবসে তারা (মদিনার লোকজন) খেলাধুলা করতো। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুই দিনের তাৎপর্য কী? মদিনাবাসীগণ বললেন, আমরা এ দুই দিনে (আনন্দ) খেলাধুলা করি। তখন রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দান করেছেন। তার একটি হলো, ঈদুল আজহা ও অপরটি ঈদুল ফিতর।’ (আবু দাউদ)

এই হলো ঈদের সূচনা। তারপর থেকেই মুসলমানরা দুই ঈদ আদায় করে থাকেন।

‘ঈদ’ আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো ফিরে আসা। ঈদ যেহেতু আনন্দের বার্তা নিয়ে মুসলমানের দ্বারে দ্বারে বার বার ফিরে আসে, সঙ্গত কারণেই এ আনন্দকে ঈদ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। তাই রোজাদার মুসলমান মাসব্যাপী রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনে ঈদ বা আনন্দ উদযাপন করে থাকে।

ঈদুল ফিতর দ্বারা এ দিবসের নাম রাখার তাৎপর্য হলো আল্লাহ তাআলা এ দিনে তার রোজাদার বান্দাদের নিয়ামত ও অনুগ্রহ দ্বারা বার বার ধন্য করেন এবং তাঁর ইহসানের দৃষ্টি বার বার দান করেন। কেননা মুমিন বান্দা আল্লাহর নির্দেশে রমজানে পানাহার ত্যাগ করেছেন আবার রমজানের পর তাঁরই পানাহারের আদেশ পালন করে থাকেন। তাই দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে বান্দাকে আল্লাহ তায়ালা পানাহারে মুক্ত করে দনে। তাই ঈদুল ফিতরকে ঈদুল ফিতর করে নাম করা হয়েছে।

ঈদের দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হবে

সারা দেশের জনগণ ঈদের আনন্দে মেতে উঠবে। তবে এ আনন্দ কিছুটা ম্লান করে দিতে পারে আষাঢ়ের বৃষ্টি। ঈদের দিনও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

সমুদ্রবন্দরগুলোতে বুধবারও তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে বুধবার সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া উপকূলীয় কয়েকটি জেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘বুধবার দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে বেশি মাত্রায় বৃষ্টি থাকবে। তবে ওইদিন থেকে ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর বিভাগে বৃষ্টির তীব্রতা কমে আসবে।’

দেশের ওপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয়, সঙ্গে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অবস্থানরত লঘুচাপের কারণে দেশে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।

এদিকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশেই বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে ১৪৮ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।

অপরদিকে বুধবারও নদীবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও কাছাকাছি বিহার এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহার এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ভারী বৃষ্টির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বিভাজনের পুরনো পথে হাঁটলে সঙ্কট ঘনীভূত হবে : রিজভী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ টেনে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘এই মূহূর্তে দোষারোপ ও বিভাজনের পুরনো পথে হাঁটলে দেশের সঙ্কট আরো ঘনীভূত হবে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী ঘটনায় উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে তাদের নির্মূল করতে কোনো পর্দা ঝুলিয়ে রাখলে সঙ্কটের মর্মমূলে পৌঁছানো যাবে না।’

বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ঈদের প্রাক্কালেও ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচারে হত্যালীলা চলছে এমন অভিযোগ করে সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র ‍যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বন্দুক যুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাই যদি রাষ্ট্রের বিধানে পরিণত হয়, তাহলে বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসনের প্রয়োজন কী?’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যার কোনো কমতি দেখা যাচ্ছে না। ঈদের দু’তিন দিন আগেও চলছে নির্বিচারে হত্যালীলা। অথচ সভ্য দুনিয়ার বিধানই হচ্ছে-যত বড়ই অপরাধী হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীদের বিস্তৃত জাল বেরিয়ে আসা সম্ভব। ক্রসফায়ার নিয়ে নানা সংগঠন থেকে প্রতিবাদের পরও ক্রসফায়ারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। একটি বেআইনি ভয়াবহ অপরাধ মোকাবেলা করার জন্য রাষ্ট্রের দ্বারা আরেকটি বেআইনি অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধের মাত্রা কখনোই কমে না, বরং অপরাধ বৃদ্ধি পেয়ে আরো কদর্য রূপ লাভ করে। আতঙ্কের অনুভূতি সমাজে বিস্তার লাভ করবে। ইতিহাস জ্ঞানের অভাব রাজনীতির অঙ্গ হওয়ার কারণে ক্রসফায়ারের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।’

বিএনপি সিনিয়র এ ‍যুগ্ম মহাসচিব প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বন্দুক যুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাই যদি রাষ্ট্রের বিধানে পরিণত হয়, তাহলে বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসনের প্রয়োজন কী?’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। শর্তের কথা বলে কালক্ষেপণ করে জাতীয় ঐক্যকে বাধাগ্রস্ত করলে অশুভ শক্তিরই বাড়-বাড়ন্ত হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তাকে সুরক্ষা দেয়া যে এ মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি, সেটি অনুভব এবং অভিজ্ঞতার সীমানার মধ্যে আনতে হবে। আর সেটি করতে ব্যর্থ হলে ক্ষমতাসীনরা জাতির কাছে দায়ী থাকবে। কারণ তারাই ক্ষমতায়।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন-অর রশিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম পটু, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।

বাংলাদেশে আরো হামলার হুমকি আইএসের

ডেস্ক নিউজ: গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার চার দিনের মাথায় আরও ভয়াবহ হামলার হুমকি দিয়েছে তিন আইএস সদস্য। শুক্রবার রাতে ওই হামলায় অংশ নেয়া সহযোদ্ধাদের প্রশংসাও করে তারা।

ওই ভিডিওতে তিন তরুণকে বাংলায় কথা বলতে দেখা যায়। সুস্পষ্ট বাংলায় কথা বললেও ওই তিন তরুণ কোন দেশের নাগরিক তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) এক ভিডিওবার্তায় এ হুমকি দেয় যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় আইএসের কথিত রাজধানী রাকায় অবস্থানরত তিন তরুণ। সাইট ইনটেলিজেন্ট গ্রুপের ওয়েব সাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ভিডিওচিত্রটি ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে।

ভিডিওতে এক তরুণকে বলতে শোনা যায়, ‘শেখ আদনানির’ নির্দেশে তারা ‘খ্রিস্টান, ইহুদি ক্রুসেডার ও তাদের মিত্রদের’ বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ করছে এবং তা কোনোভাবেই ‘কৌতুক নয়’।

ভিডিওতে এক জঙ্গি বলছে, ‘বাংলাদেশের তাগুত সরকার, এদের সমর্থক ও এদের কর্মচারীদের উদ্দেশে, আমি তোমাদেরকে প্রশ্ন করতে চাই কেমন করে তোমরা ডেমোক্রেসিকে (গণতন্ত্রকে) সাপোর্ট করো? ডেমোক্রেসি নামক এই শিরকি মতবাদকে তোমরা কিভাবে সাপোর্ট করো?’

‘তোমরা কি জানো না ডেমোক্রেসি হচ্ছে সেই মতবাদ যেখানে বলা হয় ক্ষমতা এবং আইন প্রণয়নের ক্ষমতা মানুষের হাতে, যেখানে আল্লাহ সুবহানা তায়ালা বলে দিয়েছেন আইন প্রণয়নের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর।’

ওই  জঙ্গি আরও বলে, ‘আমি বাংলাদেশের তাগুত (সীমালঙ্ঘনকারী বা আল্লাহদ্রোহী) সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, যে জিহাদ আজ বাংলাদেশে এসেছে, যে জিহাদ তোমরা প্রত্যক্ষ করছো, এরকম জিহাদ তোমরা এর আগে কখনও দেখো নাই। এই জিহাদ হচ্ছে সেই জিহাদ যার প্রতিশ্রুতি রাসুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়ে গিয়েছিলেন, সুতরাং তোমরা কখনওই এই জিহাদকে বন্ধ করতে পারবে না।’

জিহাদ সফল করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ওই জঙ্গি আরও বলে, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা জয়ী হই এবং তোমরা পরাজিত হও এবং সারাবিশ্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত না হয়। একে তোমরা কখনওই রুখতে পারবে না, সুতরাং এ চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।’

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলে, ‘বাংলাদেশে তোমরা এখন যা দেখছো তা জিহাদের একটি ঝলক ছাড়া আর কিছু নয়…বাংলাদেশে যা দেখেছো সেটা রিপিট, রিপিট এবং রিপিট হবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত শরিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়আমরা শেষ পর্যন্ত তোমাদের সাথে লড়ে যাব, হয় আমরা বিজয়ী হব, অথবা শাহাদাৎ লাভ করব।’

এরপর দ্বিতীয় জঙ্গি বাংলাদেশের সব সরকারকে দোষারোপ করে বলে, ‘আমরা যদি বাংলাদেশের দিকে তাকাই তবে এই ভূমিতে সমস্ত সরকার আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানকে মানবরচিত আইন দ্বারা পরিবর্তন করেছে। যার ফলে তারা তাগুত হয়ে যায়; তারা কাফের হয়ে যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ অর্থাৎ সশস্ত্র কিতাল করা ফরজে আইন হয়ে যায়।’

তৃতীয় জঙ্গি জিহাদিদের উদ্ধুব্ধ করে গুলশানে হামলার দিকে ইঙ্গিত করে বলে, বাংলাদেশে যে কাজটি তারা করেছেন, সেটি চমৎকার একটি কাজ।

উল্লেখ্য, ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে শুক্রবার (১ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে একদল সসস্ত্র জঙ্গি ঢুকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে রেস্টুরেন্টটি নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।

অভিযানে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার এবং ২০ জনের জবাই করা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই বিদেশি। বাকিরা বাংলাদেশি।

এ ছাড়া জঙ্গিদের প্রতিহত করতে গিয়ে নিহত হন গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিম ও বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন খান।

জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বন্ধুপ্রতীম দেশের সহযোগিতা নেওয়া হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এ জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  জঙ্গি কার্যক্রম প্রতিরোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ।

গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সশস্ত্র সদস্যরা হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়েছে। তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, দেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলো ধর্মের নামে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে দেশের কোমলমতি ছাত্রদের বিপথগামী করছে।

এ সময় সন্তানদের ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এলোপাথারি গুলি করতে করতে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ঢুকে নারকীয় হত্যাযাজ্ঞ চালায় বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, র্যা বের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।