১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 252

নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক সংকট দূর করার আশ্বাস দিলেন শামীম ওসমান

স্টাফ রির্পোটারঃ ঈদের পর তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক সংকট দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেন, আসন্ন রমজানের ঈদের পর তৃণমূলের মতামত নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির সংকট দূর করবো। অনেক পত্র পত্রিকায় লিখা হচ্ছে আজকের অনুষ্ঠানে কি হবে না হবে! কিন্তু আমরা ইফতার নিয়ে রাজনীতি করি না। মঙ্গলবার (২৮ জুন) বাদ আসর নারায়ণগঞ্জ ক্লাব কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের আয়োজনে মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, মানুষ দুই প্রকার হয় ভালো আর মন্দ। আমরা ভালোদের নিয়েই রাজনীতি করতে চাই। মুখোশধারীদের কে নিয়ে নয়। বঙ্গবন্ধুর সময় খন্দকার মোস্তাক ছিল এখনো আছে। যুগে যুগে মোস্তাকের মত মুখোশধারীরা আসে।

এ সময়ে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জকে আলোকিত নারায়ণগঞ্জ হিসেবে দেখতে চাই। সুন্দর রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য সকল নেতৃবৃন্দকে এক টেবিলে বসিয়ে সাংসদ শামীম ওসমানকে ঐক্যবদ্ধ করার আহবান জানান।

মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিনের রেষ কাটানোর জন্য এই ইফতার। মানুষের কল্যানে ঐকবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।

ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব লিয়াকত হোসেন খোকা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল হাই, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ণ ও কল্যান বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহম্মেদ পলাশ, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হায়দার আলী পুতুল, কমান্ডার গোপীনাথ দাস, বাবু চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো বাদল, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস্ এসোসিয়েশন সভাপতি লিটন সাহা, পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা সভাপতি শ্রী শংকর সাহা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানী, সহ-সভাপতি এড. আলী আকবর, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন সহ রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ।

জামায়াত-শিবিরই গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে- ড. হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জামায়াত-শিবিরের যেসব ক্যাডার আগে মানুষের হাত-পায়ের রগ কাটতো তারাই এখন বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর নামে গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, যেসব জঙ্গিগোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে, তাদের খালেদা জিয়া তার আঁচলের তলায় আশ্রয় দিয়েছেন।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জঙ্গি নেত্রী হিসেবে আখ্যা দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) জঙ্গিদের পাশে বসিয়ে জঙ্গিবিরোধী বক্তব্য রাখেন। খালেদা জিয়ার প্রচ্ছন্ন ছায়ায় এবং বিএনপি নেতাদের অর্থায়নে এসব হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

‘সরকারের উচিত হবে ব্রিটেনের উদাহরণ অনুসরণ করা’- খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি যেভাবে নিরীহ মানুষ হত্যা করেছিল ব্রিটেন বা অন্য কোন উন্নত দেশ হলে তিনি এতদিনে রাজনীতি করার অধিকার হারাতেন।

প্রতিদিন ইফতারের পূর্বে খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করছেন। মিথ্যা বলায় বিএনপি নেত্রী অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন।

তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম বিএনপি নেত্রী নাকি দলের নেতাদের উপর বিরক্ত। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার উপর আরও বেশি বিরক্ত। চার মাস হয়ে গেছে সম্মেলনের পর বিএনপি এখনো কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি। যে নেত্রীর উপর তার দলের নেতারা আস্থা রাখতে পারেনি, তার উপরে জনগণ কীভাবে আস্থা রাখবে? সে দল কীভাবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে।

সংগঠনের উপদেষ্টা এমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

যে কারণে অবসর নিলেন মেসি

বয়স মাত্র ২৯ বছর। যে ফর্ম এবং যে ফিটনেস তাতে আর সাত-আট বছর তো অনায়াসেই খেলতে পারেন লিওনেল মেসি। অথচ টানা তিনটি, মোট চারটি ফাইনাল হেরে এখনই কি না অবসরের ঘোষণা দিলেন! ঐতিহ্যের আকাশি-সাদা জার্সি গায়ে বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সিতে আর দেখা যাবে না মেসিকে।

এদিকে মেসির অবসরের পেছনে ফক্স স্পোর্টস কিছু কারণ বের করেছে। কারণগুলো হল-

পরপর তিনটি বড় ফাইনালে পরাজয়: মেসি নিজেই বলেছেন, আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি সর্বোচ্চ চারটি আসরের ফাইনাল খেলেছেন; অথচ একটিও জিততে পারেনি। বিশেষ করে অধিনায়ক হয়ে তিন বছরে তিনটি ফাইনাল হেরেছেন। এর দায় পুরোটাই নিজের কাঁধে নিয়েছেন।

পেনাল্টি মিস: আর্জেন্টিনার হয়ে ১১৩টি ম্যাচ খেলে গোল করেছেন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫টি। শতবর্ষের এ আসরের ফাইনালে চিলির করা প্রথম শটই রুখে দেন রোমেরো। কিন্তু মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম শটটি নিতে এসে মিস করলেন। আর এতেই শিরোপা জয়ের যে ক্ষীণ আশাটুকু ছিল সেটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আর এ হারের জন্য নিজেকে দোষী ভাবছেন মেসি।

আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার সঙ্গে দূরত্ব: ফাইনালের তিনদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা বিভ্রাট নিয়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থাকে একহাত নিয়েছিলেন। বিমানবন্দরে তাদের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটটি দেরি হওয়ায় সেখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। তার পরই টুইটারে সমালোচনা করেন মেসি, যা কানে আসার পর ফিফাও আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থাকে একহাত নেয়। যে কারণে এএফএর সঙ্গে একটা শীতল সম্পর্ক তৈরি হয় তার।

ম্যারাডোনার তির্যক মন্তব্য: কোপা চলার মধ্যেই ম্যারাডোনার এক মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। অধিনায়ক মেসিকে তিনি ‘ব্যক্তিত্বহীন’ বলেন। এমনকি আর্জেন্টিনায় বসে তিনি ক’দিন আগে এমনও বলেন যে, কোপা জিততে না পারলে দেশে ফেরার দরকার নেই। এক সময়কার কোচের এমন কথায় ভীষণ আহত হয়েছিলেন মেসি।

স্বদেশি মিডিয়ার সমালোচনা: আর্জেন্টিনার মিডিয়াগুলো বরাবরই মেসির সমালোচনায় মুখর। তাদের অভিযোগ, মেসি যতটা না আর্জেন্টিনার, তার চেয়ে বেশি বার্সেলোনার। মেসি ১৩ বছর বয়সেই বার্সেলোনা একাডেমিতে যোগ দেন। তাকে স্পেন জাতীয় দলেও খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটা গ্রহণ করেননি। আর্জেন্টাইন মিডিয়ার অভিযোগ, মেসি আবেগ দিয়ে দেশের জন্য খেলেন না। এ জন্যই দেশের হয়ে কোনো ট্রফি জিততে পারেননি তিনি।

ঈদের আগে পুলিশ বাণিজ্য করার সুযোগ পাচ্ছে- খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপির তিন হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। সত্যিকার অপরাধীদের ধরলে সরকারকে সহযোগীতা করতে চাই। ঈদের আগে পুলিশ বাণিজ্য করার সুযোগ পাচ্ছে। এ অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লেডিস ক্লাবে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, বিদেশি হত্যাসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে সরকার ধরতে পারেনি। কারণ লোকগুলো তাদের ছিল। তবে দেশে বিদেশকে দেখানের জন্য সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু এই অভিযানে যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের বেশিরভাগই অপরাধী ছিল না।

ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নিউজ প্রতিদিন ডট নেটঃ ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা এবং ঘরে ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি। অপরাধ দমনে জনগণকেও এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি বলেন, ‘চুরি, ডাকাতি প্রতিরোধের জন্য মেট্রোপলিটনের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। অন্যান্য ঈদ, পূজার চেয়ে আসন্ন ঈদুল ফিতর অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন, উৎসব মুখর এবং জনগণকে কোন ধরণের বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।

ইকামতের আগে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা বিদআত – আল্লামা ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

ইকামতের আগে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা বিদআত, ইকামতের পরে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।

আলহামদুলিল্লাহ্‌….!! ঐতিহ্যবাহী আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরীফ পাঠানটুলী শাহী জামে মসজিদে বিগত ৪০ হাদীসের ২৮টি হাদীসের দারস আপনারা শুনেছেন…।।
গত ১৮ই রমজান পাঠানটুলী শাহী মসজিদে আয়োজিত দারসে বুখারীর বিদায়ী অনুষ্ঠানে বাকী ১২টি হাদীসের উপর খুবই তাত্ত্বিক ও দলীল ভিত্তিক দারস প্রদান করে আল্লামা আব্বাসী হুজুর…।।

দারসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলঃ—–
১. বিতের নামাজ ১ রাকাত নয় বরং ৩ রাকাত এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
২. ইকামতের আগে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা বিদআত, ইকামতের পরে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৩. নামাজে আমিন জোরে বলা যাবে না, আস্তে বলতে হবে এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৪. ইমামের পিছে মুক্তাদীগণকে সূরা ফাতেহা পড়া যাবে না এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৫. নবীজী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা গায়েব জানতেন এর পক্ষে সহীহ হাদীস থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবী ও ওহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৬. মুসলমানের ঐক্য এবং জিহাদ…।।
৭. খাতমে নুবুওয়্যাত অস্বীকারকারী ইহুদীদের চেয়েও বড় কাফের…।।

তিন ইয়াবা কারখানার মালিক মন্ত্রীর পুত্র রনি

সরকারের প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর ছেলে তিনি, নাম রনি চৌধুরী। দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আন্ডারওয়ার্ল্ড। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কায়েম করেছেন ত্রাসের রাজত্ব। মাদক কারবারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে। ইয়াবা বানানোর অন্তত তিনটি কারখানা আছে তাঁর।

অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে সরকারি সম্পত্তি দখল করে নিচ্ছে রনি ও তাঁর গ্রুপের সদস্যরা। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও তিনি ব্যাপক মনোনয়ন-বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। র‌্যাব ও পুলিশ দিয়ে আটকে ভয় দেখিয়ে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকারের আমলে রনি চৌধুরীর বড় ভাই দিপু চৌধুরী নিয়ন্ত্রণ করতেন রাজধানীর অপরাধজগৎ। এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন রনি। অভিযোগ রয়েছে, রনি ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গ রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রায় আড়াই বিঘা জমি দখল করে সেখানে মার্কেট নির্মাণ করছে। এ জন্য সাবেক এক মন্ত্রীর ভাগ্নে সারোয়ারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের হাত করেছেন রনি। গভীর রাতে বাইরে থেকে মাটি এনে ভরাট করা হচ্ছে সেই জায়গা। নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মহড়া দিচ্ছে ওই এলাকায়। আজমপুর কাঁচাবাজারও দখল করে রেখেছে রনির গ্রুপের সদস্যরা। তিনি গুলশান, তেজগাঁও ও নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে বানিয়েছেন ইয়াবা তৈরির কারখানা। সারা দেশে ইয়াবা বিক্রির নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে তাঁর গ্রুপের সদস্যরা।

‘সিসা হাউজ’ ও ইয়াবা কারখানা : গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, সাবেক এক মন্ত্রীর ভাই নাঈম ও ভাগ্নে সারোয়ার এবং রনি চৌধুরী মিলে ইয়াবা কারখানা বসিয়েছেন রাজধানীর গুলশানে। গুলশান-২ এর ৪৩ নম্বর সড়কে ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর বাড়িতে গড়ে তুলেছেন ‘সিসা হাউজ’। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে সিসাসহ নানা রকম মাদক বেচাকেনা চলে। পাশাপাশি চলে তরুণ-তরুণীদের উদ্দাম নৃত্য। তিন বছর ধরে কোনো বাধা ছাড়াই চলছে এ আখড়া।

সূত্র জানায়, কক্সবাজার ও টেকনাফে পুলিশ-র‌্যাবের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারিদের সঙ্গে রনি চৌধুরীর গভীর সখ্য রয়েছে। বাংলাদেশের সীমানাঘেঁষা মিয়ানমারের মংডু এলাকায় স্থাপিত ইয়াবা কারখানার কারিগর মোসলেমকে এনেই গুলশানের কারখানা বসানোর ব্যবস্থা করেছেন রনি চৌধুরী। এ কারখানা থেকে ঘণ্টায় আট থেকে ৯ হাজার ইয়াবা বড়ি প্রস্তুত করা হয়। এত দিন পুরনো মেশিন দিয়ে কারখানার কাজ চললেও বড়ির উৎপাদন বাড়াতে এখন নতুন মেশিনপত্র সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের কারিগর মোসলেম স্থানীয় এক যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলেছেন। ওই যুবক দুই সহযোগী নিয়ে ইয়াবা তৈরির কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। সন্ধ্যায় যখন সিসা হাউজে উদ্দাম নাচ-গান চলে তখন সেই শব্দের আড়ালে চালু করা হয় ইয়াবা কারখানা। যাতে কারখানার শব্দ বাইরের লোকজন শুনতে না পায়। রাত ৮টা থেকে রাত দেড়টা-২টা পর্যন্ত সচল থাকে কারখানা। সেই হিসাবে প্রতি রাতে ওই কারখানায় ৫০ হাজারেরও বেশি ইয়াবা বড়ি প্রস্তুত হয়। পরে নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেগুলো রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সরবরাহ করা হয়।

রনি চৌধুরীর নেতৃত্বে ইয়াবার আরেকটি কারখানা বানানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর সেতুর অদূরে। রনি চৌধুরীর পক্ষে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার পরোক্ষ তত্ত্বাবধানে গোদনাইল এলাকার তেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ভাসমান ড্রেজিং বার্জের মধ্যেই ইয়াবা কারখানা স্থাপন করেছে। দুই বছর ধরে সেখানে ইয়াবা বানানো হচ্ছে। নৌপথেই সেগুলো বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে। ইয়াবার কাঁচামাল তারা টেকনাফ সীমান্তপথে মিয়ানমার থেকে সংগ্রহ করে। লবণ ও বালু বোঝাই বিভিন্ন ট্রলারের তেল মজুদের ছদ্মাবরণে ড্রাম ড্রাম ইয়াবার উপাদান আনা হয় কাঁচপুর এলাকায়। সেখানে ভাসমান ড্রেজিং বার্জে সেসব ড্রাম খালাস করা হয়।

সূত্র জানায়, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে সরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের অদূরে একটি ওষুধ কারখানার ভেতরেও রনি চৌধুরীর নেতৃত্বে ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন ওই কারখানায় দুই লাখেরও বেশি ইয়াবা বড়ি উৎপাদন হয়। ‘জরুরি ওষুধ লেখা’ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ইয়াবার চালান নিয়ে ডেলিভারি ভ্যানগুলো রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যায়। নির্দিষ্ট ফার্মেসির সামনে এসব ডেলিভারি ভ্যান থামিয়ে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের হাতে চাহিদামাফিক ইয়াবার চালান তুলে দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রনি চৌধুরীর মূল আস্তানা গুলশান, বনানী ও উত্তরা এলাকায়। তাঁর নেতৃত্বে রয়েছে একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ। মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তারা। ইয়াবার ব্যবসা করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকা বানিয়েছে তারা। কারখানা থেকে ইয়াবার বড়ি সরবরাহ করা হয় উত্তরার বিভিন্ন রেস্তোরাঁসহ বাসাবাড়িতে। বনানী ও গুলশানেও রয়েছে তাঁর নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। আন্ডারওয়ার্ল্ডের ভয়ংকর ত্রাস মানিকের সঙ্গে তাঁর রয়েছে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। মালিবাগ এলাকাতেও রয়েছে রনি গ্রুপের বিশাল প্রভাব।

স্থানীয়রা জানায়, একসময় রনির বড় ভাই দিপু চৌধুরী পুরো উত্তরা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর দখলে ছিল উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব। ওই ক্লাবের আধিপত্য নিয়ে ১৯৯৭ সালের দিকে তিতাস নামে একজনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় দিপু চৌধুরীসহ তাঁর সাঙ্গপাঙ্গোদের বিরুদ্ধে মামলা আছে।

পাউবোর জায়গা দখল করে মার্কেট : উত্তরার আবদুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় পাউবোর প্রায় আড়াই বিঘার ওপর একসময় বস্তি ছিল। নাম ছিল আবদুল্লাহপুর পলওয়েল মাঠ বস্তি। সূত্র মতে, মাস ছয়েক আগে বস্তিটি উচ্ছেদ করা হয়। একপর্যায়ে রনি চৌধুরী দলবল নিয়ে জায়গাটি দখলে নেন। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা দেখা গেছে, সেখানে মার্কেট নির্মাণের কাজ চলছে। টিনশেড ঘর তোলা হয়েছে। চারপাশে সীমানা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। মাঝখানে একটি সাইনবোর্ড রয়েছে। তাতে লেখা ‘এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে নিম্নবর্ণিত তফসিলভুক্ত ভূমি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক অধিকরণকৃত জমি। উক্ত উচ্ছেদকৃত ভূমিতে কোনো প্রকার স্থাপনা না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইল।’ তবে পাউবোর সেই নির্দেশ অমান্য করেই মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। মার্কেট নির্মাণে কাজ করছে ২০-১৫ জন শ্রমিক। তাদের মধ্যে রমজান আলী নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘মাসখানেক আগে মার্কেট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রাতের বেলায় মাটি ভরাট করা হয়। গভীর রাতে দামি গাড়িতে করে এক ব্যক্তি আসেন (রনি চৌধুরী)। তিনি সাইট ঘুরেফিরে চলে যান। এই সময় তাঁর সঙ্গে ২০-২৫ জন সশস্ত্র যুবক থাকে। তবে শুনেছি এটি সরকারি জায়গা। সরকারি দলের নেতারা এটি দখল করেছেন। আগে এটি বস্তি ছিল।’

স্থানীয় বাসিন্দা রফিক, রুহুল আমিন, আবদুর রহমানসহ অন্তত ১৫ ব্যক্তি কালের কণ্ঠকে জানান, রনি চৌধুরী তাঁর দলবল নিয়ে জায়গাটি দখল করেছেন। বস্তি উচ্ছেদ করার সময় বলা হয়েছিল, এখানে পাউবোর অফিস করা হবে। আর এখন প্রভাবশালীরা মার্কেট নির্মাণ করছেন। প্রতিদিন রাতের বেলায় সন্ত্রাসীরা এখানে নিয়মিত আসে। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। কিছুদিন আগে সন্ত্রাসীরা বাপ্পী নামের এক যুবককে সেখানে মারধর করে। এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে বলে, ‘আমরা রনি চৌধুরী ও ভাগ্নে সারোয়ারের লোক। টুঁ শব্দ করলে গুলি করে মেরে ফেলব।’

তবে দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে পাউবোর ফিল্ড অফিসার মিজানুর রহমান প্রথমে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে শুধু বলেন, ‘জায়গাটি আমাদের। তবে এখানে আমরা কোনো মার্কেট নির্মাণ করছি না।’

ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য : সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে রনি চৌধুরী চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মতলব উত্তরে ১৪টি ইউপিতে নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ফরাজীকান্দি, সুলতানাবাদ, শাইকনল, বাগানবাড়ী, পূর্ব ফতেহপুর, পশ্চিম ফতেহপুর, জহিরাবাদ ও মোহনপুর ইউনিয়নে প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়ন দেওয়ার নামে তিনি অর্থ নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদপুর আওয়ামী লীগের এক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, রনি চৌধুরীকে যাঁরা নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দিতে পেরেছেন তাঁরাই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। একেকজন প্রার্থীর কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এমনকি মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বিএনপির প্রার্থীদের কাছ থেকেও অর্থ নিয়েছেন তিনি।

আমিন হুদা গ্রুপের সঙ্গে সখ্য : বাংলাদেশে ইয়াবা ব্যবসা ও ইয়াবা তৈরির অন্যতম গডফাদার আমিন হুদা। তিনিই প্রথম দেশে ইয়াবার চালান নিয়ে আসেন। জার্মানি থেকে ইয়াবার কাঁচামাল সংগ্রহ করে দেশেই ইয়াবা তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন আমিন হুদা। ২০০৭ সালের ২৫ অক্টোবর র‌্যাব গুলশান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে আমিন হুদা কারাগারে থাকলেও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা আছে বহাল তবিয়তে। তাদের মধ্যে জুবায়ের, আলী আকবর, শ্যামল মজুমদারসহ অন্তত ১৭ জনের একটি সিন্ডিকেট ঢাকায় ইয়াবা পাচার করে। তাদের সঙ্গে রনি চৌধুরীর সখ্য রয়েছে। তাদের সঙ্গে আতাত করেই রনি গ্রুপ ইয়াবা ব্যবসা করছে।

এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মহানগর উপ-অঞ্চলের এক উপপরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রাঘব বোয়ালরা ইয়াবার ব্যবসা চালাচ্ছে। তারা নামে-বেনামে তৎপর আছে। একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর ছেলে ইয়াবা ব্যবসা করছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছে। তাকে নজরদারি করা হচ্ছে।’

সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেনের সঙ্গে লেনদেন : নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি নূর হোসেনের সঙ্গেও রনি চৌধুরীর সখ্য রয়েছে। র‌্যাব ১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ (চাকরিচ্যুত এবং সাত খুন মামলায় বর্তমানে কারাগারে) হলেন রনি চৌধুরী ভগ্নিপতি। সেই সুবাদে নূর হোসেনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন রনি। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাত খুনের ঘটনার পর থেকে নূর হোসেনকে বাঁচানোর কথা বলে রনি মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। তা ছাড়া তারেক সাঈদের প্রভাব খাটিয়ে রনি কুমিল্লা, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের আটকের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ নিতেন।

মুন্সীগঞ্জের এক বিএনপি নেতা বলেন, ‘২০১৩ সালে র‌্যাব একবার আমাকে গ্রেপ্তার করে। পরে রনি চৌধুরীর মাধ্যমে ছাড়া পাই। এ জন্য রনি চৌধুরীকে ১০ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। একইভাবে রনি অনেক নেতার কাছ থেকেই অর্থ নিয়েছেন।’

মাদকবিরোধী সংগঠনের ব্যানারেই মাদক ও দেহ ব্যবসা : সূত্র জানায়, উত্তরা রাজউক কাঁচাবাজার মার্কেটও রনি চৌধুরীর দখলে। সেখানকার প্রতিটি দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে তাঁর লোকজন। দক্ষিণখানে রনি চৌধুরী ‘বিলস’ নামে একটি মাদকবিরোধী সংগঠন গড়ে তোলেন। অভিযোগ রয়েছে, ওই সংগঠনের আড়ালে সেখানে চলে দেহ ও মাদক ব্যবসা। এ ক্ষেত্রে রনি চৌধুরীকে সহায়তা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা সরদার বেলায়েত হোসেন মুকুল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, থানার পুলিশ জেনেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

স্থানীয়রা জানায়, উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে ৩ নম্বর রোডের একটি আলিশান বাড়িতে রনি চৌধুরীর লোকজন নিয়মিত ইয়াবার চালান সরবরাহ করছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোনা পাচারকারীদের সঙ্গেও রনির সুসম্পর্ক রয়েছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রনি চৌধুরী পর্দার আড়ালে থেকে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আছে। মাসে মাসে তাঁরা রনির কাছ থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পান, বিনিময়ে চোখ বন্ধ রাখেন।

রনির সহায়তায় কারাগার থেকে পালানোর পরিকল্পনা তারেক সাঈদের : গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি তারেক সাঈদ তাঁর শ্যালক দিপু ও রনি চৌধুরীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় জেল থেকে পালানোর পরিকল্পনা করছেন। চিকিৎসার নামে তারেক সাঈদ ইতিমধ্যে দিনের পর দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আয়েশে কাটিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে শাহবাগ থানার পুলিশ একটি প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন সাব-ইন্সপেক্টর তারেক সাঈদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, তারেক হাসপাতালের পুরনো ভবনের তৃতীয় তলায় ৪৩ নম্বর কেবিনে ছিলেন দীর্ঘদিন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই তারেক সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে রিফাত চৌধুরীসহ কয়েকজন স্বজন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বাধা দিলে তাঁরা গালাগাল করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।

একটি গোয়েন্দা সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, রনি ও তার বড় ভাই তারেক সাঈদকে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। তাদের মাধ্যমে তারেক দেশ ছেড়ে পালানোর পাঁয়তারা করছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তবে তাকে পুরো নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। সুত্র : কালের কন্ঠ।

অামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি এগিয়ে

নিউজ প্রতিদিনি ডেস্ক: নতুন এক জাতীয়ভিত্তিক জরিপে দেখা যাচ্ছে রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ১২ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। উসকানিমূলক ও উদ্ধত কথাবার্তার জন্য ভোটাররা ট্রাম্পের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না।

ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজের জরিপে দেখা যায়, হিলারিকে সমর্থন করছেন ৫১ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার। বিপরীতে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন দিয়েছে ৩৯ শতাংশ ভোটার।

এছাড়া ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং এনবিসি নিউজ পরিচালিত অপর এক জরিপেও হিলারি ৫ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন।দুটি জরিপই রবিবার প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে দেখা যাচ্ছে, এক মাস আগেও ট্রাম্পের প্রতি যে সমর্থন ছিল তা এখন আর নেই।এছাড়া দুই তৃতীয়াংশ ভোটারই মনে করেন যে ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন। অন্যদিকে ৬১ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন যে হিলারি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য।

ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজের জরিপে দেখা যায়, ৬৬ ভাগ আমেরিকান মনে করেন ট্রাম্প নারী, সংখ্যালঘু এবং মুসলিমদের প্রতি অন্যায়ভাবে পক্ষপাতদুষ্ট।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন নিয়ে সবর রাজনৈতিক অঙ্গন

মো. আব্দুর রহিম :   নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি ক্রমন্বয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কিংবা জামাত সব দলেই চলছে এই নির্বাচন নিয়ে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে কর্মীদের মধ্যেও এ নিয়ে আলোচনার যেন কমতি নেই। আলোচনা থেকে দূরে সরে নেই সাধারন মানুষও। প্রায় ৫ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কনরপোরেশনের প্রথম নির্বানে যে পরিমান আলোচনা হয়েছে, এবারের আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে তারে চেয়ে কয়েকগুন বেশী আলোচনা হচ্ছে। তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। বিগত নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনের আগের রাতে মাঠ ত্যাগ কলেও এবারের নির্বাচনে মাঠ ছাড়ার ইচ্ছে নেই বিএনপির। এছাড়া এবারের নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমানও প্রার্থী হচ্ছে না। তবে তিনি প্রার্থী না হলেও নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করাবেন বলে একাধিকবার জানিয়েছেন। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বর্তমান মেয়র আইভী। তবে এবারের ভোটের হিসেবে ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।

সূত্রমতে, যে পুরনো শহরটি নিজের ঐতিহ্যের বাইরে গিয়ে মাঝে মাঝেই সহিংস রাজনীতি, হত্যা-গুম-আর-খুনের কারণে সারাদেশের ঘুম হারাম করে দেয় তার নাম নারায়নগঞ্জ। প্রায় পাঁচ বছর আগে সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির ঘরে-বাইরে যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিলো সেটা আজও মনে আছে অনেকের। সেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন এখনো দূরে থাকলেও রাজনীতির ছকে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন শামীম ওসমান এবং সেলিনা হায়াত আইভি। আগেরবার দলের সমর্থন ছাড়াই নির্বাচিত হলেও মেয়র আইভি এবার নৌকা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনী লড়াইয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। আর নিজে প্রার্থী না হলেও আইভিকে নৌকা পেতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিছেন সাংসদ শামীম ওসমান। তবে কে হবে সাংসদ শামীম ওসমানের সমর্থিত প্রার্থী এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামই সবচেয়ে বেশী শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খুঁজছে। সে ক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামই রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশী শোনা যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে যখন সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর মধ্যে প্রকাশ্যে দন্ধ শুরু হয়েছে, তখন বিএনপির এর সুফল ঘরে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপি বিগত দিনের ভুল করতে চাচ্ছে না। তাই ক্ষমতাসীনদের দন্ধকে পুঁজি করেই এবারের নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তবে বিএনপি সমর্থন কে পায় এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলের মধ্যে গুঞ্জন চলছে তৈমুর আলম খন্দকার ও সাবেক সাংসদ আবুল কালামকে নিয়ে। আলোচনা উঠে এসেছে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় আইনজীবী নেতা এড. শাখাওয়াত হোসেনও। তবে বিএনপির প্রার্থী কে হচ্ছে এ জন্য বিএনপির চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীকে।

নির্বাচন নিয়ে শামীম ওসমানের অভিমত, তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার কারণে সিটি নির্বাচন করবেন না, তবে নৌকা প্রতীক আইভিকেও পেতে দেবেন না। তিনি আরও যোগ করেন,‘সেলিনা হায়াত আইভি দলের থেকে নমিনেশন চাইবেন বলে আমার মনে হয়না। নৌকা প্রতীক নিয়েই এবারের নির্বাচন করবেন মেয়র আইভী। এ ব্যাপারে তিনি তার সিদ্ধান্ত অটঁল রয়েছেন। নিজের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রায় ৭০ ভাগ কাজ করেছেন জানিয়ে আইভি বললেন, নৌকা প্রতীক নিয়েই তিনি নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। যেহেতু এখন নৌকা এবং ধানের শীষের খেলা হবে অবশ্যই দলের মতামত থাকবে, দলের কর্মীদের মতামত থাকবে। তবে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে চমক থাকবে বলে ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর দিকে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থীতা দেয়া নিয়ে জাপা নেতাদের চাপ থাকতে পারে বলেও বোদ্ধা মহলের ধারনা।

আজ সারা দেশে চলছে দখল – লুটপাট ও দমনের মহোৎসব, দখল হয়ে গেছে প্রেসক্লাবও : খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ হলো জঙ্গিদের দল। জঙ্গিদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ আছে। এদের কাছে দেশি বিদেশে বিপুল পরিমানে অস্র ও গোলাবারুদ আছে। কিন্তু জঙ্গির নাম করে ধরেন সাধারণ মানুষ। এদের ধরলেই সবকিছু পাওয়া যাবে।
রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রীমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের মিলনায়তনে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ।
খালেদা জিয়া বলেন, আজকে সারা দেশ কি চলছে। দখল আর লুটপাট ও দমনের মহোৎসব চলছে। প্রেসক্লাব পর্যন্ত দখল হয়ে গেছে। প্রেসক্লাবে সাংবাদিকেরা ইফতার মাহফিল করতে পারেনি। নির্বাচন দিতে ভয় পেয়ে গারে জোরে সব দখল করছে।
তিনি বলেন, আজকে ক্ষমতায় যারা বসে আছে তারা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। এব একটি অনির্বাচিত জনধিকৃত একটি সরকার। তাদের যদি সামান্যতম লজ্জা থাকতো তাহলে তারা ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিতো। সেই নির্বাচনের আসলে তারা যে কাজ করতো তার সমালোচনা হলেও বৈধতা পেতো। এ সরকার একের এক কাজ করছে তা বৈধ নয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিচার বিভাগে নিরপেক্ষ বিচার ন্যায়বিচার পাওয়া যায়না। তাই ভালো আইনজীবি থাকা স্বত্ত্বে ন্যায়বিচার পাওয়া যায়না। যেসব কাজ করছে তার কোনো বৈধতা নেই।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নাইকো মামলা এক সঙ্গে হয়েছে। ফকরুইদ্দন- মঈনউদ্দিনের সময়ে হাসিনার ছিলো ১৫টি মামলা। আমরা ছিলো ৫টি মামলা। হাসিনার মামলা যদি উঠে যায় আমার মামলা চলে কিভাবে চলে। হাসিনার নির্দেশে সবকিছু হয়েছে। হাসিনার ১৫টি মামলা কিভাবে উঠে যেতে পারে। তার মামলা উঠে গেলে অন্য কারো মামলা থাকতে পারেনা।
তিনি আরো বলেন, ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকার যেসব মামলা দিয়েছিলো সেই মামলা প্রত্যেক নেতাকর্মীর হয়রানি করছে। সব মামলা রয়েছে। যেখানে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের কোনো এই সরকারের কোনো বিশ্বাস তো নেই। বিচার বিবাগের নিদের্শ অমান্য করে একটির পর এক কাজ করে যাচ্ছে। আদালত বলেছেন বিনা বিচারে সাদা পোশাকে কাউকে ধরা যাবেনা। কিন্তু এথন তা প্রতিনিতই গ্রেফতার করা হচ্ছে। মানুষদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয়না। শওকত মাহমুদ বিনা অপরাধে ১০ মাস জেল খটেছে। মাহমুদুর রহমান কারাগারে আছে, গণগ্রেফতার করে বিএনপি ও সাধারণ মানুষ মিলে ১৫ হাজার গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলের মুক্তি দাবি করছি।
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম প্রধান প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যাক্ষ সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইসচেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈয়মূর আলম খন্দকার, নিতাই রায় চৌধুরৗ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।