এ,আর, কুতুবে আলম : পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এমনকি কলাপাড়া পৌরশহরের মধ্যেও লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ চালকরা দেদাছে মটোর সাইকেল চালিয়ে যাত্রী নিয়ে এক স্থান হতে অন্য স্থানে চলাচল করে আসছে। এ যেন দেখার কেই নাই প্রশাসনের নাকের ডগায়ই চলছে এই অদক্ষ চালকের রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মটোর সাইকেলগুলি । উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা ।
এলাকা সূত্রে জানাযায়. কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ও চম্পাপুর ইউনিয়নের শেষ বর্ডার পাচজুনিয়া গ্রামের আ. মৌজলী খানের ছেলে মো. আব্দুল মালেক খান (৬৭)। তিনি তাদের বাড়ির সামনে সড়কে মসজীদের পাশে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় দাঁড়িয়ে কথা বলছেন । এমন সময় চম্পাপুর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ হাওলাদার (১৮) মিলন মৃধা নামের এক যাত্রী নিয়ে ধানখালী ডিগ্রী কলেজ বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এসময় অদক্ষ চালক নেশা খোরের ন্যায় মটোর সাইকেলটি ব্রেক ফেল করে আব্দুল মালেক খানের শরীরে উঠিয়ে দেয়। তখন মালেক খান অজ্ঞান হয়ে পড়ে। মালেক খানের পরিবার চালকসহ মটোর সাইকেলটি আটক করে। এরপর তাৎক্ষনিক এ্যাম্বুলেন্স ডেকে সন্ধ্যায় মালেক খানকে নিয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে মৃত‚্যর সাথে যুদ্ধ করে অজ্ঞান অবস্থায়ই তিনি শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় মারা যান। এদিকে, স্থানীয় লোকজন পড়ে চালক রিয়াজ হাওলাদারকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তার মটোর সাইকেলটি আজো মালেক খানের বাড়িতে আছে। এর আগেও পাখিমারা রুবেল নামের এক স্কুল ছাত্র মটোর সাইকেলে এ্যাকসিডেন্ট করে নিহত হয়েছে। কয়েক মাস আগে ধানখালী লোন্দা খেয়াঘাট যএলাকায় এক বৃদ্ধ মটোর সাইকেল এ্যাকসিডেন্টে মারা গেছে। চম্পাপুর ইউনিয়নের পাটুয়া এলাকায়ও মটোর সাইকেলে এ্যাকসিডেন্ট করে নিহত হয়ে। বালিয়াতলী ভাবলাতলা একই পরিবারের ৩ জন গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। কলাপাড়ার মাদ্রাসা সড়কেও দুই মটোর সাইকেলে মুখোমুখী সংঘর্ষে ঢাকা থেকে যাওয়া সিনিয়র সাংবাদিক এর আত্মীয়সহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছিল ।
এলাকাবাসী আরো জানান, কলাপাড়া এলাকার প্রত্যেক ইউনিয়নেই রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মটোর সইকেল ও অদক্ষ চালকের হিড়িক। তারা অনেকে নেশা সেবন করেও মটোর সাইকেল চালায়। আবার কতিপয় চালকরা শহর ও সাগর পাড় হতে ইয়াবা গাঁজাসহ নানা প্রকার নেশাদ্রব্যদি আনা নেওয়া করে। কলাপাড়া উপজেলার ট্রাফিক ব্যবস্থা নড়বড় হওয়ায় অপরাধীরা তাদের যানবাহনে অবৈধ মালামাল টানতে সহজ হয়। বিভিন্ন বিয়ে বাড়িতেও নেশা সেবনের আসর বসায় বলে গ্রামের সচেতন অভিভাবক জানান । আর এই নেশা সরবরাহ করে কতিপয় কিছু অসাধু মটোর সাইকেল চালকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান এই চালকের কিছ রাজনৈতিক মার্কা নেতাদের চামচাও বটে তাড়া অপরাধ করতে দ্বিধাবোধ করছে না।
আওয়ামীলীগের এক প্রবীন নেতা ও আরেক ত্যাগীকর্মী জানান, নেশাখোর চালকদের হাত নাকি অনেক বড় । এরা নিজেরাও সেবন করে আর পাড়া মহল্লায়ও মাদক ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে আসছে। এদের কে সেল্টার দিচ্ছে কতিপয় কিছু পাতি নেতারা। ফলে কেহ ভয়ে মুখ খুলছেনা । বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ,যারা সন্ত্রাস করবে নেশা বিক্রিতে সহায়তা করবে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবেনা সন্ত্রাস আর মাদক ব্যবসাযীদের কোন দল নেই। তারা জাতির ধ্বংসকারী সুতরাং গ্রামগঞ্জের সবাইর সচেতন হতে হবে এমনাই বলে আসছেন ইন্নয়নের রূপকার ডিজিট্যাল দেশ গড়ার স্বপ্নাদ্রষ্টা শেখ হাসিনা ।
এব্যাপারে কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহনেওয়াজ জানান, চালকের লাইসেন্স চেক ও রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মটোর সাইকেল আটক করছি এবং ধরে মামলাও দিচ্ছি গত শুক্রবারও ১০ (দশ)টি মটোর সাইকেল ধরে মামলা দিয়েছি। আমাদের অভিযান নিয়মিত চলছে এবং চলবে। তিনি আরো বলেন, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি জনপ্রতিনিধিদেরও এই অবৈধ অদক্ষ চালকদের চিহ্নিত করতে সহায়তা করতে হবে। পুলিশের সংখ্যা কম । সুতরাং সবাই পুলিশের কাজে সহায়তা করলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে এবং অপরাধ হ্রাস হবে। নেশা বিক্রেতা ও বিক্রিতে সহায়তাকারী আমার কাছে কোন ক্রম্রেই ছাড় পাবেনা সে যেই হোক। আমাদের সরকার সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে নির্মূলের প্রত্যয় নিয়ে জেহাদ ঘোষনা করে আসছেন ।