২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 190

শেখ হাসিনা কিন্তু নওয়াজ শরীফ না-শামীম ওসমান

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের মালিক জনগণ আর বাংলাদেশের জনগণ আর ধৈর্য্য দেখাবে না। জনগণের পয়সায় রাষ্ট্রীয় কোষাগাড় থেকে বেতন পাওয়া কোন পাকিস্তান প্রেমীর উদ্ভট অনভিপ্রেত কথাবার্তা এদেশের রাজনৈতিক সচেতন মানুষ আর সহ্য করবে না। সোমবার বেলা ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের  সংসদর সদস্য  শামীম ওসমান এ কথা বলেছেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, রাজনীতির গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা কোন আদালতের নাই।  যারা কথা বলছেন তারা ভুলে গেছেন ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানের উদাহরন বাংলাদেশে অচল। কারণ বাংলাদেশটা পাকিস্তান না, বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের জনগণ না। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা নওয়াজ শরীফ না, তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।  বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং আইনশৃক্সখলা বাহিনী পাকিস্তানের আইনশৃক্সখলা বাহিনী না । বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো আইএসআই দ্বারা পরিচালিত না। পাকিস্তানের রাজনীতি এবং বিচার বিভাগ সেনা বাহিনীর নির্দেশে চলে। পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আর বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে জাতির জনকের নেতৃত্বে পরিচালিত ¯^শস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে। আমার এসব কথার জন্য যদি আদালত আমাকে তলব করেন, তবে অবশ্যই যাবো। তবে সংসদ সদস্য পদ ও দলীয় পদ ছেড়েই যাবো এবং এদেশের প্রতিটি ¯^াধীনতার পক্ষে বিশ্বাসী কোটি কোটি মানুষের মনের কথাগুলো আদালতে বলে আসবো। বিশ্বাস করি আদালত সেই কথার মর্মার্থ বুঝবেন। মনে রাখা উচিত,  শেখ হাসিনা নীলকন্ঠী হলেও বাংলার মানুষ নীলকন্ঠী নয়। কারণ, সব কিছু নিয়ে আপোষ করলেও বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনা প্রশ্নে তার কর্মীরা আপোষ করতে শিখেনি।
শামীম ওসমান এসময় বলেন, দেশ নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছেন তাদের মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার কর্মীরা রাজপথের অকুতোভয় সেনা। আওয়ামী লীগের কর্মীরা সকল ষড়যন্ত্রের জওয়াব দেয়ার মতো ক্ষমতা রাখে। কেউ কেউ দায়িত্বশীল জায়গায় বসে দায়িত্বহীনের মত কথা বলছে, শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে অশ্রদ্ধার কথা বলছেন। তাদের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে পল্টন থেকে কোন বিএনপি-জামাতের প্রেতাত্মা কথা বলছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এসব নিন্দনীয় বক্তব্য দেশের শতকরা  ৮৫ ভাগ মানুষের কাছে অযোগ্য অগ্রনযোগ্য বলে মনে হচ্ছে। তাই উচিত হবে তাদের সম্মানের সাথে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করা, নয়তো নিজেকে সেই সম্মানের চেয়ার থেকে সরিয়ে নেয়া। কারণ ইতিহাস স্বাক্ষী, যারা ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন, ইতিহাস তাদেরকে বারবার আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে। সময় হয়ে এসেছে সব কিছুর জবাব দেয়ার। শামীম ওসমান এসময় উপস্থিত কর্মীদের সজাগ ও প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, ২১আগষ্ট শুধুমাত্র একদিনের স্মরণের বিষয় নয়। ২১আগষ্ট আমাদের শিক্ষা দিয়ে যায়, মনে করিয়ে দেয় যে, এদেশকে ব্যর্থ ও জঙ্গী রাষ্ট্র বানাতে শকুনীর দল আমাদের নেত্রীকে হত্যার জন্য এখনও ওৎ পেতে আছে। কিন্তু দেশ দল ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই আবারো প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে হবে এবং কর্মীরাই সেটা করবেন।
 সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রেণুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোক সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিকলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মতিন মাষ্টার, থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া,মহানগর আওয়ামীলীগের সহ প্রচার সম্পাদক ইফতেখার আলম খোকন,জেলা যুবলীগ সদস্য ও নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লাসহ স্থানীয় অনেক নেতৃবৃন্দ । #

দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করা প্রধান বিচারপতির কাজ নয়-প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজঃ অাওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান বিচারপতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি যাকে নিয়োগ দিলেন তিনিই অাবার রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কেড়ে নিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করা ও পক্ষ নেয়া প্রধান বিচারপতির কাজ নয়। প্রধান বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে সংসদ সদস্যদের নিয়ে যে বৈধতা ও অবৈধতার প্রশ্ন এনেছেন এ ধরনের প্রশ্ন অাসতে পারে না। কথাগুলো পর্যবেক্ষণে লেখার অাগে এ পদ থেকে ওনার সরে যাওয়া উচিত ছিল।’

সোমবার বিকেলে ২১ অাগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে অাওয়ামী লীগ অায়োজিত এক অালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অায়োজিত এ অালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অাওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অাওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৪টা ৫ মিনিটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এসেই ২১ অাগস্ট উপলক্ষে নির্মিত অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সভার শুরুতেই অাওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এরপর ২১ অাগস্টের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অামিনুল ইসলাম।

অালোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অাওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী অামির হোসেন অামু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল অাহমেদ, অাওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ অাশরাফুল ইসলাম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বালাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বসার মাইজভান্ডারী, জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, জাসদের একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দিন খান বাদল ও অাওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অাফম বাহাউদ্দিন নাছিম।

অালোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অার যাই হোক পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন তুলনা সহ্য করা হবে না। সুতরাং পাকিস্তানে কী হয়েছে না হয়েছে সে বিষয়ে কোন হুমকি দেবেন না। এটা সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, অবৈধভাবে অার কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। যদি কেউ সে চেষ্টা করে সংবিধান অনুযায়ী তার বিচার হবে।

না ফেরার দেশে নায়ক রাজ

ডেস্ক নিউজঃ বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গুরুতর অবস্থায় তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

সেখানেই তার জীবনের অবসান ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন। এই নায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে।

রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় স্বরসতি পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়করাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।

তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক।

পরবর্তীতে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ ‘টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। তার দুই পুত্র বাপ্পারাজ ও সম্রাটও চলচ্চিত্র অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত।

রাজ্জাকের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার নায়িকারা

ডেস্ক নিউজঃ আর নেই নায়করাজ রাজ্জাক। আজ সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর যেন মানতেই চাইছেন না কেউ। যার সঙ্গেই যোগাযোগ করা হচ্ছে সেই পাল্টা প্রশ্ন করছেন খবরটা সত্যি তো? নাকি গুজব।

রাজ্জাকের নায়ক হিসেবে প্রথম ছবি ‘বেহুলা’। জহির রায়হান পরিচালিত সেই ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন সুচন্দা। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার কণ্ঠ বেশ ভারী শোনা গেল। জানতে চাইলেন, ‘বিশ্বাসই করতে পারছি না রাজ্জাক সাহেব নেই। প্রথমবার শুনে ভাবছি গুজব। এমনটা তো আগেও হয়েছে। প্লিজ, বলুন যে এটাও গুজব।’

তার মৃত্যুর খবরটি সত্য প্রমাণ করতেই তিনি কেঁদে উঠলেন। বললেন, ‘বিশ্বাসই করতে পারছি না। তার মতো শিল্পীর চলে যাওয়া চলচ্চিত্রের এই দুর্দিনে দারুণ ক্ষতি।’ সুচন্দা আরও বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান, নায়করাজের সঙ্গে কাজ করার অনেক অভিজ্ঞতা আছে আমার। ‘বেহুলা’ তো অনেক স্মৃতির জায়গা। আর ‘জীবন থেকে নেয়া’ আমাদের দুজনের ক্যারিয়ারেই অনবদ্য ছবি। উনার জন্য দোয়া করবেন।’ কথা শেষ করেই হাসপাতালে যাবেন বলে কল কেটে দিলেন তিনি।

নায়করাজের আরেক নায়িকা কবরী। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে অসংখ্য জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান মিষ্টি মেয়ে খ্যাত কবরী। তিনি বলেন, ‘কীভাবে বিশ্বাস করব আমার নায়ক রাজ্জাক আর নেই। খবরটা শুনে মনে হচ্ছে শরীরটা অবশ হয়ে গেছে। যাচ্ছি হাসপাতালে। একটা সময় তার সঙ্গেই দিনগুলো কেটে যেত। আর সময়ের নিষ্ঠুরতায় কতদিন দেখা হয় না তার সঙ্গে। কিন্তু এভাবে দেখা করতে ছুটে যেতে হবে ভাবতেও পারছি না।’

রাজ্জাকের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন নায়িকা রোজিনাও। তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে জানা গেল উত্তরা থেকে তিনিও ছুটছেন গুলশানে ২-এ অবস্থিত ইউনাইটেড হাসপাতালে। কল রিসিভ করেই কেঁদে উঠলেন। বললেন, ‘রাজ্জাক ভাইয়ের মৃত্যুর অনেক গুজব ছড়িয়েছে আগে। তাই বিশ্বাসই হচ্ছিল না তিনি নেই। এটা মেনে নেয়া কষ্টের যে আমাদের অভিভাবক চলে গেছেন। তিনি ছিলেন ঢাকাই ছবির বটগাছ। তার বিকল্প কেউ হবে না।’

রাজ্জাকের ৪০টি ছবির নায়িকা ববিতা। খবর শুনে নিজেও অসুস্থ হয়ে গেছেন। বললেন, ‘এটা কী করে সম্ভব! কিছুদিন আগেও রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে কথা হলো। আমরা মজা করলাম। আর আজ শুনতে হলো তিনি নেই। কী অদ্ভুত মানুষের জীবন।’

নায়করাজকে দেখতে তার বাসায় যাচ্ছেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই কথা হলো আলমগীর ভাইয়ের সঙ্গে। উনি জানান, হাসপাতালে প্রচুর ভিড়। ওখানে যাওয়া যাবে না। তাই বাসায় যাচ্ছি আমি। এই মুহূর্তে রাজ্জাক ভাইয়ের স্ত্রীর পাশে আমাদের থাকা উচিত। সবাইকে বলব, আমার ভাই, আমার নায়ক, রাজ্জাকের জন্য দোয়া করবেন। তিনি ভালো মানুষ ছিলেন। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত দান করেন।’

একুশে আগষ্টের হামলা কোন ক্ষত নয় দুর্ঘটনাঃ খন্দকার মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলাকে ‘দুর্ঘটনা’ বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তাঁর মতে, ‘পৃথিবীর অনেক দেশের রাজনীতিতে এমনটা ঘটে; পুরনো এই বিষয় নিয়ে এখন আলোচনা কিছু নেই’। সোমবার একুশে আগষ্টের হামলা নিয়ে একটি সংবাদ ভিত্তিক টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, ‘এটি কোন ক্ষতই না। সিম্পল দুর্ঘটনা। এটা নিয়ে এখন আলোচনার কিছুই নেই। দেশে এখনো পিছিয়ে রয়েছে শুধুমাত্র পুরাতন কথা মনে রেখে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। কেউ মনে রাখে না। ১৫ আগষ্ট ও ২১ আগষ্টের মত ঘটনা কেউ সারাজীবন কান্না কাটি করে না’। বিএনপি সরকার মামলাটির তদন্ত ঠিকভাবে করেছে কিনা জানতে চাওয়া হলে, উত্তেজিত হয়ে তৎকালীন বিএনপি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনেক কথা বলেছি। আর কোন কথাই বলবো না।বলা ঠিক না’।

কুরবানি উপলক্ষে চুল ও নখ কাটার শেষ দিন কবে?

জিলহজ্বের চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানির আগ পর্যন্ত নিজের নখ, চুল, মোচ, নাভীর নিচের পশম ইত্যাদি না কাটা মুস্তাহাব। হযবরত উম্মে সালমা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা) ইরশাদ করেন, “তোমরা যদি জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কুরবানি করতে ইচ্ছে করে তবে যেন স্বীয় চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।” (সহীহ মুসলীম ১৯৭৭, আবু দাওদ শরীফ ২৪৩৭), ।

যে ব্যক্তি কুরবানী দিতে সক্ষম নয় সে ব্যক্তিও এ আমল করলে তার ফজিলত পাবে। ফজিলত হল, ‘যে ব্যক্তি এই আমল করবে সে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে পূর্ন একটি কুরবানির সওয়াব পাবে। (মুসনাদে আহমাদ ৬৫৭৫, আবু দাউদ শরীফ ২৭৮৯, নাসায়ী শরীফ ৪৩৬৫) । অতএব মুসলিম হাদিস অনুযায়ী যারা কুরবানি করার ইচ্ছে পোষণ করছেন, তারা জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে হাত পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত চুল ইত্যাদি কাটবে না, যদি ৪০ দিন না হয়ে থাকে এগুলো না কাটার মেয়াদ। যদি ৪০ দিনের বেশি হয়ে থাকে, তাহলে এসব কেটে ফেলা আবশ্যক। নতুবা ১০ দিন পর কুরবানির পর পরিস্কার করবে। এ কাজটি সুন্নত।

তবে কেউ কেউ না কাটা ওয়াজিবও বলেছেন। তারা বলেন, কুরবানিদাতা নখ চুল কাটলে গুনাহগার সাব্যস্ত হবেন। কোনোটিই সম্ভাবনার বাইরে নয়। তাই না কাটাই উত্তম।

অতএব, আগামী ২৩ আগস্ট জ্বিলহজ মাসের চাঁদ উঠার কথা রয়েছে। সে হিসাবে ২৩ তারিখ বুধবার সন্ধ্যার আগেই চল নখ কাটার আমলটি করতে পারেন সওয়াবপ্রত্যাশী ও কুরবানিদাতারা। এরপর থেকে কুরবানির আগ পর্যন্ত এসব কাজ করা মাকরূপ এর অন্তর্ভুক্ত।

জরুরি বৈঠকে বসছেন রাষ্ট্রপতি-প্রধান বিচারপতি

মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার আনুষ্ঠানিক বৈঠক হতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হবে যেকোনো সময়ে। বঙ্গভবনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। বৈঠকে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে আলোচনা যে হবে তা নিশ্চিত। বঙ্গভবনের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বৈঠকের প্রস্তুতির কথা স্বীকার করেছেন। দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি যেকোনো সাংবিধানিক পদের ব্যক্তি বা কর্মকর্তাকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।

গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সর্বসম্মত রায়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে বাতিল এবং অবৈধ ঘোষণা করে। এই রায়ের ফলে, ৭২ এর সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদে থাকার যে বিধান বর্তমান সংসদ প্রতিস্থাপন করেছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। এর স্থলে সামরিক শাসনামলে করা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানকে পুন:স্থাপিত করা হয়। রায়ে কিছু পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। আদালতের বারান্দা থেকে এই রায় রাজনৈতিক মাঠে উত্তাপ ছড়িয়েছে। বিএনপি এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। বিএনপি নেতারা রায়কে ঐতিহাসিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অন্যদিকে এই রায়কে গ্রহণ করতে পারে নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রায় সব মন্ত্রী বক্তব্য রেখেছেন। আইনমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে রায়কে অগ্রহণযোগ্য বলেছেন।

১৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকের পরই সবার চোখ বঙ্গভবনের দিকে ছিল। বঙ্গভবনের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের অসংগতি এবং প্রধান বিচারপতির অসদাচারণের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বঙ্গভবন এই বৈঠকের আয়োজন করেছে। রাষ্ট্রপতি কী করবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়। (পূর্বপশ্চিম)

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ খুঁজছেন মাইজভান্ডারী

সুযোগ থাকলে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয জোটের শরিক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি। তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন। এসময় তিনি প্রধান বিচারপতিকে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।

রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এসব কথা বলেন। ষোড়শ সংশোধনীর পর্যবেক্ষণ এর প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে তরিকত। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে দলের মহাসচিব এম এ আউয়াল এমপি।

নজিবুল বশর বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি আত্মস্বীকৃত শান্তি কমিটির সদস্য। তিনি নিজের মুখেই বলেছেন, ‘‘শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন।’’ তিনি ১/১১ এর সময় মঈন-ফখরুদ্দিনের দোসর ছিলেন। এবং সিঙ্গাপুরে সাকা চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে শপথ ভঙ্গ করেছেন।’

নজিবুল বসর মাইজভান্ডারী সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও এর পর্যবেক্ষণে সংক্ষুব্ধ হওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, এই পর্যবেক্ষণ কল্পনাপ্রসূত। এই রায় দিয়ে প্রধান বিচারপতি ৭২ এর সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা করবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে নজিবুল বশর বলেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগতভাবে সুযোগ থাকলে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা করব। আজ হোক বা কাল হোক, আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’’

ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল তরিকতের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি। প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে এর আগে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।’

ষোড়শ সংশোধনীর পর্যবেক্ষণে ‘সংসদকে অপরিপক্ক’ বলার বিষয়ে মাইজভান্ডারী বলেন, ‘জানি না, প্রধান বিচারপতি কোন অসন্তুষ থেকে এমন বক্তব্য দিয়েছেন। তার রায়ে আমি সংক্ষুব্ধ।’ প্রধান বিচারপতি তার ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছেন বলেও অভিযোগ করেন মাইজভান্ডারী।

লিখিত বক্তব্যে তরিকতের মহাসচিব এম এ আউয়াল এমপি বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে বঙ্গবন্ধুকে ছোট করা হয়েছে। পৃথিবীতে বহু উদাহরণ আছে, এক ব্যক্তির নেতৃত্বেই একটি জাতি গঠন হয়েছে। মুক্তিসংগ্রামের পথে এগিয়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে এম এ আউয়াল জানান, চলমান বন্যা সংকটে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে একটি ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীকে আহ্বায়ক, সৈয়দ তৈয়্যবুল বশর মাইভান্ডারীকে সদস্য সচিব ও সৈয়দ আবু দাউদ মসনভী হায়দারকে সমন্বয়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি করা হয়েছে। (আমাদের সময়)

আমরা যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা বলেছেন, ‘আমরা বিচার বিভাগ যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। আজকে একজন কলামিস্টের লেখা পড়েছি। সেখানে ধৈর্যের কথা বলা আছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে ইয়ো (অযোগ্য) করেছেন। সেখানে কিছুই (আলোচনা সমালোচনা) হয়নি। আমাদের আরও পরিপক্বতা দরকার।’

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিধিমালার গেজেট প্রকাশের শুনানিতে রোববার এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ এ মামলার শুনানি হয়। পরে আদালত বিষয়টির ওপর পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ওই মামলায় আবারও সময়ের আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘গত তারিখে কি কথা ছিল? আলাপ-আলোচনা করার কথা হয়েছিল। কার সঙ্গে কে কে থাকবে?’

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ল’ মিনিস্টার। এ সময় বিচারপতি ওয়াহাব মিঞা বলেন, ‘অল দ্য জাজেস অব অ্যাপিলেট ডিভিশন। এতই আমরা ইয়ে হয়ে গেলাম, আলোচনা পর্যন্ত করলেন না।’
প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, ‘মিডিয়াতে অনেক কথা বলেন। কোর্টে এসে অন্য কথা বলেন। আপনাকে নয়। আপনাদের বলছি। আপনিই বলেন। কবে কী হবে। আপনারা ঝড় তুলছেন। আমরা কোনো মন্তব্য করছি?’

এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘না আপনারা করেননি।’ জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনার চাওয়া মতো ৮ তারিখ রাখলাম।’

এ সময় ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম বলেন, ‘আমার আবেদনটি শুনানি করেন।’
তার জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগ ধৈর্য ধরছি। যথেষ্ট ধৈর্য ধরছি। আজকে একজন কলামিস্টের লেখা পড়েছি। সেখানে ধৈর্যের কথা বলা আছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রী কে ইয়ো (অযোগ্য) করেছেন। সেখানে কিছুই (আলোচনা সমালোচনা) হয়নি। আমাদের আরও পরিপক্বতা দরকার।’

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফায় ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এজন্য বারবার আদেশ দিতে হয়েছে আপিল বিভাগকে। এমনকি ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে বাদীপক্ষকে।

২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। গত ২৭ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই খসড়া হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। (জাগোনিউজ)

মাদকের সাথে জড়িতদের বালুরচর ইউনিয়নে জায়গা নেই-আবু বকর সিদ্দিক

জীবনকে ভাল বাসুন মাদককে না বলুন। মাদকের বিরুদ্ধে লড়বো আমরা বেশ, মাদক হবে এদেশ থেকে শেষ। একটি পরিবারকে ধংশ করার একজন মাদকাসক্তই যতেষ্ঠ। আজকের মাদক সেবী আগামী দিনের মাদক বিক্রেতা। মাদক নির্মূলের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। মাদক ক্যান্সারের চেয়েও ভয়াবহ। মাদকের সাথে জড়িতদের বালুরচর ও বক্তাবলী পরগনায় জায়গা হবে না।

শনিবার সকাল ১০টায় বালুর চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মাদক বিরুধী সমাবেশে বালুর চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবু বকর প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কালীনগর হাজী তাইজুদ্দিন নূরানী কোরআন শিক্ষা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলহাজ্ব আনিসুর রহমান (খোকন) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রকৌশরী রুহুল আমীন,আই সিটি অফিসার নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান,গাজী সালাউদ্দিন,আনিছুর রহমান,ভিপি আলমগীর, এড.আল আমীন সিদ্দিকী,মোঃ নাছির হোসেন,হাজী মোঃ জয়নাল আবেদীন,সাহাবউদ্দিন বাদল, আবজাল হোসেন মেম্বার, মোঃ দুলাল মেম্বার,সাবেক মেম্বার আজগর আলী,আমজাদ হোসেন,শিশির আহম্মেদ দুলাল, আঃ আজিজ,আবজাল হোসেন,মোঃ রিপন,ইদ্রিস আলী,আবুল, হোসেন ভুট্রো, মোসলেউদ্দিন,হারুন রশীদ সরকারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময় সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলী, মোহসেনিয়া ইসলামি দাখিল মাদ্রাসা, কালীনগর মৌলভী নিজামউদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা,কালিনগর হাজী আবু বকর সিদ্দিক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ছমিনগর হোছাইনিয়া মাদ্রাসা,আল এহসান নাগরিক সেবা,ধ্রুব ফাউন্ডেশন,বাডর্স এবং ইসলাম ও আমরা এই সংগঠন গুলো তাদের সাথে একত্রতা ঘোষনা করে র‌্যালী, পথ সভা ও সমাবেশে অংশ গ্রহণ করে।