৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 213

বক্তাবলীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমানের দেশীয় অস্ত্র ‘টেটা-বল্লম’ উদ্ধার

ফতুল্লার বক্তাবলীতে বিশেষ এক অভিযানে চারশ’ বল্লম উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফতুল্লা থানা পুলিশ ও সিরাজদিখান থানা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে আকবর নগরে এই অভিযান চলে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন ফতুল্লা থানা পুলিশের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ঘটনাস্থল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন মুঠোফোনে জানান, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ এই অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে আমাদের সাথে মুন্সিগঞ্জের সিরজদিখান থানা পুলিশও অংশ নেন।

তিনি বলেন, আমাদের (ফতুল্লা) থানার অন্তর্ভূক্ত বক্তাবলীর আকবর নগর থেকে আমরা দেড়শ’ টেটা ও বল্লম উদ্ধার করি। একই অভিযানে সিরাজদিখান থানা পুলিশ তাদের অংশ থেকে প্রায় আড়াইশ’র মতো টেটা ও বল্লম উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় দশজন। এছাড়া প্রতিপক্ষ সামেদ আলীর লোকজন আলী হোসেনর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ লুটপাট করে। এ ঘটনার জের ধরেই পুলিশ ওই অভিযান চালায়।

তবে অভিযানকালে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার সাথে যারা সম্পৃক্ত তারা মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বদাই সতর্ক। এমন অভিযান ধারাবাহিকভাবেই চলবে।

ফতুল্লায় ডি.বি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২ সন্ত্রাসী নিহত-অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার ও তার সহযোগি মানিক ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে।

২২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় পাগলার দেলপাড়া ক্যানেলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের লাশ নারাযনগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবারসহ ২টি ধারালো অস্ত্র ৮ রাউন্ড গুলি এবং ২টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে।

নিহত কিলার মোক্তার শাহিবাজার নিশ্চিন্তপুর এলাকার মনির মিস্ত্রীর ছেলে এবং তার সহযোগি মানিক নয়ামাটি এলাকার মৃত আব্বাস মিয়ার ছেলে।

নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ সার্কেল শরফুদ্দিন জানান, নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত ৪নং সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার ও তার সহযোগিদের গ্রেফতারের জন্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। ২২ ফেব্রুয়ারী বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় পাগলা দেলপাড়া ক্যানেলপাড় এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে কিলার মোক্তার ও তার সহযোগিরা গুলি বর্ষন করলে পুলিম পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় কিলার মোক্তার ও তার সহযোগি ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে জেলা গোযেন্দা পুলিশের এএসআই আবদুল আজিজ আহত হয়।

উল্লেখ্য, কিলার মোক্তার পাগলা ,সাইনবোর্ডসহ আশপাশ এলাকায় সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করে আসছিল। ঢাকা-নারায়নগঞ্জ লিংক রোডে বাস থামিয়ে গুলি করে স্বর্ন ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে হত্যার পর স্বর্ণ লুটের মামলার অন্যতম আসামী কিলার মোক্তারকে গ্রেফতারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।

নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে বেজে উঠেছে বিদ্রোহের সুর

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মাহানগর বিএনপির নতুন কমিটি নিয়ে ফুঁসতে শুরু করেছে পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে নতুন কমিটি বিরুদ্ধে গোপন বৈঠক করেছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে। কেন্দ্র থেকে ঘোষিত বর্তমান কমিটিকে মেনে নিতে পারছে না জেলা ও মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরা। যারা এতো দিন রাজপথে সক্রীয় ছিল তাদের নাম বাদ দেয়ায় নেতারা ফুঁসে উঠেছে। ইতোমধ্যে মহানগর বিএনপির নেতা আ: মজিদ বর্তমান কমিটি নিয়ে তার বক্তব্য তুলে ধওে গুমাধ্যমে বিবৃতি প্রেরণ করেছেন। তিনি বর্তমান কমিটি মানেন না বলে দাবি করেছেন। তার বক্তব্য, দলেল যারা ত্যাগী নেতা তাদের বাদ দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের আতাঁতাকারী, বিদ্রোহী ও সংস্কারপন্থি হিনেবে পরিচিতদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মাহনগর বিএনপির কমিটিগঠন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তৃনমূলের কোন মতামত নেয়া হয়নি বলেও তিনি দাবি করেছেন। এদিকে,নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটি নিয়ে দলের ভেতরে বিদ্রোহের সুর বেজে ওঠায় এ নিয়ে বিএনপিতে নতুন করে অস্থিরতার আশঙ্কা করছে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। জেলা ও মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটি নিয়ে যে ক্ষোভ তা প্রকাশ্যে রূপ নিবে। আর এই ক্ষোভ সংঘাতের দিকে ধাবিত হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতে, বর্তমান কমিটি ঘোষণার মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ধ্বংসের পায়তারা চলছে। তাদের অভিযোগ, মাদক থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী কর্মকাÐে সম্পৃক্ত রয়েছে এমন বহুজনকে দুই কমিটির মধ্যে পদায়ন করা হয়েছে। আর উপেক্ষা করা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকা অনেক ত্যাগী ও সক্রিয় নেতাকে। তবে গঠিত বিএনপির জেলা ও মহানগর কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছে তাদের অনেকেই সাশক দলের দালাল হিসেবে পরিচিত। সূত্র বলছে, জেলা বিএনপিতে ঘাতক নূর হোসেনর ঘনিষ্ঠজন থেকে শুরু করে বিএনপির কর্মীদের উপর হামলা, গুলি বর্ষণ করা ব্যক্তিরাও স্থান পেয়েছে। শুধু স্থানই নয়, গুরুত্বপূর্ণ পদের তাদের পদায়ন করা হয়েছে। আবার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মাঠে দেখা যায়নি এমন ব্যক্তিদেরকেও গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে। যা মেনে নিতে পারছে না বিএনপির অনেকেই। জেলা ও মহানগর বিএনপির মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মতে, জেলা ও মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটিতে যারা রয়েছে তাদেও বেশীর ভঅগই নিস্ক্রীয় নেতা হিসেবে পরিচিত। বর্তমান পদধারী নেতাদেও মধ্যে বিগত দিনের সরকার বিরোধী আন্দোলনে নামেনি। ওনসময় অনেক নেতা ক্ষমতাসীন দলেল নেতাদের সাথে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে দেখা গেছে। কেউ কেউ ক্ষমতাসীন দলেল নেতাদের সাথে আতাঁত করে প্রকাশ্যে চলাফেরাও করেছে। আর যারা দলের হয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে জেল,জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেছে তাদেরকে এবারের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়নি। বিএনপির কর্মীদের প্রশ্ন তবে কি জেলা ও মাহাগর বিএনপির কমিটি ক্ষমতাসীন দলেরই আতাঁতের ফসল? তবে জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে দলের ভেতরের ত্যাগী নেতাদের ফুঁসে উঠেছে। যে কোন সময় প্রকাশ্যে এই কমিটির বিরুদ্ধে বিদ্রাহী করা হবে বলে বিএনপির বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। কমিটি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অবস্থা নেয়া নেতাদেও মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা করছে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দেয়ায় আগামীতে বিএনপির জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। সামনের দিকে বিএনপির রাজনীতি সংঘাতের দিকে ধাবিত হব।

ফতুল্লার বক্তাবলীতে কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৭’ ব্যাচের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন

ফতুল্লার বক্তাবলীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালিত হয়েছে। কানাইনগর ছোবহানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, কালো ব্যাজ ধারন ও পতাকা অর্ধ-নমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। এছাড়াও কানাইনগর ছোবহানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ইং ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন,আহাম্মদ আলী,আঃ আজিজ,মোঃ জসিম খাঁন,মোঃ জনি,সোরহাব,মোঃ নাজমুল,মোঃ মামুন, মোঃ কামাল,মোঃ দেলোয়ার, ইকবাল মেম্বার,মোঃ রুবেল,  মোঃ সারোয়ার,মোঃ ইকবাল,মোঃ লিটন,মোঃ আবু সাইদ,মোঃ মতিন, মোঃ শহিদ,মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ার হোসন,মোঃ দেলোয়ার হোসেন,মোঃ রাছেল,মোঃ শাহিন, মোঃ আলি,জামাল সরদার,আমির হামজা জাহাঙ্গীর, মোঃ পিয়ার হোসেন পিন্টু ও আবুল কালাম ‍আজাদ প্রমূখ।

 

চালকহীন রয়েছে অঙ্গ সংগঠনগুলো \ পদ ব্যবহার করে চলছে ভাগ্য বদলের চেষ্টা \ উঠে আসছে না নতুন নেতৃত্ব নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ পূর্নগঠনে উদাসিন জেলার শীর্ষ নেতারা!

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ সমর্থিত এমপি ও জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নমূখী হলেও দলগুছানোর কাজে কেউ মনোযোগী হচ্ছে না। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি আংশিক গঠনের মধ্যদিয়ে দায়িত্ব শেষ হলেও পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের ব্যাপারে কারো যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। মহানগর কমিটি গঠন হলেও জেলা কমিটি নিয়ে চিন্তিত রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তবে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি দলকে সাংগঠনিক ভাবে আরো বেশী শক্তিশালী করতে কাজ করার নিদের্শ দিয়েছে। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ তিন নেতা দলগুছানের ব্যাপারে চরম উদাসিন এমন অভিযোগ খোদ আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইতোপূর্বে এশাধিকবার জানিয়েছেন, জেলঅ আওয়অমী লীগের খড়সা কমিটি জমা দেয়া হয়েছে, যে কোন সময় ঘোষণা আসবে। তবে জেলঅ আওয়ামী লীগ কবে পূর্নাঙ্গ রূপ পাবে এনিয়ে সংশয় রয়েছে এমন দাবি কর্মীদের। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরাও জেলা আওয়ামী লীগের পাশাপাশি থানা কমিটিগুলোকে পূর্নগঠনের ব্যাপারে উদাসিন রয়েছে বলেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ। অনুসন্ধানে জানােেছ, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ছাড়া উপজেলা ও থানা কমিটিগুলো চলছে মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটি দিয়ে। বেশীর ভঅগ কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে অনেক আগেই। আর যারা পদে রয়েছে তারাও কমিটি গঠনের ব্যাপারে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে চলছেন এমন অভিযোগ আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরে অভিযোগ,পদধারী নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই জেলা ও থানা কমিটিগুলো পূর্নগঠন কাজ থমকে আছে। পধারী নেতাদের পদে মোহ ছাড়তে পারছেন না। যে কারণে জেলা আওয়ামী লীগ এখন রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থান জন্য শীর্ষ নেতাদের বিরোধই দায়ি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জেলা আওয়ামী লীগ পূর্নগঠনে ব্যর্থ হলে এর মাশুল গুনতে হবে দলের শীর্ষ নেতাদের। জেলা আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের একাধিক নেতার সাথে আলাপকালে জানাগেছে, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেও বিরোধের কারণেই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এই রুগ্ন অবস্থা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাংসদরা দলকে সাংগঠনিক ভাবে গুছানের ক্ষেত্রে তেমন ভূমিকা পালন করছেন না। জেলা কমিটি গঠনের পরও বিরোধ পিছু ছাড়ছে না আওয়ামী লীগের রাাজনীতি থেকে। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে তিনজন থাকলেও তিনজনের মধ্যেও বিরোধ রয়েছে। ইতোমধ্যে আ:হাই ও আইভী এক বলয়ে রয়েছে, সাধারন সম্পাদক ভিপি বাদল রয়েছে অন্য বলয়ে। আর এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে বিভাজন দেখা দিচ্ছে। দিনে দিনে এই বিভাজন মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগের তৃনমূল। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির পাশাপাশি মহানগর কমিটি নিয়েও সমালোচনার অন্ত নেই। দুই জনের কমিটি দিয়ে দেড় বছর পার কওে পূর্নাঙ্গ কমিটি হলেও ওয়ার্ড কমিটিগুলোকে এখনো সাজাতে পারেনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারন সম্পাদক খোকন সাহা এমন অভিযোগ মহানগর আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। অপরদিকে, মূল দলের পাশাপাশি অঙ্গ সংগঠনগুলোও কোন রকম চলছে। জেলা যুবলীগ, ছঅত্রলীগ, স্বেচ্ছা সেবক লীগ, কৃষকলীগ এখন ঢিমেতালে চলছে। কোন সংগঠনেরই মেয়াদ ন্ইে। এদের মধ্যে কমিটি থাকলে মেয়াদ ফুরিয়েছে অনেক আগে, আবার কোন কোন সংগঠন চলছে আহবায়ক কমিটি দিয়ে। তবে পদ ব্যবহার কওে লাভবান হলেও দল কিংবা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কেউ আন্তরিক হয়ে কাজ করছে না কর্মীদের এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোতে ্খনি যদি ঢেলে সাজানো না যায় তা হলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পরবে বলে মনে করছেন বোদ্ধা মহল।

খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠালে নির্বাচন হবে না: মির্জা আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে জেলে পাঠানো হলে দেশে নির্বাচন হবে না। এমন নির্বাচন দেয়া হলে দেশের মানুষ এতে অংশ নেবে না।

বুধবার বিকালে ডিআরইউতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে দলীয় ব্যক্তি আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, নুরুল হুদা ছাত্ররাজনীতি করেছেন। ২০০৮ সালে নির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগের প্রচারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। যার সব প্রমাণ আছে বলে দাবি করেন মির্জা আলমগীর।

নতুন নির্বাচন কমিশনের শপথ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের একটা আশা ও আস্থা ছিল যে, রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগের জায়গা থেকে উঠে এসে তিনি দেশে ও মানুষের জন্য একটি ভুমিকা রাখবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ও ভুমিকা রাখতে পারেননি। তিনি যে সার্চ কমিটি গঠন করছেন এটা নিয়ে আমারা ইতোমধ্যে বলেছি তা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

মির্জা আলমগীর বলেন, এই কমিশনের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা তা নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগে থেকে কোনো কিছু বলা যাবে না। কারণ জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য নির্বাচনের ফল কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু সেই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন। এ জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

আওয়ামী লীগ জেনে শুনে জনগণের অধিকারকে হরণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের অধিকারকে তারা পুরোপুরি লুট করে নিয়ে গেছে। কারণ তারা জনগণ যে মতামত দিবে সেই মতমত কোনো দিনই তাদের পক্ষে যাবে না। তারা অতীতে যা করেছিল এখনো তাই করছে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। আমরা গণতন্ত্র ও নির্বাচন চাই। নির্বাচনের মধ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাই। আওয়ামী লীগ যে ফাঁদ পেতেছে ও নীল নকশা তৈরি করেছে সেই নীল নকশার মধ্য দিয়ে কী নির্বাচন হবে? সেই নির্বাচন কখনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। সেই নির্বাচনে জনগণের আশা আঙ্খাকার প্রতিফলন ঘটবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ড. ইউনূস আমাদের গর্ব। সারা পৃথিবী তাকে সম্মান দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি তাকে ব্যক্তিগতভাবে শত্রু চিহ্নিত করেছেন। কারণ, লোকে বলে, নোবেল পুরস্কার নাকি আপনার প্রাপ্য ছিল।

‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সহায়ক সরকারের দাবি’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ পিপপলস পার্টি (এনপিপি)। সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জ অচলের হুমকি আজমেরী ওসমান-সমর্থকদের

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ত্বকী হত্যাকান্ডের আসামি আজমেরী ওসমান ও ওসমান পরিবারের প্রয়াত সদস্য নাসিম ওসমানকে নিয়ে কটূক্তি করলে নারায়ণগঞ্জ অচল করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন আজমেরি ওসমানের সমর্থকরা।

শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজমেরি ওসমান-সমর্থকদের এক সমাবেশে এই হুমকি দিয়ে জেলা যুব সংহতির আহ্বায়ক এস এম রাজা হোসেন রাজা বলেন, আজমেরী ওসমান নির্দেশ দিলে শত শত ছাত্র-যুবনেতা শহীদ হয়ে যাবে।

সমাবেশের ব্যানারে লেখা ছিল ‘আলহাজ নাসিম ওসমানকে নিয়ে কটূক্তি ও ওসমান পরিবারের জনপ্রিয় যুবনেতা আলহাজ আজমেরী ওসমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা’। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে কারো নাম ঘোষণা করা হয়নি।

ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদের উদ্দেশে এস এম রাজা হোসেন বলেন, ‘প্রয়াত নেতা নাসিম ওসমানকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। আজমেরী ওসমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। হালিম আজাদ, রাব্বিসহ সকলকে বলতে চাই, সাবধান হয়ে যান। সংযত হোন। নইলে নারায়ণগঞ্জের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ শান্ত থাকবে না।’

রাজা হোসেন হুঁশিয়ারি করে বলেন, ‘আজমেরী ওসমান অর্ডার করলে শত শত ছাত্র-যুবনেতা শহীদ হয়ে যাবে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে নারায়ণগঞ্জ শহর অচল করে দেব।’

রাজা ছাড়াও সেখানে বক্তব্য দেন নিতাইগঞ্জ ট্রাক ট্যাংকলরি শ্রমিক কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান মানিক।

সমাবেশের আগে নগরীতে ঝাড়ু নিয়ে মিছিল করে আজমীর ওসমানের সমর্থকরা। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব কবি হালিম আজাদের বিরুদ্ধে কুৎসিত স্লোগান দেয়া হয়। মিছিল শেষে আজমেরী ওসমানের সমর্থকরা শহীদ মিনারে জড়ো হয়। সেখানে ত্বকীর বাবার কুশপুতুল পোড়ানো হয়।

ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ৮ ফেব্র“য়ারি বিকেলে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ত্বকী মঞ্চ। কর্মসূচি শেষে অধিকাংশ কর্মী চলে যাওয়ার পর সেখানে অবস্থানরত সাংস্কৃতিক কর্মীদের ওপর হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। হামলায় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েলসহ তিনজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রফিউর রাব্বি বলেন, ‘ত্বকী হত্যা মামলার আসামি আজমীর ওসমান প্রকাশ্যে থাকলে এমন হামলার ঘটনা স্বাভাবিক।’

ওই দিন হামলার আগে সমাবেশে রফিউর রাব্বি বলেন, ‘২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম। সেই নির্বাচনে শামীম ওসমান এক লাখ ভোটের ব্যবধানে আইভীর কাছে পরাজিত হন। এ ছাড়া বাস সেক্টর থেকে চাঁদাবাজির চিত্র জনসম্মুখে তুলে ধরার কারণে আজমীর ওসমান ত্বকীকে হত্যা করে। আজমীর ওসমানকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক, কার নির্দেশে সে এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে।’

শামীম ওসমানের নির্দেশে ত্বকী হত্যাকাণ্ড হয়েছে দাবি করে রফিউর রাব্বি বলেন, তাকেও বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।

নারায়ণগঞ্জের সব সন্ত্রাসের জন্য ওসমানী পরিবারকে দায়ী করে রাব্বি বলেন, ‘১৯৮৮ সালে কামালকে হত্যা করা হলো। এ হত্যাকাণ্ডের ভারসাম্য আনতে তারা নিজেদের কর্মী কালামকে হত্যা করে। দীর্ঘদিন ধরে তারা হত্যাকাণ্ডের রাজনীতি করে আসছে। ক্ষমতায় থাকলে আর প্রশাসন থাকলে তারা দেশে থাকে। ক্ষমতা হারালে বিদেশ পালিয়ে যায়। লুটপাট, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, খুন করে তারা নারায়ণগঞ্জের আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়, যাতে তাদের সবাই ভয় পায়। এই ওসমানীয় শাসন দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের পিঁপড়ের মতো মারতে চেয়েছিল। সে নাসিম ওসমান আজ কোথায়? শহীদ মিনারে আমাদের সমাবেশের ওপর হামলা করল। সে পারভেজ কোথায়? কোথায় রেখেছেন শামীম ওসমান তাকে?’

২০১৩ সালের ৬ মার্চ অপহৃত হয় ত্বকী। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খালে তার লাশ পাওয়া যায়। ত্বকী হত্যা মামলার আসামি সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করে।

এই হত্যার ঘটনায় নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নাম এসেছিল র‌্যাবের তদন্তেও। তার একটি আস্তানা থেকে রক্তমাখা একটি প্যান্ট উদ্ধার করেছিল বাহিনীটি। তবে আজমেরীর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

২০১৪ সালের ৫ মার্চ র‌্যাবের সে সময়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তারা তদন্ত গুছিয়ে এনেছেন। অচিরেই তা আদালতে জমা দেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ১১ জন ত্বকীকে হত্যা করে।’

২০১৪ সালের ৩০ মে সংসদ সদস্য নাসিম ওসমান ভারতে মৃত্যুবরণ করলে সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমান পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্র“তি দেন।’

সাম্প্রতিক এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রবীণ সাংবাদিক কামাল লোহানী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্ করে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের বিচার দ্রুত শেষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিন্তু ত্বকী হত্যার বিচার করতে আপনার এত কার্পণ্য কেন?’ বিচার করার ইচ্ছা থাকলে প্রধানমন্ত্রী তা করে দেখান বলেও মন্তব্য করেন কামাল লোহানী।

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ তরুন নির্ভর হচ্ছে

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যারা সক্রিয়, যারা দলের হয়ে সব সময় মাঠে থাকেন, যে সমস্ত নেতাকর্মী বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে নানা ভাবে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছে এবং বিশ দলীয় জোটের সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে যখন আগুন সন্ত্রাসকে প্রতিহত ও প্রতিরোধ করতে দলের হয়ে যারা রাজপথে থেকেছিল সে সমস্ত সক্রিয় নেতাদের যথাযথ মূল্যায়নের দাবি উঠেছে তৃনমূল থেকে। জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের পূর্নগঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেন্দ্রর নিদের্শনা অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দলকে তৃনমূল থেকে সাজানোর মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির খসড়া তৈরী করে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পৌছে দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। জেলা আওয়ামী লীগ পূর্নঙ্গ গঠনের পর কাজ শুরু হবে থানা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। শুধু মূল দলই নয়, অঙ্গ সংগঠনগুলোকেও নতুন করে ঢেলে সাজানোর নিদের্শ রয়েছে দলের হাই কমান্ড থেকে। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর পূর্নগঠন শুরু হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। পদ পেতে চলছে লবিং। জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব আনার আভাস দিয়েছে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে তরুন নেতাদের স্থান দেয়ার ব্যাপারেও তাগিদ রয়েছে কেন্দ্র থেকে। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, আগামীদিনে রাজনীতির কথা বিবেচনায় রেখে দলে ক্লিনম্যান ও তরুন নেতাদের রাখার ব্যাপারে তাগিদ রয়েছে দলের নীতিনির্ধারকদের। তবে এ ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে দলে নতুন করে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের দাবি উঠেছে তৃনমূল থেকে। এ দাবি ধীরে ধীরে জোরালো হতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের দিক নিদের্শনা অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পাশাপাশি থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোতে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা চলছে। দলের পূর্নগঠনের মধ্যদিয়ে দীর্ঘদিন পর জেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনগুলোতে নতুন নেতৃত্ব দেখতে পাবে দলের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন গুরুত্বপর্ন পদে চমক থাকবে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানাগেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানাগেছে, ফতুল্লা,সিদ্ধিরগঞ্জে এক ঝুঁকি তরুন নেতৃত্ব দেখতে পাবে দলের নেতাকর্মীরা। যারা বিগত দিনে দলের হয়ে নানা ত্যাগ শিকার করেছে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে হামলা, মামলার শিকার হয়েছে, যারা দলের নেতাকর্মীদেও সংগঠিত করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে এবং যারা বিশ দলীয় জোট সরকারের সময়ে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে সে সমস্ত নেতাদের দলের গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্ঠিত করে মূল্যায়ন করা হবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে শহর কেন্দ্রীক আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চাঙ্গা রাখতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদ শহিদ বাদল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, সম্পাদক শওকত আলী, সহ-সভাপতি আ: আউয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালী মাহমুদ খান, যুবলীগ সভাপতি মীর সোহেল, ছাত্রলীগ সভাপতি আবু মো. শরীফুল হক,স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ লিটন, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন আব্দুল খালেক, কাঠেরপুলের যুবলীগ নেতা আজমত আলী, নজরুল ইসলাম, ভূইঁগড়ের ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির আহমেদ জুলহাস কাজ করেছেন। এসব নেতারা নানা ভায়ে হয়রানীর শিকারও হয়েছেন। এদিকে, কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু নিস্ক্রীয় নেতাদের গুরুত্বপূর্ন পদে আসার প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে দেখা গেছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃনমূলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-পর্যালোচনা। তবে দলের হয়ে যারা বিগত দিনে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিয়েছেন সে সমস্ত নেতাদের মূল্যায়নে ভুল করলে আওয়ামী লীগে অস্থিরতা দেখা দিবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল।

দেওয়ানবাগী পীর আইসিইউতে

নউমোনিয়ায় আক্রান্ত দেওয়ানবাগী পীরকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ্য অবস্থায় তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় সন্ধ্যায় তাঁকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউতে) নেওয়া হয়। হাসপাতালের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন অফিসার সাজ্জাদুল ইসলাম শুভ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে ডা. নাজমুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

রূপগঞ্জে ২ সাংবাদিককে তুলে নিল দুর্বৃত্তরা!

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকা থেকে দুই ফটোসাংবাদিককে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার কায়েতপাড়া এলাকা থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়।

এদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইয়াদ-এর ফটোসাংবাদিক মো. সেলিম। পত্রিকাটির সম্পাদক তোফাজ্জল হক। অপরজনের নাম জানা যায়নি।

স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর বীরপ্রতীক জানান, তিনি বিষয়টি স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে শুনেছেন।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক জানান, তিনি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘আন্ডা রফিক’ নামে পরিচিত। এলাকায় তার নিজস্ব বাহিনী রয়েছে। এরা ভূমি দখলের সঙ্গে যুক্ত। আজ সন্ধ্যায় বাহিনীর সদস্যরা মহড়া দিচ্ছিল। এ সময় ছবি তুলতে গেলে দুই ফটোসাংবাদিককে তুলে নেওয়া হয়।