নরসিংদীর রায়পুরার নিলক্ষায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিবাদমান দুই চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তৃতীয় দফায় এ সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় ৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আগুন দেয়া হয়েছে অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘরে।
সোমবার দুপুরে জেলার রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- আমিরাবাদ গ্রামের আলতাফ মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (২৫), সোনাকান্দি গ্রামের অরব আলীর ছেলে খোকন মিয়া (৪০), মঙ্গল মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (২৫) ও নিলক্ষা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে শাহাজাহান মিয়া (৪০)।
আহতদের মধ্যে ৫ পুলিশ সদস্যকে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন রায়পুরা থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার, উপ-পরিদর্শক আসাদ মিয়া, মোজাম্মেল হক, জিয়াউর রহমান ও কনস্টেবল জিল্লুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে ৭ জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায় একজন। বাকীরা পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিলক্ষা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হকের সমর্থকরা সকাল থেকে টেঁটা, বল্লম ও ককটেলসহ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় অর্ধশতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাকা গুলি ছুঁড়ে। এসময় পুলিশের গুলি, ককটেল, টেঁটা ও বল্লমের আঘাতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যায় মানিক মিয়া, খোকন মিয়া ও মামুন মিয়া নামে তিন গ্রামবাসী। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় শাহাজাহান মিয়া নামে আরো একজন। নিহতদের পরিবারের দাবি পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
রায়পুরা থানা পুলিশসহ নরসিংদী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।