আটকে রাখার পর থেকে পায়ে বাঁধা শেকল আর দড়ি ছেঁড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিল বানের পানিতে ভেসে আসা হাতিটি। সে চেষ্টা আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে সফল হয়েছে। বাঁধনমুক্ত হয়ে হাতিটি কাছের একটি জলাশয়ে নেমে পড়েছে। পানির বাইরে কেবল শুঁড় বের করে রয়েছে।
ঢাকার বন অধিদপ্তরের সাবেক উপপ্রধান বন সংরক্ষক তপন কুমার দে বলেন, হাতিটিকে ডান্ডা বেড়ি পরানোর চেষ্টা চলছে। ডাঙায় তোলা গেলেই তাকে বেড়ি পরানো হবে।
হাতিটিকে দেখতে উৎসুখ মানুষের ভিড় অনেক। এলাকায় পুলিশ ও র্যাব অবস্থান করছে।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, পুকুরে ঝাঁপ দেয়ার আগ পর্যন্ত হাতিটি ডাঙায় একটি আম গাছের সাথে বাঁধা হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার হাতিটিকে উদ্ধার করে ওই আম গাছে বাঁধা হয়। গতকাল তার হুঁশ ফেরে। চিকিৎসা চলছিল তার। পুরোপুরি সুস্থ হলে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নেয়ার কথা।
গত ২৮ জুন ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বন্যার পানিতে ব্রহ্মপুত্র নদ বেয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে হাতিটি। এরপর শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। হাতি উদ্ধার নিয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে গত কয়েক দিন ধরে ছিল টান টান উত্তেজনা। চেতনানাশক ছোড়ার পর হাতিটির জলাশয়ে পড়ে যাওয়া, জনতার তৎপরতায় সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়া, এসব ঘটনা নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।