২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 243

‘শামীম ওসমানের টাকা সুইচ ব্যাংকে’! সুইচ ব্যাংকে আমার কোন একাউন্টই নেই-আইভী

নিউজ প্রতিদিনঃ সম্প্রতি শামীম ওসমানের এক বক্তব্যে উদ্ধৃতি টেনে নাসিক মেয়র আইভী বলেন, আমি জঙ্গি নেত্রী না। আমার কোটি কোটি টাকা নেই। আমার দাদা ছিলেন কৃষক। আর দাদার সম্পত্তি বিক্রি করে আমার বাবা আলী আহাম্মদ চুনকা জনগনের জন্য রাজনীতি করে গেছেন। যিনি বলেছেন, গত নির্বাচনে আমি বিএনপি জামায়াতের কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন টাকা নিয়েছি। আমার সুইচ ব্যাংকে একাউন্ট নেই। যিনি বলেছেন (শামীম ওসমান) তার সুইচ ব্যাংকে একাউন্ট আছে। নারায়ণগঞ্জবাসী একদিন সেই টাকা বের করে নিয়ে আসবে। বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুর ১২ টায় নগর ভবনে বাজেট অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন জাইকা সহায়তাপুষ্ট “সিটি গভর্নেন্স প্রকল্প” এর আয়োজনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষে জনতার মুখোমুখি অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই মাসদাইর বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় ২০১১ সালের সিটি নির্বাচনের ইতিহাস তুলে ধরে শামীম ওসমান বলেন, ‘নাসিক নির্বাচনে কি গেম হয়েছিল , তা নারায়ণগঞ্জবাসী খুব ভালো করেই জানে। রাতের আধাঁরে বিএনপি নেত্রীর সাথে বসে তৈমুরকে বসিয়ে দেয়া, ভোট কেনার জন্য কোটি কোটি টাকা ছিটিয়ে দেয়া, নির্বাচনের দিন সাড়ে ৪’শ সিসি ক্যামেরা, এতো এতো সাদা চামড়ার লোক, নারায়ণগঞ্জে সিটি নির্বাচনের মত একটি ছোট নির্বাচনে এগুলো কীসের আলামত ছিল? তারা ভেবেছিলেন আমি শামীম ওসমান হয়তো নির্বাচনের দিন আমার কর্মীদের নিয়ে একটি করে ভোট কেন্দ্র ধরব আর খালি করে বের হবো। কিন্তু তারা হয়তো ভুলে গেছে যে আমি নেত্রীর কথার বাইরে কোন কাজ করি না। যদি করতাম, তাহলে এটা বাঞ্ছারামপুর না, এটা নারায়ণগঞ্জ। বাংলাদেশের রাজনীতি এই জেলায় বসেই নিয়ন্ত্রন করা হয়।

বাদল-শওকতকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী উপহার দিলেন ইউএনও

ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম সাইফউল্লাহ বাদল এবং ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলীকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোর ও রাজনৈতিক পথচলার বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত এক সেট বই উপহার দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার চৌধুরী। বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান দুই জনকে এই বই প্রদান করা হয়। এসময় সদর ইউএনও আফরোজা আকতার চৌধুরী বলেন,  হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে আমরা আমাদের পথচলার পাথেয় সংগ্রহ করতে পারি। তাই সকলেরই উচিত এ বইগুলো পড়া। এজন্য আমার ক্ষুদ্র সামর্থ থেকে অল্প কিছু বই সদর উপজেলার অন্তর্গত সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপহার হিসেবে প্রদান করলাম। আশা করি এ বইগুলো পড়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তাদের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা ঠিক করবেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেদেরকে গড়ে তুলবেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো: শরিফুল হক প্রমূখ।

না’গঞ্জে জিহাদি বই নিয়ে মসজিদের ইমামসহ গ্রেফতার-৩

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নামাজ কক্ষের ইমাম জাহাঙ্গীর আলম (৪০) সহ তিনজনকে বেশ কিছু জিহাদি বইসহ গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ শহরের জল্লারপাড় এলাকার আরমান ইসলামের ভাড়া দেয়া বাড়ি থেকে থেকে বুধবার ভোররাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হাসপাতালটি নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জনের আওতাধীন সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, সে জামায়াতে ইসলাম করে। নিজ এলাকা ছেড়ে সে নানা স্থানে ঘাপটি মেরে থাকে। সন্দেহজন চলাফেরার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে শরীয়তপুর জেলার পালং থানার ষোলপাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে,আতিকুর রহমান রাসেল(৩২) কুমিল্লার দেবীদ্বার জাপরাবাদ এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে ও আরিফ রনি মোল্লা(৩৫) উত্তর কাউনবাড়ী এলাকার মালেকের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে কোথায় কোন মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী নাসিকের ৬’শ ১ কোটি টাকার উন্নয়ণমূখী বাজেট ঘোষণা করলেন নগর মাতা আইভী

নিউজ প্রতিদিনঃ নাসিকের নগর মাতা ডা: সেলিনা হায়াত আইভী নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ণে অগ্রাধিকার দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে শেষ ও ৫ম (২০১৬-১৭ ইং) অর্থ বছরের ৬’শ ১ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ৭৯১ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন । বুধবার (২৭ জুলাই) নগর ভবনে সকাল ১১ টায় সুধী সমাজের উপস্থিতিতে বাজেট ঘোষণা করা হয়। আগামী (২০১৬-১৭ ইং) অর্থ বছরের বাজেটে রাজস্ব খাতে আয় নির্ধারন করা হয়েছে ৬৪ কোটি ৬৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৩ টাকা ও উন্নয়ণ খাতে আয় নির্ধারন করা হয়েছে ৪’শ ৪৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। প্রারম্ভিক উদ্ধৃত্ত ধার্য করা হয়েছে ৮৬ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৬৮ টাকা। আর রাজস্ব খাতে ব্যায় ধরা হয়েছে ৫১ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। উন্নয়ণ খাতে ব্যায় ধরা হয়েছে ৫’শ ২৬ কোটি ৬১ লাখ ৮৩ হাজার ৪১৬ টাকা। উদ্ধৃত্ত (আয়-ব্যয়) ধার্য করা হয়েছে ২২ কোটি ৬৩ লাখ ৭৬ হাজার ২৭৫ টাকা। সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মো: মঈনুল ইসলাম সঞ্চালনায় বাজেট অনুষ্ঠানে মেয়র আইভী বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে নতুন করে কোন কর বৃদ্ধি করা হয়নি। নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের তুলনায় বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে এবং অনেক কাজ চলমানও আছে। মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশনের সীমিত জনবল ও আর্থিক স্বল্পতা থাকা সত্তে¡ও নগরবাসীর জন্য মশক নিধন, ডোবা পুকুর, ও জলাধার সংস্কার, ইপিআই কার্যক্রম, ক্ষতিকর প্রাণী নিয়ন্ত্রন, ড্রেন ও ময়লা আবর্জনা, পরিস্কার এবং রাস্তায় বিদ্যুতায়ন এর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করনে আগামী অর্থ বছরে এখাতে ১২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। নারী উন্নয়নে এনজিও সংস্থার মাধ্যমে ঋণ কর্মসূচী চালু করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো: মাহমুদুর রহমান, প্যানেল মেয়র-১ হাজী ওবায়েদ উল্লাহ, প্যানেল মেয়র-২ মনিরুজ্জামান, প্যানেল মেয়র-১ শারমিন হাবিব বিন্নি, বিএমএ জেলা সভাপতি ডা: শাহনেওয়াজ, জাসদ জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলী, জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল কাদির, নারায়ণগঞ্জ নাপগরিক কমিটির সভাপতি এড. এবি সিদ্দিক, সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান, ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাহজাহান ভূইয়া জুলহাস, খোলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরন বিশ্বাস, ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহম্মেদ হোসেন, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিনা ইসলাম বিউটি, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর খোদেজা খানম নাসরীন, মিনোয়ারা বেগম, মহানগর মহিলা দল সভানেত্রী রাশিদা জামালসহ রাজনৈতিক, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গ। তিনি আরো বলেন, গত (২০১৫-১৬ ইং) অর্থ বছরে জনগণ থেকে প্রত্যাশিত ৩০ কোটি টাকা কর আদায় হয়েছে। নগরীর সর্বস্তরের জনগণের সকল ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরন ও অবকাঠামো উন্নয়ণ সিটি কর্পোরেশনের মৌলিক দায়িত্ব। সেলক্ষ্যে একটি আধুনিক নগরী গড়ে তোলার লক্ষে বর্তমান পরিষদ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ফতুল্লার মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের হত্যার হুমকি

ফতুল্লার মাদক ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিকদের হত্যার হুমকী দিয়েছে পুলিশ সোর্স শিপুর বড় ভাই দিপু ও একাধিক হত্যা মামলার আসামী যুবদল ক্যাডার মুসলিম। গত মঙ্গলবার রাতে তারা প্রকাশ্যে এই হুমকী দেয় বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে। এদিকে, এই দুই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশের পর মাদক ব্যবসায়ী দিপু ও মুসলিমের সহযোগী শিবলুকে (৩০) ইয়াবসহ গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, যুবদল ক্যাডার মুসলিম ও সোর্স শিপুর ভাই দিপু থানা পুলিশের ক’জন কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ সোর্স শিপুর মেজো ভাই দিপু দীর্ঘদিন ধরে থানা পুলিশের ক’জন দারোগার নাম ব্যবহার করে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই মাদক ব্যবসার সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে স্থানীয় যুবদল ক্যাডার মুসলিম। আর এ নিয়ে স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশের পর গত মঙ্গলবার রাতে মাদক স¤্রাট দিপু ও যুবদল ক্যাডার মুসলিম সাংবাদিক মেরে ফেললে কী হয়? এবং এই সংবাদ যারা লিখেছে তাদের হত্যার হুমকী দেয়। স্থানীয়দের মতে, থানা পুলিশ ও বিশেষ পেশার কিছু মানুষের সহযোগীয়তা এসব মাদক ব্যবসায়ী ও কিলারা সাংবাদিকদেরহত্যার হুমকী দিতে সাহস পেয়েছে। তবে এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের আরো বেশী সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।  দিপু ফতুল্লা থানা পুলিশের এসআই নাহিদ ও এএসআই কামরুলের সোর্স শিপুর মেজো ভাই এবং মুসলিম যুবদল ক্যাডার। মুসলিমের বিরুদ্ধে যুবলীগ কর্মী কাদির, বিএনপি কর্মী আলকাসকে প্রকাশ্যে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ইতোপূর্বে ফতুল্লা মডেল থানার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা টাইগার ফারুক মুসলিমকে ডাকাত ইয়াসিন ও মাদকসহ গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলায় এখনো তাদের নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হয়। সাংবাদিকদেন হত্যার হুমকীর ব্যাপারে জানতে দিপু ও মুসলিমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় যায়।

‘ইনুর মুখ থেকেই বের হবে’ জঙ্গিবাদে কারা: রিজভী

জঙ্গিবাদকে কারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে একদিন বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর মুখ থেকেই বের হয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে জঙ্গিবাদের প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে চায়। প্রকৃত ঘটনা একদিন বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর মুখ থেকেই বের হয়ে আসবে।

মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এক চিকিৎসক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান এই স্বৈরাচারী সরকারের শাসন আমলে আইন বা ন্যায় বিচারের আশা করা যায় না। কারণ মামলা হামলা জুলুম সবকিছুই বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় নির্ধারিত হয়।

আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপ্রতি রফিকুল ইসলাম লাভুর সভাপতিত্বে চিকিৎসক সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ছড়াকার আবু সালেহ প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জ আনসার ক্যাম্পে হামলা, ফাঁকা গুলি, ২আনসার সদস্যসহ আহত-৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ মেঘনা সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় আনসার ক্যাম্পে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ক্যাম্পে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা। ঘটনার নিয়ন্ত্রনে আনসার সদস্যরা তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুই আনসার সদস্যসহ ৫জন আহত হয়েছে।

মেঘনা সেতুর টোল প্লাজার আনসার ক্যাম্পের আনসার কমান্ডার মো. মুসলিম মিয়া জানান, মেঘনা টোল প্লাজার টোল ফাঁকি দিয়ে এলাকায় কয়েকজন লেগুনা চালক নিয়মিত যাতায়ত করে। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে আনসার সদস্য মেহেদী হাসানের সাথে লেগুনা যাত্রী ইসলামপুর গ্রামের আলীর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আনসার সদস্যের সাথে যাত্রীদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে আলী ও নুরার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা ক্যাম্পে ইটপাকেল নিক্ষেপ করে। তাছাড়া হামলাকারীরা আনসার ক্যাম্পের আনসার কমান্ডার মো. মুসলিম মিয়া, সদস্য মানিককে পিটিয়ে আহত করে। হামলাকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে ৩ পথচারী আহত হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে আনসার সদস্যরা তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে হামলাকীদের ছত্রভঙ্গ করে। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি ও আনসার বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সোনারগাঁ থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আনসার বাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

না:গঞ্জে তিনটি মোটর সাইকেল উদ্ধারসহ ৫ জন গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে তিনটি চোরাই মোটর সাইকেল সহ চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে চোর চক্রের এক সদস্যকে প্রথমে গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্যমতে মুন্সিগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে আরো ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, শহরের কেসি নাগ রোডে এক পুলিশের মোটর সাইকেল চুরির দায়ে প্রথমে সোমবার (২৫ জুলাই) ইসরাফিল নামে এক চোরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে তার দেওয়া তথ্যে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ি থানার বেতকা খানবাড়ি এলাকার নূর শেখের ছেলে কিরণ (২০), উত্তর পাইকপাড়া সোহেল শেখের ছেলে মো: হৃদয় (২০) দক্ষিন পাইকপাড়া আবুল হোসেনের ছেলে মামুন এবং পটুয়াখালীর মাছুয়াবাড়ী এলাকার শাহাজানের ছেলে হুমায়েন (২১)কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করার সময় আসামীদের সংরক্ষনে থাকা তিনটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের ৭ খুন মামলায় আরো ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুন মামলায় আরো ৪ সাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। সোমবার নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আগামী ১ আগষ্ট।
গতকাল আদালতে যারা সাক্ষ্য প্রদান করেছেন তারা হলেন- র‌্যাব-১১’র সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরে কর্মরত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোবারক হোসেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে জব্দ তালিকার সাক্ষী কামাল হোসেন, জব্দ তালিকার অপর সাক্ষী আবদুল হেকিম এবং নিহত আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের মোবাইল ফোনটি যার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় সেই ইয়াছিন শিপন। ৭ খুনের ঘটনার পর নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মোবাইল ফোনটি ইয়াছিন শিপনের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়ায় সে সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আদালতে সাক্ষী দিতে এসে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোবারক হোসেন বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ জুন র‌্যাব-১১’র আদমজীস্থ প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৭ খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চিঠি দিয়ে জানতে চান, র‌্যাব-১১’র তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, উপ অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এমএম রানা কোন কোন্ মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করতো তা জানাতে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার চিঠি পেয়ে তিনি তদন্ত কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানান, র‌্যাব-১১’র তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ০১৭৭৭৭১১১০০ ও ০১৭১৩৩৭৪৪৯০, মেজর আরিফ হোসেন ০১৭৭৭৭১১১৫৫ এবং লে. কমান্ডার এমএম রানা ০১৭৭৭৭১১১১১ নম্বর ব্যবহার করতেন। এছাড়া ৭ খুনের ঘটনায় জব্দ করা র‌্যাব সদস্যদের ব্যবহৃত ৩টি গাড়ি তিনি ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টম্বর তদন্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে নিজ জিম্মায় নেন। জিম্মায় নেওয়া গাড়ি গুলোর মধ্যে ছিল একটি সাদা রঙের মিতশুবিশি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্টো-চ-৫১-৭৪৫৪), একটি নীল রঙের টয়োটা হাইএস (ঢাকা মেট্টো-চ-৫৩-৬২১৫) এবং একটি সীলভার রঙের টয়োটা মাইক্রোবাস (ঢাকা-মেট্টো-চ-৫৩-৭২৩৬)।
জব্দ তালিকার সাক্ষী ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাটাশুর হাজী ম্যাসের তৃতীয় তলার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ২০১৪ সালের ৩ মে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ একই তলার বাসিন্দা ইয়াছিন শিপনের কাছ থেকে একটি নকিয়া এন-৭০ মডেলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
জব্দ তালিকার অপর সাক্ষী আবদুল হেকিম বলেন, ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল বন্দর উপজেলার শান্তিরচরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের সঙ্গে যে দড়ি এবং বস্তা উদ্ধার হয়েছিল পুলিশ তাকে ওইসব জিনিস জব্দ করার ঘটনায় সাক্ষী করেছে।
সাক্ষী ইয়াছিন শিপন বলেন, তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাটাশুর হাজী ম্যাসের বাসিন্দা। তার মোবাইল ফোন নষ্ট হয়ে গেলে চাচা আবদুর রহিম রতন তাকে একটি মোবাইল সেট এনে দেন। ২০১৪ সালের ৩ মে পুলিশ তার কাছ থেকে সেই মোবাইল সেটটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
ইয়াছিন শিপনের কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ফোনটি ৭ খুনের ঘটনায় নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার সরকারের ছিল। নজরুল ইসলাম ও চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণের পর চন্দন সরকারের গাড়িটি ঢাকার নিকেতনে নিয়ে রেখে আসা হয়। ওই গাড়ির ভেতরে ছিল মোবাইল ফোনটি। গাড়ির গ্লাস ভাঙ্গা থাকায় ইয়াছিন শিপনের চাচা আবদুর রহিম রতন গাড়ি থেকে মোবাইল ফোনটি পান। পরে ফোনটি ভাতিজা শিপনকে দেন। ওই ঘটনায় পুলিশ আবদুর রহিম রতন এবং তার ভাতিজা ইয়াছিন শিপনকে গ্রেফতার করে। বেশ কিছুদিন তারা জেলে থাকার পর জামিন পান। পরে তাদের ৭ খুনের ঘটনায় সাক্ষী করা হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, গতকাল আদালতে ৪ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১ আগষ্ট।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাসহ সাত জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল ৬ জনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন ১ মে আরো একজনের লাশ একই স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহযোগী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে ৩৫ জনকে আসামি করে গত বছরের ৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

গাড়ি থাকলেও সাগরকে হাসপাতালে পাঠানো হয় রিক্সায়-নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় হত্যা ?

পায়ুপথে বাতাস ঢোকানোর পর মিলের কর্মচারি ও শ্রমিকরা শিশু সাগরকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। মিলের বেশ কয়েকটি গাড়ি থাকলেও মূমূর্ষ সাগরকে হাসপাতালে পাঠানো হয় রিক্সায়। ক্লিনিক থেকে সাগরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু সেখান থেকে তাকে সরাসরি ঢাকা মেডিক্যালে না নিয়ে আবার আনা হয় মিলে। এমন অমানবিক আচরনের শিকার হয়ে পরপারে চলে যায় সাগর। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মিলের এমডি লায়ন মোজাম্মেল হক, তিন ডিরেক্টর, চারজন কর্মকর্তার নাম উল্লেখসহ মোট দশজনকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুলকে। মিলে মারপিট গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় মিলের কোন কর্মকর্তা অন্যদের সহযোগিতায় এ ঘটনা ঘটিয়ে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
রুপগঞ্জ থানায় শিশু সাগরের বাবা রতন বর্মণ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় রতন বর্মণ বলেন, আমি ও আমার নয় বছর বয়েসি ছেলে সাগর বর্মণ সাত মাস ধরে রুপগঞ্জ থানার যাত্রামুড়াস্থ জবেদা টেক্সটাইল এর ৫ নং ইউনিটে সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত কাজ করি। গত ২৪ জুলাই দুপুর বারোটায় আমার ছেলে সাগর অন্যান্য দিনের মতো কাজ শেষ করে শরির থেকে তুলা ও ধুলাবালি পরিস্কার করার জন্য হাওয়া মেশিনের সামনে যায়। একটু পরেই একজন মহিলা ঝাড়–দার আমার কাছে এসে বলে যে আমার ছেলে মাটিতে গড়াগড়ি যাচ্ছে। তার পেট ফুলে গেছে। কথা বলতে পারছে না। আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি সবাই মিলে আমার ছেলেকে অফিসে নিয়ে গেছে। তখন অফিসের লোকজন আমার ছেলেকে রিক্সায় উঠিয়ে কাচপুরে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু এ হাসপাতালে আমার ছেলের চিকিৎসা হবেনা বলে ডাক্তার জানিয়ে দেয়। ফলে তারা আমার ছেলেকে আবার ফ্যাক্টরিতে আনে। আমার ছেলের অবস্থা দেখে আমি কান্নাকাটি করতে থাকলে প্রতিষ্ঠানের লোকজন ছেলেকে ও আমাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলেকে মৃত ঘোষনা করে।
মামলায় সাগরের বাবা আরো বলেন, প্রতিদিন এই ফ্যাক্টরির এডমিন নাজমুল হুদা, উৎপাদন ম্যানেজার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, সিনিয়র উৎপাদন অফিসার আজহার ইমাম সোহেল, সহকারি উৎপাদন ম্যানেজার রাশেদুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চারজন লাইনম্যান, সুপারভাইজার প্রায়ই কাজকর্মের সামান্য ত্রুটি পেলে আমাকে ও আমার ছেলে সাগরকে মারপিট ও গালিগালাজ করতো। আমার ছেলে মাঝে মধ্যে এর প্রতিবাদ করতো। যার কারনে উল্লেখিতরাসহ আরো তিন-চারজন শ্রমিক ২৪ জুলাই বেলা সাড়ে বারোটায় হাওয়া মেশিনের পাইপ আমার ছেলের পায়ুপথে ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
সাগরের বাবা এ হত্যাকান্ডের জন্য মিলের মালিকদেরও দায়ি করেন। মামলার এজাহারে তিনি বলেন, মিলের এমডি মোজাম্মেল হক ভূইয়া, ডিরেক্টর মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া, আজহারুল হক ভূইয়া, জাফর হোসেন ভূইয়া এই কারখানায় শিশু শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে কম বেতনে কারখানার উৎপাদন কাজ করে আসছেন। এই মালিকরা ঘটনাস্থলের হাওয়া মেশিন রক্ষনাবেক্ষন বা পরিচালনার জন্য দক্ষ অফিসার বা কর্মচারি নিয়োগ করলে আমার ছেলে সাগরের এমন করুন মৃত্যু হতো না।
তবে মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরনিতে পুলিশ চার মালিকের নাম লেখেনি। নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট আইনজীবি ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল জানান, পুলিশ প্রাথমিক তথ্য বিবরনিতে চার মালিকের নাম আসামীর তালিকায় লেখেনি। হয়তো পুলিশ এখানে মালিকদের পক্ষে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এতে লাভ হবেনা। কারন এজাহারে তাদের নাম আছে। এবং তারা এর মধ্যেই মামলার আসামী হয়ে গেছেন। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে তার নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে বক্তব্যে তিনি বলেন, টাকা ছড়িয়ে মিলের মালিক মোজাম্মেল হক বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে রুপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেনের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
যোগাযোগ করা হলে বড় ভাই রিপনের স্ত্রী অঞ্জনা জানান, সাগরকে প্রায়ই কারখানার কর্মকর্তারা নির্যাতন করতো। দুই মাস আগে বারি দিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে ফেলে তারা। নির্যাতনের প্রতিবাদ করার কারনেই সাগরকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
সাগরের বাবা রতন বর্মন জানান, ঘটনার পরপর মিলের গাড়ি দিয়ে যদি ছেলেকে ঢাকায় পাঠাতো তাহলে হয়তো সে বেঁচে যেতো। মিলের অনেক গাড়ি থাকলেও আমার ছেলেকে হাসাপাতালে পাঠানো হয় রিক্সা দিয়ে। পরে ঢাকায় পাঠানো হয় সিএনজি দিয়ে।
অন্যদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম (প্রশাসন) জানান, সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে এ মিল থেকে ২৭ জন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে দিয়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে মিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হুদাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হলে আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া এলাকায় অবস্থিত জোবেদা সাইজিং এন্ড স্পিনিং মিলে রোববার দুপুরে কাজ করার সময় কয়েকজন লোক সাগর বর্মনের পায়ুপথে মেশিন দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশুটি নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার রাজিবপুর গ্রামের রতন বর্মণের ছেলে। তারা বর্তমানে কারখানার পাশেই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে। তিন ভাইয়ের মধ্যে সাগর ছোট।
ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ
এ ঘটনার ঘাতকদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ। সোমবার দুপুরে মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি ও সদস্য সচিব হালিম আজাদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছর খুলনায় ১২ বছরের রাকিবকে ঠিক একইভাবে পায়ুপথে কমপ্রেসার দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে তার নাড়ীভুঁড়ি ছিন্ন ভিন্ন করে হত্যা করা হয়েছিল। এসব হত্যাকান্ড সমাজের নৈতিক-ধস ও মানবিক মূল্যবোধ থেকে ক্রমাগত দূরে সরে যাওয়ারই বহিঃপ্রকাশ, সমাজে কতিপয় বিকারগ্রস্থ ব্যক্তির বিকৃত মানসিকতার ফল। সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা মানুষকে আজ কতটা হিংস্র করে তুলেছে এ সবই তার প্রমান। খুলনার রাকিব হত্যার বিচার তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করে সরকার একটি নজির স্থাপন করেছিল; আমরা চাই সাগর হত্যার বিচারও তেমনি দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
সাগর বর্মণের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আবু হাসান টিপু এক বিবৃতিতে বলেন, কোন অজুহাতেই এই মানুষরূপী নরঘাতকরা যেন ছাড় পেয়ে না যায় সেদিকে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে খেয়াল রাখতে হবে।