বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে এ কে এম শামীম ওসমান আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করায় মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী । এই নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে সাধারণ নেতা কর্মীদের মাঝে। যদিও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। তবে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড এ নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে নির্বাচনের আগে কোন নাটকীয়তার জন্ম না হলে শেষ পর্যন্ত আনোয়ার হোসেনই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত থাকবে। গতকালকের সভা থেকে সাংসদ শামীম ওসমান বিএনপির প্রার্থী থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন মন্তব্য করায় বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। নগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এটিএম কামাল এর প্রতিবাদ জানান। এর আগে এটিএম কামাল বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। যদিও এটা নিয়ে অনেকটা হাস্যরস্যেও সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি ও রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনের আগের রাতে তাদের দলীয় প্রার্থী তৈমুর আলমকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিয়ে বিতর্কেও জন্ম দেয়। সূত্রমতে, সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও সভায় উপস্থিত থেকে আনোয়ার হোসেনের প্রতি সমর্থন জানান। তবে সভা থেকে মেয়র আইভীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেও বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাদের অভিযোগ মেয়র আইভী বিএনপি-জামাতের সাথে আতাঁত করে বিগত নির্বাচনে মেয়র হয়েছে। কিন্তু এবার তাকে আর সে সুযোগ দেয়া হবে না। অনেক নেতা আইভীর আওয়ামী লীগ বিমুখীতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শামীম ওসমান আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিন্তু এবার আর সে খেলা খেলতে দেওয়া হবে না। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দুই হাত তুলে মহানগরের সভাপতি পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাই আগামীতে ইনশাল্লাহ আনোয়ার ভাই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রতীক পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হবে। আর ওই নির্বাচন হবে আন কনটেস্ট। বিএনপির প্রার্থী কে হয় আমি দেখবো। তবে আনোয়ার ভাই আন কনটেস্ট পাশ করবে এটা নিশ্চিত।’ এদিকে শামীম ওসমানের এমন বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এটিএম কামাল। তিনি বলেছেন, আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়েই বলে দিবে বিএনপির প্রার্থী থাকবে কী না। আগে থেকে এমন হুংকার দিয়ে বিএনপিকে কাবু করা যাবে না। ভোটের আগে ঠিকই প্রার্থী থাকবে। আর শামীম ওসমানদের এ ধরনের বক্তব্য এটা নতুন কিছু না। ক্ষমতার সময়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ থাকলেও ক্ষমতার বাইরে গেলে দেশ ত্যাগ করেন।
কবি, ছড়াকার জাহাঙ্গীর ডালিমের জন্মদিন পালিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ গত শুক্রবার শাহনেওয়াজ চেম্বার (পলি ক্লিনিক) (২য় তলায়) বর্ষার এই বিকেল ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি উপেক্ষা করে শতাধিক কবি ছড়াকার, সাংবাদিক ছড়ার হার্টের এডমি ইকবাল হোসেন রুমেন্স আয়োজিত কবি ছড়াকার সংগঠক গল্পকার সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ডালিমের জন্মদিন পালন করেন। অনুষ্ঠানে শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত পাঠ করেন হোসেন ফরহাদের মাধ্যমে পরে। প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিদের ফুল দিয়ে আসন গ্রহন করেন এবং কবি জাহাঙ্গীর ডালিমকে শতাদিক কবি ছড়াকাররা ফুলের শুভেচ্ছা ও উপহার দিয়ে অনাম্বড় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। বিশেষ অতিথি ইয়াদের সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন বলেন- জাহাঙ্গীর ডালিম লেখক সৃষ্টি করা কারিগর এর জন্য বলছি বা আজ তার জন্মদিন পালন করলেন যারা এটাই বড় প্রমান জাহাঙ্গীর ডালিম কি ধরনের কবি। এ প্রজন্মের কবিদের রোল মডেল হবে এই দৃষ্টান্ত আমার। আমি ছোট ভাই কবির দীর্ঘায়ু ও লেখনির মাধ্যমে এগিয়ে যাবে এই কামনা রইল। বিশেষ অতিথি দৈনিক ডান্ডিবার্তার বার্তা সম্পাদক মোঃ আঃ রহিম বলেন- আমার সেই ২০০১ সালের ডান্ডিবার্তার সাথ সম্পৃক্ত ও উনার সাথে আমার পথচলা। আমি জাহাঙ্গীর ডালিমের ছোট গল্পের একজন বক্ত। কবি, ছড়াকার, সংগঠক গল্পকার, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ডালিম আরো গল্প লিখে পুরস্কার পাবে এবং নারায়ণগঞ্জ গর্ববোধ করবে। আমি তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিনন্দন বিশেষ অতিথি সাংবাদিক দৈনিক অগ্রবানী প্রতিদিনের বার্তা সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন লিটন বলেন- জাহাঙ্গীর ডালিন কি তার লেখা গল্প, কবিতা, ছড়া না পড়লে বুঝা যাবে না, সংগঠক ভাবে খুবই শক্তিশালী, হাস্যজ্বল একজন সাদা মনের মানুষ জাহাঙ্গীর ডালিম। আরেকজন বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট ছড়াকার আদিত্য রুপু বলেন- জাহাঙ্গীর ডালিমের মা’কে নিয়ে লেখা বইটি পড়লে বুঝবে যে একজন সন্তান এখন ও মা’ নেই তার পরও মাকে খুব ভালোবাসেন মা’কে। যা আমাদের শিক্ষনীয়। জাহাঙ্গীর অনেক লেখা জাতীয় পত্রিকায় এবং ম্যাগাজিন সহ সব জায়গায় ছাপা হয়। এখন ও লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন। লেখনির মাধ্যমে তিনি অনেক সেরা গল্পকারের পুরস্কার পেয়ে ছিলেন। সাপ্তাহিক এখনও, দৈনিক সমকাল, যুগান্তর ওয়ালটন গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় সেরা গল্পকার পুরস্কার আমাদের নারায়ণগঞ্জের গর্ববোধ করি। জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিনন্দন রইল। প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন- বিশিষ্ট ছড়াকার বাতেন বাহার- জাহাঙ্গীর ডালিমের কবিতা, ছড়া, গল্প না পড়লে বুঝবেন না জাহাঙ্গীর ডালিম কি ধরনের লেখব, খুব অল্প বয়সে সে যা অর্জন করেছে তার লেখনির মাধ্যমে তা খুবই প্রশংসিত হই। আমি কবি, ছড়াকার, সংগঠক, গল্পকার, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ডালিমের জন্মদিনটা ছড়াকার হার্ট এডমির কবি ইকবাল হোসেন রুমেন্স ধন্যবাদ জানাই এবং আমাদের শিক্ষা দিল যে এটা আমাদেরই করা উচিত ছিল। জাহাঙ্গীর ডালিম তার যোগ্যতা প্রমান করেছেন। তার জন্মদিনে আমার অনন্তস্থল থেকে রইল ভালোবসা ও শুভেচ্ছা এবং এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথি করার জন্য আমি নিজেকে গর্ববোধ করছি। এরপর কবিকে কেক কেটে খাওয়ান প্রধান অতিথি নিজেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশেষ অতিথি শব্দ জনপদের সম্পাদক লুৎফর রহমান মিয়া ভাই, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন- নারায়ণগঞ্জ পঞ্চায়েত কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- রহিম শেখ, নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক- শহিদুলাহ শিশির- আন্হা কবি কল্যান সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি রুহুল আমিন- দৈনিক ডান্ডিবার্তার ফটো সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম, কামরুল হাসান, মোঃ মুস্তাহিদ খান, ইসরাত রুবাইয়া, মনি নাজনীন, সোলায়মান ইমরান, জাকির হোসেন, সানজিদা ইসলাম বীনা, উর্মি আকতার মুন, প্রশান্ত মন্ডল, রতন মলিক, এস এম শাহাবউদ্দিন, মুহাম্মদ আল- মাছুম শেখ, সালাহউদ্দিন আমির, হাফিজা আক্তার সাথী, আলতাফ হোসেন রায়হান, চান মিয়া চান্দু, ফরিদ আহমেদ হৃদয়, মোঃ রাছেল মৃধা, মোহাম্মদ আলী, আঃ কাইয়ূম বাদল, মাসুদ রানা লাল, রাজিব উদ্দিন হৃদয়, মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ অমি, মোঃ সম্রাট হোসেন, ফরহাদ খাঁন, রুবাইয়া ইসলাম, মোসাঃ পিংকি, রেখা, প্রিয়াংকা মজুমদার, জয়া মজুমদার সহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন- মিথুন খাঁন।
কানাইনগর ছোবহানিয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজের এডহক কমিটি গঠন
কানাইনগর ছোবহানিয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ১০টায় কানাইনগর ছোবহানিয়া স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ অডিটোরিয়ামে সভাটি অনুষ্টিত হয়। সভায় বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শওকত আলীর সভাপতিত্বে এলাকার শিক্ষিত এবং সচেতন ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়েরর দৈন্যদশা দূর করার জন্য স্কুলের সকল মামলা মোকাদ্দমা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।এবং একটি সুস্থ, সুন্দর, দুর্নীতি মুক্ত কমিটি উপহার দেওয়ার জন্য আহব্বান জানান। উক্ত অনুষ্ঠানে সকল বক্তাই বক্তাবলি ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান শওকত আলীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবং এই আলোচনা সভার পর কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সংকট নিরসনের জন্য তাৎক্ষনিক একটি এডহক কমিটির আহবান জানান বক্তারা।সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সভার সভাপতি শওকত আলী সকলের উপস্থিতিতে তাৎক্ষনিক শিক্ষার মান উন্নয়ন একটি এডহক কমিটি গঠন করেন।
বক্তাবলীর রামনগরে আঃ সামাদ ঈদগাঁ কমিটি গঠন
ইসলাম বর্জিত শিক্ষানীতি শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে : ওলামা লীগ
ইসলাম বর্জিত শিক্ষানীতি ছাত্র-ছাত্রীদের সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দিচেছ বলে মনে করে আওয়ামী ওলামা লীগ। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, ইসলাম বর্জিত শিক্ষানীতি-২০১০ বাতিল করতে হবে। ইসলাম বর্জিত শিক্ষানীতি ছাত্র-ছাত্রীদের সন্ত্রাসবাদের শিক্ষা দিচেছ। পবিত্র কোরআন ও হাদীসে সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসী ততপরতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওলামা লীগ আয়োজিত এক মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ইসলাম বিবর্জিত শিক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদেও সন্ত্রাস ও উগ্রবাদীতার দিকে ঠেলে দিচেছ। পাঠ্যপুস্তকে দীন ইসলামের শিক্ষা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যেগুলো ছিল সেগুলোও বাদ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকে অবিলম্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (সা:) জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী প্রমুখ।
ফতুল্লার প্রধান সড়ক গুলো জনসাধারণের চলাচলের অযোগ্য
বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্পকারখানা-অধ্যুষিত ফতুল্লার প্রধান সড়কগুলো একেবারেই চলাচলের অযোগ্য। এর প্রধাণ কারন কর্তৃপক্ষের অনীহায় । অধিকাংশ সড়কজুড়েই বড় বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে যায়। ফলে সড়কে যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। পথচারীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ফতুল্লায় রপ্তানিমুখী গার্মেন্টসসহ ছোট-বড় বহু শিল্পকারখানা রয়েছে। কারখানা ঘিরে আশপাশের এলাকায় শ্রমিকদের বসতি গড়ে উঠেছে। এসব বসতির আশপাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও খাবারের হোটেল। কিন্তু বেশির ভাগ সড়ক ভাঙাচোরা হওয়ায় শ্রমিকদের হেঁটে চলাচল করাও খুব কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফতুল্লার প্রধান সড়কগুলোর মধ্যে পোস্ট অফিস থেকে শিবু মার্কেট, স্টেডিয়াম থেকে চৌধুরী বাড়ি, তক্কার মাঠ থেকে ফতুল্লা রেল স্টেশন ও শিবু মার্কেট থেকে কায়েমপুর, খাঁন সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম থেকে খেজুর তলা, কাঠেরপুল থেকে ফতুল্লা স্টেডিয়াম সড়ক উল্লেখযোগ্য। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ২৭টি সড়কের নির্মান কাজের উদ্বোধন করেছেন। যার মাঝে অধিকাংশ সড়কেরই কাজ ধরে মাসের পর মাস ফেলে রেখেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) গ্রামীণ অবকাঠামো হিসেবে রিকশা, ভ্যান, হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য এসব সড়ক নির্মাণ করেছিল। সড়কের পাশে কোনো পয়োনিষ্কাশনের নালাও রাখা হয়নি। সময়ের বিবর্তনে এসব সড়কের দুই পাশে বহু শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। বর্তমানে কারখানাগুলোতে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য শুধু বড় কাভার্ড ভ্যান নয়, ভারী কনটেইনারও চলাচল করছে। ফলে সড়কগুলো অল্প সময়েই ভাঙাচোরা হয়ে গেছে। সড়কের দুই পাশের ডোবা ভরাট করে স্থাপনা নির্মিত হওয়ায় পানি নির্গমনের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। ফতুল্লার কাঠেরপুলের একটি তৈরি পোশাক কারখানার মেশিন অপারেটর আসমা বেগম বলেন, তাঁর বাসা কারখানা থেকে এক কিলোমিটার দূরে। সকালে, দুপুরে ও রাতে তাঁকে হেঁটে বাসা থেকে কারখানায় আসা-যাওয়া করতে হয়। কিন্তু রাস্তার দুরবস্থার কারণে চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোর বিষয়ে জানতে সদর এলজিইডির উপজেলার কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ মিয়ার সাথে কথা হয়। তিনি জানান, সব গুলো সড়কেরই কাজ ধরা হয়েছে। তবে বাস্তবায়নে কিছু সময় লাগবে। তিনি পোস্ট অফিস-শিবু মার্কেট সড়কটির বিষয়ে জানান, আগামী ২৭ তারিখ এ সড়কটির আরসিসি টেন্ডার হবে।
নাসিক নির্বাচন হবে আন কনটেস্ট,বিএনপির প্রার্থী কে হয় আমি দেখবো-শামীম ওসমান
অর্থপাচার মামলা তারেক-মামুনের ৭ বছর জেল, ২০ কোটি টাকা জরিমানা
ডেস্ক নিউজ: অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিচারিক আদালতে দেয়া সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। মামলায় তারেক ও মামুনকে ২০ কোটি টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মুদ্রাপাচার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের শুনানি করে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
অর্থপাচারের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে দুদক। বিচার শেষে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। অপর আসামি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলার শুরু থেকে পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় অনুপস্থিত ছিলেন তারেক। গত আট বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। মামুন বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই কারাগারে আছেন।
তারেক রহমানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিলের আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে আসামি তারেককে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন।
লন্ডনপ্রবাসী তারেক না ফেরায় তার বিরুদ্ধে সমন জারি করে তা তার লন্ডনের ঠিকানায় পাঠানো হয়। কিন্তু তাতেও আদালতে সাড়া দেননি তারেক রহমান।
দুদকের করা ওই আপিলের সঙ্গে সাজার রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিল আবেদনও শুনানির জন্য তালিকায় আসে। এরপর হাইকোর্টে ৪ মে আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ১৬ জুন।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দায়ের করা এ মামলায় তারেক-মামুনের বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৬ জুলাই।
এ মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশনস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন।
২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ‘বিভিন্ন পন্থায়’ ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের অ্যাকাউন্টে পাচার করা হয়, যার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক খরচ করেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
ফতুল্লা পাইলট স্কুল এলাকায় বন্দুক মাসুমের মাদক ব্যবসা জমে উঠেছে
সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ: ফতুল্লার রেল ষ্টেশন ও ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় রোড এলাকায় বন্দুক মাসুমের মাদক ব্যাবসা এখন ওপেন সিক্রেট। এলাকায় ছড়িয়ে দিয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক মাদক স্পট,বিপদ গামি হচ্ছে উঠতি বয়সি যুবকরা, এ পেশায় জড়িয়ে যাচ্ছে শিশু, কিশোর ও উঠতি বয়সের যুবকরা। এসব ব্যাবসা নিয়ন্ত্রনে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর(আবগারি)র নজর দারি না থাকায় দিনের দিন ব্যাবসার পরিধি যেমন বৃদ্বি পাচ্ছে তেমনি যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌছে যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সততার সাথে মাদক ব্যবসার বিরুদ্বে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করলে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় অর্ধশত সেলসম্যান নিয়ে গড়ে উঠেছে ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেল আহমেদ মাসুম ওরুফে বন্দুক মাসুমের মাদক ব্যবসা। ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের মাদক বেচাকেনা। এই বাহিনীর মাদক বিক্রিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ডজন খানিক দামি হোন্ডা। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, বন্দুক মাসুম থানা পুলিশের বেশ ক’জন পুলিশ অফিসারের সাথে সখ্যতা রেখেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বন্দুক মাসুম ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতা ফরিদ আহমেদ লিটনের ছোট ভাই হওয়ায় কেউ এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বন্দুক মাসুমের সরাসরি মদদে এই ব্যবসায় জড়িত রয়েছে মাথা মোটা বাবুল, ভাঙ্গারী কামাল, ভাগ্নে বাবু, বোদেন স্বপন, নাক কাটা নূরাসহ অর্ধশত শিশু কিশোর। আর এই বাহিনীর সমন্বয়কারী হিসেকে কাজ করছে মিজান ওরুফে রোলিং মিজান। মিজান পোষ্ট অফিস এলাকায় অবস্থিত ফতুল্লা রি-রোলিং মিলের সাইবোর্ড ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ফতুল্লার ঐতিহ্যবাহিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফতুল্লা পাইলট স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে। এই এলাকার মাদক ব্যবসা নিমূর্লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষে নেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে মাসুমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
‘বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি, যেন শেখ হাসিনাকে হারাতে না হয়’বাঙালি কেবল বীরের নয়, বেঈমানের জাতিও-সৈয়দ আশরাফুল
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিদের হুমকি সম্বলিত বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। আর এসব বার্তা ছড়ায় সহজে। স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়ায় মানুষের মধ্যে। ভিডিও বার্তায় এরই মধ্যে হুমকি দেয়া হয়েছে হলি আর্টিজানের মত হামলা হতেই থাকবে বরং সেগুলো হবে আরও ভয়াবহ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতিমধ্যে যথেষ্ট তৎপর হয়ে তল্লাশী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এসব হুমকি আমলে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। বলেছেন, খোলামেলা কিছু বলতে চান না তিনি, ইঙ্গিতই যথেষ্ট। আরও বলেছেন, নজর রাখতে হবে আরেকটি পঁচাত্তর যেন না হতে পারে। বাঙালি কেবল বীরের নয়, বেঈমানের জাতিও-সেই সতর্কতাও দিয়েছেন তিনি।
জঙ্গি হামলা মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের তরফ থেকে জঙ্গিবিরোধী কমিটি গঠনের কথা বলার পর সেই কমিটি মাঠে ময়দানে কতটা সক্রিয় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে মন্ত্রীদের সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে টেলিফোন ম্যাসেজ দিয়ে।
একই সঙ্গে সভা-সমাবেশ করে জনমত গঠনে ভূমিকা নেই মন্ত্রী-এমপিদের। তবে প্রশাসন সারা দেশে ব্যাপকভাবে তৎপর। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সিভিল প্রশাসনও জঙ্গি দমনে কাজ করছে। অভিযানে অংশ নিচ্ছে অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও। প্রশাসনের ব্যাপক কার্যক্রমের পাশাপাশি রাজনৈতিক তৎপরতার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ থাকলেও কিছু কিছু জেলায় বিচ্ছিন্ন সভা-সমাবেশ করেছে ১৪ দল। পরিবারের কোনো নিখোঁজ ব্যক্তি থেকে থাকলে তার তালিকা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কিন্তু পরিকল্পিতভাবে জনমত গঠনে তেমন কোনো তৎপরতা নেই মন্ত্রী-এমপিদের। অনেকে ঈদেও যাননি এলাকায়, থেকেছেন ঢাকায়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী রাজনৈতিক কমিটি গঠনে নেই মন্ত্রী-এমপিদের তেমন কোনো ভূমিকা। অনেক এমপি গ্রুপিংয়ের কারণে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় বাধাও সৃষ্টি করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত কমিটি গঠনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। খোদ ঢাকা মহানগরীতেই কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। ঢাকার অর্ধশতাধিক থানার মধ্যে মাত্র একটির কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও এমপিদের স্ব স্ব এলাকায় অবস্থান করে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে বিশেষ নির্দেশনাও দেন তিনি। পরে জেলায় জেলায় পাঠানো মাহবুব-উল আলম হানিফ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয় : জোটনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক দেশব্যাপী ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা এবং মহানগরে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই কমিটির অন্যতম কাজ হচ্ছে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদী তৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করা এবং তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। কিন্তু অধিকাংশ জেলা ও থানা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়নি।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশের পরই আমাদের কমিটি গঠনের কাজ শুরু করি। ইতিমধ্যে মহানগরে ১৪ দলের মূল কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের কাজ চলছে।’
হুমকির পর নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কূটনীতিকপাড়ার নিরাপত্তায় সাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়েছে। মন্ত্রিপাড়াতেও ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ার আগে। সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদেরকে এসএমএস করে সতর্ক করেছে খোদ পুলিশ। এর সত্যতা স্বীকার করে বিবিসিকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘জঙ্গি হামলা থেকে কেবলমাত্র নিরাপত্তা বাহিনী কাউকে রক্ষা করতে পারবে না। বরং জনগণকে নিয়েই জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে হবে’।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের পাঠানো সতর্ক বার্তা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন ‘আমরা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নই, তবে সতর্ক আছি।’
সৈয়দ আশরাফ বলেছেন ‘পঁচাত্তরে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করার দায়িত্ব আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের নিতে হবে।’
তিনি বলেছেন ‘স্বাধীনতার পরপর স্বাধীনতার স্থপতিকে পরিবার-পরিজনসহ হত্যা করার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। ‘বাঙালি যেমন বীরের জাতি, তেমনি বেঈমানের জাতি। তাই আমাদের সজাগ থাকার প্রয়োজন আছে। মনে মনে প্রস্তুতি রাখারও প্রয়োজন আছে।’
গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের পর দলের বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সৈয়দ আশরাফ কেন এসব কথা বললেন? কীসের ইঙ্গিত দিলেন? অশুভ কিছু কি ঘটতে যাচ্ছে? সরকার কি কিছু জেনেছে? তার পুরোটা কি জানাতে চাইছে না? না চাইলে কেন? আর পুরোটা জানাতে না চাইলে কেন এভাবে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বললেন?-বোঝার চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী আর শুভানুধ্যায়ীরা।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর একজন সদস্য বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য নিয়ে অনেক ভেবেছি। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদকের কথা নিয়ে মন্তব্য করা আমাকে মানায় না’।
দলের আরেক নেতা নূহ উল আলম লেলিন বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনও হয়ত কোনও চক্রান্ত চলছে। রাজনৈতিক অবস্থান থেকে হয়ত এ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন সৈয়দ আশরাফ। তিনি হয়ত বোঝাতে চাইছেন আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি, যেন শেখ হাসিনাকে হারাতে না হয়’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো উপাচার্য (প্রশাসন) ও আওয়ামী লীগপন্থি নীল দলের শিক্ষক নেতা অধ্যাপক আখতারুজ্জামান একটি অনলাইকে বলেন, ‘আশরাফ সাহেবের পুরো বক্তব্যই আমি শুনেছি বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে তার এই কথাই খুবই গুরুত্ববহ। আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তির হামলার লক্ষ্য একজনই। তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শত্রুরা এখনও তাকে সরিয়ে দিতে চায়। তাকে হারাতে পারলে আমরা সবাই হেরে যাবো। পুরো জাতির আর কাউকে কিছু করতে হবে না। আশরাফ সাহেব হয়ত এটাই বুঝাতে চেয়েছেন’।