১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 100

শামীম ওসমানের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় (নারায়ণগঞ্জ-৪) আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ক্যাম্পের চেয়ার টেবিল ও পোস্টার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ার আগেই স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে।  মঙ্গলবার ভোরে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের মধ্য রসুলপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে।

কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, ভোরে দুর্বৃত্তরা কেরোসিন ঢেলে আমাদের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা অন্তত ৪০/৫০ ফুট পর্যন্ত উপরে উঠে।

এতে ক্যাম্পের ভিতরে থাকা চেয়ার টেবিলসহ বিপুল পরিমানে পোস্টার পুড়ে ছাই হয়েগেছে।  খবর পেয়ে আশাপাশের লোকজন ঘুম থেকে উঠে এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এরপর ক্যাম্পের চারপাশে আমরা কেরোসিনের গগ্ধ পেয়েছি।  এতে ধারনা করছি দুর্বৃত্তরা কেরোসিন দিয়ে আগুন দিয়েছে।  থানায় খবর দিয়েছি।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মো. মঞ্জুর কাদের পিপিএম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।  তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নৌকার ভোট চাওয়ায় সেন্টুকে বিএনপি থেকে বহিস্কার

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চাওয়ায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুল আলম ওরফে সেন্টু চেয়ারম্যানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে বিএনপির সহ–দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মনিরুল আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মনিরুল আলম সেন্টুর দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার পঞ্চবটীতে নির্বাচনী সভায় শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চান ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুল আলম।

জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গত শনিবার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চবটীতে নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুল আলম শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চান। এই ঘটনার পর বিএনপির নেতা–কর্মীরা তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। এ নিয়ে গতকাল প্রথম আলোর ৭ নম্বর পাতায় ‘নৌকায় ভোট চাইলেন বিএনপি নেতা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনে ২০ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৪৫ ভোটার, ৭৪৫ টি কেন্দ্র, ঝুকিপূর্ণ ৪১৮ টি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনে ৭৪৫ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৪১৮ টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা নির্বাচন কমিশন ও আইনসৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

যে কারনে ভোট কেন্দ্রগুলোর সুষ্ঠু পরিববেশ ও শান্তি বজায় রাখতে ঝুকিপূর্ন কেন্দ্রগুলোকে ঝুকিপূর্ন ছক বা গুরুত্বপূর্ন ছক বলে অভিহিত করা হয়েছে। আর বাকীগুলো সাধারণ কেন্দ্র বা ছক হিসেবে ধরা হয়েছে।

ঝুকিপূর্ন কেন্দ্র বা গুরুত্বপূর্ন ছকগুলোতে অধিকতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশ, আনসার ও গ্রামপুলিশের তালিকা অনুযায়ী এসব কেন্দ্রে অস্ত্রসহ থাকবে দুইজন পুলিশ, একজন আনসার ও একজন অঙ্গিভূত আনসার।এছাড়া ৪ জন করে মহিলা ও ৬ জন পুরুষ আনসার সদস্য থাকবে। আরো থাকবে গ্রাম পুলিশ একজন।

অন্যদিকে সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ একজন পুলিশ, একজন আনসার, একজন অঙ্গিভূত আনসার থাকবে। এছাড়া৪ জন করে মহিলা ও ৬ জন পুরুষ আনসার সদস্য থাকবে।

এর বাইরে পুলিশ সদস্য ছাড়াও ভ্রাম্যমান আদালতের ১৫ জন শ্যজিষ্ট্রেটসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

নির্বাচন কমিশনের সুত্রমতে,নারায়ণগঞ্জ-১(রুপগঞ্জ) আসনে ১২৭ টি কেন্দ্রের মধে ৫১ টি,২ (আড়াইহাজার) আসনে ১১৩ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০ টি,৩ আসন (সোনারগাঁও) আসনে ১১৮ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫২ টি,৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ২১৬ টির মধ্যে ১৬৭ টি এবং ৫ (সদর-বন্দর) আসনে ১৭১ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৮ টি ঝুকিপূর্ণ।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৪৫ জন।

আওয়ামীলীগের ২২ ‘যুদ্ধাপরাধীর’ তালিকা দিল বিএনপি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের ২৩ জন যুদ্ধাপরাধী বা তাদের পরিবার কোনো না কোনভাবে ৭১’ সালে পাকিস্তান সরকার ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এসব নেতা ঘৃণিত ভূমিকা পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বনে গিয়েছেন।

রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী, আপনিই তো জামালপুরের নুরু রাজাকারের গাড়িতে প্রথম পতাকা দিয়েছেন। এখনও আপনার দলে স্বাধীনতাবিরোধীদের ভিড়। জনগণকে প্রতারিত করে প্রধানমন্ত্রী আবারও মুক্তিযুদ্ধকে বিক্রি করে চলেছেন।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, এমন অভিযোগে এক ডজন ব্যক্তির বিচার করেছে ক্ষমতাসীন সরকার।

‘আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের কথিত স্বপক্ষ শক্তি দাবি করে এ বিচার করলেও তাদের দলে থাকা রাজাকারদের ব্যাপারে একেবারে নীরব।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে কুখ্যাত রাজাকার, আল বদর, আল শামস, গণহত্যকারী, গণধর্ষণকারী, অগ্নিসংযোগকারীসহ অসংখ্য ব্যক্তি স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী লিপ্ত ছিলেন।

‘এই ব্যক্তিরাসহ তাদের সন্তান-সন্তুতি এখন আওয়ামী লীগের বড় নেতা বা তাদের টিকিটে নির্বাচন করছেন। কিন্তু এখন তারা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের এসব ‘যুদ্বাপরাধীর’ নাম ও তাদের পরিবারের কর্মকাণ্ডের তথ্য তুলে ধরেন রিজভী। 

আওয়ামী লীগের যেসব নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন-

১.অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ২.লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান ৩.ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন,৪.অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ৫.সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ৬.কাজী জাফর উল্লাহ ৭.মুসা বিন শমসের ৮. মির্জা গোলাম কাশেম ৯.এইচ এন আশিকুর রহমান,১০. মহিউদ্দিন খান আলমগীর ১১.মাওলানা নুরুল ইসলাম,১২.মজিবর রহামান হাওলাদার ১৩.আবদুল বারেক হাওলাদার ১৪.আজিজুল হক ১৫.মালেক দাড়িয়া ১৬. মোহন মিয়া ১৭.মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া ১৮.রেজাউল হাওলাদার ১৯.বাহাদুর হাজরা ২০.আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার ২০.আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার ২১.হাসেম সরদার ও ২২.আবদুল কাইয়ুম মুন্সি।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী ২৩ জনের কথা উল্লেখ করলেও তালিকায় ২২ জনের নাম দেয়া হয়েছে। 
(যুগান্তর)

নির্বাচন আর সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না-মাহবুব তালুকদার

নির্বাচন আর সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। ভোটার যাতে নিরাপদে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

রোববার সকালে সিলেটে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে কেউ যাতে আঙুল তুলতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে নজর রাখতে হবে।

‘ভোটার যেন ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন,  তা নিশ্চিত করতে হবে।’

এ সময় নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণ না করার নির্দেশ দেন মাহবুব তালুকদার।

এতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও চার জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম বলেছেন, মারামারি ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়, তখন আরেকটু গরম হয়ে যায়। আর উত্তাপ না থাকলে ভালো লাগে না।

ভোটের মাঠে সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন রফিকুল ইসলাম।

রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে ‘নির্বাচনে নারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাবিষয়ক সচেতনতা’ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। সেখানে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নে ইসি বলেন, বিচারিক ক্ষমতা কারও নেই। পুলিশের নেই, র্যাবের নেই, সেনাবাহিনীর নেই- কারও নেই। যার হাতে অস্ত্র থাকে তার কিন্তু বিচারিক ক্ষমতা থাকে না। কারণ এটি বাংলাদেশের সংবিধানের জন্য স্ববিরোধী।(যুগান্তর)

বক্তাবলীর রাধানগরে নৌকায় নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন

ফতুল্লা প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানের নৌকা মার্কার নির্বাচনী কার্যালয় ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বাদ আছর বক্তাবলী ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব রাধানগর এলাকায় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যােগে মো.দেলোয়ার হোসেন ও বাদল হোসেন ববির তত্ত্বাবধায়নে এ নির্বাচনী কার্যালয় ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়।

এসময় উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাবুল মিয়াসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তাবলীর ৯নং ওয়ার্ডে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন

ফতুল্লা প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানের নৌকা মার্কার নির্বাচনী কার্যালয় ক্যাম্প উদ্বোধনে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বাদ মাগরিব বক্তাবলী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যােগে এ নির্বাচনি কার্যালয় ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,কেন্দ্র ক‌মি‌টির অাহবাহক মোঃ ছি‌দ্দিকুর রহমান,চর গড়কুল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্নসম্পাদক মো.নাজির হোসেন ও আমজাদ মেম্বার।

আরো উপ‌স্থিত ছি‌লেন,অাওয়ামীলীগ নেতা জামাল হো‌সেন,সুলতান অাহ‌মেদ,‌দো‌লোয়ার হো‌সেন দিলা,‌মোঃ জজ মিয়া,মাষ্টার অাহম্মদ অালী বেপারী,যুবলীগ নেতা মাইনউ‌দ্দিন,‌মোঃ জাহাঈীর হো‌সেন,সুজন মোল্লা,‌ডা‌লিম,অামানউল্লাহ মেম্বার,অাফছার উদ্দিন,‌মোজা‌ম্মেল বেপারী,ছাত্রলীগ নেতা টিটু ও মিলনসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সরকার ভয় পেয়ে বেশি বেশি অত্যাচার করছে-মির্জা ফখরুল

এম এম হাসান: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার কখন ভয় পায়? যখন সে একা হয়ে যায়। সরকার একা হওয়ায় ভয় পেয়ে বেশি বেশি অত্যাচার করছে।

শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা সোনাকান্দর মাঠে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী সমাবেশ এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে নাকি উন্নয়ন হয়েছে। আসলে উন্নয়ন হয়েছে সরকারের। তাদের পকেট ভরেছে। আর জনগণের পকেট খালি হয়েছে।

তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর হাজার হাজার নেতাকর্মীদের জেলে নেয়া হয়েছে। তাদের জামিন দেয়া হচ্ছে না।

অথচ ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তফসিল ঘোষণার পর কোনো গ্রেফতার করা হবে না।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব প্রশ্ন করে বলেন, কী বলব আপনাকে সত্যবাদী? এসময় শ্রোতারা চিৎকার করে বলতে থাকেন বেঈমান, মিথ্যাবাদী। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বললেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে। কিন্তু কীসের লেভেল প্লেয়িং? একদল মঞ্চ করে হাজার হাজার লোক নিয়ে, হেলিকপ্টারে করে, বিভিন্নভাবে পতাকা উড়িয়ে সভা করছে। আর আমাদের সভা করতে দেয়া হয় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচনেই আমাদের জয়ী হতে হবে, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের ১৫ জন প্রার্থীকে তারা জেলখানায় পাঠিয়েছে। গতরাতেও ধানের শীষের একজন প্রার্থীকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ভয়াবহ সংকটময় মুহূর্ত কাটাচ্ছি। এই মুহূর্ত গোটা জাতির জন্য, দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশের মানুষ অন্ধকারে থাকবে নাকি আলোর পথে যাবে। বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারী হাসিনার অধীনে থাকবে নাকি গণতন্ত্রের দিকে যাবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বিগত ১০ বছর ধরে এই স্বৈরাচারী সরকার আমাদের অসংখ্য ভাইকে গুম করেছে। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বিনা কারণে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। সবশেষ আমাদের গণতন্ত্রের মাতা যিনি গণতন্ত্রের মাতা, যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন সেই বেগম খালেদা জিয়াকে বিগত ১০ মাস অন্ধকার কারাগারে বন্দি রেখেছে। তিনি এখন প্রতিটি মুহূর্ত অপেক্ষা করছেন কবে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পতাকা উড়বে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি দুই সপ্তাহ আগে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি এখন আর হাঁটতে পারেন না, হুইল চেয়ারে চলতে হয় তাকে। কিন্তু তার মুখে আমি কোনো মলিনতা দেখিনি। আমি অসুস্থতার কোনো চিহ্ন দেখিনি। তিনি আমাদের দেখে বলে উঠেছেন-‘তোমরা সবাই ভালো আছো? ঐক্যবদ্ধ থাকো। এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তোমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করো-তাহলেই আমার মুখে হাসি আসবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদ্রু রহমান মান্না,পাচঁ প্রার্থী কাজী মনির,নজরুল ইসলাম আজাদ,আজাহারুল ইসলাম মান্নান,মনির হোসেন কাশেমী,এস এম আকরাম,তৈমূর আলম খন্দকার,কামাল হোসেন ও মামুন মাহমুদসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নৌকায় ভোট দিন-মাশরাফি

এম এম হাসান:একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান ওডিআই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা নৌকায় ভোট দিতে ও শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব বাসভবন সুধাসদন থেকে নড়াইলে একটি সমাবেশে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন তিনি।-খবর বাসস।

মাশরাফি বলেন, আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে আরও উন্নয়ন ও একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেবে। 

প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। মাশরাফি তাকে দলের মনোনয়ন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি তার নির্বাচনী প্রচারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য নড়াইলের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।  বিশ্বনন্দিত এক ক্রিকেট তারকা বলেন, তার পায়ে ইনজুরি রয়েছে। তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি যত দ্রুত সম্ভব দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়ার আশা প্রকাশ করেন।

মাশরাফি নড়াইলবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমি আপনাদের সন্তান এবং নড়াইলে বেড়ে উঠেছি। নির্বাচনে আমাকে ভোট দিলে আওয়ামী লীগ পুনরায় নির্বাচিত হবে।

জয় নিশ্চিত করতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে শামীম ওসমান

ফতুল্লা প্রতিনিধি:একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ফতুল্লায় আওয়ামীলীগের সমর্থনে কেন্দ্র কমিটির সদস্যদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছেন শামীম ওসমান। 

বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় আকবর টাওয়ারের কনভেনশন সেন্টারে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন এ বৈঠকের আয়োজন করে।  

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান।

একটি সূত্র জানায়,বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জয় নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও গণসচেতনামূলক কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফউল্লাহ বাদল,সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী,জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস,মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ নিজাম,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী,শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু,জেলা তাঁতীলীগের সদস্য সচিব ভিপি আলমগীর,এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান,ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন,জেলা পরিষদের সদস্য মো.জাহাঙ্গীর হোসপন,মোস্তফা হোসেন চৌধুরীসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।