১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 110

পুলিশকে গুলি ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার-৫

পুলিশের উপর গুলি করে পালানোর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নগরীর চাষাঢ়ায় একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে পিস্তল, গুলি,ছোড়া সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। তারা হলো, বোরহানউদ্দিন,হোসেন আলী রাজন, সৈয়দ হাবিব হায়দার বাবু,সাজ্জাদুল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন ও ৮টি ছোড়া উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টায় শহরের উত্তর চাষাঢ়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে (ডিবি) উপ পরিদর্শক সায়েম জানায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতি ফতুল্লার পাগলা মুন্সিখোলায় পুলিশের উপর গুলি করে পালানোর ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে আমরা ধারনা করছি। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে উপ পরিদর্শক আরিফুর রহমান, আবু সায়েম, সহকারী উপ পরিদর্শক আরিফুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের কাছ থেকে ১টি ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ১০টি গুলি ও ৮টি ছোড়া উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ফতুল্লার পাগলায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের চেকপোস্টে ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয় কনস্টেবল সোহেল মিয়া। ওই সময় যাত্রীবাহী বাসে পুলিশ সদস্যকে গুলি করে নিচে নামার পরেই মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ফলে মটরসাইকেলের সঙ্গে ওই সন্ত্রাসীদের যোগসাজশ ও সম্পৃক্ততা রয়েছে ধারণা করছে পুলিশ। সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে পুলিশও কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লেও তাদের ধরতে সক্ষম হয়নি। পুলিশের ধারণা পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য।

এদিকে সিসি ফুটেজে দেখা গেছে ৩ সন্ত্রাসী দৌড়ে যাচ্ছে। আর তাদের জন্য আগে থেকে একটি মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে ছিল অদূরে। চালকের মাথায় ছিল হেলমেট। তিনজন দৌড়ে ওই মোটরসাইকেলে উঠে যায়। পেছন থেকে পুলিশের একজন কনস্টেবল গুলি করছে। পরে ৪জন মিলে পালিয়ে যায়।

আ‌লো‌কিত বক্তাবলীর নেতৃত্ব নির্বাচ‌নের জন্য নির্বাচনী তফ‌সিল ঘোষণা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:আ‌লো‌কিত বক্তাবলীর নেতৃত্ব নির্বাচ‌নের জন্য নির্বাচনী তফ‌সিল ঘোষণা করা হ‌য়ে‌ছে। নির্বাচন ক‌মিশ‌নের আজ‌কের সভার সিদ্ধান্ত মোতা‌বেক এই তফ‌সিল ঘোষণা করা হয়। তফ‌সিলে নির্বাচন অনুষ্ঠা‌নের তা‌রিখ নির্ধারণ করা হ‌য়ে‌ছে ১৪/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ। তফ‌সি‌লে সভাপ‌তি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠ‌নিক সম্পাদক প‌দে সরাস‌রি নির্বাচন অনুষ্ঠা‌নের কথা বলা হ‌য়ে‌ছে। সভাপ‌তি প‌দে ম‌নোনয়ন প‌ত্রের মূল্য ১৫,০০০/-টাকা, সাধারণ সম্পাদক প‌দে ১২,০০০/- টাকা ও সাংগঠ‌নিক সম্পাদক প‌দে ১০,০০০/-টাকা নির্ধারণ করা হ‌য়ে‌ছে। ০১/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ তা‌রিখ হ‌তে ০৩/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ তা‌রিখ পর্যন্ত ২০৭/১ বঙ্গবন্ধু সড়ক নারায়ণগ‌ঞ্জে স্থা‌পিত আ‌লো‌কিত বক্তাবলীর নির্বাচন ক‌মিশ‌নের অস্থায়ী কার্যালয় হ‌তে ম‌নোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যা‌বে। ভোট গ্রহন অনু‌ষ্ঠিত হ‌বে নির্বাচন অনুষ্ঠা‌নের দিন বিকাল ৩:০০ ঘ‌টিকা হ‌তে ৬:০০ ঘ‌টিকা পর্যন্ত প্রসন্ননগর গাজী মা‌র্কে‌টে অব‌স্থিত আ‌লো‌কিত বক্তাবলীর অস্থায়ী কার্যাল‌য়ে। তফ‌সি‌লে উ‌ল্লেখ্য মোতা‌বেক ম‌নোনয়নপত্র জমা প্রদা‌নের শেষ তা‌রিখ ০৪/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ। ম‌নোনয়নপত্র বাছাইয়ের তা‌রিখ ০৫/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ এবং প্রত্যাহা‌রের সর্ব‌শেষ তা‌রিখ নির্ধারণ করা হ‌য়ে‌ছে ০৬/১১/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ।

সবার দৃষ্টি গণভবনের দিকে

রাজাধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামেও বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী আমেজ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নানামুখী প্রচারে এখন মুখর প্রত্যন্ত জনপদ। আরেকটি ভোটের আয়োজনে ব্যস্ততা বাড়ছে নির্বাচন কমিশনেরও। এমনই এক আবহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাউন্ট ডাউন শুরু হচ্ছে আজ থেকে।

কেননা আজ ৩০ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট করতে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিলের ঘোষণার কথা জানিয়েছে ইসি।

এদিকে ইসি সূত্রে জানা গেছে, ১ নভেম্বর বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে নির্বাচন কমিশন। আর সাক্ষাতের পর যে কোনো দিন তফসিল ঘোষণা করবে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। আর ৪ বা ৮ নভেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ইসির কর্মকর্তারা।

সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বিষয়ে সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার  (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, অক্টোবরের ৩০ তারিখের পর থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। অর্থাৎ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সময় রয়েছে। নভেম্বরের দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে নির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। কমিশনের বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, গত সংসদের প্রথম অধিবেশন হয়েছিল ২৯ জানুয়ারি। সে হিসাবে এবার ভোটের ৯০ দিনের ক্ষণগণনা শুরু হবে ৩০ অক্টোবর।

এদিকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসলেও এখনও অধরা রাজনৈতিক সমঝোতা। কী হবে নির্বাচনে, সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, না-কি আরেকটি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন, শেখ হাসিনার অধীনে নাকি ভিন্ন ধারার সরকারের অধীনে নির্বাচন, কী হবে কারাবন্দি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ইস্যু, এমন সব প্রশ্নই জনমনে।

এসব প্রশ্ন ঘিরে রাজনীতিতে নতুন আশার আলো হলো সংলাপ আলোচনাতে। ক্ষমতাসীন দলের অনীহা থাকলেও আলোচনার আবেদন উঠেছে সর্বমহল থেকে। দীর্ঘদিন ধরে সরকার আর বিরোধী জোটের বৈঠকের তাগিদ দিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মহলও।

অবশেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত সংলাপ।  ১ নভেম্বর ক্ষমতাসীন দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসছে প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি এবং বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ১ নভেম্বরের বৈঠকে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। আওয়ামী লীগ ও ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই সংলাপে কোনো সমঝোতা হলে ইসি আইনের মধ্য থেকে তা গ্রহণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

অপর একটি সূত্র বলছে, সংলাপের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে ইসি। সংলাপে সমঝোতা হলে পিছিয়ে যেতে পারে তফসিল ঘোষণাও। এ বিষয়ে ইসি কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, অতীতে তফসিল ঘোষণার পরও রাজনৈতিক দলের দাবির কারণে পিছিয়ে দেওয়ার নজির রয়েছে। সবকিছুই নির্ভর করছে সংলাপের ভবিষ্যতের ওপর।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়ে জয়লাভ করে।

পুলিশ,সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে কাজ করলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব-পুলিশ সুপার

নিউজ প্রতিদিন:মাদকের সাথে অনেকেই জড়িত রয়েছে মন্তব্য করে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেছেন, পুলিশ,সাংবাদিক ও রাজনৈতিক দলের নেতারা একত্রিত হয়ে কাজ করলে এ সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করার সম্ভব।

মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার সভাকক্ষের উদ্বোধন ও ওপেন হাউজডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, আমি ওয়ার্ড ভিত্তিক কাজ করতে চাই। সমাজে মাদক ব্যবসায়ী তার ব্যবসা ছাড়বে নয়তো এলাকা ছাড়বে। ওয়ার্ড ভিত্তিক মাদক নিমূর্ল শুরু হলে এ সমাজ থেকে মাদক নিমূর্ল করার কোন কঠিন কাজ নয়। মাদক ব্যবসায়ীরা তখন আর এ সমাজে থাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, আপনারা পুলিশের মন্দ দিকগুলো তুলে ধরুন এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে তথ্যদিন। এসময় তিনি ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মঞ্জুর কাদেরকে ফুটপাত দখল মুক্ত করার নিদের্শ প্রদান করেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মঞ্জুর কাদের পিপিএম’র সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার(ক) সার্কেল ইমরান হোসেন সিদ্দিকী, ওসি (আইসিপি) গোলাম মোস্তফা,ওসি(অপারেশন) মজিবুর রহমান, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী,ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি মীর মোজাম্মেল আলী, সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিম, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রনজিৎ মোদক, সাংবাদিক আনিসুজ্জামান অনু, শহিদুল্লাহ্ রাসেল, রনজিৎ মন্ডল, আবুল হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিন, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি দিলীপ কুমার মন্ডল, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, প্রচার সম্পাদক জিএ রাজু, ক্রীড়া সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, মাসুদ আলম, কর্যকরী সদস্য আলামিন প্রধান, সদস্য পিয়ার চাঁন, সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন, নজরুল ইসলাম সুজন, শেখ মোঃ সেলিম, ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তাইজুল ইসলাম প্রধান প্রমুখ।

বক্তাবলীকে মাদক মুক্ত করতে সাংবাদিকদের সহায়তা চাইলেন শওকত চেয়ারম্যান

নিউজ প্রতিদিন:বক্তাবলীকে মাদক ও জঙ্গী মুক্ত করতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা চাইলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান এম শওকত আলী। মঙ্গলবার ফতুল্লা মডেল থানায় অনুষ্ঠিত ওপেন হাউসডে অনুষ্ঠানে তিনি এই আহবান জানান।

তিনি বলেন, বক্তাবলীতে অনেক জঙ্গী এসে আশ্রয় নিয়ে আত্মগোপন করে থাকে। ফতুল্লার সিমান্ত এলাকা হওয়াতে অপরাধীরা এখনো সহজেই চলে আসতে পারে। ইতোমধ্যে বক্তাবলী থেকে একাধিক জঙ্গী গ্রেফতার হয়েছে।

মাদক ব্যবসা প্রসঙ্গে শওকত আলী বলেন, মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে প্রশাসনের পাশাপাশি সাংবাদিক সঠিক লিখুনী সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি বক্তাবলী থেকে জঙ্গীবাদ ও মাদক মুক্ত করতে সাংবাদিকদেও সহায়তা কামনা করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সেক্রেটারিসহ গ্রেপ্তার-৪

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাজা দেয়ার প্রতিবাদ ও রায় প্রত্যাহারের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করতে গেলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা জড়ো হওয়ার আগেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় নেতাকর্মীরা দৌড়ে পালানোর সময় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বলেন, নাশকতার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে ইসির গেজেট প্রকাশ।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল রোববার এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২–এর আওতায় রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪। ২০০৯ সালে হাইকোর্টে দায়ের করা ৬৩০ নম্বর রিট পিটিশনের রায়ে আদালত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০এইচ ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে তখন ইসি থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। তখন ইসি থেকে বলা হয়েছিল, বিষয়টি আপিল বিভাগে বিচারাধীন আছে। যে কারণে ইসি এ বিষয়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। তবে তখন ইসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছিল, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায়ও ইসির ওয়েবসাইটে একই বক্তব্য দেখা গেছে।

জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এত দিন ইসির হাতে পূর্ণাঙ্গ রায়ের কোনো কপি ছিল না। তা ছাড়া বিষয়টি আপিল বিভাগে বিচারাধীন আছে। এখন আমরা রায়ের কপি পেয়েছি। একই সঙ্গে আমরা জেনেছি, আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকলেও হাইকোর্টের রায়ের ওপর আপিল বিভাগ কোনো স্থগিতাদেশ দেননি। সে জন্য ইসি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে।’

শিক্ষার্থী ও যাত্রীদের হেনস্তা, চালকের মুখে পোড়া মবিল

সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে যাত্রী ও চালকদের হেনস্তা করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের নৈরাজ্য থেকে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও নিস্তার পাচ্ছে না।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে- ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা ও রিকশা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এ সময় প্রাইভেটকারচালকদের মুখে কালো রঙ, পোড়া মবিল ও আলকাতরা মেখে দিচ্ছেন শ্রমিকরা।

লাঞ্ছিত করা হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদেরও। জনভোগান্তির ছবি তুলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছেন ফটো সাংবাদিকরা।
রোববার সকাল থেকে এ ধর্মঘটে গণপরিবহন বন্ধ রাখার কথা থাকলেও যাত্রাবাড়ীতে অটোরিকশা এবং ব্যক্তিগত গাড়ি চলতেও বাধা দেয়া হয়।

গণমাধ্যমকেও তারা কাজ করতে দিচ্ছেন না। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কাজলা, চিটাগাং রোড ও শনিরআখড়ায় এ নৈরাজ্য বেশি চলছে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় বেশ কয়েকজন গাড়িচালকও হেনস্তার মুখোমুখি হওয়ার কথা বলেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ যুগান্তরকে বলেন, যাত্রীদের পোড়া মবিল লাগানো হয়নি। প্রাইভাটেকারেও না। তবে চালকদের মুখে পোড়া মবিল মেখে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গতকালও বলেছি- কোথাও যেন যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়া না হয়। কিন্তু আজ সকালে কয়েকটি জায়গা থেকে এ ধরনের ঘটনার খবর পেয়েছি। মিরপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আমি লোক পাঠিয়েছি- কারা এসব করছে তা দেখার জন্য।

এ পরিবহন শ্রমিক নেতা বলেন, আমাদের আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে তৃতীয় কোনো পক্ষ এখানে ঢুকে পড়তে পারে। তারা অপকর্ম করে আমাদের ওপর দায় চাপানোর জন্য এসব করতে পারে। আমাদের শ্রমিকরা এসব করছে না।

আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের পাশে দাঁড়াবো-শওকত আলী

জেগেছে নারায়নগঞ্জ,জেগে উঠেছে শেখ হাসিনার বাংলদেশ। স্বাধীনতার বিরুধী,সন্ত্রাস ও অশুভ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শামীম ওসমানের জনসভায় বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা থানা আওয়মীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শওকত আলী।

বক্তব্যে শওকত আলী বলেন,আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী শামীম ওসমানের নেতৃত্বে জেগে উঠেছি। আমাদের মতো সারাদেশবাসীও জেগে উঠবে। আমরা নায়াণগঞ্জবাসী শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের পাশে দাঁড়াবো।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে ইসদাইরে সামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামের শামীম ওসমানের জনসমাবেশে তিনি একথা বলেন।

শামীম ওসমানের সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত হলেও-দেখা যায়নি জেলা ও মহানগর শীর্ষ নেতাদের।

শামীম ওসমানের সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত হলেও সেখানে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দেখা যায়নি। তার পরেও সাধারণ তৃণমূল নেতাকর্মীরা ছিলেন সর্বত্র। তাদের শো ডাউনে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো জনসভাস্থল। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রমাণ করেছেন তারা শামীম ওসমানের উপরই ভরসা রাখছেন।

শামীম ওসমানও বহুবার বলেছেন,নেতারা বেঈমান হয় কিন্তু কর্মীরা না।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তবে শামীম ওসমানের উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে অনুপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা।