১৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 131

অবশেষে মুক্তি পেলেন কাউন্সিলর খোরশেদ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গ্রেপ্তারের পর জামিন পেলেও একাধিকবার কারাগারের গেটের সামনে তাদের গ্রেপ্তার করে আবারো অন্য মামলায় শ্যোন এরেস্ট করেছে পুলিশ। রিমান্ডেও ছিলেন । অবশেষে কারামুক্ত হলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ও সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিন মাস ২৪ দিন কারাভোগ শেষে তিনি জামিনে মুক্তিহন। বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন।

কয়েকবার জামিন পেলেও তাকে বারবার শ্যোন এরেস্ট দেখানোর বিষয়ে গত সোমবার উচ্চ আদালত খোরশেদকে কেন বারবার গ্রেপ্তার করা হচ্ছে- তা জানতে চেয়ে পুলিশ বাহিনী ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরকে কারণদর্শানোর আদেশ দেয়। সেই সঙ্গে কোন ধরনের শ্যোন এরেস্ট না দেখাতেও নির্দেশ দেয় আদালত। পরে বুধবার বিকালে খোরশেদ জামিনে মুক্তি পান। এদিন তাকে স্বাগত জানাতে কারাগারের বাইরে প্রচুর নেতাকর্মী জড়ো হন। কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড থেকে টানা দুইবার সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত কাউন্সিলর।

এর আগেও নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থাকাকালীন সময়ে একই ওয়ার্ডে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের আপন ছোট ভাই তিনি। খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী। এ আসনে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

গত ১৯ মার্চ তার ওয়ার্ডবাসীর মাঝে স্মার্টকার্ড বিতরণে সিরিয়ালে দাঁড়ানো নিয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষুব্ধ হন। ওই সময় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের তখন জানিয়েছিলেন, খোরশেদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন- তাই তাকে আটক করা হয়। তবে পরবর্তীতে তাকে নাশকতার মামলায় আদালতে রিমান্ড চেয়ে পাঠানো হয়। ওই মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয় দুই দিন। তারপর আরও দুইবার তাকে কারাগারের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে অপর দুটি মামলায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। গত ২৩ মে ও গত ১৩ জুন খোরশেদকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়।

সাফল্যের দ্বারা ধরে রাখলেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জয়ের দ্বারা ধরে রাখলেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। ”বরাবরের মত এবারও জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার অফিসার ইনচার্জ ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব শাহ মোঃ মঞ্জুর কাদের পিপিএম, ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজী এনামুল হক ও শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসাবে এএসআই মোঃ তারেক আজিজ।

বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনস এ অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যান সভায় জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ  শাহ মোঃ মঞ্জুর কাদের পিপিএম,ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কাজী এনামুল হক ও শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসাবে এএসআই মোঃ তারেক আজিজ পুলিশ সুপার মঈনুল হকের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে। তিনি ইতিপূর্বেও তিন বার জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ  শাহ মোঃ মঞ্জুর কাদের পিপিএম। এছাড়া এসআই কাজী এনামুল হক ও শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসাবে এএসআই মোঃ তারেক আজিজও একাধিক বার পুরস্কার নিয়েছেন।

বক্তাবলীর লক্ষ্মীনগরে ইয়াবাসহ রহিম গ্রেফতার

প্রেসবিজ্ঞপ্তিঃ ফতুল্লার বক্তাবলীতে অভিযান চালিয়ে রহিম (২৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

এসময় তার কাছ থেকে ৬৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে ইয়াবা পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি ইজিবাইক, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) রাতে ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগরে র‌্যাব-১১ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত রহিম লক্ষ্মীনগর পূর্বপাড়ার মাহমুদ আলীর ছেলে।

র‌্যাবের এএসপি বাবুল আখতার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, রহিম দীর্ঘদিন যাবৎ বক্তাবলী ও আলীরটেক ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় ইজি-বাইক যোগে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে

ফতুল্লা ইউনিয়ন আ’লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১১ জুলাই) সকাল ১১ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কমপ্লেক্স মাঠ প্রাঙ্গণে ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোহাম্মদ মিছির আলী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শওকত আলী, মহানগর আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি জুয়েল হোসেন, ফতুল্লা থানা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান স্বপন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ফরিদ আহমেদ লিটন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ প্রমুখ ।

ফতুল্লার কাশীপুরে তাঁতীলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

ফতল্লায় কাশীপুরে ইউনিয়ন তাঁতীলীগের কর্মী সভা বুধবার (১১ জুলাই) বিকালে দেওয়ানবাড়ি এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফতুল্লা থানা তাঁতীলীগের সহসভাপতি কমান্ডার মোস্তফা কামাল কামালের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি আতিক হাওলাদারের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলহাজ্ব আলমগীর হোসেন।

সভায় তিনি বলেন, শামীম ওসমানের বিকল্প শামীম ওসমনাই। কারণ তিনি কর্মীদের মনের কথা বুঝেন। শুধু তাই নয়, উন্নয়নেও শামীম ওসমানের তুলনা নেই। তিনি আরও বলেন, জননেতা শামীম ওসমানের উন্নয়নমূলক কাজগুলো আপনারা ঘরে ঘরে পৌছে দিবেন।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন-জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাশফীকুর রহমান শিশির, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজির হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেববক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতার হোসেন, ফতুল্লা থানা তাঁতীলীগের সভাপতি মোঃ মিলন মোল্লা, সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান, ফতুল্লা থানা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলন মাদবর, বিপ্লব, মোঃ জসিম, মুসলিম, সাগর, শাহনেওয়াজ আক্তার লায়লা, কাশীপুর ইউনিয়ন তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাকিব।
আকতার হোসেনের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মনির হোসেন, নুরুল হক, মুসা, অপু সওদাগর, সারোয়ার প্রমুখ।

ফতুল্লার বক্তাবলীর শীর্ষ ৩ মাদক ব্যবসায়ী

ডেস্ক নিউজঃ মাদকের কড়াল গ্রাসে আক্রান্ত ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলি। দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কিশোর, যুবক সহ সর্বপেশার মানুষ। মাদক বিক্রেতাদের নির্মূল করার কথা যে আইন শৃংখলা বাহিনী তাদেরই কিছু অপদার্থ পুলিশ মাদক বিক্রেতাদের সোর্স বানিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করাসহ ব্যাপক হারে মাদক বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বক্তাবলী মাদক নির্মূল কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতার আত্মীয় স্বজনরা মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে মাদক বিক্রি করতে সহযোগিতা করছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বক্তাবলীতে মাদক বিক্রেতারা এতই সুসংগঠিত যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভোটের কথা বিবেচনা করে মাদক নির্মূলে কঠোর ভুমিকা নেয়া হতে বিরত থাকেন। কেননা মাদক বিক্রেতারা প্রভাবশালী ও প্রতিজনের বংশে রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভোট। এ জন্য তারা মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ব্যবস্থা নেয়া হতে নীরব ভুমিকা পালন করে থাকে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে পুরো বক্তাবলী ৫০ জন মাদক সম্রাট ও প্রায় শতাধিক সহযোগীর নিয়ন্ত্রনে ইয়াবা, গাজা, ফেন্সিডিল কেনা বেচা চলে প্রতিদিন। মাদক বিক্রেতাদের উৎপাতে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ হলেও পুলিশের সহযোগিতায় মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে কতিপয় মাদক বিক্রেতারা।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ৫০ মাদক বিক্রেতার গডফাদার হচ্ছে রামনগর গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর পুত্র রহিম বাদশা। যিনি কয়েক মাস আগে পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছিল মাদক বিক্রি করবেনা। পুলিশের হাত থেকে হয়রানি যেন না হয় সেজন্য সরকারী দলের একজন অঙ্গ সংগঠনের নেতা দিয়ে নাটক সাজিয়ে ছিল। রহিম বাদশা ডিলার বক্তাবলীর মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত। আর এই মাদক সম্রাটের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত মধ্যনগরের মৃত সেকান্দারের পুত্র হালিম ও রামনগরের মৃত মিন্নত আলীর পুত্র হবুল।

এর পরই রয়েছে একই এলাকার শরীয়ত উল্লাহ পুত্র জাকির হোসেন,মৃত লাল চানের পুত্র মোঃ হোসেন, মেন্দা জাকিরের পুত্র ওসমান, সাহাবুদ্দিনের পুত্র বাদশা,আব্দুুল আওয়ালের পুত্র জসিম উদ্দিন, আছমতের পুত্র কানা আজিজ, কছিমুদ্দিন কইচ্ছা,লক্ষীনগর গ্রামের মৃত জমশের আলীর পুত্র আছান মিয়া, একই গ্রামের মৃত আব্দু‍ুল মতিন, মৃত ফজল সরদারের পুত্র তৌহিদুল, বাচ্চুর পুত্র রবিউল ও রাসেল, নুরা মিয়া ফকিরের পুত্র মরা মুক্তার,কলিমউল্লাহ’র পুত্র রুবেল, হযরত আলীর পুত্র আলমগীর, আতাউল্লাহর পুত্র ইব্রাহীম, জমশেরের পুত্র মানিক, মুসলিম মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেন,কানাইনগর গ্রামের হাবিজউদ্দিনের পুত্র শরীফ, একই এলাকার সোনা মিয়ার পুত্র দাদন ওরফে ডিলার দাদন, গংঙ্গানগর গ্রামের রহম আলীর পুত্র হানিফা, একই গ্রামের লালু কসাইয়ের পুত্র স্বপন, শাহজাহানের পুত্র মনির হোসেন,রাজাপুর গ্রামের মালেকের পুত্র অলি, একই এলাকার আহম্মেদের পুত্র মতিন, শাহজাহানের পুত্র ছালাউদ্দিন ছালু,হজিবলের পুত্র শফিক, চর প্রসন্ননগর গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র রতন, প্রসন্ননগর গ্রামের জয়নাল ফকিরের পুত্র হোসেন ( রহিম বাদশার সহযোগী),মিজান,গোপালনগর গ্রামের মৃত ইলিয়াছের পুত্র মাউচ্ছা জাকির,একই এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী সেলিনা,মৃত চান মিয়ার পুত্র আব্বাস, মধ্যনগর গ্রামের মৃত করিম মালের পুত্র শহীদ,মৃত মজিবরের পুত্র রফিকুল, চর বয়রাগাদী গ্রামে মৃত মোহর আলীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন, মৃত দুখাই মিয়ার পুত্র শহীদ, মধ্যনগর গ্রামের মানিক কসাইয়ের পুত্র আমান ও জামান, মৃত: সেকান্দরের পুত্র হালিম, চর প্রসন্ননগরের মনসুর আলীর পুত্র সফিক, কানাই নগর পশ্চিম এলাকার জামাল, চর বয়রাগাদী এলাকার মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে মনজুর, প্রসন্ন নগর গ্রামের আমিন উদ্দিনের পুত্র আব্দুল ও ছমিরনগর গ্রামের বাদশা উল্লেখ যোগ্য। এদের মধ্যে মতিন ও রাসেল ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই তাজুল ইসলামের সোর্স হিসেবে কাজ করে। তাজুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে রাসেল ও মতিন ইয়াবার ডিলার হলেও তাজুলের শেল্টার পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নিরীহ লোকদের হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা ধরাকে সরাজ্ঞান করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী শওকত আলী বলেন, আমি মাদকের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা আইন শৃংখলার মাসিক সভায় বহুবার বলেছি। কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা তা বোধগম্য নয়। আমি নিজে মাদকের বিরুদ্ধে এলাকার যুব সমাজকে রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। এক সময় বক্তাবলী মেধাশূন্য হয়ে পড়বে মাদকের কারনে। ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই তাজুল ইসলাম বলেন, আমি খারাপ লোকের সাথে মিশিনা। ওরা কাউকে হয়রানি করেছে এমন প্রমান থানায় দিতে পারলে ব্যবস্থা নিব। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)শাহ মঞ্জুল কাদের (পিপিএম)বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে। আমরা রুটিন মাফিক বক্তাবলীতে অভিযান চালাবো। দেশ উন্নত হচ্ছে যুব সমাজ মাদক সেবন করে ঝিমুবে তা হতে পারেনা।

নিখোঁজ স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষের ৫ টুকরো লাশ উদ্ধার

শহর প্রতিনিধি:নিখোঁজের ২১ দিন পর শহরের আমলাপাড়া এলাকার বন্ধুর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে কালিরবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল (৯ জুলাই) রাত ১১টার দিকে আমলাপাড়ার ১৫ কে সি নাগ রোডের রাশেদুল ইসলাম ওরফে ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে অভিযান চালায় পুলিশ। তারা সেপটিক ট্যাংক খুলে ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে ৩টি বস্তায় প্রবীর ঘোষের ৫ টুকরো খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে। তবে খন্ডিত লাশ উদ্ধার হলেও উদ্ধার হয়নি দুই পায়ের হাটুর নিন্মাংশ।

এ বাড়ির ২য় তলায় প্রবীর চন্দ্র ঘোষের বন্ধু পিন্টু দেবনাথ ভাড়া থাকতেন। পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রবীর চন্দ্র ঘোষের বন্ধু পিন্টু দেবনাথ ও বাপন ভৌমিককে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে, গত ১৮ জুন রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর বালুর মাঠের বাসা থেকে কালিরবাজার এসে নিখোঁজ হন স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ। নিখোঁজের ঘটনায় ১৯ জুন প্রবীরে বাবা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর প্রবীর ঘোষকে উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ।

প্রবীর ঘোষের সন্ধানকালে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলটি কুমিল্লার সীমান্ত এলাকায় ব্যবহার হওয়ার সন্ধান পায় পুলিশ। তারা মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে গিয়ে এর বাহক বাপন ভৌমিককে গ্রেফতার করে । বাপন ভৌমিক পুলিশকে জানায় পিন্টু তাকে এ মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করতে দিয়েছে। পুলিশ বাপনকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে। এরপরপরই গ্রেফতার করা হয় প্রবীরের বন্ধু পিন্টু দেবনাথকে।

জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টু দেবনাথ ও বাপন ভৌমিক জানায়, প্রবীর ঘোষের লাশ আমলাপাড়ার ১৫ কে সি নাগ রোডের রাশেদুল ইসলাম ওরফে ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে রয়েছে। এ তথ্য পাওয়ার পরপরই পুলিশ বাড়িটিকে ঘিরে রাখে। এবং ডোম নিয়ে এসে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তল্লাশী অভিযান চালায়। ৩টি বস্তায় খন্ডিত লাশ পাওয়া যায়। অনেক দিন হয়ে যাওয়ায় লাশটির খন্ডগুলোর বিকৃত হয়ে গেছে।

জানা গেছে, কিছু দিন আগে ভারতের কলকাতায় প্রবীর ঘোষের বন্ধু পিন্টু দেবনাথের ওপেন হার্ট সার্জারী হয়। এই প্রবীর ঘোষই ভারতে পিন্টুর চিকিৎসার জন্য সকল সহযোগিতা করে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, কেন এবং কি কারণে এ হত্যাকান্ড এ ব্যাপারে এখনো পুরোপুরি মুখ খোলে নি পিন্টু দেবনাথ এবং বাপন ভ্রৌমিক।

পুলিশ বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে, প্রবীর ঘোষের এক ভাই দীর্ঘদিন থেকে বিদেশে অবস্থান করছে। ঐ ভাইয়ের দেয়া টাকা নিয়েই প্রবীর ও পিন্টু স্বর্ণ ও সুদের ব্যবসা করছিলেন। এই টাকার একটি বিশাল অংশ পিন্টুর কাছে গচ্ছিত ছিলো। প্রবীর এ টাকার জন্য কিছুদিন ধরে পিন্টুকে চাপ দিয়ে আসছিলো।

পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই প্রবীর ঘোষকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কারণ এখনো সুস্পষ্ট নয়। গ্রেফতারকৃত পিন্টু দেবনাথ এবং বাপন ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা শুধুমাত্র লাশটি কোথায় আছে তা বলেছে।

কিভাবে হত্যা করা হয়েছে, কারা কারা জড়িত, কেনোই বা হত্যা করা হয়েছে এ ব্যাপারে তারা পুরোপুরি মুখ খোলেনি। যেহুতু লাশ উদ্ধার হয়েছে পুরো ঘটনাটি এখন পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এদিকে প্রবীর ঘোষের মৃত্যুর খবরে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারন ঘটে আমলাপাড়ার ১৫ কেসি নাগ রোড এলাকায়। লাশ উদ্ধারের খবরে একে একে আসতে থাকেন প্রবীর ঘোষের পরিবারের লোকজন, আত্মীয় স্বজন ও ব্যবসায়ী বন্ধুরা। বিলাপের সঙ্গে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তার এক আত্মীয়া। তবে লাশ উদ্ধারের স্থানে তার স্ত্রী, সন্তান এবং বাব মা কাউকে দেখা যায়নি।

প্রিয় ভাই হারিয়ে শোকে মূহ্যমান ইটালি প্রবাসী ছোট ভাই সৌমিক ঘোষ যুগের চিন্তা ২৪ কে বলেন, আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। ওরা মানুষ না। মানুষের আড়ালে নরপিচাশ। হত্যাকারীদের যেন বাংলাদেশের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয় এটাই এখন আমাদের চাওয়া।

এই ঘটনার পেছনে অন্যকারো হাত আছে দাবি করে কালীবাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী মার্কেটের সভাপতি সঙ্কর ঘোষ বলেন, ওরা দুজন মিলে হত্যা করেনি। এই হত্যার পেছনে অন্য কারো হাত আছে। আমরা চাই, হত্যার রহস্য উন্মোচন করে হত্যাকারী এবং হত্যার পরিকল্পনাকারী সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেয়া হোক।

নিখোঁজের পর থেকে উদ্ধারের দাবিতে হওয়া আন্দোলনে পিন্টু ও বাপন ভৌমিক সক্রীয় ছিলো জানিয়ে প্রবীর ঘোষের মামা বলেন, ওদের বারবার বলেছি ‘তোরা কিছু জানলে আমাগো বইলা দে, ওরা বলে নাই। ওরা আন্দোলন করছে। সবার লগে লগেই ঘুরছে। কেডায় জানে এমন বন্ধু নরপিচাশ হইয়া ধরা দিবো!

প্রবীর ঘোষের নিখোঁজের পর থেকেই তাকে উদ্ধারের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া স্বর্ণ শিল্পী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুকুল মজুমদার বলেন, আমরা চাই প্রবীর ঘোষের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় ‘ভুয়া ট্রাফিক সার্জেন্ট’ গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থেকে টাকা উত্তোলন করার সময় মো. রনি (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (০৯ জুলাই) দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। সে সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরী বাড়ি এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু ভুয়া কেইস স্লিপসহ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

রনিকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থান পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম।

তিনি জানান, আটককৃত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন স্থানে নিজেকে পুলিশের সার্জেন্ট পরিচয় দিয়ে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিলো। এদিন তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের কাছে কয়েকটি যানবাহনের নাম্বার নোট করে মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টাকালে তাঁকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, “আটক রনির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগি আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। রনির কাছ থেকে ভুয়া কেইস স্লিপসহ ৩ হাজার ৮‘শ ৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সে এ কাজ দীর্ঘদিন ধরেই করছিল।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপির অনশন পালন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনশন পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। তবে পুলিশি বাধা তেমন একটা না থাকলেও পূর্ব নির্ধারিত বিকেল ৪ টা পর্যন্ত না করে দুপুর ১২ টায় অনশনের সমাপ্তি করা হয়।

অপরদিকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে অনশনটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রুপ নেয়। শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ প্রেসব্লাবের পেছনে প্যারাডাইজ ভবনের সামনে টানা এক ঘন্টা কর্মসূচি পালন করে দলটি।

এদিন নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও ছিল অন্যন্য কর্মসূচির তুলনায় অনেক বেশি। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগানে
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনশন পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। তবে পুলিশি বাধা তেমন একটা না থাকলেও পূর্ব নির্ধারিত বিকেল ৪ টা পর্যন্ত না করে দুপুর ১২ টা বাজতেই অনশনের সমাপ্তি টানা হয়।

অপরদিকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে অনশনটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রুপ নেয়। শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ প্রেসব্লাবের পেছনে প্যারাডাইজ ভবনের সামনে টানা এক ঘন্টা কর্মসূচি পালন করে দলটি। এদিন নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও ছিল অন্যন্য কর্মসূচির তুলনায় অনেক বেশি। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে পুরো এলাকা।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজি মনির, সহ-সভাপতি অ্যাড.আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, আব্দুল হাই রাজু, মনিরুল ইসলাম রবি, ব্যরিস্টার পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, সহ-সাংগঠনিব সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, জেলা যুবদল নেতা আশরাফুল হক রিপন, শহিদুর রহমান স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক মন্টু মিয়া, ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওমর আলী, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী নুরুন্নাহার, রহিমা শরিফ মায়া ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজীব প্রমূখ।

বক্তারা সকলেই বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেন।

বক্তাবলির আকবরনগরে পুলিশি অভিযান টেটাসহ গ্রেফতার-১২

বক্তাবলির আকবরনগর থেকে বিপুল পরিমাণের টেঁটা ও চাপাতিসহ রহিম হাজি গ্রুপের ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (০৮ জুলাই) রাত ১১টা থেকে সোমবার (০৯ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত আকবর নগর গ্রামে টানা অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে টেঁটা,চাপাতি ও কুড়াল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আনোয়ার হোসেন, মাসুদ রানা, হান্নান মিয়া, সাইদুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, নুরুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম, সাজ্জাদ, মাসুদ, সামুসুল হক, হেলাল হোসেন ও আসলাম।

অভিযান ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, আকবরনগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামেদ আলী হাজি ও রহিম হাজি গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছে। এর জেরে প্রায় সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে এলাকা ছেড়ে অনেকেই অন্যত্র বসবাস করছেন এদের কর্মকাণ্ডে।

অপর একটি সূত্র জানায়, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হামলা পাল্টা হামলাসহ বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও একাধিকবার ঘটেছে। এসব ঘটনায় উভয় গ্রুপই পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলা দায়ের করেছে।

এদিকে স্থানীদের সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে, ফতুল্লার মধ্যে অত্যন্ত ভয়াবহ একটি অঞ্চল আকবর নগর। ফতুল্লা থানার শেষান্তে এবং কেরানীগঞ্জের সীমানা সংলগ্ন এই অঞ্চলে মূলত রাজত্ব করে কেরানীগঞ্জের মানুষ। এরমধ্যে কাশে নেতা নামে একজনের হুকুমই এখানে শেষ হুকুম বলে বিবেচ্য হয়ে থাকে।

সূত্রটি আরও জানায়, কাশেম নেতা এই অঞ্চলে ঘাটি করেন সামেদ আলী হাজির কাঁধে ভর করে। দীর্ঘদিন তাঁরা দু’জন এই অঞ্চলে রামরাজত্ব কায়েম করে। কিন্তু বছর কয়েক আগে তাঁদের সম্পর্কে ফাঁটল দেখা দিলে রহিম হাজিকে কাছে টেনে নেয় কাশেম নেতা। এতে করে কাশেম রহিমের শক্তি একত্রিত করে সামেদ আলীর প্রভাব খর্ব করতে থাকে তাঁরা। এ নিয়েই প্রয় সময় সংঘাত সংঘর্ষ।

এছাড়াও সামেদ আলী হাজি ও রহিম হাজি তাঁরা একে অপরকে ফাঁসাতে হেন কোনো অপকর্ম নেই যা করে না। এমনকি নিজেরাই নিজেদের লোক দিয়ে ধর্ষণ করিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার ঘটনাও ঘটেছে।

মঞ্জুর কাদের বলেন, “সামেদ আলী হাজি এ ঘটনায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা উভয় গ্রুপকেই সতর্ক করে দিয়েছি।”