১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 156

Photo Sense’ এর কেন্দ্রীয় ফোরাম গঠন

“মোবাইল দিয়েই শুরু হোক ফটোগ্রাফি’র হাতেখড়ি’ – স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা জনপ্রিয় ফেইসবুক গ্রুপ `Photo Sense’ এর কেন্দ্রীয় ফোরাম গঠন করা হয়েছে। সৌরভ ভূইয়াঁ কে কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী ও শারমিন আক্তার মুক্তা, মিনহাজ শিমুল, সাকিয়া সুলতানা জুহি, মেহবুবা মম কে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সদস্য করে ফোরাম গঠন করা হয় ।

`Photo Sense’ এর প্রধান সমন্বয়কারী সৌরভ ভূইয়াঁ বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের প্রায় সকলের হাতেই এখন অনেক ভালো মানের ক্যামেরা সংযুক্ত মোবাইল থাকে কিন্তু তার যথাযথ ব্যবহার করা হচ্ছে না। আবার অনেকেই মোবাইল দিয়েই অনেক চমৎকার ছবি তুলতে পারলেও উদ্দীপনার অভাব রয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে ফটোগ্রাফি’র প্রতি আরো বেশি আগ্রহী করে তুলতেই এই গ্রুপটি করা হয়েছে।”

অল্প কয়েকদিনেই গ্রুপটির প্রায় ৭০০০ হাজার সদস্য হয়েছে এবং প্রতিদিনই দারুণ দারুণ সব ছবি পোস্ট করা হচ্ছে।

মেহবুবা মম জানান, মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা অতি শীঘ্রই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ফোরাম গঠন করার পরিকল্পনা নিয়েছি এবং মোবাইল ফটোগ্রাফির উপরে ওয়ার্কশপ ও আলোকচিত্র প্রদর্শর্ণী আয়োজন করবো।

আপনারা যারা আগ্রহী, তাদের কে আমাদের সাথে যোগাযোগের জন্য বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে।

ফেইসবুক লিংক : https://www.facebook.com/groups/phothosense/

নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের পক্ষ থেকে জুয়েল-মোহসীন পরিষদকে শুভেচ্ছা

নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের সংগ্রামী সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. হাসান ফেরদৌস জুয়েল সভাপতি ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী পরিষদের নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের  পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে  শুভেচ্ছা জানান হয়। রবিবার দুপুর ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনেএই শুভেচ্ছা জানান হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি দেওয়ান কামাল,সহ সভাপতি আমির হোসেন আমু,সহ সভাপতি ডা. হুমায়ুন কবির পাঠোয়ারী,সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী,যুগ্ম সম্পাদক শওকত ওসমান সরকার রিপন,সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা,প্রচার সম্পাদক মো. শরীফ,মুজিবুর রহমান, মো. জসিম মিয়া, মিলন মিয়া, বাবু সওদাগরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

কারাগারে বেগম খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা বা ডিভিশন দেয়ার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বেগম খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেয়া ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামানের আদালত রবিবার এই আদেশ দেন।

সকালে আমিনুল ইসলাম ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া নামে দুই আইনজীবী খালেদা জিয়ার ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেয়।

সিনিয়র আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘জেলকোডের ৬১৭ ধারা অনুযায়ী জেল সুপারেরই এই আবেদন করা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। এতে আমরা কষ্ট পেয়েছি। পরে আমাদেরকে এ ব্যাপারে আবেদন করতে হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘যে পরিচারিকাকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়েছে, যাকে ছাড়া ম্যাডাম ১৫-২০ বছর চলতে পারেননি, সেই ফাতেমাকেও এখনো থাকার অনুমতি দেয়া হয়নি। এটা সরকারেরই দেখা দরকার।’ এ বিষয়ে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করবেন বলেও জানান মওদুদ।

সাংবাদিক প্রতিহতের ধারা হয়েছে -মার খেলে কোন ধারা?

আজকাল আইনের ধারা বদলাচ্ছে, পরিবর্তন, পরিবর্ধন হচ্ছে। সাংবাদিকদের প্রতিহত করার জন্যও ধারা তৈরী হচ্ছে। কিন্তু সাংবাদিকরা যে বিভিন্ন যায়গায় লাঞ্ছিত হচ্ছে, মার খাচ্ছে, তার জন্য কি কোন ধারা তৈরী হচ্ছে? হচ্ছে না, কিন্তু কেন?

সাংবাদিকদের বিপক্ষে ধারা থাকলে, পক্ষে কেন থাকবে না? অনুসন্ধানী বা ক্রাইম নিউজে এমন অনেক কিছু আছে যেটা সাংবাদিকদের গোপনীয়তা অবলম্বন করে করতে হয়। সেখানেও যদি অনুমতি নিতে হয় অথবা  নিষেধ থাকে, তাহলে আমরা অপরাদে কোথায় পৌছবো একবার ভেবে দেখেছেন। আমরা সাংবাদিকরাতো রাষ্টের পক্ষেই কাজ করি, কাজ করি অপরাধ নিমূলে, তাতে সমস্যা কোথায় আমার বোধগম্য নয়।

সাংবাদিক হল সমাজের দর্পন, আর সেই সাংবাদিককেই বারবার থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কেন করা হচ্ছে? আজ সাংবাদিকরা আইনের বেড়াজালে বন্দী হয়ে অনেক সত্যকে দেখেও তুলে ধরতে পারছে না। তবে কি কোন মহলের স্বার্থ হাসিলের জন্য সাংবাদিকদের আইন দিয়ে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে।

গত ৬ই ফেব্রুয়ারী ক্রাইম প্রতিদিনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বরাত দিয়ে একটি নিউজ করা হয়েছিল ‘ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায় কোনো সাংবাদিককে ধরা হলে তার পক্ষে বিনা পয়সায় আদালতে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক’

মন্ত্রী আরো বলেন, এই আইনের কোনো ধারাই সাংবাদিকদের জন্য করা হচ্ছে না। আর খসড়া আইনের ৩২ ধারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকের জন্য বাধা হবে না।

আমি ধন্যবাদ জানাই, আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে, উনি আমাদের পক্ষে কথা বলার জন্য। কিন্তু আমার প্রশ্ন তাহলে আইনে কোটেশন দেওয়া হচ্ছে না কেন ‘এই আইনের কোনো ধারাই সাংবাদিকদের জন্য প্রযোজ্য নয়’

পরিশেষে একটি কথা, সাংবাদিককে রাষ্টের বন্ধুভেবে, আমাদেরকে আমাদের দায়িত্ব পালনে পূর্বের ন্যায় সহযোগীতা করবেন এটাই আমাদের চাওয়া।

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীর অন্যতম হোতা জোবায়দুল ইসলাম মিঠু গ্রেপ্তার

নিজস্ব সংবাদদাতা : আবারোও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। এবার এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজী দ্বিতীয়পত্র প্রশ্ন ফাঁসের অন্যতম হোতা ঢাকার উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জোবায়দুল ইসলাম মিঠু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও সদর থানা পুলিশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় এই ঘটনা ঘটে সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে। এ সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার সকালে ঈগল পরিবহনে ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার সময় জোবায়দুল ইসলাম মিঠু নামে এক যুবক মাদারীপুরের মস্তফাপুর এলাকায় আসে। সে এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজী দ্বিতীয়পত্র প্রশ্ন মোবাইলে ফেইসবুক দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর মধ্যে সরবরাহ করছিল। এসময় তার পাশের সিটে বসা অপর যাত্রী লিটন বৈরাগী প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি বুঝতে পেরে অন্যদের জানায়। তখন স্থানীয়রা পরিবহনটি আটক করে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতে-নাতে প্রশ্নের কপিসহ তাকে আটক করে। আটককৃত ওই যুবক ঢাকার উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এবং বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার সবুজবাগ এলাকার আব্দুস ছাত্তার চোকদারের ছেলে বলে দাবী করেছে। সে একটি ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে প্রশ্ন সরবরাহ করে ৫’শ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন একজন ছাত্রকে দিতো বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

জোবায়দুল ইসলাম মিঠু সাংবাদিকদের জানান, তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপের সদস্য। ওই গ্রুপের মাধ্যমে তিনি টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার সাজেশন দিতেন।’ ওই যুবক এই প্রশ্ন কীভাবে পেয়েছেন সেটা বের করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।

এই চক্রের সাথে অন্য কারা জড়িত রয়েছে তাদের ধরতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। তবে আটক মিঠুর দাবী সে শুধুমাত্র ফেসবুকে একটি গ্র“পের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার সাজেশন লেনদেন করতো। এদিকে ফেসবুক গ্র“পের দেয়া প্রশ্নপত্রের সাথে বুধবারের ইংরেজী দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার হুবহু মিল রয়েছে।

এব্যাপারে জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, আটককৃত ব্যক্তির মোবাইল চেক করে সত্যতা পাওয়া যায়। পরে আজকের পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে ফাঁসকৃত প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। একই সাথে প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সৈয়দ ফারুক আহম্মদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশ জুড়ে। ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপের মতো সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন সরবরাহ করে আসা হচ্ছে। আর এ জন্য কোনো রকম আর্থিক সুবিধাও চাইছে না এর সঙ্গে জড়িতরা। গত ৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদেরকে ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন। এরপর ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে ‘পারলে আমাদের ধরেন’ বলে পাল্টা চ্যালেঞ্জও দেয়া হয়েছে।

কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেছেন বিএনপির আইনজীবীরা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। সেখানে তার সঙ্গে দেখা করতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা গেছেন।

শনিবার বেলা ৩টার দিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে আইনজীবীদের একটি দল কারাফটকে পৌঁছেন।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মওদুদ বলেন, রায়ের বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হবে তা আলোচনা করার জন্য আমরা তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

এছাড়াও একই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।

রায়ের পর পরই খালেদা জিয়াকে আদালতের পাশে নাজিমউদ্দিন রোডের লালদালানখ্যাত ২২৮ বছরের পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

২০১৬ সালের ২৯ জুন থেকে ছয় হাজার ৪০০ বন্দিকে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ার রাজেন্দ্রপুরের নতুন কারাগারে স্থানান্তর করে পুরান কারাগার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দুই বছর চার মাস ১০ দিন পর দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে এই পরিত্যক্ত কারাগারেই দিন পার করছেন খালেদা জিয়া।

খালেদার জিয়ার রায়ের প্রতিবাদে কেন হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দেয়নি বিএনপি?

দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজার রায়ের প্রতিবাদে দলটির নেতাকর্মীরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন।

দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রথম দিনে শুক্রবার বিএনপির এসব বিক্ষোভ থেকে বড় রকমের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর দলটি কী ধরনের কর্মসূচি নিতে পারে, তা নিয়ে নানান আলোচনা রয়েছে।

তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁরা এ মুহূর্তে হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি না দিয়ে রাজনৈতিকভাবে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি নিয়ে এগুতে চান। একইসাথে তাঁরা তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য আইনগত লড়াইও চালাবেন বলে তিনি জানান।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, তাঁরা আসলে নির্বাচন সামনে রেখে তাদের দলের নেত্রীর পক্ষে মানুষের সহানুভূতি এবং জনসমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচির দিকে না গিয়ে তাদের নেতা কর্মীদের মাঠে সক্রিয় রাখতে চাইছে।

বিএনপি নেতা আলমগীর বলেছেন, “নেত্রী আমাদেরকে নির্দেশ দিয়ে গেছেন, আমরা সেই ধরনের হরতাল অবরোধের মতো কোন কর্মসূচিতে যাব না। আমরা নিয়মতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের যে প্রতিবাদ চলছে,সেভাবে আমরা সোচ্চার হবো, যেমন আমরা দু’দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছি।”

২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের আগে এবং পরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের আন্দোলন যে সহিংস রূপ নিয়েছিল, এবার বিএনপি সে ধরণের আন্দোলনের দায় নিতে চায় না।

এছাড়া বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। সেই নির্বাচনের আগে বড় ধরনের কোন আন্দোলনে গিয়ে সেটাকে নির্বাচন পর্যন্ত লম্বা সময় টেনে নেয়া সম্ভব নাও হতে পারে বলে দলটির নেতাদের অনেকে মনে করেন। একইসাথে খালেদা জিয়ার মামলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির সারাদেশের নেতা কর্মীরা সক্রিয় হয়েছে, সেটাকেও দলটি কাজে লাগাতে চাইছে।

এসব বিবেচনা করে বিএনপি এখন মিছিল বা জমায়েত করার মতো কর্মসূচি নিয়েই এগুতে চাইছে। অন্যদিকে বিএনপি নেত্রীর পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে রবি-সোমবারের মধ্যে তাঁর আইনজীবীরা আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, আপিল করা হলে অল্প সময়ের মধ্যেই খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পেতে পারেন। তবে দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা, এনিয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।

অবশ্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করেন, তাদের নেত্রী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আমরা আইনজীবীদের সাথে যতদূর আলোচনা করেছি, এই সাজার মাধ্যমে শেষপর্যন্ত আমাদের নেত্রীকে নির্বাচনের বাইরে রাখা যাবে না। এটা তারা করতে পারবে না। এটা সম্ভব হবে না।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জেনারেল এরশাদের আমলে কয়েক বার বন্দী হয়েছিলেন। বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিনি এক বছরের বেশি সময় জেলে ছিলেন।

কিন্তু এবারই প্রথম তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে গেছেন। সেটা বিএনপির রাজনীতি কী প্রভাব ফেলবে, সেই প্রশ্নও উঠছে।

কিন্তু বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করেন, তাঁরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। আমরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো না। বরং আমরা মনে করি যে, আমরা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবো। কারণ বেগম জিয়াকে আজকে যে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে, এটি জনগণ মেনে নেয়নি এবং মেনে নেবে না। বিবিসি

খালেদা জিয়ার ডিভিশন আবেদন গ্রহণ করেনি কারাকর্তৃপক্ষ

কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডিভিশন ও সুচিকিত্সা প্রাপ্তির আবেদন গ্রহণ করেনি কারা-কর্তৃপক্ষ। শনিবার দুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন স্বাক্ষরিত এ আবেদন নিয়ে যান চার আইনজীবী।
পুরান কেন্দ্রীয় কারাগার গেটে আইনজীবীরা এ আবেদন নিয়ে আসলে সেটি জমা নেয়া হয়নি। এসব আইনজীবীরা হলেন— ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান, মাহমুদ হাসান, এস এম জুলফিকার আলী ও তাহেরুল ইসলাম তুহিন।
জেলগেটে মাহমুদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রের সিনিয়র সিটিজেন। তার ডিভিশন প্রাপ্তির আবেদন আমরা কারাকর্তৃপক্ষের কাছে এনেছিলাম। এর আগে গতকাল ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন আইজি প্রিজনস এর সাথে কথা বলেছিলেন। তিনি আবেদনটি কারাকর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছাতে বলেছিলেন। কিন্তু এখানে কোনো কারাকর্তৃপক্ষকে আমরা পাইনি। কারাগারে যেতে দেয়া হয়নি।
জেলগেটে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের সহকারী কমিশনার বজলুর রহমান জানান, তারা কারাকর্তৃপক্ষ নয়। এ কারণে এই আবেদন কারা অধিদফতরে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সেক্রেটারি মামুনসহ আটক-২

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আটক করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সোনারগাঁও শেখ ফজলুল হক উইমেনস কলেজের সামনে থেকে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সোনারগাঁও থানা পুলিশের পরিদর্শক ( অপারেশন) আব্দুল জব্বার জানান, মামুন মাহমুদকে সোনারগাঁও শেখ ফজলুল হক ইউমেনস কলেজের সামনে থেকে নাশকতার প্রস্তুতির সময় আটক করা হয়েছে।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদকেও আটক করেছে পুলিশ। ভোরে রূপগঞ্জের ভোলাব ইউনিয়নের একটি বিল থেকে তাকে আটক করা হয়।

ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. সেলিম মিয়া জানান, শাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি নাশকতার মামলা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, কালীগঞ্জ থেকে লোক এনে রূপগঞ্জের জিন্দাপার্ক এলাকায় মিছিল করেছে শাহেদ, যে মিছিলের ছবি ফেসবুকে দেয়ার পর তাকে শনাক্ত করে আটক করা হয়।

নারায়ণগঞ্জে যুবদলের বিক্ষোভ,আটক-৪

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমায়ের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্র মূলক সাজা ঘোষনার প্রতিবাদে মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা।বিকাল ৩ টায় আলাউদ্দিন খান ষ্টেডিয়াম থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।মিছিল না.গঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সামনে এলে পুলিশ দুই দিক থেকে অর্তকিত হামলা করে লাঠি চার্জ করে ৪ জন যুবদল কর্মী গ্রেফতার করে এবং এসময় মহানগর বিএনপি নেতা নুরুল হক চৌধুরী দিপু, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আক্তার হোসেন খোকন শাহ,মহানগর যুবদল নেতা ইউনুস খান বিপ্লব, আল-আমিন খান,জুলহাস ও রাসেল মনির আহত হয়।

প্রতিবাদ মিছিল শুরুর পূর্বে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত পথ সভায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, আইন ও আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে বলতে চাই আইন সবার জন্য সমান হবে সংবিধানে এমন নিশ্চয়তা দেয়ার পরেও দেখা যায় আইন সবার জন্য এক নয়।খালেদা জিয়াই তার জলন্ত প্রমান।ফকরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারের সময় বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুদক সম পরিমান মামলা দায়ের করেছিলো। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরে শেখ হাসিনা ও তার দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা গুলো কর্পূরের মত উড়ে গেলেও বেগম খালেদা জিয়া,তারেক রহমান সহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েছে।তারই ধারাবাহিকতায়ই ৮ ফ্রেরুয়ারীর রায় ঘোষিত হয়েছে।তিনি বলেন খালেদা জিয়ার জেল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলংক তিলক।আওয়ামী লীগ পুনরায় বিনা ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশনেত্রীকে জেল আমাদের উপড় নিপীড়ন করছে।

তিনি সরকারের নিপীড়ন পাক হানাদারের কথা মনে করিয়ে দেয় বলে নেতাকর্মীদের অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে রাজপথে পর্যন্ত অহিংস ও শান্তিপূর্ন গণ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।তিনি সরকারী দলের ফাদে পা না দিতে সর্তক থাকার অনুরোধ জানান। খোরশেদ আরো বলেন,সরকারকে মনে রাখতে হবে এই সরকারই শেষ সরকার নয়।

তিনি নারায়ণগঞ্জ,সিদ্ধিরগঞ্জ,রুপগঞ্জ,ফতুল্লা,সোনারগায়ে ভৌতিক মামলায় নেতাকর্মীদের আসামী করা ও হয়রানীর তীব্র নিন্দা জানান।অবিলম্বে নজরুল ইসলাম আজাদ, এড.সাখাওয়াত খান,মাসুকুল ইসলাম রাজীব,মহানগর যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন,কাউন্সিলার ইস্্রাফিল, কাউন্সিলার কামরুজ্জান বাবুল.এড.আনোয়ার প্রধান,বাবুল প্রধান,ডাঃশাহীন.মোহাম্মদ হোসেন কাজল,মেয়র বাদশাহ সহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবী করেন।
মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা নুরুল হক চৌধুরী দিপু, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আক্তার হোসেন খোকন শাহ,মহানগর যুবদল নেতা ইউনুস খান বিপ্লব, আল-আমিন খান,মাহাবুব হাসান জুলহাস,আল-মামুন,আকতার অপু,ডা,মুসা,মন্জু মিয়া আফতাব, রাসেল মনির সহ শতাধিক নেতাকর্মী।