২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 181

দাপা আদর্শ স্কুলের নির্বাচনে টিপুর মনোনয়ন জমা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দাপা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক স্তুরের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী আব্দুল খালেক টিপু। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল গণির কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাইতুর মা’মুর জামে মসজিদের সভাপতি হাজী আবুল কাশেম, সাধারন সম্পাদক হাজী আব্দুল গফুর,সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন, বাইতুন নূর বাহার আলী জামে মসজিদের সভাপতি আব্দুর রউফ,ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, কার্যকরী সদস্য সেলিম মুন্সি, মনির হোসেন, সদস্য মাসুদ আলী, রিপোর্টার্স ক্লাবের অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক দুলাল প্রমুখ।

গোয়ালন্দ থানার এসআই দেলোয়ারের সাহসিকতা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি এড.মশিউর রহমান শাহিন ও এড. নুরুল হুদাসহ সোহাগ পরিবহনে(৫৭৫) ভারত থেকে নারায়ণগঞ্জে ফেরার পথে সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় দৌলতদিয়া-পাটোরিয়া ফেরীঘাট থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনতাই হয়। তাৎক্ষনিক এ ঘটনায় গোয়ালন্দ থানার এসআই দেলোয়ার হোসেনকে জানালে তিনি রাত ৪টায় মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। এদিকে এড.মশিউর রহমান শাহিনের মোবাইল উদ্ধারে দ্রুত চেষ্টা করায় এসআই দেলোয়ারকে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের পক্ষে ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ্,নব-নির্বাচিত সাধাররন আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন, যুগ্ম সম্পাদক রিয়াদ মো: চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক জি, এ, রাজু, দপ্তর সম্পাদক রফিক হাসান, কার্যকরীর সদস্য মনির হোসেন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে দুই জিএমবি সদস্য আটক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা ও সিদ্দিরগঞ্জ এলাকা থেকে জেএমবির সক্রিয় সদস্য সম্রাট হোসেন (২১) ও শাহাদাত হোসেন (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ১২ এর একটি টীম। গত সোমবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নাঃগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জের আইল পাড়া এলাকায় ও ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ধৃত জেএমবির সদস্যরা টাংগাইল জেলার কালিহাতী থানার একটি সন্ত্রাস বিরোধী মামলার এজাহারভুক্ত আসামী বলে সুত্রে জানা গেছে। ধৃত সম্রাট নেএকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানাধীন শেখুপুরা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে, সে জেএমবির সংগঠনে হুরের খোজেঁ নামে পরিচিত, অপর ধৃত শাহাদাত হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার সাহেদ নগর থানা এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে, সে জেএমবিতে আমীর হামজা নামে পরিচিত, তারা বেশ কিছু দিন ধরে সিদ্দিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা এলাকায় বসবাস করতো পরিবার নিয়ে জানিয়েছেন র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

সুত্রে আরো জানায় যে, ধৃত দুই জঙ্গী সদস্য সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুরে র‍্যাবের অভিযানে নিহত জঙ্গী নেতা আবদুল্লাহ্র অন্যতম সহযোগী ছিলেন। এছাড়াও গত ৫ সেপ্টেম্বর টাংগাইলের কালিহাতী থানার এলেঙ্গা গ্রামের ধৃত জেএমবির সদস্য সহোদর মাসুম ও খোকনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য ধৃত মাসুম ও খোকনকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করার পর তাদের কাছ থেকে একটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে তারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে এই ড্রোন দিয়ে তারা সরকারী বিভিন্ন স্হাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছিল। এঘটনায় কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেই মামলায় এজাহারভুক্ত ৫ আসামীর মধ্যে ধৃত শাহাদাত হোসেন ও সম্রাট অন্যতম। তাদের গ্রেপ্তারের পর টাংগাইল জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব ১২ কর্মকর্তা।

র‍্যাব-১২ এর সুত্রে আরো জানা গেছে যে, ধৃত টাংগাইলে গ্রেপ্তার কৃত জঙ্গী সদস্য মাসুম ও খোকন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক যে জবান বন্দী দিয়েছিল সেখানে তারা জেএমবির সক্রিয় সদস্য মুক্তারুল। শাহাদাত হোসেন, সম্রাট হোসেনের নাম বলেন, এর পরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র‍্যাব-১২ এর একটি টীম অভিযান চালিয়ে মুক্তারুলকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। বাকী দুজনকে সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ফতুল্লা ও সিদ্দিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেন এবং তাদের টাংগাইল আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

র‍্যাবে জানায়, শাহাদাত হোসেন নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন হাজীগঞ্জ এলাকার জামিয়া হোসাইনিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফজ শেষ করেছেন। সে উক্ত এলাকায় বসবাস করতেন। অপর ধৃত সম্রাট হোসেন নেএকোনা জেলার মোহনগঞ্জের মহুয়া টেকনিক্যাল এ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করে রাজধানী ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী নিয়েছিল। তারা দুজনেই ২০১৩ সালের দিকে জেএমবিতে যোগ দিয়ে সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বনে যান। তারা হুরের খোজেঁ ও আমীর হামজা নামসহ বিভিন্ন বেনামে ফেসবুকে আইডি খুলে জঙ্গী, জিহাদী মূলক পোষ্ট দিয়ে আসতেছিল, সম্রাট সিদ্দিরগঞ্জে বসবাস করতো, তারা টেলিগ্রাম, ট্রিমা সহ বিভিন্ন গোপন অ্যাপস ব্যবহার করে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতো বলে জানিয়েছে র‍্যাব-১২।

মিথ্যা সংবাদে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের নিন্দা

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ফতুল্লা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও নিউজ পোর্টাল আমাদের নারায়নগঞ্জ ডট কম এর প্রাকাশক-সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফরিদ আহম্মদ বাধনকে হত্যার হুমকীর অভিযোগ এনে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা মিথ্যা এবং বানোয়াট। কথিত সাংবাদিক ফরিদ আহমেদ বাধন ফেসবুকে যে পোষ্ট নিয়ে জিডি করেছে তা মিথ্যা। প্রকৃত পক্ষে ফেসবুকের কোন পোষ্ট নিয়ে তর্ক-বির্তক হয়নি, রিয়াদ মো: চৌধুরীর ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে কমেন্টস লিখেছিল বিধায় সে বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে,সে ব্যাপারে বাধন দুঃখ প্রকাশ করে এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তা আপোষ হয়ে যায়। এসময় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন,ক্রীড়া সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম, কর্যকরী সদস্য মনির হোসেন, সম্মানিত সদস্য মো: সহিদুল ইসলাম শহিদ,মো: আরিফুল ইসলাম আরিফ এবং ফতুল্লা রিপোর্টর্স ইউনিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু উপস্থিত ছিলেন।
এই ঘটনার পরের দিন সাংবাদিক বাধন প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে এবং নিজেকে জাহির করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করে এবং রিয়াদ মো: চৌধুরীকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। এ ঘটনা ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা, সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আগামীতে সত্য প্রকাশ করবে বলে আশা করছি।
বিবৃতিদাতা:
সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ – প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,কামাল উদ্দিন সুমন -সহ- সভাপতি,এড. মশিউর রহমান শাহিন – সহ- সভাপতি
আব্দুর রহিম -সাধারন সম্পাদক,আ:আলিম লিটন -সংগঠনিক,শাকিল আহম্মদ ডিয়েল -অর্থ সম্পাদক, রফিক হাসান -দপ্তর সম্পাদক, জি.এ রাজু -প্রচার সম্পাদক, নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম – ক্রীড়া সম্পাদক, এম.সামাদ মতিন – প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,এস. এম. বাবুল – প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,এ.আর. মিলন – প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, কার্যকারী সদস্য -সেলিম মুন্সি,কার্যকারী সদস্য -মনির হোসেন
কার্যকারী সদস্য -আল-আমিন প্রধান,সম্মানিত সদস্য বৃন্দ রুহুল আমিন প্রধান,আনিসুজ্জামান অনু,আবুল কালাম আজাদ,পিয়ার চাঁন, প.ম আজিজ, সুরাইয়া মতিন,আবু মোহম্মদ হামিদুল হক,সাইদুল ইসলাম সহিদ, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মাহবুবুর রহমান খোকা, আমিনুল ইসলাম মিশু,মাসুদ আলী।

আই এস ইহুদীদের আবিস্কার -ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

আই এস হচ্ছে ইহুদীদের আবিস্কার, যারা অটমন সাম্রাজ্য তুরস্কের খেলাফতকে সম্মিলিতভাবে একত্রিত হয়ে ১৯২৪ সালে নষ্ট করেছিল এবং তাদের তৈরি করা বংশধর নাস্তিক ফেরাউনের উত্তরসূরি কামাল পাশাকে ১৯২৪ সালে তুরস্কের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছে । কিন্তু মনে রাখবেন হিরার জ্যোতি, হিরক্ষনদের জ্যোতি ছাই দিয়ে ঢাকা যায় না । ১৯২৪ সালে খেলাফতের বিপক্ষে কামাল পাশা তুরস্কের ক্ষমতা নিল । ক্ষমতা নিয়ে এসে ঘোষণা দিলঃ তুরস্কের ভূখণ্ডের কোন এক ইঞ্চি জায়গাতে ইসলাম নামে কোনকিছুর অস্তিত্ব থাকবে না । মসজিদ গুলোকে নাইট ক্লাব বানিয়েছে । মসজিদের মিনারকে ভেঙ্গে চুরমার করেছে । আজানকে বন্ধ করেছে । দাড়ি রাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে । মাথার টুপি কেরে নিয়েছে । মুসলমানের হেজাবকে খুলে দিয়েছে । চরম Secularism (ধর্মনিরপেক্ষতাকে) সে প্রতিষ্ঠা করলো । কিন্তু তুরস্কের মুসলমানের হৃদয় থেকে কুরআন ও সুন্নাহর ভালোবাসার ইসলামের ঐতিহ্যকে তাঁরা মুছে দিতে পারে নাই । ৮০ বছর পর আজ চরম ইসলামপন্থী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান তুরস্কের ক্ষমতায় বসে আছে । তাঁর পূর্বসূরি সোলেমান ডেভিডেল, নাজমুদ্দীন আরবাকান তাঁরা খুব কষ্ট করে গেছেন । তারা সকলেই বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ)-এর অনুসারী । যিনি তুরস্কের আধ্যাত্মিক নেতা । মুজাদ্দেদীয়া তরীকার পীর ছিলেন । তাঁর সেই মুজাদ্দেদীয়া তরীকার পীর বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ) চরম ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তুরস্কের মধ্যে দাওয়াতের কাজ চালালেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষাধিক ছাত্র তাঁর মুরিদ হয়ে গেল । সে সরকার তাঁকে ২৭ বার কারাগারের ভিতরে নিয়েছে । আর আমাদের দেশের পীররা চরম সুবিধাবাদী । যখন যে সরকার তারা সেই সরকারের অনুগত্য হয়ে যায় । এছাড়া পীরালীটাকে এখন তারা পুরোহিত তন্ত্রে পরিণত করেছে । ইসলামের পক্ষে দ্বীনের পক্ষে সত্যের পক্ষে এদের কোন বক্তব্য নাই । কিন্তু সত্যিককারের যারা পীর মাশায়েখ সাড়াজীবন তারা আল্লাহর দ্বীনের পক্ষে, শিরক কুফর এবং বাতিলের বিপক্ষে খেলাফতের পক্ষে, হুকুমতে ইলাহির পক্ষে কাজ করে গেছেন । কেউ প্রকাশ্যে, কেউ অপ্রকাশ্যে, কেউ প্রত্যক্ষভাবে, কেউ পরোক্ষভাবে । তাঁদেরই একজন বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ) । তাঁরই অনুসারী নাজমুদ্দীন আরবাকান, সোলেমান ডেভিডেল । আর তাঁদেরই অনুসারী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান । সেখানে এখন মসজিদে আজান হয় । মহিলারা স্কার্ফ পরিধান করে সংসদে ঢুকতেছে । পুরুষরা দাড়ি রাখতেছে । ইসলামের পক্ষে সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভূমিকাতে চলে আসতেছে তুরস্ক । তাহলে ১৯২৪ সালে সমস্ত কাফের মুশরেক একত্রিত হয়ে, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে তারা তুরস্কের খেলাফতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল । সেই ইসলামের মৌলিক একটি বিষয় খেলাফতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ইহুদীরা আইএসকে মাঠে নামিয়েছে ।

আইএস ২টি কথা বলতেছেঃ একটি হল জিহাদ, আরেকটি হল খেলাফত । এখন যারা ইসলাম বুঝেনা জানেনা, তাদের মধ্যে জিহাদের ব্যাপারে একটি ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে । খেলাফতের ব্যাপারেও ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে । দেখা যাচ্ছে- আইএস যে এলাকা দখল করছে, মহিলাদেরকে ধর্ষণ করছে । এবং বিচার ছাড়া যাকে তাকে কল্লা কেটে দিচ্ছে । এখন ইহুদীরা সুযোগ পাচ্ছে । দুনিয়াবাসীকে বুঝাতে- খেলাফত মানেই হল মহিলাদেরকে ধর্ষণ করা । খেলাফত মানেই হল যাকে তাকে পাও কল্লা ফেলে দেওয়া । সে কাজটি তারা পুরোপুরি সফল না হলেও কিছুটা তো সফলতা লাভ করছে । বড়ই দুঃখজনক হলোঃ বাংলাদেশে এই আইএস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যখন কথা শুরু হলো । এদেশে যারা আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ তাদের দায়িত্ব ছিল, সন্ত্রাসের পূর্ণমাত্রায় বিরোধিতা করে, খেলাফত এবং জিহাদের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা ।

আইন মানার ক্ষেত্রে আল্লাহর আইন মানতে হবে । আল্লাহর আইন ইবাদতের অংশ । আর সে আইনকে বাস্তবায়িত করার একমাত্র মূলমন্ত্র হল খেলাফত । তাহলে বুঝা যাচ্ছে, আমরা যারা ভূপৃষ্ঠের হুকুমত থেকে বঞ্চিত তারা ঈমানকেও ঠিক করি নাই, আমলকেও ঠিক করি নাই । ঈমান এবং আমল যদি ঠিক হতো, ভূপৃষ্ঠের হুকুমত আল্লাহ আমাদের দান করতো ।খেলাফতের মূল উদ্দেশ্য চারটা । নূর নবীজী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীস থেকে এই মাসালা আস্তেমবাত করেছেন, উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক, আমাদের পূর্বসূরি শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দীসে দেহলবী (রহঃ) হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা কিতাবের ১৪৯ পৃষ্ঠায় তিনি তুলে ধরেছেনঃ খেলাফতের মূল ৪টা বিষয় বাস্তবায়ন করা ।

১. (মজলুম) জুলুমের শিকার মানুষকে জুলুম থেকে বাঁচানো ।
২. আল্লাহর প্রদত্ত আইনকে বাস্তবায়ন করা, আল্লাহর প্রদত্ত শাস্তিকে বাস্তবায়ন করা ।
৩. বিচার ব্যবস্থা কুরআন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠা করা ।
৪. জিহাদ পরিচালনা করা।

২টা জিনিসের বিরুদ্ধে কাফের মুশরেকদের সবচেয়ে বেশী প্রচার- একটি হল জিহাদ, আরেকটি হল খেলাফত । আইএস-এর সাথে ইসলাম ও মুসলমানের কোন সম্পর্ক নাই । আইএস এর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায় কখনোই ইসলাম ও মুসলমান নিবে না । আইএস ইহুদী মোসাদের আবিষ্কার । আর তাদেরকে অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা । আইএস-এর বিরোধিতা করতে যেয়ে কোন অবস্থায়ই জিহাদের বিরোধিতা করার সুযোগ নাই । কারণ জিহাদকে যে অস্বীকার করবে, জিহাদের বিরোধিতা করবে সে মুসলমান নয় । জিহাদ ইসলামের মূল একটি বিষয় । জিহাদ ইসলামের মূল একটি বিষয় । সোনারগাঁও-এ যুদ্ধ হয়েছিল ঈসাখাঁর সাথে । বাদশা আকবরের একটা হিন্দু ছেলে ছিল । বাদশা নিজেও মুসলমান ছিল না । বাদশা নিজেও হিন্দু ছিল । মানসিংহ ঈসাখাঁর সাথে যুদ্ধ চলাকালীন মানসিংহের অস্ত্র ভেঙ্গে গেছে । ঈসাখাঁ যুদ্ধ বন্ধ করে দিল । মানসিংহ বললো আপনি ইচ্ছা করলে তো আমাকে হত্যা করতে পারতেন যুদ্ধ বন্ধ করলেন কেন ? ঈসাখাঁ বললো নিরস্ত্রকে আঘাত করা ইসলাম শিক্ষা দেয় না । তুমি অস্ত্র নিয়ে আসো তারপর যুদ্ধ করবো । কাফের মুশরেকরা যদি তাদের গণ্ডি পার হয়ে ইসলাম ও মুসলমানের উপর আঘাত করতে আসে তখন মুসলমানকে অস্ত্র ধারণ করতেই হবে । সেটা ডিফেন্সিভও হতে পারে অফেন্সিভও হতে পারে ।

আইএস যা করছে তার জন্য শুধু তারা দায়ী নয়, পরিস্থিতিও দায়ী । আইএস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হামলা করেছে ইউরোপ আমেরিকাতে তারা হামলা করেছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র World Agents Terrorism (সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ) এই নামে ১৯৯১ সালে প্রথম ইরাকে হামলা করেছে । আজকে ২০১৬ , ২৬ বছর পার হয়েছ । ২৬ বছরে সমৃদ্ধ ইরাকে আমেরিকা তার নেতৃত্বাধীন ন্যাটোযোদ্ধা নিয়ে মোট ৩২ লক্ষ্য মুসলমানকে হত্যা করেছে । এই ২৬ বছরে একটি স্বাধীন সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে মিথ্যা আজুহাতে হামলা করে ৩২ লক্ষ্য মুসলমানকে শহীদ করা হয়েছে । আর এই ২৬ বছরে ইরাকে ঘরবাড়ী বাবা মা ছাড়া হয়েছে ১ কোটি ২০ লক্ষ্য । এমন একটি দেশ ছিল যেখানে তেলের পয়সা বিক্রি হলে প্রত্যেক নাগরিকের একাউন্টে পয়সা চলে যেত । বাড়ীতে বসে বসে তারা তেলের পয়সায় চলতো । সেই দেশে ঐ আমলে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল অবৈতনিক । মাস্টার পর্যন্ত পড়াশুনা করতে কোন টাকা লাগতো না, ফ্রি ছিল । টিটমেন্ট ফ্রি । দেশের খনিজ সম্পদ বিক্রি হতো প্রত্যেকের একাউন্টে টাকা যমতে থাকতো । বছর শেষে দেখা যেত কয়েক লক্ষ্য রিয়েল জমা আছে । এরকম একটা দেশকে ধ্বংস করা হলো । ৩২ লক্ষ্য মুসলমান শহীদ হয়েছে । ১ কোটি ২০ লক্ষ্য মানুষ নিঃস্ব হয়েছে । সেই ২৬ বছর আগে যেই বাচ্চাটার বয়স ছিল ৪ । যে তার নিজের চোখে দেখেছে তার নিজের দেশকে অগ্নিগর্ভে পরিণত হতে । যে নিজের চোখে দেখেছে তার নিজের মাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খৃস্টানরা ধর্ষণ করেছে । পিতাকে হত্যা করেছে । আজ সে যুবকের বয়স ৩০ । সে যদি তার দেশের স্বাধীনতার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে, ৩২ লক্ষ মানুষের রক্তের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে, মা বোনের ধর্ষণেত প্রতিশোধ নিতে গিয়ে, আমেরিকা ফ্রান্সে হামলা করে কয়েকশ খ্রিষ্টান মেরে ফেলে, সমাজ চোখে এটা অপরাধ হলেও আমি সেটাকে অপরাধ বলতে পারি না । অতএব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায় শুধু আইএসকে দিলে হবে না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় সমাজকে দায় দিতে হবে ।

সুতরাং ইসলামী খেলাফতকে বিতর্কিত করার জন্য ইহুদিরা মুসলমানদের লেবাসে আই এসকে মাঠে নামিয়েছে। তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে এবং তাদের বিপক্ষে সকলকে সতর্ক করতে হবে।

এসকে সিনহাকে অপসারনের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ সাধারণ আইনজীবীদের মানববন্ধন

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা কে জোরপূর্বক অপসারণ করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পাঁচদিন ব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাধারণ আইনজীবীরা ।

রবিবার ( ৮ অক্টোবর ) দুপুরে আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সাধারণ আইনজীবীরা ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি এড. সরকার হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক এড. খোরশেদ মোল্লা, বারের সাবেক সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. জাকির হোসেন, এড. আনোয়ার প্রধান, এড. রফিক আহম্মেদ, এড. মিয়া মোঃ বাশার, এড. মশিউর রহমান শাহীন, এড. নবী হোসেন, এড. বেনজির আহম্মেদ, এড. আবুল কালাম জাকির, এড. আনিছুর রহমান মোল্লা, এড. জিল্লুর রহমান লিটন সহ অনেকেই​ ।

পানি ও গ্যাস বিহীন জেনারেল হাসপাতালের ( ভিক্টোরিয়ার) ডরমেটরি

নারায়ণগঞ্জ ২শ শয্যা ( ভিক্টোরিয়া) জেনারেল হাসপাতালের ডরমেটরিতে দীর্ঘ এক মাস যাবত পানি ও গ্যাস না থাকায় অবস্থানরত নার্সদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান বলেছেন, ডরমেটরির সংস্কার কাজ চলছে বলে সবাইকে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়েছে।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডরমেটরির ভিতরে ৩ জন নার্সের পরিবার বসবাস করে। মাসিক সাড়ে চার হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে সিনিয়র স্টাফ
নাস মাকসুদা বেগম একটি কক্ষে থাকেন। একই ভাড়া দিয়ে ৩ রুমে থাকেন নার্সিং সুপার ভাইজার আয়শা খানম, মাসে ২২০০ টাকায় ২ রুম নিয়ে থাকেন রহিমা ভূইয়া নামে অপর নার্স। এখানে বর্তমানে চরমবৈষম্য দেখা গেছে।
সিনিয়র স্টাফ নার্স মাকসুদা বেগম বলেন, একমাস যাবত গ্যাস ও পানি না থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছ। রুম বরাদ্ধেও চরম স্বেচ্ছাচারিতা দেখিয়েছে। সব জায়গায় জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি ডরমেটরির সংস্কার কাজ করা কালীন অন্য নার্সদের রুম দেয়া হলেও আমাকে দেয়া হয়নি। ডরমেটরির ভিতর হতে পাশের মেথরদের পানি সংযোগ দেয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামানের
কাছে জানতে চাইলে তিনি নিউজএটুজেডকে বলেন, ডরমেটরী সংস্কার কাজ চলছে। গ্যাসের লাইনের ভিতর পানি ডুকেছে। তিতাসের কাজ তারা ঠিক করে দিলে সম্ভব বলে দায়সারা মন্তব্য করেন। সমাজকল্যান অফিসারকে
বলেছি এবং বিষয়টি সিভিল সার্জন স্যার ও জানেন।একমাস যাবত ডরমেটরিতে গ্যাস ও পানি না থাকলেও কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতায় তীব্র অসন্তোষ রয়েছে নার্সদের।

 

ফাতেমা মনি’র হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলীর উত্তর গোপালনগরে শ্বশুর বাড়িতে নিহত ফাতেমা আক্তার মনিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে নিহত মনির পরিবার।
রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯ ঘটিকায় বক্তাবলী পুলিশ ফাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে এ দাবী জানানো হয়।
নিহত মনির মামা মোঃ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, মনির নানা হাজী সাহাবুদ্দিন, দাদা মোঃ আলী, জমির শিকদার, সমাজসেবক নুর হোসেন, জাহাঙ্গীর ফকির, মনির বাবা মোঃ হোসেন আলী, মনির ভাই মামলার বাদী তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।উপস্থিত ছিলেন মনির মামা মোঃ আলী,উত্তরগোপালনগরের সমন, আমির, বদু, শাহজাহান, মিন্টু, শাকিল সহ এলাকাবাসী।মামলার বাদী মনি’র ভাই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মনির হত্যাকারী স্বামী আশিক চাঁন রাত ১১ টায় ফোনে বলে মনি বিকাল ৪ টা হতে দরজা বন্ধ করে রেখেছে। এ খবর পেয়ে গিয়ে দেখি মনির স্বামী আশিক চান, শ্বশুর আওলাদ হোসেন,শ্বাশুড়ী ফেরদৌসী বেগম কেউ বাড়ীতে নাই। আমার বোন মনিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।মনির বাবা হোসেন আলী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। মনির শ্বশুর আওলাদ হোসেন অনেক টাকার মালিক। টাকা দিয়ে ময়নাতদন্ত রির্পোট ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে না পারে সেজন্য এসপি, ডিসি ও সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপ
কামনা করেন।মানববন্ধন কর্মসূচী হতে অবিলম্বে পলাতক খুনী আশিক চান, শ্বশুর আওলাদ হোসেন, শাশুড়ী ফেরদৌসীকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামালউদ্দিনের প্রতি আহবান জানানো হয়।
অকালে নিহত মনির মৃত্যুতে পুরো বক্তাবলী জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উল্লেখ্য ৬ অক্টোবর ফাতেমা আক্তার মনির লাশ শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।

পাগলা কোষ্ট গার্ডের অভিযানে মেঘনা নদী থেকে কোটি টাকার কারেন্ট জাল ও মা ইলিশ জব্দ

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমাণ্য করে মা ইলিশ শিকারের সময় ফতুল্লার পাগলা কোস্ট গার্ড সদস্যরা মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৮০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ২৪০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করেছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত আড়াইটায় মেঘনা নদীর মোহনায় অভিযান চালায় কোস্ট গার্ড সদস্যরা। এ ওই কারেন্ট জাল ও ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। অবৈধ কারেন্ট জালের আনুমানিক মূল্য ৯৯ লাখ ২০ হাজার টাকা।

তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে জেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি কোষ্ট গার্ডেও সদস্যরা। শনিবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে পাগলা কোস্ট গার্ড স্টেশনের লেফটেন্যান্ট এম এনায়েত উল্লাহ এ তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, জব্দকৃত অবৈধ কারেন্ট জাল ও ইলিশগুলো জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ মেছবাহুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হলে তিনি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করে জব্দকৃত মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানা ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন।

ফতুল্লার বক্তাবলীতে নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু

ফতুল্লার বক্তাবলীতে স্বামীর পরকীয়া প্রেম ও শশুর বাড়ির লোকদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিয়ের ৫ মাসের মাথায় ফাতেমা আক্তার মনি (১৮) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতনের পর মনিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। আর ফাতেমা আক্তার মনি মারা যাওয়ার পর হতে শশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। যার কারনে মনির মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপু রে ফতুল্লার উত্তর গোপালনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।

নিহত ফাতেমা আক্তার মনি উত্তর গোপালনগর এলাকার আশিক হোসেন চাঁনের স্ত্রী ও বক্তাবলীর মধ্যনগর এলাকার হোসেন আলীর মেয়ে।

নিহতের বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম জানান, তার ছোট বোন ফাতেমা আক্তার মনিকে চলতি বছরের ৫ মে বক্তাবলীর উত্তর গোপালনগর এলাকার আওলাদ হোসেনের ছেলে আশিক হোসেন চাঁনের সাথে ইশলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর হতে জানতে পারে ছোট বোনের স্বামী একজন নেশাগ্রস্ত ও পরকীয়া প্রেমে জড়িত। যার কারনে প্রায় সময় মনিকে তার স্বামী শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এমনকি মনির স্বামী আশিক প্রায় সময় নতুন বউ রেখে বাহিরে রাত্রি যাপন করে। এতে করে মনি বিষয় গুলো শশুর বাড়ির লোকজনকে জানালে তারা আরো ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে। যার কারনে শুক্রবার সকালে মনি তার শশুর বাড়ির ২য় তলায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আর সেই সংবাদটি মনির স্বামী ফোন করে তাকে জানায়। পরে মনির শশুর বাড়িতে গিয়ে স্বামী,শশুর শাশুরীসহ কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এতে করে তারা ধারনা করছে মনিকে হত্যা করে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন নিউজ প্রতিদিন ডট নেট কে জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমা আক্তার মনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের পরিবারের হত্যার অভিযোগ করলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযোগ আমলে নেয়া যাচ্ছে  না। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।