২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 182

ইমাম হুসাইন (রা) একমাত্র খেলাফত প্রতিষ্ঠা জন্য শহীদ হয়েছিলেন-ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরীফের মাসিক যিকির মাহফিলে দরবার শরীফের সালেক, ভক্ত, মুরিদদের উপস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনায় আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরিফের বর্তমান গদ্দিনাশীন পীর,আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরী হুজুর বলেন- মুহাররম মাস চলছে এ মাসটি আসলে ইমানদার মুসলমানদের হৃদয়ে কারবালার প্রান্তরে শহীদ হওয়া ইমাম হুসাইন (রা) এবং তাঁর সঙ্গীদের প্রতি অগাধ ভক্তি শ্রদ্ধার মাধ্যমে তাদেরকে স্বরণ করা হয়ে থাকে। অপর পক্ষে পাপিষ্ঠ ইয়াজিদ এবং তার সৈন্যদের প্রতি ধিক্কার এবং লানত। আমাদের অনেকেরই সঠিক কারবালার ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ, আবার অনেকে সঠিক ইতিহাস জানা না থাকায় অন্ধকারে তীর মেরে থাকেন।কুফাবাসী ইমাম হুসাইন (রা) এর নিকট ১৫০ টির অধিক চিঠি প্রেরণ করে পাপিষ্ঠ ইয়াজিদের রাজনন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে অসহায়দেকে অত্যাচারের কথা বলা হয়।আর কারণের তিনি কারবালার প্রান্তরে গিয়েছিলেন খেলাফত প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আর সেখানে পৌঁছে ইয়াজিদের দলের প্রধান সেনাপতি দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।বার বার ইয়াজিদের রাজতন্ত্রের প্রতি বাইয়াত আনয়ণ করার জন্য ইমাম হুসাইন (রা) কে জোর তাগিদ করা হয়। তখন ইমাম হুসাইন (রা) হুংকার দিয়ে বলেছিলেন জীবন চলে গেলেও আমার নানার আদর্শ থেকে আমাকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি ঘঠাতে পারবেনা। আর এই কারণের তাঁকে শহীদ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় পাপিষ্ঠ ইয়াজিদের নিকট যখন ইমাম হুসাইন(রা) এর মাথা মোবারক নেওয়া হয়েছিল তখন ইয়াজিদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সে ইমাম হুসাইন(রা) খন্ডিত মাথায় খোঁচা দিয়ে বলেছিল বদরে মুহাম্মাদ (সা) আমার পুর্ব পুরুষদের হত্যা করেছিল আজ আমি তাঁর নাতি ইমাম হুসাইনকে হত্যা করে তার প্রতিশোধ নিলাম। এছাড়াও সে অসংখ্য আহলে বায়াতকে হত্যা করেছিল। এবং ইসলামী খেলাফত ধ্বংস করে রাজতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে। পৃথিবীর বড় বড় মুফাসসির,মুহাদ্দেস,ফকিহগণের ইয়াজিদ সম্পর্কে ধারণা হল তাকে মুমিন, মুসলমান বলার কোন সুযোগ নেই। অনেকে বলেছেন ইয়াজিদ মদকে হালাল বলতো আর বিশেষ করে সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রেসালাতকেই বিশ্বাস করতো না। কুরআন,হাদীস অনুযায়ী সুস্পষ্ট ফতোয়া যারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রেসালাতকে বিশ্বাস করেনা তারা কুখ্যাত কাফের। পীর সাহেব জৈনপুরী হুজুর আরো বলেন-মুহাররম মাস আসলেই কিছু টেলি মৌলভী এবং ইয়াজিদ প্রেমীকদের দেখা মিলে। যাদের একটাই কাজ শুধু ইয়াজিদকে শ্রেষ্ঠ মুমিন বলা আর ইমাম হুসাইন (রা)দোষারুপ করা। এমনকি ঐ ভন্ডরা ইয়াজিদকে রাদিয়াল্লাহু আনহু বলে থাকে(নাউযুবিল্লাহ)। লেবাননে ইয়াজিদের নামে মাদ্রাসা তৈরী করেছে সুতরাং আমাদেরকে এই ইয়াজিদের দালালদের থেকে সাবধান থাকতে হবে, কারণ আহলে বায়াতদেরকে যারা গালাগালি করে তারা অবৈধ সন্তান ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা। পরিশেষে মিলাদ কিয়াম এবং মোনাজাতের মাধ্যমে মাসিক যিকির মাহফিলের সমাপ্তি ঘটে।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে রহিম সম্পাদক-লিটন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের একাধিক বারের নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম আসন্ন নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনে অংশ নিতে বুধবার দুপুরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। অপরদিকে, বর্তমান কমিটির দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন এবারের নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তার প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ অক্টোর ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার প্রদীপ চন্দ্র রায়, অপর দুই নির্বাচন কমিশনার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক নাফিজ আশরাফ ও সাধারন সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ।

না’গঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নে রুমী সভাপতি ও রাজু সম্পাদক নির্বাচিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ জেলার প্রথম সরকারী রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনইউজে) রেজি নং-বি-৪৪৬০ এর দ্বী বার্ষিক সাধারণ সভা ও নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় রাইফেল ক্লাব মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনইউজে) রেজিঃ নং-বি-৪৪৬০ এর সাধারণ সভা শেষে এডহক কমিটির মাধ্যমে আগামী ২ বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি পদে এস এম ইকবাল রুমী (দৈনিক খবর) ও সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ (ডিবিসি নিউজ চ্যানেল ও দৈনিক যুগান্তর) নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন সিনিয়র সহ সভাপতি কমল খান (দৈনিক নারায়ণগঞ্জের আলো), সহ সভাপতি আরিফুজ্জামান (দৈনিক ভোরের কথা), আল আমিন তুষার (দৈনিক যুগান্তর, সোনারগাঁ) যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসাইন (লাইভ নারায়ণগঞ্জ), মনির হোসেন সুমন (দৈনিক দেশের আলো), সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বিলিপ কুমার মন্ডল (নিউজ টুয়েন্টিফোর চ্যানেল ও দৈনিক কালের কন্ঠ), সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান (বাংলাদেশ প্রতিদিন, আড়াইহাজার), অর্থ সম্পাদক রোমান চৌধুরী সুমন (বাংলাদেশ প্রতিদিন), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ হাই মিলন (দৈনিক যুগান্তর, রুপগঞ্জ), দপ্তর সম্পাদক হাজী নাসিরউদ্দিন (দৈনিক মানবকন্ঠ), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সামন হোসেন (দৈনিক মানবজমিন), সমাজকল্যান সম্পাদক হোসেন চিশতি শিপলু (দৈনিক যুগান্তর, সিদ্ধিরগঞ্জ) নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন, রনজিৎ মোদক, এস এম বাবুল, আলমগীর আজিজ ইমন, শাকিল আহমেদ ডিয়েল।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আড়াইহাজার থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ, দৈনিক রুদ্রবার্তার সম্পাদক শাহ আলম তালুকদার, বন্দর প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি কবির হোসেন, কায়সার আহমেদ, মিজানুর রহমান, রাসেল আহমেদ, জি এম সহিদ, কামরুল হাসান, এমরান হোসেন, আরিফ হোসেন, জুয়েল চৌধুরী, এস এম রুবেল মাহমুদ, ইমদাদুল হক দুলাল, আনিসুর রহমান, আল আমিন ভ’ইয়া, মঞ্জুরুল কবির বাবু, ফজলে রাব্বি সোহেল, আবুল বাশার, মনির হোসেন, শেখ সুমন আহমেদ, হিরালাল বাদশা, হাবিবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন সজীব, এস এম শাহাদাত, ফরহাদ হোসাইন, কামাল হোসন মিন্টু, মিলন বিশ্বাস হৃদয় প্রমুখ।

সাধারণ সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দৈনিক ইত্তেফাকের আড়াইহাজার প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ। সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন যথাক্রমে রাজু আহমেদ ও মনির হোসেন সুমন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সভাপতি এস এম ইকবাল রুমী। সভায় নতুন কমিটি গঠনের জন্য ৮ সদস্য বিশিষ্ঠ এডহক কমিটি করে দায়িত্ব দেয়া হয়। এডহক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া, জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আগামী ২ বছরের জন্য ১৯ সদস্য বিশিষ্ঠ কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন করেন। সাধারণ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে উক্ত কমিটি অনুমোদন করা হয়।
কমিটি ঘোষনার পর নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সভাপতি এসএম ইকবাল রুমী বলেন, আজকে আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ যে আপনারা পুনরায় আমাকে সভাপতি পদে মনোনীত করেছেন। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো এই সংগঠনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। আগামী ১ মাসের মধ্যে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় করবো। যাতে পরবর্তি সভাগুলো সেই কার্যালয়ে করতে পারি। নভেম্বরে জাঁকজমকপূর্ণ অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো। নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি। নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনইউজে) রেজি নং-বি-৪৪৬০ জেলার প্রথম সরকারী রেজিষ্ট্রেশনভূক্ত ইউনিয়ন। প্রথম পর্যায়ে যে গতি নিয়ে সংগঠনটির অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিলো পরবর্তিতে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি। আজকে দীর্ঘদিন পর আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আপনারা সাংবাদিকরা এসে উপস্থিত হয়েছেন সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সকলের সাথে আলোচনা করে ভবিষ্যতে সাংবাদিক ইউনিয়নকে আরও গতিশীল করার পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ বলেন, আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ আবারও আমাকে সাধারণ সম্পাদিকের দায়িত্ব দিয়েছেন। এ দায়িত্ব পালনে আমি সকলের সহযোগীতা চাই। আজকে এখানে কার্যালয়ের দাবি করা হয়েছে। আমরা ১ বছরের মধ্যে নিজস্ব কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ। দেড় মাসের মধ্যে অভিষেক অনুষ্ঠান করবো। বছরে ১ বার ফ্যামিলি ডে করবো। আজকে আপনারা স্বঃতস্ফুর্তভাবে উপস্থিত হয়েছেন। আগামী সভাগুলোতেও এভাবে উপস্থিত হলে আমরা দ্বীগুন উৎসাহ নিয়ে কাজ করতে পারবো। আপনাদের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতি নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
সভায় অন্যান্য বক্তারাও সংগঠনকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য প্রদান করেন। সভাশেষে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুলের মালা দিয়ে বরন করে নেন সদস্যরা। এরপর দুপুরের খাবারের আমন্ত্রণ জানিয়ে সভা সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে আব্বাসী মঞ্জিলে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুর দরবার শরীফ এবং পাঠানটুলী যুব সমাজের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ পাঠানটুলীতে আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুর দরবার শরীফে রবিবার সকালে খাতমে কোরআন,বাদ যোহর মিলাদ শরীফ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন, তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতের আমির আল্লামা মুফতি ড. সাইয়্যেদ মুহামাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী হুজুর। মুহাম্মদ রোকন ভুইয়া ও ফয়সালের তত্ত্বাবয়াধানে পাঠানটুলী যুব উন্নয়ন কমিটির সংশ্লিষ্টতায় মোনাজাতের পর তাবারক বিতরণ করা হয়।

সমাজ কর্মী মান্নান ভূঁইয়ার জামিন

মানব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়ার হত্যা চেষ্টাকারী ও চিহ্নিত মাদক সন্ত্রাসী দ্বারা নারায়ণগঞ্জ আদালতে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলায় বুধবার সকালে মান্নান ভূঁইয়া সহ অন্যান্য আরও তিনজন সমাজকর্মী আদালত থেকে জামিন পেয়েছে।

জানাযায়, মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলায় গত বছর ১৮ আগষ্ট চিহ্নিত মাদক সন্ত্রাসী সমাজকর্মী মান্নান ভূঁইয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত ও গুলিবিদ্ধ করে রক্তাক্ত জখম করে হত্যার চেষ্টা চালায়। ঐ সময় হত্যা চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬/১১৪ দঃবিঃ তৎসহ বিষ্ফোরক উপাদানাবলী সংশোধন আইন ২০০২ এর ৩ ধারা মোতাবেক সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা নং-৪৫(৮)১৬।

মান্নান ভূঁইয়া হাসপাতালে থাকাকালীন অবস্থায় মাদক সন্ত্রাসীদের সেল্টারদাতা ডিএইচ বাবুল হাসপাতালে গিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকী প্রদান করে। এই ঘটনায় ডিএইচ বাবুলকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের করে। স্মারক নং-৭১৫০/অপরাধ শাখা। অভিযোগের পর র‌্যাবের হাতে ক্রস ফায়ারে নিহত মাষ্টার দেলুর সাথে ডিএইচ বাবুল মান্নান ভূইয়ার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করার চেষ্টা চালায়। এই ঘটনায় আবারও পুলিশ সুপারের নিকট আরেকটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ নং-আর ২৩৯৩ভি। তারপরও ডিএইচ বাবুল একের পর এক মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূইয়া ও তার পরিবার পরিজন এবং আত্মীয়-স্বজনের ক্ষতি করার জন্য ওঠেপড়ে লাগে। মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য অব্যাহত হুমকির ফলে ফতুল্লা মডেল থানায় বাবুল সহ আরো কয়েক জনকে আসামী করে একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়। ডায়রী নং-৬০৮। পরবর্তীতে এই ডায়রীটি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আদালতের নির্দেশে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে নন এফআই প্রসিকিউশন দাখিল করে। জুডিশিয়াল আদালত গত ১লা আগষ্ট মামলাটি আমলে নেয়। যার মামলা নং-৫৩/২০১৭।

বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে এবং মাদক সন্ত্রাসীদের রক্ষা করতে আইলপাড়া পাঠানটুলী এলাকার মৃত: আব্দুল খালেকের কুখ্যাত ছেলে ডিএইচ বাবুল নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সমাজকর্মী মান্নান ভূইয়া সহ তার পরিবারের আরও ৩ জনকে আসামী করে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করে। মামলায় ১৩৩/১৬ মামলায় ঘটনাস্থল দেখানো হয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নতুন আইলপাড়া এলাকায়। উক্ত মামলায় দুইজন স্বাক্ষীর নাম না জানিয়ে ব্যবহার করলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর ঐ দুইজন স্বাক্ষী বাদী ডি এইচ বাবুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান এবং স্বাক্ষী থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষনা দেন।

স্বাক্ষীরা আরো বলেন মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা সমাজে অত্যন্ত ভালো লোক এবং মাদক সন্ত্রাস বিরোধী কাজ করায় তাদের বাধাগ্রস্থ করতে দেলোয়ার হোসেন ওরফে ডিএইচ বাবুল সাাজনো নাটক করে এই মামলা দায়ের করা হয়। যার স্মারক নং-২৭০১ভি ও অপরটির স্মারক নং-আর ২৬৭১ ভি এবং উক্ত অভিযোগটি জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মহোদয়ের কাছে অনুলিপি প্রদান করা হয়। যার স্মারক নং-১৭২১১ এবং অপরটির ১৭০৮৫। পরবর্তীতে ডিএইচ বাবুল কোন উপায়ন্তুর না পেয়ে মামলাটি প্রত্যাহার করে আবারও ঘটনাস্থল নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্তর দেখিয়ে আরকেটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২৫/১৬। উক্ত মামলার রেফারেন্সে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বিবাদী মান্নান ভূইয়া ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থানায় নেই এবং সমাজে তারা অত্যান্ত ভালো লোক হিসেবে পরিচিত বলে একটি প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনটি সরেজমিনে এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের জিজ্ঞাসাবাদে লেখা হয়। কিন্তু ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ রহস্যজনক কারনে উক্ত মামলায় দেলোয়ার হোসেন ওরফে ডিএইচ বাবুল এবং মাদক সন্ত্রাসীদের পক্ষ অবলম্বন করে সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে আদালতে। যারফলে বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর সমাজকর্মী মান্নান ভূইয়া, সেলিম, ইমতিয়াজ ও শাওন নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী বার সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ আদালত বাদী বিবাদীর উপস্থিতিতে সমাজকর্মী মান্নান ভূইয়া সহ অন্যান্যদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এ সময় এডভোকেট সাখাওয়াত হোসনে খানের সাথে আরো ছিলেন এডভোকেট এস. এম কবির ও এডভোকেট ছরোয়ার হোসেন। জামিন পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান মান্নান ভূইয়া বলেন, হামলা-মামলা দিয়ে মাদক বিরোধ সামাজিক আন্দোলন বাধাগ্রস্থ করা যাবেনা। আমরা সমাজকর্মীরা মাদক বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং আইলপাড়া পাঠানটুলী এলাকাকে মাদকমুক্ত করব ইনশাহআল্লাহ।

শাহজাদা মুস্তাফার ফাঁসি কার্যকর : সত্যের মৃত্যু,লাখো হৃদয়ে কান্না,অটোমান সাম্রাজ্যের পতন

অটোমান সাম্রাজ্যের সোনালী যুগ নিয়ে তৈরি সিরিয়াল ’সুলতান সুলেমানের’ আরেকটি বিয়োগাত্মক পর্বের সমাপ্তি ঘটলো। ফাঁসি কার্যকর করা হলো সুলতান সুলেমানের সবচেয়ে যোগ্য উত্তরসুরী বড় ছেলে শাহজাদা মুস্তাফার। আর তার এ পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না সৈনিক শিবির থেকে সাধারণ জনগণও। এমনকি তার সৎ ভাই শাহজাদা জাহাঙ্গীরের অভিব্যক্তি বলে দিচ্ছে শাহজাদা মুস্তাফা কতটা মানুষের হৃদয় জয় করে নিতে পেরেছিলেন।

’সুলতান সুলেমান’ সিরিজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র শাহজাদা মুস্তাফা। সুলতান সুলেমানের নির্দেশে, তারই সামনেই প্রাণ কেড়ে নেয়া হলো শাহজাদা মুস্তাফার। মুস্তাফাকে হত্যার পর সৈন্যশিবিরে ব্যাপক ক্ষোভ ও কান্নার অভিব্যক্তি দেখা যায়। তার সৎ ভাই শাহজাদা জাহাঙ্গীরকেও ব্যাপক কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। হতাশ হয়েছেন তার লাখো অনুসারি, যারা তাকে সাম্রাজ্যের পরবর্তী সুলতান হিসেবে চেয়েছিলেন।

সুলতান সুলেমানের বাল্যবন্ধু ও প্রধান উজির ’ইব্রাহীম পাশা’র পর এই চরিত্রটির ব্যাপারে দর্শকের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। এবার ’শাহজাদা মুস্তাফা’ চরিত্রের নির্মম পরিণতি দেখলো। সেই সাথে দেখলো অন্দরমহলের ষড়যন্ত্রের জালে কীভাবে আটকা পড়ে গেলেন সুলতান সুলেমান। গল্প অনুসারে বলতে হয়, তিনি তার শাসনামলের সবচেয়ে বড় ভুলটুকু করে বসলেন।

’সুলতান সুলেমান’ সিরিজটি নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে দীপ্ত টিভিতে। ’সুলতান সুলেমান’ সিরিজে ’শাহজাদা মুস্তাফা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তুর্কি মডেল, চিত্রনায়ক ও প্রযোজক মেহমেত গুনসুর। চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন ১৯৯৭ সালে। ছবির নাম ’হাম্মাম’। এরপর এ পর্যন্ত তিনি ১৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

চলচ্চিত্রের আগে ১৯৮৯ সালে মেহমেত যুক্ত হন টেলিভিশনের কাজের সঙ্গে। ছোট পর্দার অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য সিরিজে কাজ করেছেন তিনি।

প্রায় সাত শ বছর ধরে তুরস্কের অটোমান সাম্রাজ্যের রাজত্ব ছিল পৃথিবীজুড়ে। এই সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ ছিল সুলতান সুলেমানের নেতৃত্বে ষোড়শ থেকে সপ্তদশ শতাব্দী। ক্ষমতার টানাপোড়েনে অটোমান সাম্রাজ্যের ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা, ভাই হত্যা, সন্তান হত্যা ও দাসপ্রথার অন্তরালে কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছে ’সুলতান সুলেমান’ সিরিজ। এখানে জীবন্ত হয়ে উঠেছে সুলতানকে প্রেমের জালে আবদ্ধ করে এক সাধারণ দাসীর সম্রাজ্ঞী হয়ে ওঠার কাহিনি।

সুলতান সুলেমান : সিনেমায় ও ইতিহাসে

মাসুদ মজুমদার
ইতিহাসের সাথে মানুষের সম্পর্ক নিবিড় এবং সহজাত। ইতিহাস শুনতে, বলতে এবং স্মৃতি তর্পণ করতে মানুষ আনন্দ পায়। ইতিহাস নিয়ে যারা ভাবেন, খোঁজখবর রাখেন, তাদের কাছে ইতিহাস-অন্বেষা এক ধরনের নেশা। ইতিহাসের প্রতি আগ্রহের কারণেই ভগবান এস গিদওয়ানির ’সোর্ড অব টিপু সুলতান’ এখনো উপমহাদেশের সব ধর্মের মানুষকে নাড়া দেয়। নির্মাণশৈলীর কারণে ইতিহাসের প্রকৃত মহিশুরের হায়দার আলীর পুত্র টিপু সুলতান আর সোর্ড অব টিপু সুলতানের মধ্যে কিছু ফারাক সহজেই বোধগম্য।

তবে গিদওয়ানি ইতিহাস বিকৃতির দায় নিতে চাননি। তাই শিল্পসৌন্দর্য ইতিহাসের সত্যকে আড়ালে নিয়ে যায়নি। বাংলাদেশের মানুষ পলাশী ও নবাব সিরাজউদ্দৌলাহকে ইতিহাস পড়ে জানেনি। খান আতার কালজয়ী সিনেমা দেখে চিনেছে ও জেনেছে। খান আতা ইতিহাসকে আশ্রয় করে শিল্পের আবেগকে সুনিপুণ হাতে কাজে লাগিয়েছেন। ইতিহাস সত্যের সাথে শিল্পের সৌন্দর্য একাকার করে নতুন এক সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তাই কল্পনা-আশ্রয়ী থ্রিলার আর ইতিহাসের চরিত্র আলাদা হতেই পারে।

দস্যু বাহরাম, বনহুর প্রমুখ লেখক-কল্পনার বহিঃপ্রকাশ, রবিনহুড সার্বিক অর্থে তা নয়। ইতিহাস-সত্যের কাছাকাছি থাকার গরজে এই পার্থক্যটুকু মাথায় রাখা জরুরি। ইতিহাস-আশ্রয়ী নাটক সিনেমা দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার কারণও ইতিহাস প্রীতি।

বলিউড, টালিউড, হলিউড ও লাহোরকেন্দ্রিক স্টুডিওগুলো থেকে প্রচুর ইতিহাস-আশ্রয়ী, ইতিহাস দ্বারা অনুপ্রাণিত কিংবা ইতিহাসকেন্দ্রিক নাটক-সিনেমা ও ডকুমেন্টারি নির্মাণ করা হয়েছে।

যেমন ’আউর তলোয়ার টুট গেই’, ’আখেরি চাটান’, ’ছিনলে আজাদি’। বলা চলে ইতিহাসভিত্তিক সিনেমাগুলো দর্শকপ্রিয়তাও পেয়েছে। ইতিহাসের প্রতি মানুষের সহজাত মোহ অথবা পেছনে তাকাবার দায়বদ্ধতার এটাও একটা নজির। ইতোমধ্যে বিশ্বের সেরা মহানায়কদের নিয়ে সিনেমা নির্মাণের প্রচুর কাজ হয়েছে। ধর্মীয় নেতা, বিদ্রোহী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা ও ব্যতিক্রমী চরিত্রের প্রভাবক মানুষগুলোও এ তালিকা থেকে বাদ পড়েননি।

আমাদের দেশে ফকির মজনু শাহ, শহীদ তিতুমীর একমাত্র উপমা নয়, গান্ধী থেকে ম্যান্ডেলা, আদম-ইভ থেকে মুহাম্মদ সা: পর্যন্ত অসংখ্য চলচ্চিত্র কিংবা ডকুমেন্টারি নির্মিত হয়েছে। দি মেসেজ ও মেসেঞ্জার ছাড়াও রয়েছে অনেক দৃষ্টান্ত।

এরই ধারাবাহিকতায় অটোমান বা ওসমানিয়া সাম্রাজ্যের অন্যতম দিকপাল মহান সুলতান সুলেমানকে নিয়েও কাজ হয়েছে। আরবের স্বাধীনতাকামী নেতা ওমর মোখতার নিয়ে যে সিনেমা তৈরি হয়েছে, তা স্বাধীনতাকামী যেকোনো মানুষকে আলোড়িত করে। তবে সিনেমা তৈরির সময় রচনাকারী, প্রযোজক, পরিচালক ভুলে যান না এর মধ্যে বিনোদন এবং কাহিনী কাব্যের রসদ না দিলে দর্শক টানবে না।

মেরাল ওকেয় রচিত সুলতান সুলেমান নির্মাণের সময় ইয়ামুর তাইলানরা সেই বাস্তবতাটি ভুলে যাননি। বিনোদন উপস্থাপন করতে গিয়ে শাসক সুলতান সুলেমানকে কিছুটা আড়ালে ঠেলে দেয়া হয়েছে। হেরেমের কূটকচাল, দাস-দাসীদের দৈনন্দিন জীবনাচার এবং সুলতানাদের স্নায়ুযুদ্ধ বিনোদন জোগান দেয়ার স্বার্থে প্রাধান্য পেয়ে গেছে।

হেরেমের ড্রেস কোড খোলামেলাভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। সিরিজজুড়ে অন্দরমহলের প্রাধান্যের কারণে একজন সুশাসক, তুখোড় কূটনীতিক ও বিচক্ষণ সুলতানের পরিচিতি তুলনামূলক কম গুরুত্বের সাথে উঠে এসেছে। সিরিজগুলো ’আকর্ষণীয়’ ও আদিরসাত্মক করার জন্য যত গোঁজামিলই দেয়া হোক, কোনো জননন্দিত সুশাসক রমণীকাতর কামিনীবল্লভ হন না। এ ব্যাপারে সুলতান সুলেমানও ইতিহাসের কাছে অভিযুক্ত নন।

ইতিহাসের পাঠক এবং ইতিহাস-অনুপ্রাণিত দর্শক ভুলে যেতে পারেন না, বিনোদনের রসদ জননন্দিত কোনো শাসকের বৈশিষ্ট্য নয়। ইতিহাসের অংশও নয়। তবে সামগ্রিক জীবনের অংশ।

সম্প্রতি সুলতান সুলেমানের ওপর নির্মিত আলোচিত-সমালোচিত কাহিনী নাটকটি একটি বেসরকারি চ্যানেল দেখাতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধশত সিরিজ প্রদর্শিতও হয়ে গেছে।

এই প্রজন্মের কাছে ইতিহাসখ্যাত সুলতান সুলাইমান বা সুলেমান ও অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস আকর্ষণীয় কিছু নয়। তবে নির্মাণশৈলী ও বিনোদনের রসদ দিয়ে হেরেমের কাহিনীগুলো যেভাবে রগরগে করে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে এ যুগে ’দর্শকপ্রিয়তা’ পাওয়ারই কথা। নতুন চ্যানেলটি সুলতান সুলেমান দেখিয়েই কিছু পরিচিতি পেয়েছে।

বাস্তবে বা ইতিহাসের সুলেমান-১ হেরেমের নায়ক নন। ইতিহাসের কালজয়ী এক মহানায়ক। প্রথম সুলেমান অটোমান বা তুর্কি খলিফাদের মধ্যে সেই বিরল ব্যক্তিত্ব, যিনি একটানা ৪৬ বছর (১৫২০-১৫৬৬) সাম্রাজ্য শাসন করেছেন।

তিনি সময় মেপে পথ চলেননি, সময় যেন তাকে অনুসরণ করেছে। ইউরোপীয় ইতিহাসবেত্তারা তাকে ’গ্রেট’ এবং ’ম্যাগনিফিসেন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা মিলিয়ে অটোমান সাম্রাজ্যের তখনকার বিস্তৃতি ছিল তিন মহাদেশের বিরাট অংশজুড়ে।

সুলেমান-১ জন্ম নিয়েছিলেন ১৪৯৫ সালের ২৭ এপ্রিল। তার পিতা সুলতান সেলিম-১, মা হাফছা সুলতান সন্তানের চরিত্র গঠন ও গুণগত লেখাপড়ার দিকে বেশি মনোযোগী ছিলেন। দাদী গুলবাহার খাতুনই ছিলেন কার্যত সুলেমানের প্রথম শিক্ষক এবং গাইড।
মাত্র সাত বছর বয়সে সুলেমান তার দাদা সুলতান বায়েজিদ-২ এর কাছে ইস্তাম্বুলে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু করেন। পৃথিবী বিখ্যাত জ্ঞানতাপস খিজির ইফিন্দি বা আফেন্দি ছিলেন তার ওস্তাদদের মধ্যে অন্যতম। তার কাছেই সুলেমান ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য, ধর্মতত্ত্ব, রাষ্ট্রনীতি ও সমরকৌশল নিয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পান। তারপর সুলেমান ১৫ বছর বয়স হওয়া অবধি ট্রাবজনে তার পিতার সাথে অবস্থান করেন। এই ট্রাবজনই ছিল তার জন্মস্থান।

নেতৃত্বের যোগ্যতা, সততা, বুদ্ধি, জ্ঞান ও প্রতিভার গুণে মাত্র ১৫ বছর বয়সে সুলেমান গভর্নর নিযুক্ত হন। তাকে প্রথমে সরকি প্রদেশে, তারপর কারা হিসর, বলু এবং অল্প সময়ের জন্য কিফিতেও দায়িত্ব পালন করতে হয়। সুলতান সেলিম-১ ভ্রাতৃদ্বন্দ্বে জিতে ১৫১২ সালে ক্ষমতায় বসেন। তখন পিতার ইচ্ছানুযায়ী সুলেমান ইস্তাম্বুলে যাওয়ার আমন্ত্রণ পান এবং তার বাবার পক্ষ থেকে চাচাদের মধ্যে বিরোধ মেটানোর জন্য তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

তখনো শাহজাদা সুলেমান সরুহান প্রদেশের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। পিতা সুলতান সেলিম-১ মারা গেলে সুলেমান ১৫২০ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে সর্বসম্মতভাবে অটোমান সাম্রাজ্যের খলিফা বা সুলতান মনোনীত হন।

সুলেমানের খলিফা বা সুলতান হওয়ার বিষয়টি কিংবদন্তি হয়ে আছে। তার নামের প্রস্তাব আসে সাধারণ মানুষ, অমাত্য এবং সব ’পাশা’র কাছ থেকে। সে সময় একজন লোকও খুঁজে পাওয়া যায়নি- যিনি তার নামে প্রস্তাব আসার পর দ্বিমত পোষণ করেছেন। পৃথিবীর কম শাসকই এতটা বিতর্কহীন ও সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত হতে পেরেছেন।

সবাই জানত, সুলেমান একজন প্রখর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, দৃঢ়চেতা, আত্মপ্রত্যয়ী ও ধার্মিক মানুষ। তিনি কখনো তার কমান্ড নষ্ট হতে দিতেন না। সুলতান সুলেমান তার জনগণের কাছ থেকে বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য পাওয়ার ব্যাপারে দ্বিধাহীন ছিলেন।

সুলতান এতটাই ধীমান ছিলেন, তার প্রতিটি বক্তব্য হতো শিক্ষণীয় ও নির্দেশনামূলক। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ভাবতেন; শৈথিল্য মানতেন না। ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে এবং ক্রান্তিকালে কখনো ধৈর্য হারাতেন না। ১৫৬৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ৭১ বছর বয়সে সুলতান সুলেমান অভিযানে থাকা অবস্থায় হাঙ্গেরির সিগেতভার শহরে নিজ তাঁবুতে ইন্তেকাল করেন। তার এই মৃত্যু ছিল স্বাভাবিক এবং বার্ধক্যজনিত। তাকে দাফন করা হয়েছিল অটোমান তুর্কি সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল বা আজকের ইস্তাম্বুলে।

তার সমাধিস্থলেই বিখ্যাত সুলেমানি মসজিদ নির্মিত হয়েছে। কালজয়ী ভ্রমণ সাহিত্য প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর ’ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র’ যারা পড়ে থাকবেন, তারা তুরস্ক ও ইস্তাম্বুল সম্পর্কে ধারণা পাবেন। হালে প্রচার করা হচ্ছে, একটি লোককাহিনী।

কথিত আছে, সুলতান সুলেমানের মূল কবর তুরস্কে হলেও তার হৃৎপিণ্ডটি হাঙ্গেরির সিগেতভার শহরের আঙ্গুর কুঞ্জে কবর দেয়া হয়েছিল। এটি কোনো প্রতিষ্ঠিত মত নয়। তার পরও সুলেমানের ’হৃদয়ের খোঁজে’ বহুজাতিক বিশেষজ্ঞ দল এখনো সক্রিয় রয়েছে।
ইতিহাসে সুলেমান আইনপ্রণেতা বা ’কানুনি’ হিসেবে বিশেষভাবে ছিলেন পরিচিত। সুলেমানের আইন গবেষণার ফসল তিন শ’ বছর ধরে কার্যকর ছিল। ইউরোপও এর মাধ্যমে লাভবান হয়েছে। তিনি ছিলেন অটোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সৎ এবং সাহসী শাসক।

সেটা ছিল সাম্রাজ্যের সোনালি যুগ, তখন সৌভাগ্যের সূর্য ছিল মধ্যগগনে। কখনো তার বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতা ও প্রজা নিপীড়নের কোনো অভিযোগ ওঠেনি। একবার মিসর থেকে অতিরিক্ত খাজনা জমা হওয়ার পর তিনি তথ্য-উপাত্ত নিয়ে অনুসন্ধান করে বের করলেন- প্রজাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কর আদায়ের কারণেই অর্থভাণ্ডারে করের আয় বেড়েছে এবং মিসরের সেই গভর্নর নিপীড়ক ছিলেন।
সুলতান দ্রুত সেই গভর্নর পরিবর্তন করেছিলেন। ইসলাম নিয়ে সুলতান সুলেমানের কবিতা বিশ্বের উৎকৃষ্ট কবিতাগুলোর কাতারে স্থান পেয়েছে। সুলেমান তার পরামর্শকদের মধ্যে শিল্পী, চিন্তাবিদ, ধর্মবেত্তা ও দার্শনিকদের বেশি ঠাঁই দিয়েছিলেন এবং তাদের কদর করতেন। এ কারণে ইউরোপের তুলনায় তার বিচারব্যবস্থা, আদালত ও শাসনব্যবস্থা ছিল অনেক বেশি উন্নত, নিরপেক্ষ, মানবিক, ন্যায়ানুগ এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। ওই সময়কার ইউরোপীয় রাজনীতি-অর্থনীতি সুলতানের নখদর্পণে ছিল।

মার্টিন লুথার, প্রটেস্টান্ট ধর্ম ও ভ্যাটিকানের ব্যাপারে তার গভীর উৎসাহ ছিল। তাদের সম্পর্কে প্রচুর জ্ঞানও তার ছিল। সুলতান মিথ্যা বলা পছন্দ করতেন না। কর্তব্যে অবহেলা মেনে নিতেন না, বাহুল্য কথা বর্জন করতেন, হালাল হারাম মেনে চলতেন। তার নির্দেশনা ও বক্তব্য হতো নীতিবাক্যের মতো। সহজেই শত্রু-মিত্র চিনতে পারতেন।

প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার ব্যাপারে সুলতান এতটাই আমানতদার ছিলেন যে, তার ওপর নির্ভরতায় কারো কোনো সন্দেহ ছিল না। কিন্তু দৃঢ়তা ও ব্যক্তিত্বের ছাপ কখনো ম্লান হতো না। অপরাধী কোনোভাবেই পেত না প্রশ্রয়।

দেখতে সুলেমান ছিলেন সুদর্শন, দীর্ঘদেহী, ফর্সা এবং গাঢ় বাদামি ছিল তার চোখ, নাক ছিল খাড়া ও সরু। চোখের ভ্রু ছিল জোড়া লাগানো। দীর্ঘ ছিল তার গোঁফ, দাড়ি ছিল সুন্দর, ব্যক্তিত্ব ছিল প্রখর ও অসাধারণ। তার কণ্ঠস্বর ছিল স্পষ্ট ও ভরাট। তাকে দেখলেই মনে হতো আত্মবিশ্বাসী, বীর, দৃঢ়চেতা ও শক্তিধর। সৌভাগ্য ও অনুকূল পরিবেশ যেন সব সময় তার চার পাশে ঘিরে থাকত।
মাহিজিবরান, খুররম, গুলফাম ও ফুলেন ছিলেন তার স্ত্রী চতুষ্টয়। সেলিম-২, বায়েজিদ, আবদুল্লাহ, মুরাদ, মেহমেদ, মাহমুদ, জিহানগির, মোস্তাফা- এই আট পুত্রসন্তানের জনক। সুলেমানের ছিল দুই কন্যা মিহরিমান ও রেজায়ি।

তুর্কি ভাষার ধ্বনিতত্ত্বের কারণে কিছু শব্দের উচ্চারণ পাল্টে যায়- যেমন খাতুন হয়ে যায় হাতুন, খুররম হয়ে যায় হুররম। আমাদের জানা অনেক শব্দ তুর্কি উচ্চারণে ভিন্নভাবে ধ্বনিত হয়।

বাংলাদেশে যে সিরিজটি প্রদর্শিত হচ্ছে, এটি সম্ভবত ইংরেজি থেকে ডাবিং করা। তবে বাংলা ডাবিং মন্দ নয়, ডাবিংবিচ্যুতিও কম। শব্দচয়নে সতর্কতা লক্ষণীয়- যা ডাবিংয়ের প্রাণ। সন্দেহ নেই, সুলতান সুলেমান একটি প্রাণবন্ত সিরিজ।

ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে দায়বোধের জায়গা থেকে একটা কথা বলে রাখার গরজ বোধ করছি, এ সিনেমায় সুলেমান হেরেম ও সাম্রাজ্যের নায়ক। ইতিহাসের সুলেমান আরো বেশি বর্ণাঢ্য, সুশাসক, বিজয়ী ও মহানায়ক।

১৯২১ সাল পর্যন্ত অটোমান বা তুর্কি খেলাফত ব্যবস্থা টিকে ছিল। আমরা তুর্কি খেলাফতকে নিজেদের ভেবেছি। তার অংশ হওয়াকে গৌরবের বিষয় জেনেছি। ইতিহাস সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে।

কামাল আতাতুর্ক প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতে খেলাফত ব্যবস্থা বিলুপ্তির ঘোষণা দিলে উপমহাদেশজুড়ে খেলাফত পুনরুদ্ধার আন্দোলন শুরু হয়। সেটাই ইংরেজবিরোধী আজাদি আন্দোলনের মাত্রা পায়। গান্ধীজীও আলী ভ্রাতৃদ্বয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত খেলাফত আন্দোলনকে সমর্থন জুগিয়েছেন। পুরো ইউরোপ সুলতান সুলেমানকে সমীহ করে চলত। আমাদের পূর্বপুরুষেরা শ্রদ্ধাভরে তার আনুগত্য করাকে দায়িত্ব ভেবেছেন।

সেই দিনগুলোতে অটোমান সাম্রাজ্যের শাসকেরা ধর্মীয় নেতা এবং উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতেন। আমাদের ইংরেজ শাসনবিরোধী আজাদি আন্দোলনের শুরুর দিকে শায়খুল হিন্দসহ সবাই তুর্কি খলিফাদের সাহায্য নিয়েছেন। রুটি ও রেশমি রুমাল আন্দোলনে তুর্কি পাশা ও খলিফাদের সমর্থন ইতিহাসস্বীকৃত বিষয়।

বিশ্বাস ও নাড়ির টান সুলেমানকে আমাদের কাছাকাছি এনে দেয়। সেটি বিনোদনের সুড়সুড়ি এবং বাঁধহীন ব্যত্যয় বিচ্যুতির কারণে নষ্ট হলে আমরা ইতিহাসের মূলধারা থেকে ছিটকে পড়তে পারি- সেই সতর্কতার জন্যই এই বিষয়ে কলম ধরা। চলমান সিরিজের সমালোচনা করার কোনো দায় আমাদের নেই। ইতিহাসকে কাছাকাছি টেনে আনার উদ্যোগটুকু তো সমর্থনযোগ্য। যা হয়নি তা না হয় আগামী দিনে হওয়ার প্রত্যাশা জাগিয়ে রাখল।

দাউদের অর্থেই চলত বিতর্কিত ইসলামিক প্রচারক জাকির নায়কের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

বিতর্কিত ইসলামিক প্রচারক জাকির নায়েককে টাকা দিতেন মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম। একজন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে দেওয়া হত সেই টাকা।
আর সেই মধ্যস্থতাকারীর নাম সুলতান আহমেদ। দাউদের ভাই কাসকর জেরায় পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছেন।

এর আগেও জানা গিয়েছিল, ‘বিতর্কিত’ ইসলামী বক্তা জাকির নায়েকের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন বা আইআরএফ-তে অর্থ সাহায্য করতো পাকিস্তানে আশ্রয় পাওয়া ও মুম্বাই বিস্ফোরণের প্রধান আসামী দাউদ ইব্রাহিম। একথা জানিয়েছিল জাকির নায়েকের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার আমির গজদার।

বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে আগেই তারিখ আমির গজদারকে গ্রেফতার করে ভারতের ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাদের সন্দেহ, জাকির নায়েক ও তার এনজিওর হয়ে ২০০ কোটি রুপি লেনদেন করেছে এই আমির।

মুম্বাই পুলিশের হাতে সম্প্রতি ধরা পড়েছে দাউদের ভাই কাসকর। তিনি জানান, দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে চারবার কথা হয়েছে তার। ‘বার্নার ফোন’ ব্যবহার করে দাউদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। যার ফলে দাউদের নম্বর গোপন রাখা সম্ভব হয়েছে।

কাসকরকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বার্নার ফোন ও সিম বক্স ব্যবহার করে কাসকর ফোন করেছেন বলে জানা গেছে। কোনও বিশেষ কারণে ফোন নম্বর গোপন করে দাউদকে ফোন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাসকর। এছাড়া সিম বক্স পরিচয় গোপন করে ফোন করার ব্যবস্থা করে।

নাসিক প্যানেল মেয়র হলেন বিভা, মতি ও মিনু

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্যানেল মেয়র নির্বাচনে প্যানেল মেয়র-১ হিসেবে সংরক্ষিত ৬ আসনের (১৬, ১৭, ১৮ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর  আফসানা আফরোজ বিভা, প্যানেল মেয়র-২ হিসেবে ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি এবং প্যানেল মেয়র-৩ হিসেবে সংরক্ষিত ৪ আসনের (১০, ১১, ১২ নং ওয়ার্ড) মিনোয়ারা বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার দুপুরে নগর ভবনে নাসিকের ৫ম মাসিক সভায় মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৩৬ কাউন্সিলর ভোট দেন।
প্যানেল মেয়র-১ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা  বিজয়ী প্রার্থী নাসিক সংরক্ষিত ৬ আসনের (১৬, ১৭, ১৮ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর  আফসানা আফরোজ বিভা পেয়েছেন ১৬ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুল করিম বাবু পেয়েছেন ১৩ ভোট এবং ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ পেয়েছেন ৬ ভোট ।
প্যানেল মেয়র-২ হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি।
প্যানেল মেয়র-৩ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা বিজয়ী প্রার্থী নাসিক সংরক্ষিত সংরক্ষিত ৪ আসনের (১০, ১১, ১২ নং ওয়ার্ড) মিনোয়ারা বেগম পেয়েছেন ১৫ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী হিসেবে ছিলেন, সংরক্ষিত ৫ আসনের (১৩, ১৪, ১৫ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি পেয়েছেন ১৪ ভোট এবং সংরক্ষিত ৩ আসনের (৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা ৮ ভোট পেয়েছেন।
ফলাফল ঘোষণা শেষে নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী জানান, নির্বাচন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট । যারা নির্বাচিত হয়েছেন সকলেই আমার সহকর্মী । যে যার যোগ্যতা অনুযায়ী নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে মেয়র বলেন, এ নির্বাচনে আমার কাছের প্রার্থী জয়ী হওয়াতে আমি আনন্দিত। আমি জনগনের প্রার্থী, ভবিষৎ এ জনগণের সাথে সমন্বয় এবং সকল আন্তরিকতা রেখে কাজ করবো। এবং আশা করবো আমার কাজে সকল কাউন্সিলরা আন্তরিকতার সাথে সহযোগীতা করবেন।
বিজয়ী প্যানেল মেয়র-১ আফসানা আফরোজ বিভা বলেন, আমাকে আমার সম্মানিত কাউন্সিলর সহকর্মীরা নির্বাচিত করায় আমি তাদেও প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এবং খুশি। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করবো।
প্যানেল মেয়র-২ হিসেবে নির্বাচিত মতিউর রহমান মতি বলেন, আমাকে আমার সহকর্মীরা সম্মান দেখানোয় আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছি। এজন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
সংরক্ষিত প্যানেল মেয়র-৩ হিসেবে নির্বাচিত মিনোয়ারা বেগম বলেন, আমাকে নির্বাচিত করায় আমি অত্যন্ত খুশি। আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
উল্লেখ্য,  গত বছরের ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। অন্যদিকে ২৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের মধ্যে ১৩টিতে জয় পেয়েছিলো আওয়ামী লীগ ও ১২টিতে জয় পেয়েছে বিএনপি। জাতীয় পার্টি ও বাসদ পেয়েছিলো একটি করে ওয়ার্ড।
আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ১ নং ওয়ার্ডের  মো. ওমর ফারুক, ৩ নং ওয়ার্ড: শাহ্জালাল বাদল, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী হাসান আলা, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুল করিম বাবু, ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসাইন, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল আহাম্মদ সাগর, ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মদ দুলাল।
আওয়ামীলীগ মনোনিত নির্বাচিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদা  মোজাফফর, ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, সংরক্ষিত ১০, ১১, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিনোয়ারা বেগম, ১৩, ১৪, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি, ১৯, ২০, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শিউলী নওশাদ, ২২, ২৩, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাওন অঙ্কন।
অপর দিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইকবাল  হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্ট, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ ভূইঁয়া, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, ২৬ নং ওয়ার্ড:  মো. সামছুজ্জোহা, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল। এবং সংরক্ষিত আসন ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা, ১৬, ১৭, ১৮ নং ওয়ার্ড আফসানা আফরোজ বিভা, ২৫, ২৬, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হোসনে আরা।
বাসদ থেকে নির্বাচিত প্রার্থী ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিৎ বরণ বিশ্বাস এবং জাতীয় পার্টির মনোনিত  প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্যানেল মেয়র নির্বাচনটি অন্যান্য নির্বাচন থেকে ব্যতিক্রমীভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ নির্বাচনে মেয়র, ২৭ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৯ সর্বমোট ৩৭ ভোটের মাধ্যমেই প্যানেল মেয়র-১, ২ এবং ৩ নির্বাচিত করা হয়। তবে এ নির্বাচনের প্রকাশ্যে কাউকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি বা হয় না। অনেকটা ঘরোয়া ভাবেই সকলের পরামর্শক্রমে বা কেউ আপত্তি করলে  সভার মাঝেই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবার নাসিকের পঞ্চম মাসিক সভায় প্যানেল মেয়র নির্বাচন নির্বাচিত করা হলো।  প্যানেল মেয়র- ১ মেয়রের অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করবেন।

মৃত্যুর আগে পানি চেয়েও পানি পায়নি কিশোর সাগর

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ডৌহাখলা ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুরের গাউছিয়া মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের পাম্প চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে মৎস্য কেন্দ্রের কাশবন থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত সাগর মিয়া (১৬) ময়মনসিংহের রেলওয়ে বস্তির নাটঘরলেন সিহাব উদ্দিনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার ভোরে গাউছিয়া মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের কাশবনে পানির মোটর (পাম্প) চুরির চেষ্টাকালে সাগরকে আটক করে হ্যাচারির মালিক আক্কাস আলী। এরপর আক্কাস আলী ও তার লোকজন ওই কিশোরকে গাছ ও রড-সিমেন্টের তৈরি খুঁটিতে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্যাতনের সময় ছেলেটি কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মৃত্যুর আগে পানি খেতে চাইলেও তাকে পানি দেয়া হয়নি। এরপর ছেলেটিকে চরশ্রীরামপুরের হামেদ আলীর ছেলে আহাম্মদ আলীর অটোগাড়িতে করে ময়মনসিংহের দিকে নিয়ে যায়।

সাহেবকাচারী নামক এলাকায় যেতেই তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে গাউছিয়া মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের কাশবন থেকে পুলিশ সাগরের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনার পর পরই আক্কাস আলী ও তার আত্মীয়স্বজন পালিয়ে যায়। গাউছিয়া মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রের অফিসেও তালা ঝুলছে।

জানতে চাইলে আক্কাস আলীর স্ত্রী শিউলী আক্তার বলেন, অামাদের মৎস্য খামারে এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা আমি জানি না।

এদিকে, আক্কাস আলীর মুঠোফোনে কয়েকবার সংযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। আক্কাস চরশ্রীরামপুরের মৃত শহর আলীর ছেলে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরীপুর থানা পুলিশেল ওসি দেলোয়ার আহম্মদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

ফতুল্লায় মাদক সম্রাট গাজী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গত রোববার রাতে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আব্দুস শাফীউল আলম ও এএসআই আব্দুল গফফার তালুকদার সঙ্গীয় ফোর্স সহ মাদক উদ্ধার অভিযান চালিয়ে পোষ্ট অফিসের আলামিনের বসিতে অভিযান চালিয়ে মাদক সম্রাট মোঃ গাজীকে (৩৮) গ্রেফতার করে। গাজী মৃত খোরশদ মিয়ার ছেলে। এসময় গাজীর কাছে ১০৫ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করে।  তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এগিয়ে মাদক সম্রাট গাজী দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার বিশাল বাহিনী নিয়ে ,াদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। গাজীর মাদব ব্যবসার সাথে আরিফ, রাকিব, সজিবসহ প্রায় ১৫ জনের একটি বাহিনী রয়েছে। এরা দিন এবং রাতে ভাগ হয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এলাকার অপর একটি সূত্রে জানাগেছে, মাদক ব্যবসার গাজী পুলিশের কথিত সোর্স শামীম, কবির ও পান্নাসেহ স্থানীয় একটি শেল্টারে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। ইতোপূর্বে  বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হলে এসব সোর্স দের কারনে পার পেয়ে যায়।  মাদক সম্রাট গাজী গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার স্বস্তি নেমে এসেছে। দাবি উঠেছে এলাকার অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ী ও শেল্টারদাতাদের গ্রেফতারের।