২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 184

‘সুচির বাহিনী যা করছে শেখ হাসিনার বাহিনীও তাই করছে’-বিএনপি‘র নেতৃবৃন্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়ের কেরানীগঞ্জের বাড়িতে সম্প্রতি দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভায় পুলিশি হামলা প্রসঙ্গে বিএনপি নেতারা বলেছেন, এ হামলার সঙ্গে মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর চলমান হামলার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। দেশে যারা বিএনপি করে তারা যে ধর্মেরই হোক তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে বাধা দিচ্ছে এ সরকার।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়ের বাসায় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভায় হামলার প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস- চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া, আতাউর রহমান ঢালী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ড, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমতউল্লাহ, রমেশ দত্ত, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল বাট পি কস্তা প্রমুখ।

গয়েশ্বরচন্দ্র রায়ের বাসায় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভায় হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা বিএনপি করে তাদের মধ্যে যারা মুসলমান তাদের ইফতার করতে দেয়া হয় না। যারা হিন্দু তাদের পূজা করতে দেয়া হয় না। যারা বৌদ্ধ তাদের প্রার্থনায় বাধা দেয়া হয়। এ হচ্ছে বাংলাদেশের চিত্র।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়ের বাড়ির দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভায় পুলিশের হামলা- এটা গণতন্ত্রের ওপর ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা। কারণ, গয়েশ্বরচন্দ্র রায় আজীবন গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে চলেছেন।

তিনি বলেন, দেশ একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এ অবৈধ সরকারের অপসারণ ছাড়া আমাদের কোনো মুক্তি নেই।

দফায় দফায় মিয়ানমারের সামরিক ড্রোন ও হেলিকপ্টার বাংলাদেশের আকাশসীমা লংঘনের প্রসঙ্গ টেনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, মিয়ানমার আমাদের দেশের আকাশসীমা লংঘন করছে, আমাদের পানি সীমা লংঘন করছে, তারা যদি আমাদের দেশকে দখল করতেও আসে তার পরও বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার কিছুই বলবে না। পাল্টা জবাব তো দূরের কথা।

তিনি বলেন, সরকার দেশের ভেতর বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। সুচির নিরাপত্তা বাহিনী আর শেখ হাসিনার আইনশৃংখলা বাহিনীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সুচির বাহিনী যা করছে, শেখ হাসিনার বাহিনী তাই করছে।

গয়েশ্বরচন্দ্র রায়ের বাড়িতে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভায় পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এ হামলার সঙ্গে মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তার কোনো পার্থক্য নেই।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, কয়েক দিন আগে আমরা (বিএনপি) রোহিঙ্গাদের জন্য ২২ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে কক্সবাজার গিয়েছিলাম, আমাদের সেই ত্রাণ দিতে দেয়া হয়নি। আপনারা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখছেন কী কষ্টে তারা (রোহিঙ্গা) দিনাতিপাত করছে। সারা দেশের মানুষকে যখন পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানোর দরকার কিন্তু সেই আহ্বান না জানিয়ে বিএনপিকে ২২ ট্রাক ত্রাণ দিতে বাধা দেয়া হয়েছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সামাজিক অনেক সংগঠনই সাহায্য দিচ্ছে কিন্তু সরকারসহ ১৪ দলের কাউকে সেখানে ত্রাণ দিতে দেখা যায়নি। তাদের মুখে শুধু বড় বড় কথা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিদিনই গলাবাজি করছেন। চিবিয়ে চিবিয়ে মিথ্যা কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি যখন রিলিফ দেন। সরকারি ভাণ্ডারের চাবি আপনাদের হাতে। আপনারা সেখানে পুলিশ পাহারায় রিলিফ দেন কিন্তু আমরা কোনো সহযোগিতা চাইনি, তার পরেও আপনারা আমাদের রিলিফ দিতে দেননি। আমরা প্রশাসনকে বলেছিলাম আপনারা আমাদের সঙ্গে এই ত্রাণ বিতরণ করেন কিন্তু তারা রাজি না হয়ে আমাদের বলে আপনারা ২-৩ বস্তা বিতরণ করে ছবি তুলে চলে যান আর বাদ-বাকি আমাদের গুদামে জমা দেন। তাহলে ভাবেন একবার দেশের কী অবস্থা?

নারায়ণগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার উচিৎপুরা-জাঙ্গালিয়া সংযোগ সড়কে একটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করছে যান বাহন। দীর্ঘদিন ব্রিজটি ভাঙা থাকলেও প্রতিনিয়তই ভারী যান বাহন চলাচল করতে দেখা যায়। যে কোনো সময় এটি ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এতে বন্ধ হয়ে যাবে এই সড়কে চলাচলরত প্রায় ৫ হাজার মানুষের যাতায়ত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকের এখানে নেই কোনো সতর্ককরণ বিজ্ঞপ্তি। এতে রাতের আধারে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। উচিৎপুরা বাজার থেকে জাঙ্গালিয়া বাজারে যাতায়তের অন্যএকটি সড়ক থাকলেও তাতে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।

স্থানীয় যুবক আবদুল কাদির বলেন, উচিৎপুরা বাজারের কিছু অদূরে ছোট ব্রিজটি র্দীঘদিন ধরেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর দুইটি স্থান ধসে গেছে। আটবার এর ভাঙা অংশে সিমেন্ট দিয়ে ঢালায় করা হয়। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। অতিরিক্ত গাড়ীর চাপে এটি ভেঙে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যানবাহন চলাচলে অনেক ঝুঁকি থাকার পরও কেউ এটি মেরামতেও এগিয়ে আসছে না। যান বাহন চলাচলের জন্য এলাকার লোকজনই ভাঙা অংশে ইট দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। এতে গাড়ীর চালক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা এলজিইডি’র উপসহকারি প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ব্রিজের ভাঙা অংশে ব্লাপ বসিয়ে দেয়া হবে। ব্রীজটি এক সহকারি প্রকৌশলী পরিদর্শন করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় যুবলীগ কর্মী আসামিদের হাতে মারধরের শিকার

ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের মামলায় সাক্ষী দিতে এসে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় হোসেন নামের এক যুবলীগ কর্মী আসামিদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে ওই সাক্ষীসহ হামলাকারী আরও দুই যুবলীগ কর্মীকে আটক করেছে।

সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।আটককৃতরা হলেন- রূপগঞ্জ উপজেলার মুশুরী গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে সাক্ষী মোহাম্মদ হোসেন, একই এলাকার ওমর আলীর ছেলে আসামি জয়নাল আবেদিন ও তাদের পাশের এলাকার বলাইখার আবু সিদ্দিকের ছেলে বাবু মিয়া।

মামলার বাদী রুমেল নিজেকে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে বলেন, ২০১৫ সালের ৫ জুলাই পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই এলাকার যুবলীগ কর্মী জয়নাল আবেদিনসহ ৮ থেকে ১০ জন মিলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপায়।

এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় সোমবার যুবলীগ কর্মী হোসেনসহ চারজন সাক্ষী দিতে আদালতে আসেন। সাক্ষীদের আদালতের বারান্দায় দেখে আসামি জয়নাল ও তার লোকজন ফুসে ওঠে। এক পর্যায়ে তাদের এলাকায় চলে যেতে বলে। কথা না শোনায় সাক্ষীদের ওপর হামলা চালায় জয়নাল ও তার লোকজন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী যুগান্তরকে জানান, মারামারি করার সময় তিনজনকে পুলিশ ধরতে পেরেছে। অন্যরা পালিয়ে যায়। কে সাক্ষী আর কে আসামি তা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিন ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা, তবু ভিক্ষা করেন মা!

তিন ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা, মেয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা অথচ তাদের গর্ভধারিণী মা মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করছে। বর্তমানে তিনি এতোটাই মানবেতর জীবন যাপন করছেন যে দিনের এক বেলা ভাতও জুটছে না তার ভাগ্যে। বলছি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী সরদারের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের (৭০)  জীবন সংগ্রামের কথা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইয়ুব আলী কৃষক পরিবারের সন্তান হলেও নানা অভাব অনাটনের সংসারে ৬ সন্তান নিয়ে ভালোভাবেই দিন কেটেছে তাদের।
আইয়ুব আলী-মনোয়ারা দম্পতির ছয় সন্তানের মধ্যে তিন ছেলে- ফারুক হোসেন, নেছার এবং জসীম উদ্দিন পুলিশে কর্মরত আছেন। মেয়ে মরিয়ম সুলতানা শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত । অন্য দুই সন্তান শাহাবউদ্দিন ব্যবসা এবং গিয়াস উদ্দিন নিজের ব্যবহৃত ইজি বাইক ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে এতগুলো সু-সন্তানের গর্ভধারিণী মাকে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে।
বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম বয়সের ভারে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে পর্যন্ত পারেন না। এদিকে গত ৪-৫ মাস আগে ভিক্ষা করতে যেয়ে পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙ্গে যায়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বাবুগঞ্জের স্টিল ব্রিজের পাশে একটি খুঁপরী ঘরে বিনা চিকিৎসায় অর্ধাহারে বেঁচে আছেন।
মনোয়ারা বেগমের ছেলে ইজি বাইক চালক গিয়াস উদ্দিন জানান, আমার সাধ্য মত মাকে চিকিৎসা দেবার চেষ্টার করছি। এখন আমিও সহায় সম্বলহীন তাই বৃদ্ধ মা আজ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু পথযাত্রী। আমার তিন ভাই পুলিশ অফিসার। তারা তাদের স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যত্র থাকে।মায়ের কোন খোঁজ খবর নেয় না।

সফল সন্তান নির্মানে যে ১০টি নির্দেশনা বাবা মায়ের মেনে চলা উচিৎ

আপনি কি আপনার সন্তানকে গড়ে তুলার জন্য কিছু নির্দেশনা খুঁজছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনাদের জন্য ১০ টি নির্দেশনা দিচ্ছি যাতে আপনারা আপনাদের সন্তানদের সহজে গড়ে তুলতে পারেন।

                                                               নির্দেশনাঃ

১। আপনার সন্তানকে শুষ্টভাবে গড়ে তুলা অভিভাবক হিসেবে আপনার দ্বায়িত্ব কর্তব্য। আপনার সন্তানের কিছু নিশ্চিত বিষয়ের উপর আপনার অটল থাকতে হবে। তাদের সাথে রাগী বা চিৎকার করে কথা বলবেন না।

২। আপনার তাদের সাথে অভিবাভকের পাশাপাশি বন্ধু হয়ে থাকবেন।যখন আপনার বাচ্চা ছোট থাকবে তখন তার বন্ধু থাকবেনা। আপনাকে তখন তার বন্ধু হতে হবে।এতে আপনার সাথে তার বন্ধনটাও দৃঢ় হবে।

৩। আপনার সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করুন।একদম ছোটবেলা থেকে তার দেখাশুনা করুন।তার সামর্থকে সমর্থন করুন।তাকে আদরের সাথে,গল্প বলে খাওয়ান।তার বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাকে সামাজিক কাজে মনোযোগী করুন।

৪। তারা যখন ভুল করে তবে তাদের জানিয়ে দিন সেটা ভুল এবং তাদের শান্তভাবে কাজটা না করার উপদেশ দিন।যখন তারা ভাল কিছু করে তখন তাদের তারিফ করবেন।মাঝে মাঝে তাদের ভাল কিছু করার জন্য গিফট দিন।

৫। তার কথা শুনবেন।তাকে বিরক্তির সাথে দেখবেন না।তার শিশুসুলভ আচরণ নিয়ে উপহাস করবেন না।  এতে করে সে অসহায় হয়ে পড়তে পারে।

৬। তার বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাকে আপনার ধর্ম সম্পর্কে তথ্য জানান।নিজ ধর্মের আচারআচরণ,নিয়মকানুন শিখান।বড়দের প্রতি তার কিরুপ আচরণ করতে হবে তা শিখান।

৭। আপনার সন্তানকে কখনো অন্যের সামনে লজ্জা দিবেন না।সকলের সামনে লজ্জা দেয়ার ফলে আপনার সন্তানের আত্মঃনির্ভরশীলতা কমে যাবে।তবে প্রয়োজনে তাকে লজ্জা দিবেন; কিন্তু সকলের সামনে না।

৮। তাকে সদা আপনার ভালোবাসা দেখাবেন।সে যখন আপনার কাছে আসবে তাকে ভালোবেসে বুকে টেনে নিবেন।আপনার কাছ থেকে সে যতটুকু ভালোবাসা চায় আপনি তাকে এর চেয়ে বেশী ভা্লোবাসা দেখাবেন।যাতে সে মনে করে তাকে আপনি সবকিছুর চেয়ে বেশী ভালোবাসেন।

৯।তাকে আপনার বাল্যকালের বিভিন্ন ঘটনা বলেন।আপনি বাল্যকালে বিদ্যালয়ে এবং বাসায় কি করতেন তা আদরের সাথে তাকে জানান।

১০। তার সাথে সময় ব্যয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তার সাথে কথা বলবেন, খেলবেন।তার কথা শুনবেন।তাকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যাবেন।আপনার পছন্দঅপছন্দ গুলো তাকে জানান।তার পছন্দঅপছন্দ সম্পর্কে তার কাছে প্রশ্ন করেন।


রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের নির্মমতা দেখতে পেয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ‘জনাথন হেড’

সাধারণত ম‍ায়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। তারপরও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রামে কড়া পাহাড়ায় কিছু বিদেশি সাংবাদিকদের নিয়ে যায় মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমার সরকারের অনেক সাবধানতা অবলম্বনের পরও রোহিঙ্গাদেরও ওপর চলা নির্যাতনের নির্মমতা দেখতে পেয়েছেন ব্রিটিশ এক সাংবাদিক।

ব্রিটিশ ওই সাংবাদিকের নাম জনাথন হেড। যিনি সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের আমন্ত্রণে গণমাধ্যমকর্মীদের একটি দলের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের শর্ত দেয়া ছিল সবাইকে একসঙ্গে চলাফেরা করতে হবে। স্বাধীনভাবে কোন কিছু পরিদর্শন করা যাবে না। শুধুমাত্র সরকারের নির্দিষ্ট করে দেয়া জায়গাগুলোই দেখা যাবে।

রোহিঙ্গা গ্রাম স্বচক্ষে দেখার পর জনাথন বলেন, ‘নির্ধারিত গ্রামটিতে ঢুকেই প্রথম বাড়িতে আগুনের চিহ্ন দেখা গেল। দেখেই বোঝা যায়, অধিকাংশ বাড়িতেই আগুন দেয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে কিছুক্ষণ আগেই আগুন দেয়া হয়েছিল। গ্রামে একদল তরুণকে হাতে খোলা তলোয়ার ও দেশলাই নিয়ে ঘুরতে দেখলাম। গ্রামের রাস্তাগুলোতে দেখা গেল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন গৃহস্থালি পণ্য, শিশুদের নানারকম খেলনা ও নারীদের পোশাকের বিভিন্ন অংশ।’

জনাথন হেড বলেন, ‘নিজ চোখে একটি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়ে যেতে দেখেছি।’ রাখাইনের মংগদু জেলায় আল লে থান কিয়া শহর পরিদর্শন শেষে ফিরে আসার সময়ও পুড়ে যাওয়া অনেক বাড়িঘর তিনি দেখতে পান। এমনকি অনেক বাড়িঘর থেকে তখনও ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। পুলিশ গণমাধ্যমকর্মীদের ওই দলটিকে জানায়, রোহিঙ্গা মুসলমানরা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে।

জনাথন আরো বলেন, ‘রাখাইনে থাকতেই আমরা গুলির শব্দ শুনতে পাই। বিচ্ছিন্নভাবে অন্তত তিনটি স্থানে ধোঁয়া উড়তে থাকে। বনের পাশে থাকা ধানক্ষেত থেকেও বড় ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যায়। সেটিও একটি গ্রাম। বিষয়টি ভালোভাবে জানতে আমরা সেই ধোঁয়ার কুণ্ডলির কাছে গিয়েছিলাম। সেখানেও প্রথম বাড়িতেই আগুনের চিহ্ন দেখতে পাই এবং আগুনের ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগের বলেই মনে হলো।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের গ্রামটিতে হাঁটার সময় তরুণদের একটি দল চোখে পড়ে। তারা দেশলাই ও তলোয়ার নিয়ে ঘুরছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা রাজি হয়নি। ছবিও তুলতে দেয়নি। পরে মিয়ানমারের স্থানীয় সাংবাদিকরা তরুণদের সাথে কথা বলেন। তরুণদের কয়েকজন রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়ার কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে সহায়তা করেছে বলে জানায় ওই যুবক।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর চলছে দেশটির সেনাবাহিনীর নৃশংসতা। সেনা অভিযানের নাম করে সেখানে চলছে খুন, ধর্ষণ, হত্যা আর রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে তাদের করা হচ্ছে বিতাড়িত। গত এক সপ্তাহে রাখাইন রাজ্য থেকে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজার যাবেন ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকরা

মায়ানমারের সরকারি বাহিনীর নির্যাতন থেকে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজার যাবেন ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকরা। ১৩ই সেপ্টেম্বর তাদের কক্সবাজার নিয়ে যাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ সোমবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দক্ষিণ এশিয়া ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কূটনীতিকদের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করার পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে গতকাল ইউরোপ, আমেরিকা ও আরব দেশগুলোর কূটনীতিকদের ব্রিফ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ব্রিফিং শেষে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করেছেন তারা। একই সঙ্গে এ ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কূটনীতিকরা।

গত ২৪ অগাস্ট রাতে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলার ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে চালানো হচ্ছে হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন, তারা ছুটে আসছেন বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে।

গত চার দশকে ধরে আসা ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসা বাংলাদেশে এই দফায় আরও তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বলে ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। (আরআই)

মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের রাখাইন ছাড়তে মাইকিং

মায়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ যেন কোনো মতেই থামছে না। রাখাইন রাজ্যে অবশিষ্ট যেসব রোহিঙ্গা এখনো দুঃসাহসের সঙ্গে রয়ে গেছেন তাদের আগামী ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারের মধ্যে এলাকা ছাড়তে আল্টিমেটাম দিয়ে মাইকিং শুরু করেছে সামরিক জান্তা।

দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে এ আহ্বান জানানো হচ্ছে। শনিবার বিকেলে শুরু হওয়া মাইকিং রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে মংডু, রাচিদং ও বুচিদং তিনটি শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

মায়ানমার ছাড়ার মাইকিংয়ে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মায়ানমারে অবস্থানকারী সব রোহিঙ্গাদের দেশ ত্যাগ করতে হবে। আরাকানের স্বাধীনতাকামী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) তথা আরসা একমাসের জন্য অস্ত্র বিরতি ঘোষণা দেয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষে এ মাইকিং শুরু হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, রোহিঙ্গাশূন্য পাড়ায় লাল পতাকা, রাখাইনে যেসব পাড়া আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে সেখানে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রাচিদং জেলার ধইনচ্যা পাড়া, বুচিদংয়ের তামাবিল, কইল্যাভাঙ্গা, রাইচং, মংডু জেলার নারিনচং, মগ্নিপাড়া, সিকদারবিল, পেরামপ্রু, নাইছ্যাপুর, শীলখালী, ধুমছেপাড়া, কোয়াংসং ও আদং গ্রামসহ যেসব পল্লী রোহিঙ্গাশূন্য করা হয়েছে, ওসব এলাকায় সেনাবাহিনী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে লাল পতাকা ওড়াছে।

পাহারায় রাখা হয়েছে স্থানীয় রাখাইন যুবকদের। যাতে রোহিঙ্গারা সেখানে যেতে না পারে। ফলে বাধ্য হয়েই বন, জঙ্গল ও পাহাড়-পর্বতে যারা লুকিয়েছিল তারাও এখন বাংলাদেশমুখী হয়েছে। সবমিলেই সেখানে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, গ্রামে গ্রামে মাইকিং করছে সেনাসদস্যরা। সব রোহিঙ্গাকে গ্রাম থেকে বাংলাদেশে চলে যেতে বলা হচ্ছে। না হয় গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। অনেককে ঘর থেকে বের করে দিচ্ছে। গতকাল টেকনাফ হোয়াইংক্ষ্য লম্বাবিল পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, দলে দলে রোহিঙ্গা ঢুকছেন। সবার মুখে হতাশা-আতঙ্ক। প্রাণ বাঁচাতে যে যার মতো প্রবেশ করেছেন। ছড়িয়ে পড়ছেন বিভিন্ন ক্যাম্প, পাহাড় ও জঙ্গলের ভেতরে।

গত শনিবার মিয়ানমারের শিলখালী গ্রাম থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসেন হাফেজ আমিন (৩২)। গতকাল দুপুরে টেকনাফের হোয়াইংক্ষ্য লম্বাবিল এলাকায় কথা হয়েছে তার সঙ্গে।

তিনি বলেন, “শনিবার সকাল থেকে রোহিঙ্গাদের চলে যেতে মাইকিং করছে সেনাবাহিনী। মাইকিংয়ে সেনাবাহিনী বলছে, ‘এটা তুদের দেশ নয়; বাংলাদেশ হলো তুদের দেশ। তুদের অনেক স্বজন বাংলাদেশে বসবাস করছে। ওখানে গিয়ে তুরা আশ্রয় নে তাড়াতড়ি। যদি এখানে (মিয়ানমার) থাকিস, তাহলে গুলি করে সবাইকে হত্যা করা হবে।’ এই মাইকিং শুনে শনিবার রাতেই টেকনাফ সীমান্তের হোয়াইংক্ষ্য লম্বাবিল পয়েন্ট দিয়ে হাফেজ আমিনের সঙ্গে তার পরিবারের ১২ জন সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। ওই সময় শিশুসহ প্রায় দুই শতাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছেন।”

মিয়ানমার বুচিদং এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌস বেগম (২২) বলেন, ‘বার্মায় থাকলে আমাদের হত্যা হবে বলে মাইকিং করছে সেনাবাহিনী। প্রতিটি রোহিঙ্গাগ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। এখন প্রাণে বাঁচতে মালামাল নিয়ে সীমান্ত হয়ে টেকনাফ ঢুকে পড়েছি।’ তার সঙ্গে রয়েছে ছোট তিনটি সন্তান। তারা হলো এক বছর বয়সী মারজান, আড়াই বছর বয়সী ইসমাঈল এবং চার বছর বয়সী নূরুল ইসলাম।

ফেরদৌস বেগমের স্বামী আহমদ মাঝি বলেন, ‘মাইকিং শুনে আমাদের গ্রামে হৈচৈ শুরু হয়। গ্রামের প্রায় সাড়ে ৫০০ পরিবার কান্নাকাটি শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সবাই মালামাল নিয়ে সীমান্তে চলে আসি। এরপর রাতেই নৌকাযোগে নাফ নদী পার হয়ে লম্বাবিল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ি।’

গতকাল দুপুরে কথা হয়েছে লম্বাবিল সীমান্তে বৃদ্ধা সুলতানা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মাইকিংয়ে হত্যার কথা শোনার পর সবাই সীমান্তে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যে যার মতো করে বন-জঙ্গল ও সীমান্তে আশ্রয় নিই। রাতেই ছেলে নূরুসহ একদল রোহিঙ্গার সঙ্গে টেকনাফে চলে আসি।(আরআই)

আল হায়াত এভিয়েশন হজ্ব এজেন্সির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
শহরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত আল হায়াত এভিয়েশন হজ্ব এজেন্সির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এই এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা করার চেষ্টাসহ নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এমন অভিযোগ এজেন্সির কর্মকর্তাদের। এদিকে, জাহিদ হাসান নামে একব্যাক্তি এই এজেন্সির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে মামলা করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হজ্ব এজেন্সি কর্তৃপক্ষ জানায়, হজ্বযাত্রী আবুল কালাম মুন্সি(হজ্বযাত্রীর ট্যাকিং নং এন৯২ইডি৬৯৩এফ১) অসুস্থ থাকায় তার পরিবর্তে হজ্বে যাওয়ার কথা হয় আনোয়ার হোসেনের পুত্র জাহিদ হাসানের (ট্যাকিং নং-এনই০৮ডিএ৫৮ই, সিরিয়াল নং ২৯৫৪৯৩)। নিয়ম অনুযায়ী সব ধরনের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করে হজ্ব এজেন্সি আল হায়াত এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বদলী হজ্ব জটিলতার কারণে তিনি আর হজ্বে যেতে পারেনি। শুধু জাহিদ হাসানই নয়, এমন আরো ৯জন হজ্ব যাত্রী এবার হজ্বে যেতে পারেনি। তবে যারা হজ্বে যেতে পারেনি তাদের টাকা বুঝিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে হজ্ব এজেন্সি কর্তৃপক্ষ, কিন্তু বাকী যাত্রীরা তা মেনে নিলেও কেবল মাত্র জাহিদ হাসানই তা মানতে নারাজ। এজেন্সির মালিক মাওলানা আরিফ আহমেদ সৌদি আরব থেকে মুঠোফোনে জানান, যারা এবার ভিসা জটিলতার কারনে হজ্বে যেতে পারেনি, তারা আগামীতে যেতে পারবেন, এবং যদি কেউ যেতে না চায় তা হলে নিয়ম অনুযায়ী তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হবে।

 

ফতুল্লায় ১৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার-৩

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে একটি ফ্ল্যাট বাসায় অভিযান চালিয়ে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ সময় ১৭০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তারা ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে পাইকারি হিসেবে ফেসসিডিল বিক্রি করে আসছিল। তবে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নেয়া ও মাদকের অন্যতম ডিলার সুমন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

রোববার সকালে ফতুল্লার মাসদাইর গাবতলী মাজার সংলগ্ন নুর হোসেন মল্লিকের মালিকানাধীন বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করলেও দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ।

গ্রেফতার সাইফুল ইসলাম (৩৪) ফতুল্লার মাসদাইর শেরে বাংলা রোড এলাকার মৃত মাহাবুব আলমের ছেলে, দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার মৃত হোসেন খানের ছেলে রনি খান (৩৬) ও মাসদাইর কলেজ রোডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মামুনুর রশিদ (৩৫)। আর পলাতক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সুমন দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার দীন ইসলামের ছেলে।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজি এনামুল জানান, মাদকবিরোধী অভিযানে মাসদাইর গাবতলী মাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে পাইকারি ফেনসিডিল ব্যবসা করে আসছেন তারা।

রোববার সকালে অভিযান চালিয়ে তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ১৭০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়া চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সুমনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান এসআই কাজি এনামুল।