২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 202

আড়াইহাজারে বিএনপিতে খসরু ও আঙ্গুরের অবস্থা নড়বড়ে !

স্টাফ রিপোর্টার:
আড়াইহাজারে বিএনপিতে রাজনীতিতে অচিরেই অভিষেক হতে পারে তরুণ দুইনেতার। থানা বিএনপি’র নেতৃত্ব হাঁরাতে পারেন প্রায় তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে নেতৃত্বে থাকা সাবেক এমপি আঙ্গুর ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এএম বদরুজ্জামান খসরু। তাদের নানা কূটকৌশলের রাজনীতি অনেকটা পরিস্কার করে দিয়েছেন স্থানীয় বেশকিছু পত্রিকা। এই প্রথম ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি পত্রিকায় “মাইনাস হচ্ছে আঙ্গুর ও খসরু” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে অনেকে দাবী করেছেন, বিএনপির সভাপতি খসরু, মূলত আঙ্গুরকে ঠেক দেয়ার জন্যই নানা কূটকৌশলের রাজনীতি করে আসছিলেন। এরই ফলোশ্রæতিতে বির্তকিত ব্যাক্তিদের থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, গত ৮ বছরে আঙ্গুরের বিপুল পরিমাণে নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের যোগদান করেছেন। আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য আঙ্গুর অনেক নেতাকর্মীকে উৎসাহিত করে গেছেন। সরকারের হামলা, মামলার শিকার হওয়া অনেক নেতাকর্মীকে অস্বীকার করার নজিড়ও রয়েছে দুইভাইয়ের বিরুদ্ধে। অনেকে দাবী করেন, দুইভাইয়ের ইচ্ছাতেই বিএনপিতে দলীয় কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে দাবী করছেন, সরকারের রোষানালের শিকার আনোয়ার হোসেন অনু ও নজরুল ইসলাম আজাদের নিন্ত্রয়ণে চলে গেছে উপজেলা বিএনপি রাজনীতি। দলটির আগামী কমিটিতে অনুসহ আজাদের কর্মী-সমর্থকরাই আগামী কমিটিতে অভিষেক হতে যাচ্ছেন। উপজেলা বিএনপিতে এমনই গুনজন চলছে, তবে কপাল পোড়তে পারে খসরু ও আঙ্গুরের।

সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরকে বিএনপির রাজনীতিতে নিয়ে আসেন বর্তমান কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। খসরু আঙ্গুরের আপন ভাই। খসরু বরাবরই অভিযোগ করে আসছেন,  ৯০’এর দশকে আঙ্গুর হাইজাদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের স-সভাপতি ছিলেন।

তার পরও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আঙ্গুুর। এর পর ১/১১ এর সময় দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের রোষানাল থেকে বাঁচতে আঙ্গুর বিএনপির দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারী সংস্কারবাদীদের সঙ্গে মিলিত হন। আঙ্গুরের বদৌলতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের আসনে অভিসিক্ত হন নানা অপকর্মের হোতা বিতর্কিত নেতা ইউছূফ আলী ভূঁইয়া। খসরু’র বদৌলতেও হাবুকে বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। খসরু’র দেয়া একেরপর এক পকেট কমিটির প্রতিবাদ করায় হাবুকে অব্যাহতি দিয়ে ওই পদে বহাল করা হয় হাশেম ফকিরকে। সম্প্রতি, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে অনেকে বলেছেন, মুলত রাজনীতিতে আঙ্গুরকে ঠেগ দিতেই খসরু সাহেব এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে হাবুকে সাধারণ সম্পাদক পদে আসিন করে ছিলেন। দলকে নিজের কব্জায় রাখতে গিয়ে একজন বিতর্কিত ব্যাক্তিকে দলে প্রতিষ্ঠিত করেন খসরু।

উপজেলা বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একনেতা বলেন, সারাদেশে অফিস ঘিরে দলীয় রাজনীতি পরিচালিত হলেও; আড়াইহাজারে বিএনপির রাজনীতি পরিচালিত হয়ে আসছে ঢাকা বসে। এখানে কার্যালয়ের সামনে একটি মানববন্ধন তো দূরের কথা বিএনপি কার্যালয়ের তালা খুলতে পারেনি আঙ্গুর ও খসরু। নেতাকর্মীদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিলি খেলতে থাকেন আঙ্গুর ও খসরু। পরে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন তৎকালীন কেন্দ্রীয় যুবদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সহ-সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক ৯০’এর আন্দোলনের প্রয়াত নেতা এএফএম ইকবাল।

জানা গছে, জেলা কমিটিতে আড়াইহাজার থেকে সদস্য করা হয়েছে বদরুজ্জামান খান খসরু, নজরুল ইসলাম আজাদ ও আতাউর রহমান আঙ্গুরকে। তবে এ কমিটি গঠনের পিছনে কাজ করেছেন নজরুল ইসলাম আজাদ-এমনটাই জানা গেছে। তবে নতুনভাবে যোগ হয়েছে দলটির উদীয়মান নেতা আনোয়ার হোসেন অনু। জানা গেছে, এই নেতার বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা রয়েছে। তিনি বিএনপির বিরাট একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ করছেন।

এরই মধ্যে ১ এপ্রিল জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরকে তিনি বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছেন। এখানে যৌতিক কারণেই জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে উপজেলা বিএনপির নেতারা অনুকে সভাপতি দাবি করেছেন। উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেছেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে বুঝা যাচ্ছে ব্যর্থতার দায় নিয়ে আড়াইহাজার বিএনপির রাজনীতি নিয়ন্ত্রকের আসন থেকে সরে দাঁড়াতে হতে পারে আঙ্গুর ও খসরুকে। অপরদিকে উপজেলা বিএনপির রাজনীতি দুই উদীয়মান ও তরুণ নেতা আনোয়ার হোসেন অনু’সহ নজরুল ইসলাম আজাদের নেতাকর্মীদের অভিষেক হতে যাচ্ছে।

মাদকের বিরুদ্ধেই আমার অবস্থান-যুবদল নেতা মুসলিম

গত ১২ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বেশ ক’টি পত্রিকায় মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদের মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আমার ছবি দিয়ে আমাকেও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। আমি এই সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বর্তমানে আমি মুসলিম আহমেদ ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। তবে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকিলেও মাদক ব্যবসার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। একটি কুচক্রি মহল আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় করতেই সাংবাদিকদের কাছে আমার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আমার নাম ও ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি বরাবরই মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় আমাকেই মাদক ব্যবসায়ী বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ইং সাল থেকে মাদক বিরোধী অবস্থান নিয়ে এবং এলাকার মুরুব্বিদের সাথে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মিছিল মিটিং করে খোঁজপাড়া এলাকাকে মাদকের ভয়াবহতার হাত থেকে রক্ষা করে আসছি। এছাড়া ২০০৮ইং সালে আমাদের সামাজিক সংগঠন দাপা নিরক্ষতা দূরিকরণ সংস্থার উদ্যোগে আমারা এলাকা থেকে মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে উদ্যোগ নেই এবং বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরে হাতে তুলে দেই। যা তৎকালীন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ করে। এছাড়া ওইসময় আমারা ফতুল্লা মডেল থানার তৎকালীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভূইঁয়া মাহবুব হাসান ও সেকেন্ড অফিসার বদরুল আলম খানের উপস্থিতিতে বেশ কিছু মাদক বিরোধী সভা করি। ওইসভায় এলাকার সর্বমহল অংশ গ্রহন করে এবং মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। আমি ২০০১ সাল থেকে মাদক,চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে তুলি। আর সে থেকেই আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে। আমি এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

না’গঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতিকে আড়াইহাজার থানা বিএনপির সংধ্বর্না

আড়াইহাজার প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতিকে সংধ্বর্না দেয়া হয়েছে। শনিবার আড়াইহাজার থানা বিএনপির নেতা অনু’র নেতৃত্বে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন, থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সহকারি অধ্যক্ষ খাজা মঈনউদ্দিন, থানা তাঁতীদলের সভাপতি শফিকু ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, আড়াইহাজার থানা মহিলা দলের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, থানা ওলামাদলের সাধারণ সম্পাদক মাও. মো: শাহজালাল মিয়া, থানা শ্রমিক দলের নেতা সুজন, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি মেম্বার মো: আমির আলী, পৌরসভা ছাত্রদলের নেতা মো: আশ্রাফুল ইসলাম ও তরুণ দলের সভাপতি ওয়াসিমসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের তিন শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের কাছে আড়াইহাজার থানা কমিটিতে আনোয়ার হোসেন অনু’কে সভাপতি’র দায়িত্ব দেয়ার দাবী করেন। এসময় থানা বিএনপির আটটি সংগঠনের নেতাকর্মী জেলা বিএনপির সভাপতিকে তাদের পুনসমর্থনের কথা  জানান।

এসময় জেলা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৮ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। আড়াইহাজার উপজেলা সম্পর্কে আমাকে নতুন করে কিছু বলতে হবে না। দল আগের মতো পরিচালিত হবে না। নতুন কর্মী ও নেতা সৃষ্টি করাই হবে এখন আমার প্রধান কাজ। আমার কোনো আঙ্খা নেই। কোনো বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে কমিটি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

জেলা বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের সবক’টি আসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে হবে। আনোয়ার হোসেন অনু’র মতো একজন করে নেতা দেশের প্রতিটি উপজেলায় থাকতো, তাহলে বিএনপি বর্তমানে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতো। আড়াইহাজারের নেতাকর্মীরা রেকর্ড পরিমাণ মামলার শিকার। ভেবে চিন্তে প্রতিটি উপজেলায় কর্মী বান্ধব একটি শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য কমিটি ঘোষণা দেয়া হবে। যাতে নির্যাতিত নেতাকর্মীরা সহযোগিতা পান।

না’গঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে আড়াইহাজার থানা ওলামাদলের সংধ্বর্না

স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে আড়াইহাজার থানা ওলামাদলের নেতাকর্মীরা সংধ্বর্না দিয়েছেন। এসময় ফুলের তোলা দিয়ে জেলা নবগঠিত সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদকে ওলামাদলের পক্ষ থেকে বরণ করে নেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আড়াইহাজার থানা ওলামাদলের সাধারণ সম্পাদক মাও. মো: শাহজালাল মিয়া, আড়াইহাজার পৌরসভা ওলামাদলের সভাপতি মাও. ডাক্তার মো: খোরশেদ আলম, আড়াইহাজার সরকারি সফর আলী কলেজের সাবেক ভিপি এম এ মতিন ভূঁইয়া, আড়াইহাজার থানা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আনোয়ার হোসেন অনু। এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আগামী মে মাস থেকে জেলার থানা কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু করা হবে। এর আগে জেলা কমিটি পূণাঙ্গ করব।  জেলা ওলামাদলের সভাপতি বেনু মিয়ার সঙ্গে জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির দুরুত্ব রয়েছে। দুরুত্ব আমাদের কমিয়ে আনতে হবে। বিএনপির বৃহত্তম স্বার্থে এই মুহুর্তে ঐক্যদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এসময় তিনি উপস্থিত আড়াইহাজার থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আপনাদের পদ-পদবী দাবীতে সোর্চ্চার থাকেন। দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগী নেতা হিসাবে অনুকে জেলা কমিটিতে রাখার আশ্বাস দেন। তবে দলীয় বিভিন্ন কার্যক্রমে শতভাগ উপস্থিত থাকার চেষ্টা করতে হবে। থানা পর্যায়ের প্রতিটি সংগঠনই নতুন করে গঠন করা হবে। ত্যাগী, সাহসী ও গ্রহণযোগ্য নেতাদের সম্মনয়ে কর্মী বান্ধব কমিটি ঘোষণা দেয়া হবে। কারোর ভিতরে কোনো “ইগু” সমস্যা রাখবেন না। কোনো প্রকার ইগু নিয়ে একসাথে কাজ করা যায় না। এসময় মামুন মাহমুদ ধৈয্যসহকারে নেতাকর্মীদের নানা অভিযোগ ও আক্ষেপের কথা শোনেন। অভিযোগ ও দাবীদাওয়া পূরণ করার আশ্বাস দেন। আড়াইহাজার বিএনপির নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের মধ্যে নানা কারণে আড়াইহাজারের আসনটি গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার সফলতা ও ব্যর্থতা পুরো জেলার বিএনপির রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে। তিনি বলেন, বিএনপির হাজা হাজার নেতাকর্মী হামলা, মামলার শিকার। তাদের সাহস দেয়ার মতো কেউ নেই। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাইজাদী ইউনিয়ন ওলামাদলের সভাপতি মাও. মাছুম বিল্লাহ, খাগকান্দা ইউনিয়ন ওলামাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকরছিদ্দিক একই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাও. মো: ফয়সাল আহম্মেদ প্রমুখ। তবে এসময় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের অভিযোগের তীর ছিল সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর ও থানা বিএনপির সভাপতি খসরু’র দিকে।

পুরোনো ফেসবুক আর চলবে না

ফেসবুক ও মেসেঞ্জারের পুরোনো সংস্করণ যাঁরা ব্যবহার করছেন, তাঁদের জন্য এ সুবিধা আর থাকছে না। পুরোনো সংস্করণের ফেসবুক ও মেসেঞ্জার অ্যাপ হালনাগাদ করা ছাড়া কোনো বিকল্প রাখছে না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক অ্যাপের ভার্সন ৫৫ (v 55) ও অ্যান্ড্রয়েডে মেসেঞ্জারের ভার্সন ১০ (v 10) চলবে না। এ ছাড়া উইন্ডোজ ফোনে ফেসবুক সমর্থন করবে না।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কারিগরি টিম ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম উন্নত করতে অনেক পরিশ্রম করছে।
এক ব্লগ পোস্টে ফেসবুক জানিয়েছে, নিয়মিত উন্নত ফিচার-যেমন ভয়েস ও ভিডিও কল, গেমস ও মেসেঞ্জার বটসের মতো সুবিধা এনে ফেসবুক উন্নত করার চেষ্টা করছি। অ্যাপসের পুরোনো সংস্করণ ব্যবহার করলে এসব ফিচারের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় না। এ কারণে পুরোনো সংস্করণ বাদ দিয়ে নতুন সংস্করণ ব্যবহারের পরামর্শ দেয় ফেসবুক। যাঁদের নতুন সংস্করণ সমর্থন করবে না তাঁরা মোবাইল ব্রাউজার থেকে ফেসবুক ডটকম ভিজিট করতে পারবেন।

আইপ্যাডে ফেসবুক ভার্সন ২৬, আইওএসে মেসেঞ্জার ভার্সন ৮,২০১১ সালে আইওস ফেসবুক ভার্সন, ফেসবুক ফর উইন্ডোজ ফোন, উইন্ডোজ ফোন ৮ ও ৮.১ এর মেসেঞ্জার, ফেসবুক ফর উইন্ডোজ ৮ ও ৮.১ ডেস্কটপ সংস্করণ চলবে না। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

মৌলভীবাজার বড়হাটে প্রচুর বিস্ফোরক, অভিযানে সময় লাগবে : মনিরুল ইসলাম

মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাটের জঙ্গি আস্তানায় পরিচালিত অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বড়হাটের আস্তানায় প্রচুর বিস্ফোরক রয়েছে। আর এর আশপাশে অনেক উঁচু ভবন রয়েছে। ফলে ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শেষ হতে সময় লাগবে।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এদিকে, জঙ্গি আস্তানার পার্শ্ববর্তী সিলেট-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সোয়াত ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর শুক্রবার সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান শুরু করে সোয়াত। এরপর থেকে ওই এলাকায় থেমে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।

এর আগে ভোর থেকে আবু শাহ (রহ.) দাখিল মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী জঙ্গি আস্তানা ঘিরে রাখে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকার একটি দোতলা বাড়ি এবং সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজার এলাকার নাসিরপুরের একতলা একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় আইনশৃংখলা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার বিকালে মৌলভীবাজারের নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় সোয়াতের দঅপরাশেন হিটব্যাক’ শেষ হয়। এখানে ৭-৮ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

বক্তাবলী ফেরী ঘাটে ৩০ হাজার টাকার অবৈধ জাটকা আটক

ফতুল্লার ধলেশ্বরী নদীর বক্তাবলী ফেরী ঘাটে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মালিক বিহীন অবস্থায় প্রায় ১শ কেজি অবৈধ জাটকা আটক করেছে বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি । আটককৃত জাটকার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে অভিযান পরিচালনাকারী দল।

শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রাজ্জাক এর নেতৃত্বে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়।

অবৈধ জাটকা আটককরা হলেও এর সাথে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে আটককৃত জাটকার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট  এর নিকট প্রেরন করা হয়। পরে তিনি সদর থানার আওতাধীন বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গরীব-দুস্থদের মাঝে তা বিতরণ করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জে আমাদের সময়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে আমাদের সময়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধূরিবাড়িতে স্থানিয় একটি রেষ্টুরেন্টে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলার অতি: পুলিশ সুপার মো: শরফুদ্দিন আমাদের সময়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। এসময় অন্যান্যর মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমাদের সময়ের নিজস্ব প্রতিবেদক লুৎফর রহমান কাকন, নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি,৮ ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা,১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ইফতেখার আলম খোকন, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, ১০,১১,১২ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মিনোয়ারা বেগম, গোদনাইল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কাজী ওয়াহিদ আলম, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আ: রহিম, সাংবাদিক তাহের হোসেন, বিশিষ্ঠ ব্যাবসায়ি আল-মামুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় আমরা মোহামেডানের সভাপতি আমিনুর রহমান নিমেল, সম্প্রিতি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি আবুল হোসেন, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি ফরহাদ হোসেন, ব্যবসায়ী শীপন ভূইয়া, ফটো সাংবাদিক কাজি আলমাস, টাইমস ওয়ার্ল্ড২৪ ডট কমের জেলা প্রতিনিধি রিপন মাহমুদ আকাশ এবং দৈনিক আমাদের সময়ের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি এমরান আলী সজীব। এসময় অতি: পুলিশ সুপার মো: শরফুদ্দিন বলেন, আমাদের সময় এমন একটি পত্রিকা যার মাধ্যমে আমরা অনেক সময় অনেক রকম দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকি। পত্রিকাটি সব সময় বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। পত্রিকাটি প্রকাশের শুরু থেকেই আমি নিয়মিত এটি পড়ে থাকি। পত্রিকাটি প্রকাশের শুরু থেকেই সংবাদ প্রকাশে ছিল একটু ভিন্ন মাত্রা।  এই পত্রিকাটির সংবাদ প্রকাশের ভিন্নতার কারণেই এটি পাঠকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। আমরা আশা করবো দেশের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক ব্যাবসা দমনে আমাদের সময় মহান ভূমিকা পালন করবে। আমি উত্তর উত্তর আমাদের সময়ের সাফল্য কামনা করি।

আড়াইহাজারে একমাসে দুই খুন

আড়াইহাজার প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মাত্র একমাসের ব্যবধানে পৃথক দুুটি স্থানে কলেজ ছাত্র নাজমুল সহ কৃষক বাতেন খুন হয়েছেন। হঠ্যাৎ করে আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটনায় উপজেলা জুড়ে আতংক দেখা দিয়েছে। হত্যা মামলাগুলোর তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় নিহতের পরিবারে দেখা দিয়েছে হতাশা। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেফতার হলেও; প্রধান আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় অসন্তোষ মামলাগুলোর বাদী পক্ষ।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৯ ফেব্রæয়ারি সুলপান্দীপূর্বপাড়া এলাকায় বাতেনের সঙ্গে প্রতিবেশী জালালউদ্দিন গংয়ের সঙ্গে বসত বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিরোধপূর্ণ সীমানা ঘেঁেষ একটি রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করা হয়। এসময় উপস্থিত ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোকনের সামনে বাতেনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়।

এদিকে, মামলার বিবরণ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, চলতি মাসের ২৮ মার্চ নয়নাবাদ রইজ উদ্দিনের সঙ্গে বাহেরচর গ্রামের মঞ্জুর মিয়ার পূর্ববিরোধ ছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার লাঠিসোটা, টেটা, ভল্লম ইত্যাদী দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাকড়াইলমোড়া, বাহেরচর ও নয়নাবাদ এলাকার লোকনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থেমে থেমে চলা সংঘর্ষের এক পর্যায়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী ও কলেজ ছাত্র নাজমুল টেঁটা বিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিনই তার মৃত্যু হয়।

আড়াইহাজার থানার ওসি মো: সাখাওয়াত হোসেন ঘটনার বলেন, মামলায় তদন্ত কাজে কোনো গাফিলতি নেই। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতাদের সাথে না’গঞ্জের বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এড. জয়নুল আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীবৃন্দ।
গতকাল বুধবার বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. মোঃ সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ জাকির হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. সরকার হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. খোরশেদ ইসলাম মোল্লা, এড. শাহ আলম খান, এড. কাজী আঃ গাফ্ফার, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম জাকির, সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, এড. মোক্তার হোসেন, এড. মাহবুবুর রহমান, এড. জিল্লুর রহমান মুকুল, এড. আবুল আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এড. আল আমিন সিদ্দিকী আগুন, এড. আহসানুল হাসান মিঠু, এড. নূরুল আমিন মাসুম, এড. নজরুল ইসলাম মাসুম, এড. আশরাফুল আলম সিরাজী রাসেল, এড. মোঃ কবির হোসেন, এড. শামছুল আরেফীন টুটুল, এড. রেজাউল করিম শাহীন, এড. রাসেল মিয়া, এড. ফজলুর হক রিপন, এড. মাসুম আলম, এড. সাইফুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী যুব আইনজীবী ফোরামের আহŸায়ক এড. শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাত, সদস্য সচিব এড. মোঃ রাসেল মিয়া,  এড. ফজলুর রহমান ফাহিম, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার প্রমুখ।