২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 229

মৌসুমি পাখিদের স্থান হবে না দলে-ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতার রাজনীতির স্রোতধারায় সুবিধাবাদীরা গড়ে ওঠে। মৌসুমি পাখির মতো আসা এসব অতিথি নেতার দাপটে দলের দুঃসময়ের কর্মীরা হারিয়ে যান। কেউ কেউ কোণঠাসা হয়ে পড়েন। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগে মৌসুমি পাখিদের জায়গা হবে না।

গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে প্রথমবারের মতো দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামে ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের দৈনিক বাংলার বাণীর সহকারী সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘ সময়। এ পর্যন্ত নয়টি বই লিখেছেন। বসুরহাট সরকারি এএইচসি হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে তিনি উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা একজন আইনজীবী।

১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুজিববাহিনীর কোম্পানীগঞ্জ থানা কমান্ডার ছিলেন। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কারাবন্দী থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। টানা দুবার তিনি এ পদে ছিলেন। ওবায়দুল কাদের ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এক-এগারোর সময় ১৭ মাস ২৬ দিন তিনি কারাবরণ করেন। ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

সাক্ষাৎকারে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ অনেকেরই অর্থসম্পদের দিকে ঝুঁকে পড়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করছি। তবে যারা মূলত আওয়ামী লীগ করেন, দলকে ভালোবাসেন, তাদের কোনো চাহিদা নেই। দল ও দেশ ভালোভাবে চললে, এটাই তাদের বড় পাওয়া।

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর আপনার কোন কাজটি এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের প্রথম টার্গেট আগামী নির্বাচন। পরবর্তী টার্গেট রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন। অর্থাৎ উন্নত ও মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা।’ তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ আমাদের প্রধান বিপদ। প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে তারা ভয়াবহ হামলার প্রস্তুতি যে নিচ্ছে না এ কথা বলার উপায় নেই। এ বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে পরাজিত করাই হবে আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।’ তিনি বলেন, ‘দলকে শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা আমাদের অন্যতম কাজ। উন্নয়ন আর আচরণকে একই ধারায় বহমান করা দরকার। উন্নয়ন যতই হোক না কেন, আচরণ খারাপ করলে উন্নয়ন ম্লান হয়ে যায়। আবার ভোটের রাজনীতিতেও এর প্রভাব আছে। এখন থেকেই এ কাজটি আমাদের করতে হবে। ২০২১ ভিশনের সঙ্গে সংগতি রেখে দলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। দলে একটি টিমওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।’ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি দলেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে কোনো সমস্যা হবে কিনা— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার যে কাজের ধরন, তার সঙ্গে এখন আমার দলীয় কাজ খুব সহজ হলো। আজকে আমি যদি সাধারণ সম্পাদক না হতাম, তাহলে ধরুন প্রেসিডিয়াম সদস্য থাকতাম। তখন রাস্তা দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অনেকের অভিযোগ শুনতে হতো; যা আগেও শুনেছি। কিন্তু কোনো সমাধান দিতে পারতাম না। কারণ আমি অথরিটি নই। এখন অথরিটি পেয়েছি। এখন সমাধান করতে পারব। যদি কোথাও সমস্যা খুব বেশি হয়, তাহলে প্রয়োজনে দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে নেব। এখন আমার সুবিধা রাস্তা দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগ দেখব, আর আওয়ামী লীগ দেখতে গিয়ে রাস্তা দেখব।’ আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের কাছে বিএনপি প্রত্যাশা করেছে, তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে এবং নতুন নির্বাচনের উদ্যোগ নেবে; আপনি কী বলবেন? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র ও নির্বাচন সবই আছে। একটা গণতান্ত্রিক দল দীর্ঘদিন সরকারের বাইরে আছে। সরকারের বাইরে থেকে বিরোধী দলের যে দায়িত্ব, তা যদি যথাযথভাবে পালন করে এবং গত নির্বাচনের মতো নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি যদি তারা না ঘটায় তাহলে দেশে স্বস্তি আসবে। শান্তি কথাটা বলব না এ কারণে যে, শান্তি জিনিসটা অনেক বড় বিষয়। এখন বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ আমাদের তাড়া করছে। আমেরিকায় যখন নির্বাচন চলছে, তখন সেখানে অনেক ঘটনা ঘটছে। প্যারিসের মতো দেশ নিরাপদ নয়। যে দেশকে সংস্কৃতির রাজধানী বলা হয়, সেখানেও শান্তি নেই। তাই এসবের মধ্যে আমি তাদের (বিএনপি) বলব, সরকারকে অস্থিতিশীল করে দেশের স্থিতি নষ্ট করে লাভ নেই। এখন দেশের ক্ষতি করে তারা যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে সেই ক্ষতি পূরণ করার জন্য অনেক সময় তাদের অপেক্ষা করতে হবে। যেসব ঘটনা দেশকে পিছিয়ে দেয়, গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করে, দেশের স্থিতিকে রক্তাক্ত করে, সেসব ঘটনা না ঘটিয়ে তারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন করুন। জনমত গড়ে তুলুন। বিরোধী দল বা বিরোধী পক্ষ শক্তিশালী হলে সরকারও আরও শক্তিশালী হয়।’

বিএনপি আপনাদের স্বাগত জানিয়েছে, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে আমাদের মতের বিভেদ থাকতে পারে। তবে রাজনীতিতে সৌজন্য হারিয়ে যাবে, এটা ঠিক না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা কাজের পরিবেশ থাকা ভালো। তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোরও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিএনপি স্বাগত জানিয়েছে, আমিও তাদের শুভেচ্ছা জানাই।’ তিনি বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে সৌজন্য সাক্ষাতে বেগম খালেদা জিয়া দেশে গণতন্ত্রশূন্যতার কথা বলেছেন। কিন্তু চীনের প্রেসিডেন্ট তাদের বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে শান্তি চাই’। চীনের প্রেসিডেন্ট যেটা বলেছেন, তার কথার সঙ্গে প্রতিধ্বনি করে বলতে চাই, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বিএনপিরও সহযোগিতা চাই।’ দলকে ঢেলে সাজাতে বা আরও সংগঠিত করতে আপনার বাড়তি কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কৌশলটা একটা পরিস্থিতিতে উদ্ভব হয়। পরিস্থিতির আলোকে নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করা হবে। আমরা দলকে সংগঠিত করতে গতকাল প্রথম সম্পাদকমণ্ডলীর সভা করেছি। দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নের সহায়ক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক ১০০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের কর্মকাণ্ডের সীমা বেঁধে দেওয়া হবে যাতে তারা জেলায় গিয়ে নেতাদের ওপর হামবরাভাব দেখাতে না পারে।’ আপনার কাছে দলের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর অনেক প্রত্যাশা— এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যাশার চাপ তীব্রভাবে অনুভব করছি। সম্মেলনে সর্ববৃহৎ উত্তাল ঢেউয়ের রেশ এখনো যায়নি। দলীয় কার্যালয়ে যুদ্ধ করে ঢুকি, যুদ্ধ করতে করতে বের হই। এগুলো জাগরণের ঢেউ। কাজেই আমার কাছে নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। আমি এখন যদি প্রতিশ্রুতি দিই, আর সেগুলো বাস্তবায়ন না করতে পারি তাহলে এই জাগরণের কোনো মানে নেই।’

ছাত্রলীগের সভাপতি থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক— আপনার মন্তব্য কী? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেত্রী আমাকে পরিশ্রমের মূল্য দিয়েছেন। আমার রাজনৈতিক জীবনে অনেক পরিশ্রম করেছি। দুর্যোগের অমাবস্যা পার করেছি। জেল খেটেছি। নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার একটা কমিটমেন্ট আছে, সেটা হলো আমাকে কোনো কাজে লাগালে সেখানে লেগে থাকি। বিষয়টি নেত্রী জানেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি দুই দফা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। জেল থেকে আমিই প্রথম ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম। ১৯৮১ সালে নেত্রী দেশে আসার পর আমি তাকে স্বাগত জানিয়েছি সভাপতি হিসেবে। নেত্রীর দলের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় ৩৫ বছর। আমারও ছাত্রলীগ ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা ৩৫ বছর। আমি ’৮১ সাল থেকে নেত্রীর সঙ্গে থাকতাম, নেত্রীর সঙ্গেই কাজ করতাম। নেত্রীর এমন কোনো সফর ছিল না যেখানে আমি ছিলাম না।’ তিনি বলেন, ‘৭৫-এর রাজনীতির পর আমরা ছাত্রলীগের কয়েকজন তরুণ রাজপথে আন্দোলন করেছি, প্রথম লিফলেট বিতরণ করেছি, এমনকি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে মিছিল নিয়ে বের হয়েছিলাম। নভেম্বরের ৪ তারিখে মিছিল করার সময় খবর পেলাম জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। সব মিলে আমি বলব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃষ্ট কর্মী আমি। তার কাছ থেকে অনেক শিখেছি। তিনি আমাকে ধাপে ধাপে অনেক গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন সেই ধারাবাহিকতায়।’

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে বর্তমান ছাত্রলীগের প্রতি আপনার উপদেশ কী— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের সহযোগী সংগঠন। আমি নিজেও ছাত্রলীগের সৃষ্টি। ছাত্রলীগ আমার কৈশোরের ভালোবাসা, যৌবনের প্রথম প্রেম। স্বাধীনতার সময় ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অন্যরকম। সে সময় ছাত্রলীগের ত্যাগী মানসিকতা ছিল। এরপর আমরা যখন প্রথম ক্ষমতায় ছিলাম, তখন যে নেতিবাচক বিষয়গুলোর অনুপ্রবেশ করেছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ’৭৫-পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল, তাদের ছাত্র সংগঠনগুলো কিছু সুবিধাবাদী-সুযোগসন্ধানী বা স্বার্থপরতা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এখন আবার আওয়ামী লীগেরও তৃণমূল পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা, অথবা ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাদের যে মানসিকতা সেখানে ছাত্রলীগকে পাহারাদার হিসেবে ব্যবহার করার প্রবণতাটা সমস্যার কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সেটা এখনো বিরাজ করছে। সে অবস্থার যে স্রোত তা থেকে ছাত্রলীগকে পুরোপুরি বের করে আনতে পারিনি। আমি মনে করি, যদি নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতো তাহলে এ সমস্যার সমাধান হতো। আজ প্রায় ২৪ বছর ডাকসুসহ প্রতিটি ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই গণতন্ত্রচর্চা চালু থাকলে প্রতি বছর নতুন নেতৃত্ব বের হয়ে আসত। ডাকসু-জাকসুসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন হলে যাদের আচরণটা বেপরোয়া বা অপকর্ম করে, তারা ভালো হওয়ার চেষ্টা করত। কারণ তারা মনে করত আমাকে তো আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে হবে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ভোট নিতে হবে। তাদের মন জয় করতে হবে। এসব করলে ভোট দেবে না। এ ব্যাপারে আমি শিক্ষামন্ত্রীকে বার বার বলেছি, ছাত্র রাজনীতিকে বিশুদ্ধ করার জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন।’ আপনি তো সাংবাদিকতা করেছেন, গণমাধ্যমের প্রতি আপনার বার্তা কী— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই পেশায় এখন তরুণরা আসছে। তারা বেশ ভালো করছে। যেহেতু আমি সাংবাদিক ছিলাম, তাই একজন রিপোর্টারের মূল্যায়ন আমি বুঝি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকতা এখন বিকাশমান। তবে বড় কষ্ট হচ্ছে আমি যখন সাংবাদিকতা করেছি, তখন প্রেসক্লাবে ওয়াল ছিল না। এখন রাজনীতির মতো প্রেসক্লাবেও ওয়াল তৈরি হয়েছে। যে জেলায় যাচ্ছি তার অধিকাংশতেই দেয়াল তৈরি দেখতে পাচ্ছি। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে বলব, একটু নজর দিন। অন্তত একটা মাত্র জায়গা পাব যেখানে পেশাদারিত্বের জায়গায় সবাই এক থাকবেন।’ তিনি বলেন, ‘শুধু সাংবাদিকতায়ই নয়, সব পেশাতেই দেয়াল উঠছে। তারা হয় আওয়ামী না হয় বিএনপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তাই আহ্বান থাকবে— মোটামুটি একটা পজিটিভ জায়গায় থাকলে, আমাদের মূল্যবোধ, সৌজন্যবোধ বৃদ্ধি পাবে। আদর্শের জায়গাটা আরও উজ্জ্বল হবে।’

গুলিস্তানে হকার-পুলিশ সংঘর্ষ

রাজধানীর গুলিস্তানে একটি পাতাল মার্কেটের উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও হকারদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুইটার পর অভিযান শুরু হয়। তবে একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আধঘণ্টার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. বশিরুল বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের মতিঝিল বিভাগীয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বাবু, সম্পাদক জুয়েল

শফিউল বারী বাবুকে সভাপতি ও আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটির অনুমোদ দিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গঠনতন্ত্রের বিধানবলে এ কমিটির অনুমোদন করেন।

এছাড়াও মোস্তাফিজুর রহমান সিনিয়র সহ-সভাপতি, গোলাম সারোয়ার সহ-সভাপতি, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও সাদরাজ্জামান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ইয়াসিন আলীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হযেছে।

বর্নিল অায়োজনে ‘সময় নারায়ণগঞ্জ.কম’এর ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল বলেছেন, ‘সাংবাদিকরা একটি দেশের রনাঙ্গনের সৈনিকের মতই গুরুত্বপূর্ন ও সাহসীক। সৈনিকরা যেমন দেশ রক্ষায় নিজের জীবন বাজী রেখে প্রত্যক্ষ ভাবে যুদ্ধ করে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকরা সেই দেশের মানুষের অধিকার ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্যে অনেক সময় জীবনের ঝুকি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে থাকে।’

বুধবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফতুল্লা প্রেস ক্লাব চত্তরে অনুষ্ঠিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল “সময় নারায়ণগঞ্জ.কম” এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের কলম সর্বদা অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়ে। জালিম ও অপরাধীদের জন্যে একজন প্রকৃত সাংবাদিক সর্বদাই মূর্তিমান আতঙ্ক। কেননা সাংবাদিকরা সামাজে অপরাধীদের কালো মুখোষ উন্মোচন করে মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সর্বদা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকে। আর আমি বিশ্বাষ করি যে, সময় নারায়ণগঞ্জ.কম ঠিক তেমনই একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এখানে যারা সাংবাদিকতকার পেশায় নিয়োজিত রয়েছে, তারা সর্বদা ন্যায়ের পক্ষে থেকে মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষে কাজ করে। আমি আশা করবো আগামীতেও তারা যেকোন ধরণের অন্যায় অপরাধের বিরুদ্ধে লিখনির মাধ্যমে লড়বে এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মো. শওকত আলী বলেন, ‘সাংবাদিকরা হলো জাতির বিবেক। তারা কখনই অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা নিচু করে না। তাই সময় নারায়ণগঞ্জের প্রতিও আমার আহবান থাকবে যে, অপরাধী যেই হোক না কেন, তাদের সাথে কখনই আপোষ করা যাবে না। বিগত সময়ের মত ভবিষ্যতেও সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সময় নারায়ণগঞ্জ.কম এর উপদেষ্টা হাজী সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ বলেন, হাটি-হাটি পা-পা করের আজ সময় নারায়ণগঞ্জের ১ বছর পূর্তি হলো। এই এক বছরের চলার পথে সময় নারায়ণগঞ্জ.কম সর্বদা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও ন্যায়ের পথে কাজ করে গেছে। কখনই অপরাধীদের সাথে আপোষ করেনি ভবিষ্যতেও করবে না। কেননা সময় নারায়ণগঞ্জ.কম সর্বদা অন্যায়ের বিরুদ্ধে থেকে সত্যের পক্ষে অবস্থান নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই আপনারা সকলেই সময় নারায়ণগঞ্জের পাশে থাকবেন।

অনুষ্ঠানে সময় নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খোকা, পরিচালক সহিদুল ইসলাম সহিদ ও প্রকাশক মো. আরিফ জয় সকল পাঠক ও শোভা-কাঙ্খিদের প্রতি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সময় নারায়ণগঞ্জ.কম এর উপদেষ্টা হাজী সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আরো বক্তব্য রাখেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিছুজ্জামান অনু, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হাজী মো. ফরিদ আহমেদ লিটন, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. শরিফুল হক।

পরিবারের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. রাফিউল হাকিম।

প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ প্রতিনিধি মো. শুভ, স্টাফ রিপোর্টার মো. তানজিল আহমেদ তুষার, স্টাফ সিনিয়র ফটো সাংবাদিক মো. কাইয়ুম ও অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মো. তোতা মিয়া।

আলোচনা পর্বের পর কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে লালন গীতি পরিবেশন করা হয়।

যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এলবার্ট পি কস্তা

জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব এলবার্ট পি কস্তাকে দেয়া হয়েছে। বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দায়িত্ব দেন।

আগে বর্তমান কমিটিতে সহ-সভাপতি ছিলেন কস্তা। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরবকে স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়।

পাক-ভারত সীমান্তে গুলাগুলি, ৫ ভারতীয় সৈন্য নিহত

চলমান উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা লাইন অব কন্ট্রোলে ফের ভারত ও পাকিস্তানের সৈন্যদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে। এতে ৫ ভারতীয় সৈন্য এবং পাকিস্তানের দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছে। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও ডন অনলাইনের।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃসংযোগ পরিদফরের (আইএসপিআর) দাবি, ভারতীয় বাহিনীর উস্কানিমূলক গুলির জবাব দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাতের ওই গুলি বিনিময়ে ৫ ভারতীয় সৈন্য নিহত এবং সীমান্তে তাদের চারটি সামরিক পোস্ট ধ্বংস হয়ে গেছে। ভিমবার সেক্টরে এ গুলি বিনিময়ের সত্যতা সেনাসূত্রও নিশ্চিত করেছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের হারপাল এবং ছুপরার সেক্টরে গুলিবর্ষণ করলে দুই পাকিস্তানি নাগরিক নিহত ও অন্তত ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছে।এ নিয়ে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে পাকিস্তানের ৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ২১ জন আহতের ঘটনা ঘটল।

এদিকে, সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লংঘন করার ঘটনায় পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে।পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে কেন সীমান্তে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙঘন হচ্ছে, তা তদন্ত এবং সেনাবাহিনীকে যুদ্ধবিরতির প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর উরিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৯ ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। এরপর ভারত পাকিস্তানকে এ হামলার জন্য দায়ী করে দেশটিতে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ পরিচালনার দাবি করে।ভারতের এ দাবি পাকিস্তান নাকচ করে আসছে। এ নিয়ে দু’দেশের সীমান্তে প্রায়ই সৈন্যরা গুলি বিনিময় করছে।

মুন্সীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী একটি মাজার সীলগালা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌর এলাকায় প্রায় দুই শত বছর আগে গড়ে ওঠা ধর্মপ্রচারক মিরসাহেব এর মাজারটি সীলগালা করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান।

বুধবার সকাল ১০টার সময় বর্তমানে দায়িত্বে থাকা মোতয়াল্লী হাজি মোঃ সফি উদ্দিন আহাম্মেদ এর কাছ থেকে চাবি নিয়ে মাজারটির মূল ফটকে তালা লাগিয়ে সীলগালা করার বিষয়টি স্বীকার করে ইউ এন ও বলেন, এখানে দুটি পক্ষের সংঘাতের সম্ভবনার কথা বিবেচনা করে এই কাজটি করেছেন তিনি।

এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাজার গেট এলাকায় ভক্ত অনুরাগীরা মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন। মাজারের মোতয়াল্লী হাজ্বি সফি উদ্দিনের দাবি কমিটির ঝামেলার বিষয় উচ্চ আদালতে বিচারাধিন। এই ব্যাপারে জানার পরে ইউ এন ও মাজার সীলগালা করে দিয়ে আইন অবমাননা করেছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ বিএনপির কাজ- ওবায়দুল কাদের

ঘরে বসে প্রেস ব্রিফিংয়ের মধ্যে বিএনপির কাজ সীমাবদ্ধ। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার সকালে বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গণতন্ত্র বা কোনো অর্জন নেই’- বিএনপির এমন অভিযোগের প্রতি-উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে এটা আগে প্রমাণ করুক। ‘নিজেদের দলে কোনো গণতন্ত্র নেই, তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল, বৃহৎ একটি দল।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে জনগণের চাওয়াই দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এক্ষেত্রে বিএনপির বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ বিএনপি হতাশাগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত একটি দল।

এছাড়া আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সম্পূর্ণ গণতন্ত্র মেনে নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে বলেন তিনি।

দেওভোগে ১২’শ ইয়াবাসহ কথিত সাংবাদিকসহ তিনজন গ্রেপ্তার

শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকা থেকে গতকাল মঙ্গলবার একজন কার্ডধারী কথিত সাংবাদিক সহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬শ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট। এছাড়া ওই সাংবাদিকের কাছ থেকে একটি মানবাধিকার সংস্থার কার্ডও পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায় তাদেও স্বীকারোক্তি মতে আরো ৬’শ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এএসআই সাখাওয়াত হোসেন জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন দেওভোগ পাক্কা রোডস্থ জুয়েল এর ভাড়া নেওয়া বাসার দোতলায় মাদক (ইয়াবা) বিক্রয়ের সময় হাতে নাতে ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো মোঃ আলমগীর কবির (৪০), মোঃ জুয়েল (৩৮) ও মোঃ সেন্টু (৪০)। এ তিনজনের মধ্যে আলমগীর কবির নিজেকে স্থানীয় পত্রিকা ‘দৈনিক রুদ্র বার্তার’ রিপোর্টার এবং একটি মানবাধিকার সংস্থা ‘সিপিআরএস (কনজুমার অ্যান্ড প্যাসেঞ্জার রাইট প্রটেক্ট সোসইটি)’ এর সদস্য মর্মে উল্লেখ করেন এবং আইডি কার্ড উপস্থাপন করেন।

হান্নান শাহ’র রাজনৈতিক জীবন জুড়েই ছিল শহীদ জিয়ার আদর্শ

বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য দুঃসময়ের কান্ডারী ব্রিঃ জেনারেল (অবঃ) আ.স.ম হান্নান শাহ স্মরনে বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মাঠে সোমবার বাদ আসর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পিয়ার হোসেন পিন্টুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আকবর আলী সুমন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাজী মোঃ ওমর আলী।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এম আকবর আলী,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আল আমীন সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর আলী,সহ-সভাপতি মোহাম্মাদ মাহমুদ মেম্বার,ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ মন্টু মেম্বার, ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ শাহ জাহান, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতাগোলাম মোস্তফা অরুন ও বক্তাবলী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড  বিএনপি’র সভাপতি মোঃ মোতালেব সর্দার।

প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে আকবর আলী সুমন বলেন, প্রয়াত হান্নান শাহের রাজনৈতিক বর্নাঢ্য জীবন জুড়েই ছিল শহীদ জিয়ার আদর্শ। তিনি ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের বলেন, আসুন আমরা একত্রিত হয়ে বিএনপিকে সুসংগঠিত করে দেশের সাধারণ মানুষের স¦ার্থে সুন্দরভাবে রাজনীতি করি।

আরো উপস্থিত ছিলেন,আঃ মান্নান, বারেক সর্দার, মান্নান মুন্সী,মোঃ ডালিম, আঃ হাই,তৈয়ব আলী, হাফেজ ঝন্টু,ছাত্রদল নেতা মাসুদ খাঁন, পিয়ার আলী,হোসেন আলী, রিমন, যুবদল নেতা আমান, মনির।

অনুষ্ঠানের প্রধাণ বক্তা বলেন,আমাদের রাজনৈতিক শিক্ষক ছিলেন ব্রিঃ জেনারেল (অবঃ) হান্নান শাহ। তার কাছ থেকে আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শেও রাজনীতি শিখেছি। তিনি বেচে থাকলে আমরা আরও  শিখতাম। কিন্তু দুঃভাগ্য যে, তিনি সবাইকে কাদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার আদর্শে অনুপ্রেরিত হয়ে আগামীতে রাজনীতির মাঠকে আমাদের আরোবেগবান করে তুলতে হবে।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা নেতা মোঃ কামাল হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহম্মেদ রাজু,মোঃ মাহমুদল্লাহসহ ছাত্রদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।