৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 250

বাংলার মেহনতী মানুষকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা: পলাশ

একমাস সিয়াম সাধনার পর সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানসহ মেহনতী মানুুষকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

ঈদের ইতিহাস

ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। দুটি ঈদই পালন হয় ত্যাগ তিতিক্ষার মাঝ দিয়ে খুশির বন্যা বইয়ে দিয়ে। একটি সিয়াম সাধনা অপরটি সম্পদের ত্যাগের মাধ্যমে। তবে এ ঈদের সূচনা কীভাবে হলো জেনে নেওয়া চাই।

হাদিসে এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনাতে আগমন করলেন, তখন মদিনায় দুটো দিবস ছিল; যে দিবসে তারা (মদিনার লোকজন) খেলাধুলা করতো। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুই দিনের তাৎপর্য কী? মদিনাবাসীগণ বললেন, আমরা এ দুই দিনে (আনন্দ) খেলাধুলা করি। তখন রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দান করেছেন। তার একটি হলো, ঈদুল আজহা ও অপরটি ঈদুল ফিতর।’ (আবু দাউদ)

এই হলো ঈদের সূচনা। তারপর থেকেই মুসলমানরা দুই ঈদ আদায় করে থাকেন।

‘ঈদ’ আরবি শব্দ। যার অর্থ হলো ফিরে আসা। ঈদ যেহেতু আনন্দের বার্তা নিয়ে মুসলমানের দ্বারে দ্বারে বার বার ফিরে আসে, সঙ্গত কারণেই এ আনন্দকে ঈদ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। তাই রোজাদার মুসলমান মাসব্যাপী রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখ আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনে ঈদ বা আনন্দ উদযাপন করে থাকে।

ঈদুল ফিতর দ্বারা এ দিবসের নাম রাখার তাৎপর্য হলো আল্লাহ তাআলা এ দিনে তার রোজাদার বান্দাদের নিয়ামত ও অনুগ্রহ দ্বারা বার বার ধন্য করেন এবং তাঁর ইহসানের দৃষ্টি বার বার দান করেন। কেননা মুমিন বান্দা আল্লাহর নির্দেশে রমজানে পানাহার ত্যাগ করেছেন আবার রমজানের পর তাঁরই পানাহারের আদেশ পালন করে থাকেন। তাই দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে বান্দাকে আল্লাহ তায়ালা পানাহারে মুক্ত করে দনে। তাই ঈদুল ফিতরকে ঈদুল ফিতর করে নাম করা হয়েছে।

ঈদের দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হবে

সারা দেশের জনগণ ঈদের আনন্দে মেতে উঠবে। তবে এ আনন্দ কিছুটা ম্লান করে দিতে পারে আষাঢ়ের বৃষ্টি। ঈদের দিনও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

সমুদ্রবন্দরগুলোতে বুধবারও তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে বুধবার সকাল থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া উপকূলীয় কয়েকটি জেলায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘বুধবার দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে বেশি মাত্রায় বৃষ্টি থাকবে। তবে ওইদিন থেকে ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর বিভাগে বৃষ্টির তীব্রতা কমে আসবে।’

দেশের ওপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয়, সঙ্গে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অবস্থানরত লঘুচাপের কারণে দেশে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।

এদিকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশেই বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে ১৪৮ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।

অপরদিকে বুধবারও নদীবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও কাছাকাছি বিহার এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহার এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ভারী বৃষ্টির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বিভাজনের পুরনো পথে হাঁটলে সঙ্কট ঘনীভূত হবে : রিজভী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ টেনে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘এই মূহূর্তে দোষারোপ ও বিভাজনের পুরনো পথে হাঁটলে দেশের সঙ্কট আরো ঘনীভূত হবে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী ঘটনায় উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে তাদের নির্মূল করতে কোনো পর্দা ঝুলিয়ে রাখলে সঙ্কটের মর্মমূলে পৌঁছানো যাবে না।’

বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ঈদের প্রাক্কালেও ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচারে হত্যালীলা চলছে এমন অভিযোগ করে সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপির সিনিয়র ‍যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বন্দুক যুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাই যদি রাষ্ট্রের বিধানে পরিণত হয়, তাহলে বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসনের প্রয়োজন কী?’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যার কোনো কমতি দেখা যাচ্ছে না। ঈদের দু’তিন দিন আগেও চলছে নির্বিচারে হত্যালীলা। অথচ সভ্য দুনিয়ার বিধানই হচ্ছে-যত বড়ই অপরাধী হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীদের বিস্তৃত জাল বেরিয়ে আসা সম্ভব। ক্রসফায়ার নিয়ে নানা সংগঠন থেকে প্রতিবাদের পরও ক্রসফায়ারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। একটি বেআইনি ভয়াবহ অপরাধ মোকাবেলা করার জন্য রাষ্ট্রের দ্বারা আরেকটি বেআইনি অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধের মাত্রা কখনোই কমে না, বরং অপরাধ বৃদ্ধি পেয়ে আরো কদর্য রূপ লাভ করে। আতঙ্কের অনুভূতি সমাজে বিস্তার লাভ করবে। ইতিহাস জ্ঞানের অভাব রাজনীতির অঙ্গ হওয়ার কারণে ক্রসফায়ারের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।’

বিএনপি সিনিয়র এ ‍যুগ্ম মহাসচিব প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বন্দুক যুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাই যদি রাষ্ট্রের বিধানে পরিণত হয়, তাহলে বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসনের প্রয়োজন কী?’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। শর্তের কথা বলে কালক্ষেপণ করে জাতীয় ঐক্যকে বাধাগ্রস্ত করলে অশুভ শক্তিরই বাড়-বাড়ন্ত হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তাকে সুরক্ষা দেয়া যে এ মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি, সেটি অনুভব এবং অভিজ্ঞতার সীমানার মধ্যে আনতে হবে। আর সেটি করতে ব্যর্থ হলে ক্ষমতাসীনরা জাতির কাছে দায়ী থাকবে। কারণ তারাই ক্ষমতায়।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন-অর রশিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম পটু, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।

বাংলাদেশে আরো হামলার হুমকি আইএসের

ডেস্ক নিউজ: গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার চার দিনের মাথায় আরও ভয়াবহ হামলার হুমকি দিয়েছে তিন আইএস সদস্য। শুক্রবার রাতে ওই হামলায় অংশ নেয়া সহযোদ্ধাদের প্রশংসাও করে তারা।

ওই ভিডিওতে তিন তরুণকে বাংলায় কথা বলতে দেখা যায়। সুস্পষ্ট বাংলায় কথা বললেও ওই তিন তরুণ কোন দেশের নাগরিক তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) এক ভিডিওবার্তায় এ হুমকি দেয় যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় আইএসের কথিত রাজধানী রাকায় অবস্থানরত তিন তরুণ। সাইট ইনটেলিজেন্ট গ্রুপের ওয়েব সাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ভিডিওচিত্রটি ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে।

ভিডিওতে এক তরুণকে বলতে শোনা যায়, ‘শেখ আদনানির’ নির্দেশে তারা ‘খ্রিস্টান, ইহুদি ক্রুসেডার ও তাদের মিত্রদের’ বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ করছে এবং তা কোনোভাবেই ‘কৌতুক নয়’।

ভিডিওতে এক জঙ্গি বলছে, ‘বাংলাদেশের তাগুত সরকার, এদের সমর্থক ও এদের কর্মচারীদের উদ্দেশে, আমি তোমাদেরকে প্রশ্ন করতে চাই কেমন করে তোমরা ডেমোক্রেসিকে (গণতন্ত্রকে) সাপোর্ট করো? ডেমোক্রেসি নামক এই শিরকি মতবাদকে তোমরা কিভাবে সাপোর্ট করো?’

‘তোমরা কি জানো না ডেমোক্রেসি হচ্ছে সেই মতবাদ যেখানে বলা হয় ক্ষমতা এবং আইন প্রণয়নের ক্ষমতা মানুষের হাতে, যেখানে আল্লাহ সুবহানা তায়ালা বলে দিয়েছেন আইন প্রণয়নের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর।’

ওই  জঙ্গি আরও বলে, ‘আমি বাংলাদেশের তাগুত (সীমালঙ্ঘনকারী বা আল্লাহদ্রোহী) সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, যে জিহাদ আজ বাংলাদেশে এসেছে, যে জিহাদ তোমরা প্রত্যক্ষ করছো, এরকম জিহাদ তোমরা এর আগে কখনও দেখো নাই। এই জিহাদ হচ্ছে সেই জিহাদ যার প্রতিশ্রুতি রাসুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়ে গিয়েছিলেন, সুতরাং তোমরা কখনওই এই জিহাদকে বন্ধ করতে পারবে না।’

জিহাদ সফল করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ওই জঙ্গি আরও বলে, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা জয়ী হই এবং তোমরা পরাজিত হও এবং সারাবিশ্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত না হয়। একে তোমরা কখনওই রুখতে পারবে না, সুতরাং এ চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।’

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলে, ‘বাংলাদেশে তোমরা এখন যা দেখছো তা জিহাদের একটি ঝলক ছাড়া আর কিছু নয়…বাংলাদেশে যা দেখেছো সেটা রিপিট, রিপিট এবং রিপিট হবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত শরিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়আমরা শেষ পর্যন্ত তোমাদের সাথে লড়ে যাব, হয় আমরা বিজয়ী হব, অথবা শাহাদাৎ লাভ করব।’

এরপর দ্বিতীয় জঙ্গি বাংলাদেশের সব সরকারকে দোষারোপ করে বলে, ‘আমরা যদি বাংলাদেশের দিকে তাকাই তবে এই ভূমিতে সমস্ত সরকার আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানকে মানবরচিত আইন দ্বারা পরিবর্তন করেছে। যার ফলে তারা তাগুত হয়ে যায়; তারা কাফের হয়ে যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ অর্থাৎ সশস্ত্র কিতাল করা ফরজে আইন হয়ে যায়।’

তৃতীয় জঙ্গি জিহাদিদের উদ্ধুব্ধ করে গুলশানে হামলার দিকে ইঙ্গিত করে বলে, বাংলাদেশে যে কাজটি তারা করেছেন, সেটি চমৎকার একটি কাজ।

উল্লেখ্য, ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে শুক্রবার (১ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে একদল সসস্ত্র জঙ্গি ঢুকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে রেস্টুরেন্টটি নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।

অভিযানে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার এবং ২০ জনের জবাই করা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে ১৭ জনই বিদেশি। বাকিরা বাংলাদেশি।

এ ছাড়া জঙ্গিদের প্রতিহত করতে গিয়ে নিহত হন গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিম ও বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন খান।

জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বন্ধুপ্রতীম দেশের সহযোগিতা নেওয়া হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে এ জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  জঙ্গি কার্যক্রম প্রতিরোধে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ।

গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সশস্ত্র সদস্যরা হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়েছে। তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, দেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলো ধর্মের নামে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে দেশের কোমলমতি ছাত্রদের বিপথগামী করছে।

এ সময় সন্তানদের ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এলোপাথারি গুলি করতে করতে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ঢুকে নারকীয় হত্যাযাজ্ঞ চালায় বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, র্যা বের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।

না’গঞ্জে অভিনব কৌশলে প্রবেশ করছে

 
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মাদক মজুদ করতে শুরু করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মাদকের চালান প্রবশে করছে নারায়ণগঞ্জে। কিছু কিছু মাদকের চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হলেও বেশীর ভাগ চালানই নিরাপদে চলে যাচ্ছে নিদিষ্ট স্থানে। একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানাগেছে। মাদব ব্যবসা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকলেও মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনব কৌশলেই মাদকের চালান নিয়ে আসছে। সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসার সাথে রাজনীতিক, সাংবাদিক কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতাও রয়েছে। ফলে তাদের সহায়তাই জেলার বিভিন্ন স্থানে নিদিষ্ট সময়ে মাদক চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু সদস্য, রাজনৈতিক দলের নেতা,ক্যাডার ও কিছু কথিত সাংবাদিকরা জড়িয়ে যাওয়ায় অনেকে প্রতিবাদ জানাতে সাহস পাচ্ছে না। অনেক সময় প্রাবাদকারীরা নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে মাদক ব্যবসা নিমূর্লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি গণসচেতনতা বৃদ্ধির দাগিত দিয়েছেন অপরাধ বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, মাদক ব্যবসায়ী প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভর হলেই চলবে না, এ ক্ষেত্রে সমাজের দায়িত্বশীল সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সূত্রমতে, নারায়ণণগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রিয় রয়েছে। ঈদকে ঘিরে মাদকের বড় চালান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে মাদকের বড় চালান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অধিক সতর্কতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে মাদকের ছোট বড় চালান আটক হলেও তা অনেক মাদক প্রবেশের তুলনা অনেক কম। সূত্রের দাবি, মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক প্রবেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সহায়তা করছে। এর সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য, কথিত সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতা ও ক্যাডার জড়িত রয়েছে। তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় মাদক ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে। পর্দার আড়াল থেকে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির অনেক নেতা। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ভদ্র মুখোর কিছু প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পরেছে বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। যে কারণে অনেক সময় মাদক বিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও অসহায় হয়ে পরে।
বিভিন্ন সূত্রে ও অনুসন্ধানে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জে প্রবেশের ক্ষেত্রে নদী, সড়ক ও রেলপথের সুবিধা থাকায় রুট পরিবর্তন করে সহজেই নারায়নগঞ্জে মাদক দ্রব্য প্রবেশ করছে। রাতের আধারে কিংবা নিরব সময়েই নারায়ণগঞ্জের নিদিষ্ট স্থানগুলোতে মাদক চলে যাচ্ছে। কিছু সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও কিছু করার থাকে না। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিনব কৌশলে মাদকের চালান চলে যাচ্ছে। নিদিষ্ট স্থানে মাদক পৌছে দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নারী,শিশু, কিশোর এবং সুন্দর তরুনীদের। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায় মাদক প্রবেশ করছে। সূত্র জনায়, জেলার রূপগঞ্জ, সোনারগা, আড়াইহাজার,বন্দর,সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লার পাশপাশি শহরে অভিনব কৌশলে চলছে মাদক ব্যবসা। শহরের গলাচিপা, শীতলক্ষ্যার মোড়, নিতাইগঞ্জ ও সৈয়দপুরে একাধিক সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসা চালিয়োচ্ছে। এছাড়া মাসদাইর এলাকা যেন মাদকের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে। শহরের শীতলক্ষ্যা মোড়,নিতাইগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় এক কাউন্সিলরের সহযোগীতায় মাদক ব্যবসা হচ্ছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে। এই এলাকায বিটু নামে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর সাথে ওই কাউন্সিলরের মাদক ব্যবসার বিরোধ এখন অনেকটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অন্যদিকে, ফতুল্লা পাইলট স্কুল, খোঁজপাড়া, ষ্টেশন, তক্কার মাঠ এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে মাদক বেচাকেনা। বক্তাবলী এলাকা মাদক ব্যবসার জন্য নিরাপদ জোন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে ওই এলাকার একাধিক সূত্রে জানাগেছে। অপরাধ বিজ্ঞানীদের মতে, ঈদকে ঘিরে যে ভাবে মাদক মজুদ হচ্ছে তা রূখতে এখনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের সচেতন মানুষকে একযোগ কাজ করতে হবে। অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একক প্রচেষ্টা মাদক প্রবেশ ও ব্যবসা প্রতিরো করা সম্ভব না।

Auto Draftইতালির ৯ নাগরিকের মরদেহ নিয়ে বিশেষ বিমানের ঢাকা ত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ইতালির ৯ নাগরিকের মরদেহ নিয়ে একটি বিশেষ বিমান ঢাকা ত্যাগ করেছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বিমানটি ঢাকা ত্যাগ করে।
এর আগে লাশ দেশে নিয়ে যেতে ঢাকায় আসেন ইতালির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাপো পিস্তেলি। মঙ্গলবার সকালে একটি বিশেষ বিমানে তিনি ঢাকায় আসেন। বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতেখার জাহান।
জানা গেছে, ঢাকা বিমানবন্দর থেকেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল হলি আর্টিজান পরিদর্শন করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে হলি আর্টিজান হোটেলে জঙ্গিদের হামলায় ৯ ইতালীয়সহ ২২ জন নিহত হন। পরে যৌথবাহিনীর উদ্ধার অভিযানে ৬ জঙ্গিও নিহত হন। সোমবার বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে এ হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সর্বস্তরের মানুষ। এরপর সিএমএইচ থেকে নিহত ইতালীয় নাগরিকদের মরদেহ বুঝে নেন ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা।
এদিকে, বন্দুকধারীদের হামলায় ইতালির ৯ নাগরিক নিহতের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে ইতালি। এর অংশ হিসেবে রাজধানী রোমসহ ইতালির সব প্রধান শহরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। নিহতদের স্মরণে রোমের ক্যাম্পিডোগলিও প্রাসাদকে ইতালির পতাকার রঙে রাঙানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় কয়েকজন সশস্ত্র জঙ্গি। ঘটনার পর অভিযান চালাতে গেলে জঙ্গিদের হামলায় বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম নিহত হন। জঙ্গিরা রাতেই তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। শনিবার সকালে যৌথবাহিনী ওই রেস্টুরেন্টে কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। গ্রেফতার করা হয় একজনকে। জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জিম্মিকে। নিহত বিদেশিদের মধ্যে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি ও একজন ভারতীয়। বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান ছিলেন।

নিরাপত্তা নিয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের জন্য ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সমস্যা অভিন্ন। জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানিয়ে এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, আগামী দিনে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ।

ব্রিফিংয়ের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদকে একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্যান্য দেশ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন।

গুলশানের ওই জঙ্গি হামলার পর বিভিন্ন দেশ ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে ও বিবৃতি দিয়ে সমবেদনা জানানোয় বাংলাদেশকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

আলীরটেক যুবলীগ নেতা এস ভি শাহীন সরকারের উদ্যোগে অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে মাংস বিতরন

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,সমাজ সেবক ও আলীরটেক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ এস ভি শাহীন সরকারের উদ্যোগে গরীব, অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে মাংস বিতরন করা হয়। বুধবার বিকার সাড়ে ৩টায় আলীরটেক তার নিজ বাস ভবন সরকার বাড়ীতে ৩শ গরীব, অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে মাংস বিতরন করেন তিনি। এই সময় উপস্থিত ছিলেন,হাবিবুল্লাহ সরকার,শামীম সরকার,মফিজুল সরকার,আবজাল মিয়া ও আবু জাফর সুলতার প্রমুখ।