৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 267

নারীদের চুলের ক্ষেত্রে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

filmপ্রশ্ন: আমাদের আশেপাশে, আমাদের সমাজে অনেক নারীকে দেখা যায় পুরুষের মত চুল রাখতে। আবার কেউ কেউ হয়তো ঠিক পুরুষের মত চুল রাখছে না। কিন্তু নিয়মিত চুল ছাঁটে। আমার জানার বিষয় হচ্ছে নারীদের চুল রাখা বা ছাঁটার বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

উত্তর: নারীদের চুলের ক্ষেত্রে শরীয়তের মৌলিক নীতিমালা হল : ১. নারীরা চুল লম্বা রাখবে। হাদীস শরীফ থেকে জানা যায় যে, উম্মাহাতুল মুমিনীন (রা.) চুল লম্বা রাখতেন। ২. এ পরিমাণ খাটো করবে না যে, পুরুষের চুলের মতো হয়ে যায়। হাদীস শরীফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিনী নারীর প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে। ৩. চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না। কারণ হাদীসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। অতএব যে নারীর চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের সাথে সাদৃশ্য হবে না তার জন্য ঐ পরিমাণ কাটা জায়েয হবে। পক্ষান্তরে যার চুল তত লম্বা নয়; বরং অল্প কাটলেই কাঁধ সমান হয়ে যাবে এবং পুরুষের বাবরী চুলের মতো দেখা যাবে তার জন্য অল্প করেও কাটার অনুমতি নেই। তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি প্রয়োজনবশতঃ কামানোরও অনুমতি রয়েছে। তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে নারীরা তাদের চুল খাটো করতে পারবে। -(সহীহ বুখারী ২/৮৭৪; জামে তিরমিযী ১/১০৩; সহীহ মুসলিম ১/১৪৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭৭;)

নতুন চমক নিয়ে আবারো ভক্তদের মাঝে ফিরছেন সেই দীঘি !

filmএক সময়ের তুমুল জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা শিশুশিল্পী দীঘি এখন মিডিয়া জগৎ আড়ালেই আছেন। ‘বাবা জানো আমাদের সেই ময়না পাখিটা না আজ আমার নাম ধরে ডেকেছে’ গ্রামীণ ফোনের এই একটি বিজ্ঞাপণ বদলে দিয়েছিলো দীঘির জীবন। এটা থেকেই শুরু। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

এর আগে দিঘীর বাবা অভিনেতা সুব্রত গনমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছিলেন, আগামী ২০২০ সালেই নায়িকা হয়ে পর্দায় ফিরছেন এই শিশুশিল্পী। ২০২০ সালে এসএসসি পাশের পরই কেবল তিনি অভিনয়ে ফিরবেন। আর সেই ফেরা হবে তার পরিপূর্ণ নায়িকা হয়ে। পড়াশোনার ব্যস্ততা ও শিশুশিল্পীর ইমেজ কাটানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগে তিনি কোনোভাবেই পর্দায় আসছেন না। এরমধ্যে অনেকগুলো ছবি, বিজ্ঞাপনচিত্র ও নাটকের অফার ফিরিয়েও দিয়েছেন দীঘি।

বাংলা চলচিত্রে অন্যতম জনপ্রিয় ও জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এ গুণী শিল্পী হঠাৎই নিজেকে মিডিয়া থেকে গুটিয়ে নেন। এদিকে আবার কবে থেকে তাকে রঙিন পর্দায় দেখা যাবে এ নিয়ে ভক্ত দের মনে যেন প্রশ্নের শেষ নেই। তবে দিঘী ভক্তদের জন্য সুখবর হলো আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন দিঘী। এবার সব ধরনের জল্পনা-কল্পনার অবাসান ঘটিয়ে হঠাৎ করেই আবারো তাকে ক্যামেরার সামনে পাওয়া গেল। প্রাচুর্য ফ্যাশনের হয়ে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এর শুটিং হয়েছে জাপান গার্ডেন সিটির টোকিও স্কয়ার মার্কেটে।

এমন আকস্মিকভাবে আবারো পর্দার সামনে আসা প্রসঙ্গে দিঘী বলেন, ‘কাজটি হুট করেই হয়েছে। তাছাড়া এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানিয়া খন্দকারকে আমি মা বলি। তিনি প্রস্তাবটি দিলে আর না করতে পারিনি। তবে বাইরের কোনো কাজ এ মুহূর্তে করছি না। অভিনয় ফেরার ইচ্ছা আমার বরাবরই ছিল। তবে আগে পড়াশোনাটা শেষ করতে চাই। এর পর আবারো ফিরে আসব’

এক সময় লাইট, ক্যামেরা, শুটিং স্পট, সিনেমার সংলাপ, পাণ্ডুলিপি, মেকআপ এই ছিল তার জীবনের অংশ। আর এমনটা এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা শিশুশিল্পী দীঘি এখন মিডিয়া জগৎ আড়ালেই আছেন।film

বাংলাদেশে বড় সমস্যা হয়ে উঠছে ডায়াবেটিস

আজ ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি daiপালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করুন :ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।’

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য খাতে ডায়াবেটিস বড় সমস্যা হয়ে উঠছে। জীবনাচারের পরিবর্তনের কারণে অসংক্রামক ব্যাধিটি শহর ছাড়িয়ে এখন গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ লাখ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকার দেশব্যাপী স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও নার্স নিয়োগসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তবে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক ব্যাধি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনাচরণের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে কর্মক্ষম জীবনযাপন সম্ভব বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী ডায়াবেটিসকে একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এ ব্যাপারে জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের আরো আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের ফলে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেলেও ডায়াবেটিসজনিত সৃষ্ট রোগব্যাধি দিন দিন বাড়ছে। ডায়াবেটিসজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে যদি আক্রান্তদের কর্মক্ষম রাখা যায় তাহলে তারাও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সূচকগুলোর উন্নয়ন আজ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

এদিকে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০১৬’ উপলক্ষে সচিবালয়ে গতকাল সোমবার আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত ও দিবস উদযাপনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। ডায়াবেটিস বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা গুরুতর ব্যাধিগুলোর মধ্যে অন্যতম জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বাল্যকাল থেকেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিয়মিত খেলাধুলা, পরিমিত ব্যায়াম, নিয়মিত হাঁটা এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেমিনার আয়োজন, স্যুভেনির প্রকাশ, ডায়াবেটিস নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদর্শনী, জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, জারিগান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে ডায়াবেটিসজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।’

বাড়ছে শিশু ডায়াবেটিস : দেশে আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে শিশু ডায়াবেটিস। শতকরা ৫ ভাগেরও বেশি শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই অবস্থার পেছনে খাদ্য এবং পরিবেশ দূষণকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। কলাবাগানের পবা মিলনায়তনে ‘শিশুদের ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার উপর একটি গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।

ইব্রাহীম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ড. আবু সাঈদের করা ‘শিশুদের ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, বর্তমানে শিশুরা খেলাধুলার সুযোগ পায় না; অন্যদিকে তারা জাঙ্কফুডের উপর বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। যে কারণে বয়স ও উচ্চতা অনুয়ায়ী তাদের ওজন বেড়ে যাচ্ছে। আর বাড়তি ওজনের শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ডায়াবেটিসে। -ইত্তেফাক

নারায়ণগঞ্জে ৫ খুন: ভাগ্নে মাহফুজই একমাত্র আসামি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহরের আলোচিত পাঁচ খুনের ঘটনায় স্ত্রী ও দুই সন্তান হারানো শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মাহফুজকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

বুধবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের নারায়ণগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম শহীদুল ইসলামের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ভাগ্নে মাহফুজ বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান। এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মণ্ডল, পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছেও মনে হয়েছিল একজনের পক্ষে পাঁচ জনকে খুন করা কি সম্ভব?  কিন্তু পরবর্তীতে তদন্তে ও সাক্ষ্য প্রমাণে আমরা দেখলাম, অপরাধী বুদ্ধি প্রয়োগ করে একে একে পাঁচ জনকে হত্যা করেছে। এমনকি চাবিও তার দেখানো জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি শহরের দুই নম্বর বাবুরাইল এলাকায় শফিকুলের বাড়িতে দুই শিশুসহ পাঁচজনকে হত্যা করা হয়। পরদিনই মাহফুজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে চাইলে…

দীর্ঘ জীবনের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে বেশ কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এ ধরনের কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো এ লেখায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।

 

১. শতকরা ৯৫ ভাগ খাবার উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে গ্রহণ করুন। দানাদার খাবার, সীম ও সবুজ শাক সবজিতে গুরুত্ব দিন।

২. সপ্তাহে দুই দিনের বেশি মাংস খাবেন না।

৩. দৈনিক তিন আউন্স পরিমাণ মাছ খান। মাছে পুষ্টিকর বহু উপাদান রয়েছে আর এটি দেহের জন্যও প্রয়োজনীয়।

৪. দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী কমান। দুধে প্রচুর ফ্যাট ও চিনি রয়েছে।

৫. সপ্তাহে তিনটি ডিম খান।

৬. প্রতিদিন আধকাপ রান্না করা সীম খান। সীমে প্রচুর কার্বহাইড্রেট ও অতি সামান্য ফ্যাট রয়েছে। এটি ফাইবারেরও উৎস।

৭. লাল আটা খান। লাল আটা পাকস্থলীর জন্য ভালো।

৮. চিনি খাওয়া কমান। কোমল পানীয় বাদ দেওয়া কিংবা চায়ের মতো পানীয় থেকে চিনি বাদ দিলেই অনেকখানি চিনি গ্রহণ কমবে।

৯. প্রতিদিন দুই মুষ্টি বাদাম খান। শুধু চীনাবাদাম নয়, অন্যান্য বাদামও রাখুন খাদ্য তালিকায়।

১০. খাবারের গুণাগুণ বুঝে খাবার খান। জাংক ফুড কিংবা যেসব খাবার ক্ষতিকর সেগুলো বাদ দিন।

১১. বেশি করে পানি পান করুন। এক্ষেত্রে কোমল পানীয় কিংবা অনুরূপ কোনো পানীয় নয় পরিষ্কার পানিই সবচেয়ে ভালো।

১২. অ্যালকোহল বাদ দিন।

১৩. সাধারণ চা বাদ দিয়ে গ্রিন টি পান করুন। এটি হৃদরোগ কমাতে এবং ক্যান্সারের মতো নানা রোগ দূর করতে সহায়ক।

১৪. চা-কফির মাধ্যমে ক্যাফেইন গ্রহণ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখুন।

১৫. মাংস খাওয়ার বদলে যদি শাক-সবজি খেতে থাকেন তাহলে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি হতে পারে। এ চাহিদা মেটাতে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন গ্রহণ

আইপিএলের সেরা ৫ বিদেশির মধ্যে মুস্তাফিজ

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) জমজমাট নবম আসর শুরু হতে আর মাত্র বাকি তিন দিন। বিশ্বকাপের ঢামাডোল শেষ হয়ে গেছে আরও তিনদিন আগে। সুতরাং, ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন মজেছে আইপিএলেই। শুরু হয়ে গেছে বিশ্লেষণ, কে জিতবে, কার দল কেমন হবে তা নিয়ে।

আইপিএলের নবম আসরের আগেই কিন্তু চমক দিয়েছিল নিলাম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। যেখানে যুবরাজ সিং সর্বোচ্চ দাম পাওয়া ক্রিকেটারের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেন। শেন ওয়াটসন হলেন সেরা দামি খেলোয়াড়দের একজন। তবে সবাইকে চাপিয়ে এমন ৫জন ক্রিকেটার এবারের নিলামের মাধ্যমে আইপিএলে উঠে এসেছে যারা সত্যিই চমকে দিতে পারেন খেলার মাঠে। সেই ৫ চমকসৃষ্টিকারী ক্রিকেটারের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নিউ পেস সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমানও।

নিজ নামে বার্ন ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী নিজ নামে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি (বার্ন) ইনস্টিটিউট’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর চাঁনখারপুলে এই ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

জানা গেছে, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউটটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৩৪ কোটি টাকা। মোট ১.৭৬ একর জমিতে বার্ন ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটি সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মিত হবে।

আন্ডারগ্রাউন্ডে ২ তলা বেইজমেন্টসহ মোট ১২ তলা বিশিষ্ট বহুতল একাধিক ভবনের নির্মাণ কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে।
পৃথক ৩টি ব্লকের একটিতে বার্ন, একটিতে প্লাস্টিক ও অপরটিতে একাডেমিক ভবন থাকবে।

পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন আবু আহম্মদ আল মামুন

পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন আবু আহম্মদ আল মামুন। তিনি ঢাকা পুলিশ হেড কোয়ার্টার,ফেনী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিসহ ৭০ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। ০৫/০৪/২০ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পদোন্নতির খবর প্রকাশিত হয়। তিনি পুলিশের পোশাকে একজন সমাজকর্মী। ছাত্রজীবন থেকেই আবু আহাম্মদ আল মামুন মেধাবী ও সৎ। পুলিশ বিভাগে চাকরিতে আসার পরেই পুলিশের পেশাগত দায়িত্ব পালনে জনগণের সেবার বিষয়টি নিজের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে বিশ্লেষণ করেন। এ পুলিশ কর্মকর্তা মনে করেন, অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে তরুণ প্রজন্মের নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশের ওপর জোর দেওয়া দরকার। অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে আইনের প্রয়োগের মধ্যেই শুধু নিজেদের সীমাবদ্ধ না রেখে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও জন সাধারণের সচেতনতা বিকাশে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। দেশপ্রেমে আকৃষ্ট হয়ে কোনরকম বিনিময় ছাড়া জনসেবামূলক ও জনসচেতনতায় কাজ করছেন। এ বিষয়টি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে ছড়িয়ে দিতেও ফেসবুকেও ‘স্টুডেন্টস গার্ডিয়ানস অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম’ নামে একটি ফ্যান পেজ খোলেন আবু আহাম্মদ আল মামুন। স্কুলের পাঠ্যসূচির বাইরে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ পেজটিও উপ-আনুষ্ঠানিক বলে মনে করেন অনেকেই। এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় অপরাধ প্রতিরোধে ময়মনসিংহ ও এর আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে উন্মুক্ত মতবিনিময় করছেন। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবসায়ী ও সমাজের সর্বস্তরের লোকজন সবাই থাকছেন সচেতনতামূলক এ মতবিনিময় সভায়। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সব বয়সী শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক বিভিন্ন বিষয় সর্ম্পকে প্রচার করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে অন্যায়ের বিপক্ষে, ন্যায় ও সুন্দরের পক্ষে।সমাজ সচেতনতায় কাজ করে যাওয়া এ পুলিশ অফিসারের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। বুয়েট থেকে স্নাতকধারী এই পুলিশ কর্মকর্তা ব্যক্তিজীবনে এক কন্যা সন্তানের জনক। ২২ তম বিসিএস’র মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন তিনি। বিভিন্ন উপজেলা ও শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে কর্মশালার আগে চাকরিসূত্রে বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও ফেনীর, ময়মনসিংহের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি, মাদক, কিশোর অপরাধ, যৌতুক প্রথা, জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা করেছেন তিনি। ময়মনসিংহে যোগদানের পর এখানেও সমাজ সচেতনতামূলক সভা শুরু করেন। আবু আহাম্মদ আল মামুন পুলিশ একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণেও বেস্ট ইন একাডেমিক ও বেস্টম্যান কাপ অর্জন করেন। সামাজিক আন্দোলনের স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সপ্তাহ-২০১৬ এ আইজি’স এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ পাওয়ারও কৃতিত্ব রয়েছে তার।

মৃত ব্যক্তি এমন কী বলে, যা শুনলে মানুষ বেঁহুশ হয়ে যেত?

 

 

জন্ম মানেই মৃত্যুর গ্যারান্টি। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ মরণশীল। বিশ্বে মুসলিম ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মানুসারে তার জানাযার নামাজ আদায় করে দাফন করা হয়। জানাযা শেষে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় খাটিয়া থেকে মৃত ব্যক্তি মানুষদের আহ্বান করে জানতে চায়Ñ তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মৃত ব্যক্তির ওই সব কথা মানুষ শুনতে পায় না, কিন্তু অন্যান্য জীব-জন্তু শুনতে পায়। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছেÑ

আরবি হাদিস وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ ﷺ، يَقُولُ: ্র إِذَا وُضِعَت الجَنَازَةُ، فَاحْتَمَلَهَا الرِّجَالُ عَلَى أَعنَاقِهِمْ، فَإِنْ كَانَتْ صَالِحَةً، قَالَتْ: قَدِّمُونِي، وَإنْ كَانَتْ غَيْرَ صَالِحَةٍ، قَالَتْ ِلأَهْلِهَا: يَا وَيْلَهَا أَيْنَ تَذْهَبُونَ بِهَا ؟ يَسْمَعُ صَوْتَهَا كُلُّ شَيْءٍ إِلاَّ الإنْسَانَ، وَلَوْ سَمِعَ الإنسَانُ لَصَعِقَগ্ধ. رواه البخاري

বাংলা অর্থ : আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, ‘‘যখন জানাজা (খাটে) রাখা হয় এবং লোকেরা তা নিজেদের ঘাড়ে উঠিয়ে নেয়, তখন সে সৎ হলে বলে, ‘আমাকে আগে নিয়ে চল।’ আর অসৎ হলে তার পরিবার-পরিজনদের উদ্দেশ্যে বলে, ‘হায় আমার দুর্ভোগ! তোমরা (আমাকে) কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?’ মানুষ ছাড়া তার এই আওয়াজ সব জিনিসই শুনতে পায়। যদি মানুষ তা শুনতো, তবে নিশ্চয় বেঁহুশ হয়ে যেত।’’ [বুখারি ১৩১৪, ১৩১৬, ১৩৮০, নাসায়ি ১৯০৯, আহমদ ১০৯৭৯, ১১১৫৮]

৮০ হাজার অবৈধ অভিবাসী ফেরত পাঠাবে ইইউ

 

 

ইউরোপ থেকে ৮০হাজার অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফিরিয়ে আনা এবং তাদের পুনর্বাসনে সহযোগিতা দেবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউ ও তুরস্কের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী গ্রীস থেকে যেসব অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে তাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও রয়েছেন।অবৈধ অভিবাসন বন্ধ এবং অবৈধভাবে অবস্থানরত অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আলোচনা চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, একসঙ্গে যদি এত মানুষকে দেশে ফেরত পাঠানো হয় তবে তাদের পরিবার এবং দেশের অর্থনীতির ওপরে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এদের পুনর্বাসন নিয়ে সংশয় তো থাকছেই!ইরাক বা লিবিয়া-ফেরত অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ফর দা রাইটস অফ ইমিগ্রান্টস’। সংগঠনটির কর্মকর্তা সাইফুল হক বলেন, ‘বেকার অবস্থায় এক সাথে এত মানুষ দেশে ফেরত পাঠানো হলে অর্থনীতিতে অত্যন্ত খারাপ প্রভাব পড়বে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে তাদের পরিবার’।
তিনি আরও বলেন, এভাবে হঠাৎ করে যাদের পাঠানো হয়, তারা পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে অত্যন্ত হতাশ অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়।

দীর্ঘদিন ধরে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করছেন অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে মি. হক বলেন, ‘ইউরোপে বেশিরভাগ বাংলাদেশই বৈধভাবে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তারা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে অনেকেই দশ-পনেরো বছর ধরে সেখানে আছে। তারা নিয়মিত হওয়ার জন্য চেষ্টাও করছে। এখানে সরকারের অনেক দায়িত্ব আছে।’

রিটার্নিদের ইস্যু প্রবাসী নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। ইউরোপের দেশগুলো এতদিন যাবৎ তাদের শ্রম স্বল্পমূল্যের বিনিময়ে ঠিকই ব্যবহার করেছে। সেহেতু এখন তাদেরও দায়িত্ব আছে। তিনি বলেন, ‘যারা অনেকদিন ধরে ইউরোপে আছেন এবং শ্রম দিয়ে অবদান রাখছেন তাদের ক্ষেত্রে এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করি’।
যেসব লোক অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন, এমন নয় যে তারা কাগজ ছাড়াই সেখানে অবস্থান করছে। ইউরোপে এখনকার যে পরিস্থিতি, যে শরণার্থী সমস্যা আছে তার ফলশ্রুতিতে যারা অনিয়মিত আছে তাদের ওপর এই চাপ এসে নামছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাদের পুনর্বাসনে কিংবা কাজের সুযোগ তৈরিতে সরকারের দায়িত্ব নিতে হবে। রিটার্নিদের বিষয়ে সরকারের একধরণের নীতিমালা আছে কিন্তু এখনো সরকার এ বিষয়ে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। মি. হকের মতে, তাদের ফেরত পাঠানোর আগে সরকারসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগে চাইবো তাদের নিয়মিত করা হোক। যদি না করা হয়, তাহলে একসাথে সবাইকে যাতে না পাঠানো হয়, পাশাপাশি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রেখে যেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাদের পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়’।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।