২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 263

খালেদা জিয়া পাকিস্তানি এজেন্ট

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া নির্বাচনগুলোর জন্য অব্যাহতভাবে আইএসআই এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করে আসছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘‘খালেদা জিয়ার পক্ষে ‘পাকিস্তানের ওকালতি’’’ শিরোনামের একটি সংবাদের সূত্র উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেসবুক পেজে এ অভিযোগ করেন।প্রকাশিত সংবাদটির অনলাইন লিংক সহ প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয় সজীব ওয়াজেদ নিজের স্ট্যাটাসটিতে লেখেন, ‘আমি আগেই বলেছি খালেদা জিয়া পাকিস্তনি এজেন্ট। তিনি অব্যাহতভাবে নির্বাচনগুলোর জন্য আইএসআই এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করে আসছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। এখন পাকিস্তানি সরকার তার পক্ষে প্রকাশ্যে তদবির করছে।’

খালেদা জিয়ার পক্ষে ‘অবস্থান নিয়ে’ পাকিস্তান বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে কমনওয়েলথের একটি বৈঠকে আলোচনার প্রস্তাব তুলেছিল বলে উল্লেখিত সংবাদটিতে বলা হয়।

এক কূটনৈতিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদটিতে জানানো হয়, লন্ডনে কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রিয়াল অ্যাকশন গ্রুপের ওই বৈঠকে সদস্য অন্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা ইসলামাবাদের ওই প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বলে সংবাদটিতে বলা হয়।

পানামা পেপার্সে বাংলাদেশের ৫৬ নাম

পানামা পেপার্সে উঠে এসেছে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট মোট ৫৬ নাম। এর মধ্যে নতুন যোগ হয়েছে ২৪ নাম। একাধিক অফশোর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে দুজনের নাম এসেছে দুবার করে। এরা প্রত্যেকে কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন সোমবার বাংলাদেশ সময়  রাত ১২টায় নতুন তথ্য প্রকাশ করে। এতে দেশভিত্তিক ডাটাবেজে নতুন ব্যক্তিদের নাম, তাদের অফশোর প্রতিষ্ঠানের নাম, নিবন্ধনের স্থান, বর্তমান অবস্থা, প্রতিষ্ঠানে তাদের ভূমিকা কি সেসব তথ্য উল্লেখ করা হয়। যদিও তালিকায় বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয় নি।

তালিকায় বাংলাদেশের নতুন যে নামগুলো এসেছে সেগুলো হলো:  কফিল এইচ এস মুয়িদ, দ্য বিয়ারার (২ বার), পেসিনা স্টেফানো, রুডি বেঞ্জামিন, মো. ইউসুফ রায়হান রেজা, ইশরাক আহমেদ, মিস নভেরা চৌধুরী, ফারহাদ গণি মোহাম্মদ, মেহবুব চৌধুরী, বিলকিস ফাতিমা জেসমিন, রজার বার্ব, মো. আবুল বাশার, জেইন ওমার, বেনজির আহমেদ, মো. আফজালুর রহমান, মল্লিক সুধীর, সরকার জীবন কুমার, নিজাম এম সেলিম, মো. মোকসেদুল ইসলাম, মো. মোতাজ্জারুল ইসলাম (২বার), মো. সেলিমুজ্জামান ও মো. আফজালুর রহমান। এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই ঠিকানা দেয়া আছে হংকং, চীনসহ বিভিন্ন দেশের ।

দুই অফশোর প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশ ডাটাবেজে ৫৬ ব্যক্তির নাম ছাড়াও রয়েছে ২ টি অফশোর প্রতিষ্ঠানের নাম। একটি সোয়েন ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। অপরটি সেভেন সি’জ অ্যাসেটস লিমিটেড। দুটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই গুলশান-২ এর একই ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। আর প্রতিষ্ঠান দুটিতে সংশ্লিষ্ট দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন: স্টেফান পিরকার ও রুখসানা পিরকার।

ইন্টারমিডিয়ারি ৩: বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট ইন্টারমিডিয়ারি ৩ ব্যক্তির নাম রয়েছে। এর মধ্যে নতুন যোগ হয়েছে স্টিফান পিরকারের নাম। বাকি দুজন হলেন, বিবিটিএল ও দিলিপ কুমার মোদি।

বাংলাদেশের ঠিকানা ৪২: অফশোর প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের মোট ৪২টি ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। ডাটাবেজে ঠিকানা ও ঠিকানা ব্যবহারকারী ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নামগুলো থেকে বোধগম্য হয় বাংলাদেশি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এসব ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। ঢাকার, গুলশান, বারিধারা, বনানি, মিরপুর, বসুন্ধরা ছাড়াও রয়েছে, টঙ্গি, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঠিকানা।

সোমবার রাতে পানামা পেপার্সে বিশ্বব্যাপী নতুন দুই লাখেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় এই তথ্যগুলো যেকোনো স্থান থেকে দেখার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এসব তথ্যে বেরিয়ে এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ২০টিরও বেশি ‘ট্যাক্স হেভেনে’র নাম। পানামাভিত্তিক আইনি পরামর্শ প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার কাছে রক্ষিত ছিল এসব নথি।

জার্মানির পত্রিকা সুয়েডডয়চে জেইটাং প্রথম এই নথিগুলো অজ্ঞাতসূত্র থেকে হাতে পায়। পরে তারা তা শেয়ার করে আইসিআইজের সঙ্গে। প্রায় ৮০টি দেশের ৩৭০ জনেরও বেশি রিপোর্টার এক বছর ধরে গবেষণা করে এসব নথি নিয়ে। এরপর ৩রা এপ্রিল প্রথমবারের মতো তার কিছু অংশ বিশ্বের গণমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করা হয়। এতে ক্ষমতাধর রাজনীতিক, সাবেক ও বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান, সেলিব্রেটিসহ বেরিয়ে আসে বড় বড় রাঘব-বোয়ালের নাম। আইসিআইজের কাছে জমা হওয়া মোট নথির পরিমাণ এক কোটি ১৫ লাখেরও বেশি। উইকিলিকসের ফাঁস করা নথির তুলনায় এর পরিমাণ হাজারেরও বেশি গুণ।

বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে বিয়ের আগে পাত্র পাত্রীর রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ থ্যালাসেমিয়া সেন্টার উদ্বোধনকালে এ পরামর্শ দেন তিনি।

এর আগে সকাল ৯টায় বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে ভিসির নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ও বি-ব্লকের মধ্যবর্তী স্থান ‘বটতল চত্বর’ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে।

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি জন্মগত রোগ। আগাম প্রতিরোধ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পাবে। তবে আক্রান্ত হলেও ভয়ের কিছু নেই। রোগটি জন্মগত হলেও সঠিক চিকিৎসা পেলে রোগীরা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা যাতে রক্ত পরীক্ষা, রক্ত গ্রহণ ও চিকিৎসাসহ সমন্বিত সেবা পান সেজন্যই বহির্বিভাগে সমন্বিত সেবা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ থ্যালাসেমিয়া সেন্টার চালু করা হলো।
দিবসটি উপলক্ষে থ্যালাসেমিয়া সেন্টার দিনব্যাপী বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন হেমাটোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আগত রোগী ও স্বজনদের বিনামূল্যে স্ক্রিনিং টেস্টও করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স এবং থ্যালাসেমিয়া রোগী ও তাদের স্বজনরা অংশগ্রহণ করেন। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘নিশ্চিত হোক নিরাপদ ও কার্যকর ওষুধ’।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল।

আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জলিলুর রহমান, অধ্যাপক ডা. এবিএম ইউনুস প্রমুখ।

সাংবাদিক স্টিকার নিয়ে পুলিশের বাড়াবাড়ি অগ্রহণযোগ্য : ট্রাফিক আইন মানবো : হয়রানি মানব না:-বিএফইউজে ও ডিইউজে’র বিবৃতি

গাড়িতে সাংবাদিক স্টিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং স্টিকার অপসারনের নামে পেশাদার সাংবাদিকদের পুলিশী হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র নেতারা। বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুুদ্দিন হারুন ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ এবং ঢাকা সাংবাদকি ইউনিয়নের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান এক যুক্ত বিবৃতিতে ডিএমপি’র সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করে অবিলম্বে নির্দেশ প্রত্যাহার ও সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকরা ট্রাফিক আইন মানতে প্রস্তুত এবং তা মেনেই গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু ট্রাফিক পুুলিশের অহেতুক হয়রানি সাংবাদিক সমাজ মানবে না। এক শ্রেণীর ট্রাফিক পুলিশ কোন কারণ ছাড়াই গাড়ি থামিয়ে তল্লাশীর নামে নানা অজুহাতে যানবাহন চালক ও মালিকদের হয়রানি করে থাকেন। আর একবার গাড়ি সিগনাল দিয়ে থামালে কাগজপত্র ঠিক থাকলেও বিভিন্ন বাহানায় হেনস্থা করার প্রবণতা সর্বজনবিদিত। সাধারণত গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা বা মামলা করার এখতিয়ার ট্রাফিক কনস্টবলদের না থাকলেও অসৎ উদ্দেশে গাড়ি থামিয়ে হয়রানি ও অবৈধ সুবিধা আদায়ের অপচেষ্টা চালায়। এ ধরনের উটকো হয়রানি এড়ানোর জন্যই পেশাদার সাংবাদিকরা স্টিকার ব্যবহার করেন। আর স্টিকার ব্যবহার করলে প্রয়োজনে নিরাপত্তা তল্লাশী চালানো যাবেনা, এমন দাবীও সাংবাদিকরা করছে না।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতই সাংবাদিকরা ঘটনা-দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে দ্রæত গন্তব্যে যেতে হয়। সে সময় কয়েকটি স্থানে ট্রাফিক হয়রানির মুখোমুখি হলে পেশাগত দায়িত্ব পালন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। বাস্তবতা অনুধাবন করে ঢাকা মহাগনর পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক স্টিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন বলে নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন ।

বিচারহীনতা কারনে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দেশ

অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও সাবেক ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাবার-দাবার গুরুত্বপূর্ণ। খুব প্রয়োজনীয়। তারচেয়েও বেশি প্রয়োজন কি নিরাপত্তা নয়? মানুষ নিরাপদে পথ চলবেন, বাড়িতে নিশ্চিতে ঘুমাবেন। নিরাপত্তার এই জায়গাটিও বোধ হয় নিঃশেষ হয়েছে। যা পরিস্থিতি চারদিকে কে কোথা থেকে, কোন মুহূর্তে মারা যান, মেরে ফেলা হয় নিশ্চিত নয় কেউ। এটি তো অতীতে ছিল না দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, দেশের এই আতঙ্কজনক পরিস্থিতি কেন, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। প্রতিদিনই পত্রিকায় হত্যা-খুনের খবর থাকে। এমন কোনোদিন নেই হত্যাকান্ড- হচ্ছে না। নারী-শিশু ধর্ষণ হচ্ছে না। নারী-শিশুরাও এখন নিরাপদ নয়। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেশে বিরাজ করছে।

অনিশ্চিত, অনিরাপদ, অস্বাভাবিক পরিস্থিতির দায় কার, দায়ী কে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এই অস্বাভাবিকতা পরিস্থিতির মূল কারণ। বিচারহীনতা মারাত্মক একটা ব্যাধির মতো দাঁড়িয়েছে। কোনো একটা ঘটনা ঘটছে, তার তদন্ত, ওমুক-তমুক করতে গিয়ে বছরের পর বছর পার হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছুই হচ্ছে না।

যেকোনো অন্যায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে আস্তে আস্তে ব্যাপারগুলো শেষ হয়ে যেত। দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধি পেলে হয়তো মানুষের কিছুটা কষ্ট হয়, কিন্তু জানটাই যদি চলে যায় তাহলে থাকেটা কী? মানুষের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই। চলাফেরা কঠিন হয়ে ওঠেছে। প্রতিমুহূর্ত একটা আশঙ্কার মধ্যে দিয়ে মানুষকে পথ চলতে হচ্ছে। ঘর থেকে বের হলে বাড়িতে কখন পৌঁছাব বা বাড়িতেই গিয়েই আবার কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় এমন আতঙ্কে আছে মানুষ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ ক্রিমিনালদের দিকে দৃষ্টি নেই, তাদের দৃষ্টি বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের দিকে। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এমন সব লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যাদের যোগ্যতা নেই, আছে সরকারের প্রতি আনুগত্যবোধ।

তিনি আরও বলেন, এখন কখন কাকে মেরে ফেলা হচ্ছে তা হিসাবে আনা যাচ্ছে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিমকে মেরে ফেলা হলো। উনি ছিলেন একজন শান্তশিষ্ট মানুষ। ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন। বেহালা বাজাতেন। শুনেছি তিনি তার গ্রামের মসজিদটি টাইলস্ও করে দিয়েছিলেন। সবাইকে সহযোগিতা করতেন। এখানে তো অধর্মের কিছু নেই, কারও বিরুদ্ধেও কোনো কিছু নেই।

বাংলাদেশ কী মুক্তমতের মানুষদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের এখন ভয়ংকর অবস্থা। রুয়ান্ডা, বুরন্ডিয়ার মতো কতগুলো রাষ্ট্র রয়েছে আফ্রিকা অঞ্চলে, যার প্রায় প্রত্যেকটিকেই ব্যর্থ রাষ্ট্র বলা হয়। এখনকার মতোই তাদের শুরুটা হয়েছিল। দেশ বিভক্তি হয়ে যায়। আমাদের এখানেও বিভক্তি রয়েছে। সবার মধ্যে বিভাজনটা মারাত্মকভাবে হয়েছে। শিক্ষকেরা বিভক্ত, ছাত্ররা বিভক্ত, চিকিৎসকেরা বিভক্ত, সাংবাদিকেরা বিভক্ত, বিচারকেরাও বিভক্ত। এই বিভক্তি থেকেই দেশ আস্তে আস্তে একটা ভঙ্গুর অবস্থায় যাবে। ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে অগ্রসর হবে।

দেশের সার্বিক পরিস্থিতির জন্য কী বিএনপি বা বিএনপির রাজনীতি কোনোভাবে দায়ী? এমন প্রশ্নের জবাবে এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিএনপি সেই রাজনীতিটা করতে পারছে না। কারণ বিএনপির কী পরিমাণ নেতা-কর্মী কারাগারে আছে তা তো আপনারা ভালো জানেন। কারাগার ভর্তি বিএনপি নেতা-কর্মীতে। এখানে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ব্যাপার নয়, ব্যাপার হচ্ছেÑ ক্ষমতাসীনেরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দুষ্কর্মগুলো উৎসাহ দিচ্ছে অথবা তা সামাল দিতে পারছে না।

এমন অস্থির পরিস্থিতিতে আপনার পরামর্শ কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। অন্যায় যে-ই করবে, খুব দ্রুত অন্যায়কারীকে ধরতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

ফ্রান্স আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে সংঘর্ষ, আহত ২০ , গ্রেফতার ৩

ফ্রান্স: আলোচনার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও গ্রহনযোগ্য কমিটি গঠনের প্রতিশ্রুতিতে আজ প্যারিসে বহু কাঙ্ক্ষিত আওয়ামীলীগের সম্মেলন শুরু হলেও প্রভাব বিস্তার ও শ্লোগানকে কেন্দ্র করে চেয়ার ছুঁড়াছুড়ি ও মারামারির মাধ্যমে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সম্মেলন পণ্ড হয়েছে।

পরে উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে সম্মেলন স্থগিত করা হয়। সমস্যার সূত্রপাত হয় মূলত শ্লোগানকে কেন্দ্র করে। সম্মেলনে ফ্রান্স আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি বেনজির আহমেদ সেলিম ও সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম  সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য মঞ্চে আহবান করলে,  তাদের কর্মী সমর্থকরা একযোগে শ্লোগান দিতে থাকলে সমর্থকদের মাঝে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত কর্মী সমর্থকরা এক পক্ষ অপর পক্ষের  উপর চেয়ার ও টেবিল নিক্ষেপ করতে থাকে, এতে  পুরো সম্মেলন স্থল জুড়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এ সময় কর্মী সমর্থকদের ছুঁড়া চেয়ারের  আঘাতে ফ্রান্স আওয়ামীলীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম খান সহ প্রায় ২০ জন জন কর্মী সমর্থক আহত হয় ।

পরে পুলিশ এসে  সম্মেলন কেন্দ্র থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সর্বশেষ খবর পাওয়া  পর্যন্ত পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে । সম্মেলনে সর্ব ইউরোপ আওয়ামীলীগের সভাপতি অনিল দাশ গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক গনি সহ ইউরোপের অনেক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেতে মরিয়া নেতাকর্মীরা

২০তম আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা প্রতিদিন সকাল থেকেই ভিড় জমাচ্ছেন রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে। পাশাপাশি পদ-পদবি পেতে নতুন অনেকেই ধর্ণা দিচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় ঊর্ধ্বতন নেতাসহ কর্মকর্তাদের কাছে। এ নিয়ে তদবিরের যেন কমতি রাখছেন না তারা। অন্যদিকে পদবির আশায় বুক পেতে আছেন কেন্দ্রীয় পুরনো নেতাদের অনেকেই। তবে সাবেক ছাত্র নেতাদের একটি অংশ এখনও মুখিয়ে আছেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে হাল ধরার প্রত্যাশায়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একঝাঁক তরুণ নেতৃত্বের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগের ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটি হতে পারে। তার এমন বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে সাবেক ছাত্র নেতারা পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠছেন রাজনীতিতে। তবে এবারের সম্মেলন নিয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতার মুখে উল্টো কথা। তারা বলেন, কমিটিতে বড় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বর্তমান কমিটিতে থাকা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতার বাদ পড়ার আশঙ্কা যেমন ক্ষীণ, তেমনি এক ঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব আসবেন এমন সম্ভাবনাও কম। কমিটিতে রয়েছেন এমন নেতারাই ঘুরেফিরে বেশি থাকবেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে।

এবারের সম্মেলনে বড় ধরনের চমক রাখা হয়েছে। নেতৃত্বে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন আসছে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রেও। দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গঠনতন্ত্রে দুটি বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। প্রথমত. দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মেয়াদ বাড়ানো হবে। দ্বিতীয়ত. স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নেওয়ার বিধান সংযোজন করা হবে। এ ছাড়াও দলে কিছু পদ তৈরি করা হবে। এর মধ্যে বাড়ানো হবে একটি যুগ্ম সম্পাদকের পদ ও কয়েকটি সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়ে সরকারে আসা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও মানবাধিকার বিষয়ক দুটি সম্পাদকের পদ যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া প্রেসিডিয়াম ও নির্বাহী সদস্য পদ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে ক্ষমতাসীনদের। এ বিষয়ে কমিটির সদস্য সচিব ও তথ্য গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, গঠনতন্ত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে না, তবে যুগোপযোগী করা হবে। দলের প্রবীণ নেতারা এ কমিটিতে রয়েছেন। সেখানে কমিটির সদস্যরা তাদের মতামত তুলে ধরবেন, প্রস্তাব দেবেন।

জানা গেছে, সম্মেলনকে ঘিরে চলছে নানারকমের প্রস্তুতি। গঠন করা হয়েছে কয়েকটি প্রস্তুতি উপ-কমিটি। এ সব উপ-কমিটি দিনরাত কাউন্সিল সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এবারের কাউন্সিলের সেøাগানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। গতবারের চেয়ে অনেকগুণ বেশি উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আয়োজনের মধ্য দিয়ে এবারের কাউন্সিলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ ফ্লাইওভার ও প্রবেশদ্বারে আলোকসজ্জা করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। দিনরাত ধরে বড় বড় এলইডি স্ক্রিনে দেখানো হবে দলটির ইতিহাস, ঐতিহ্য, অর্জন ও উন্নয়নের চিত্র। এরই মধ্যে সেসব ডকুমেন্টারির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে।

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সাজসজ্জায় সাদৃশ্য রাখতে কেন্দ্র থেকে ব্যানার, পোস্টার ও প্ল্যাকার্ডের ডিজাইন নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য রক্ষায় ছবি ব্যবহারেও থাকবে কঠোর নির্দেশনা। সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরেও নেওয়া হচ্ছে নানা পরিকল্পনা। কাউন্সিলর, ডেলিগেটদের জন্য প্রায় ৫০ হাজার চেয়ারের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া নৌকা আকৃতির মঞ্চ ও দেশি-বিদেশি অতিথিদের আসনের বিষয়েও থাকবে ভিন্নতা। দেশি-বিদেশি অতিথিদের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে পদোন্নতি পাওয়ার জন্যে বেশি আশাবাদী হওয়ার যেমন সুযোগ নেই, তেমনি বাদ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হওয়ারও সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক সংগঠন এখানে যোগ্যতা-দক্ষতার মূল্যায়ন হয়। নিষ্ঠার সঙ্গে যার যার দায়িত্ব পালন করলে অবশ্যই পদোন্নতি হবে। আবার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে বাদ পড়তে হবে।

’ভাল নেই মা’ ………আব্দুর রহিম

রাত্রি জেগে তারা দেখি
ঐ আকাশে তাকিয়ে
খুঁজে ফিরে দু’টি চোখ
এদিক সেদিক হাকিয়ে।

চারদিক শূণ্য লাগে
কোথায় যেন কী নেই,,
প্রতিদিন স্মৃতির পাতায়
কত যে উঁকি দেই।

কোটি মানুষরে ভীরে খুঁজি
কোথায় আছো তুমি?
ভাল নেই মা তুমিহীনা
ভীষন একা আমি।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না করা পর্যন্ত বিএনপির পুরনো নেতারা বহাল থাকবেন: রিজভী

বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে সুচিন্তিতভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কমিটি গঠনের জন্য অনেক ভেবে চিন্তে নেওয়া ছাড়াও তিনি যাকে যে দায়িত্ব দেবেন বলে মনে করছেন তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কথা বলার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর তাকে দায়িত্ব দিচ্ছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যাদের দায়িত্ব দেয়া হবে তাদের বাছাই করা ও দায়িত্ব অর্পণের জন্য সময় নিতেই হবে। এই কারণে বিএনপির নতুন কমিটির যে সব পদে এখনও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি সে সব পদে আগের কমিটির নেতারা বহাল থাকবেন। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি কার্যালয়ে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে আমাদের অর্থনীতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাসিমা খান মন্টিসহ সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির নতুন স্থায়ী কমিটি ঘোষণার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন স্থায়ী কমিটি ঘোষণার আগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের আভাস দেবেন বলে জানান রিজভী। স্থায়ী কমিটির আকার বাড়ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থায়ী কমিটির আকার বাড়ছে না। যা আছে তাই থাকবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদও রয়েছে। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের পদ বিলুপ্ত করে বিএনপির উপদেষ্টা করার ব্যাপারে যে আলোচনা হয়েছিল সেই ধরনের প্রস্তাব পাস হয়নি। এই কারণে বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা পদ বহাল রয়েছে।

তিনি বলেন, অন্যান্য পদগুলোতেও বিশেষ পরিবর্তন আসেনি। যেগুলোতে বেশি পরিবর্তন এসেছে তা ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পাদকের পদগুলো ঘোষণা করা হবে।

বিএনপিতে এখন নতুন কমিটির নেতা আছেন কয়েকজন। বাকিরা পুরনো কমিটির। পুরানো ও নতুন কমিটি দিয়ে চলছে বিএনপি। এটা আর কত দিন চলবে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, সময় বলা যাচ্ছে না। তবে নতুনদের যাদের নাম ঘোষণা করা হয়ে গেছে তারা তো পদ পেয়েছেন। কিন্তু এখনও অনেক পদ আছে যেগুলো ঘোষণা করা হয়নি। তবে এতে কোন সমস্যা নেই। বিএনপির গঠনতন্ত্রে বলা আছে কাউন্সিল হলেও যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম ঘোষণা করা না হবে, ওই পদে নতুন কোন নেতা দায়িত্ব না নেবেন ততোদিন পর্যন্ত অঘোষিত পদের দায়িত্বে থাকা পুরনো কমিটির নেতারা দায়িত্ব পালন করবেন। এই কারণে আমাদের নতুন কমিটির নাম যতদিন ঘোষণা করা না হবে ততোদিন তারা থাকবেন।

বৈঠকের শুরুতে নিজের রাজনৈতিক জীবনের অনেক কথা তুলে ধরেন এই বিএনপি নেতা। বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ পদ বাণিজ্য করছেন এমন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন যে অবস্থায় বিএনপি রয়েছে সেখানে এগুলো কে করতে যাবে? আসলে এগুলো বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারের তরফ থেকে অপপ্রচার।

গুলশান কার্যালয়ে ইউপি নির্বাচনের মননোয়ন নিয়ে মারামারি

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কার্যালয় সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরের দিকে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ইউপি নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে সভাপতি গ্রুপের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রুপের মতবিরোধ তৈরি হয়।

এসময়ে সভাপতি গ্রুপের লোকজন অর্থের বিনিময়ে ইউপি মনোনয়ন দেয়ার অভিযোগ তুলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এমরান সালেহ প্রিন্স কৌশলে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান।

পরে দুই পক্ষের হাতাহাতিতে মজিবুর রহমানসহ তিনজন আহত হন। এর মধ্যে মজিবুর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে বিষয়টিকে এড়িয়ে উপজেলা সভাপতি ফখরুদ্দিন বাচ্চু বলেন, এলাকায় বিএনপির দুইজনের মধ্যে দ্বদ্বের সূত্রপাত ধরে গুলশান কার্যালয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। মারামারি হয়েছে কি না বলতে পারবো না। সূত্র-জাস্ট নিউজ