৩রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 253

ইকামতের আগে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা বিদআত – আল্লামা ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

ইকামতের আগে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা বিদআত, ইকামতের পরে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।

আলহামদুলিল্লাহ্‌….!! ঐতিহ্যবাহী আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরীফ পাঠানটুলী শাহী জামে মসজিদে বিগত ৪০ হাদীসের ২৮টি হাদীসের দারস আপনারা শুনেছেন…।।
গত ১৮ই রমজান পাঠানটুলী শাহী মসজিদে আয়োজিত দারসে বুখারীর বিদায়ী অনুষ্ঠানে বাকী ১২টি হাদীসের উপর খুবই তাত্ত্বিক ও দলীল ভিত্তিক দারস প্রদান করে আল্লামা আব্বাসী হুজুর…।।

দারসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলঃ—–
১. বিতের নামাজ ১ রাকাত নয় বরং ৩ রাকাত এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
২. ইকামতের আগে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা বিদআত, ইকামতের পরে দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৩. নামাজে আমিন জোরে বলা যাবে না, আস্তে বলতে হবে এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৪. ইমামের পিছে মুক্তাদীগণকে সূরা ফাতেহা পড়া যাবে না এর পক্ষে সহীহ বুখারী শরীফ থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৫. নবীজী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা গায়েব জানতেন এর পক্ষে সহীহ হাদীস থেকে দলীল এবং লা-মাযহাবী ও ওহাবীদের দাঁতভাঙ্গা জবাব…।।
৬. মুসলমানের ঐক্য এবং জিহাদ…।।
৭. খাতমে নুবুওয়্যাত অস্বীকারকারী ইহুদীদের চেয়েও বড় কাফের…।।

তিন ইয়াবা কারখানার মালিক মন্ত্রীর পুত্র রনি

সরকারের প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর ছেলে তিনি, নাম রনি চৌধুরী। দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আন্ডারওয়ার্ল্ড। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কায়েম করেছেন ত্রাসের রাজত্ব। মাদক কারবারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে। ইয়াবা বানানোর অন্তত তিনটি কারখানা আছে তাঁর।

অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে সরকারি সম্পত্তি দখল করে নিচ্ছে রনি ও তাঁর গ্রুপের সদস্যরা। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও তিনি ব্যাপক মনোনয়ন-বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। র‌্যাব ও পুলিশ দিয়ে আটকে ভয় দেখিয়ে বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকারের আমলে রনি চৌধুরীর বড় ভাই দিপু চৌধুরী নিয়ন্ত্রণ করতেন রাজধানীর অপরাধজগৎ। এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন রনি। অভিযোগ রয়েছে, রনি ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গ রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রায় আড়াই বিঘা জমি দখল করে সেখানে মার্কেট নির্মাণ করছে। এ জন্য সাবেক এক মন্ত্রীর ভাগ্নে সারোয়ারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের হাত করেছেন রনি। গভীর রাতে বাইরে থেকে মাটি এনে ভরাট করা হচ্ছে সেই জায়গা। নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মহড়া দিচ্ছে ওই এলাকায়। আজমপুর কাঁচাবাজারও দখল করে রেখেছে রনির গ্রুপের সদস্যরা। তিনি গুলশান, তেজগাঁও ও নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে বানিয়েছেন ইয়াবা তৈরির কারখানা। সারা দেশে ইয়াবা বিক্রির নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে তাঁর গ্রুপের সদস্যরা।

‘সিসা হাউজ’ ও ইয়াবা কারখানা : গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, সাবেক এক মন্ত্রীর ভাই নাঈম ও ভাগ্নে সারোয়ার এবং রনি চৌধুরী মিলে ইয়াবা কারখানা বসিয়েছেন রাজধানীর গুলশানে। গুলশান-২ এর ৪৩ নম্বর সড়কে ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর বাড়িতে গড়ে তুলেছেন ‘সিসা হাউজ’। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে সিসাসহ নানা রকম মাদক বেচাকেনা চলে। পাশাপাশি চলে তরুণ-তরুণীদের উদ্দাম নৃত্য। তিন বছর ধরে কোনো বাধা ছাড়াই চলছে এ আখড়া।

সূত্র জানায়, কক্সবাজার ও টেকনাফে পুলিশ-র‌্যাবের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারিদের সঙ্গে রনি চৌধুরীর গভীর সখ্য রয়েছে। বাংলাদেশের সীমানাঘেঁষা মিয়ানমারের মংডু এলাকায় স্থাপিত ইয়াবা কারখানার কারিগর মোসলেমকে এনেই গুলশানের কারখানা বসানোর ব্যবস্থা করেছেন রনি চৌধুরী। এ কারখানা থেকে ঘণ্টায় আট থেকে ৯ হাজার ইয়াবা বড়ি প্রস্তুত করা হয়। এত দিন পুরনো মেশিন দিয়ে কারখানার কাজ চললেও বড়ির উৎপাদন বাড়াতে এখন নতুন মেশিনপত্র সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের কারিগর মোসলেম স্থানীয় এক যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলেছেন। ওই যুবক দুই সহযোগী নিয়ে ইয়াবা তৈরির কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। সন্ধ্যায় যখন সিসা হাউজে উদ্দাম নাচ-গান চলে তখন সেই শব্দের আড়ালে চালু করা হয় ইয়াবা কারখানা। যাতে কারখানার শব্দ বাইরের লোকজন শুনতে না পায়। রাত ৮টা থেকে রাত দেড়টা-২টা পর্যন্ত সচল থাকে কারখানা। সেই হিসাবে প্রতি রাতে ওই কারখানায় ৫০ হাজারেরও বেশি ইয়াবা বড়ি প্রস্তুত হয়। পরে নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেগুলো রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সরবরাহ করা হয়।

রনি চৌধুরীর নেতৃত্বে ইয়াবার আরেকটি কারখানা বানানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর সেতুর অদূরে। রনি চৌধুরীর পক্ষে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার পরোক্ষ তত্ত্বাবধানে গোদনাইল এলাকার তেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ভাসমান ড্রেজিং বার্জের মধ্যেই ইয়াবা কারখানা স্থাপন করেছে। দুই বছর ধরে সেখানে ইয়াবা বানানো হচ্ছে। নৌপথেই সেগুলো বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে। ইয়াবার কাঁচামাল তারা টেকনাফ সীমান্তপথে মিয়ানমার থেকে সংগ্রহ করে। লবণ ও বালু বোঝাই বিভিন্ন ট্রলারের তেল মজুদের ছদ্মাবরণে ড্রাম ড্রাম ইয়াবার উপাদান আনা হয় কাঁচপুর এলাকায়। সেখানে ভাসমান ড্রেজিং বার্জে সেসব ড্রাম খালাস করা হয়।

সূত্র জানায়, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে সরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের অদূরে একটি ওষুধ কারখানার ভেতরেও রনি চৌধুরীর নেতৃত্বে ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন ওই কারখানায় দুই লাখেরও বেশি ইয়াবা বড়ি উৎপাদন হয়। ‘জরুরি ওষুধ লেখা’ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ইয়াবার চালান নিয়ে ডেলিভারি ভ্যানগুলো রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যায়। নির্দিষ্ট ফার্মেসির সামনে এসব ডেলিভারি ভ্যান থামিয়ে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের হাতে চাহিদামাফিক ইয়াবার চালান তুলে দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রনি চৌধুরীর মূল আস্তানা গুলশান, বনানী ও উত্তরা এলাকায়। তাঁর নেতৃত্বে রয়েছে একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ। মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তারা। ইয়াবার ব্যবসা করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকা বানিয়েছে তারা। কারখানা থেকে ইয়াবার বড়ি সরবরাহ করা হয় উত্তরার বিভিন্ন রেস্তোরাঁসহ বাসাবাড়িতে। বনানী ও গুলশানেও রয়েছে তাঁর নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী। আন্ডারওয়ার্ল্ডের ভয়ংকর ত্রাস মানিকের সঙ্গে তাঁর রয়েছে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। মালিবাগ এলাকাতেও রয়েছে রনি গ্রুপের বিশাল প্রভাব।

স্থানীয়রা জানায়, একসময় রনির বড় ভাই দিপু চৌধুরী পুরো উত্তরা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর দখলে ছিল উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব। ওই ক্লাবের আধিপত্য নিয়ে ১৯৯৭ সালের দিকে তিতাস নামে একজনকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় দিপু চৌধুরীসহ তাঁর সাঙ্গপাঙ্গোদের বিরুদ্ধে মামলা আছে।

পাউবোর জায়গা দখল করে মার্কেট : উত্তরার আবদুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় পাউবোর প্রায় আড়াই বিঘার ওপর একসময় বস্তি ছিল। নাম ছিল আবদুল্লাহপুর পলওয়েল মাঠ বস্তি। সূত্র মতে, মাস ছয়েক আগে বস্তিটি উচ্ছেদ করা হয়। একপর্যায়ে রনি চৌধুরী দলবল নিয়ে জায়গাটি দখলে নেন। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা দেখা গেছে, সেখানে মার্কেট নির্মাণের কাজ চলছে। টিনশেড ঘর তোলা হয়েছে। চারপাশে সীমানা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। মাঝখানে একটি সাইনবোর্ড রয়েছে। তাতে লেখা ‘এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে নিম্নবর্ণিত তফসিলভুক্ত ভূমি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক অধিকরণকৃত জমি। উক্ত উচ্ছেদকৃত ভূমিতে কোনো প্রকার স্থাপনা না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইল।’ তবে পাউবোর সেই নির্দেশ অমান্য করেই মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। মার্কেট নির্মাণে কাজ করছে ২০-১৫ জন শ্রমিক। তাদের মধ্যে রমজান আলী নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘মাসখানেক আগে মার্কেট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রাতের বেলায় মাটি ভরাট করা হয়। গভীর রাতে দামি গাড়িতে করে এক ব্যক্তি আসেন (রনি চৌধুরী)। তিনি সাইট ঘুরেফিরে চলে যান। এই সময় তাঁর সঙ্গে ২০-২৫ জন সশস্ত্র যুবক থাকে। তবে শুনেছি এটি সরকারি জায়গা। সরকারি দলের নেতারা এটি দখল করেছেন। আগে এটি বস্তি ছিল।’

স্থানীয় বাসিন্দা রফিক, রুহুল আমিন, আবদুর রহমানসহ অন্তত ১৫ ব্যক্তি কালের কণ্ঠকে জানান, রনি চৌধুরী তাঁর দলবল নিয়ে জায়গাটি দখল করেছেন। বস্তি উচ্ছেদ করার সময় বলা হয়েছিল, এখানে পাউবোর অফিস করা হবে। আর এখন প্রভাবশালীরা মার্কেট নির্মাণ করছেন। প্রতিদিন রাতের বেলায় সন্ত্রাসীরা এখানে নিয়মিত আসে। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। কিছুদিন আগে সন্ত্রাসীরা বাপ্পী নামের এক যুবককে সেখানে মারধর করে। এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে বলে, ‘আমরা রনি চৌধুরী ও ভাগ্নে সারোয়ারের লোক। টুঁ শব্দ করলে গুলি করে মেরে ফেলব।’

তবে দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে পাউবোর ফিল্ড অফিসার মিজানুর রহমান প্রথমে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে শুধু বলেন, ‘জায়গাটি আমাদের। তবে এখানে আমরা কোনো মার্কেট নির্মাণ করছি না।’

ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য : সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে রনি চৌধুরী চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মতলব উত্তরে ১৪টি ইউপিতে নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ফরাজীকান্দি, সুলতানাবাদ, শাইকনল, বাগানবাড়ী, পূর্ব ফতেহপুর, পশ্চিম ফতেহপুর, জহিরাবাদ ও মোহনপুর ইউনিয়নে প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়ন দেওয়ার নামে তিনি অর্থ নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদপুর আওয়ামী লীগের এক নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, রনি চৌধুরীকে যাঁরা নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ দিতে পেরেছেন তাঁরাই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। একেকজন প্রার্থীর কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এমনকি মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বিএনপির প্রার্থীদের কাছ থেকেও অর্থ নিয়েছেন তিনি।

আমিন হুদা গ্রুপের সঙ্গে সখ্য : বাংলাদেশে ইয়াবা ব্যবসা ও ইয়াবা তৈরির অন্যতম গডফাদার আমিন হুদা। তিনিই প্রথম দেশে ইয়াবার চালান নিয়ে আসেন। জার্মানি থেকে ইয়াবার কাঁচামাল সংগ্রহ করে দেশেই ইয়াবা তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন আমিন হুদা। ২০০৭ সালের ২৫ অক্টোবর র‌্যাব গুলশান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে আমিন হুদা কারাগারে থাকলেও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা আছে বহাল তবিয়তে। তাদের মধ্যে জুবায়ের, আলী আকবর, শ্যামল মজুমদারসহ অন্তত ১৭ জনের একটি সিন্ডিকেট ঢাকায় ইয়াবা পাচার করে। তাদের সঙ্গে রনি চৌধুরীর সখ্য রয়েছে। তাদের সঙ্গে আতাত করেই রনি গ্রুপ ইয়াবা ব্যবসা করছে।

এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মহানগর উপ-অঞ্চলের এক উপপরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রাঘব বোয়ালরা ইয়াবার ব্যবসা চালাচ্ছে। তারা নামে-বেনামে তৎপর আছে। একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর ছেলে ইয়াবা ব্যবসা করছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছে। তাকে নজরদারি করা হচ্ছে।’

সাত খুন মামলার আসামি নূর হোসেনের সঙ্গে লেনদেন : নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি নূর হোসেনের সঙ্গেও রনি চৌধুরীর সখ্য রয়েছে। র‌্যাব ১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ (চাকরিচ্যুত এবং সাত খুন মামলায় বর্তমানে কারাগারে) হলেন রনি চৌধুরী ভগ্নিপতি। সেই সুবাদে নূর হোসেনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন রনি। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল সাত খুনের ঘটনার পর থেকে নূর হোসেনকে বাঁচানোর কথা বলে রনি মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। তা ছাড়া তারেক সাঈদের প্রভাব খাটিয়ে রনি কুমিল্লা, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের আটকের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ নিতেন।

মুন্সীগঞ্জের এক বিএনপি নেতা বলেন, ‘২০১৩ সালে র‌্যাব একবার আমাকে গ্রেপ্তার করে। পরে রনি চৌধুরীর মাধ্যমে ছাড়া পাই। এ জন্য রনি চৌধুরীকে ১০ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। একইভাবে রনি অনেক নেতার কাছ থেকেই অর্থ নিয়েছেন।’

মাদকবিরোধী সংগঠনের ব্যানারেই মাদক ও দেহ ব্যবসা : সূত্র জানায়, উত্তরা রাজউক কাঁচাবাজার মার্কেটও রনি চৌধুরীর দখলে। সেখানকার প্রতিটি দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে তাঁর লোকজন। দক্ষিণখানে রনি চৌধুরী ‘বিলস’ নামে একটি মাদকবিরোধী সংগঠন গড়ে তোলেন। অভিযোগ রয়েছে, ওই সংগঠনের আড়ালে সেখানে চলে দেহ ও মাদক ব্যবসা। এ ক্ষেত্রে রনি চৌধুরীকে সহায়তা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা সরদার বেলায়েত হোসেন মুকুল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, থানার পুলিশ জেনেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

স্থানীয়রা জানায়, উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে ৩ নম্বর রোডের একটি আলিশান বাড়িতে রনি চৌধুরীর লোকজন নিয়মিত ইয়াবার চালান সরবরাহ করছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোনা পাচারকারীদের সঙ্গেও রনির সুসম্পর্ক রয়েছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রনি চৌধুরী পর্দার আড়ালে থেকে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আছে। মাসে মাসে তাঁরা রনির কাছ থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পান, বিনিময়ে চোখ বন্ধ রাখেন।

রনির সহায়তায় কারাগার থেকে পালানোর পরিকল্পনা তারেক সাঈদের : গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি তারেক সাঈদ তাঁর শ্যালক দিপু ও রনি চৌধুরীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় জেল থেকে পালানোর পরিকল্পনা করছেন। চিকিৎসার নামে তারেক সাঈদ ইতিমধ্যে দিনের পর দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আয়েশে কাটিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে শাহবাগ থানার পুলিশ একটি প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন সাব-ইন্সপেক্টর তারেক সাঈদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, তারেক হাসপাতালের পুরনো ভবনের তৃতীয় তলায় ৪৩ নম্বর কেবিনে ছিলেন দীর্ঘদিন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই তারেক সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে রিফাত চৌধুরীসহ কয়েকজন স্বজন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বাধা দিলে তাঁরা গালাগাল করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।

একটি গোয়েন্দা সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, রনি ও তার বড় ভাই তারেক সাঈদকে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। তাদের মাধ্যমে তারেক দেশ ছেড়ে পালানোর পাঁয়তারা করছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তবে তাকে পুরো নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। সুত্র : কালের কন্ঠ।

অামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি এগিয়ে

নিউজ প্রতিদিনি ডেস্ক: নতুন এক জাতীয়ভিত্তিক জরিপে দেখা যাচ্ছে রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ১২ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। উসকানিমূলক ও উদ্ধত কথাবার্তার জন্য ভোটাররা ট্রাম্পের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না।

ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজের জরিপে দেখা যায়, হিলারিকে সমর্থন করছেন ৫১ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার। বিপরীতে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন দিয়েছে ৩৯ শতাংশ ভোটার।

এছাড়া ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং এনবিসি নিউজ পরিচালিত অপর এক জরিপেও হিলারি ৫ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন।দুটি জরিপই রবিবার প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে দেখা যাচ্ছে, এক মাস আগেও ট্রাম্পের প্রতি যে সমর্থন ছিল তা এখন আর নেই।এছাড়া দুই তৃতীয়াংশ ভোটারই মনে করেন যে ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন। অন্যদিকে ৬১ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন যে হিলারি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য।

ওয়াশিংটন পোস্ট ও এবিসি নিউজের জরিপে দেখা যায়, ৬৬ ভাগ আমেরিকান মনে করেন ট্রাম্প নারী, সংখ্যালঘু এবং মুসলিমদের প্রতি অন্যায়ভাবে পক্ষপাতদুষ্ট।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন নিয়ে সবর রাজনৈতিক অঙ্গন

মো. আব্দুর রহিম :   নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি ক্রমন্বয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কিংবা জামাত সব দলেই চলছে এই নির্বাচন নিয়ে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে কর্মীদের মধ্যেও এ নিয়ে আলোচনার যেন কমতি নেই। আলোচনা থেকে দূরে সরে নেই সাধারন মানুষও। প্রায় ৫ বছর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কনরপোরেশনের প্রথম নির্বানে যে পরিমান আলোচনা হয়েছে, এবারের আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে তারে চেয়ে কয়েকগুন বেশী আলোচনা হচ্ছে। তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। বিগত নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনের আগের রাতে মাঠ ত্যাগ কলেও এবারের নির্বাচনে মাঠ ছাড়ার ইচ্ছে নেই বিএনপির। এছাড়া এবারের নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমানও প্রার্থী হচ্ছে না। তবে তিনি প্রার্থী না হলেও নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করাবেন বলে একাধিকবার জানিয়েছেন। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নিয়ে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বর্তমান মেয়র আইভী। তবে এবারের ভোটের হিসেবে ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।

সূত্রমতে, যে পুরনো শহরটি নিজের ঐতিহ্যের বাইরে গিয়ে মাঝে মাঝেই সহিংস রাজনীতি, হত্যা-গুম-আর-খুনের কারণে সারাদেশের ঘুম হারাম করে দেয় তার নাম নারায়নগঞ্জ। প্রায় পাঁচ বছর আগে সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির ঘরে-বাইরে যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিলো সেটা আজও মনে আছে অনেকের। সেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন এখনো দূরে থাকলেও রাজনীতির ছকে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন শামীম ওসমান এবং সেলিনা হায়াত আইভি। আগেরবার দলের সমর্থন ছাড়াই নির্বাচিত হলেও মেয়র আইভি এবার নৌকা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনী লড়াইয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। আর নিজে প্রার্থী না হলেও আইভিকে নৌকা পেতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিছেন সাংসদ শামীম ওসমান। তবে কে হবে সাংসদ শামীম ওসমানের সমর্থিত প্রার্থী এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামই সবচেয়ে বেশী শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খুঁজছে। সে ক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামই রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশী শোনা যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে যখন সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর মধ্যে প্রকাশ্যে দন্ধ শুরু হয়েছে, তখন বিএনপির এর সুফল ঘরে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপি বিগত দিনের ভুল করতে চাচ্ছে না। তাই ক্ষমতাসীনদের দন্ধকে পুঁজি করেই এবারের নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তবে বিএনপি সমর্থন কে পায় এ নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলের মধ্যে গুঞ্জন চলছে তৈমুর আলম খন্দকার ও সাবেক সাংসদ আবুল কালামকে নিয়ে। আলোচনা উঠে এসেছে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় আইনজীবী নেতা এড. শাখাওয়াত হোসেনও। তবে বিএনপির প্রার্থী কে হচ্ছে এ জন্য বিএনপির চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীকে।

নির্বাচন নিয়ে শামীম ওসমানের অভিমত, তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার কারণে সিটি নির্বাচন করবেন না, তবে নৌকা প্রতীক আইভিকেও পেতে দেবেন না। তিনি আরও যোগ করেন,‘সেলিনা হায়াত আইভি দলের থেকে নমিনেশন চাইবেন বলে আমার মনে হয়না। নৌকা প্রতীক নিয়েই এবারের নির্বাচন করবেন মেয়র আইভী। এ ব্যাপারে তিনি তার সিদ্ধান্ত অটঁল রয়েছেন। নিজের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রায় ৭০ ভাগ কাজ করেছেন জানিয়ে আইভি বললেন, নৌকা প্রতীক নিয়েই তিনি নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। যেহেতু এখন নৌকা এবং ধানের শীষের খেলা হবে অবশ্যই দলের মতামত থাকবে, দলের কর্মীদের মতামত থাকবে। তবে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে চমক থাকবে বলে ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর দিকে জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থীতা দেয়া নিয়ে জাপা নেতাদের চাপ থাকতে পারে বলেও বোদ্ধা মহলের ধারনা।

আজ সারা দেশে চলছে দখল – লুটপাট ও দমনের মহোৎসব, দখল হয়ে গেছে প্রেসক্লাবও : খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ হলো জঙ্গিদের দল। জঙ্গিদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ আছে। এদের কাছে দেশি বিদেশে বিপুল পরিমানে অস্র ও গোলাবারুদ আছে। কিন্তু জঙ্গির নাম করে ধরেন সাধারণ মানুষ। এদের ধরলেই সবকিছু পাওয়া যাবে।
রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রীমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের মিলনায়তনে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ।
খালেদা জিয়া বলেন, আজকে সারা দেশ কি চলছে। দখল আর লুটপাট ও দমনের মহোৎসব চলছে। প্রেসক্লাব পর্যন্ত দখল হয়ে গেছে। প্রেসক্লাবে সাংবাদিকেরা ইফতার মাহফিল করতে পারেনি। নির্বাচন দিতে ভয় পেয়ে গারে জোরে সব দখল করছে।
তিনি বলেন, আজকে ক্ষমতায় যারা বসে আছে তারা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। এব একটি অনির্বাচিত জনধিকৃত একটি সরকার। তাদের যদি সামান্যতম লজ্জা থাকতো তাহলে তারা ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিতো। সেই নির্বাচনের আসলে তারা যে কাজ করতো তার সমালোচনা হলেও বৈধতা পেতো। এ সরকার একের এক কাজ করছে তা বৈধ নয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিচার বিভাগে নিরপেক্ষ বিচার ন্যায়বিচার পাওয়া যায়না। তাই ভালো আইনজীবি থাকা স্বত্ত্বে ন্যায়বিচার পাওয়া যায়না। যেসব কাজ করছে তার কোনো বৈধতা নেই।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নাইকো মামলা এক সঙ্গে হয়েছে। ফকরুইদ্দন- মঈনউদ্দিনের সময়ে হাসিনার ছিলো ১৫টি মামলা। আমরা ছিলো ৫টি মামলা। হাসিনার মামলা যদি উঠে যায় আমার মামলা চলে কিভাবে চলে। হাসিনার নির্দেশে সবকিছু হয়েছে। হাসিনার ১৫টি মামলা কিভাবে উঠে যেতে পারে। তার মামলা উঠে গেলে অন্য কারো মামলা থাকতে পারেনা।
তিনি আরো বলেন, ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকার যেসব মামলা দিয়েছিলো সেই মামলা প্রত্যেক নেতাকর্মীর হয়রানি করছে। সব মামলা রয়েছে। যেখানে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের কোনো এই সরকারের কোনো বিশ্বাস তো নেই। বিচার বিবাগের নিদের্শ অমান্য করে একটির পর এক কাজ করে যাচ্ছে। আদালত বলেছেন বিনা বিচারে সাদা পোশাকে কাউকে ধরা যাবেনা। কিন্তু এথন তা প্রতিনিতই গ্রেফতার করা হচ্ছে। মানুষদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয়না। শওকত মাহমুদ বিনা অপরাধে ১০ মাস জেল খটেছে। মাহমুদুর রহমান কারাগারে আছে, গণগ্রেফতার করে বিএনপি ও সাধারণ মানুষ মিলে ১৫ হাজার গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলের মুক্তি দাবি করছি।
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম প্রধান প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যাক্ষ সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইসচেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈয়মূর আলম খন্দকার, নিতাই রায় চৌধুরৗ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।

 

ইতিকাফকারী জানাজার নামাজে অংশ নিতে পারবে কি?

২০ রমজান (রোববার) আসর নামাজের পর থেকে শুরু হয়েছে সুন্নত ইতিকাফ। সুন্নত ইতিকাফকারী জানাজার নামাজের জন্য মসজিদের বাইরে গেলে তার ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত আয়েশা রা. বলেন, ইতিকাফকারীর জন্য নিয়ম হলো, অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাবে না এবং (মসজিদের বাইরে) জানাজার নামাজে শরিক হবে না। [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ২৪৬৫]

প্রকাশ থাকে যে, ইতিকাফকারীর জন্য কোনো কারণে বাইরে অনুষ্ঠিত জানাজায় শরিক হওয়া আবশ্যক হলে সে যেতে পারবে তবে এ কারণে তার ওই দিনের ইতিকাফ নষ্ট হয়ে যাবে এবং সুন্নত ইতিকাফও থাকবে না। এক্ষেত্রে তাকে একদিন রোজা অবস্থায় ইতিকাফের কাযা করতে হবে।

সুত্র : আলমুহিতুল বুরহানী ৩/৩৮০; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২২২; রদ্দুল মুহতার ২/৪৪৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২১২

সাংবাদিকতার শিক্ষা ও পুলিশের বে-আক্কেলেপনা

আবুল কালাম আজাদ:‘সাংবাদিকতায় শেখার কোনো শেষ নেই। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় গণমাধ্যম আর সামাজিক মাধ্যমে যা হলো, তা আমাদের  বড় একটা ঝাঁকুনি দিলো, শিক্ষা দিলো। কিন্তু প্রশ্ন হলো, শিক্ষাটা কি আমরা নেবো? নাকি আবারও কোনো ইভেন্ট এলে, সুযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বো মানুষের চরিত্র হননে?’

গত শনিবার রাতে ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দিয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। সকালে উঠে দেখি নোটিফিকেশনে সয়লাব। শতাধিক মন্তব্যে আমাদের মানে সাংবাদিকদের তুলোধুনো করা হয়েছে। সাংঘাতিক, ধান্দাবাজ, হলুদ, সুশীল, টাউট, মূর্খ, অশিক্ষিত- হেন কোনো বিশেষণ বাকি নেই ডিকশেনারিতে। আমি কারও মন্তব্যেরই প্রতিবাদ করিনি। লজ্জায় মাথানত করে রেখেছি। তবে ভাববেন না আমি সবগুলো গালি মেনে নিয়েছি। কোনো কোনো সাংবাদিকের জন্য এই বিশেষণগুলো হয়তো ঠিক, তবে সবার জন্য নয়। কিন্তু বাবুল আক্তারের ঘটনার পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে ঢালাওভাবে সাংবাদিক সমাজকে ধোলাই করা হচ্ছে। তবে আমি যদি একটু উল্টো করে দেখি। বাংলাদেশে এখন ২৬টি টেলিভিশন, গোটা পঞ্চাশেক রেডিও, শ’খানেক পত্রিকা, হাজারখানেক অনলাইন আছে। বাবুল আক্তারকে নিয়ে গল্পটা সবাই শুনেছেন। কিন্তু ‘বিশ্বস্ত সূত্র’এর বরাত দিয়ে রিপোর্ট করেছে হাতেগোনা কয়েকটি গণমাধ্যম। বেশির ভাগ সাংবাদিক ও গণমাধ্যম যে নজিরবিহীন সংযম দেখিয়েছে, তাতে আমি অভিভূত ও আশ্বস্ত। না, সবাই যতই গালিগালাজ করুক, আমাদের পেশার বস্তুনিষ্ঠতা ও এথিক্স এখনও ফুরিয়ে যায়নি। বেশিরভাগই এমন একটি রসালো গল্প পেয়েও ধৈর্য্য ধরে সত্যের জন্য অপেক্ষা করেছে, যেটা দারুণ প্রশংসার। যারা সংযম দেখাতে পারেননি, তাদেরও খেসারত দিতে হবে। একদিনের হিট নয়। টেকসই হিট পেতে হলে বস্তুনিষ্ঠ হতেই হবে।

আমার স্ট্যাটাসে একটা প্রশ্ন ছিল, এই ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নেবো কিনা? আমার ধারণা নেবো না। ইতিহাসের শিক্ষা হলো, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। অতীতে এমন শিক্ষামূলক ঘটনা অনেক ঘটেছে, আমরা শিক্ষা নিইনি। এমনকি প্রিয় সহকর্মী সাগর-রুনীও আমাদের নোংরা কলম থেকে রক্ষা পায়নি, তাদেরও মরণোত্তর চরিত্র হনন করেছি, এই আমরাই। তাই আমি নিশ্চিত, আবার এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আবারও কেউ না কেউ এ ধরনের নিউজ করবে। আশার কথা হলো সংখ্যাটা কমছে, ভবিষ্যতে হয়তো আরও কমবে।

সংখ্যায় অল্প হলেও, এবার সাংবাদিকদের পদস্খলনে উস্কানি দিয়েছে পুলিশের বে-আক্কেলেপনা। কেউ ভাববেন না, আমি আমাদের ভুলটাকে জাস্টিফাই করছি বা আমাদের ভুলের দায়, পুলিশের উপর চাপাতে চাইছি। নিজেদের ভুল স্বীকার করেও বলছি, আসলেই বাবুল আক্তারের ১৫ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের নাটকে প্রমাণিত হয়েছে পুলিশের বুদ্ধি মাথায় থাকে না। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ অফিসার্স মেসে ২৪তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন মিতুর স্মরণে এক শোকসভা ও ইফতার পার্টির আয়েজন করে। সে আয়োজনে বাবুল আক্তার মা হারা দুই সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যদেরও নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজি, কমিশনারের সঙ্গে তার দেখাও হয়েছে। কিন্তু বাসায় ফেরার পর মধ্যরাতে মতিঝিলের ডিসি আর খিলগাঁওয়ের ওসি গিয়ে আইজির কথা বলে বাবুল আক্তারকে নিয়ে আসেন। তখন বলা হয়েছিল, তিনি ১৫ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসবেন, কিন্তু ফিরেছেন ১৫ ঘণ্টা পর। নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি। শনিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলার আগে সরকার বা পুলিশের কেউ বাবুল আক্তারের অবস্থান নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তথ্য প্রবাহে বাধা দেয়ার কারণেই গুজব ডালপালা মেলেছে দ্রুত। কোনটা সত্য আমরা এখনও জানি না। বাবুল আক্তার একজন দক্ষ পুলিশ কর্তা। স্ত্রী মিতু খুন হওয়ার পর সারাদেশের সবাই তাকে চেনেন, তার প্রতি সহানুভূতিশীল। তিনি এখনও পুলিশ সুপার পদমর্যাদায় চাকরি করছেন। ফোন করে ডাকলেই নিশ্চয়ই তিনি ছুটে যাবেন। সেখানে কেন তাকে মধ্যরাতে ডেকে নিতে হবে? কেন তাকে পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হবে না। বাবুল আক্তারের সাথেই যদি পুলিশ এই আচরণ করে, তবে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কী হয়, একটু ভাবলেই ভয় লাগে। এ কারণেই পুলিশকে মানুষ বন্ধু মনে করে না। যদি রাতে বা সকালে পুলিশের দায়িত্বশীল কেউ বাবুল আক্তারের ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতো, তাহলে আর এই ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতো না। আমরা চাই পুলিশ সবার সাথেই আইনানুগ আচরণ করবে। দ্রুত মিতু হত্যার রহস্য উন্মোচন করবে, দায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে এবং সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে।

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় মেসির

তিন দিন আগেই লিওনেল মেসি পা দিয়েছেন ২৯ বছরে। পেশাদার ফুটবলাররা এই বয়সে কোনোভাবেই চিন্তা করেন না অবসরের কথা। কিন্তু একের পর এক ফাইনালে হারের হতাশা মেনে নিতে না পেরে বিস্ময়কর এক সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেছেন এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। জানিয়েছেন, আর কোনো দিনই আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলবেন না জাতীয় দলের জার্সি গায়ে।

২০১৪ সালের বিশ্বকাপ, ২০১৫ সালের কোপা আমেরিকার পর আরো একবার ফাইনালে উঠে হতাশ হতে হয়েছে মেসিকে। গত বছরের মতো এবারও কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে হারের স্বাদ পেয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা।

টাইব্রেকারের প্রথম শটটি নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক মেসি। এই আক্ষেপটা যে তাঁকে অনেক দিন তাড়া করে বেড়াবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু তাই বলে বিদায়ই বলে দেবেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে? বিস্ময়-জাগানিয়া এই সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেছেন পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হারের পর মেসি বলেছেন, ‘জাতীয় দল শেষ হয়ে গেছে আমার জন্য। যা করতে পারতাম, সবই আমি করেছি। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারাটা সত্যিই খুব পীড়াদায়ক।’

নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ ওনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পলি ক্লিনিকের কনফারেন্স রুমে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  নিউজ প্রতি দিনের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল এস এর জেলা প্রতিনিধি জিয়াউল হাসান জুয়েল,দৈনিক ডান্ডিবার্তার বার্তা সম্পাদক আব্দুর রহিম,নিউজ প্রতিদিন ডট নেট এর সহ-সম্পাদক রশীদ আহমেদ, এবি টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ সময় এর জেলা প্রতিনিধি নুরুজ্জামান কাউছার,দৈনিক ডান্ডিবার্তার বিভাগীয় সম্পাদক জাহাঙ্গীর ডালিম, সিনিয়র রিপোর্টার দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, রাজু, শাহীনসহ আরো অনেকেই।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কে হচ্ছে মেয়র প্রার্থী ?

বিশেষ প্রতিনিধি: নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল ততই বাড়ছে। সকলেরই প্রশ্ন কে হচ্ছে আগামী নির্বাচনে বড় দুই দলের প্রার্থী। ইতিমধ্যে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মেয়র নির্বাচনে তার প্রার্থীতা ঘোষণা করে প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। অপরদিকে বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ইতিমধ্যেই আগামী নির্বাচনে আবারো প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আওয়ামীলীগ থেকে আনোয়ার হোসেন মনোনয়ন পাবেন এমনটা নিশ্চিত হলেও গতকাল মঙ্গলবার সরকারী প্রজ্ঞাপন জারী করে মেয়র আইভীকে উপ-মন্ত্রীর পদ মর্যাদা দেয়ার পর আনোয়ার সমর্থকরা অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে আইভীর সমর্থকরা শুধু আনন্দ উল্লাসই নয় মিষ্টি বিতরণ পর্যন্ত করেছেন। খোদ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আইভীর আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে যে সন্দেহ ছিল তা অনেকটা কেটে গেছে। গত সোমবারও যাদেরকে আইভীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে দেখা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার তারাই বোস কেবিনের সামনে আতেলদের আড্ডায় আইভীর মনোনয়ন নিয়ে পক্ষেই মন্তব্য করেছেন। অপরদিকে শহরের বাম পন্থিদের মধ্যে যেন নতুন করে উৎসাহ বেড়ে গেছে। সাংবাদিকদের একটি অংশকে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির পর অতি উৎসাহী মন্তব্য করতে দেখা গেছে। গণমাধ্যমের অনেকেই গোপনে গতকাল রাতে মেয়র আইভীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বলেও সাক্ষাৎকারী একজন গণমাধ্যমকর্মী নিশ্চিত করেছেন। এমনকি ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীও মেয়র আইভীকে মোবাইল ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে ফেইসবুকে আইভী সম্পর্কে তার বিরোধী পক্ষ আপত্তিকর কিছু মন্তব্য করলেও যুবলীগের ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মেয়র আইভীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। আওয়ামীলীগ থেকে আইভীই মনোনয়ন পাচ্ছেন এটা অনেকেই নিশ্চিত বলে মনে করছেন। তবে আনোয়ার হোসেনের সমর্থকরা এখনো হাল ছাড়ে নি। অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও এখনো পর্যন্ত সাবেক এমপি আবুল কালাম অনেকটা নিশ্চিত বলে জানা গেছে। আবুল কালাম নির্বাচন না করলে সেক্ষেত্রে বিএনপি হাইকমান্ড বিকল্প হিসাবে জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এড: সাখাওয়াত হোসেনকে তাদের প্রার্থী হিসাবে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। এড: আবুল কালাম নিজেও আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাশাপাশি এড: সাখাওয়াত হোসেনও প্রার্থী হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া এটিএম কামাল ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী না দিলে সে নিজেই স্বতন্ত্র প্রাথী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিবে। তাছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের স্ত্রী পারভীন ওসমান ও বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমানের স্ত্রী নাসরিন ওসমানের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত আইভী ছাড়া সকলের নামই গুঞ্জন হিসাবে শোনা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত আইভী ও আনোয়ার হোসেনই আনুষ্ঠানিকভাবে নাসিকের মেয়র পদে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ঘোষণা দেন নি।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে চলতি বছরের প্রথমদিক থেকেই মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নাম বেশ জোরে সোরে শোনা গেলেও এবার দৃশ্যপট পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে গতকাল মঙ্গলবার মেয়র আইভীকে উপ-মন্ত্রীর পদ মর্যাদা দেয়ার পর এ দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী চুনকা পরিবারের বিপক্ষে থাকলেও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘নৌকা’র মাঝি হতে যাচ্ছেন বর্তমান মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগের একজন প্রভাবশালী নেতা জানান, আওয়ামীলীগের অন্যতম রাজনৈতিক পরিবার ওসমান পরিবারের সাথে আইভীর দ্বন্দ থাকলেও গোয়েন্দা সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে জানা গেছে দলীয় প্রতীক নয় নারায়ণগঞ্জ বাসীর কাছে ব্যাক্তি আইভীর বেশ জনপ্রিয়তা আছে। আর নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হলেও আইভীকেই মেয়র হিসেবে পেতে আগ্রহী সাধারন জনতা। তাই অনেক চিন্তা ভাবনা করেই আইভীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রের ইচ্ছে আছে। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে আনোয়ার হোসেনের জনপ্রিয়তা আইভীর তুলনায় অনেক নীচে বলে জানিয়েছে। অপরদিকে ইতিমধ্যেই সিটি নির্বাচনে জেলা বিএনপির হেভীওয়েট নেতা গত সিটি নির্বাচনে বসে পড়া মেয়র প্রার্থী এড. তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ মেয়র পদে নির্বাচন না করার অভিমত ব্যাক্ত করলেও ইচ্ছে পোষণ করা নগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এটিএম কামালের ভাগ্যেই নাকি জুটছে ‘ধানের শীষ’। তবে দলীয় হাইকমান্ড সুত্রে জানা গেছে, মেয়র পদে তাদের তালিকায় এড: আবুল কালাম ও এড: সাখাওয়াত হোসেন খান ছাড়া অন্য কেউ নেই। আইভীর সাথে প্রতিদ্বন্দী হিসাবে কামালকে প্রার্থী দেয়া সাধারণ মানুষের কাছে বিএনপি হাস্যকর হয়ে পড়বে বলে জানা গেছে। অপরদিকে সিটি নির্বাচনে এবার জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছেন ওসমান পরিবারের পুত্রবধূদ্বয় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের স্ত্রী পারভীন ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমানের স্ত্রী নাসরীন ওসমান বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে। যদিও এব্যাপারে এখন মুখ খুলছেনা জাতীয় পার্টি। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই দুই পুত্রবধুকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা রয়েছে। জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর তার শূণ্য আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করার কথা ছিল তার সহধর্মিনী পারভীন ওসমানের। কিন্তু এপদে নির্বাচন করেন নাসিম ওসমানের মেঝ ভাই সেলিম ওসমান। তাই আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করে, প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের জনপ্রিয়তাকে পুজি করে পারভীন ওসমান নির্বাচনে প্রার্থী হলে আইভীর সাথে পারভীন ওসমানেরই মূলত প্রতিদ্বন্দীতা হবে।