২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 80

অসুস্থ্য রিপনকে দেখতে যান থানা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ

নিউজ প্রতিদিন:  ফতুল্লা থানা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মো.হাবিবুর রহমান রিপন অসুস্থ হয়ে নারায়ণগঞ্জের একটি  বেসরকারী  হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন।

৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) বাদ এশা অসুস্থ মো.হাবিবুর রহমান রিপনকে দেখতে যান ফতুল্লা থানা বি এন পির যুগ্ম আহবায়ক ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আব্বাস আলী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক এড.এস এম মাহামুদুল হক আলমগীর, জেলা বিএনপি’র ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নাদিম হাসান মিঠু,জেলা বিএন পির সহ-মৎসজীবী বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন প্রধান,সদস্য সিদ্দিক হোসেন,ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য কামাল হোসেন ও ফতুল্লা থানা ছাত্রনেতা শাহ্জাহান আলী।

বক্তাবলীর রাসেল প্রধান ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব

নিউজ প্রতিদিন:  ফতুল্লা থানা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব হয়েছেন মো.রাসেল প্রধান।

৩ আগস্ট (শনিবার) ফতুল্লা থানা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবি দলের ১৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক এড.এইচ এম আনোয়ার প্রধান ও সদস্য সচিব মো.আমিনুল ইসলাম। এই আহবায়ক কমিটিতে সদস্য সচিব হয়েছেন মো.রাসেল প্রধান।

মো.রাসেল প্রধান স্থানীয় বক্তাবলী এলাকার গোপালনগরের মরহুম আঃ মান্নান মেম্বারের ছোট ভাই মরহুম জহির উদ্দীন প্রধানের বড় ছেলে। এর আগে তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

তাছাড়াও তিনি অত্যন্ত দক্ষদতায় বক্তাবলীর সামাজিক সংগঠন বক্তাবলী আদর্শ সমাজ উন্নয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে প্রধান টেলিকম নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।

মো.রাসেল প্রধান বলেন, আমাকে ফতুল্লা থানা জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব করায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির আহবায়ক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান ও সদস্য সচিব মো.আমিনুল ইসলামসহ সকল সিনিয়ন নেতাদের ফতুল্লা থানা বাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

রাসেল প্রধান আরো বলেন, আগামীদিনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করতে ফতুল্লা থানা জাতীয়তাবাদী মৎসজীবি দল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ইনশাল্লাহ।

সদর উপজেলা ১৭টি হাটের বিপরীতে বক্তাবলীর রামনগরের হাট স্থগিত ঘোষণা।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা এবার ১৭ টি অস্থায়ী কোরবানির হাটের জন্য গত বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করে। এই ১৭টি হাটের বিপরীতে ১৪১টি শিডিউল বিক্রিয় হয়।

(৫ আগস্ট) সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জমা পড়ে ৪৭ টি। জমাকৃত দরপত্র থেকে সর্বোচ্চ দরদাতা ১৬ জনকে ১৬টি হাটের জন্য বৈধ ইজারাদার হিসেবে ঘোষণা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক। এছাড়া একটি হাটের জন্য তিনটি দরপত্র জমা পড়লেও সেটি সরকারি নির্ধারিত দরের থেকেও কম মূল্য আসায় তা স্থগিত রাখা হয়।

সদর উপজেলা সূত্রে জানা গেছে, কাশিপুর ক্লাব মাঠের হাটের জন্য সরকার দর নির্ধরাণ করেছিলেন ৩১ হাজার টাকা। এই হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা ৩৩ হাজার টাকায় আইয়ূব আলী ইজারা পান।

গোগনগর সৈয়দপুর পাঠাননগরের হাটের জন্য সরকার নির্ধারণ করে ৫৬ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫৭ হাজার টাকায় এই হাটের ইজারা পেয়েছেন মো. শাকিল সরদার।

গোগনগর বাড়িটেক হাটের জন্য সরকার নির্ধারণ করে ৫৬ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৭০ হাজার টাকায় এর ইজারা পান দেলোয়ার হোসেন।

গোগনগর পলি ফ্যাক্টরী হাটের জন্য ৪০ হাজার টাকা সরকারি দর থাকলেও তা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৪২ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন আল মামুন।

এছাড়া গোগনগর চরসৈয়দপুর কাঠপট্টি খেয়াঘাটের হাটের জন্য সরকার ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দর আহ্বান করলেও ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকায় এই হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পেয়েছেন মো. আসলাম সরকার।

গোপনগর পুরান সৈয়দপুর হাটের জন্য সরকারি নির্ধারিত দর ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিলো, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১ লাখ ১১ হাজার টাকায় এর ইজারা পেয়েছেন নাজির আহম্মেদ।

গোগনগর বাদশা মিয়ার নিজস্ব ভূমিতে অস্থায়ী হাটের জন্য সরকারি দর ৩৮ হাজার টাকা, এর সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৩৮ হাজার ৫শ টাকায় এস এম মোসলেহ উদ্দিন ইজারা পেয়েছেন।

আলীরটেক আমান মার্কেটে ২৬ হাজার টাকা সরকারি দরপত্র আহ্বান করলেও সর্বোচ্চ দর ২৬ হাজার ৫শ টাকায় এর ইজারা পেয়েছেন জামাল উদ্দিন।

বক্তাবলী ৪ নং রাজাপুর সরকারি দর ৫২ হাজার টাকার বিপরীতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫২ হাজার ৫শ টাকায় সাব্বির আহমেদ ইজারা পেয়েছেন।

বক্তাবলী চর বয়রাগাদির ২২ হাজার টাকা সরকারি দরের বিপরীতে ২৩ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সিদ্দিকুর রহমান ইজারা পেয়েছেন।

বক্তাবলী সমিরনগর আদর্শ বাজারে ২৪ হাজার হাজার টাকা সরকারি দরের বিপরীতে ২৪ হাজার টাকাতেই আবুল কাশেম দেওয়ান পেয়েছেন।

এছাড়া রামনগর সরকারি ইজারা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দরপত্র আহ্বান করা হয়। তবে এই হাটটিতে বিবেচনাধীন টাকা আসেনি তাই স্থগিত রাখা হয়।

অন্যদিকে ফতুল্লার আলীগঞ্জ পিডব্লিউডি গরুর হাটের জন্য সরকার ৩৬ লাখ টাকা দরপত্র আহ্বান করলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবেএক কোটি ১৫ লাখ ৫‘শ টাকায় ইজারা নিলেন উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ফাতেমা মনির ও নাছির উদ্দিন।

ফতুল্লার তল্লা আজমেরীবাগ জানে আলমের নিজস্ব ভূমিতে হাটের জন্য সরকারি দর আহ্বান করা হয় ৭০ হাজার টাকা এর বিপরীতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৭১ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন জানে আলম বিপ্লব।

ভুইগড় রূপায়ন টাউন সংলগ্ন হাটের জন্য সরকার ৫৯ হাজার টাকা দরপত্র আহ্বান করলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৬০ হাজার ৫শ টাকায় মানিক চান ইজারা পেয়েছেন।

কুতুবপুর তালতলা প্যারাডাইস সংলগ্ন হাটের জন্য সরকারি নির্ধারিত ৮৫ হাজার টাকা দরপত্র আহ্বান করলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৯০ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন টেনু গাজী।

কুতুবপুর শান্তিধারার হাটের জন্য সরকার ৫০ হাজার টাকা দরপত্র আহ্বান করলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৬১ হাজার টাকায় এর ইজারা পায় রাজ্জাক বেপারী।

বক্তাবলী ফেরীঘাট সংলগ্ন গরুর হাট জমে উঠেছে

নারায়ণগঞ্জের সদর ও বিভিন্ন উপজেলা গুলোতে ইজারা পাওয়া হাটগুলো বসতে শুরু করেছে। হাটগুলোতে ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছে গরু।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বক্তাবলী ফেরীঘাট সংলগ্ন গরুর হাট ও সদরের ফতুল্লার ডিআইটি মাঠের গরুর হাট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

বক্তাবলীর হাটে দেখা যায়, সেখানে নদীপথে আসছে গরু। নদীতে ট্রলারে করে গরুগুলো নিয়ে আসছেন ব্যাপারীরা। পাশাপাশি তাদের নিজেদের থাকা খাওয়ার কিছু আসবাবপত্রও সাথে আনছেন। ইতোমধ্যে হাটের এক চতুর্থাংশ অংশে গরু বাধা অবস্থায় দেখা যায় হাটটিতে।

একই অবস্থা ফতুল্লা গরুর হাটে। সেখানে নদীপথে ট্রলারে গরু আনছেন ব্যাপারীরা। আগে আগে গরু এনে নিজেদের স্থান নির্বাচন করে সেখানে অনেকে বালু দিয়ে উঁচু করছেন নিজ খরচে। অনেকেই ৫০ থেকে ৭০টি গরু আনছেন আবার অনেকেই দলভুক্তভাবে অনেক গরু একসাথে আনছেন। গরুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারা আগেভাগেই এসে স্থান নির্বাচন করে গরুগুলো উঠাতে শুরু করেছেন।

বক্তাবলীর গরুর হাটে আসা ব্যাপারী আয়নাল জানান, তিনি নিজের গরুর খামারে গরু লালন পালন করার পরও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর থেকে গরু নিয়ে এসেছেন এখানে। প্রায় ৫০ টি গরু তার ও তার আত্মীয়ের। তিনি আগেভাগেই এসে হাটের একটি উঁচু ও ভালো জায়গা নিয়েছেন। ৫০টি গরু বিক্রি শেষ হলে তিনি আবারো গরু আনবেন বলে জানান। এখনো গরুর ক্রেতা নেই বলে জানান আয়নাল।

ফতুল্লা হাটে আসা ফরিদপুরের কামরুল ব্যাপারী জানান, তিনি প্রতি বছরের মত এবারো ফতুল্লা হাটে গরু এনেছেন। আগে ভাগে এসে গরুর জন্য স্থান নির্বাচন ও বালু নিজ খরচে দিয়ে স্থানটি উঁচু করেছেন। তিনি ও তার সাথেও কয়েকজন মিলে মোট ৩০ টির মত গরু এনেছেন বলে জানান তিনি। তবে সবগুলো একসাথে না ধীরে ধীরে হাটে উঠাবেন তিনি।

তবে গরু নিয়ে আসার পথে নৌপথে চাঁদাবাজি বা কোন রকমের হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন না ব্যাপারীরা। চাঁদাবাজি যেন না হয় সেদিকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

হাজিদের পকেট কাটার চক্র আটক

দশ মাস দেশে চুরি-ছিনতাই করে পেট চলে, এরপর দুই মাসের জন্য সুদূর সৌদি আরবে হজে চলে যান তারা। তবে উদ্দেশ্য ভিন্ন। সেখানে গিয়েও হাজিদের পকেট কেটে ডলার, পাউন্ড, রিয়াল হাতিয়ে নেন তারা। এমনই একটি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি উত্তর)।

 রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মহরম আলী। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা এইসব তথ্য দেয়। পরে পুলিশ সাংবাদিকদের এসব বিস্তারিত জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ছয় জন হলেন— সুমন ভুইয়া ওরফে সোমা (৩৬), মাসুদুল হক ওরফে আপেল (৪২), রুহুল কুদ্দুস (৪৮), লাবু মিয়া (৩২), জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ (২৮), দুলাল মোল্লা (৫০)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের পলাতক আরও ৬ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো- সজিব (৩০), ওমর (৩২), শহিদুল্লাহ (৩০), তাজু (৩৫), তুলু (৩৬) ও জামাল। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে ডিবি।

স্বীকারোক্তিতে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, দেশে সাধারণত বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের টার্গেট করে চুরি, ছিনতাই ও পকেট মারতো তারা। এই কাজ চলতো বছরের দশ মাস। এরপর হজের সময় এলেই তিন লাখ টাকা খরচ করে সৌদি চলে যেতেন। সেখানে গিয়ে হাজীদের পকেট কেটে প্রত্যেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে দেশে ফিরে আসতেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, হজের মৌসুমে যারা হজে যাচ্ছেন এবং সবসময়ই যারা ঢিলেঢালা পোশাক পরেন তাদের বেশি সতর্ক থাকা উচিৎ। এই প্রতারকরা এদেরকেই টার্গেট করে থাকে।

বক্তাবলীবাসীর স্বপ্ন পূরণে শওকত আলী

বিশেষ প্রতিনিধি: বক্তাবলীর মানুষের সুদীর্ঘ বছরের লালিত স্বপ্নের উন্মোচন ঘটাতে যাচ্ছেন এলাকার প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, বক্তাবলীর কৃতি সন্তান, তিন বারের সফল রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ শওকত আলী তাঁর স্বপ্ন ও প্রচেষ্টায় অতি শীঘ্রই তিনি স্থাপিত করার কাজে হাত দিতে যাচ্ছেন একটি ২০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক বক্তাবলী হাসপাতাল। এলাকাবাসী কামনা করে, তাঁর প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে এই গৌরবময় স্থাপত্যটি সু-সম্পন্ন হোক। প্রতিষ্ঠিত হোক তাদের স্বপ্নের আধুনিক বক্তাবলী হাসপাতাল। এই আধুনিক বক্তাবলী হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হলে কালের পর কাল, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁর কীর্তিসমূহ তাঁরই স্বাক্ষী হয়ে থাকবে বলে এলাকাবাসী আশাবাদী।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ এ.কে.এম শামীম ওসমান বক্তাবলীতে একটি আধুনিক হাসপাতালের জন্য একটি ডিউ-লেটার আমাকে দিয়েছেন। তার ডিউ-লেটার পর থেকে বক্তাবলীবাসীর এ দীর্ঘদিনের দাবিটিকে যথাযথ প্রক্রিয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ আকারে পাঠানোর জন্য সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করি। সিভিল সার্জনও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অতি শিগগিরই একটি প্রস্তাবনা স্বাস্থ্যসচিব বরাবর পাঠাবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।

শওকত আলী আরো বলেন, সরিফুননেসা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নামেই ৩২ শতাংশ জমি রয়েছে। এর উপরে অনায়াসে একটি ২০ শয্যার হাসপাতাল হতে পারে। হাসপাতালটি হলে এ ইউনিয়ন ছাড়াও পার্শবর্তী আলীরটেক ও সিরাজদিখান ইউনিয়নের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাবে। স্বাস্থ্যসেবার জন্য কাউকে শহরের হাসপাতালে ছুটতে হবে না।

ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহবান ভিপি বাদলের

শেখ হাসিনার নির্দেশ ‘ডেঙ্গু মুক্ত বাংলাদেশ’ শ্লোগান দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল।

তিনি বলেন, ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ে হতাশা হওয়ার কোন কারণ নাই। আমরা নিজেরা একটু সচেতন হলে এডিস মশা বংশ বিস্তার করতে পারবে না। আমাদের জানতে হবে এবং বুঝতে হবে কোথায় থেকে এডিস মশা বংশবিস্তার করে।বাড়ির পাশে ময়লা আবর্জনা, বাড়ির ছাদে জমে থাকা পানি এবং ফুলের টপসহ বিভিন্ন ধরনের টপে জমে থাকা পানি থেকে এডিস মশার বংশবিস্তার হয়। আর এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়। তাই ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান করেন তিনি।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসাবে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে মশকনিধন ও পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে ট্রেন দিয়ে মশার ঔষধ দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা মশা নিধনে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সারা দেশে মশা নিয়ে সচেতনা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দেখেন আজ শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে নারায়ণগঞ্জে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির পালন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তাই আমরা নিজেদের বাড়ির আঙ্গিনা পরিস্কার রাখি এবং সবাইকে বলি তারা যেন তাদের আঙ্গিনা পরিস্কার রাখেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পালনে আমাদের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাই কাজ করেন।

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর পরিচালনায় মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল হক খোকন, প্রচার সম্পাদক মোমেন শিকদার, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক এম এ সাত্তার, কাশিপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক খোকা, কাশিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পলাশ, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর, সেলিম, মনির হোসেন, সাইদুর, জুয়েল প্রমুখ।

মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মশা নিধন ফগার মেশিন দিয়ে কাশিপুর এলাকায় যেখানে মশার ঔষধ ছিটান। এছাড়াও এলাকার সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য আহবান করা হয়।

পাপ করে কিছু লোক খেসারত দিতে হয় পুরো জাতিকে-শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন: ডেঙ্গু জনিত ভাইরাস থেকে মুক্তি লাভে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে ফগার মেশিন ও মশক নিধন ঔষধ বিতরণ করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একেএম শামীম ওসমান বলেন, আমরা হাতিরঝিল থেকে সুন্দর করবো কিন্তু সেখানে ময়লা ফেলবে তা হবেনা। এর পূর্বে এক জায়গায় ময়লা ফেলেছিলো সেখানে পার্ক তৈরি করা হয়েছে কিন্তু এখনো ময়লা ফেলা কমেনি। এ মশা আমরা নিজেই তৈরি করছি। দেশে যখন পাপাচার বেড়ে যায় তখনই ঐ দেশে গজব নেমে আসে। পাপ করে কিছু লোক তার খেসারত দিতে হয় পুরো জাতিকে। ২০১৩ সাল থেকে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ২৪ জন ডাক্তার আছেন যারা প্রতিমাসে বেতন নিচ্ছেন কিন্তু আশ্চর্য যে এ দুটি হাসপাতালই নেই। আমি এ ব্যাপারে সংসদে বলবো। জোরা তালি দিয়ে বাংলাদেশ গড়তে চাইনা। সবার আগে
নিজেকে বদলাতে হবে। নিজের দায়িত্বটা নিজের পালন করতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে।
এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিকের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, এনায়াতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, গোগনগর ইউপি চেয়ারম্যান নেওশদ আলী, ফতুল্লা ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, আলীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, কাশীপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ বাদল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

নারায়ণগঞ্জে বাগানবাড়ী,জয়নাল ট্রেড ও কাশেমের বেলী টাওয়ার ভাঙল রেলওয়ে

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় রেল স্টেশনের দুই পাশে অবৈধভাবে দখলে রাখা প্রায় অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এসময় রেললাইনের পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা রেস্তরাঁ বাগানবাড়ি পুরোটাই গুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও আলোচিত আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার ও কাশেম জামালের বেলী  টাওয়ারের কিছু অংশও ভেঙে দেয়া হয়।

সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়৷ আরো উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিভিশনাল (ঢাকা) এস্টেট অফিসার নজরুল ইসলাম ও বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ৷ উচ্ছেদ কার্যক্রম বিকাল পর্যন্ত চলে৷

এছাড়া ও চাষাড়া রেলগেইটের দুই পাশে ফুলের দোকান, মিষ্টির দোকান, ও রেস্তোঁরা সহ চায়ের দোকান ও উচ্ছেদ করা হয় । অনেক দিন থেকে প্রভাশালীদের চাঁদা দিয়ে রেলওয়ের জায়গা দখলকরে এখানে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছিল তারা ।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রেলওয়ের জায়গায় যে সব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো উচ্ছেদে অভিযান চালাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ । পর্যায়ক্রমে রেল লাইনের দুই পাশের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

দু’টি কলার মূল্য ৪৪২ টাকা

চোখ কপালে ওঠার মতোই খবর বটে। মাত্র দুটি কলার দাম ৪৪২ টাকা। একটি হোটেলের বিলে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে, যা দেখে চমকে গেছেন ক্রেতা। অভিযোগও করেছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে বলিউড অভিনেতা রাহুল বোসের সঙ্গে। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে জানিয়েছেন যে, চণ্ডীগড়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে রয়েছেন তিনি। দারুণ স্যুট। সেই স্যুটের ছবিও দেখালেন তিনি। খুব সুন্দর করে সাজানো। তবে বিপাকে পড়েছেন কলা অর্ডার করে। দুটো কলা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে বিল, যা দেখে একেবারে হতবাক তিনি। কলার দাম ৪৪২ টাকা।

বিলে লেখা আছে ফুড প্ল্যাটার। যার আসল দাম ৩৭৫ টাকা। ৩৩ টাকা করে দুটি জিএসটি। সব মিলিয়ে কলা দুটি যাকে বলে একেবারে মহামূল্যবান। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই হইচই শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ফলে দ্রুতই ওই হোটেলের বিরুদ্ধে জিএসটি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Kola-(2)

চণ্ডীগড়ের শুল্ক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার ও ট্যাক্সেশন কমিশনার মনদীপ সিং ব্রার অবৈধভাবে জিএসটি নেওয়ার জন্য জেডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলের বিরুদ্ধে তদন্ত করেন। দুটি কলার দাম কেন ৪৪২ টাকা নেওয়া হলো, তা তদন্ত করে দেখা হয়।

তদন্ত শেষে শুল্ক ও কর বিভাগ থেকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে ওই হোটেলের জন্য। অবৈধভাবে কর নেওয়ার জন্য শাস্তিস্বরূপ এ জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।

মনদীপ সিং ব্রার জানিয়েছেন, অভিনেতার পোস্ট করা ভিডিও দেখেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ফলে কীভাবে ওই হোটেল জিএসটি নিল, সেটা খতিয়ে দেখেছেন তারা। পাশাপাশি অন্য কোন কোন খাবারে এই হোটেল অবৈধভাবে জিএসটি নিচ্ছে, সেটাও তদন্ত করে দেখেছেন।