২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 91

ওয়াজ মাহফিলে যে বক্তাদের নিয়ে আপত্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

নিউজ প্রতিদিন ডেস্ক :ওয়াজ-মাহফিলের বক্তাদের বয়ানে বিভিন্ন বিষয় আমলে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (ইফাবা), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারি কয়েকটি দফতরকে প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (৩১ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। খবর বাংলাট্রিবিউনের।

সূত্রে জানা গেছে, এই মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে মাহফিলের ১৫ জন বক্তার নাম উল্লেখ করে জানানো হয়েছে— ‘এই বক্তারা সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মবিদ্বেষ, নারী বিদ্বেষ, জঙ্গিবাদ, গণতন্ত্রবিরোধী ও দেশীয় সংস্কৃতিবিরোধী বয়ান দেন বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা রেডিক্যালাইজড হয়ে উগ্রবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ করে শীত মৌসুমে আলেম-ওলামাদের ইসলামি বক্তব্য শোনানোর জন্য ওয়াজ মাহফিল হয়ে থাকে। এসব আয়োজন ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার হয়।’

মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটিতে ১৫ জন বক্তার নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ (সালাফি), মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান (মুহতামিম, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া, মোহাম্মদপুর), আল্লামা মামুনুল হক (যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস), মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী (প্রিন্সিপাল, বাইতুল রসূল ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ক্যান্টনমেন্ট), মুফতি ফয়জুল করিম (জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন), মুজাফফর বিন বিন মুহসিন, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন (যুগ্ম মহাসচিব, ইসলামী ঐক্যজোট), মতিউর রহমান মাদানী, মাওলানা আমীর হামজা, মাওলানা সিফাত হাসান, দেওয়ানবাগী পীর, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, মোহাম্মদ রাক্বিব ইবনে সিরাজ।

প্রতিবেদনে বক্তাদের বিভিন্ন সময় মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও লিংক রয়েছে। আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসূফের বিষয়ে এতে জানানো হয়— ইউটিউবে ইসলামী বাণী চ্যানেলে প্রচারিত এক বয়ানে তিনি বলেছেন, ‘মূর্তির আস্তানায় যাওয়া হারাম। আমরা মুসলিম, মূর্তি ভাঙতে জন্ম নিয়েছি, মূর্তি গড়তে জন্ম নিইনি। মনে রেখো, আমি সেই জাতি, যে জাতির রক্তের সঙ্গে মিশে আছে মূর্তি ভাঙার নীতি।’ এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করলে আব্দুর রাজ্জাকের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান সম্পর্কে জানানো হয়— এক বয়ানে তিনি জিহাদ সম্পর্কে বলেছেন, ‘জিহাদকে বলি দেওয়ার কারণে আজ মুসলমানদের এই অবস্থা আল্লাহ বলেছে। এই ফেতনা থেকে দূর হওয়ার একমাত্র রাস্তা যেখানে পাবি, সেখানে শয়তানদের কূপা। এদের কোপাতে হবে। আল্লাহ রাসূলকে গালি দিবি, তোরে কোপামু, ইসলামের বিরুদ্ধে আইন করবি, তোর কপালে কোপ আছে। গণতন্ত্র ইসলামে নেই।’

এই বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রবিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমি তো ওয়াজ তেমন করি না। এমন কোনও বক্তব্য আমি দিইনি। কেন এমন বলা হলো বলতে পারবো না।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় তিন নম্বরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নাম রয়েছে। কওমি মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাইতে না দেওয়াসহ চারটি বিষয়ের ওপর তার মন্তব্য যুক্ত রয়েছে প্রতিবেদনে।

জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার হাদিসের শিক্ষক মাওলানা মামুনুল হক জাতীয় সংগীত বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন এভাবে, ‘দেশের একজন নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। তবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে সেটি ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশি মুসলিম জাতিসত্তাবিরোধী একটি সাম্প্রদায়িক কবিতা।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন এই শিক্ষকের কথায়, ‘ঢাকার ওপর কলকাতার দাদাবাবুদের আধিপত্য খর্ব হতে দেখে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতা রচনা করেছিলেন। ইসলামি চেতনার শিক্ষাগার কওমি মাদ্রাসাগুলো কখনোই রবীন্দ্রনাথের চেতনাকে মেনে নিতে পারে না।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে ইসলামী ঐক্যজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইনের নাম রয়েছে। তার দেওয়া ‘মিয়ানমারের বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুসলমানদের ওপর জিহাদ ফরজ’ শীর্ষক বক্তব্য সংযুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া কাদিয়ানী প্রসঙ্গেও তার বয়ানের লিংক দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘আমরা সবসময় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ওয়াজ মাহফিলে কথা বলে এসেছি। দেশে যখন জেএমবির উত্থান ঘটে তখন থেকেই প্রতিবাদ করে বক্তব্য রাখছি। সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে মাদকের বিরুদ্ধেও বক্তব্য রাখি ওয়াজ মাহফিলে। যারা প্রতিবেদন তৈরি করেছে তারা কী আমার এসব বক্তব্য শোনেননি।’

মিয়ানমার প্রসঙ্গে মুফতি সাখাওয়াত হোসাইনের ব্যাখ্যা, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। মিয়ানমার যখন আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল, তখনও প্রতিবাদ করেছি। বলেছি, আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ব্যবস্থা নিক। বিভিন্ন সময়ে বলেছি, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ ও বাংলাদেশ সীমান্তে অস্থিরতা দূর করতে সেনাবাহিনী যদি যুদ্ধ করে আমরাও সহায়তা করবো।’

মুফতি সাখাওয়াত হোসাইনের উল্টো প্রশ্ন, ‘এখানে উগ্রতা কোথায়? আমি নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা আর দেশপ্রেম থেকেই বলেছি।’

প্রতিবেদনে উল্লিখিত বক্তাদের আরও কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের পরিচালক নূর মোহাম্মদ আলম। তিনি বলেন, ‘আমরাইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষকদের সঙ্গে কথা বলছি। এ ব্যাপারে কী করা যায়,বক্তাদের ডাকবো নাকি তাদের চিঠি দেবো;এসব বিষয় সভায় ঠিক হবে। এরপর আমরা পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবো।’

বক্তাবলীতে মানবাধিকার কর্মী রফিককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা সন্ত্রাসীদের

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পুর্ব শত্রুতার জেরে মোঃ রফিকুল ইসলাম নামে মানবাধিকার সংস্থার এক কর্মীকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই মানবাধিকার কর্মীর ডান চোখ ও কপালে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জের ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের পর এদিন বিকেলেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত রফিকুল ইসলাম। তিনি বক্তাবলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত মোসলেম বেপারীর ছেলে।

অভিযোগে লক্ষ্মীনগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত ইদ্রিস বেপারীর ছেলে আসাদ ভান্ডারী, তার ছেলে নাজমুল হোসেন এবং ভাতিজা জহির সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা মাদক ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা আমার সাথে প্রহিতিংশা বশতঃ শত্রুতা পোষন করে আসছিল। আজ বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে ছোট বাচ্চাদের সামান্ন ঝগড়াকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত আসাদ ভান্ডারী,তার ছেলে নাজমুল হোসেন এবং ভাতিজা জহির পূর্ব শত্রুতার জেরে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকসহ ধারালো রাম দা, চাপাতী,বল্লম,চাকু ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাসায় প্রবেশ করে। তখন আসাদ ভান্ডারী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বল্লম দিয়ে ডান-চোখ ও কপালে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্যরাও আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে আমার বসত ঘরে ভাংচুর করে নগদ ৬০ হাজার টাকা লুটে নেয়। আমাকেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের খুনের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ডিউটিরত অফিসার এসআই ফজলুল হক জানান,ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ নেয়া হয়েছে। আহতের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। তার চোখে ও কপালে গুরুতর রক্তাক্ত জখম রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে।

শামীম ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জকে মাদক মুক্ত করবো-শরীফুল হক

ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হক নারায়ণগঞ্জকে মাদক মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন,সাংসদ শামীম ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের প্রতি ইঞ্চি মাটিকে মাদক মুক্ত করবো। তিনি বলেন ইতোমধ্যে সাংসদ শামীম ওসমান মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন। আমরা তার পাশে থেকে নারায়ণগঞ্জকে মাদক ও সন্ত্রাসী মুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।

গত মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লার লালপুর পৌষাপুকুরপাড় সমাজ কল্যান সংর্ঘেও উদ্যোগে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ আজ উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সাংসদ শামীম ওসমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুষ্ঠু সমাজ গড়ে তুলতে কাজ করে যাবো।

মোদাচ্ছের মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লঅ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, আবুল হোসেন শিকদান, মাইনুদ্দিন মুন্সি, জালাল উদ্দিন,শহীদ বেপারী প্রমুখ।

গুরু আনোয়ারের ডাকে সাড়া দিলেন শিষ্য শামীম ওসমান

শিষ্য’র ডাকে গুরু আনোয়ার হোসেন সাড়া না দিলেও গুরুর ডাকে সাড়া দিলেন শিষ্য সাংসদ শামীম ওসমান।

বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ আয়োজিত মহান স্বধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা মুক্তযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এড. খোকন সাহা, এড. আনিসুর রহমান দিপু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ শহরের ২ নং রেল গেইট এলাকায় সমাবেশের আয়োজন করেন সাংসদ শামীম ওসমান। ওই সমাবেশে জেলা ও মহানগরের অধিকাংশ নেতা উপস্থিত থাকলে উপস্থিত হয়নি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

স্বাধীনতা দিবস কাবাডিতে কাশিপুরকে পরাজিত করে বক্তাবলী চ্যাম্পিয়ন

কাবাডি খেলায় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাজ্বী শওকত আলীর কাছে হেরে গেলেন কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সাইফউল্লাহ বাদল।

বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন আয়োজিত ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় এবং ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় স্বাধীনতা দিবস কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকাল ৪ টায় কাশিপুর হাটখোলা মাঠে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় ২৫-১৮ পয়েন্টে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরভ অর্জন করে।
ব্যপক আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কাবাডি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্যে চ্যাম্পিয়ন দলের চেয়ারম্যান হাজ্বী শওকত আলী বলেন, আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা বাদল ভাইকে পরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এটা বড় কথা নয়। খেলার মাধ্যমে ২ টি ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে।দর্শকরা আনন্দ পেয়েছে।আগের খেলায় বাদল ভাইয়ের কাছে হেরে পিছিয়ে ছিলাম।আজ জিতে সমান হলাম।

সাইফ উল্লাহ বাদল বলেন,বঙ্গবন্ধুর নৌকা দিয়ে পার হয়ে শওকত ভাই আমার এখানে খেলতে এসেছে।আমি খুশি হয়েছি।উভয় দল ভাল খেলেছে হার জিত আছে।তারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ মন্জুর কাদের বলেন, কলম ধরো জীবন গড়,মাদক ছেড়ে খেলা ধরো তবেই সমাজ হতে অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অফিসার ইনচার্জ তদন্ত হাসানুজ্জামান,কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোমেন শিকদার,গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুর হোসেন সওদাগর,জেলা ক্রাড়া সংস্থার আরিফ আরিফ,প্রদীপ কুমার দাস,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আতাউর রহমান প্রধান,জাহাঙ্গীর হোসেন,মেম্বার আকিলউদ্দিন,রাসেল চৌধুরী,মনির হোসেন,আমজাদ হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

জৌনপুরীর পীর ড.এনায়েতউল্লাহ আব্বাসীর বড় ভাইয়ের জামিন লাভ

নাশকতা মামলায় জৌনপুরীর পীর ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বড় ভাই সৈয়দ মো এমদাদুল্লাহ আব্বাসী জামিন লাভ করেছেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার হতে মুক্তি পেয়ে বাসার উদ্যোশ্যে রওয়ানা দেন।এলাকায় ফিরলে এলাকাবাসী তাকে সাদরে বরন করে নেন।সৈয়দ মোঃ এমদাদুল্লাহ আব্বাসী বলেন,আমি জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত নই।এর আগে সিনিয়র আইনজীবী এড,মফিজুল ইসলামের দক্ষ জুনিয়র এড হেলালউদ্দিন পাঠান সৈয়দ মোঃ এমদাদুল্লাহ আব্বাসীর ওকালত নামায় স্বাক্ষর করেন।

উল্লেখ্য মাস খানেক আগে বরফকল এলাকা হতে ডিবি পুলিশ নাশকতার পরিকল্পনা করাকালীন অভিযান চালিয়ে জামায়াতের ১০ জন নেতাকর্মী আটক করে। পরে ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে সৈয়দ মোঃ এমদাদুল্লাহ আব্বাসী কে প্রধান আসামী করে সদর মডেল থানায় নাশকতার অভিযোগে মামলা দায়ের করে।

এক মাস কারাভোগের পর জেলা কারাগার হতে হাই কোর্টের নির্দেশে জামিন পান।বড় ভাইকে আনতে জৌনপুরী পীর ড. সৈয়দ মোঃ এনায়েতউল্লাহ আব্বাসী সহ তার অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তাবলীর কানাইনগর স:প্রা: বিদ্যালয়ের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত

বক্তাবলীর কানাইনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী ২৩ মার্চ (শনিবার)বিকালে কানাইনগর ছোবহানীয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো.খোরশেদ আলম মাস্টারের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সফল চেয়াম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো.শওকত আলী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,বক্তাবলীর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আফাজউদ্দিন ভূইয়া,নারায়ণগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বাসনা রানী রায়,বক্তাবলী ইউপি সদস্য মো.রাশেল চৌধুরী,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মরিয়ম বেগম।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান,গিয়াসউদ্দিন,হাজ্বী আব্দুর মেতালেব,আক্তার হোসেন ও জামাল হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান নারায়ণগঞ্জবাসীর

নিউজ প্রতিদিন: জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেছেন,নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা:সেলিনা হায়াত আইভীর বিরুদ্ধে এই প্রথম নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ একত্রিত হয়েছে। ডা:আইভী বিভিন্ন সময় জামাত-বিএনপির লোকজনদের নারায়ণগঞ্জে এনে ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ন বক্তব্য দেয়াচ্ছে। এর ফলে নারায়ণগঞ্জের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। তিনি এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। আমরা এ জন্যই একত্রিত হয়েছি। আমরা এর প্রতিকার চাই।

স্মারকলিপির বরাত দিয়ে হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন,প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদে বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত (মরণোত্তর) প্রয়াত একেএম সামসুজ্জোহা ও ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন এবং ৭৫’র পরবর্তী সময়ের ভূমিকা নিয়ে যেভাবে বর্ণনা দিয়েছিলেন, তাতে নারায়ণগঞ্জবাসী গর্বিত ও সম্মানিত হয়েছে।

কিন্তু আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, নারায়ণগঞ্জে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলেই একটি জনবিচ্ছিন্ন শ্রেনি এই পরিবারটিকে টার্গেট করে মাঠে নামে এবং বিভিন্ন আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করা শুরু করে। সংবিধানের বাহক সেজে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরের সাথে আঁতাত করা ক্ষমতার জন্য লালায়িত কিছু বড় বড় ডক্টর সাহেবদের প্রেসক্রিপশনে ঘন ঘন রাজধানী থেকে তথাকিথত কিছু সুশীলরা নারায়ণগঞ্জে আসছেন। পরিতাপ হয়,ক্ষোভ হয় যখন দেখি যার আহবান ও সমর্থনে এসব সুশীলরা আসেন,তিনি হলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সেলিনা হায়াত আইভী।

জুয়েল আরো বলেন, সরকারকে সরাসরি প্রশ্নবিদ্ধ করে সাগর-রুনী ও তনু হত্যাকান্ড নিয়ে মেয়র আইভীর বক্তব্যে আমাদেরও জিজ্ঞাসা, আসলে তিনি সাগর-রুনী ও তনু হত্যাকান্ড নিয়ে এমন কি জানেন? পাশাপাশি ওসমান পরিবারকে খুনী পরিবার আখ্যা দেয়ার নেপথ্যে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াত এবং সেই ক্ষমতার জন্য লালায়িত তথাকথিত ডক্টর সাহেবদের প্রেসকিপশন রয়েছে তা অনেকটাই স্পষ্ট। একই সাথে ঐতিহ্যবাহী এই পরিবারকে আঘাত করে স্বাধীনতার চেতনায় আঘাত করা হচ্ছে,আপনার দলের ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল,মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক খোকন সাহা,জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এড.মহসিন মিয়া,মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম,সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল,
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শওকত আলী,সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড.শাসুল ইসলাম ভূইঁয়া,শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদা হোসেন সাজনু,নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি খালেদ হায়দান খান কাজল,জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রফেসর শিরিন আক্তার,জেলা ছাত্রলগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত আলম সানি,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান,মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।

খাদ্য ভেজাল চলমান থাকলে আগামী প্রজন্ম রক্ষা পাবে না-আবদুর রহিম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খাদ্যে ফরামালিন ও কার্বাইড সহ যাবতীয় রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ মার্চ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় আদালতপাড়ার সামনে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন বাংলাদেশের আহবায়ক ফরিদ আহম্মেদ বাঁধন বলেন, বর্তমানে এমন কোন খাদ্য নেই যেখানে বিষ মেশানো হয় না। এসকল বিষ মেশানো খাবার খেয়ে মানুষ দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু চাই। অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করতে চাই না। খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে ভ্রাম্যমান আদালতকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে।

ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বলেন, আমরা আজ সমস্ত মানুষের কল্যাণে মানববন্ধনে এসে দাঁড়িয়েছি। খাদ্যে ভেজালের কারণে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নানা রোগের কারণে আমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় ভুগছি। আমাদেরকে এই ব্যাপারে সচেতন না হলে এর কুফল ভোগ করতে হবে। এরকম খাদ্য ভেজাল চলমান থাকলে আমাদের আগামী প্রজন্ম রক্ষা পাবে না।

ফতুল্লা মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি আনিসুজ্জামান অনু বলেন, খাদ্য ভেজাল প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টের পরিধি বাড়াতে হবে। একই সাথে খাদ্য ভেজাল প্রতিরোধের ব্যপারে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। যারা খাদ্যে ফরমালিন ও কার্বাইড সহ যাবতীয় রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেন তারা নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন। একদিন আপনার পরিবারের সদস্যরাও অসুস্থ হয়ে পড়বে। সুতরাং নিজের পরিবারকে বাঁচান দেশের মানুষকে বাঁচান।

বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক কামাল আহম্মেদ, দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার সহ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক কল্যান শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম সরকার, কবি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ডালিম, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার নারায়াণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শাহাদাৎ হোসেন আকাশ, সময় নারায়ণগঞ্জ ডট কম এর প্রকাশক সাংবাদিক আরিফুর রহমান আরিফ, নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আরজু ভূইয়া, আনন্দ টেলিভিশনের সাংবাদিক সৈয়দ লিংকন, অবলম্বন সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এমডি অলিউল্লাহ খোকন,সাংবাদিক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম, সাংবাদিক নুসরাত নুপুর, বাংলাদেশ বেকারী মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, ফতুল্লা আঞ্চলিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন কবি সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান তোতা।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন এর সদস্য নাহিদ আহম্মেদ, মুসলিম নগর অনলাইন এর পরিচালক খলিলুর রহমান টিটু, আরিফ হোসেন, পল্লি চিকিৎসক নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক স্বপন, সাংবাদিক এম এ সুমন প্রমুখ

রূপগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে গুলি

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোয়ায়েল আহাম্মেদ আলমাছের বাড়িতে গুলি করে তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি তার পরিবারকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মাছিমপুর এলাকায় এ ঘঠনা ঘটায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আলমাছ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমাছ জানান, মুড়াপাড়া ইউনিয়নের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী তাওলাদ ওরফে ফেন্সি তাওলাদ, মোহাম্মদ আলী ওরফে পিস্তল মোহাম্দ আলী, রিয়াজ ওরফে বিচি রিয়াজ, লেদা ফারুক, রশিদ, হানিফ, আল-আমিন,বাবু, লতিফ, গোলজার এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তারা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হেরোইন ও মদের ব্যবসা করে আসছে। মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এলাকার গন্যমান্য লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়। মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় গত সন্ত্রাসীরা অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে গুলি ছোড়ে। সন্ত্রাসীরা আলমাছের বাড়িতে পিস্তল ও শর্টগানের কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এসময় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোয়ায়েল আহাম্মেদ আলমাছ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা রবিবার সন্ধ্যায় ফের চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার প্রস্তুতি নেয়। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আলমাছসহ তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এ ব্যাপারে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোয়ায়েল আহাম্মেদ আলমাছ বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী মুড়াপাড়া ইউনিয়নকে আমি মাদক মুক্ত করতে চাই। এলাকায় কিছু সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের কারনে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা। তাওলাদ ওরফে ফেন্সি তাওলাদ, মোহাম্মদ আলী ওরফে পিস্তল মোহাম্দ আলী, রিয়াজ ওরফে বিচি রিয়াজ, লেদা ফারুক, রশিদ, হানিফ, আল-আমিন,বাবু, লতিফ, গোলজারকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা যত শক্তিশালী হোকনা কেন কেউ আইনের হাত থেকে বাঁচতে পারবেনা। চেয়ারম্যানের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।