২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 231

পাক-ভারত সীমান্তে গুলাগুলি, ৫ ভারতীয় সৈন্য নিহত

চলমান উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা লাইন অব কন্ট্রোলে ফের ভারত ও পাকিস্তানের সৈন্যদের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে। এতে ৫ ভারতীয় সৈন্য এবং পাকিস্তানের দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছে। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও ডন অনলাইনের।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃসংযোগ পরিদফরের (আইএসপিআর) দাবি, ভারতীয় বাহিনীর উস্কানিমূলক গুলির জবাব দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাতের ওই গুলি বিনিময়ে ৫ ভারতীয় সৈন্য নিহত এবং সীমান্তে তাদের চারটি সামরিক পোস্ট ধ্বংস হয়ে গেছে। ভিমবার সেক্টরে এ গুলি বিনিময়ের সত্যতা সেনাসূত্রও নিশ্চিত করেছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের হারপাল এবং ছুপরার সেক্টরে গুলিবর্ষণ করলে দুই পাকিস্তানি নাগরিক নিহত ও অন্তত ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছে।এ নিয়ে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে পাকিস্তানের ৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ২১ জন আহতের ঘটনা ঘটল।

এদিকে, সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লংঘন করার ঘটনায় পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে।পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে কেন সীমান্তে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙঘন হচ্ছে, তা তদন্ত এবং সেনাবাহিনীকে যুদ্ধবিরতির প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর উরিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৯ ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। এরপর ভারত পাকিস্তানকে এ হামলার জন্য দায়ী করে দেশটিতে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ পরিচালনার দাবি করে।ভারতের এ দাবি পাকিস্তান নাকচ করে আসছে। এ নিয়ে দু’দেশের সীমান্তে প্রায়ই সৈন্যরা গুলি বিনিময় করছে।

মুন্সীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী একটি মাজার সীলগালা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌর এলাকায় প্রায় দুই শত বছর আগে গড়ে ওঠা ধর্মপ্রচারক মিরসাহেব এর মাজারটি সীলগালা করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান।

বুধবার সকাল ১০টার সময় বর্তমানে দায়িত্বে থাকা মোতয়াল্লী হাজি মোঃ সফি উদ্দিন আহাম্মেদ এর কাছ থেকে চাবি নিয়ে মাজারটির মূল ফটকে তালা লাগিয়ে সীলগালা করার বিষয়টি স্বীকার করে ইউ এন ও বলেন, এখানে দুটি পক্ষের সংঘাতের সম্ভবনার কথা বিবেচনা করে এই কাজটি করেছেন তিনি।

এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মাজার গেট এলাকায় ভক্ত অনুরাগীরা মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন। মাজারের মোতয়াল্লী হাজ্বি সফি উদ্দিনের দাবি কমিটির ঝামেলার বিষয় উচ্চ আদালতে বিচারাধিন। এই ব্যাপারে জানার পরে ইউ এন ও মাজার সীলগালা করে দিয়ে আইন অবমাননা করেছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ বিএনপির কাজ- ওবায়দুল কাদের

ঘরে বসে প্রেস ব্রিফিংয়ের মধ্যে বিএনপির কাজ সীমাবদ্ধ। জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার সকালে বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গণতন্ত্র বা কোনো অর্জন নেই’- বিএনপির এমন অভিযোগের প্রতি-উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে এটা আগে প্রমাণ করুক। ‘নিজেদের দলে কোনো গণতন্ত্র নেই, তারা আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল, বৃহৎ একটি দল।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে জনগণের চাওয়াই দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এক্ষেত্রে বিএনপির বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ বিএনপি হতাশাগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত একটি দল।

এছাড়া আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সম্পূর্ণ গণতন্ত্র মেনে নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে বলেন তিনি।

দেওভোগে ১২’শ ইয়াবাসহ কথিত সাংবাদিকসহ তিনজন গ্রেপ্তার

শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকা থেকে গতকাল মঙ্গলবার একজন কার্ডধারী কথিত সাংবাদিক সহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬শ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট। এছাড়া ওই সাংবাদিকের কাছ থেকে একটি মানবাধিকার সংস্থার কার্ডও পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায় তাদেও স্বীকারোক্তি মতে আরো ৬’শ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এএসআই সাখাওয়াত হোসেন জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন দেওভোগ পাক্কা রোডস্থ জুয়েল এর ভাড়া নেওয়া বাসার দোতলায় মাদক (ইয়াবা) বিক্রয়ের সময় হাতে নাতে ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো মোঃ আলমগীর কবির (৪০), মোঃ জুয়েল (৩৮) ও মোঃ সেন্টু (৪০)। এ তিনজনের মধ্যে আলমগীর কবির নিজেকে স্থানীয় পত্রিকা ‘দৈনিক রুদ্র বার্তার’ রিপোর্টার এবং একটি মানবাধিকার সংস্থা ‘সিপিআরএস (কনজুমার অ্যান্ড প্যাসেঞ্জার রাইট প্রটেক্ট সোসইটি)’ এর সদস্য মর্মে উল্লেখ করেন এবং আইডি কার্ড উপস্থাপন করেন।

হান্নান শাহ’র রাজনৈতিক জীবন জুড়েই ছিল শহীদ জিয়ার আদর্শ

বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য দুঃসময়ের কান্ডারী ব্রিঃ জেনারেল (অবঃ) আ.স.ম হান্নান শাহ স্মরনে বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মাঠে সোমবার বাদ আসর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পিয়ার হোসেন পিন্টুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আকবর আলী সুমন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাজী মোঃ ওমর আলী।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এম আকবর আলী,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আল আমীন সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর আলী,সহ-সভাপতি মোহাম্মাদ মাহমুদ মেম্বার,ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ মন্টু মেম্বার, ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ শাহ জাহান, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতাগোলাম মোস্তফা অরুন ও বক্তাবলী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড  বিএনপি’র সভাপতি মোঃ মোতালেব সর্দার।

প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে আকবর আলী সুমন বলেন, প্রয়াত হান্নান শাহের রাজনৈতিক বর্নাঢ্য জীবন জুড়েই ছিল শহীদ জিয়ার আদর্শ। তিনি ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের বলেন, আসুন আমরা একত্রিত হয়ে বিএনপিকে সুসংগঠিত করে দেশের সাধারণ মানুষের স¦ার্থে সুন্দরভাবে রাজনীতি করি।

আরো উপস্থিত ছিলেন,আঃ মান্নান, বারেক সর্দার, মান্নান মুন্সী,মোঃ ডালিম, আঃ হাই,তৈয়ব আলী, হাফেজ ঝন্টু,ছাত্রদল নেতা মাসুদ খাঁন, পিয়ার আলী,হোসেন আলী, রিমন, যুবদল নেতা আমান, মনির।

অনুষ্ঠানের প্রধাণ বক্তা বলেন,আমাদের রাজনৈতিক শিক্ষক ছিলেন ব্রিঃ জেনারেল (অবঃ) হান্নান শাহ। তার কাছ থেকে আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শেও রাজনীতি শিখেছি। তিনি বেচে থাকলে আমরা আরও  শিখতাম। কিন্তু দুঃভাগ্য যে, তিনি সবাইকে কাদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার আদর্শে অনুপ্রেরিত হয়ে আগামীতে রাজনীতির মাঠকে আমাদের আরোবেগবান করে তুলতে হবে।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা নেতা মোঃ কামাল হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহম্মেদ রাজু,মোঃ মাহমুদল্লাহসহ ছাত্রদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ক্ষমতায় থেকেও আ’লীগ নির্যাতিত

ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা নির্যাতিত ও নিপিরিত বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহ-নিজাম।

নারায়ণগঞ্জে আসন্ন ২৯ তারিখের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক কর্মী সভায় ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ফতুল্লা থানা যুবলীগের কার্য্যালয়ে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শাহ-নিজাম আরো বলেন, ‌‌শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্ম এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে। কিন্তু এরপরও আমরা নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা অবমূল্যায়ীত। মূলত নারায়ণগঞ্জে কবরীদের মত মানুষ আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন বলেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কবরী আওয়ামীলীগের মধ্যেই একটি ‘সাব আওয়ামীলীগ’ সৃষ্টি করেছে। এই জন্যে আমি মনে করি যে, সাংগঠনিক ভাবে আমরা পরিপূর্ন শক্তিশালী নই। ফলে এখনও আমরা পুলিশের কাছে হয়রানীর শিকার হচ্ছি। তবে আমাদের জন্যে সু-দিন অপেক্ষা করছে। কেননা আমাদের নেতৃত্বে রয়েছে আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান। আর এই সু’দিনের প্রাপ্তী অর্জন করতে হলে অবশ্যই শামীম ওসমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এর জন্যে আগামী ২৯ তারিখের জনসভাটি সফল করার জন্যে সকল নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি কামনা করছি।

সভাপতির বক্তব্যে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী কর্মীসভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জঙ্গিরা জনসভায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই আসন্ন ২৯ তারিখের জনসভা সফল করা আমাদের জন্যে চ্যালেঞ্জ। এই জন্যে বরাবরের মতই বিশাল মিছিলের মাধ্যমে সভায় যোগদান করে আমরা জনসভা সফল করে সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে চাই। আমরা প্রমান করতে চাই যে, জননেতা আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের নেতৃত্বে ফতুল্লা থানা যুবলীগ অতিতে যেমন সক্রিয় ছিলো এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও সক্রিয় থাকবে। তাই আসন্ন ২৯ তারিখের জনসভায় ফতুল্লা থানা যুবলীগের মিছিলটি একটি স্মরনীয় মিছিলে পরিনত করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করছি।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর, তরুন, ফয়সাল, আল-আমিন, পাপন, পাপ্পু সহ ফতুল্লা থানার দুর দুরান্ত থেকে সভায় যোগ দেয়া প্রায় শতাধীক নেতা-কর্মী।

 

ধর্মীয় অভিযোগটি পলিটিক্যাল গেইম: শ্যামল কান্তি

ধর্ম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগটি একটি পলিটিক্যাল গেইম বলে গণমাধ্যামকে জানিয়েছেন বন্দর পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য প্রদান করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।

শ্যামল কান্তি বলেন, ‘আমার সাথে যে অবিচার করা হয়েছে আমি তার বিচার চেয়েছি। সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছি। আমি ধর্ম নিয়ে কোন কটুক্তি করি নাই। এটি ছিল পলিটিক্যাল গেইম।’

ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির আরো তিনজন সদস্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ও গোলাম নবী এবং নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মঙ্গলবার লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ছাড়াও বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবিব, সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মাসুদ, বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম, বন্দর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ রশীদ, জেলা জাপা আহবায়ক আবু জাহের, বন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম, পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মিজু, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান, স্থানীয় এলাকাবাসী আসাদ মিয়া, আবুল হাশেম, আবু বক্কর, জাহিদ খানের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করা হয়। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান সবার সামনে ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করান। এর এক পর্যায়ে শ্যামল কান্তি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এরপর এই ঘটনায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে ওই রাতেই শ্যামল কান্তিকে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরদিন শহরের খানপুরে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা. শফিউল আজমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২০ মে পুলিশের প্রহরায় শ্যামল কান্তি ভক্তকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা শেষে ফের স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন শ্যামল কান্তি।

সময় নারায়নগঞ্জ.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে হান্নান শাহ স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।

বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য দুঃসময়ের কান্ডারী ব্রিঃ জেনারেল (অবঃ) আ.স.ম হান্নান শাহ স্মরনে বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মাঠে সোমবার বাদ আসর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পিয়ারহোসেন পিন্টুর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আকবর আলী সুমন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হাজী মোঃ ওমর আলী।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এম আকবর আলী,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আল আমীন সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর আলী,সহ-সভাপতি মোহাম্মাদ মাহমুদ মেম্বার,ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ মন্টু মেম্বার, ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ শাহ জাহান, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতাগোলাম মোস্তফা অরুন ও বক্তাবলী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড  বিএনপি’র সভাপতি মোঃ মোতালেব সর্দার।

আরো উপস্থিত ছিলেন,আঃ মান্নান, বারেক সর্দার, মান্নান মুন্সী,মোঃ ডালিম, আঃ হাই,তৈয়ব আলী, হাফেজ ঝন্টু,ছাত্রদল নেতা মাসুদ খাঁন, পিয়ার আলী,হোসেন আলী, রিমন, যুবদল নেতা আমান, মনির।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক পাকনা রনির প্রতি ফুঁসে উঠেছে নেতাকমীর্রা

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক কুটকৌশলকারী মশিউর রহমান রনির প্রতি ফুঁসে উঠেছে জেলা ছাত্রদলের তৃনমূল নেতৃবৃন্দ।  ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দরা বলেন,আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য পাকনা রনি সুকৌশলে ছাত্রদলের রাজনীতিতে অবস্থান করে নিয়েছে। যদি আওয়ামী পরিবারের সন্তানকে জেলা ছাত্রদলের গুরুত্বপূণ দায়িত্বে দেওয়া হয় তাহলে ছাত্রদলের তৃনমূলের সকল স্তরের নেতাকমীর্দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হবে। এমনকি ওই কমিটি নিয়ে জেলা ব্যাপি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তারা আরো বলেন, রনির বাবা মোস্তফা কন্ট্রাক্টার যে কিনা ফতুল্লা থানা আওয়ামীলগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এনায়েত নগর ইউপি,র চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের ঘনিষ্ট সহচর। বাবার অবস্থান টিকিয়ে রাখার জন্য আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে রনি গত ইউপি নিবার্চনে বিএনপি,র প্রার্থীর  পক্ষে প্রচার প্রচারনায় অংশ গ্রহণ করেনি। আপন বড় ভাই রুবেল জিয়া সাংস্কৃতিক দলের সাবেক নেতা ছিল বতর্মানে প্রজন্মলীগের দায়িত্ব পালন করছে। রনির আপন মামা মতিউর রহমান প্রধাণ এনায়েত নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও মামাত ভাই রিয়াদ নারায়ণগঞ্জ সরকারী তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অনিবার্চিত ছাত্রলীগের ভিপি ও মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক এবং শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের ঘনিষ্ট সহচর। একমাত্র আপন বোন জামাই মৃত শেখ মোখলেসুর রহমান মোখলেস এনায়েত নগর ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সৈনিক লীগের সভাপতি ছিলেন। সে জুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এন্টি আওয়ামীলীগের হাতে খুন হয়।  রনি সকল নেতাদের  বলেন ওর নাকি ২০/২২ টি রাজনৈতিক মামলা আছে যা সম্পুন মিথ্যা ও বানোয়াট। আপনারা খোজ নিলে জানতে পারবেন ওর নামে দু’টি মামলা আছে যা কিনা টাকায় কিনায় মামলা। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরাম উল হাসান মিন্টু ভাইকে নিয়ে নারায়নগঞ্জের স্থানীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা গাড়ী উৎকোষ নেয়ার কেলেংকারীর সংবাদ প্রচারের সাথে রনি সরাসরি জড়িত ছিল। এছাড়াও জেলা ছাত্রদল নেতাদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টির মূল হোতা এই রনি।

এই কারনে সিনিয়র নেতাদের সাথে ওর সকল সম্পক নষ্ট হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের গুরুত্বপূন পদে অবস্থান করার জন্য এখন বিভিন্ন নেতাদের ধারে ধারে গিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। দলের এই ক্লান্তিকালে আওয়ামী পরিবারের সন্তান রনিকে যদি জেলা ছাত্রদলের গুরুত্বপূণ দায়িত্বে দেওয়া হয় তাহলে ছাত্রদলের তৃনমূলের সকল স্তরের নেতাকমীর্দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হবে। এমনকি ওই কমিটি নিয়ে জেলা ব্যাপি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করে ছাত্রদলের তৃনমূল নেতা কমীর্রা।

 

 

 

 

 

 

পরিবারতন্ত্রে ভরসা রেখেই উত্তরাধিকার খুঁজবেন শেখ হাসিনা ?

পরিবারতন্ত্রে ভরসা রাখবেন কি শেখ হাসিনা ? সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তাঁর অবস্থান পাকা। তবে আওয়ামি লিগের ভবিষ্যৎ মুখ কে ? এই প্রশ্ন নিয়েই শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের ২০তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন।

শনিবার রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়াত মুজিবুর রহমানের কন্যা হিসেবে তাঁর নামটি আন্তর্জাতিক মহলে আলোচিত। বিশেষ করে ইসলামিক দুনিয়ার ক্ষমতাবান নেত্রী হিসেবেও তিনি পরিচিত।

দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করে, এই মুহূর্তে হাসিনার বিকল্প বাংলাদেশে নেই। তাই তাকেই হাল ধরে রাখতে হবে। দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। সেই নৌকার হাল ধরতে হাসিনার উপরেই আস্থা রেখেছে দল। এরই মাঝে প্রশ্ন দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদে তিনি পরিবারের কোনো সদস্যের নাম মঞ্জুর করবেন কিনা।

এই পদের দাবিদার মুজিব পরিবারের সদস্যরাই। এমনই মনে করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব। বিশেষ আলোচ্য হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথা। উঠছে হাসিনা কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নাম। জয় সরাসরি রাজনীতিতে জড়ালেও পুতুল কতটা যোগ্য তা নিয়েও চলছে আলোচনা। কলকাতা টুয়েন্টিফোর থেকে নেয়া।