নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আনোয়ার হোসেন খাঁন (৩৯) নামে এক ব্যবসায়ির হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে পাভেল (২৮) নামের এক সন্ত্রাসী। গতকাল রোববার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের মনোহরদী ঋষেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঋষেরচর গ্রামের গোÑখাদ্যের ব্যবসায়ি আনোয়ার হোসেন খাঁন সকাল ১০টার দিকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে ব্যাবসার কাজে ঢাকা যাওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছিলেন। এমন সময় পুর্ব শত্রæতার জের ধরে একই গ্রামের মৃত হেকিম ভূঁইয়ার ছেলে পাভেল ৩/৪ জন সহযেগি নিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার বাড়ির উঠানে কোপায়। এবং তার সঙ্গে থাকা নগদ দেড় আখ টাকা নিয়ে যায়। আনোয়ারের ডান পায়ের এবং বাম হাতের একাধিক রগ কেটে যায় । তাকে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে আনোয়ারের ভাই সাফায়েত খান বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা আটকের ঘটনায় ২জনের পনের বছরের সাজা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সৌদিয়া ভিলা থেকে ২০১৫ সালের এপ্রিলে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা আটক করেছিলো র্যাব-১১। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক আসামীকে দশ বছর ও অন্যজনকে পাচ বছরের সাজা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালত। নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ওয়াজেদ আলি খোকন জানান, র্যাব-১১ এর ডিএডি মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন এ মামলার বাদি। ২০১৫ সালের এপ্রিলে সৌদিয়া ভিলা থেকে সাতচল্লিশ হাজার পিস ইয়াবা সহ আসামী দেলোয়ার হোসেনকে ও আরো দুই হাজার ২৪২ পিস ইয়াবাসহ শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে মোট ৯ জন সাক্ষ প্রদান করেন। সাক্ষ প্রমানের ভিত্তিতে আদালত দেলোয়ার হোসেনকে দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা করে। জরিমানা না দিলে তাকে আরো এক বছর জেলে থাকতে হবে। অন্যদিকে শফিকুল ইসলামকে পাচ বছরের কারাবাস ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে তাকে আরো এক বছর কারাগাওে থাকতে হবে। রায় ঘোষনার সময় দু’জনেই আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তাদের এখান থেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।#
নারায়ণগঞ্জের মিতু ক্লিনিকে ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু
সিজারিয়ান অপারেশন না করায় এক রোগীর বাচ্চা প্রসবের সময় সামনে যাননি ডাক্তার বা নার্স। ফলে রোগীর বাচ্চা স্বাভাবিকভাবে ভূমিষ্ঠ হলেও সে বিছানা থেকে পরে মারা যায়। রোববার সকাল ছয়টায় নগরীর প্রেসিডেন্ট রোড এলাকায় অবস্থিত মিতু ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। রোববার সকালে মিতু ক্লিনিকে কথা হয় এখানে চিকিৎসা নেয়া রোগী রিনা বেগম ও তার স্বামী মোহাম্মদ রফিক এর সাথে। তারা জানান, নগরীর বাবুরাইল বৌবাজার এলাকার আজিজ মিয়ার বাড়িতে তারা ভাড়া থাকেন। রিনা বেগম গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে বাড়ির অদূরের সূর্যের হাসি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছিলো। এ ক্লিনিকের ডাক্তার তন্নি তার চিকিৎসা করছিলো। রোববার সকালে তার প্রসব বেদনা উঠলে তার স্বামী তাকে এখানে নিয়ে আসে। ক্লিনিকের ৩০২ নাম্বার কক্ষে ভর্তী করা হয়। ডাক্তার তন্নী ও ক্লিনিকের ম্যানেজার তাদেও সিজারিয়ান করতে চাপ দেয়। কিন্তু তারা রাজি হননি। এ কারনে তারা চিকিৎসা না করে দো’তলায় অফিস কক্ষে গিয়ে বসে থাকে। রিনা বেগমের স্বামী বারবার বলার পরেও ডাক্তার, নার্স শেফালিসহ কেউ সেখানে যাচ্ছিলেন না। এদিকে রিনা বেগমের স্বাভাবিক প্রসব হয়ে যায়। কিন্তু বাচচাকে দেখার জন্য সেখানে কেউ না থাকায় নবজাতক খাট থেকে পড়ে মারা যায়। এ প্রতিবেদক যখন তাদের সাথে কথা বলছিলেন তখন তাদের বারবার বাধা দিচ্ছিলেন স্থানীয় মাস্তান ও ক্লিনিকের ম্যানেজার। এ ব্যাপারে কথা বলতে তারা ক্লিনিকের মালিক ও ডাঃ তন্নির ফোন নাম্বার দেননি। ডাঃ মনিরুজ্জামান এ ক্লিনিকের মালিক বলে এলাকাবাসি জানান। ক্লিনিকের অন্যতম পরিচালক সিরাজুল ইসলামকে পরে ফোন করা হলে তিনি জানান, এটি তুচ্ছ বিষয়। তাদের সাথে আমাদের মিটমাট হয়ে গেছে। তাদের বলা হয়েছিলো সিজারিয়ান করতে। সিজার করলে এমন ঘটনা ঘটতো না। তিনি দাবী করেন, সিজার না করায় বাচ্চাটি পেটে মারা গেছে। নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এস আই বাশারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পায়। কিন্তু যাদের বাচ্চা তারা এ ব্যাপারে কোন মামলা করতে রাজি হননি।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু হত্যা
খুলনার পর এবার নারায়ণগঞ্জে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছে সাগর বর্মণ নামের দশ বছরের এক শিশুকে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার যাত্রামুড়া এলাকায় অবস্থিত জোবেদা স্পিনিং মিলে রোববার দুপুর দুইটায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তাই শিশুটিকে কারা কেন এমন নৃশংসভাবে হত্যা করলো তা জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাচজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধায় জোবেদা সাইজিং, স্পিনিং এন্ড টেক্সটাইল মিলের বসে ছিলেন লাবণ্য বর্মণ। নিহত সাগর বর্মণ তার ছেলে। তখনো তিনি জানেন না তার ছেলে আর নেই। কারো সাথে কথা বলছিলেন না তিনি। কোন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন না। শুধু চোখ দিয়ে পানি পড়ছিলো তার। ঘটনার পরে মিলে ঢোকার ব্যাপারে বেশ কড়াকড়ি করে কতৃপক্ষ। সুতা সেকশনের কাজ বন্ধ রাখলেও মিলের অন্য সব সেকশনের কাজ চলছিলো। তবে মিলের সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা লোকজন জানান, মিলে কোন কর্মকর্তা নেই। কেউ কোন কথা বলবে না। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকজন নিজেদের নামটিও বলেননি। মিলে কথা বলার মতো কোন কর্মকর্তা, ঘটনার কোন প্রত্যক্ষদর্শী বা শ্রমিকদের কাউকেই পাওয়া যাচ্ছিলো না। এলাকার নান্নু মিয়া জানান, দুপুর একটার দিকে তিনি মিলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় মিলের সামনে খুব হৈ চৈ শুনতে পান। একটি শিশুকে মিল থেকে বের করে কাঁচপুরের শুভেচ্ছা ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পেট অস্বাভাবিক ফোলা ছিলো। ছেলেটির বাবা রতন বর্মনকে তিনি চেনেন। সে-ও এই মিলে কাজ করে। নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার রাজিবপুর গ্রামে রতন বর্মণের বাড়ি। তার তিন ছেলে। সবার ছোট সাগর বর্মণ। তারা মিলের পাশে জিগাবো এলাকায় ভাড়া থাকে। শিশুটির বাবা সে সময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ছিলেন বলে তিনি জানান। শিশুটির বাবা রতন বর্মণ মোবাইল ফোনে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, সাগর বর্মণকে প্রথমে কাঁচপুর শুভেচ্ছা ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে বিকেল সাড়ে তিনটায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। তিনি জানান, দুপুরে আমি খবর পাই আমার ছেলের পায়ুপথে বাতাস ঢোকানো হচ্ছে। এ খবর পেয়ে দৌড়ে আমি সেখানে গিয়ে অন্যদের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমার ছেলে এই মিলের সুতা সেকশনে কাজ করতো। রাত আটটায় মিলের পালা বদলের সময় মনে হলো মিলের শ্রমিকদের সিংহভাগ শিশু শ্রমিক। এ ব্যাপারে জোবেদা গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন মোজাম্মেল হক ভুঁইয়ার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার প্রতিষ্ঠানে এমন একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে বলে আমি শুনেছি। তবে কারা কেন করলো এর বিস্তারিত জানিনা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাচজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি কে বা কারা কেন ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তার বাবার সাথেও আমরা কথা বলছি। মিলের কোন শ্রমিক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা তথ্য পেয়েছি।
শামীম ওসমানের হুকারের মুখে নাসিক নির্বাচনে কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী?
বিশেষ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে এ কে এম শামীম ওসমান আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করায় মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী । এই নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে সাধারণ নেতা কর্মীদের মাঝে। যদিও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। তবে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড এ নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে নির্বাচনের আগে কোন নাটকীয়তার জন্ম না হলে শেষ পর্যন্ত আনোয়ার হোসেনই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত থাকবে। গতকালকের সভা থেকে সাংসদ শামীম ওসমান বিএনপির প্রার্থী থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন মন্তব্য করায় বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। নগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এটিএম কামাল এর প্রতিবাদ জানান। এর আগে এটিএম কামাল বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। যদিও এটা নিয়ে অনেকটা হাস্যরস্যেও সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি ও রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনের আগের রাতে তাদের দলীয় প্রার্থী তৈমুর আলমকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিয়ে বিতর্কেও জন্ম দেয়। সূত্রমতে, সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও সভায় উপস্থিত থেকে আনোয়ার হোসেনের প্রতি সমর্থন জানান। তবে সভা থেকে মেয়র আইভীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেও বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাদের অভিযোগ মেয়র আইভী বিএনপি-জামাতের সাথে আতাঁত করে বিগত নির্বাচনে মেয়র হয়েছে। কিন্তু এবার তাকে আর সে সুযোগ দেয়া হবে না। অনেক নেতা আইভীর আওয়ামী লীগ বিমুখীতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শামীম ওসমান আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিন্তু এবার আর সে খেলা খেলতে দেওয়া হবে না। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দুই হাত তুলে মহানগরের সভাপতি পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাই আগামীতে ইনশাল্লাহ আনোয়ার ভাই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রতীক পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হবে। আর ওই নির্বাচন হবে আন কনটেস্ট। বিএনপির প্রার্থী কে হয় আমি দেখবো। তবে আনোয়ার ভাই আন কনটেস্ট পাশ করবে এটা নিশ্চিত।’ এদিকে শামীম ওসমানের এমন বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক এটিএম কামাল। তিনি বলেছেন, আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়েই বলে দিবে বিএনপির প্রার্থী থাকবে কী না। আগে থেকে এমন হুংকার দিয়ে বিএনপিকে কাবু করা যাবে না। ভোটের আগে ঠিকই প্রার্থী থাকবে। আর শামীম ওসমানদের এ ধরনের বক্তব্য এটা নতুন কিছু না। ক্ষমতার সময়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ থাকলেও ক্ষমতার বাইরে গেলে দেশ ত্যাগ করেন।
কবি, ছড়াকার জাহাঙ্গীর ডালিমের জন্মদিন পালিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ গত শুক্রবার শাহনেওয়াজ চেম্বার (পলি ক্লিনিক) (২য় তলায়) বর্ষার এই বিকেল ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি উপেক্ষা করে শতাধিক কবি ছড়াকার, সাংবাদিক ছড়ার হার্টের এডমি ইকবাল হোসেন রুমেন্স আয়োজিত কবি ছড়াকার সংগঠক গল্পকার সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ডালিমের জন্মদিন পালন করেন। অনুষ্ঠানে শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত পাঠ করেন হোসেন ফরহাদের মাধ্যমে পরে। প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিদের ফুল দিয়ে আসন গ্রহন করেন এবং কবি জাহাঙ্গীর ডালিমকে শতাদিক কবি ছড়াকাররা ফুলের শুভেচ্ছা ও উপহার দিয়ে অনাম্বড় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। বিশেষ অতিথি ইয়াদের সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন বলেন- জাহাঙ্গীর ডালিম লেখক সৃষ্টি করা কারিগর এর জন্য বলছি বা আজ তার জন্মদিন পালন করলেন যারা এটাই বড় প্রমান জাহাঙ্গীর ডালিম কি ধরনের কবি। এ প্রজন্মের কবিদের রোল মডেল হবে এই দৃষ্টান্ত আমার। আমি ছোট ভাই কবির দীর্ঘায়ু ও লেখনির মাধ্যমে এগিয়ে যাবে এই কামনা রইল। বিশেষ অতিথি দৈনিক ডান্ডিবার্তার বার্তা সম্পাদক মোঃ আঃ রহিম বলেন- আমার সেই ২০০১ সালের ডান্ডিবার্তার সাথ সম্পৃক্ত ও উনার সাথে আমার পথচলা। আমি জাহাঙ্গীর ডালিমের ছোট গল্পের একজন বক্ত। কবি, ছড়াকার, সংগঠক গল্পকার, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ডালিম আরো গল্প লিখে পুরস্কার পাবে এবং নারায়ণগঞ্জ গর্ববোধ করবে। আমি তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিনন্দন বিশেষ অতিথি সাংবাদিক দৈনিক অগ্রবানী প্রতিদিনের বার্তা সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন লিটন বলেন- জাহাঙ্গীর ডালিন কি তার লেখা গল্প, কবিতা, ছড়া না পড়লে বুঝা যাবে না, সংগঠক ভাবে খুবই শক্তিশালী, হাস্যজ্বল একজন সাদা মনের মানুষ জাহাঙ্গীর ডালিম। আরেকজন বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট ছড়াকার আদিত্য রুপু বলেন- জাহাঙ্গীর ডালিমের মা’কে নিয়ে লেখা বইটি পড়লে বুঝবে যে একজন সন্তান এখন ও মা’ নেই তার পরও মাকে খুব ভালোবাসেন মা’কে। যা আমাদের শিক্ষনীয়। জাহাঙ্গীর অনেক লেখা জাতীয় পত্রিকায় এবং ম্যাগাজিন সহ সব জায়গায় ছাপা হয়। এখন ও লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন। লেখনির মাধ্যমে তিনি অনেক সেরা গল্পকারের পুরস্কার পেয়ে ছিলেন। সাপ্তাহিক এখনও, দৈনিক সমকাল, যুগান্তর ওয়ালটন গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় সেরা গল্পকার পুরস্কার আমাদের নারায়ণগঞ্জের গর্ববোধ করি। জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিনন্দন রইল। প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন- বিশিষ্ট ছড়াকার বাতেন বাহার- জাহাঙ্গীর ডালিমের কবিতা, ছড়া, গল্প না পড়লে বুঝবেন না জাহাঙ্গীর ডালিম কি ধরনের লেখব, খুব অল্প বয়সে সে যা অর্জন করেছে তার লেখনির মাধ্যমে তা খুবই প্রশংসিত হই। আমি কবি, ছড়াকার, সংগঠক, গল্পকার, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর ডালিমের জন্মদিনটা ছড়াকার হার্ট এডমির কবি ইকবাল হোসেন রুমেন্স ধন্যবাদ জানাই এবং আমাদের শিক্ষা দিল যে এটা আমাদেরই করা উচিত ছিল। জাহাঙ্গীর ডালিম তার যোগ্যতা প্রমান করেছেন। তার জন্মদিনে আমার অনন্তস্থল থেকে রইল ভালোবসা ও শুভেচ্ছা এবং এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথি করার জন্য আমি নিজেকে গর্ববোধ করছি। এরপর কবিকে কেক কেটে খাওয়ান প্রধান অতিথি নিজেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশেষ অতিথি শব্দ জনপদের সম্পাদক লুৎফর রহমান মিয়া ভাই, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন- নারায়ণগঞ্জ পঞ্চায়েত কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- রহিম শেখ, নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক- শহিদুলাহ শিশির- আন্হা কবি কল্যান সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি রুহুল আমিন- দৈনিক ডান্ডিবার্তার ফটো সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম, কামরুল হাসান, মোঃ মুস্তাহিদ খান, ইসরাত রুবাইয়া, মনি নাজনীন, সোলায়মান ইমরান, জাকির হোসেন, সানজিদা ইসলাম বীনা, উর্মি আকতার মুন, প্রশান্ত মন্ডল, রতন মলিক, এস এম শাহাবউদ্দিন, মুহাম্মদ আল- মাছুম শেখ, সালাহউদ্দিন আমির, হাফিজা আক্তার সাথী, আলতাফ হোসেন রায়হান, চান মিয়া চান্দু, ফরিদ আহমেদ হৃদয়, মোঃ রাছেল মৃধা, মোহাম্মদ আলী, আঃ কাইয়ূম বাদল, মাসুদ রানা লাল, রাজিব উদ্দিন হৃদয়, মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ অমি, মোঃ সম্রাট হোসেন, ফরহাদ খাঁন, রুবাইয়া ইসলাম, মোসাঃ পিংকি, রেখা, প্রিয়াংকা মজুমদার, জয়া মজুমদার সহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন- মিথুন খাঁন।
কানাইনগর ছোবহানিয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজের এডহক কমিটি গঠন
কানাইনগর ছোবহানিয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ১০টায় কানাইনগর ছোবহানিয়া স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ অডিটোরিয়ামে সভাটি অনুষ্টিত হয়। সভায় বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শওকত আলীর সভাপতিত্বে এলাকার শিক্ষিত এবং সচেতন ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়েরর দৈন্যদশা দূর করার জন্য স্কুলের সকল মামলা মোকাদ্দমা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।এবং একটি সুস্থ, সুন্দর, দুর্নীতি মুক্ত কমিটি উপহার দেওয়ার জন্য আহব্বান জানান। উক্ত অনুষ্ঠানে সকল বক্তাই বক্তাবলি ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান শওকত আলীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবং এই আলোচনা সভার পর কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সংকট নিরসনের জন্য তাৎক্ষনিক একটি এডহক কমিটির আহবান জানান বক্তারা।সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সভার সভাপতি শওকত আলী সকলের উপস্থিতিতে তাৎক্ষনিক শিক্ষার মান উন্নয়ন একটি এডহক কমিটি গঠন করেন।
বক্তাবলীর রামনগরে আঃ সামাদ ঈদগাঁ কমিটি গঠন
ইসলাম বর্জিত শিক্ষানীতি শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে : ওলামা লীগ
ইসলাম বর্জিত শিক্ষানীতি ছাত্র-ছাত্রীদের সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দিচেছ বলে মনে করে আওয়ামী ওলামা লীগ। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, ইসলাম বর্জিত শিক্ষানীতি-২০১০ বাতিল করতে হবে। ইসলাম বর্জিত শিক্ষানীতি ছাত্র-ছাত্রীদের সন্ত্রাসবাদের শিক্ষা দিচেছ। পবিত্র কোরআন ও হাদীসে সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসী ততপরতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওলামা লীগ আয়োজিত এক মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ইসলাম বিবর্জিত শিক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদেও সন্ত্রাস ও উগ্রবাদীতার দিকে ঠেলে দিচেছ। পাঠ্যপুস্তকে দীন ইসলামের শিক্ষা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। যেগুলো ছিল সেগুলোও বাদ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকে অবিলম্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (সা:) জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু ল’ কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী প্রমুখ।
ফতুল্লার প্রধান সড়ক গুলো জনসাধারণের চলাচলের অযোগ্য
বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্পকারখানা-অধ্যুষিত ফতুল্লার প্রধান সড়কগুলো একেবারেই চলাচলের অযোগ্য। এর প্রধাণ কারন কর্তৃপক্ষের অনীহায় । অধিকাংশ সড়কজুড়েই বড় বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে যায়। ফলে সড়কে যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। পথচারীদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ফতুল্লায় রপ্তানিমুখী গার্মেন্টসসহ ছোট-বড় বহু শিল্পকারখানা রয়েছে। কারখানা ঘিরে আশপাশের এলাকায় শ্রমিকদের বসতি গড়ে উঠেছে। এসব বসতির আশপাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও খাবারের হোটেল। কিন্তু বেশির ভাগ সড়ক ভাঙাচোরা হওয়ায় শ্রমিকদের হেঁটে চলাচল করাও খুব কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফতুল্লার প্রধান সড়কগুলোর মধ্যে পোস্ট অফিস থেকে শিবু মার্কেট, স্টেডিয়াম থেকে চৌধুরী বাড়ি, তক্কার মাঠ থেকে ফতুল্লা রেল স্টেশন ও শিবু মার্কেট থেকে কায়েমপুর, খাঁন সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম থেকে খেজুর তলা, কাঠেরপুল থেকে ফতুল্লা স্টেডিয়াম সড়ক উল্লেখযোগ্য। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ২৭টি সড়কের নির্মান কাজের উদ্বোধন করেছেন। যার মাঝে অধিকাংশ সড়কেরই কাজ ধরে মাসের পর মাস ফেলে রেখেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) গ্রামীণ অবকাঠামো হিসেবে রিকশা, ভ্যান, হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য এসব সড়ক নির্মাণ করেছিল। সড়কের পাশে কোনো পয়োনিষ্কাশনের নালাও রাখা হয়নি। সময়ের বিবর্তনে এসব সড়কের দুই পাশে বহু শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। বর্তমানে কারখানাগুলোতে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য শুধু বড় কাভার্ড ভ্যান নয়, ভারী কনটেইনারও চলাচল করছে। ফলে সড়কগুলো অল্প সময়েই ভাঙাচোরা হয়ে গেছে। সড়কের দুই পাশের ডোবা ভরাট করে স্থাপনা নির্মিত হওয়ায় পানি নির্গমনের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। ফতুল্লার কাঠেরপুলের একটি তৈরি পোশাক কারখানার মেশিন অপারেটর আসমা বেগম বলেন, তাঁর বাসা কারখানা থেকে এক কিলোমিটার দূরে। সকালে, দুপুরে ও রাতে তাঁকে হেঁটে বাসা থেকে কারখানায় আসা-যাওয়া করতে হয়। কিন্তু রাস্তার দুরবস্থার কারণে চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোর বিষয়ে জানতে সদর এলজিইডির উপজেলার কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ মিয়ার সাথে কথা হয়। তিনি জানান, সব গুলো সড়কেরই কাজ ধরা হয়েছে। তবে বাস্তবায়নে কিছু সময় লাগবে। তিনি পোস্ট অফিস-শিবু মার্কেট সড়কটির বিষয়ে জানান, আগামী ২৭ তারিখ এ সড়কটির আরসিসি টেন্ডার হবে।