বরগুনায় বাস কাউন্টারে চাঁদাবাজির ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের প্রথমসারির ৬ নেতাকে আসামি করে বরগুনা থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চাঁদা না দেয়ায় বরগুনা জেলা কৃষক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ বাবলুর উপর হামলা চালিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের বখাটে সন্ত্রাসীরা।
সোমবার রাত ৮টার দিকে শহরের চরকলোনী এলাকার তাজবিন হোটেলের নীচতলায় গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় একে আজাদ বাবলুকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় আহত একে আজাদ বাবলুর পিতা মুক্তিযোদ্ধা মো. দারুল ইসলাম মাস্টার বাদী হয়ে সোমবার রাতেই বরগুনা থানায় একটি মামলা (নং ২০/১৫-১১-১৬) দায়ের করেন।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মেহেদি হাসান, মঞ্জুরুল ইসলাম রাজিব এবং বেলাল হোসেন সুজন ও তাদের সহযোগীরা প্রায়ই কৃষক নেতা একে আজাদ বাবলুর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে চাদা দাবি করে আসছিলো।
সর্বশেষ সোমবার রাত ৮টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, সহসভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম রাজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন সুজন ও রেজোয়ানুল ইসলাম বাবু, সাহিত্য সম্পাদক রম্নহুল আমিন এবং তাদের সহযোগী নোমানসহ ১৫-১৬ জনের একটি দল কৃষক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ বাবলুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন লাইন বাস কাউন্টারে এসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে একে আজাদ বাবলুর উপর হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এতে একে আজাদ বাবলুর মাথায় গুরুতর জখম হয়। হামলার সময় একটি স্বর্ণের চেইন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন লাইনের ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ অর্থ এবং একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জোবায়ের আদনান অনিক দাবি করেন, ‘উভয় পক্ষের তর্কবিতর্কের কারণে নিজেদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আলোচনার মধ্য দিয়ে তা মিমাংসা করা হবে।’
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ হোসেন জানান, এ ঘটনায় ছয়জনকে এজাহারভুক্ত এবং আট-দশজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পেনাল কোড ১৪৩/৪৪৮/৩৮৫/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৪২৭/৫০৬ ধারায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সচেষ্ট রয়েছে পুলিশ।