৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 170

৩২ ধারা বাতিলের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা বাতিল করার দাবিতে শহরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশ সামজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। এতে বাম দলগুলোর শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

বক্তারা বলেন, ‘কোনো সরকারই চিরস্থায়ী নয় যা অতীতের ইতিহাস থেকে জানা যায়। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে বাকস্বাধীনতা হরণ করার নীল নকশা তৈরি হচ্ছে। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করা যাবে না। তাই অবিলম্বে ৫৭ ধারার আদলে প্রণীত ৩২ ধারা বাতিল করা হোক।’

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, সিপিবি নেতা দুলাল সাহা, সামাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের জেলার সভাপতি এমএ শাহীন, গার্মেন্ট শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম গোলক প্রমুখ।

আড়াইহাজার “উপজেলা প্রেসক্লাব” থেকে ১২ সদস্যের পদত্যাগ

আড়াইহাজার প্রতিনিধি: আড়াইহাজারে নবগঠিত “উপজেলা প্রেসক্লাব” থেকে ১২ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। জানা গেছে, সভাপতি এফরান আলী অগ্রবানী প্রতিদিন ও সাধারণ সম্পাদক বিজয় টিভির স্বেচ্ছাচারিতা, বার্ষিক আর্থিক হিসাব নিয়ে তালবাহানা, ক্লাবের হিসাব চাওয়ায় একের পর এক সদস্যদের সাথে র্দুব্যবহার করা, চরম অযোগ্যতাসহ নিয়ম বর্হিভূত আরো বেশ কয়েক গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ এনে সদস্যরা তাদের প্রতি অনাস্থা দিয়ে গণহারে পদত্যাগ করেন।

এরা হলেন, ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর কামাল শেখ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু ছাঈদ, সহ-সভাপতি মাহাতাবউদ্দিন, সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সোহেব ফজলুল। কার্যকরী সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- মাহবুব মোল্লা, আতিকুর রহমান আতিশ, কার্যকরী সদস্য আল-আমিন ও সাজ্জাদুল হোসেন জাহাঙ্গীর। সাধারণ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- ওলিউল্যাহ ভূঁইয়া তুহিন, শাহমোয়াজ্জেম হোসেন (মামুন) ও আবু ছিদ্দিক বাদল।

জানা গেছে, ক্লাবের বার্ষিক হিসাব বিবরণী চাওয়ায় ক্লাবের অন্যান্য সদস্যকে অবহিত না করেই জ্যৈষ্ঠ এক সদস্যকে অবহতি দেওয়ায় সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে কার্যনির্বাহী এ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। কার্যকরী এক সদস্য জানান, তাদের দুই জনের স্বেচ্ছাচারিতায় দীর্ঘদিন ধরে সদস্যরা তাদের প্রতি বিরক্তি হয়েছিলেন।

সভাপতি এফরান আলীর বরাত দিয়ে পদত্যাগকারী এক সদস্য জানান, সভাপতির একক সিদ্ধান্তে এক সদস্যকে বহিস্কার করা হয়েছে। কোনো সদস্যকে অবগত করা হয়নি। এতে করে সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে পদত্যাগ করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমার জানা মতে দীর্ঘদিন ধরেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনেই হাইপ্রেসার জনিত সমস্যায় ভোগছেন। সামান্য কিছুতেই তারা সদস্যদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এতে করে তাদের সাথে এক সাথে সংগঠন করাটা অসম্ভব ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

বক্তাবলীর প্রতাবনগরে মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় রানাকে মারধরের অভিযোগ

ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে জয়নাল আবেদীন কে মারধর করেছে নুর মোহম্মদ (৩৪), নুর আমিন (৩০) ও তার সহযোগীরা ।

এ ঘটনায় (০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় নুর আমিন ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লার বক্তাবলীর প্রতাবনগর এলাকার মৃত অাশোক আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন রানার সাথে গোপাল নগর এলাকার মৃত জাফর আলীর ছেলে নুর আমিন ও নুর মোহাম্মদ এর সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

রানার দাবী নুর আমিন মাদক ব্যবসা করে । তার মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে রানাকে গত ৫ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) বিকেলে নুর আমিন , নুরমোহাম্মদ , রাজ্জাক, কবির হোসেন ও তার সহযোগিরা এলোপাথারী মারধর করেছে।

বিল পরিশোধ করতে না পারায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইট বন্ধ!

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে না পারায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

চুক্তি অনুযায়ী ২০০৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম ব্যবহার করার অনুমতি ছিল। নিয়ম অনুযায়ী গত ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডোমেইন নেম চুক্তি নবায়ন করার কথা থাকলে বিসিসিআই কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধ করে ডোমেইন নেম নবায়ন করতে পারেনি। যার ফলে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিষয়টি নজরে আসালে আবার ডোমেইনটি নবায়ন করা হয়।

এদিকে গত রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালীন বিসিসিআই এর ওয়েবসাইটটি দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকে।যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অনেকে বলছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অর্থাভাব না থাকা শর্তেও বিল পরিশোধ করতে না পারায় ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়া লজ্জাজনক।এ ঘটনার জন্য বিসিসিআই দোষ দিচ্ছে বোর্ডের ইন্টারনেট ডোমেইনের নিয়ন্ত্রক লোলিত মোদিকে। বলা হচ্ছে তিনি ঠিক সময়ের মধ্যে নবায়নের অর্থ দেননি। সে কারণেই ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। সূত্র(ইন্ডিয়া টাইমস)

প্রধানমন্ত্রী যা চান তা রায় হয়ে বেরিয়ে অাসে: রিজভী

অার কোন অভিযান নাই, শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযান। ঢাকা শহরে কত মাদক ব্যবসায়ী, কত অপরাধী শহর ভরে গেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার অার প্রশাসনের কোন অভিযোগ নাই, অভিযান নাই। সরকারের অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীরা সোচ্চার প্রতিবাদী তারা রাজপথে প্রতিবাদ জানাচ্ছে এই কারণে সরকার তাদের দলবল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় আক্রমণ করছে , পরিবার, ছেলে মেয়েদের কেও রেহাই পাচ্ছেনা। তাদেরও পুলিশ অাটক করে থানায় নিয়ে যাচ্ছে নির্যাতন চালাচ্ছে।

অাজ দুপুরে দলীয় কার্যলয়ে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন,

রিজভী অারও জানান, বেগম জিয়ার সাথে সিলেট সফর শেষে বাসায় ফেরার পথে মগবাজার থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলকে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত পুলিশ অাটকের কথা শিকার করছেনা।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত সারাদেশ এগারো’শরও বেশি বিশ দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী । অারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এইমূহর্তে অারও দেড়’শর মতো বিশ দলীয় নেতাকর্মী অাটক ও গ্রেফতারের নির্যাতনের খবর অাসছে।

রায়ের আগে রিজভী শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তিনি(প্রধানমন্ত্রী) যা চান তা খালেদার রায় হয়ে বেরিয়ে অাসে।

সাখাওয়াতসহ আইনজীবিদের গ্রেফতারে এড. আল আমীন সিদ্দিকীর তীব্র নিন্দা

মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খানসহ আইনজীবিদের গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন  জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক এড. আল আমীন সিদ্দিকী।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অপকর্ম ঢাকার জন্যই পুলিশের দ্বারা গ্রেফতারের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। আমরা অচিরেই তাদের মুক্তি দাবি করছি।

প্রসঙ্গত, সিলেটে মাজার জিয়ারতে যাওয়ার সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়ে ফেরার পথে সাখাওয়াতসহ ৩ আইনজীবিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন এড. আনোয়ার প্রধান ও এড. মাইনুদ্দিন।

নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারে মশিউর রহমান রনি ও শাহ জাহানের তীব্র নিন্দা

বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশী ও গণগ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্র্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান রনি ও ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ শাহ জাহান ।  এক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানান।

ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, বি এন পির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাসুকুল ইসলাম রাজীবসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমান সরকারের অপকর্ম ঢাকার জন্যই পুলিশের দ্বারা গ্রেফতার করিয়ে ও তল্লাশী চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে।
তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ভীত। তাই তারা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে ঢুকিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। তবে পুলিশ নেতাকর্মীদের যতই গ্রেফতার করুক না কেন জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিকরা ভীত নয়। তারা যে কোন উপায়ে দলীয় সকল কর্মসূচি সফল করবে

আমিও সাংবাদিক ছিলাম : প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আমিও এক সময় সাংবাদিক ছিলাম। এখন সাংবাদিকতায় নারীরাও এগিয়ে আসছে। এটা খুব ভালো দিক। সোমবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় তার সঙ্গে আইন, মানবাধিকার ও সংবিধানবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় কয়েকজন নারী সাংবাদিকও উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, সাংবাদিকতায় নারীরাও এগিয়ে আছে, এটা খুব ভালো দিক। খাস কামরায় প্রধান বিচারপতির পাশে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ল’রিপোর্টার্স ফোরামের নেতারা তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার কথা তুলে ধরলে প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

এলআরএফ সভাপতি আশুতোষ সরকার, সাবেক সভাপতি এম. বদি-উজ-জামান, সহ-সভাপতি মাশহুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম পান্নু, যুগ্ম-সম্পাদক কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আহমেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য হাবিবুর রহমান, আবদুল জাব্বার খান, মো. আফজাল হোসেন ও মেহেদী হাসান ডালিমসহ আইন বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন এ সময়। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী থাকাকালীন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দৈনিক সংবাদের আইনবিষয়ক প্রতিবেদক ছিলেন।

সরকার মামলা আতঙ্কে রেখেছে বিএনপির নেতাদের

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিতে গেলে পুলিশের কাজে বাঁধা, পুলিশের উপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং নাশকতায় ঘটনায় পৃথকভাবে পুলিশ বাদী হয়ে তিন থানায় ৪টি মামলা করেছে।

এসব মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৪৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করে করা হয়েছে। আর এ মামলায় রূপগঞ্জ কাঞ্চন পৌরসভার মেয়রসহ ২৬ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাল রোববার বিকেলে পুলিশ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ ও সোনারগা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে পুলিশের গ্রেফতার অভিযানে জেলার বিভিন্ন এলাকার বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে গেছে। আর পুলিশও বিএনপির নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার পৃথকভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিতে গেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলার ঘটনা ঘটে। এমনকি পুলিশকে লক্ষ্য কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণও ঘটায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।

এ ঘটনায় সোনারগা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। একটি মামলার বাদী হলো এসআই মুজিবুর রহমান ও এএসআই এনামুল হক। আর রূপগঞ্জ থানার দায়েরকৃত মামলার বাদী হলেন এসআই সাব্বির এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বাদী হলেন (এসআই) রফিকুল ইসলাম।

খালেদার জিয়ার রায়েন দিন নজরদারিতে হোটেল, মেস ও ফেইসবুক

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- না ঘটে, সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে মেস ও আবাসিক হোটেল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন (২৫ জানুয়ারি) থেকেই মেস ও হোটেলগুলোতে নজরদারি শুরু হয়েছে। পুলিশের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী হোটেলে আগত অতিথিদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে রুম বুকিং দেয়া হচ্ছে কি-না এসব নজরদারি করছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ফেইসবুকে বিভিন্ন পেইজে এবং গ্রুপে ৮ ফেব্রুয়ারিকে নিয়ে কোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা হচ্ছে কি-না সেগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, এছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা মেসগুলোতে জড়ো হয়ে সহিংসতা তৈরির চেষ্টা করতে পারেন এমন আভাসে থানাভিত্তিক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। থানা পুলিশ স্ব স্ব এলাকার মেসগুলোতে গিয়ে ভাড়াটিয়া ছাড়া অন্য কেউ থাকছেন কি-না তা নজরদারি করছে। এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের।

নজরদারির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে হোটেলগুলোতে অতিথির নাম-ঠিকানা লেখা, ছবি তোলা, এনআইডি, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি, ফোন নম্বর রাখা ও ফোন দিয়ে নম্বর যাচাই করাসহ ৮টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হোটেলগুলো নির্দেশনামাফিক কাজ করছে কি-না তা নজরদারি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফর্মে দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাড়িগুলোতে ভাড়াটিয়ারা থাকছেন কি-না সেটিও খেয়াল রাখা হচ্ছে।

এদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সুপার থানার ওসিদের নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- যেসব স্থানে আগে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে, সেসব স্থান চিহ্নিত করা করে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা। থানাসহ পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা বাড়ানো, পুলিশের সব সিসি টিভি ক্যামেরা সচল রাখা, টহল বা অভিযানে পুলিশ সদস্যরা একা না গিয়ে একসঙ্গে টহল দেয়া। নির্দেশনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্যামেরা রাখতে বলা হয়েছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তারা ছবি তুলে রাখতে পারেন।

জেলা পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা টাইমস নারায়ণগঞ্জকে জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি কোনো সহিংসতার আশঙ্কা করছি না, তবে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। এদিন যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কোনোভাবেই অবনতি না হয় সেজন্য পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে নির্দেশনা দেয়া আছে। একইভাবে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম (সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং) বিভাগও সক্রিয় রয়েছে বলে জানান তিনি।

যে কোনো আন্দোলনে বাস-ট্রাকের মতো পরিবহনগুলো আগুনে পুড়িয়ে প্রতিবাদ করে আন্দোলনকারীরা। রায়ের দিন এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে কি-না এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যানবাহন মালিকরা।

নারায়ণগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর অবস্থা মোকাবেলার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এছাড়াও পুলিশ সুপার মহোদয় আমাদের সার্বক্ষনিক দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয় এ বিষয়ে একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেলক্ষ্যেই প্রস্তুত রয়েছি।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, পুলিশের প্রধান দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। পুলিশ দৃঢ়তার সঙ্গে এ কাজ করে যাচ্ছে। যাতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থাকে সে জন্য কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ।