৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 234

পশুর হাট নিয়ে ফাতেমা-পলাশ মুখোমুখি-উত্তেজনা চরমে

সদর উপজেলার আলীগঞ্জ পশুর হাট নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাইফউল্লা বাদল ও শ্রমিক নেতা কাউসার আহম্মেদের মধ্যে সমঝোতা হলেও ফাতেমা মনির এখনও রয়েছে তার অবস্থানে অনড়।

অনেকের মতে হাট ইজারা নিয়ে পলাশ গ্রুপ ও ফাতেমা মনির গ্রুপের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। কেন না, সাইফউল্লা বাদল পলাশের সঙ্গে সমঝোতায় এলেও পলাশকে এক চুলও ছাড়া না দেয়ার অবস্থানেই রয়েছে ফাতেমা।

এর আগে রোববার নির্ধারিত সময়ের পর পশুর হাটের টেন্ডার জমা দিতে উপজেলায় আসে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির। এসময় পলাশ গ্রুপের সাথে ফাতেমা মনির গ্রুপের বাকবিতণ্ডা হয়।

এ নিয়ে দু` গ্রুপের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

এ ঘটনার পর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার চৌধুরী টেন্ডার বাক্স সীলগালা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। পরে সোমবার সকালে সকলের উপস্থিতি টেন্ডার বাক্স খোলা হলেও টেন্ডার নিষ্পত্তি না হওয়ায় রিটেন্ডারের ঘোষণা দেয়া হয়।

এদিকে আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) আলীগঞ্জ হাটের শিডিউল বিক্রি হচ্ছে। এ শিডিউল আগামীকাল (৭ সেপ্টেম্বর) জমা নেয়া হবে।

অপরদিকে জানা গেছে, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লা বাদলের সাথে হাট ইজারা নিয়ে সমঝোতায় এসেছে পলাশ। ফলে বাদল টেন্ডার নিয়ে কোন রকম বাধ সাধবেন না।

তবে ফাতেমা মনির এখনও তার অবস্থানে অনড় থাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে পলাশ গ্রুপের মাঝে। ধারণা করা হচ্ছে এ নিয়ে দু` গ্রুপের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

প্রসঙ্গত, বেশ ক`বছর যাবৎ আলীগঞ্জ পশুর হাট ইজারা নিয়ে আসছিলেন কাউসার আহম্মেদ পলাশ। বিভিন্ন উন্নয়নে হাট থেকে প্রাপ্ত অর্থ কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিলে এ নিয়ে কেউ আর দ্বিমত পোষণ না করে তার পক্ষেই মত দেন।

তবে, অনেকেই অভিযোগ করেন উন্নয়ন কাজে হাট থেকে প্রাপ্ত অর্থ কাজে লাগানোর কথা থাকলেও পলাশ সে অর্থ একাই আত্মসাৎ করেছেন।

এরমধ্যে গত বছর হাটের টাকা আলীগঞ্জ স্টেডিয়ামের গ্যালারী করার কথা থাকলেও পলাশ তা করেন নি বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। যার ফলে এবার নিজ এলাকার লোকেরাও পলাশের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

সৌদি আরব বিশ্বের মধ্যে নিরাপদ দেশ

অ্যামেরিকার ইউএন ইউনিভার্সিটির পরিবেশ ও মানব নিরাপত্তা ইন্সটিটিউট এর এক গবেষণায় সৌদি আরব কে বিশ্বের প্রধান তিনটি সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

যেখানে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে ভানুয়াতু , টোংগা , ফিলিপাইন, বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মার্কিন এক পত্রিকার গবেষণার সাথে তারা এক হয়ে বলেন, ভুমিকম্পন প্রবনতা, দাবানল ও এছাড়াও ভয়ঙ্কারি সুনামি এর মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর হাত থেকে এই অঞ্চল পুরোপুরি মুক্ত থাকায় সৌদি আরব সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে এই অবস্থান অর্জন করতে পেরেছে।

সম্প্রতি প্রায় ১৭১ টি দেশের উপর গবেষণা করে এই ফলাফল প্রকাশ করে ওই ইন্সটিটিউট টি।

গবেষণার ম্যানেজার পেতেরম্যুক বলেন, বিশ্বের ১১৬টি দেশের মধ্যে ৫টি দেশ বসবাসের জন্য বেশি বিপদজনক। তার মধ্যে বাংলাদেশের নামও উল্ল্যেখ করা হয়েছে।

ধানমন্ডিতে ‌পুলিশের গুলিতে নিহত ১

রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় গণপিটুনির পর পালাতে গেলে পুলিশের গুলিতে সাগর নামে সন্দেহভাজন এক ছিনতাইকারী নিহত হয়েছেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরেক ছিনতাইকারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছিনতাইকারী চক্রের আরও এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- হজরত ও বাশার। পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে হজরত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাশারকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে।

শাহবাগ থানার ওসি আবুবকর সিদ্দিক জানান, মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে পল্টন মোড়ে একটি প্রাইভেটকারে করে ৩-৪ জন ছিনতাইকারী রিকশাআরোহী এক ইডেন ছাত্রীর ব্যাগ ছিনতাই করে। এ ঘটনার পর আরও ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। ছিনতাইকারীদের গাড়িটি ধানমণ্ডি ৩ নম্বর সড়কের মাথায় গিয়ে আটক করা সম্ভব হয়।

কিন্তু সেখানে উপস্থিত স্থানীয় জনতা গাড়িটি ঘিরে ফেলে ছিনতাইকারীদের গণপিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে সেখান থেকে সুযোগ পেয়ে ছিনতাইকারীরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ছিনতাইকারীর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ছিনতাইকারীদের গাড়ি থেকে চারটি মোবাইল ফোন, কয়েকটি ব্যাগ, ধারালো ছুরি ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

গুলশান থেকে অস্ত্রসহ ৩ মুখোশধারী আটক

রাজধানীর গুলশান ১ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় অবস্থিত উদয় টাওয়ার নামে একটি ভবন থেকে অস্ত্রসহ ৩ মুখোশধারীকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এর আগে এলজি ইলেকট্রনিক্স পণ‌্যের শো রুমে কয়েকজন তরুণ জোর করে ঢুকে পড়েছে- এমন খবর পাওয়ার পর সকাল থেকে ভবনটি ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।

গুলশানের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম সকালে বলেন, ওই যুবকরা ছিনতাইকারী বা চোর বলে তাঁদের সন্দেহ। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পরে কয়েকজন যুবককে সেখান থেকে আটক করা হয়েছে।

গুলশান থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আটকরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।

লাইফ সাপোর্টে আ স ম হান্নান শাহ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ডিওএইচএসের বাসায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।

হান্নান শাহর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা অনন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে স্যার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন।

অপরদিকে, হান্নান শাহ ব্যাক্তিগত সহকারী সিরাজুল ইসলাম জানান, সকাল ৬ টার দিকে বুকে ব্যাথা অনুভব হলে আমরা তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে ভর্তি করি।

সিরাজুল ইসলামের কাছে হান্নান শাহ’র বর্তমান অবস্থার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আমরা তার বর্তমান অবস্থার কথা বলতে পারছি না। ডাক্তার অবস্থা জানানোর পর জানাবো।

র‌্যাবের অভিযাণে গুলিভর্তি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী জাবেদসহ-৩ গ্রেপ্তার

গুলিভর্তি বেদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী জাবেদ উদ্দিন সুজনকে তার দুই সহযোগিসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১’র একটি দল।গ্রেফতার

র‌্যাব-১১’র সিপিসি-৩’র লক্ষীপুর ক্যাম্পের মেজর এ এম আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন কাদিরপুর গ্রাম সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৪ টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১১ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় গুলিভর্তি ম্যাগাজিনসহ ০১ টি বিদেশি পিস্তল, ০১ টি দেশীয় ধারালো ছোরা এবং ০২ টি ধারালো চাপাতি উদ্ধারসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী জাবেদ ও তার দুই সহযোগি ইমাম উদ্দিন ইমাম ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাবেদ কাদিরপুর গ্রামের মজিবুল হকের ছেলে ও একই গ্রামের নোনা মিয়ার ছেলে ইমাম এবং মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে রাসেল।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনের একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঈদ পূর্ব বেতন-বোনাসের দাবীতে শ্রমিক সমাবেশ

ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমকিদের পূর্ণাঙ্গ বেতন, বোনাস ও ওভারটাইম পরিশোধ এবং প্রস্তাবিত ইপিজেড শ্রম আইনের শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারাসমূহ বাতিলের দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

শ্রমিক-সমাবেশসোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল চাষাড়া শহীদ মিনারে এই শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে জেলা শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি সেলিম মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নইবুল হাসান জুয়েল, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আব্দুল ওয়াহীদ, সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, শ্রম উপমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সকল মালিকরা যেন আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের বোনস ও ওভারটাইমসহ পূর্নাঙ্গ বেতন পরিশোধ করেন। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি যে, বহুসংখ্যক মালিক এতে অনিহা প্রকাশ করেছে। এতোমধ্যেই নারায়ণগঞ্জ সহ কয়েকটি জেলায় অবৈধ ভাবে মালিকরা তাদের ফ্যাক্টরী বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি যে, অনতি বিলম্বে আপনারা আপনাদের প্রতিষ্ঠান চালু করুন অথবা শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিন এবং আগামী ৭ সেপ্টম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের ঈদ বোনাসসহ সকল পারিশ্রমিক প্রদান করুন। অন্যথায় আমরা মেহনতি শ্রমিকদের সাথে নিয়ে আপনাদের বাড়ী ঘেরাও করতে বাদ্ধ হবো।

প্রস্তাবিত ইপিজেড শ্রম আইনের বিষয়ে বক্তারা বলেন, দেশে শ্রম আইন রয়েছে। এরপরও নতুন করে ইপিজেড আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কয়েকটি ধারা রয়েছে, যা সম্পূর্ণ শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী। এই আইনে শ্রমিকদের পক্ষে মালিকদের সাথে কথা বলে তাদের অধিকার আদায়ের জন্যে কোন মাধ্যম রাখা হয়নি। তবে কথা হচ্ছে, একদেশে দুটি আইন কেন?

কিছু শ্রমিক সংগঠনের বিষয়ে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ‘ট্রেড ইউনিয়ন’সহ কিছু নামধারী শ্রমিক সংগঠন রয়েছে, যারা শ্রমিকদের হক নষ্ট করে বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ’র দালালি করে। আমরা ঐসকল দালালদের হুশিয়ার করে দিচ্ছি, আপনারা দালালি বন্ধ করুন। অন্যথায় বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ এর উপযুক্ত জবাব দেবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক নেতা শফিকুল ইসলাম, মো. রফিক, দেলোয়ার হোসেন, সরদার খোরশেদ, শহীদুল ইসলাম প্রমূখ।

সভা শেষে শ্রমিকদের নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল আনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে শহরের ২নং রেল গেইট এলাকা প্রদক্ষিন করে পূনরায় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।

মীর কাসেমের সাথে দেখা করে যা বললেন তার স্ত্রী

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তারা।

বেরিয়ে এসে মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন, মৃত্যু ভয়ে ভীত নন মীর কাসেম আলী।  সন্ধ্যায় কাশিমপুর কারা ফটকে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছি। উনি মৃত্যু ভয়ে ভীত নন।  তিনি বলেছেন, এ মৃত্যু শহীদী মৃত্যু।  যারা তাকে ফাঁসিতে ঝুলাচ্ছে তাদের পরাজয় হবে।  এদেশে একদিন ইসলাম বিজয়ী হবে।

পরে মীর কাসেম আলীর স্বজনরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

এর আগে মীর কাসেমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার পরিবারের ৪৩ সদস্য কারাগারে যান।  চার দফায় ৩৮ জনকে তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেন কারা কর্তৃপক্ষ।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ছয়টি মাইক্রোবাসে করে তারা কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ফটকে পৌঁছেন।  এর পাঁচ মিনিট পর কারা কর্তৃপক্ষ সবাইকে কারাগারের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেন।

স্বজনদের সঙ্গে মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুনও ছিলেন।

সূত্র জানায়, কারাকর্তৃপক্ষ মীর কাসেম আলীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দেখা করার জন্য ডেকে পাঠান।

এর আগে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল করিম কাশিমপুর কারাগারে যান।  সেখানে ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন।

ফাঁসি কার্যকরের সময়-ক্ষণ এখনো নির্ধারণ হয়নি।  তবে আজই যে ফাঁসি কার্যকর করা হচ্ছে তা অনেকটাই নিশ্চিত।

ফাঁসি কার্যকরের পদক্ষেপ হিসেবে কারা বিধি অনুযায়ী স্থানীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে অবহিতকরণে চিঠি পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।  একই চিঠি পাঠানো হয়েছে মীর কাসেম আলীর গ্রামের বাড়িতেও।

কারাগারে মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করতে বিপুল সংখ্যক স্বজনের উপস্থিতি, ফাঁসির নির্বাহী আদেশ কারাগারে পৌঁছে দেয়া, কড়াকড়ি নিরাপত্তা, পাশাপাশি ফাঁসির মঞ্চে তৃতীয় দফা ও শেষবারের মতো মহড়া সম্পন্ন করা- এসবই জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের জানান দেয়।

মানবতাবিরোধী মামলায় এর আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করার এ ধরনের প্রস্তুতির বেশ মিল পাওয়া যাচ্ছে।

যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া আর কোনো আসামির ক্ষেত্রে শেষ পর্যায়ের সাক্ষাতের সময় এত বিপুল সংখ্যক পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের সাক্ষাৎ করতে দেখা যায়নি।  মীর কাসেম আলীর ক্ষেত্রে তা দেখা গেল।

এদিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী বসায় কারা কর্তৃপক্ষ ও জেলা পুলিশ।  বিকেলে আরো অতিরিক্ত ৪ প্লাটুন বিজিবি কারাগারের চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছে।

কারা সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে কাশিমপুরের দুটি কারাগারের ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  শেষবারের মত জল্লাদদের মহড়াও সম্পন্ন করা হয়েছে।  যাদের দিয়ে মহড়া সম্পন্ন করা হয়েছে তারা হলেন জল্লাদ দীন ইসলাম, শাহজাহান ও শাহীন।

এ প্রসঙ্গে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, সরকারের আদেশ পেলে যেকোনো একটি মঞ্চে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করার জন্য প্রস্তুত।  এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

আজ রাতেই মীর কাসেম আলীর ফাসি!

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর রায় কার্যকরের নির্বাহী আদেশ গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।

কারাগারের জেল সুপার নাসির উদ্দিন জানান, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল করিম রায় কার্যকরের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশ নিয়ে কারাগারে আসেন।

তবে কখন এই রায় কার্যকর করা হবে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। প্রাণভিক্ষা না চাওয়ায় যেকোনো সময় ফাঁসি কার্যকর হতে পারে মীর কাসেমের।

শনিবার বিকালে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করতে গেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। কারাগারে পৌঁছেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।

এ ছাড়া ফাঁসির মঞ্চ ও জল্লাদরাও প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

গত ৩০ আগস্ট সকালে মীর কাসেমের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।

জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে-নারায়ণগঞ্জে বার্নিকাট

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্টদূত মার্সিয়া বার্নিকাট। আজ (৩ সেপ্টম্বর) সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে নগর ভবনে এ সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের মার্সিয়া বার্নিকাট জানান, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনী যেভাবে কাজ করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

এরআগে সকাল ৯টা ২৪ মিনিটে নগর ভবনের সামনে এসে গাড়ী থেকে নামার পর রাষ্ট্রদূতকে ফুলের অভ্যর্থনা জানান সিটি মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী। এরপর ফুলের পাপড়ী ছিটিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নগর ভবনে বরণ করে নেন সিটি কর্পোরেশনের নারী কাউন্সিলরসহ সিডিসির নারী কর্মকর্তারা।

জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট।

মার্সিয়া বার্নিকাট আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভীর সাথে আমার যতবার কথা হয়েছে, ততবারই আমি নারায়ণগঞ্জে আসার পরিকল্পনা করেছিলাম। কেননা, আমি জানি বাংলাদেশের ইতিহাসে নারায়ণগঞ্জ কেমন ভূমিকা রেখেছে, অর্থনীতিতে কেমন ভূমিকা রাখছে। তাই নারায়ণগঞ্জে আসতে আমি উদগ্রীব ছিলাম। আজ আসতে পেরে অনেক ভাল লেগেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধি দল, নাসিক প্যানেল মেয়র-১ হাজী ওবায়েদ উল্লাহ, প্যানেল মেয়র-৩ শারমিন হাবিব বিন্নি, সচিব মাহমুদুল হক, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ, নগর পরিকল্পনাবিদ মো: মঈনুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার এ সার্কেল মাসুদুর রহমান, ফতুল্লা সার্কেল শরফুদ্দীন, এএসপি (ট্রাফিক) বদরুল আলম মোল্লা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

প্রায় ঘন্টাব্যাপী মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতা শেষে সিটি মেয়র আইভী সাংবাদিকদের জানান, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে এটা মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। নারীদের উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়েছে।