সদর উপজেলার আলীগঞ্জ পশুর হাট নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাইফউল্লা বাদল ও শ্রমিক নেতা কাউসার আহম্মেদের মধ্যে সমঝোতা হলেও ফাতেমা মনির এখনও রয়েছে তার অবস্থানে অনড়।
অনেকের মতে হাট ইজারা নিয়ে পলাশ গ্রুপ ও ফাতেমা মনির গ্রুপের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। কেন না, সাইফউল্লা বাদল পলাশের সঙ্গে সমঝোতায় এলেও পলাশকে এক চুলও ছাড়া না দেয়ার অবস্থানেই রয়েছে ফাতেমা।
এর আগে রোববার নির্ধারিত সময়ের পর পশুর হাটের টেন্ডার জমা দিতে উপজেলায় আসে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির। এসময় পলাশ গ্রুপের সাথে ফাতেমা মনির গ্রুপের বাকবিতণ্ডা হয়।
এ নিয়ে দু` গ্রুপের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
এ ঘটনার পর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার চৌধুরী টেন্ডার বাক্স সীলগালা করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। পরে সোমবার সকালে সকলের উপস্থিতি টেন্ডার বাক্স খোলা হলেও টেন্ডার নিষ্পত্তি না হওয়ায় রিটেন্ডারের ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিকে আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) আলীগঞ্জ হাটের শিডিউল বিক্রি হচ্ছে। এ শিডিউল আগামীকাল (৭ সেপ্টেম্বর) জমা নেয়া হবে।
অপরদিকে জানা গেছে, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লা বাদলের সাথে হাট ইজারা নিয়ে সমঝোতায় এসেছে পলাশ। ফলে বাদল টেন্ডার নিয়ে কোন রকম বাধ সাধবেন না।
তবে ফাতেমা মনির এখনও তার অবস্থানে অনড় থাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে পলাশ গ্রুপের মাঝে। ধারণা করা হচ্ছে এ নিয়ে দু` গ্রুপের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রসঙ্গত, বেশ ক`বছর যাবৎ আলীগঞ্জ পশুর হাট ইজারা নিয়ে আসছিলেন কাউসার আহম্মেদ পলাশ। বিভিন্ন উন্নয়নে হাট থেকে প্রাপ্ত অর্থ কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিলে এ নিয়ে কেউ আর দ্বিমত পোষণ না করে তার পক্ষেই মত দেন।
তবে, অনেকেই অভিযোগ করেন উন্নয়ন কাজে হাট থেকে প্রাপ্ত অর্থ কাজে লাগানোর কথা থাকলেও পলাশ সে অর্থ একাই আত্মসাৎ করেছেন।
এরমধ্যে গত বছর হাটের টাকা আলীগঞ্জ স্টেডিয়ামের গ্যালারী করার কথা থাকলেও পলাশ তা করেন নি বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। যার ফলে এবার নিজ এলাকার লোকেরাও পলাশের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।