৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 212

ফতুল্লা দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে ৫০ সন্ত্রাসী !

বিভিন্ন কারনে অনেকে ছিটকে পড়লেও ফতুল্লায় থেমে নেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এলাকায় প্রভাব ও বিভিন্ন সেক্টর দখলে রাখতে ওরা ছুটছে বেপরোয়া গতিতে। মাঝে মধ্যে প্রশাসন নড়ে বসলেও তা গায়েই মাখে না চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নির্বিগ্নে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে ক্যাডাররা।
সমাজ বিশ্লেষকদের মতে, অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে সন্ত্রাসীরা। অন্য জেলার থানার সাথে সংযোগ থাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরাও এখানে এসে আশ্রয় নেয়।
গত বছরের শেষ দিকে পাগলায় মাদক বিক্রেতা বিল্লাল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে মোক্তার ওরফে কিলার মোক্তার। ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে ডিবি পুলিশের সাথে বন্ধুক যুদ্ধে সহযোগীসহ নিহত হলেও তার বাহিনীর অন্য সদস্যরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পশ্চিম মাসদাইরের সৈনিকলীগ নেতা মোকলেছকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা একই এলাকার কথিত যুবলীগ নেতারা। এ ঘটনায় সিআইডি ১০জনকে দায়ী করে অভিযোগপত্র দেয়।
এরা হলো মিজান ওরফে বড় মিজান, জামান, জসীম, তুহিন, জুয়েল প্রধান, হাসেম, গাফফার, মন্টু , দেলু ও মাসুদ ওরফে মাসুম।
প্রধান আসামীসহ অধিকাংশ এখনো জামিনে থেকে নানা অপকর্ম করছে। এই দশজনের সবাই মাদক সেবন করে, কেউ কেউ মাদক বিক্রি করে।
কবরীর আমলে ফতুল্লায় সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শ্যুাটার সোহেল খুন হয় দলীয় আধিপত্যের কোন্দলে। এ মামলার আসামী কেউ কায়দা করে চার্জসিট থেকে রেহাই পেয়েছে। আবার কারো নাম থাকলেও তারা বীরদর্পে এলাকা চষে বেড়াচ্ছে।

বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, খুন করার পর ছাড় পেয়ে গেলে অপরাধী আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। যা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটছে। সমাজ থেকে অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে আনতে সকল অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি কার্যকর করতে হবে। যাতে তারা পূনরায় অপরাধ কর্মকান্ডে জড়াতে সাহস না পায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ‘৯৬ আমলে ফতুল্লায় প্রকাশ্যে গোলাগুলি করতো সৈয়দ মাসুদ ওরফে টুন্ডা মাসুদ। এখন টুন্ডা সে ছ্যাচড়া, চেয়ে চিন্তে খায়।
অন্যদিকে একসময়ের যুবদল ক্যাডার পিস্তল মিঠু খ্যাত তুষার আহমেদ মিঠু এখন লেবাস পাল্টে একটি স্কুল কমিটির সাথে জড়িত রয়েছে। তবে এখনো ফতুল্লা দাবড়ে বেড়ায় অনেক ভয়ংকর সন্ত্রাসী।
এ ছাড়াও ভূমি দস্যুতা, তেল চোর, ডাকাতি, ছিনতাই, ভাড়াটে খুনী ও মাদক বিক্রেতাদের অভয়স্থলে পরিণত হয়েছে ফতুল্লা।
এদের মধ্যে ফতুল্লার ফরহাদ, বাঘা আরিফ, পোস্টঅফিস সরদার পাড়া এলাকার ইয়াছিন, যুবদল ক্যাডার মুসলিম, দাপা এলাকার ডাকাত সেন্টু কাজী, জাকির, ডাকাত শহীদ, সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি লিটনের ভাই মাসুম, রেলস্টেশন ব্যাংক কলোনী এলাকার পলাতক খেলাফত, ফেলা, বর্তমানে জেলে থাকা দিন ইসলাম ও লিপু, মাথা ফাটা জসীম, আলীগঞ্জের ডাকাত ফারুক, কিলার মতি, ইবু, পাগলা শাহী মহল্লার মীর হোসেন মীরু, ভাগনে শাকিল, লাঁলখার ডাকাত রতন, সাহাবুদ্দিন, তল্লা এলাকার আলী (মাস্টার দেলুর ভায়রা ), উত্তর মাসদাইর গাবতলীর নাডা শাহিন, রফিক, মাসদাইর এলাকার আব্দুল, আলী, স্বপন, ছোট মিজান, জহির, নাডা ফারুক, নাদিম, পশ্চিম দেওভোগের পোড়া মামুন, শাসনগাঁওয়ের ফেন্সী রাসেল, মিন্টু, রুবেল, এনায়েতনগরের রহমান, সুমন, কাশিপুরের ইকবাল শেখ, খোকা মেম্বার, নরসিংপুরের গেসু হাজী, তার ছেলে শামীম ও ইয়াবা জামান, আরিফ, আওলাদ, মাসুদ, ভোলাইলের সুরুজ মিয়া ও সুমন সহ তাদের সহযোগিরা স্ব স্ব এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনেকের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কেউ কেউ নানা লেবাস ধরে সমাজে ভদ্রলোকের মুখোশ পড়ে আছে। আর এই মুখোশধারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে আরো বড় লেবাসধারীরা। যাদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রভাশালী নেতা, ব্যবসায়ী নেতা, শ্রমিক নেতাও রয়েছে।
তবে প্রশাসনের কতিপয় সদস্যরাও সন্ত্রাসীদের সাথে আতাঁত করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে থানা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির এক শীর্ষ নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, ফতুল্লা থানায় প্রতি রোজায় ইফতার পার্টির আয়োজনে নিমন্ত্রণ পায় তেল চোর ও সন্ত্রাসীরা। তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় বলে ক্ষুব্দ কন্ঠে জানান তিনি। সময় নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের কাচঁপুরে সিনহা গ্রুপের পোশাক কারখানায় আগুন

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে সিনাহ গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট।

সোমবার সকাল সাতটার দিকে সিনাহ গ্রুপের ওই পোশাক কারখানার ১২ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপকতা ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ সম্বন্ধে প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত কোন তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

হাসপাতালের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ৭ সাংবাদিক কারাগারে

তানিয়া আক্তার(ছদ্মনাম) নামের মহিলার বাড়ি মিজমিজি কান্দাপাড়ায়। তিন মাস আগে সাইনবোর্ড এলাকার ফ্যামিলি ল্যাব নামে হসপিটালে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। সন্তান সম্ভববা এ নারীকে প্রথমে সিজারের কথা বলে ১৪ হাজার টাকা ও পরে পর্যায়ক্রমে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের নাকানি চুবানী দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।
এমনি ভাবে শুধু তানিয়াই নয় আরো ডজন খানেক মহিলার সাথে হাসপাতালটির প্রতারণার অভিযোগ উঠলে সেই তথ্যের সত্যতা জানতে সাংবাদিকের একটি টিম হাসপাতালে গেলে কোন কথা না বলেই হাসপাতালের ডিরেক্টর বেলাল হোসেন পুলিশকে খবর দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে তাদের যড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজি দিয়ে থানায় পুরে দেয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি সরাফত উল্লাহও আনন্দের সাথে বাদিকে চা বিস্কিট খেয়ে মামলা নিয়ে নেন কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই। এতে থানায় আগত প্রায় ৩০-৪০জন সাংবাদিকের কোন কথারও কর্নপাত করেন নি তিনি।
গ্রেফতারকৃত সাংবাদিকরা হলেন, দৈনিক ভোরের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার নুরূজ্জামান কাউসার, সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ মো: খালিদ রাসেল, দৈনিক দেশ কাল পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া, দৈনিক বর্তমান এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল হালিম নিশান, দৈনিক রুদ্রবার্তার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ফারুক হোসেন, দৈনিক দিন কালের ডেমরা প্রতিনিধি ও ডেমরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আই ফারুক, মানবাধিকার কর্মী আব্দুস সাত্তার।
এদিকে সাংবাদিকদের সাথে এ ধরনের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজ। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নেতা ও বিটিভির নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান বলেন এ ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কার জনক। যারা অহেতুক সাংবাদিকদের হয়রানী করে উদ্দেশ্য প্রণীত ভাবে মামলা দিয়েছে তারা কখনোই সত্যকে আড়াল করতে পারবেনা।
বেসরকারী টেলিভিশন আরটিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের সকল খবর তুলে নিয়ে আসে। অসংকোচ প্রকাশে যারা দুরন্ত সাহস নিয়ে সমাজের অন্ধকার ঘুচাতে কাজ করে তারাই হলো সাংবাদিক। সাংবাদিকদের যারা উদ্দেশ্য প্রনীত ভাবে মামলা দিয়েছে তারা কখনোই স্বার্থক হতে পারবেনা বলেও হুশিয়ারী দিয়েছেন তিনি।

 

ফতুল্লার কুতুবপুরে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার অধ্যায়ের অবসান হলেও অধরা তার গডফাদাররা

স্টাফ রিপোর্টারঃ রহস্যজনক নিখোঁজ ফতুল্লার কুতুবপুরের এক সময়ের আতঙ্ক কিলার সজল বাবুর্চির অন্যতম সহযোদ্ধা ছিল গত বুধবার সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত কিলার মোক্তার। ফতুল্লার এক শ্রমিক নেতার হাত ধরে উত্থান হলেও পরবর্তীতে তোফাজ্জলের ঘনিষ্ঠজন হয়ে ওঠা মোক্তার তোফাজ্জল নিহতের পর সজল বাবুর্চির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে কুতুবপুর, কদমতলী ও সিদ্ধিরগঞ্জে একের পর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে এমন অভিযোগ কুতুবপুরের সাধারন মানুষের। কুতুবপুরের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীরুকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে ক’জন কিলার সন্ত্রাসী মিশনে অংশ নিয়ছিল তাদের মধ্যে নিহত কিলার মোক্তার অন্যতম। কিলার মোক্তারের সাথে স্থানীয় এক প্রভাবশালী যুবলীগ নেতারও সখ্যতা রয়েছে। এই নেতার ছত্রছায়া থেকে দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে ওঠে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার ও তার সহযোগী মানিক। সূত্র বলছে, কিলার মোক্তারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পেছনে এখানে শেষ নয়, কিলার মোক্তারের অর্থের যোগানদাতাদের মধ্যে রয়েছে সাইনবোর্ড এলাকর অপর মূর্তিয়মান আতঙ্ক সন্ত্রাসী সুরুজ বেপারী ও মাতুয়াইলের শামীম। সুরুজ বেপরী মোক্তারকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগীতা করতো। সুরুজ বেপারীর হয়ে বেশ কিছু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অংশ নিতে দেখা গেছে কিলার মোক্তারকে। অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি কুতুবপুরের এক যুবলীগ নেতাকে হত্যার মিশনে নেমেছিল নিহত কিলার মোক্তার ও তার বাহিনী। ওই যুবলীগ নেতা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও ডিবি পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পায়নি কিলার মোক্তার ও তার সহযোগী মানিক। স্থানীয়দেও মতে, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ যা পারেনি, ডিবি পুলিশ তা করে দেখিয়েছে। তবে থানা পুলিশের একাধিক টিম কিলার মোক্তারকে গ্রেফতাওে বার বার চেষ্টা চালিয়েছে বলে থানার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে জানাগেছে। তবে কুতুবপুরবাসীর দাবি, কিলার মোক্তারের যারা গডফাদার এবং আরো যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। এ ব্যাপারে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে তারা। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার শাহী বাজার আমতলা এলাকার যুবলীগের কথিত নেতা খোকন, সাইবোর্ড এলাকার সুরুজ বেপারী ও মাতুয়াইলের শামীমের ছত্রছায়া থেকে দীর্ঘদিন ধরে কুতুবপুর জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। হত্যা, ছিনতাই, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়েছে কিলার মোক্তার। তোফাজ্জলের মৃত্যুর পর কিলার মোক্তার ভোল পাল্টে সজল বাবুর্চির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে আলোচনায় উঠে আসে। এর আগে বিএনপির বেশ ক’জন নেতার সাথে সখ্যতা ছিল মোক্তারের। তবে বিএনপি ক্ষমতায় না আসায় মোক্তার আওয়ামী লীগের নেতাদেও সাথে ফেল সখ্যতা গড়ে তুলে কুতুবপুরে ফিরে এসে সজল বাবুর্চির দলে ভিরে যায়। এর পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার ও তার বাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিলার মোক্তার কোন দলের না হলেও যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সে দলের ক্যাডার হিসেবে ব্যহৃত হয়েছে। একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সামনের সাড়িতে থেকে অংশ নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে কিলার মোক্তার। যাদের হাত ধরে তার সন্ত্রাসী হয়ে ওঠা এক সময় তাদের জন্যই কাল হয়ে দাড়াঁয় এই সন্ত্রাসী। অনুসন্ধানে জানাগেছে, কুতুবপুরের জমি দখল, মাদক ব্যবসা, লিংক রোডে ছিনতাই কাজে ব্যবহার হয়েছে সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার। আর এসব অপকর্ম করতে গিয়ে মোক্তারের হাতে প্রাণ হারিয়েছে অনেক নিরহ মানুষ। সম্প্রতি সাইন বোর্ড এলাকার সুরুজ বেপারী, আমতলার খোকন, ও মাতুয়াইলের শামীমের শেল্টারে থেকেই পুরো কুতুবপুর জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়ে করেছিল মোক্তার। স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা মীরুকে হত্যার চেষ্টার সাথে মোক্তার জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। হত্যার চেষ্টা করেছে স্থানীয় অপর এক যুবলীগ নেতাকে। তবে নিলার মোক্তারের গডফাদারদেও আইনের আওতায় আনা গেলে মোক্তারের অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন কুতুবপুরের বাসিন্দারা।

বক্তাবলীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমানের দেশীয় অস্ত্র ‘টেটা-বল্লম’ উদ্ধার

ফতুল্লার বক্তাবলীতে বিশেষ এক অভিযানে চারশ’ বল্লম উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফতুল্লা থানা পুলিশ ও সিরাজদিখান থানা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে আকবর নগরে এই অভিযান চলে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দীন ফতুল্লা থানা পুলিশের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ঘটনাস্থল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন মুঠোফোনে জানান, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ এই অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে আমাদের সাথে মুন্সিগঞ্জের সিরজদিখান থানা পুলিশও অংশ নেন।

তিনি বলেন, আমাদের (ফতুল্লা) থানার অন্তর্ভূক্ত বক্তাবলীর আকবর নগর থেকে আমরা দেড়শ’ টেটা ও বল্লম উদ্ধার করি। একই অভিযানে সিরাজদিখান থানা পুলিশ তাদের অংশ থেকে প্রায় আড়াইশ’র মতো টেটা ও বল্লম উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় দশজন। এছাড়া প্রতিপক্ষ সামেদ আলীর লোকজন আলী হোসেনর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ লুটপাট করে। এ ঘটনার জের ধরেই পুলিশ ওই অভিযান চালায়।

তবে অভিযানকালে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার সাথে যারা সম্পৃক্ত তারা মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সর্বদাই সতর্ক। এমন অভিযান ধারাবাহিকভাবেই চলবে।

ফতুল্লায় ডি.বি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২ সন্ত্রাসী নিহত-অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার ও তার সহযোগি মানিক ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে।

২২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় পাগলার দেলপাড়া ক্যানেলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের লাশ নারাযনগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবারসহ ২টি ধারালো অস্ত্র ৮ রাউন্ড গুলি এবং ২টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে।

নিহত কিলার মোক্তার শাহিবাজার নিশ্চিন্তপুর এলাকার মনির মিস্ত্রীর ছেলে এবং তার সহযোগি মানিক নয়ামাটি এলাকার মৃত আব্বাস মিয়ার ছেলে।

নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ সার্কেল শরফুদ্দিন জানান, নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত ৪নং সন্ত্রাসী কিলার মোক্তার ও তার সহযোগিদের গ্রেফতারের জন্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। ২২ ফেব্রুয়ারী বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় পাগলা দেলপাড়া ক্যানেলপাড় এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে কিলার মোক্তার ও তার সহযোগিরা গুলি বর্ষন করলে পুলিম পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় কিলার মোক্তার ও তার সহযোগি ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে জেলা গোযেন্দা পুলিশের এএসআই আবদুল আজিজ আহত হয়।

উল্লেখ্য, কিলার মোক্তার পাগলা ,সাইনবোর্ডসহ আশপাশ এলাকায় সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করে আসছিল। ঢাকা-নারায়নগঞ্জ লিংক রোডে বাস থামিয়ে গুলি করে স্বর্ন ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে হত্যার পর স্বর্ণ লুটের মামলার অন্যতম আসামী কিলার মোক্তারকে গ্রেফতারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।

নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে বেজে উঠেছে বিদ্রোহের সুর

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মাহানগর বিএনপির নতুন কমিটি নিয়ে ফুঁসতে শুরু করেছে পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে নতুন কমিটি বিরুদ্ধে গোপন বৈঠক করেছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্রে জানাগেছে। কেন্দ্র থেকে ঘোষিত বর্তমান কমিটিকে মেনে নিতে পারছে না জেলা ও মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরা। যারা এতো দিন রাজপথে সক্রীয় ছিল তাদের নাম বাদ দেয়ায় নেতারা ফুঁসে উঠেছে। ইতোমধ্যে মহানগর বিএনপির নেতা আ: মজিদ বর্তমান কমিটি নিয়ে তার বক্তব্য তুলে ধওে গুমাধ্যমে বিবৃতি প্রেরণ করেছেন। তিনি বর্তমান কমিটি মানেন না বলে দাবি করেছেন। তার বক্তব্য, দলেল যারা ত্যাগী নেতা তাদের বাদ দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের আতাঁতাকারী, বিদ্রোহী ও সংস্কারপন্থি হিনেবে পরিচিতদের নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মাহনগর বিএনপির কমিটিগঠন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তৃনমূলের কোন মতামত নেয়া হয়নি বলেও তিনি দাবি করেছেন। এদিকে,নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটি নিয়ে দলের ভেতরে বিদ্রোহের সুর বেজে ওঠায় এ নিয়ে বিএনপিতে নতুন করে অস্থিরতার আশঙ্কা করছে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। জেলা ও মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটি নিয়ে যে ক্ষোভ তা প্রকাশ্যে রূপ নিবে। আর এই ক্ষোভ সংঘাতের দিকে ধাবিত হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধা মহল। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতে, বর্তমান কমিটি ঘোষণার মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ধ্বংসের পায়তারা চলছে। তাদের অভিযোগ, মাদক থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী কর্মকাÐে সম্পৃক্ত রয়েছে এমন বহুজনকে দুই কমিটির মধ্যে পদায়ন করা হয়েছে। আর উপেক্ষা করা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকা অনেক ত্যাগী ও সক্রিয় নেতাকে। তবে গঠিত বিএনপির জেলা ও মহানগর কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছে তাদের অনেকেই সাশক দলের দালাল হিসেবে পরিচিত। সূত্র বলছে, জেলা বিএনপিতে ঘাতক নূর হোসেনর ঘনিষ্ঠজন থেকে শুরু করে বিএনপির কর্মীদের উপর হামলা, গুলি বর্ষণ করা ব্যক্তিরাও স্থান পেয়েছে। শুধু স্থানই নয়, গুরুত্বপূর্ণ পদের তাদের পদায়ন করা হয়েছে। আবার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মাঠে দেখা যায়নি এমন ব্যক্তিদেরকেও গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে। যা মেনে নিতে পারছে না বিএনপির অনেকেই। জেলা ও মহানগর বিএনপির মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মতে, জেলা ও মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটিতে যারা রয়েছে তাদেও বেশীর ভঅগই নিস্ক্রীয় নেতা হিসেবে পরিচিত। বর্তমান পদধারী নেতাদেও মধ্যে বিগত দিনের সরকার বিরোধী আন্দোলনে নামেনি। ওনসময় অনেক নেতা ক্ষমতাসীন দলেল নেতাদের সাথে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে দেখা গেছে। কেউ কেউ ক্ষমতাসীন দলেল নেতাদের সাথে আতাঁত করে প্রকাশ্যে চলাফেরাও করেছে। আর যারা দলের হয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে জেল,জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেছে তাদেরকে এবারের কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়নি। বিএনপির কর্মীদের প্রশ্ন তবে কি জেলা ও মাহাগর বিএনপির কমিটি ক্ষমতাসীন দলেরই আতাঁতের ফসল? তবে জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে দলের ভেতরের ত্যাগী নেতাদের ফুঁসে উঠেছে। যে কোন সময় প্রকাশ্যে এই কমিটির বিরুদ্ধে বিদ্রাহী করা হবে বলে বিএনপির বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। কমিটি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অবস্থা নেয়া নেতাদেও মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা করছে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দেয়ায় আগামীতে বিএনপির জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। সামনের দিকে বিএনপির রাজনীতি সংঘাতের দিকে ধাবিত হব।

ফতুল্লার বক্তাবলীতে কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৭’ ব্যাচের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন

ফতুল্লার বক্তাবলীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালিত হয়েছে। কানাইনগর ছোবহানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, কালো ব্যাজ ধারন ও পতাকা অর্ধ-নমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। এছাড়াও কানাইনগর ছোবহানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ইং ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন,আহাম্মদ আলী,আঃ আজিজ,মোঃ জসিম খাঁন,মোঃ জনি,সোরহাব,মোঃ নাজমুল,মোঃ মামুন, মোঃ কামাল,মোঃ দেলোয়ার, ইকবাল মেম্বার,মোঃ রুবেল,  মোঃ সারোয়ার,মোঃ ইকবাল,মোঃ লিটন,মোঃ আবু সাইদ,মোঃ মতিন, মোঃ শহিদ,মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ আনোয়ার হোসন,মোঃ দেলোয়ার হোসেন,মোঃ রাছেল,মোঃ শাহিন, মোঃ আলি,জামাল সরদার,আমির হামজা জাহাঙ্গীর, মোঃ পিয়ার হোসেন পিন্টু ও আবুল কালাম ‍আজাদ প্রমূখ।

 

চালকহীন রয়েছে অঙ্গ সংগঠনগুলো \ পদ ব্যবহার করে চলছে ভাগ্য বদলের চেষ্টা \ উঠে আসছে না নতুন নেতৃত্ব নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ পূর্নগঠনে উদাসিন জেলার শীর্ষ নেতারা!

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ সমর্থিত এমপি ও জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নমূখী হলেও দলগুছানোর কাজে কেউ মনোযোগী হচ্ছে না। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি আংশিক গঠনের মধ্যদিয়ে দায়িত্ব শেষ হলেও পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের ব্যাপারে কারো যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। মহানগর কমিটি গঠন হলেও জেলা কমিটি নিয়ে চিন্তিত রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তবে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি দলকে সাংগঠনিক ভাবে আরো বেশী শক্তিশালী করতে কাজ করার নিদের্শ দিয়েছে। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ তিন নেতা দলগুছানের ব্যাপারে চরম উদাসিন এমন অভিযোগ খোদ আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইতোপূর্বে এশাধিকবার জানিয়েছেন, জেলঅ আওয়অমী লীগের খড়সা কমিটি জমা দেয়া হয়েছে, যে কোন সময় ঘোষণা আসবে। তবে জেলঅ আওয়ামী লীগ কবে পূর্নাঙ্গ রূপ পাবে এনিয়ে সংশয় রয়েছে এমন দাবি কর্মীদের। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরাও জেলা আওয়ামী লীগের পাশাপাশি থানা কমিটিগুলোকে পূর্নগঠনের ব্যাপারে উদাসিন রয়েছে বলেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ। অনুসন্ধানে জানােেছ, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ছাড়া উপজেলা ও থানা কমিটিগুলো চলছে মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটি দিয়ে। বেশীর ভঅগ কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে অনেক আগেই। আর যারা পদে রয়েছে তারাও কমিটি গঠনের ব্যাপারে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে চলছেন এমন অভিযোগ আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরে অভিযোগ,পদধারী নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই জেলা ও থানা কমিটিগুলো পূর্নগঠন কাজ থমকে আছে। পধারী নেতাদের পদে মোহ ছাড়তে পারছেন না। যে কারণে জেলা আওয়ামী লীগ এখন রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থান জন্য শীর্ষ নেতাদের বিরোধই দায়ি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জেলা আওয়ামী লীগ পূর্নগঠনে ব্যর্থ হলে এর মাশুল গুনতে হবে দলের শীর্ষ নেতাদের। জেলা আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের একাধিক নেতার সাথে আলাপকালে জানাগেছে, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেও বিরোধের কারণেই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এই রুগ্ন অবস্থা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাংসদরা দলকে সাংগঠনিক ভাবে গুছানের ক্ষেত্রে তেমন ভূমিকা পালন করছেন না। জেলা কমিটি গঠনের পরও বিরোধ পিছু ছাড়ছে না আওয়ামী লীগের রাাজনীতি থেকে। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে তিনজন থাকলেও তিনজনের মধ্যেও বিরোধ রয়েছে। ইতোমধ্যে আ:হাই ও আইভী এক বলয়ে রয়েছে, সাধারন সম্পাদক ভিপি বাদল রয়েছে অন্য বলয়ে। আর এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে বিভাজন দেখা দিচ্ছে। দিনে দিনে এই বিভাজন মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগের তৃনমূল। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির পাশাপাশি মহানগর কমিটি নিয়েও সমালোচনার অন্ত নেই। দুই জনের কমিটি দিয়ে দেড় বছর পার কওে পূর্নাঙ্গ কমিটি হলেও ওয়ার্ড কমিটিগুলোকে এখনো সাজাতে পারেনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারন সম্পাদক খোকন সাহা এমন অভিযোগ মহানগর আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। অপরদিকে, মূল দলের পাশাপাশি অঙ্গ সংগঠনগুলোও কোন রকম চলছে। জেলা যুবলীগ, ছঅত্রলীগ, স্বেচ্ছা সেবক লীগ, কৃষকলীগ এখন ঢিমেতালে চলছে। কোন সংগঠনেরই মেয়াদ ন্ইে। এদের মধ্যে কমিটি থাকলে মেয়াদ ফুরিয়েছে অনেক আগে, আবার কোন কোন সংগঠন চলছে আহবায়ক কমিটি দিয়ে। তবে পদ ব্যবহার কওে লাভবান হলেও দল কিংবা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কেউ আন্তরিক হয়ে কাজ করছে না কর্মীদের এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোতে ্খনি যদি ঢেলে সাজানো না যায় তা হলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পরবে বলে মনে করছেন বোদ্ধা মহল।

খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠালে নির্বাচন হবে না: মির্জা আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে জেলে পাঠানো হলে দেশে নির্বাচন হবে না। এমন নির্বাচন দেয়া হলে দেশের মানুষ এতে অংশ নেবে না।

বুধবার বিকালে ডিআরইউতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে দলীয় ব্যক্তি আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, নুরুল হুদা ছাত্ররাজনীতি করেছেন। ২০০৮ সালে নির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগের প্রচারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। যার সব প্রমাণ আছে বলে দাবি করেন মির্জা আলমগীর।

নতুন নির্বাচন কমিশনের শপথ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের একটা আশা ও আস্থা ছিল যে, রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগের জায়গা থেকে উঠে এসে তিনি দেশে ও মানুষের জন্য একটি ভুমিকা রাখবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ও ভুমিকা রাখতে পারেননি। তিনি যে সার্চ কমিটি গঠন করছেন এটা নিয়ে আমারা ইতোমধ্যে বলেছি তা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

মির্জা আলমগীর বলেন, এই কমিশনের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা তা নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগে থেকে কোনো কিছু বলা যাবে না। কারণ জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য নির্বাচনের ফল কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু সেই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন। এ জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

আওয়ামী লীগ জেনে শুনে জনগণের অধিকারকে হরণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের অধিকারকে তারা পুরোপুরি লুট করে নিয়ে গেছে। কারণ তারা জনগণ যে মতামত দিবে সেই মতমত কোনো দিনই তাদের পক্ষে যাবে না। তারা অতীতে যা করেছিল এখনো তাই করছে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। আমরা গণতন্ত্র ও নির্বাচন চাই। নির্বাচনের মধ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাই। আওয়ামী লীগ যে ফাঁদ পেতেছে ও নীল নকশা তৈরি করেছে সেই নীল নকশার মধ্য দিয়ে কী নির্বাচন হবে? সেই নির্বাচন কখনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। সেই নির্বাচনে জনগণের আশা আঙ্খাকার প্রতিফলন ঘটবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ড. ইউনূস আমাদের গর্ব। সারা পৃথিবী তাকে সম্মান দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি তাকে ব্যক্তিগতভাবে শত্রু চিহ্নিত করেছেন। কারণ, লোকে বলে, নোবেল পুরস্কার নাকি আপনার প্রাপ্য ছিল।

‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সহায়ক সরকারের দাবি’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ পিপপলস পার্টি (এনপিপি)। সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।