৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 187

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে দ্বিপাক্ষিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি-প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজঃ সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক রেখেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলের জোর সমর্থন আদায়ে সফল হয়েছে। আমরা কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যহত রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বুধবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদন করতে বাংলাদেশ একটি খসড়া হস্তান্তর করেছে। এটি নিয়ে দুই দেশই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশ সোচ্চার হয়েছে। দ্রুত বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলের নজরে আনা হয়েছে। অসহনীয় নির্যাতন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত গঠন ও মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য কূটনৈতিক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের জোর প্রচেষ্টা চালানোর ফলেই রোহিঙ্গাদের অধিকারের পক্ষে আজ বিশ্ব জনমত গঠিত হয়েছে।’
সংরক্ষিত আসনের সেলিনা জাহান লিটার এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, ‘মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়া ছিল আমাদের অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এ কারণে বাংলাদেশের নাম আজ বিশ্বনেতাদের কণ্ঠে গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করাসহ এ সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছি। মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে বিশ্বনেতারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন, বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’ প্রধানমন্ত্রী জানান, দৈনিক গড়ে ১১ হাজার মিয়ানমারের নাগরিকের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হচ্ছে। গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬০ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ জানান।
সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ ও এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছরের বন্যায় ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও সামগ্রিক খাদ্যশস্য উৎপাদনে তেমন ঘাটতি হবে না। খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি।’

মিনারা সুলতানার কবিতা

ভেঙ্গে যাক বৈষম্যের দেয়াল
……..মিনারা সুলতানা

আবার বৃষ্টি নামুক এক অসময়ের বৃষ্টি,
ঘুরে ঘুরে উড়ে উড়ে চলা
ঘন কাল মেঘগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরুক।
ধুয়ে মুছে যাক অসময়ের সকল কালো ছাপ।

শেষ রাতের তারাগুলো গোনা শেষে
আরও একটি ভোর আসুক,
নেমে আসুক কমলারাঙা সূর্যটা,
নরম আলোয় হারিয়ে যাক সকল আধার।

কোনো এক বৈশাখের বিকেলে
আবারো একাটি ঝড় আসুক,
ভেঙ্গে যাক শ্যাওলা জমানো বৈষম্যের দেয়াল।

অসময়ে বেড়ে ওঠা পরগাছারা
ঝরে পরুক জীবন হোক অরন্যময়।
দিনশেষে আকাশচারী পাখিটাও ঘরে ফেরে,
মাটির অতল গভিরে অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা
সরীসৃপটাও বেরিয়ে আসে আলোর খোঁজে,
শেষ পথটাও নাগাল পায় নতুন পথের।

ফতুল্লায় কিশোর শ্রমিককে অপহরন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় স্বপন (১৬) নামে এক কিশোর শ্রমিককে অপহরণ সহ মুক্তিপণ দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বপন কিশোরগঞ্জের ইটনা থানাধীন নয়ানগর এলাকার মোঃ সুরুজ মিয়ার ছেলে। সে ফতুল্লার সাইনবোর্ড শান্তিধারা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো। এ ব্যাপারে ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার স্বপনের বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে ৩জনকে অভিযুক্ত করেছেন অপহৃত শ্রমিকের বাবা মোঃ সুরুজ মিয়া। এরা হলো, সাইনবোর্ড গিরিধারা এলাকার মোঃ রনি (২০) ও একই এলাকার সঞ্জু মিয়ার ছেলে মোঃ শুভ (১৯) এবং মোস্তফার ছেলে আল-আমিন (২০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত স্বপন সাইনবোর্ড শান্তিধারা ৫নং রোডস্থ মিতু ষ্টোর নামক একটি হোসিয়ারী কারখানায় চাকুরী করে আসছিল। গত সোমবার ১৩ নভেম্বর রাত ১০ টার দিকে স্বপন তার চাকুরীরত হোসিয়ারী থেকে কাজ শেষে বেতন উত্তোলন করে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। কিন্তু এরপর থেকে আর বাসায় ফেরা হয়নি স্বপনের।
এদিকে স্বপনের পিতা ও পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান মিলছিল না। এর ১ সপ্তাহ পর গত ২০ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যা প্রায় ৬টার দিকে স্বপনের বাবা মোঃ সুরুজ মিয়া স্বপনকে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ফতুল্লার সাইনবোর্ড শান্তিধারা আশরাফিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন ব্রিজের উপরে আসলে মোঃ রনি, মোঃ শুভ এবং আল-আমিন সুরুজ মিয়ার কাছে মুক্তিপন স্বরুপ ১৫ হাজার টাকা দাবী করে জানায়, স্বপন তাদের হেফাজতে রয়েছে। তাকে অক্ষত অবস্থায় পেতে হলে ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপন দিতে হবে। সে সাথে কোন ধরনের আইনের আশ্রয় নিলে স্বপনকে জীবিত পাওয়া যাবে না।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, ঘটনার বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ নেয়া হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিত পুলিশের অভিযান চলমান আছে।

ঢামেক থেকে চুরি হওয়া শিশু ফতুল্লায় উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন থেকে চুরি হওয়া শিশু কন্যা জিমকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে ফতুল্লার কাশীপুর খিলমার্কেট জুয়েল এর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। ফতুল্লা থানার এসআই সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শাহবাগ থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে শিশু জিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। শিশুটি এখন ফতুল্লা থানায় আছে। শিশুটির মা সুমাইয়া আক্তার ও খালাতো ভাই আফসান শিশুটিকে শনাক্ত করেছেন। এদিকে শিশু চুরির ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক (ফাইন্যান্স) বিদ্যুত কান্তি পালকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. কে এম তারিক জানান, আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে শিশু চুরির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবু জাহের ও উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সাইদুজ্জামান।
এদিকে, আটক জুয়েলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, শিশুটিকে তার মা সুমাইয়া আক্তার গতকাল আমার স্বামী জুয়েল এর কাছে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়।
তবে, চুরি হওয়া শিশু জিমের মা সুমাইয়া বেগম জানান, হাসপাতালের (ঢামেক) নতুন ভবনের ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডের ৪০ নম্বর বেডে আমার স্বামীকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। মনোয়ারা বেগমের শ্বশুরকেও আমাদের পাশের বেডে ভর্তি করা হয়। আমার ও মনোয়ারার স্বামী উভয়ের নামই জুয়েল। এই সুবাদে তাদের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক তৈরী হয়।
তিনি আরো জানান, ২০ নভেম্বর সোমবার রাতে মেয়েকে তার বাবার সাথে বেডে রেখে আমি বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত অনুমান সাড়ে ১২টার দিকে সজাগ পেয়ে দেখি জিম (মেয়ে) নেই।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের বাসিন্দা মো. জুয়েল অসুস্থতার কারণে গত ৩১ অক্টোবর থেকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এরপর থেকে স্ত্রী মাজেদা তার শিশু কন্যা জিমকে নিয়ে হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন।

নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের পেন্ডেল ভেঙ্গে দিয়েছে পুলিশ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫২তম জন্মদিন পালন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের আয়োজিত পেন্ডেল ভেঙ্গে অনুষ্ঠান ভন্ডুল করে দিয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার বিকেলে উপজেলার ভুলতা (নাহাটি) ঘটে এ ঘটনা। এ ঘটনায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

আয়োজকরা জানান, তারেক রহমানের ৫২তম জন্মদিন পালন উপলক্ষ্যে বিকেলে ভুলতা (নাহাটি) এলাকায় কেক কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা। ওই অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আনোয়ার সাদাত সায়েমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকার কথা ছিলো। বিকেলে ভুলতা ফাঁড়ি পুলিশের একদল ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে পেন্ডেল ভেঙ্গে কাপড় ছিড়ে ফেলে। এসময় পেন্ডেলে থাকা চেয়ার গুলো ছুড়ে ফেলে পুলিশ।

তবে, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, কেক কাটার নামে একটি গ্রুপ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে বলে পুলিশের কাছে সংবাদ ছিলো। এলাকার শান্তি শৃংখলা রক্ষার স্বার্থে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, বিকেলে উপজেলার তারাব পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ৫২ পাউন্ড কেক কেটে ও বিশেষ মোনাযাত করেছেন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাহাফুজুর রহমান হুমায়ূনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাছিরউদ্দিন বাচ্চু, শফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মজিবুর রহমান ভূইয়া, নাসিরউদ্দিন ভূইয়া, আব্দুল মতিন, আশ্রাফুল হক রিপন, সানাউল্লাহ মিয়া, পাপ্পু,শাহিনা আক্তার, কাজী আহাদ,হাওয়া বেগম প্রমুখ।

বক্তাবলীর লক্ষীনগরের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী মতিন গ্রেফতার

নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর লক্ষীনগর গ্রামের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল মতিনকে ২৫০ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

১৯ নভেম্বর রবিবার বিকালে বক্তাবলী ফেরিঘাট হতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো.মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান শেখ ও টুটুল মোল্লা সঙ্গীয় ফোর্সসহ লক্ষীনগর গ্রামের মৃত.দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মতিনকে আটক করে। এ সময় তার কোমড়ে লুকিয়ে থাকা ২৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। মো.আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে অপহৃত শিশু গাজীপুরে উদ্ধার

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে অপহৃত শিশুকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। এসময় অপহরণকারিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সিআইখোলা এলাকার ফারিয়া টেইলার্স থেকে এক শিশুকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত শিশুটির নাম ফারিহা (১) ফারিয়ার বাবার নাম শাহ আলম। সে ফারিয়া টেইলার্সের মালিক।

পুলিশ অপহরনকারি দেলোয়ার হোসেন (২৩) আটক করেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নারায়নগঞ্জের অতিঃ পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন বলেন বুধবার বেলা ৩ টার দিকে শাহ আলমের দোকানের কর্মচারি তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেলোয়ার ফারিয়ার বাবা শাহ আলমের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ বিষয়ে শাহ আলম বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয় গাজিপুরের নবপাড়া এলাকায়। পরবর্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রাসেল সংগিয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে গাজিপুর নবপাড়া এলাকার বিআরটিএর আবাসিক কোয়াটার থেকে অপহৃত ফারিয়াকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণ কারি দেলোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দেলোয়ারকে আসমি করে একটি অপহরন মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

ফতুল্লায় সৃজন হাউজিংয়ের মালিক প্রতারক শামীম তারেক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গত ১৫ নভেম্বর রাতে কুতুবপুর এলাকায় সৃজন হাউজিংয়ের মালিক মহা প্রতারক মো. শামীম তারেককে (৪৬) প্রতারনার মামলায় গ্রেফতার করে।

মিনারা সুলতানার কবিতা

 

মানুষ হই
মিনারা সুলতানা

যান্ত্রিক শহরের যান্ত্রিকতায়
হারিয়ে ফেলেছি মানবিক অস্তিত্ব
তবে আয় আবার মানুষ হই।
প্রতিনিয়ত বুকের উপর বেড়েই চলেছে লাশের মিছিল।
সভ্য শহরে অসভ্যদের বাস।
শিরায় উপশিরায় প্রবাহমান বর্জ্য রক্ত
তবুও যেন অত্রিপ্ত আত্মা
কুড়ে কুড়ে খায় মানবদেহগুলোকে।
স্বপ্নগুলোর উপর চলে বুলডোজার
মুখ ভরে আসে রক্তবমিতে।
কলিজাটাকে ছিড়েও জেন শান্তি নেই
নির্মম চোখগুলো হাসে উপহাসের হাসি।

সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে সংঘর্ষ আহত ৬

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সিটির ৬ নং ওয়ার্ড আদমজী সোনামিয়া বাজার রেললাইন এলাকায় দু‘পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ২ জন গুরুতরসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। জমি ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় দু‘দফা এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেলিম ও আরজু নামে ২ জনকে আটক করেছে। থানায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, আদমজী সোনামিয়া বাজার এলাকার মোঃ সুমন খান নামে এক ব্যক্তি ৯ পয়েন্ট জমি বিক্রি করার ইচ্ছা পোষন করেন। একই এলাকার হানিফ খার ছেলে সাহেব আলী ও শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজু ওই জমি কিনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। সাজু গং ৪ লাখ টাকা দরদাম করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বায়না করে। এ খবর জেনে সাহেব আলী বিক্রেতাকে পটিয়ে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দরদাম করে গত সোমবার ২ লাখ টাকা বায়না করে। এ বিষয়টি জানার পর এনিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাহেব আলী ও সাজু গংদের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দু,পক্ষকে শান্ত করে চলে আসেন। পুলিশ চলে আসার কিছুক্ষণ পর বেলা ১২ টায় আবার বিরোধ সৃষ্টি হয়। বৃদ্ধ হানিফ ও তার ছেলে সাহেব আলী, সেলিম খা, জাফর খা ও জাফর খার মেয়ের জামাই আরজু লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করে। তারা চাপাতি দিয়ে শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজুকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তখন সাজুর ভাই সজিব, বোন সাথি,বিথি ও মা মর্জিনা বেগম ওরফে (ব্যালী) লাটি-সোটা নিয়ে পাল্টা হামলা করে। শুরু হয় দু,পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি। লাঠির আঘাতে সাহেব আলীর মাথা ফেটে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। এসময় আরো আহত হয় সাহেব আলীর পিতা বৃদ্ধ হানিফ খা, অপর পক্ষের সজিব, স্কুল ছাত্র হৃদয়, সাজুর বোন সাথি ও বিথি। খবর পেয়ে আবার এসআই রফিকুল ইসলাম ও রেজাউল সঙ্গীয় ফোর্সসহ দ্রæত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সাহেব আলী পক্ষের সেলিম খা ও তার ভাতিজি জামাই আরজুকে আটক করে। গুরুতর আহত সাহেব আলী ও সাজুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। গুরুতর আহত সাজু ও সাহেব আলীকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে বলে আহতদের স্বজনরা জানায়।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় সন্ধা পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলে পুলিশ জানায়। তবে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।