২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 187

ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর্যবেক্ষণ সঠিক নয়-ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

গত ১লা আগষ্ট ২০১৭ইং তারিখে প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহা ষোড়শ সংশোধনী রায় দিয়েছেন । রায়টি ছিল মূলতঃ প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতিদের অপসারণকে কেন্দ্র করে । কিন্তু রায়ের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি অনেক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন । পর্যবেক্ষণ সমূহ প্রমাণ করে এ রায় রাজনৈতিক ভাবধারায় লিখিত । রায়ের মাধ্যমে জাতিকে রাজনৈতিক ভাবে বিভক্ত করা হয়েছে । প্রধান বিচারপতি কর্তৃক রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে সরকার এবং সরকার সমর্থকসহ আইনজীবী এবং সাবেক বিচারপতিগণও সমালোচনায় মুখর । সমালোচনা এমন পর্যায়ে উঠেছে যে, প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ সহ দেশ ছাড়তে বলা হচ্ছে । সমালোচনায় বলা হয়েছে এ রায় বিচারপতির নিজের লিখা রায় নয় । এ রায় লিখেছেন একজন ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক । আরো বলা হচ্ছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার নিয়ন্ত্রণে এ রায় লেখা হয়েছে । প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহা এর পূর্বে যত রায় দিয়েছেন সেসব রায়ের শব্দ/বাক্য চয়নের সাথে ষোড়শ সংশোধনী রায়ের শব্দ/বাক্য চয়নের মিল নেই । সমালোচনায় আরো বলা হয়েছে ৭৯৯ পৃষ্ঠার ষোড়শ সংশোধনী রায় মাত্র ২৪ দিনে লিখা হয়েছে । যা কোনভাবেই একজন বিচারপতির পক্ষে লিখা সম্ভব নয় এবং এরূপ ইতিহাস নেই । রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে এত ব্যাপক সমালোচনার ইতিহাসও নেই । সমালোচনায় আরো বলা হয়েছে । রায়ের পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক ভাবধারায় পক্ষপাতিত্ব করে লেখা । এসব কারণে প্রধান বিচারপতি বিচারকের নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন । তার এ রায় বাতিল করা দরকার । আবার কেউ কেউ বলেছেন অনেক শব্দ/বাক্য এক্সপাঞ্জ করতে হবে । কারণ রায়ের পর্যালোচনা সমূহ অপ্রাসঙ্গিক অযৌক্তিক । এছাড়া প্রধান বিচারপতি তার রায় এবং পর্যবেক্ষণ দ্বারা রাজনৈতিক একপক্ষকে খুশি করেছেন এবং অপর পক্ষকে ক্ষুব্ধ করেছেন । সুতরাং এমন সব অপ্রাসঙ্গিক পর্যবেক্ষণ সম্বলিত রায় প্রকৃত অর্থে কারো কাম্য হতে পারে না । রায় পাঠে মনে হয়েছে কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ ব্যক্তি কর্তৃক লিখিত । পর্যবেক্ষণে মহান মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে এমনভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিক্ষুব্ধ করেছে । একসাথে রায়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে । নিরপেক্ষতা না থাকলে কোন রায়কে ন্যায়ের মাপকাঠিতে বিচার করা যায় না । রায়ের এক পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহা বলেছেন সংবিধানের প্রারম্ভে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা বিরোধী” কিন্তু কথা হল প্রধান বিচারপতি একথা কোথা থেকে এবং কেন আবিষ্কার করেছেন ? তা বোধগম্য নয় । তাছাড়া প্রধান বিচারপতির বক্তব্য এদেশের ইসলামীগণ মানুষের চেতনা, আকাঙ্ক্ষা এবং ইতিহাস বিরোধী । সুতরাং প্রধান বিচারপতির এ মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক এবং ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃতি । কারণ স্বাধীনতা পূর্বকালেও কোন রাজনৈতিক দল ধর্ম নিরোপেক্ষতার কথা বলেনি । ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে ঐতিহাসিক যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ১১ দফা, ৬ দফা, ৫৯-এর গণ অভ্যুত্থান এবং ১৯৭০-এ নির্বাচন কালেও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়নি । ১৯৭১ সালে ১০ এপ্রিল মুজিব নগরের স্বাধীনতা ঘোষণা পত্রেও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা উল্লেখ নেই । অথচ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে একত্র করে ফেলা হচ্ছে । অথচ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এদেশের ৯৫ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ঈমান আক্বিকা ও ইসলামী মূল্যবোধের সাথে সংশ্লিষ্ট । বরং মুক্তি যুদ্ধের চেতনার সাথে ধর্মনিরপেক্ষতা, মূর্তি স্থাপন এবং হিন্দুত্ব ও নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যসূচীর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই । ১৯৫২ সালে কথিত বুদ্ধিবৃত্তির সিন্ডিকেট প্রভুশক্তির ইশারায় সুদূরপ্রসারী নীল নকশা অনুযায়ী বাংলাদেশের ইসলামিক আদর্শের প্রধান শিকড় কেটে ফেলে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ধর্শন সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে বলপ্রয়োগ করে সংবিধানে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয় । সুতরাং এদেশের সিংহভাগ জনগোষ্ঠী কর্তৃক প্রখ্যাত সমাজতন্ত্র বহুবছর পূর্বেই নির্বাসিত হয়েছে । এখন ধর্মনিরপেক্ষতাকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে । সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমাননির রাহিম এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামই থাকবে । এটা পরিবর্তের ক্ষমতা কারও নেই । এখানে বলা প্রয়োজন প্রধান বিচারপতি বলেছেন বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা বিরোধী । অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী । কারণ মুক্তিযুদ্ধের সনদে উল্লেখ আছে শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন “সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে আপনাদের প্রতি আমার আবেদন ও আদেশ, দেশকে স্বাধীন করার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যান” (পৃষ্ঠা- ৩৯৯, শেখ মুজিবের লিখা অসমাপ্ত আত্নজীবনী, পৃষ্ঠা- ৪৬৪ আবুল মাল আব্দুল মুহিত সম্পাদিত এইদেশ এই মাটি) । এছাড়া মুজিবনগর সরকার কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় বলা আছে “বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করতে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী রূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করলাম” । একথাগুল ইসলামেরই দাবী । এছাড়া শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন “যেদেশের মানুষ হালের গরু ও জমী বিক্রি করে হজ্জ্বে যায় সেদেশে ইসলাম ছাড়া কোন রাজনীতি করা যায় না” । এর পরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ধর্মনিরপেক্ষতার সম্পর্ক থাকতে পারেনা । ধর্মনিরপেক্ষতা মানলে শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রীয়ভাবে মদ নিষিদ্ধ, রমনার ঘোড়া দৌড়, জুয়া নিষিদ্ধ, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গঠন এবং তাবলীগ জামাতের জন্য টঙ্গী ইজতেমা ময়দান বরাদ্দ করতেন না । সুতরাং সংবিধানের প্রারম্ভে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ।

ফতুল্লায় ৫ সাংবাদিকের উপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফতুল্লায় চাঁদাবাজীর প্রতিবাদ করায় ৫ সাংবাদিকের উপর সশ্রস্ত্র হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দুই সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। একই সময় আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সোমবার দুপুরে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় এঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অতিরিক্তি পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন ও ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহত সাংবাদিকদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
আহত সাংবাদিকরা হলেন, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন প্রধান, সাধারন সম্পাদক আনিসুর রহমান অনু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, আব্দুল আলীম লিটন ও ডিয়েল। এদের মধ্যে অনু ও ডিয়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের চিকিৎসা দিয়ে বাসায় বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ফতুল্লার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ইফতেখার আহমেদ ফরিদ ওরুফে কিলার ফরিদ ও তার সহযোগী কালাম। সন্ত্রাসী কিলার ফরিদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদের পুত্র যুবলীগ নেতা মুকুলকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যাসহ একাধীক অস্ত্র মামলা রয়েছে। এছাড়া ফরিদের বিরুদ্ধে পঞ্চবটি এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, ফরিদের সাথে আসা সন্ত্রাসীদের মধ্যে সামসুল হক আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শণ করেছে। তিনি একাধিক বার রিভালবার উচিয়ে গুলি করার চেষ্টা করে। এদিকে সাংবাদিকদের হামলার খবরে স্থানীয় সাংসদ একেএম শামীম ওসমান সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশকে নিদের্শ দিয়েছে।
ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ওবায়দুল্লাহ জানান, ফরিদ প্রায় সময় পঞ্চবটি এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দোকানে চাঁদাবাজী করে। সোমবারও জোর করে চাঁদা আদায়ের সময় দোকানীরা প্রেস ক্লাবে ফোন করে অভিযোগ করে। এসময় উল্লেখিত সাংবাদিকরা সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ফরিদ তার বাহিনীর প্রায় ১৫/১৬জন সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের উপর অতর্কীত হামলা চালায়।
এসময় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান অনুকে অপহরণের চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় আশপাশের লোকজন ধাওয়া করে ফরিদ ও তার সহযোগী কালামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় সামসুল হক, রুবেল, হৃদয়,সুমন ও কাউছারসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, ফরিদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী তার বিরুদ্ধে একাধীক মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জামাপুরে বর্ন্যাত্রদের পাশে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা মীর সোহেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে ফতুল্লা থানা যুবলগের সভাপতি মীর সোহেল বর্ন্যাত্রদের মাঝে ত্রান বিতরণ করেছেন। গত শনিবার বিকেলে তিনি জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় বর্ন্যাত্রদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী ও ঔষধ বিতরণ করেন।

যে সকল দ্রব্যাদি নিচ্ছেন তা হলো, চিড়া, মুড়ি, আখের গুড়, বেকারী বিস্কুট, টোস্ট বিস্কুট, বিশুদ্ধ পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসাজনিত ঔষধ ও খাবার স্যালাইন।

এসময় তার সাথে সফর সঙ্গী হিসেবে অংশ নেয়, ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম লিপু, মশিউর রহমান তরুন, শফিকুল ইসলাম বাচ্ছু, শেখ মোঃ শাহিন, জাহের আলী, সোহেল মাদবর, পাপন সরকার, পাপ্পু চৌধুরী, মেহেদী হাসান শাহীন, গাজী নুর মোহাম্মদ সাগর, শেখ মোঃ ইউসুফ, মোঃ ইমন, ওয়াসিম, দেলোয়ার হোসেন, মো. শিশিরসহ বিশাল একটি টিম।

জনতা সুযোগ পেলেই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনে-রুহুল আমীন শিকদার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রোজ রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন শিকদার এক ব্যাক্তিগত সাক্ষাৎকারে বলেন যে , “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপির) ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে হয়না, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মানুষের বাক স্বাধীনতার জন্য এ দেশের সাধারন ও মুক্তিকামী জনতা সুযোগ পেলেই শহীদ জিয়ার হাতে গড়া দল বিএনপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে, কারো তাঁবেদারি করে বা ক্ষমতায় এসে তাবেদারী করার মুচলেকা দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসতে হয়নি। এদেশের মানুষ দেখেছে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সাধারন মানুষের কথা বলার অধিকার থাকে, দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দিয়ে বিএনপি বিদেশীদের সাথে কোন চুক্তি করেনা। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনচেতা ও মুক্তিকামী জনগণ সুযোগ পেলেই ধানের শীষে ভোট দেয়, আগামী দিনেও এ দেশের মানুষ ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে নতুন করে ক্ষমতায় আনার জন্য মুখিয়ে আছে। কারন দীর্ঘ দিন ধরে এ দেশের সাধারন জনগন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসে সহায়ক সরকারের রুপরেখা দিবে। বর্তমান তাবেদার সরকার যদি সহায়ক সরকারের রুপরেখা মেনে না নেয়, তাহলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে সহায়ক সরকারের দাবি মানতে বাধ্য করা হবে। আমি মনে করি ষোড়শ সংবিধান বাতিল হওয়ার পর সরকারের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। যতই চাপাবাজি করুক না কেন ,বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। বর্তমান তাবেদার সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হলে বিএনপির প্রস্তাব মেনে নিয়ে সহায়ক সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে আগামী জাতীয় নিবার্চনের ব্যাবস্হা করবে।

বগুড়ার চার স্থানে “দেশ সমাজ কল্যান” সংগঠনের ত্রাণ বিতরন

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ স্বরণ কালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বানভাসী মানুষের কষ্ট লাঘবে “দেশ সমাজ কল্যান সংগঠন” নামে একটি সামাজিক সংগঠন গত ২৪ ও ২৫ আগস্ট বগুড়ার চারটি স্থানে ত্রাণ বিতরন করেছে। বগুড়ার ধনুট, কামালপুর, রাহাদাও সহ চারটি স্থানের পানি বন্দি অসহায় মানুষকে শুকনো খাবার ও খাবার স্যালাইন বিতরন করা হয়। ৪০ জনের টিম এ ত্রাণ বিতরন কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করেন। সকলের সহযোগীতায় প্রায় তেরশ মানুষের হাতে ত্রান পৌচ্ছে দিয়েছে “দেশ সমাজ কল্যান সংগঠন”।

যমুনা নদীর ওপারে রাহাদাও এলাকায় চার পাশে পানি থই থই করলেও এখানে কোন ত্রান আসেনি বলে জানান স্থানীয়রা। দেশ সমাজ কল্যান সংগঠনই প্রথম তাদের হাতে ত্রাণ পৌছে দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা পারুল বেগম। সামান্য কিছু ত্রাণ নিতে বহু দূর থেকে শত শত মানুষকে নৌকা, টলারে ছুটে আসতে দেখা গেছে। বাঁচার জন্য খাদ্য ঔষধ তাদের খুবই প্রয়োজন। দেশ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি ও সাংবাদিক নূরে আলম জীবন বলেন, মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়ে রাব্বুল আলামিনের কাছে অশেষ শুকরিয়া জানাচ্ছি। সকলের সহযোগীতায় আমরা ত্রাণ পৌচ্ছে দিতে পেরেছি। অনেকের কাছেই আমাদের হাত পেতে চাইতে হয়েছে, নিজের জন্য নয়, মানবতার জন্য। আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেকেই আমাদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এখানে যে ত্রাণ নিয়ে গিয়েছি তা যেন তাদের কষ্টময় জীবনের কাছে কিছুই না। তাই সমাজের সকলের কাছে অনুরোধ, যার যার সামার্থ মত যেন তাদের পাশে দাঁড়াতে পারেন। এ ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগীতা করেছে, সাইফুল ইসলাম বুলবুল, মো: হাসান, মো: রবিন হোসেন, সাইফুল ইসলাম সুফল, মো: মুন্না, জাকারিয়া, ফারুক হোসেন শ্রাবণ, মাজহারুল ইসলাম আকাশ, ইকবাল হোসেন, রাসেল হোসেন প্রমুখ।

ইজারার আগেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সহ ৫ স্থানে পশুর হাট

ইজারা দেয়ার আগেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডসহ ৫টি স্থানে বসেছে পশুর হাট। আর এ হাটে স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী ও পুলিশ।

শনিবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার সাইনবোর্ড মোড়ে বিশাল পশুর হাট বসিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।

হাট সম্প্রসারণের জন্য ব্যস্ত সড়কের পাশে বালু দিয়ে ভরাট করার কাজও চলছে। এছাড়া ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে মহল্লার প্রবেশ রোড বন্ধ করে হাট বসানো হয়েছে।

এতে লিংক রোডে সৃষ্টি হয়েছে যানজট আর মহল্লায় প্রবেশে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।

এছাড়া ওই হাট নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজ্জাক বেপারীর সঙ্গেও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের বিরোধ চলছে।

হাটটি প্রতিবছর উপজেলা থেকে ইজারা নেন রাজ্জাক বেপারী। এবছর হাটটি ইজারা ছাড়াই বসিয়েছে নাজিম উদ্দিন। ফলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী ও পুলিশ।

এছাড়া ফতুল্লার কাশিপুর, পাগলা তালতলা, গোগনগর ও পুরান সৈয়দপুর এলাকায় ইজারা ছাড়াই পশুর হাট বসানো হয়েছে।

নির্ধারিত সময়ের আগে পশুর হাট বসানোয় প্রতিটি হাটের আশপাশে চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় রয়েছে একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী। হাটের দখল ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে যেকোনো সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক মাস যাবৎ বৃষ্টির পানিতে গিরিধারা এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি। এরমধ্যে উঁচু স্থানটিতে যেখানে এলাকার মানুষ এসে দাঁড়ায় সেখানে এখন পশুর হাট বসানো হয়েছে।

বেধে রাখা হয়েছে শতশত গরু। এখন এলাকায় প্রবেশে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, রাজ্জাক বেপারীর এলাকায় নাজিম উদ্দিন হাট বসাবে। এটা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না রাজ্জাক বেপারী।

এতে রাজ্জাক বেপারী ও তার ছেলে সাহাবুদ্দিন বেপারী দলবল নিয়ে যেকোন সময় ওই হাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করবে। তখন বাধা দিতে আসলেই উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হবে।

রাজ্জাক বেপারী বলেন, আমি ভুইগড় গিরিধারা মাঠের অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা নেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা পরিষদে শিডিউল ক্রয় করতে যাই।

সেখানে উপজেলা পরিষদের কোন কর্মকর্তা আমার কাছে শিডিউল বিক্রি করেনি। এছাড়া শিডিউল ক্রয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নামিজ উদ্দিন আমাকে বাধা দিয়েছেন।

বর্তমানে নাজিম উদ্দিন যেখানে হাট বসিয়েছেন। সেখানে পানিবন্দি গ্রামবাসী এসে দাঁড়ায় এবং রিকশা নিয়ে স্কুল-কলেজ ও কর্মস্থলে যাতায়াত করে। এ স্থানে হাট না বসানোর জন্য প্রশাসনকে অবগত করেছি।

পরিবহন ব্যবসায়ীরা জানান, সাইনবোর্ড মোড়টি মহাসড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট, নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা গণপরিবহন থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করানো হয়। এখানে পশুর হাট বসানো মানে জনদুর্ভোগ।

এছাড়া ফতুল্লার কাশিপুর, পাগলা তালতলা ও গোগনগর এবং পুরান সৈয়দপুর এলাকায় রোববার পশুর হাটের জন্য ইজারা দেয়া হবে। এরআগেই এসব এলাকায় ইজারা ছাড়াই পশুর হাট বসিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।

এনিয়ে স্থানীয় অপর সন্ত্রাসীরা ফুঁসে উঠেছে। যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ সাংবাদিকদের জানান, লিংক রোডে হাট বসানোর বিষয় আমার জানা নেই।

তবে আমাদের তালিকায় ওই এলাকার হাটের স্থান রয়েছে ভুঁইগড় গিরিধারা মাঠে। যদি কেউ ইজারা ছাড়া লিংক রোডে হাট বসিয়ে থাকে তাহলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

জেলা প্রশাসকের অনুমতিতে রোববার ২৭ আগস্ট ৫টি হাটের ইজারা সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া ইজারার পূর্বেই যারা হাট বসিয়েছে তাদের বিষয়েও খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, লিংক রোডে পশুর হাট বসালে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হবে। লিংক রোডে কোনো ভাবেই পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না।

রাজ্জাক বেপারীর ফুসে থাকার বিষয়টি জানতে পেরেছি। তাকে হাটের শিডিউলও ক্রয় করতে দেয়া হয়নি। এবিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেখবেন।

তিনি আরও জানান, আমি ফতুল্লা ডিআইটি মাঠ ও আলীগঞ্জ পশুর হাট সম্পর্কে জানি। অন্যকোনো হাটের বিষয়ে উপজেলা থেকে আমাকে জানানো হয়নি।

কলাপাড়ায় মটর সাইকেলের দূর্ঘটনা বাড়ছেই

 

এ,আর, কুতুবে আলম : পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এমনকি কলাপাড়া পৌরশহরের মধ্যেও লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ চালকরা দেদাছে মটোর সাইকেল চালিয়ে যাত্রী নিয়ে এক স্থান হতে অন্য স্থানে চলাচল করে আসছে। এ যেন দেখার কেই নাই প্রশাসনের নাকের ডগায়ই চলছে এই অদক্ষ চালকের রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মটোর সাইকেলগুলি । উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা ।

এলাকা সূত্রে জানাযায়. কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ও চম্পাপুর ইউনিয়নের শেষ বর্ডার পাচজুনিয়া গ্রামের আ. মৌজলী খানের ছেলে মো. আব্দুল মালেক খান (৬৭)। তিনি তাদের বাড়ির সামনে সড়কে মসজীদের পাশে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় দাঁড়িয়ে কথা বলছেন । এমন সময় চম্পাপুর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে রিয়াজ হাওলাদার (১৮) মিলন মৃধা নামের এক যাত্রী নিয়ে ধানখালী ডিগ্রী কলেজ বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এসময় অদক্ষ চালক নেশা খোরের ন্যায় মটোর সাইকেলটি ব্রেক ফেল করে আব্দুল মালেক খানের শরীরে উঠিয়ে দেয়। তখন মালেক খান অজ্ঞান হয়ে পড়ে। মালেক খানের পরিবার চালকসহ মটোর সাইকেলটি আটক করে। এরপর তাৎক্ষনিক এ্যাম্বুলেন্স ডেকে সন্ধ্যায় মালেক খানকে নিয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে মৃত‚্যর সাথে যুদ্ধ করে অজ্ঞান অবস্থায়ই তিনি শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় মারা যান। এদিকে, স্থানীয় লোকজন পড়ে চালক রিয়াজ হাওলাদারকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তার মটোর সাইকেলটি আজো মালেক খানের বাড়িতে আছে। এর আগেও পাখিমারা রুবেল নামের এক স্কুল ছাত্র মটোর সাইকেলে এ্যাকসিডেন্ট করে নিহত হয়েছে। কয়েক মাস আগে ধানখালী লোন্দা খেয়াঘাট যএলাকায় এক বৃদ্ধ মটোর সাইকেল এ্যাকসিডেন্টে মারা গেছে। চম্পাপুর ইউনিয়নের পাটুয়া এলাকায়ও মটোর সাইকেলে এ্যাকসিডেন্ট করে নিহত হয়ে। বালিয়াতলী ভাবলাতলা একই পরিবারের ৩ জন গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়েছে। কলাপাড়ার মাদ্রাসা সড়কেও দুই মটোর সাইকেলে মুখোমুখী সংঘর্ষে ঢাকা থেকে যাওয়া সিনিয়র সাংবাদিক এর আত্মীয়সহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছিল ।

এলাকাবাসী আরো জানান, কলাপাড়া এলাকার প্রত্যেক ইউনিয়নেই রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মটোর সইকেল ও অদক্ষ চালকের হিড়িক। তারা অনেকে নেশা সেবন করেও মটোর সাইকেল চালায়। আবার কতিপয় চালকরা শহর ও সাগর পাড় হতে ইয়াবা গাঁজাসহ নানা প্রকার নেশাদ্রব্যদি আনা নেওয়া করে। কলাপাড়া উপজেলার ট্রাফিক ব্যবস্থা নড়বড় হওয়ায় অপরাধীরা তাদের যানবাহনে অবৈধ মালামাল টানতে সহজ হয়। বিভিন্ন বিয়ে বাড়িতেও নেশা সেবনের আসর বসায় বলে গ্রামের সচেতন অভিভাবক জানান । আর এই নেশা সরবরাহ করে কতিপয় কিছু অসাধু মটোর সাইকেল চালকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান এই চালকের কিছ রাজনৈতিক মার্কা নেতাদের চামচাও বটে তাড়া অপরাধ করতে দ্বিধাবোধ করছে না।

আওয়ামীলীগের এক প্রবীন নেতা ও আরেক ত্যাগীকর্মী জানান, নেশাখোর চালকদের হাত নাকি অনেক বড় । এরা নিজেরাও সেবন করে আর পাড়া মহল্লায়ও মাদক ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে আসছে। এদের কে সেল্টার দিচ্ছে কতিপয় কিছু পাতি নেতারা। ফলে কেহ ভয়ে মুখ খুলছেনা । বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ,যারা সন্ত্রাস করবে নেশা বিক্রিতে সহায়তা করবে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবেনা সন্ত্রাস আর মাদক ব্যবসাযীদের কোন দল নেই। তারা জাতির ধ্বংসকারী সুতরাং গ্রামগঞ্জের সবাইর সচেতন হতে হবে এমনাই বলে আসছেন ইন্নয়নের রূপকার ডিজিট্যাল দেশ গড়ার স্বপ্নাদ্রষ্টা শেখ হাসিনা ।

এব্যাপারে কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহনেওয়াজ জানান, চালকের লাইসেন্স চেক ও রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মটোর সাইকেল আটক করছি এবং ধরে মামলাও দিচ্ছি গত শুক্রবারও ১০ (দশ)টি মটোর সাইকেল ধরে মামলা দিয়েছি। আমাদের অভিযান নিয়মিত চলছে এবং চলবে। তিনি আরো বলেন, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি জনপ্রতিনিধিদেরও এই অবৈধ অদক্ষ চালকদের চিহ্নিত করতে সহায়তা করতে হবে। পুলিশের সংখ্যা কম । সুতরাং সবাই পুলিশের কাজে সহায়তা করলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে এবং অপরাধ হ্রাস হবে। নেশা বিক্রেতা ও বিক্রিতে সহায়তাকারী আমার কাছে কোন ক্রম্রেই ছাড় পাবেনা সে যেই হোক। আমাদের সরকার সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে নির্মূলের প্রত্যয় নিয়ে জেহাদ ঘোষনা করে আসছেন ।

নৌকা আমাদের সব সময় কাজে লাগবেই-প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এ কারণে মাঝে মাঝেই বন্যা আসবে। সেজন্য নৌকা ছাড়া কোনো গতি নেই আমাদের। নৌকা আমাদের সব সময় কাজে লাগবেই। এটাই হলো বাস্তবতা। আর সেই নৌকা মার্কা যখন ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।

শনিবার বিকেলে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের মানুষকে আর ভিক্ষা নিয়ে চলতে হয় না। কিন্তু বিএনপি সবসময় চাইতো এই বাঙালি জাতিকে ভিক্ষুক করে রাখতে। আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে যাওয়ার পর ১৯৯৮ সালে খালেদা জিয়া ও তার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সংসদে গিয়ে বলেছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশের সাহায্য পাওয়া যাবে না। তারা দেশকে ভিক্ষুক করতে চাইলেও আমরা তা চাই না। আমাদের মাটি আছে, মানুষ আছে। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো। সম্মানের সঙ্গে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।

 

সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাদারা মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, বগুড়া-১ আসনের সাংসদ আব্দুল মান্নান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজীত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু।

শনিবার প্রধানমন্ত্রী সারিয়াকান্দির বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী ও ২৫০ কৃষকের মাঝে ধানের চারা বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণ শেষে সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজ হল রুমে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুধী সমাজ ও বন্যা ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধা থেকে হেলিকপ্টার যোগে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সারিয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছান। সেখানে থেকে গাড়িতে করে সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশস্থলে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২০ বছর পর শনিবার যমুনাপাড়ের জনপদ সারিয়াকান্দি আসেন। এর আগে ১৯৯৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তিনি সারিয়াকান্দি সফরে এসেছিলেন।

কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজঃ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আবারও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশ করায় দেশটির দূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে তা মিয়ানমারকেই নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। শনিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমারের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স আং মিন্ট থানকে ডেকে এ কথা বলা হয়।

এ বিষয়ে পররষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছি। পাশাপাশি এ সহিংস পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে অাবারও রোহিঙ্গা প্রবেশ করার বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের কোনো নাগরিক যাতে এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে না আসতে পারে বিষয়টি মিয়ানমারকেই নিশ্চিত করে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এছাড়া মিয়ানমারের সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে বাঙালি অখ্যায়িত দিয়ে দেশটি যে বিবৃতি দিয়েছে তা আমাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে অামাদের আপত্তির বিষয়টি মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে অবগত করে পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছি।

পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল  বলেন, এর অাগে মানবিক কারণে বহু রোহিঙ্গাকে অাশ্রয় দিলেও অার অামরা সেটা দেব না। এভাবে চলতে পারে না।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনার পর উত্তেজনা আর শঙ্কার মধ্যে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় রয়েছে। কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী স্থল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের আশায় শুক্রবার থেকে নাফ নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীরে বসে আছে অসহায় কয়েক হাজার নারী-শিশু-বৃদ্ধ।

এদিকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। শুক্রবার ১৪৬ জন এবং শনিবার সকাল পর্যন্ত ৭৩ জনকে আটকের পর মানবিক সহায়তা দিয়ে আবারও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ভারতের ধর্মগুরু, সহিংসতায় নিহত ১৭

দু’জন নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ভারতের স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং। শুক্রবার চণ্ডিগড়ের পাঁচকুলার একটি বিশেষ আদালত ওই রায় ঘোষণা করেছে। ধর্ষণের দায়ে গুরমিতের সাজা কী হবে, সোমবার আদালত সেই সিদ্ধান্ত জানাবে।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরপরই সহিংসতা শুরু করেন রাম রহিম সিংয়ের ভক্তরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৭ জন নিহত এবং দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেক্ষেত্রে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

রায় ঘোষণার আগে থেকেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্য জুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। একইসঙ্গে এলাকাগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। রাম রহিম সিংয়ের ভক্তরা বিক্ষোভ শুরু করলেই পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

সহিংসতা শুরুর আশঙ্কায় শুক্রবার সকাল থেকেই পাঁচকুলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে মোতায়েন করা হয় ৫০ হাজার পুলিশ। নিহতের ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকাগুলোতেই। ১৪৪ ধারা জারি করার পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর ও হনুমানগড়ে। পুলিশ একটি স্টেডিয়ামও অধিগ্রহণ করে রেখেছে বহু লোককে গ্রেফতার করার আশঙ্কায়।

নিজের সাংগঠনিক দফতর থেকে শ’খানেক গাড়ি নিয়ে পাঁচকুলা আদালতে পৌঁছান রাম রহিম সিং। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতে চত্বরে প্রবেশের অনুমতি পায় মাত্র দুটি গাড়ি।

রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে যে দুজনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সেটা ১৫ বছর আগের ঘটনা। ২০০২ সালে এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে সিবিআই। সেটাও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির চিঠির সূত্র ধরে। ১৯৯৯ সালে নিজের আশ্রমে দুই নারীকে তিনি ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

২০০৭ সাল থেকে শুনানি চলার পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দোষী সাব্যস্ত করা হয় ধর্মগুরুকে। তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন তিনি।

সূত্র : বিবিসি, আনন্দবাজার